%E0%A6%86%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80-%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%97
মনোনয়ন ফরম বিক্রিতে আ. লীগের আয় ৪ দিনে ১৬.৮১ কোটি টাকা
৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য মাত্র ৪ দিনে ৩০০ আসনে ৩ হাজার ৩৬২টি মনোনয়নপত্র বিক্রি করে মোট ১৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা আয় করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
যার অর্থ দাঁড়ায়- শুধু মনোনয়ন ফরম বিক্রি থেকে দলটি প্রতিদিন গড়ে ৪ কোটি ২০ লাখ টাকার বেশি আয় করেছে, যদিও গত দুই দিনে ধীরগতি দেখা গেছে। প্রথম দিন শনিবার থেকে ব্যাপক বিক্রি শুরু হওয়ায় দলীয় কোষাগারে ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা জমা পড়ে। এরপর রবিবার ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকার মধ্যে দিয়ে আরও লাভজনক একটি দিন পার হয়।
তুলনামূলকভাবে বলতে গেলে, দেশের ফ্ল্যাগশিপ উন্নয়ন প্রকল্প পদ্মা বহুমুখী সেতু থেকে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হওয়ার প্রথম দিনে (২৬ জুন, ২০২২) মাত্র ২.০৯ কোটি টাকা টোল আদায় হয়। প্রথম ৪ দিনে মোট আদায়ের পরিমাণ ছিল ৮ কোটি টাকার উপরে। ২০২৩ সালের ২৮ জুন একদিনে সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকার টোল আদায় হয়।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনলেন সাকিব
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ঢাকা বিভাগে ৭৩০টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬৫৯টি, খুলনায় ৪১৬টি, রাজশাহীতে ৪০৯টি, রংপুরে ৩০২টি, ময়মনসিংহে ২৯৫টি, বরিশালে ২৫৮টি এবং সিলেট বিভাগে ১৭২টি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করায় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (১৮ নভেম্বর) তার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের মাধ্যমে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রির উদ্বোধন করেন।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, মনোনয়ন ফরম বিক্রির সংখ্যা কমে গেলেও ২০১৮ সালের তুলনায় আওয়ামী লীগ অনেক বেশি আয় করেছে, সেসময় তারা ৪ হাজার ১০০ ফরম বিক্রি করে ১২ কোটি ৩২ লাখ টাকা আয় করেছিল।
আরও পড়ুন: আবারও নড়াইল ২ আসনের আ. লীগের মনোনয়ন ফরম কিনলেন মাশরাফি
মূলত বর্ধিত আয়ের পেছনে রয়েছে মনোনয়ন ফরমের ফি বৃদ্ধি। ২০১৮ সালে প্রতিটি ফরমের দাম ছিল ৩০ হাজার টাকা, এ বছর তা বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
এ বছর মোট ৩ হাজার ৩৬২টি ফরমের মধ্যে অনলাইনে বিক্রি হয়েছে মাত্র ১২১টি ফরম।
২০২৫ সালে ক্রিকেট থেকে অবসরের পরিকল্পনা করা ক্রিকেট সুপারস্টার সাকিব আল হাসানের মতো সেলিব্রিটিদের আকৃষ্ট করেছে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে। ২০২৯ সাল পর্যন্ত ৫ বছরের মেয়াদের সংসদ নির্বাচনে সাকিবের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তার প্রতিনিধিরা মাগুরার দু’টি ও ঢাকার একটি আসনে মোট ৩টি মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।
গত ১৯ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে কোনো বিশেষ দলের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক নয়: শাহরিয়ার
নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে কোনো নির্দিষ্ট দলের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক নয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
তবে তিনি বলেন, এটি একটি চিরন্তন সত্য যে রাজনৈতিক দল হিসাবে টিকে থাকার জন্য দলগুলোকে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শাহরিয়ার বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়সীমা শেষ না হওয়া পর্যন্ত যে কোনো দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও সরে দাঁড়ানোর সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, যেকোনো নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
বিরোধী দল বিএনপিকে ইঙ্গিত করে শাহরিয়ার বলেন, যে সন্ত্রাসী দল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সংবিধানে বিশ্বাস করে না, তাদের অংশগ্রহণের চেষ্টা করা বাধ্যতামূলক নয়।
আরও পড়ুন: যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, পেছানো হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এদিকে, বাংলাদেশে একটি 'শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য' জাতীয় নির্বাচন দেখতে চায় জাতিসংঘ।
সোমবার (২০ নভেম্বর) নিউইয়র্কে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, 'একটি শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য আমরা সব অংশীজন, সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে তফসিল ঘোষণা করেছে।
বিরোধী দল বিএনপি এখনও নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না নিলেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সমমনা দলগুলোর সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ করা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিদেশে বসে গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দেশে মামলা হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
বিদেশে বসে গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দেশে মামলা হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশের বিরুদ্ধে গুজব রটনার জন্য যদি একটি রাজনৈতিক দল রটনাকারীদের পয়সা দেয়, এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছু হতে পারে না।
তিনি বলেন, যারা এ ধরনের গুজব রটায় তাদের আমরা চিহ্নিত করেছি এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অনেক জায়গায় তাদের ব্যাপারে নোটিফাই করা হয়েছে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট দেশের আইন অনুযায়ী সেখানে মামলা করার জন্য আমাদের দলের যারা রয়েছে তাদের বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নেতারা আত্মগোপনে থেকে কর্মীদের দিয়ে গাড়ি পোড়ানোই বিএনপির অবরোধ: তথ্যমন্ত্রী
এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকেও সেসব দেশের কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তর সম্মেলনকক্ষে অধিদপ্তরের গুজব প্রতিরোধ সেল এবং ফ্যাক্টস চেকিং কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের অধিদপ্তর মতবিনিময়কালে তিনি এ সব কথা বলেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশ থেকে যে এ ধরনের গুজব ছড়ানো হয় সেগুলোর ব্যাপারে আমরা ওয়াকিবহাল এবং আগের তুলনায় সেটি কমেছে। আপনারা দেখেছেন, এই গুজব ছড়ানোর জন্য বিএনপি ও জামাত তাদের যেসব পেইড এজেন্টদের ঠিক মতো পয়সা দেয়নি, সেই পরিপ্রেক্ষিতে যারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তাদের অডিও ভাইরাল হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশিরা কয়েক জায়গায় মামলাও করেছে। সুতরাং কেউ যদি মনে করে যে বিদেশে বসে বসে গুজব রটাবে আর সে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকবে সেটি কিন্তু নয়।’
এখন নির্বাচন নিয়েও অনেক গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করা হবে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘করোনার টিকার বিরুদ্ধে এবং পদ্মা সেতু নির্মাণের সময় গুজবের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকার জন্য মূলধারার গণমাধ্যমকে আমি ধন্যবাদ জানাই। সাংবাদিকদের অনুরোধ করব, আগে যেমন আপনারা জাতির প্রয়োজনের নিরীখে এবং করোনার সময়েও যেভাবে কাজ করেছেন এখন নির্বাচনকে সামনে রেখে যাতে কেউ গুজব ছড়াতে না পারে, অপপ্রচার করতে না পারে, সেজন্য আপনারা আগের মতোই গুজবের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকবেন, সেটিই আমার প্রত্যাশা। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজবের বিরুদ্ধে যদি 'কাউন্টার পোস্ট' দেওয়া হয় তাহলে গুজব সহজে ছড়াবে না। এ জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা প্রয়োজন।’
এর আগে তথ্যমন্ত্রী তথ্য অধিদপ্তরের গুজব প্রতিরোধ ও ফ্যাক্টস চেকিং কার্যক্রমের প্রশংসা করেন এবং কাজের মান ও পরিমাণ বৃদ্ধির পরামর্শ দেন।
সভায় বক্তব্য দেন- প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া।
সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. আবদুল জলিলের উপস্থিতিতে উপপ্রধান গুজব প্রতিরোধ ও ফ্যাক্টস চেকিং বিষয়ে অধিদপ্তরের কার্যাদি উপস্থাপন করেন- তথ্য কর্মকর্তা নাসরীন জাহান লিপি এবং তথ্য কর্মকর্তা গাজী শরীফা ইয়াছমিন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ থেকে পরিচালিত এ কার্যক্রমের অধীনে ৭৩টি তথ্য বিবরণী, ৩৭টি আইকনোটেক্সট এবং ৪টি ভিডিও তথ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটের ফ্যাক্ট চেকিং সেবা বক্স, ফেইসবুক পাতা ‘পিআইডি; এবং ‘পিআইডি বিডি’ এবং ইউটিউব ‘পিআইডি বাংলাদেশ’ চ্যানেলে প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী আমেজে ঢাকা পড়ে গেছে বিএনপির বর্জনের ডাক: তথ্যমন্ত্রী
সমাজের জন্য অনুসন্ধানী রিপোর্টিং প্রয়োজন: তথ্যমন্ত্রী
অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে কিছুই অর্জন করা যায় না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষকে পুড়িয়ে মেরে কিছুই অর্জন করা যায় না। অগ্নিসংযোগকারীদের মধ্যে চেতনা ফিরে আসুক।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি আবারও শুরু হয়েছে অগ্নিসন্ত্রাস। কীভাবে একটা মানুষ জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারে? এটা ভুল।’
মঙ্গলবার সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৩ উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে বীরত্ব পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্বাচিত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনীর (সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী) নির্বাচিত ১১ জন সদস্যের মধ্যে অসামান্য অবদানের জন্য শান্তিকালীন পদক প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনী দিবস: শিখা অনির্বাণে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু অর্জন করতে হলে জনগণের শক্তি প্রয়োজন, জনগণের পাশে থাকতে হবে এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে। জনগণের ক্ষতি করে বা মানুষকে পুড়িয়ে কিছুই অর্জন করা যায় না।
১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আক্রমণ চালায়, যা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়কে ত্বরান্বিত করে।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে প্রতিবছর এই ঐতিহাসিক দিনটি সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালিত হয়।
আরও পড়ুন: যুদ্ধের জন্য নয়, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন: প্রধানমন্ত্রী
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার সেনানিবাসে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
নির্বাচনী আমেজে ঢাকা পড়ে গেছে বিএনপির বর্জনের ডাক: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘নির্বাচন নিয়ে যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে, তাতে বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ডাক ঢাকা পড়ে গেছে। এখন নির্বাচন উৎসব আমেজ শুরু হয়ে গেছে।’
সোমবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র বিক্রি হচ্ছে। রবিবার দেড় কিলোমিটার হেঁটে আমি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে গেছি। আর ভিড়ের কারণে আমাদের সাধারণ সম্পাদক ঢুকতেই পারেননি।’
বিএনপির ডাকা টানা হরতাল প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আপনারা জানেন বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীরা গত ৪৮ ঘণ্টায় ১৮টি যানবাহনে আগুন দিয়েছে। অবরোধ-হরতাল কেউ মানছে না, জনগণ এমনকি বিএনপি সমর্থকদেরও এর সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই।’
আরও পড়ুন: সাধারণ মানুষ কেন বিএনপির অপরাজনীতি ও হিংস্রতার শিকার: বিএনপির কাছে তথ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন
তিনি বলেন, ‘রুহুল কবির রিজভী সাহেব অনলাইনে এসে যে কর্মসূচি ঘোষণা করছেন এগুলো আসলে গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো বা সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তিতে আগুন দেওয়ার কর্মসূচি ছাড়া অন্য কোনো কিছু নয়। একটি স্কুলে এবং বসে থাকা একটি ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়েছে, তিনটা বগি পুড়ে গেছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ তো নয়ই, এগুলো জঘন্য সন্ত্রাসী, দেশবিরোধী অপতৎপরতা। এরা দেশ ও সমাজের শত্রুতে রূপান্তরিত হয়েছে। শুধু যারা গাড়ি-ঘোড়া-সম্পত্তি পোড়াচ্ছে তারাই নয়, যিনি কর্মসূচি ঘোষণা করছেন তিনি এবং এই নেতারা সবাই দুষ্কৃতিকারী।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এই আগুনসন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর। আমি আপনাদের অনুরোধ জানাব, সাংবাদিকরা সমাজের বিবেক, অনেক ক্ষেত্রে সমাজের পথপদর্শক, এই আগুন-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আপনাদের লেখনী, রিপোর্টিং যদি অব্যাহত থাকে তাহলে মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।’
বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসবে কি না বা সংলাপ হবে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কাউকে ছাড়া নির্বাচন করতে চাই না, সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করতে চাই। কেউ নির্বাচনে না এলে তাদের আনার দায়িত্ব সরকারের বা আওয়ামী লীগের নয়। বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না সেটি তাদের নিজস্ব ব্যাপার।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু নির্বাচন প্রতিহত করার কথা বলে জনজীবনে অশান্তি, রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা, গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো এগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ নয়, এগুলো দৃস্কৃতিকারীদের কাজ। আর যারা এভাবে গাড়িতে আগুন দেয় এবং নেতাদের কাছে সেই ভিডিও পাঠায় আর নেতারা বলে আগুন দিলে প্রমোশন হবে, তাদের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে কি -সে নিয়ে আপনাদের বিবেক কী বলে?’
বিএনপি নির্বাচনে বাধা দিলে তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা-নীতি প্রয়োগ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র। আমাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অত্যন্ত চমৎকার বহুমাত্রিক সম্পর্ক। বিশেষ করে জঙ্গি-সন্ত্রাস দমন করার ক্ষেত্রেও আমাদের বহুমাত্রিক সহযোগিতা আছে। র্যাবকেও যুক্তরাষ্ট্র ট্রেনিং ও ইকুপমেন্টও দিয়েছিল। ভিসা-নীতি ঘোষণার সময় বলা হয়েছে যারা নির্বাচনে বাধা দেবে, তাদের বিরুদ্ধে এটি প্রয়োগ করা হতে পারে। এখন যারা নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিচ্ছে, আগুন সন্ত্রাস চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে এই নীতি প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র চিন্তাভাবনা করবে, ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, এটিই আমাদের প্রত্যাশা।’
আরও পড়ুন: সমাজের জন্য অনুসন্ধানী রিপোর্টিং প্রয়োজন: তথ্যমন্ত্রী
দল না করে মনোনয়ন পাওয়ার সুযোগ নেই: তথ্যমন্ত্রী
চুয়াডাঙ্গা-১ ও ২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কিনলেন যারা
চুয়াডাঙ্গা-১ ও ২ আসন মিলে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন ২৭ জন।
চুয়াডাঙ্গার দুটি নির্বাচনী আসনের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে গত শনিবারই বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের পক্ষে তার ভাই ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম টোটন মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি: সিইসি
দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও এই মুহূর্তে মনোনয়ন দৌড়ে সবচেয়ে আলোচনায় থাকা দিলীপ কুমার আগরওয়ালার পক্ষে দলীয় নেতা-কর্মীরা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
এ ছাড়া মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ শামসুল আবেদিন খোকন, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা জুবায়ের আহমেদ সাব্বির, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আফরোজা পারভীন, যুবলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান।
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের জন্য আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস। এছাড়া আজ সোমবার দুপুরে মনোনয়ন কিনেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক মেয়র জিপু চৌধুরী।
নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিক্ষোভ
এর আগে প্রথম দিনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের জন্য দলীয় মনোনয়ন ফরম কেনেন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ১ নম্বর সহসভাপতি, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ১ নম্বর সদস্য এবং সাবেক সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য শিরিন নাঈম পুনম, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সুমন ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অর্থ উপকমিটির সদস্য রাজ্জাক।
অন্যদিকে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হতে চুয়াডাঙ্গা-২ আসন থেকে প্রথম দিনে চারজন মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। দ্বিতীয় দিনে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগর টগর, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মনজু।
এ ছাড়াও এ আসনের জন্য মনোনয়ন ফরম কিনেছেন জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জীবননগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক হামিদুর রহমান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য হাসেম রেজা, দৈনিক সকালের সময়ের সম্পাদক ও প্রকাশক নূর হাকিম, মির্জা শাহরিয়ার মাহমুদ ও আবু বকর।
নির্বাচনের তফসিলের নিন্দা করে 'লাল কার্ড' দেখাল এবি পার্টি
এর আগে প্রথম দিনে ফরম সংগ্রহ করেছেন, দর্শনা সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ও পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এ এম জাকারিয়া আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি নজরুল মল্লিক, অ্যাডভোকেট শাহারিয়ার কবির ও সাদিকুর রহমান বকুল।
দেশের উন্নয়ন দর্শনের মূল কারিগর বঙ্গবন্ধু: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশের উন্নয়ন দর্শনের মূল কারিগর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ২৯তম অধিবেশনে প্রথম বাংলায় ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু।
তিনি বলেন, সেই ভাষণে- বঙ্গবন্ধু বিশ্বের সব নেতৃত্বের প্রতি সব সম্পদ, কারিগরি জ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সবার জন্য সঠিক ও সমান ব্যবহার এবং প্রয়োগের মাধ্যমে মানবিক বিশ্ব প্রতিষ্ঠা করার উপর আহ্বান জানিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: দেশের প্রতিটি ডায়াবেটিস হাসপাতাল ইন্টারনেটের আওতায় আসবে: পলক
রবিবার (১৯ নভেম্বর) আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি (আইডিয়া) ফ্লোরে এটুআই এর উদ্যোগে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে অংশীজনদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় উপদেশ, পরামর্শ, সুপারিশ, লিখিত ও মৌখিক প্রস্তাব প্রদান শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, বঙ্গবন্ধুর দর্শন অনুসরণ করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে দক্ষ মানবসম্পদ, সবার জন্য সুলভমূল্যে ইন্টারনেট, প্রযুক্তিনির্ভর সরকারি সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া এবং আইসিটি শিল্পের বিকাশ ঘটানো; এই চারটি মূল লক্ষ্যে সামনে রেখে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে আমরা সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ ডিসেম্বর ২০২২ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ এ চারটি স্তম্ভের উপর ভিত্তি করে আনুষ্ঠানিকভাবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দেন। স্মার্ট বাংলাদেশের এ চার পিলার নির্ধারণ করে দিয়েছেন আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ কেমন হবে, তা এ চার স্তম্ভের কথা চিন্তা করলেই বোঝা যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশে একজন স্মার্ট নাগরিক হবে- বুদ্ধিদীপ্ত, দক্ষ, উদ্ভাবনী, সৃজনশীল, প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক চেতনাসম্পন্ন দেশপ্রেমিক এবং সমস্যা সমাধানে উদ্ভাবনী মানসিকতা সম্পন্ন।
তিনি আরও বলেন, স্মার্ট অর্থনীতি হবে ক্যাশলেস, সার্কুলার, উদ্যোক্তামুখী, গবেষণা ও উদ্ভাবন নির্ভর এবং জ্ঞানভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। স্মার্ট সরকার হবে নাগরিককেন্দ্রিক, আরও বেশি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট সরকার-ব্যবস্থায় সব ধরনের সেবা প্রদান ও কার্যসম্পাদন করা হবে- কাগজবিহীন, ডেটানির্ভর, আন্তঃসংযুক্ত, আন্তঃচালিত, সমন্বিত এবং স্বয়ংক্রিয়, অর্থাৎ যখন যেখানে দরকার, সেখানেই থাকবে সরকার এবং স্মার্ট সমাজব্যবস্থা হবে সব ধরনের বৈষম্যবিহীন, অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়ভিত্তিক।
তিনি আরও বলেন, ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ ও সহনশীল, সমাজ হবে উন্নত, নিরাপদ ও টেকসই।
আরও পড়ুন: টোকিওতে জাতীয় সংবিধান দিবস উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সেমিনার
দল না করে মনোনয়ন পাওয়ার সুযোগ নেই: তথ্যমন্ত্রী
দল না করে এবং ত্যাগ-তিতিক্ষা ছাড়া মনোনয়ন পাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, অবশ্যই তার দলীয় ত্যাগ-তিতিক্ষা থাকতে হবে। দীর্ঘ ধারাবাহিকতা ও জনপ্রিয়তা থাকতে হবে। এর বাইরে কারো মনোনয়ন পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতার দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব বলেন।
আরও পড়ুন: অগ্নিসন্ত্রাস থেকে দেশরক্ষায় সাংস্কৃতিক বিপ্লবকে এগিয়ে নিতে পারে চলচ্চিত্র: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ থেকে অনেক নেতা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের দল নির্বাচনী এলাকাগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে জরিপ চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটি নির্বাচনী এলাকায় বহু নেতা এমপি হওয়ার যোগ্যতা রাখেন।
তিনি আরও বলেন, সেজন্য প্রত্যেকটি নির্বাচনী এলাকায় অনেক নেতার নমিনেশন পেপার নেওয়াটা খুবই স্বাভাবিক, এটি অস্বাভাবিক কোনো কিছু নয়, সবসময় এটি হয়ে এসেছে। কিন্তু কোনো হাইব্রিডের মনোনয়ন পাওয়ার সুযোগ নেই।
মন্ত্রী বলেন, দল সবাই করতে পারে। দল অনেক সময় এটিও বিবেচনা করে যে, দীর্ঘ ধারাবাহিকতা না থাকলেও জনপ্রিয়তা আছে। কিন্তু দল না করে মনোনয়ন পাওয়ার কোনো সুযোগ আওয়ামী লীগে নেই।
নিজের নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, আমার ইলেকশন শুধু ইলেকশন আসলে না, আমি সারা বছর ইলেকশন করি, প্রতি সপ্তাহেই নির্বাচনী এলাকায় যাই, চট্টগ্রামে যাই, সারা বছর মানুষের সঙ্গে থাকি।
তিনি বলেন, ইলেকশন উপলক্ষে যে ঝাঁপিয়ে পড়া সেটি আমার ক্ষেত্রে নয়। আমি সারা বছর দলমত নির্বিশেষে মানুষের সঙ্গে থাকি। কারণ আমি ভাবি যে- আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলাম, যখন এমপি হয়ে গেছি তখন সব মানুষের।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এবারও দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়, আশা করি যে, আমি যেভাবে দল-মত নির্বিশেষে মানুষের পাশে থেকেছি, মানুষও দল-মত নির্বিশেষে ভোটের সময় আমার পাশে থাকবে।
নির্বাচনী কাজে তরুণদের অংশগ্রহণ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের স্লোগানই হচ্ছে- তারুণ্যই শক্তি, তারুণ্যই সমৃদ্ধি। তরুণদের উপর নির্ভর করেই দেশ এগিয়ে যাবে। সুতরাং তরুণরা আমাদের নির্বাচনী মেনিফেস্টো বলুন, নির্বাচনী কর্মকাণ্ড বলুন, সব কিছুতেই তরুণদের প্রাধান্য থাকবে।
নির্বাচনে বিএনপি আসবে কি না এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ইলেকশনের ট্রেন চলা শুরু হয়ে গেছে। এখন ট্রেনে যদি কেউ উঠতে না পারে তাহলে তো করার কিছু নেই। গতবার বিএনপি ইলেকশনের ট্রেনের পাদানিতে উঠেছিল, তার আগেরবার ইলেকশনের ট্রেন মিস করেছিল।
মন্ত্রী আরও বলেন, আজকে সারাদেশে মানুষের মধ্যে যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে এতেই প্রমাণিত হয় কেউ নির্বাচন বর্জন করলেও জনগণ ব্যাপকভাবে অংশ নেবে।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি দুস্কৃতিকারী ও দেশের শত্রুতে পরিণত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়নকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশের উন্নয়ন নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে তারা নির্বাচনমুখী দল এবং জনগণের শক্তিতে বিশ্বাসী।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) দলীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার সময় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মোমেন।
শনিবার সিলেট-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে রবিবার জমা দেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, ১৯৭১ সালে দেশ বাইরের চাপের মুখে পড়ে এবং জয় এনে দেয়।
এখন সাহসী নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করতে তারা এগিয়ে যাচ্ছে।
এসময় সিলেট ১ আসনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, পেছানো হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকরা নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ আছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই এটা পেছানো হবে না। নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সর্বত্র উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে এবং দেশের মানুষ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে।
মোমেন বলেন, বিএনপি নির্বাচনে না এলে বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী দল ছেড়ে অন্য রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে পারে।
তিনি বলেন, ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে জন্ম নেওয়া একটি রাজনৈতিক দল কীভাবে তার বিশ্বাসযোগ্যতা হারায় সেই ইতিহাস দেখাবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যেহেতু ইসি কোনো বাধা সৃষ্টি করছে না তাই নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপিকে স্বাগত জানাই।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব দলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান ওয়াশিংটনের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতার পরিবর্তনের একমাত্র উপায় আছে। সেটি হচ্ছে নির্বাচন।’
তিনি বলেন, বিএনপি নানা অজুহাত দেখাচ্ছে।
মোমেন বলেন, যারা মানুষের জানমাল নষ্ট করবে তাদের শাস্তি দেওয়া হবে। ‘এগুলো গ্রহণযোগ্য নয়। তাদের উচিত মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া।’
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, অন্য দেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মাথাব্যথা নেই, বাংলাদেশ নিয়ে প্রতিদিন কথা বলে।
তিনি বলেন, তাদের ‘অ্যাম্বাসেডরস পার্টি’ নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করা উচিত এবং যদি তারা গ্যারান্টি দেয় যে যারা অ্যাম্বাসেডর পার্টির পক্ষে ভোট দেবে তারা তাদের দেশে নিয়ে যাবে, তাহলে কিছু মানুষ তাদের ভোট দিতেও পারে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশিরা নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে: ভারত
ঢাকা-দিল্লি বন্ধন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মডেলে পরিণত হয়েছে: জয়শঙ্কর