%E0%A6%86%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80-%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%97
দেশের উন্নয়ন দর্শনের মূল কারিগর বঙ্গবন্ধু: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশের উন্নয়ন দর্শনের মূল কারিগর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ২৯তম অধিবেশনে প্রথম বাংলায় ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু।
তিনি বলেন, সেই ভাষণে- বঙ্গবন্ধু বিশ্বের সব নেতৃত্বের প্রতি সব সম্পদ, কারিগরি জ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সবার জন্য সঠিক ও সমান ব্যবহার এবং প্রয়োগের মাধ্যমে মানবিক বিশ্ব প্রতিষ্ঠা করার উপর আহ্বান জানিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: দেশের প্রতিটি ডায়াবেটিস হাসপাতাল ইন্টারনেটের আওতায় আসবে: পলক
রবিবার (১৯ নভেম্বর) আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি (আইডিয়া) ফ্লোরে এটুআই এর উদ্যোগে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে অংশীজনদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় উপদেশ, পরামর্শ, সুপারিশ, লিখিত ও মৌখিক প্রস্তাব প্রদান শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, বঙ্গবন্ধুর দর্শন অনুসরণ করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে দক্ষ মানবসম্পদ, সবার জন্য সুলভমূল্যে ইন্টারনেট, প্রযুক্তিনির্ভর সরকারি সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া এবং আইসিটি শিল্পের বিকাশ ঘটানো; এই চারটি মূল লক্ষ্যে সামনে রেখে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে আমরা সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ ডিসেম্বর ২০২২ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ এ চারটি স্তম্ভের উপর ভিত্তি করে আনুষ্ঠানিকভাবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দেন। স্মার্ট বাংলাদেশের এ চার পিলার নির্ধারণ করে দিয়েছেন আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ কেমন হবে, তা এ চার স্তম্ভের কথা চিন্তা করলেই বোঝা যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশে একজন স্মার্ট নাগরিক হবে- বুদ্ধিদীপ্ত, দক্ষ, উদ্ভাবনী, সৃজনশীল, প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক চেতনাসম্পন্ন দেশপ্রেমিক এবং সমস্যা সমাধানে উদ্ভাবনী মানসিকতা সম্পন্ন।
তিনি আরও বলেন, স্মার্ট অর্থনীতি হবে ক্যাশলেস, সার্কুলার, উদ্যোক্তামুখী, গবেষণা ও উদ্ভাবন নির্ভর এবং জ্ঞানভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। স্মার্ট সরকার হবে নাগরিককেন্দ্রিক, আরও বেশি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট সরকার-ব্যবস্থায় সব ধরনের সেবা প্রদান ও কার্যসম্পাদন করা হবে- কাগজবিহীন, ডেটানির্ভর, আন্তঃসংযুক্ত, আন্তঃচালিত, সমন্বিত এবং স্বয়ংক্রিয়, অর্থাৎ যখন যেখানে দরকার, সেখানেই থাকবে সরকার এবং স্মার্ট সমাজব্যবস্থা হবে সব ধরনের বৈষম্যবিহীন, অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়ভিত্তিক।
তিনি আরও বলেন, ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ ও সহনশীল, সমাজ হবে উন্নত, নিরাপদ ও টেকসই।
আরও পড়ুন: টোকিওতে জাতীয় সংবিধান দিবস উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সেমিনার
দল না করে মনোনয়ন পাওয়ার সুযোগ নেই: তথ্যমন্ত্রী
দল না করে এবং ত্যাগ-তিতিক্ষা ছাড়া মনোনয়ন পাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, অবশ্যই তার দলীয় ত্যাগ-তিতিক্ষা থাকতে হবে। দীর্ঘ ধারাবাহিকতা ও জনপ্রিয়তা থাকতে হবে। এর বাইরে কারো মনোনয়ন পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতার দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব বলেন।
আরও পড়ুন: অগ্নিসন্ত্রাস থেকে দেশরক্ষায় সাংস্কৃতিক বিপ্লবকে এগিয়ে নিতে পারে চলচ্চিত্র: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ থেকে অনেক নেতা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের দল নির্বাচনী এলাকাগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে জরিপ চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটি নির্বাচনী এলাকায় বহু নেতা এমপি হওয়ার যোগ্যতা রাখেন।
তিনি আরও বলেন, সেজন্য প্রত্যেকটি নির্বাচনী এলাকায় অনেক নেতার নমিনেশন পেপার নেওয়াটা খুবই স্বাভাবিক, এটি অস্বাভাবিক কোনো কিছু নয়, সবসময় এটি হয়ে এসেছে। কিন্তু কোনো হাইব্রিডের মনোনয়ন পাওয়ার সুযোগ নেই।
মন্ত্রী বলেন, দল সবাই করতে পারে। দল অনেক সময় এটিও বিবেচনা করে যে, দীর্ঘ ধারাবাহিকতা না থাকলেও জনপ্রিয়তা আছে। কিন্তু দল না করে মনোনয়ন পাওয়ার কোনো সুযোগ আওয়ামী লীগে নেই।
নিজের নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, আমার ইলেকশন শুধু ইলেকশন আসলে না, আমি সারা বছর ইলেকশন করি, প্রতি সপ্তাহেই নির্বাচনী এলাকায় যাই, চট্টগ্রামে যাই, সারা বছর মানুষের সঙ্গে থাকি।
তিনি বলেন, ইলেকশন উপলক্ষে যে ঝাঁপিয়ে পড়া সেটি আমার ক্ষেত্রে নয়। আমি সারা বছর দলমত নির্বিশেষে মানুষের সঙ্গে থাকি। কারণ আমি ভাবি যে- আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলাম, যখন এমপি হয়ে গেছি তখন সব মানুষের।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এবারও দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়, আশা করি যে, আমি যেভাবে দল-মত নির্বিশেষে মানুষের পাশে থেকেছি, মানুষও দল-মত নির্বিশেষে ভোটের সময় আমার পাশে থাকবে।
নির্বাচনী কাজে তরুণদের অংশগ্রহণ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের স্লোগানই হচ্ছে- তারুণ্যই শক্তি, তারুণ্যই সমৃদ্ধি। তরুণদের উপর নির্ভর করেই দেশ এগিয়ে যাবে। সুতরাং তরুণরা আমাদের নির্বাচনী মেনিফেস্টো বলুন, নির্বাচনী কর্মকাণ্ড বলুন, সব কিছুতেই তরুণদের প্রাধান্য থাকবে।
নির্বাচনে বিএনপি আসবে কি না এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ইলেকশনের ট্রেন চলা শুরু হয়ে গেছে। এখন ট্রেনে যদি কেউ উঠতে না পারে তাহলে তো করার কিছু নেই। গতবার বিএনপি ইলেকশনের ট্রেনের পাদানিতে উঠেছিল, তার আগেরবার ইলেকশনের ট্রেন মিস করেছিল।
মন্ত্রী আরও বলেন, আজকে সারাদেশে মানুষের মধ্যে যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে এতেই প্রমাণিত হয় কেউ নির্বাচন বর্জন করলেও জনগণ ব্যাপকভাবে অংশ নেবে।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি দুস্কৃতিকারী ও দেশের শত্রুতে পরিণত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়নকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশের উন্নয়ন নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে তারা নির্বাচনমুখী দল এবং জনগণের শক্তিতে বিশ্বাসী।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) দলীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার সময় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মোমেন।
শনিবার সিলেট-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে রবিবার জমা দেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, ১৯৭১ সালে দেশ বাইরের চাপের মুখে পড়ে এবং জয় এনে দেয়।
এখন সাহসী নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করতে তারা এগিয়ে যাচ্ছে।
এসময় সিলেট ১ আসনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, পেছানো হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকরা নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ আছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই এটা পেছানো হবে না। নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সর্বত্র উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে এবং দেশের মানুষ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে।
মোমেন বলেন, বিএনপি নির্বাচনে না এলে বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী দল ছেড়ে অন্য রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে পারে।
তিনি বলেন, ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে জন্ম নেওয়া একটি রাজনৈতিক দল কীভাবে তার বিশ্বাসযোগ্যতা হারায় সেই ইতিহাস দেখাবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যেহেতু ইসি কোনো বাধা সৃষ্টি করছে না তাই নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপিকে স্বাগত জানাই।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব দলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান ওয়াশিংটনের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতার পরিবর্তনের একমাত্র উপায় আছে। সেটি হচ্ছে নির্বাচন।’
তিনি বলেন, বিএনপি নানা অজুহাত দেখাচ্ছে।
মোমেন বলেন, যারা মানুষের জানমাল নষ্ট করবে তাদের শাস্তি দেওয়া হবে। ‘এগুলো গ্রহণযোগ্য নয়। তাদের উচিত মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া।’
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, অন্য দেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মাথাব্যথা নেই, বাংলাদেশ নিয়ে প্রতিদিন কথা বলে।
তিনি বলেন, তাদের ‘অ্যাম্বাসেডরস পার্টি’ নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করা উচিত এবং যদি তারা গ্যারান্টি দেয় যে যারা অ্যাম্বাসেডর পার্টির পক্ষে ভোট দেবে তারা তাদের দেশে নিয়ে যাবে, তাহলে কিছু মানুষ তাদের ভোট দিতেও পারে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশিরা নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে: ভারত
ঢাকা-দিল্লি বন্ধন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মডেলে পরিণত হয়েছে: জয়শঙ্কর
দেশ নির্বাচনী মেজাজে আছে, কেউ বাধা দিতে পারবে না: শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, তফসিল ঘোষণার পর দেশের জনগণ যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখিয়েছে তাতে কেউ নির্বাচনে বাধা দিতে পারবে না।
তিনি বলেন, 'আমরা এখন নির্বাচনী মেজাজে আছি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, কেউ নির্বাচনে বাধা দিতে পারবে না।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আইডিডিবি আয়োজিত 'দক্ষিণ এশিয়ায় নির্বাচন ও এ অঞ্চলের প্রভাব: গণতন্ত্র ও সংবিধানের ধারাবাহিকতা' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনলেন সাকিব
শাহরিয়ার আলম বলেন, সহযোগিতা ও বন্ধুত্ব সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের শত্রুরা এখনও সক্রিয় এবং অভ্যন্তরীণ যে কোনো ইস্যু দক্ষিণ এশিয়ায় প্রভাব ফেলবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা একে অপরের কাছাকাছি বাস করি, আমাদের সমস্যা রয়েছে এবং সমস্যাগুলো থাকবে।’ বৃহত্তর মঙ্গলের জন্য সম্মিলিতভাবে আরও অনেক কিছু করার আছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশেষ করে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্কের ক্ষেত্রে অসাধারণ সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
বিএনপির অবস্থানের কথা উল্লেখ করে শাহরিয়ার বলেন, যারা আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে না তারা দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার অংশ হবে না।
তিনি বলেন, অতীতে বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ভুলে দেশ-বিদেশে এমনকি তাদের ‘বিদেশি প্রভুরাও’ তাদের ব্যাপক সমালোচনা করেছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপির কিছু সমর্থক গভীরভাবে হতাশ এবং তারা দলের অগণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে কোনো ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের তরুণদের প্রতি কৃতজ্ঞ: সজীব ওয়াজেদ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনলেন সাকিব
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ৩টি মনোনয়ন ফরম কিনেছেন ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসান।
শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের ২৩ নম্বরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মাগুরা-১, মাগুরা-২ ও ঢাকা-১০ আসনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন সাকিবের স্বজনরা।
বিষয়টি ইউএনবিকে নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।
আরও পড়ুন: আজ আ. লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র বিক্রির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গোপালগঞ্জ-৩ আসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ।
এর আগে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের তরুণদের প্রতি কৃতজ্ঞ: সজীব ওয়াজেদ
বাংলাদেশের তরুণদের প্রতি কৃতজ্ঞ: সজীব ওয়াজেদ
বাংলাদেশের তরুণরা সমস্যা সমাধানে চিন্তা করতে পারে। তাই বাংলাদেশের তরুণদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) চেয়ারম্যান সজীব ওয়াজেদ জয়।
তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশের তরুণদের প্রতি কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশের অনেক সমস্যা আছে, তবে আপনারা শুধু সমস্যা নিয়ে চিন্তা করেন না এগুলোর সমাধানও চিন্তা করছেন। এরপর সমাধান বের করছেন এবং বাস্তবায়ন করছেন।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের সপ্তম আসরের চূড়ান্ত পর্বে পুরস্কার বিতরণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
এবার ৬টি ক্যাটাগরিতে মোট ১২টি সংগঠনকে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
ইয়াং বাংলার পক্ষ থেকে ২০১৫ সাল থেকে এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, গত ১৫ বছরে দেশে যেই উন্নতি হয়েছে তা আগে কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। আগামী ১০-১৫ বছরে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে।
তিনি বলেন, আমি শুরু থেকে বাংলার তরুণদের বলছি, আমরা দেশ হিসেবে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছি। বাংলাদেশের তরুণরাও নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। নিজের উদ্যোগে আপনারা নিজের কর্মসংস্থান বের করতে পারেন। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যত সমস্যা আছে আপনারা এই সমস্যাও সমাধান করতে পারেন। শুধু সরকার পারে তা না, আমরা সবাই সব সমস্যা মোকাবিলা করতে পারি।
আরও পড়ুন: সামরিক শাসক ও মৌলবাদীদের কাছ থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছে আ. লীগ: জয়
এ সময় জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী ও শীর্ষ বাছাই হওয়া সকল সংগঠনকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান তিনি।
সজীব ওয়াজেদ বলেন, ৭০০’র বেশি সংগঠন আবেদন করেছে। সবাইকে আমরা পুরস্কৃত করতে পারিনি। কিন্তু সবার জয়ই বাংলার জয়। আপনাদেরও অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। এত বছর ধরে ইয়াং বাংলার অ্যাওয়ার্ড করছি; পুরস্কার দিচ্ছি, আমি নিজেও অত্যন্ত গর্বিত। সংগঠনের সংখ্যা অনেক বেড়েছে, আমরা শুরু করেছিলাম মাত্র কয়েকশো’ নিয়ে। এখন সাতশোর বেশি আবেদন এসেছে।
তিনি বলেন, আপনারা যেভাবে সব জেলায় কাজ করছেন, যেভাবে ছড়িয়ে যাচ্ছেন এবং পরিশ্রম করছেন, জাতিসংঘ-ইউনেস্কো সবখানে স্বীকৃতি পাচ্ছেন, তা দেখে খুব গর্ব হয়।
তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের জন্য যেভাবে কাজ করছেন, পরিবেশের জন্য যে চিন্তা ও পরিশ্রম করছেন তা অসাধারণ। আমাদের স্বপ্ন ছিল তরুণরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আপনারাই হচ্ছেন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। আমাদের চিন্তা শুধু বাংলাদেশের বর্তমান নয়, ভবিষ্যৎ নিয়েও। গত ১৫ বছর ধরে যে গতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আপনারা তা দেখিয়ে দিচ্ছেন। আমরা যখন শুরু করেছিলাম বাংলাদেশ তখন ছিল দরিদ্র দেশ, এখন মধ্যম আয়ের দেশ হয়ে গেছি।
তরুণরা বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গড়ে তুলবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের যে পাথফাইন্ডার আছে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল; স্বাধীনতার আগে থেকেই আপনারা বাংলাদেশের চেতনা ও স্বাধীনতার চেতনা দেখিয়েছেন। এই তরুণরা আপনাদেরই সন্তান। আপনাদের প্রতি আমার ব্যক্তিগত কৃতজ্ঞতা। আমাদের জুরিরা পরিশ্রম করেছেন। আবেদনের সংখ্যা বাড়ছে, তাদের (জুরি) পরিশ্রমও বাড়ছে। আপনাদের প্রতিও আমার ব্যক্তিগত কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।
দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৫ বছর আগে কেউ কল্পনা করতে পারেনি উন্নয়নের এই গতি হতে পারে। এই গতি যদি ধরে রাখা যায় আগামী ১০-১৫ বছরে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশ হবে। আর আগামী ১০-১৫ বছরে বাংলাদেশ বিএনপি-জামায়াত বলে কোনো দল টিকবে না। যখন বাংলাদেশ থেকে এই জঙ্গি ও মৌলবাদী শক্তির চিহ্ন মুছে যাবে, তখন বাংলাদেশে শান্তি আসবে।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দেহ নেই জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র বলেন, অনেকেই মৌলবাদী ও সন্ত্রাসীদের উস্কাচ্ছে। যেহেতু নির্বাচন সামনে, তাই আমি আপনাদের অনুরোধ করব এদের কথায় কান দেবেন না। বিশেষ করে আমাদের অনেক বিদেশি রাষ্ট্রদূত নির্বাচনের আগে অনেক বেশি কথা বলা শুরু করে। ঠিক তখনই এই সন্ত্রাস, সংঘর্ষ, জ্বালাও-পোড়াও শুরু হয়। তার মানে কি? তাদের এরাই উস্কাচ্ছে।
তবে চিন্তা করবেন না, যেদিন নির্বাচন শেষ হয়ে যাবে, তারাও চুপ হয়ে যাবে। আর বেশি দিন নাই, মাত্র দেড় মাস। সামনে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে চাইলে একটি উপায়। আগামী ৭ জানুয়ারি নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন।
আরও পড়ুন: খোলা মাঠ থাকতেও কেন সড়কে সমাবেশ: বিএনপিকে জয়ের প্রশ্ন
খোলা মাঠ থাকতেও কেন সড়কে সমাবেশ: বিএনপিকে জয়ের প্রশ্ন
আজ আ. লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন ফরম আজ শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিক্রির উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১০টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র বিক্রির উদ্বোধন করবেন তিনি।
৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)।
শনিবার গভর্নিং কমিটির সভা শেষে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি: সিইসি
দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা শনিবার (১৮ নভেম্বর) থেকে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।
মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীদের ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে প্রশাসনিক বিভাগ অনুযায়ী নির্দিষ্ট বুথ থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিতে হবে।
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হবে। এদিকে রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের প্রার্থীরা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তৃতীয় তলা থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে পারবেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় সব বিভাগের মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, মনোনয়ন প্রত্যাশীদের অতিরিক্ত জনসমাগম ছাড়াই নিজেরাই অথবা প্রার্থীদের যোগ্য প্রতিনিধিদের মাধ্যমে আবেদন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিতে হবে।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহের জন্য প্রার্থীকে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: অনলাইনে পাওয়া যাবে আ. লীগের মনোনয়ন ফরম
আ. লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফরুল্লাহ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: অনলাইনে পাওয়া যাবে আ. লীগের মনোনয়ন ফরম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম অনলাইনে পাওয়া যাবে।
এ জন্য ‘স্মার্ট নমিনেশন অ্যাপ’ নামে একটি অ্যাপ চালু করেছে ক্ষমতাসীন দল।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর বা আইওএস অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড ও ইনস্টল করা যাবে।
এ ছাড়া, nomination.albd.org ওয়েবসাইট ব্যবহার করে অনলাইনেও মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়া যাবে। অনলাইনে ফর্ম পূরণ এবং জমা দেওয়ার জন্য, প্রথমে একজন মনোনয়নপ্রার্থীকে অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে এবং নিবন্ধন করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লগ ইন করার পর, নিয়মানুযায়ী ইলেকট্রনিকভাবে ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করে মনোনয়ন ফরম পূরণ ও জমা দেওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: শনিবার থেকে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু করবে আওয়ামী লীগ
আ. লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফরুল্লাহ
আ. লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফরুল্লাহ
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহকে দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রথম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।
শেখ হাসিনা স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে সভায় সভাপতিত্ব করেন।
এর আগে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বৈঠকে বসে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটি।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: অনলাইনে পাওয়া যাবে আ. লীগের মনোনয়ন ফরম
শনিবার থেকে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু করবে আওয়ামী লীগ