%E0%A6%86%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80-%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%97
বিএনপি নেতারাই ভিসানীতিতে ফেঁসে গেছেন: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বিএনপি নেতারা সব সময় মিথ্যা কথা বলেন। তাদের কোনো কথাই বিশ্বাস করা যায় না। বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়ে তাদের লাভ হয়নি। ভিসানীতি নিয়ে কথা বলে বিএনপি নেতারা নিজেরাই ভিসানীতিতে ফেঁসে গেছেন।
তিনি আরও বলেন, হত্যা-সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে হ্যাঁ-না ভোট করে ক্ষমতায় এসেছিল বিএনপি। এখন তারাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার আমলে দেশের মানুষ শান্তিতে আছে: খাদ্যমন্ত্রী
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকালে নওগাঁর সাপাহার উপজেলার খঞ্জনপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শিরন্টী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার অনেক আগেই আইনের মাধ্যমে বাতিল হয়ে গেছে। তাদের (বিএনপির) মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না। জণগণ তাদের মিথ্যা আশ্বাসে ভুল সিদ্ধান্ত নেবে না।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন হয়েছে। দেশের সব মানুষই কোনো না কোনো ভাবে এ সরকারের আমলে উপকার পেয়েছে। জনগণ সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।
তিনি আরও বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী করবে। এসময় তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে উন্নয়নের পথ বেছে নিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিরল উদাহরণ বাংলাদেশ: খাদ্যমন্ত্রী
বাড়াবাড়ি না করতে বিএনপির প্রতি খাদ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ার
বিএনপি মনোনয়ন বাণিজ্য করতে ‘গোপনে’ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি তাদের মনোনয়ন বাণিজ্য করতে ‘গোপনে’ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী দল নয়, সাম্প্রদায়িক ও অপকর্মের দল নয়। আওয়ামী লীগ সত্য ও জনগণের পক্ষে তাদের সুদৃঢ় অবস্থান যেকোনো মুহূর্তে জানান দেয় ও দিতে পারে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেছেন, ‘কে নিষেধাজ্ঞা দিল, কে ভিসানীতি প্রয়োগ করল- এসবে আওয়ামী লীগ ভয় পায় না। আওয়ামী লীগের শক্তি জনগণ। জনগণের সেই শক্তিকে নিয়েই আগামী নির্বাচনে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।’
ড. ইউনূস সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘যে বিবৃতি তিনি ছাপিয়েছেন, তার খরচ দুই মিলিয়ন ডলার। কোথা থেকে এল এত টাকা? নাগরিক কমিটি করে ১/১১ এর মতো নতুন সরকার গঠনের দিন চলে গেছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি ড. ইউনূসকে নিয়ে ওয়ান ইলেভেনের অশুভ খেলায় লিপ্ত হতে চায় : কাদের
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ মনে মনে ঠিক করে নিয়েছে কাকে ভোট দেবে। দেশের ৭০ পার্সেন্ট মানুষ শেখ হাসিনার পক্ষে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী নির্বাচন বলে দেবে কে বাংলাদেশের ক্ষমতার মঞ্চে থাকবে। বুঝেশুনে সিদ্ধান্ত নিন। নির্বাচনে আসেন। মোকাবিলা হবে নির্বাচনে।
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।
পরে দেশব্যাপী যুবলীগের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন: গুম ও হত্যার দায় সরকারের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে বিএনপি: কাদের
শেখ হাসিনা নির্বাচনে হারলে, হেরে যাবে বাংলাদেশ: কাদের
জনপ্রতিনিধিরা চেষ্টা করলে জনগণের ভাগ্য আমূল পরিবর্তন করা সম্ভব: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, পৃথিবীর সব উন্নত দেশের উন্নয়নের ইতিহাস জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমেই পরিবর্তিত হয়েছে।
তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধিরা যদি দক্ষ হয় সেই দক্ষতার ছোঁয়া জনগণের জীবনেও প্রভাব ফেলে। মানুষের কল্যাণে জনপ্রতিনিধিরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকলে জনগণের ভাগ্যের আমূল পরিবর্তন সম্ভব।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটে পাঁচ দিনব্যাপী খুলনা সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের জন্য আয়োজিত ‘সিটি করপোরেশন সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ’ কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বসবাসযোগ্য ঢাকার জন্য নাগরিকদের সচেতনতা জরুরি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে শত নির্যাতন জেল-জুলুম দিয়েও বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের পথ থেকে বিচ্যুত করা যায়নি।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এ সময় বিভিন্ন স্থানীয় সমস্যা সমাধানের জন্য জনগণের উদ্ভাবনী শক্তির উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, আপনারা যারা আজকে এখানে উপস্থিত তারাই আপনাদের এলাকার মানুষ এবং তাদের সমস্যা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবেন।
তিনি বলেন, সেই সমস্যার সমাধান উদ্ভাবনের মাধ্যমে মানুষের অংশগ্রহণে নিশ্চিত করতে হবে। স্থানীয় মানুষ সুযোগ পেলে অনেক কঠিন সমস্যারও বেশ সহজ সমাধান বের করে ফেলতে পারে।
তাজুল ইসলাম এ সময় স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরে রাজস্ব আদায়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, মানুষ যদি তাদের প্রদত্ত করের টাকায় বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা ভোগ করে তাহলে কর প্রদানে উৎসাহিত হয়। এক্ষেত্রে স্থানীয় কাউন্সিলরদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার সুযোগ রয়েছে।
মানুষের অপার শক্তির উপর বিশ্বাস রাখার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ছোট্ট ও জনবহুল বাংলাদেশের প্রধান শক্তি হচ্ছে এর মানবসম্পদ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের শক্তির উপর বিশ্বাস রাখেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সেজন্যই তিনি দারিদ্র্যপীড়িত একটি দেশকে আজকে বিশ্বের ৩৫তম অর্থনীতির দেশে পরিণত করতে পেরেছেন, উন্নয়নশীল বিশ্বের কাতারে সম্মানের সঙ্গে আমাদের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার সুযোগ করে দিতে পেরেছেন।
জনগণের ইচ্ছায় এবং জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা শাসন ব্যবস্থাকেই গণতন্ত্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে সেই জনপ্রতিনিধিদেরও বিভিন্ন বিষয়ে জানার দরকার রয়েছে বলেই আজকের এই প্রশিক্ষণ।
সময়ের সঙ্গে মানুষের এবং চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন সময় নানা আইনের পরিবর্তন হয় এবং সে বিষয়ে জনপ্রতিনিধিদের ধারণা থাকতে হবে- বলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
তামাক ব্যাবহারের নিয়ন্ত্রণ জরুরি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
শান্তি-উন্নয়নের পক্ষে আবারও নৌকায় ভোট দিন: নসরুল হামিদ
শান্তি-উন্নয়নের পক্ষে আবারও নৌকায় ভোট দিতে আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বুধবার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার তেঘরিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কর্মী সমাবেশে এ আহ্বান জানান তিনি।
এসময় মন্ত্রী বলেন, কেরাণীগঞ্জ এক সময় ছিল বাতির নিচে অন্ধকার। ঢাকার খুব কাছে হওয়ার পরও এখানে আগের সরকারগুলো বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াত এবং স্বৈরাচারি সরকারের আমলে তেমন কোনো উন্নয়ন করেনি।
২০০৮ সালের নির্বাচনের পরে শেখ হাসিনা সরকার কেরাণীগঞ্জের অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন। একসময় সন্ত্রাসের রাজত্ব, সন্ত্রাসের জনপদ বলে যে কেরাণীগঞ্জ পরিচিত ছিল সেই কেরাণীগঞ্জে এখন শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে।
সেই শান্তি ও উন্নয়নের পক্ষে সবার কাছ থেকে আবারও ভোট চান মন্ত্রী।
এসময় মন্ত্রী অভিযোগ করেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির আমানউল্লাহ আমানের সময়ে শুধু মাত্র ঢাকা-৩ আসনেই ১ লাখ ৩০ হাজার ভুয়া ভোটার ছিল। সারাদেশে ১ কোটি ২১ লাখ ভুয়া ভোটার করা হয়েছিল বিএনপি-জামায়াতের সময়। যারা ভুয়া ভোটার লিস্ট করে, মানুষকে ভয় দেখিয়ে ভোট সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায় তাদের প্রতিহত করতে নেতা কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
স্বৈরাতান্ত্রিক এবং সামরিক একনায়কেরা যেসব দল গঠন করেছে সেই সব দলের নেতাকর্মীরা এখন গণতন্ত্রের কথা বলে। কিন্তু এ দেশে প্রথম অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল এবং হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে ভোট ডাকাতির সূচনা করেছিল অবৈধ প্রেসিডেন্ট জিয়া। তাদের নেতাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না।
এসময় কেরাণীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের কিছু উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০ একরের বেশি জায়গায় দৃষ্টিনন্দন ক্যাম্পাস হবে এখানে। চার লেনের তিনটি রাস্তা হচ্ছে এখানে। এছাড়া ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসহ আরও অসংখ্য উন্নয়ন হয়েছে এখানে। প্রত্যকটি গ্রামীণ রাস্তাঘাট এখন উন্নত হয়েছে। আগে যে রাস্তাগুলো মানুষ চলাচলের অনুপোযোগী ছিল এখন সেগুলোতে মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচল করছে। এই এলাকায় যে সন্ত্রাসের রাজত্ব, জনপদ বলে পরিচিত ছিল তা গত ১৫ বছরে কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। মানুষ এখন শান্তিতে আছেন। তাই মানুষ শান্তি ও উন্নয়নের পক্ষে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন।
বিএনপি ড. ইউনূসকে নিয়ে ওয়ান ইলেভেনের অশুভ খেলায় লিপ্ত হতে চায় : কাদের
কামাল হোসেনকে নিয়ে গত নির্বাচনের পর বিএনপি এবার ডক্টর ইউনূসকে নিয়ে ১/১১’র অশুভ খেলায় লিপ্ত হতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর পলাশী মোড়ে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শোভাযাত্রার আগে আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘এটা ভালো সময় নয়। এখানে একটি শয়তান আছে। পাপাচারের সংখ্যা বেড়েছে। এখানে অশান্তির আশঙ্কা রয়েছে। শ্রী কৃষ্ণের পরামর্শ মতো শান্তি বজায় রাখতে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন: মেট্রোরেল ও পদ্মা সেতু প্রমাণ করে আ. লীগ কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী: কাদের
তিনি বলেন, ‘গত সাড়ে ১৪ বছরে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, শাসক হিসেবে রাজনীতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চেয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছের মানুষ আর কেউ নেই। আওয়ামী লীগ যখন ছিল তখন হিন্দু ভাই-বোনেরা নিরাপদ ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন আমি ভয় পাচ্ছি। বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের আগে কোনো অপশক্তি যদি এমন কিছু করে, যা হিন্দুদের সঙ্গে বা ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কে ফাটল সৃষ্টি করতে পারে। তাই আমাদের আরও সতর্ক হতে হবে।’
মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মণীন্দ্র কুমার নাথের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক রমেন মন্ডল। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সংসদ সদস্য হাজী সেলিম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: গুম ও হত্যার দায় সরকারের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে বিএনপি: কাদের
আমরা নির্বাচনের মাঠে সবার সঙ্গে খেলে জিততে চাই, আর বিএনপি চায় পালাতে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমরা নির্বাচনের মাঠে সবার সঙ্গে খেলে জিততে চাই। আর বিএনপি শুধু পালিয়ে যেতে চায়। তাদেরকে বলব মাঠ থেকে পালিয়ে না যাওয়ার জন্য।’
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব গতদিন বলেছেন, আওয়ামী লীগ ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায়। প্রকৃতপক্ষে আমরা কখনো ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চাই না। আমরা চাই আগামী নির্বাচনে বিএনপি পূর্ণশক্তি নিয়ে অংশগ্রহণ করুক। কিন্তু বিএনপির কথাবার্তায় মনে হচ্ছে, নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে তারা মাঠ ছেড়েই চলে যেতে চাচ্ছে।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবকে বলব মাঠে আসার জন্য এবং আমাদের সঙ্গে খেলার জন্য। আমরা খেলেই জিততে চাই। আমরা চাই সকল রাজনৈতিক দল আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এবং সেই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মানুষ আগামী দিনের সরকার নির্বাচিত করুক।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে লাল পতাকা দেখিয়েছে জনগণ: তথ্যমন্ত্রী
জনগণের ওপর আমাদের আস্থা আছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের আমূল পরিবর্তন ঘটেছে, প্রতি শহর-গ্রামের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। মানুষের মুখে আগের ডাল-ভাতের পরিবর্তে এখন মাংসের দাম বাড়লে সেটি নিয়ে কথা শোনা যায়।
তিনি বলেন, আগে মানুষ ইট বিছানো রাস্তার দাবি দিতো, এখন কার্পেটিং করা রাস্তার দাবি দেয়। এখন মানুষ ভাত-কাপড়ের কথা বলে না, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের কথা বলে এবং আমাদের সরকার সেটি মোটামুটিভাবে নিশ্চিত করেছে, দেশের শতভাগ এলাকা বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে।
তিনি আরও বলেন, মানুষের জীবনমানের এই উত্তরণ ও পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে জনগণের ওপর আমাদের আস্থা আছে বিধায় আমরা সবার সঙ্গে নির্বাচনের মাঠে খেলে জিততে চাই আর বিএনপি শুধু পালিয়ে যেতে চায়।
সরকার বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য সংলাপের ডাক দেবে কি না-এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন আয়োজক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের মাঠে আমরা একটা পক্ষ। আমরা তো আয়োজক পক্ষ নই। সুতরাং নির্বাচন নিয়ে তাদের যদি কোনো অভাব-অভিযোগ কিছু থাকে তারা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলতে পারে। আর নির্বাচন কমিশন যদি আমাদের ডাকে তাহলে আমরা সেখানে যাবো।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমি মনে করি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব। ২০১৮ সালে নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেছিল, পরে সেটিকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল; এখনও চালিয়ে যাচ্ছে। আশা করবো এ নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন প্রতিহত করার ক্ষমতা বিএনপির নাই। ২০১৪ সালে আমরা তাদেরকে মোকাবিলা করেছি, ২০১৪ সালের পরিস্থিতি বিএনপি আর কখনো সৃষ্টি করতে পারবে না। নির্বাচনে অবশ্যই সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক আমরা সেটিই চাই। কিন্তু গণতন্ত্রে জনগণের অংশগ্রহণটাই হচ্ছে মুখ্য।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৭০ সালে নির্বাচনের সময় মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে শ্লোগান দেওয়া হয়েছিল ‘ভোটের বাক্সে লাথি মারো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো। অথচ ১৯৭০ সালে সেই নির্বাচন না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। তখন অনেক রাজনৈতিক দল সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নাই, কিন্তু জনগণ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছে এবং দেশ স্বাধীন হয়েছে। গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি ও তাদের মিত্ররা অংশগ্রহণ করেনি, তবুও ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। আমরা চাই বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। কিন্তু সেখানে জনগণের অংশগ্রহণটাই হচ্ছে মুখ্য। জনগণের অংশগ্রহণ থাকলে সেই ভোট নিশ্চয়ই গণতন্ত্রের বিচারে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের ট্রেন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না, যথাসময়ে নির্বাচন হবে: তথ্যমন্ত্রী
বুদ্ধিজীবীদের বিবৃতি কি বুদ্ধি খাটিয়ে শ্রমিকদের বঞ্চিত করতে- প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর
নির্বাচনের ট্রেন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না, যথাসময়ে নির্বাচন হবে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচনের ট্রেন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না, যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঢাকার গুলশানে একটি হোটেলে সদ্য প্রকাশিত ‘দৈনিক বাংলা পত্রিকা’র প্রথম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদে করা ‘তফসিল ঘোষণা হলেই যে নির্বাচন হয়ে যাবে, এতো সহজ নয়’-এমন মন্তব্যের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে লাল পতাকা দেখিয়েছে জনগণ: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, আসলে বিএনপি দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ভণ্ডুল করতে চায়। ২০১৪ সালে তারা এটি করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছিল। এবার চেষ্টা করলে জনগণ তা দমন করবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে বেশিরভাগ মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে, সেই মানুষগুলো বসে থাকবে না। আমরা আওয়ামী লীগও বসে থাকবো না।
নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য দাঁড়াবে না জানিয়ে হাসান বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের ট্রেন যেমন কারো জন্য দাঁড়ায়নি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি পা দানিতে বসে নির্বাচনের ট্রেনে চড়েছিল।
তিনি বলেন, আমরা আশা করব এবার নির্বাচনের ট্রেনে তারা ভালোভাবে বসবে। আর তারা না চড়লেও নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপিকে ইঙ্গিত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তাদের কোন নেতা কি বলল তাতে কিছু যায় আসে না। জনগণ নির্বাচনে অংশ নিল কি না সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। জনগণ ব্যাপকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেই এটি একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে।
এর আগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দৈনিক বাংলা পত্রিকা, এর সকল সদস্য ও পাঠকের জন্য শুভকামনা জানান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী।
তিনি কেক কাটায় অংশ নেন এবং পত্রিকার সম্পাদক চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাতের ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার জীবনের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তার হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন।
আরও পড়ুন: বুদ্ধিজীবীদের বিবৃতি কি বুদ্ধি খাটিয়ে শ্রমিকদের বঞ্চিত করতে- প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর
প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান: তথ্যমন্ত্রী
মঙ্গাপীড়িত এলাকার মানুষও এখন তিন বেলা পেট ভরে খায়: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, একসময়ের মঙ্গাপীড়িত এলাকার মানুষও এখন তিন বেলা পেট ভরে খেতে পায়।
তিনি বলেন, বিএনপির আমলে প্রতি বছর আশ্বিন-কার্তিক মাসে উত্তরবঙ্গের মঙ্গাপীড়িত এলাকার অনেক মানুষকে না খেয়ে থাকতে হতো, না খেয়ে অনেক মানুষ মারাও যেতো।
আর আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃষিবান্ধব নীতির কল্যাণে সে সব মঙ্গাপীড়িত এলাকার মানুষও তিন বেলা পেট ভরে খেতে পায়, দেশের একটি মানুষও না খেয়ে থাকে না।
আরও পড়ুন: দেশে ১৫ লাখ বেল তুলা উৎপাদন সম্ভব: কৃষিমন্ত্রী
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর দনিয়ায় পিএনপি শহীদ ফারুক ইকবাল উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের উদ্বোধন ও আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত আন্দোলন ও ষড়যন্ত্র করছে। হরতাল, অবরোধ আর মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার পুনরাবৃত্তি করতে চাচ্ছে। কিন্তু বিএনপি-জামায়াতকে এবার আর তা করতে দেওয়া হবে না।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির সঙ্গে দেশের জনগণ নেই। জনগণ কোনদিন বিএনপিকে ক্ষমতায় আনবে না।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম, বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতি আব্দুল লতিফ পাটোয়ারী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তার হোসেন ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: আন্দোলনের নামে যা খুশি তাই করলে সমুচিত শিক্ষা দেওয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য বিএনপি অস্থির হয়ে পড়েছে: কৃষিমন্ত্রী
সরকার উৎখাতের হুমকি বা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কোনো লাভ হবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার হুমকি দিয়ে এবং নিষেধাজ্ঞা বা বিধিনিষেধ আরোপ করে কিছুই অর্জন করা যাবে না।
তিনি বলেন, আমি আপনাদের পরিষ্কার করে বলি, এই মাটি আমাদের। আমরা জাতির পিতার নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন করেছি। তাই আমাদেরকে হুমকি দিয়ে অর্জন করার কিছু নেই। তাছাড়া বাংলাদেশের মানুষ জানে কিভাবে তাদের অধিকার আদায় করতে হয়।
আরও পড়ুন: শনিবার ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন শেষে আগারগাঁওয়ে এক নাগরিক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এমন অনেক মানুষ আছেন যারা বিরোধী দলের সরকারবিরোধী আন্দোলন বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ দেখে ঘাবড়ে গেছেন।
কারও নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, অনেকে আছেন যারা নাকি দেশে গণতন্ত্র দেখছেন না, তাই তারা গণতন্ত্র রক্ষা করতে চাচ্ছেন।
শেখ হাসিনা বিএনপির নাম উল্লেখ না করে বলেন, দেশের সংবিধান লঙ্ঘন করে এই দলের জন্ম হয়েছে এবং জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকে হাইকোর্ট বেআইনি ঘোষণা করেছে।
তিনি বলেন, এ ধরনের লোকেদের দ্বারা গঠিত দলের কাছ থেকে কী গণতন্ত্র পাবেন?
আরও পড়ুন: আরেকটি স্বপ্ন পূরণ হলো: দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিরোধী দল বিএনপি প্রতিদিন আন্দোলনের নামে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করছে। ভীতি ছড়িয়ে কোনো লাভ হবে না। বাংলাদেশের জনগণ কোনো বাধা ছাড়াই উন্নয়নের প্রবাহের দিকে অগ্রসর হবে এবং এ ধরনের ভয়কে জয় করবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা সবসময় প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে এগিয়েছে।
তিনি বলেন, নৌকা প্রতীক দিয়েছে স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং নৌকা প্রতীক উপহার দেবে স্মার্ট বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল এবং ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছিল। দেশ আজ আর সেই অন্ধকারের যুগে নেই। বাংলাদেশ আলোর পথে যাত্রা শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই তার একমাত্র কাজ।
তিনি বলেন, আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, একে একে সবগুলো পূরণ করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সাল থেকে সরকার গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছে।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমে আমরা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছি এবং দেশে একটি স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করেছি। এটাই বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের কারণ।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সেতু বিভাগের সচিব মো. মঞ্জুর হোসেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অগ্রগতির জন্য প্রহরীর মতো জেগে থাকুন: ছাত্রলীগের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানাও।
অনুষ্ঠানে এক্সপ্রেসওয়েতে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
ছাত্রলীগের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাবি ক্যাম্পাসের জনজীবন বিপর্যস্ত
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। সারা ক্যাম্পাস যেন 'বাসস্ট্যান্ডে' পরিণত হয়েছে।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সারাদেশ থেকে সমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতা-কর্মীরা বাস ও মাইক্রোবাস ভাড়া করে নিয়ে এসেছে। তারা তাদের গাড়িগুলো ঢাবি ক্যাম্পাসে পার্কিং করে রেখেছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন এলাকায় ছাত্রলীগের সমাবেশ শুরু হওয়ায় সকাল থেকেই নেতা-কর্মীদের বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আসতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অগ্রগতির জন্য প্রহরীর মতো জেগে থাকুন: ছাত্রলীগের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
ঢাবি কর্তৃপক্ষের কোনো প্রকার অনুমতি না নিয়ে কবি জসিমুদ্দিন হলের খেলার মাঠ, মহসীন হলের খেলার মাঠ এবং সড়কের সর্বত্র যানবাহন পার্কিং করা হয়। এছাড়া, ক্যাম্পাসজুড়ে অবাধে জনসমাগমের কারণে অবস্থা আরও খারাপ হয়ে পড়ে।
অন্যদিকে, বাইরে থেকে আসা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হলের ক্যান্টিনে ভিড় জমায়।
এমনকি ঢাবি ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা শিক্ষার্থীদের 'গণরুম' থেকে বের করে দিয়ে বহিরাগতদের হলে থাকতে দেন।
বহিরাগতদের এই বাড়তি চাপের কারণে প্রায় প্রতিটি পুরুষ হলেই রান্না করা খাবারের ঘাটতি দেখা দেয় এবং একটু দেরিতে খাবার খেতে যাওয়া ছাত্ররা ক্যান্টিন থেকে দুপুরের খাবার খেতে পারেনি।
অন্যদিকে, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের ক্যান্টিনগুলোতে বহিরাগত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের খাবার রান্নার প্রি-অর্ডার নেওয়া হলেও শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো খাবার রান্না করা হয়নি।
কিছু নেতা-কর্মী খাবার ও থালা-বাসন নিয়ে সমাবেশে এসে ক্যাম্পাসে রান্না করে ক্যাম্পাসের পরিবেশ অস্বস্তিকর করে তোলে।
আরও পড়ুন: খালেদার চিকিৎসার বিষয়ে আইনের বাইরে আওয়ামী লীগের কিছু করার নেই: কাদের