%E0%A6%86%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80-%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%97
বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে দলের মধ্যে বড় বিস্ফোরণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপি যদি নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে দলের (বিএনপি) মধ্যে বড় বিস্ফোরণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে কোনো সংকট নেই। বিএনপি সংকট তৈরির চেষ্টা করছে, কিন্তু পারেনি। বরং তাদের দলের মধ্যে সংকট ঘনীভূত হচ্ছে। সেটার প্রভাব দেশের মানুষের মধ্যে নয়, বিএনপির মধ্যেই পড়বে। বিএনপির ভিতর থেকে তাদের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটবে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক অপরাধ থেকে সমাজ রক্ষায় কাজ করুন: তথ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে গ্রন্থমোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যেদিন সমাবেশ ডাকবে, সেদিন এতবড় শহরে অন্য কেউ সমাবেশ ডাকতে পারবে না এমন তো নিয়ম নেই। বিএনপি যখন সমাবেশ ডাকে জনগণ তখন আতংকে থাকে৷
তিনি বলেন, সরকারি দল হিসেবে আওয়ামী লীগ কিংবা এর সহযোগী সংগঠনগুলোর দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের পাশে থাকা। কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে খেয়াল রাখা। এটা তাদের দায়িত্ব। সে কারণেই ২৭ জুলাই ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ যৌথভাবে সমাবেশের ডাক দিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা কখনোই সংঘাত তৈরি করতে চাই না। কারণ আমরা সরকারে আছি। দেশে যদি কোনো সংঘাত সৃষ্টি হয় তবে সরকারেরই বদনাম হয়। তাই আমরা সংঘাত চাই না। বিএনপিই সংঘাত তৈরি করার অযুহাত খুঁজছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, এর আগে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরত্বে আমরা এবং তারা বড় সমাবেশ করেছি। সেখানে কোনো সংঘাত হয়নি। সেখানে আমাদের দল সর্বোচ্চ সংযমের পরিচয় দিয়েছে। আমরা এখনো চাই বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ পালন করুন।
তিনি বলেন, বিএনপি অতীতে সময়ে সময়ে মানুষের সহায় সম্পত্তির ওপর হামলা করেছে, পুলিশ, পথচারী, গাড়ি ভাঙচুর করেছে। আগুন দিয়েছে এবং সম্পদের ক্ষতি করেছে। আমরা সরকারি দল হিসেবে দায়িত্ববোধ থেকে ২৭ তারিখ সমাবেশ ডেকেছি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে কোনো সংকট নেই। কিন্তু বিএনপির মধ্যে সংকট রয়েছে। তাদের নেতাকর্মীরা নির্বাচন করতে চাই, কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতাদের থেকে তারা সিদ্ধান্ত পায় না৷ এটা একটি বড় সংকট।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদূতদের বিবৃতি ভিয়েনা কনভেনশনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিএনপি এমন একটি রাজনৈতিক দল যারা নেতাকর্মীদের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনও করতে দেয় না। এমনকি সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর পদেও নির্বাচন করতেও বারণ করছে। এটি একটি দলের অভ্যন্তরীণ সংকটেরই বহিঃপ্রকাশ। অথচ তারা গণমানুষের দল হিসেবে নিজেদের দাবি করে।
তিনি আরও বলেন, কখন যে সেই দলের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটে সেটাই এখন সময়ের অপেক্ষা।
মন্ত্রী বলেন, এভাবে যদি তাদের নেতাকর্মীদের নির্বাচন থেকে বিরত রাখা হয় তাহলে দ্রুতই দলের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটবে। এরই মধ্যে ছোটখাটো একটা বিস্ফোরণ অবশ্য ঘটেছে। নির্বাচনে তাদের দলীয় নেতা কর্মীদের অংশগ্রহণ করতে বারণ করেছিল।
কিন্তু নির্বাচনে তাদের কয়েকজন নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেছেন। কেউ কেউ নির্বাচনে জয়ীও হয়েছেন। তাদের আক্ষেপ আমরা পত্র-পত্রিকায় ও টিভির পর্দায় দেখেছি ও শুনেছি। আগামী সংসদ নির্বাচনে তারা যদি বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে দলের মধ্যে বড় বিস্ফোরণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সেটার প্রভাব দেশের মানুষের মধ্যে নয়, বিএনপির মধ্যেই পড়বে। বিএনপির ভেতর থেকে তাদের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটবে।
শোকের মাসে জামায়াতের কর্মসূচির অনুমতির প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, জামায়াত ডাকতে চেয়েছে এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সিদ্ধান্ত দিবে৷ শোকের মাসের ভাবগাম্ভীর্যের বিষয়টি মাথায় রেখেই আইনশৃংখলা বাহিনী সিদ্ধান্ত দিবে। জামায়াত চেয়েছে তারা চাইতেই পারে কিন্তু সব কিছু বিবেচনা করে করতে হবে।
জামায়াত এক আগস্ট বিক্ষোভ করবে সে বিষয়টি কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে তারা বিক্ষোভ করতেই পারে। যদি সে বিক্ষোভ সহিংস না হয় তাহলে দোষের কিছু নেই। এ বিক্ষোভ যদি অতীতের মতো বিএনপির সঙ্গে যোগ দিয়ে সহিংসতা ছড়ানোর জন্য অপচেষ্টা হয়, তাহলে সেটা বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আর আমাদের দলও বসে থাকবে না।
বিএনপি বলেছে, বর্তমানে দেশে যে সংকট চলছে এ সংকট সমাধানের কোন পথ সরকার খোঁজে পাবে, এ বিষয়ে মতামত জনতে চাইলে তিনি বলেন, দেশে কোনো সংকট নেই৷
তিনি বলেন, বিএনপি একটি সংকট তৈরি করতে চেষ্টা করছে, কিন্তু তারা সেটি পারেনি। ২০১৪ সালেও তারা চেষ্টা করেছিল। তখনো তারা সফল হয়নি। তারা ভেবেছিল সরকার তিন মাসের মধ্যে পড়ে যাবে কিন্তু সরকার পাঁচ বছর মেয়াদ পূরণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালে তারা চেষ্টা করেছিল। ভেবেছিল সরকার মনে হয় টিকবে না। নানা দেন-দরবার করেছিল বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকদের কাছে। দেশ বিদেশে লবিং করেও তারা কিছুই করতে করতে পারেনি। দেশের মধ্যে তারা কোনো সংকট তৈরি করতে পারেনি। বরং বিএনপির মধ্যেই সংকট ঘনীভূত হয়েছে৷
আরও পড়ুন: সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন, ইইউ-মার্কিন সফর ইতিবাচক: তথ্যমন্ত্রী
বিদেশিরা বিএনপিকে সায় দেয়নি: সালমান এফ রহমান
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বলেছেন, বিএনপি নেতারা ভেবেছিলেন বিদেশিরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে হটিয়ে তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। তাই তারা কিছুদিন বিদেশিদের পেছনে ঘুরেছে।
তিনি বলেন, এছাড়া তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে বিএনপি বিদেশিদের কাছ থেকে কোনো সায় পায়নি।
সোমবার (২৪ জুলাই) রাতে ইতালিতে বসবাসরত দোহার-নবাবগঞ্জ প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে। এজন্য প্রতিটি আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করার আহ্বান জানান সালমান এফ রহমান।
নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কাজগুলোকে জনগণের কাছে তুলে ধরার কথাও বলেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশে একটা পক্ষ আছে যারা বাংলাদেশকে বিশ্বাস করতে চায় না। তারা চায় বাংলাদেশ আবারও পাকিস্তানের মতো হয়ে যাক।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে কোনো সংলাপ নয়: সালমান এফ রহমান
সালমান এফ রহমান বলেন, বিএনপি বিভিন্ন উছিলায় ভোটে আসতে চায় না, তাদের দাবি মেনে না নিলে তারা নাকি দেশে ভোট হতে দেবে না। আমি তাদের উদ্দেশে বলছি, এটা সম্ভব নয়। শেখ হাসিনার অধীনে সংবিধান অনুযায়ী সময়মতো নির্বাচন হবে৷
২০০৯ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলা হয়েছিলো সেটা নিয়ে অনেকেই হাসাহাসি করেছিলো উল্লেখ করে সালমান এফ রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে ইতালির বেশ কয়েকজন মন্ত্রী এবং ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন এর মহাপরিচালক বাংলাদেশকে রোলমডেল উল্লেখ করে জানতে চেয়েছেন শেখ হাসিনা কিভাবে বাংলাদেশকে উন্নয়নের এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন।
তিনি আরও বলেন, ইতালিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা ন্যায় ও নিষ্ঠার সঙ্গে কঠোর পরিশ্রম করে কাজ করছে। ইতালি সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এমন মন্তব্য করলে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে ইতালিয়ান ভাষা শিক্ষা ইন্সটিটিউট গড়ে তোলার আহ্বান জানান।যাতে করে বাংলাদেশীরা দেশ থেকে ইতালি ভাষা শিখে দেশটিতে আসতে পারেন, এমন তথ্য জানিয়েছেন উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান আরও বলেন, বর্তমান সরকার নতুন নতুন বিমান কিনছে আশা করা হচ্ছে রোম-ঢাকা সরাসরি ফ্লাইট চালু হবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্তরা শনিবার থেকে অস্থায়ীভাবে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন: সালমান এফ রহমান
আগামী মাসের মধ্যে ব্যাংকগুলোতে ডলার সংকট দূর হয়ে যাবে: সালমান এফ রহমান
পাকিস্তানের বন্ধুদের হাতে এই দেশ ছেড়ে দিব না: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি সহিংসতার মাধ্যমে নির্বাচন বানচালের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আর ছাড় নয়, পাকিস্তানের বন্ধুদের হাতে এই দেশ ছেড়ে দিব না। তাদের হাতে দেশ, গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ,উন্নয়ন কিছুই নিরাপদ নয়।’
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি দেশের জন্য শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের লড়াই করে যাওয়ারও আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বিএনপির ২৭ তারিখের সমাবেশ ঘিরে সংঘাতের আশঙ্কা নেই: কাদের
বিএনপির স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে: কাদের
আ. লীগের অভ্যন্তরীণ মতবিনিময় সভা আজ
আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর এবং ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে।
গত বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় যে সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এতে সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাসময়ে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়।
আরও পড়ুন: যুবলীগের ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশ ২৭ জুলাই
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে: ওবায়দুল কাদের
বিভাগীয় সমাবেশে বিশৃঙ্খলা: রংপুরে ছাত্রলীগের ৯ কর্মীকে স্থায়ী বহিষ্কার
রংপুরে ছাত্রলীগের বিভাগীয় সমাবেশে বিশৃঙ্খলা ও মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থগিত করা রংপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। সেই সঙ্গে ওই ঘটনায় জড়িত ৯ জনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুলাই) সকালে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাব্বির আহমেদ।
এর আগে রবিবার (২৩ জুলাই) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ৯ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার করে এবং জেলা ছাত্রলীগের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্প্রতি সংগঠনবিরোধী, শৃঙ্খলা-পরিপন্থী অপরাধমূলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় এমন কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ৯ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ৩০
বহিষ্কৃতরা হলেন- রংপুর টেক্সটাইল কলেজের সিয়াম আলম, লালমনিরহাট কাকিনা উত্তর বাংলা কলেজের জিহাদ রহমান জিসান, রংপুর সরকারি কলেজের মোনাজাত, আল আমিন হোসাইন, রাজন হোসাইন, কারমাইকেল কলেজের শাহাদত হোসনে রিমন, ইমন ইসলাম ও মাসুদ রানা সাফিন ও আল আমিন হোসেন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভবিষ্যতে যে কোনো শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে না জড়ানোর জন্য সতর্ক করে রংপুর জেলা ছাত্রলীগের উপর আরোপিত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাব্বির আহমেদ জানান, একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ রংপুর জেলার কমিটি স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে ও তাদের কর্মকাণ্ড অনুযায়ী প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। সেই সঙ্গে আমাদের উপর আরোপিত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই রংপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। একই দিনে মহানগর ছাত্রলীগ ও রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার কারণে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা পরিবেশ নষ্টের সামিল: হাছান মাহমুদ
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচন যে কেউ বর্জন করতে পারে, তবে নির্বাচন প্রতিহত করার অধিকার কারো নেই। কেউ যদি নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দেয় তবে সেটি নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার সামিল হবে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে অত্যন্ত সুন্দর নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচনের পরিবেশ কেউ এখন নষ্ট করছে কি না; সেটি দেখার বিষয়।
আরও পড়ুন: তথ্য সংগ্রহ আর চুরি এক জিনিস নয়: হাছান মাহমুদ
সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সচিবালয় বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) নবনির্বাচিত কমিটির সৌজন্য সাক্ষাৎ ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করে বিরোধীদল দমনের চেষ্টা করছে এবং জনগণের অধিকার হরণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, মির্জা ফখরুলকে অনুরোধ জানাব, পেছনে ফিরে তাকানোর জন্য।
তিনি বলেন, তারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন ৫০ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতেন। এখন বাংলাদেশে ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। গ্রামের গৃহবধূ, স্কুলের শিক্ষার্থী, রিকশাওয়ালা, খেতে কাজ করা ব্যক্তিও এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।
তিনি বলেন, এই ইন্টারনেটকে সর্বজনীন করেছে বর্তমান সরকার।
মন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে আমাদের স্লোগানই ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ। কারণ, ডিজিটাল বাংলাদেশের অন্যতম লক্ষ্য ছিল, সবার কাছে ইন্টারনেট সহজলভ্য করা। গ্রামে গ্রামে ব্রডব্যান্ড সংযোগ দেওয়া।
এ ছাড়া গ্রামে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করে এমন অনেক যুবক আছেন।
তিনি বলেন, আমরা কোনোভাবে ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করি না বরং সহজলভ্যতার সুযোগ গ্রহণ করে বিএনপি তাদের পেইড এজেন্ডা দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী থেকে শুরু হরে সরকারদলীয় নেতাদের চরিত্র হনন করছে।
তিনি আরও বলেন, এরইমধ্যে তাদের অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়েছে। যারা বিভিন্ন দেশে বসে সরকারের বিরুদ্ধে, সরকারি দলের নেতাদের চরিত্র হনন করে, তাদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করে তারেক রহমান।
সেই বৈঠকের ছবিও আমাদের কাছে আছে। এটা কেবল ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার কারণে করতে পারছে; যা কখনো সমীচীন না। এগুলো ডিজিটাল অপরাধ। ডিজিটাল অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সারা পৃথিবীতে আইন আছে।
তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্প্রতি একটি আইন পাস করেছে। সেখানে অনেক দেশ সায় দিয়ে আইন পাস করেছে। আমরা এখনো করিনি। তাদের অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায় খুবই আন্তরিক: সংসদে হাছান মাহমুদ
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল ডিজিটাল অপরাধীদের পক্ষে সাফাই গাওয়ার জন্য কাল সংবাদ সম্মেলন করছেন। কিন্তু তার উচিত সরকারকে ধন্যবাদ জানানো।
কারণ, তিনি ভিডিও কনফারেন্সে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। দলের চেয়ারম্যানের সঙ্গে মিটিং করেন, সেটা শেখ হাসিনার জন্য হয়েছে। এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানানো দরকার।
বিএনপি থেকে বলা হচ্ছে, তারা বর্তমান সরকারের অধিনে নির্বাচনে যাবে না, আর সরকার বাহিনী দিয়ে বিএনপির নেতাদের নামে হামলা-মামলা করছে, এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা চাই, বিএনপি পূর্ণশক্তি নিয়ে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের মতো নয় বরং পূর্ণশক্তি নিয়ে অংশ নিক।
একদিকে তারা বলছেন, নির্বাচনে যাবেন না, আবার বলছেন আমাদের নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে চাচ্ছে। আমরা কাউকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে চাচ্ছি না। আমরা চাই, বিএনপি নির্বাচনে আসুক এবং সংবিধান মেনে যে নির্বাচন হবে সেখানে অংশ নিক।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের মধ্যেই স্পষ্ট, তারা নির্বাচনে অংশ নিতে চান। কিন্ত কোনো অদৃশ্য শক্তির কারণে নির্বাচনে আসতে পারছেন না। কোনো অদৃশ্য শক্তির কারণে নির্বাচনে আসার সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না তাদের নেতৃত্ব। এটি মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে স্পষ্ট। আমি তাদের অনুরোধ জানাই, অদৃশ্য থাবা থেকে মুক্ত হয়ে বিএনপি দলটাকে জনগণের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও একটি পর্যবেক্ষক দল আগামী ২৮ জুলাই ঢাকায় আসবে। তারা নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে একটি প্রতিবেদনও দেবে, এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকারবিষয়ক প্রতিনিধি দল আসতেই পারে, এলে তো ভালো। বাংলাদেশের নির্বাচন কেমন হবে; সেটা দেখার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমরাও চাই তারা আসুক, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করুক।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন কত সুষ্ঠু হয়েছে। একটা ঘুষিকে সামনে এনে গণমাধ্যমে নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। পশ্চিম বাংলায় যেখানে ৩৯ জন মারা গেছেন, সেখানে এখানে একটা ঘুষি মারা হয়েছে। তাহলে পরিবেশ কোথায় ভালো?
হাছান মাহমুদ বলেন, ঢাকা ১৭ এর নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। কেন্দ্রের বাইরে একজন প্রার্থীকে হেনস্তা করা হয়েছে। এটা কোনোভাবেই সমীচীন নয়। আমরা সেটার নিন্দাও জানিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, সেখানে ৮ জনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জামায়াতকে দিয়ে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রতিহত করার বিষয়ে বলিয়েছে বিএনপি: হাছান মাহমুদ
বিএনপির ২৭ তারিখের সমাবেশ ঘিরে সংঘাতের আশঙ্কা নেই: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির ২৭ তারিখের সমাবেশ ঘিরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোনো সংঘাতের আশঙ্কা নেই। কোনো উসকানি আওয়ামী লীগ দেবে না। কিন্তু কেউ যদি করে তখন জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেবে আওয়ামী লীগ সরকার।
সোমবার (২৪ জুলাই) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপকমিটির পরিচিতি সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য উদগ্রিব হয়ে আছে। জনগণই আমাদের শক্তি। কাউকে ভয় পাই না।
আরও পড়ুন: বিএনপির স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে: কাদের
ছাত্র রাজনীতি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ছাত্র রাজনীতির সৌন্দর্য ও গ্লামার হারিয়ে গেছে। এর সুদিন ফিরিয়ে আনতে হবে।
এ সময় শিক্ষায় গবেষণার উপর জোর দেন তিনি।
কাদের বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সজীব ওয়াজেদ জয় নিরবে নিভৃতে বিপ্লব করেছেন। তিনি আসেন নিরবে, চলে যান নিঃশব্দে। আত্মপ্রচারে তিনি নিমগ্ন নন।
এ সময় উপকমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে পরিচিতি সভা সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা।
আরও পড়ুন: আবারও দরকার শেখ হাসিনার সরকার: ওবায়দুল কাদের
যুবলীগের ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশ ২৭ জুলাই
ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের নির্দেশে ঢাকা বিভাগীয় ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশ ২৪ জুলাইয়ের পরিবর্তে ২৭ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে।
সেদিন দুপুর ২টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ-পশ্চিম গেটে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত ঢাকা মহানগর উত্তর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, গাজীপুর মহানগর, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ও টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, ঢাকা জেলা এবং ময়মনসিংহ জেলার সমন্বয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে যুবলীগের ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশ সোমবার
উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সঞ্চালনা করবেন সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
আরও পড়ুন: নড়াইলে যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
বরিশালে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫
বিএনপির স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে: কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি শেখ হাসিনাকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে, সে স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে।
রবিবার দুপুরে ওবায়দুল কাদের নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা অডিটোরিয়ামে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) শুধু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করে আসছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসলে বিএনপি ১০টি আসনও পাবে না। বিএনপি আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন বিদেশিদের কাছে নালিশ করে আসছে, তাতে কোনো লাভ হবে না।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক অপরাধ থেকে সমাজ রক্ষায় কাজ করুন: তথ্যমন্ত্রী
তিনি প্রশ্ন করেন, ‘নোয়াখালীর একটি জনসভায় মির্জা ফখরুল এসে বক্তৃতা করেছেন। সেখানে তিনি শেখ হাসিনা ও আমাকে কটাক্ষ করে গালি-গালাজ করে গেছেন। সেসব খারাপ কথা তার মুখ দিয়ে বের হয় কীভাবে?’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গত ৪৮ বছরে শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, এ সরকারের নানামুখী উন্নয়ন বিএনপির নেতাদের চোখে পড়ে না, কারণ তারা অন্ধ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) কর্তৃক আরও ২০টি সেতু নির্মাণের মতো প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নয়নের প্রতি সরকারের অঙ্গীকার স্পষ্ট।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা হলো শুভংকরের ফাঁকি: তাজুল ইসলাম
নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপির শর্ত অসাংবিধানিক: কাদের
রাজনৈতিক অপরাধ থেকে সমাজ রক্ষায় কাজ করুন: তথ্যমন্ত্রী
রাজনৈতিক অপরাধ ও বিত্ত-বৈভব প্রদর্শনীর কলুষতা থেকে সমাজ রক্ষায় কাজ করতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রবিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্র্যাব) ৪০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে এখন তাড়াতাড়ি বড়লোক হওয়ার প্রবণতা। যতদিন যাচ্ছে তত এই প্রতিযোগিতা বাড়ছে। এর পেছনে ‘ডেমোনেস্ট্রেশন অব ওয়েলথ’ বা বিত্ত-বৈভব প্রদর্শনীর মতো মনস্তাত্ত্বিক বিষয়। যেমন- আমার এত সুন্দর বাড়ি, এত সুন্দর গাড়ি সেটিকে ‘ডেমোনেস্ট্রেট’ করা, এটি সমাজকে কলুষিত করছে; অসুস্থ প্রতিযোগিতা তৈরি করছে।এবং সেই প্রতিযোগিতায় নানাভাবে অর্থ উপার্জন করতে গিয়ে মানুষ অর্থনৈতিক ও সামাজিক অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে।
তারা অন্যায্যভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়াচ্ছে, মুনাফা লুটছে যা পুরো সমাজ ও রাষ্ট্রকে কলুষিত করছে।
এসব কাজ রাষ্ট্রের স্বাভাবিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি যেন না হয় সেজন্য এর বিরুদ্ধে আপনারা সাংবাদিকরা লিখবেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদূতদের বিবৃতি ভিয়েনা কনভেনশনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: তথ্যমন্ত্রী
সামাজিক অপরাধের পাশাপাশি কিছু ক্ষেত্রে রাজনৈতিক অপরাধও বৃদ্ধি পেয়েছে মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে রাজনীতির নামে মানুষ পোড়ানো, মানুষের সহায়-সম্পত্তিতে আগুন দেওয়া পৃথিবীর কোথাও ঘটেছে কি না আমি জানি না। কোনো জায়গায় কমিটি নিয়ে বিরোধ হলে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া কি সমীচীন! কমিটি পছন্দ হলো না বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে তালা লাগিয়ে দিল, এটি কি সমীচীন! এগুলো কোনোভাবেই সমীচীন নয়।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন নরসিংদীতে বিএনপির একজন শীর্ষ নেতা মামলায় হাজিরা দিতে গেছেন, তার দলের নেতারাই তার উপর হামলা করছে, তার গাড়ি ভাঙচুর করেছে। রাজনীতির নামে এভাবে মানুষ পোড়ানো, সম্পত্তিতে আগুন দেওয়া কিংবা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য অপরের উপর আক্রমণ পরিচালনা করা, এগুলো রাজনৈতিক অপরাধ।’
তিনি বলেন, এইসব অপরাধের বিরুদ্ধেও লেখা প্রয়োজন এবং তাহলে ক্রাইম রিপোর্টারদের ভূমিকা আরও শাণিত হবে এবং দেশ, সমাজ ও রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
মন্ত্রী বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ হলেও যেটি সঠিক সেটি বলতে হবে। তাহলে সমাজ সঠিক পথে হাঁটবে। ক্রাইম রিপোর্টারদের অনেকেই নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, এরপরও তারা পিছপা হননি। যারা অতীতে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন এখনও করছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমি যখন এ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলাম না, তখনও আপনাদের পাশে ছিলাম, যখন মন্ত্রী থাকব না তখনও আপনাদের পাশে থাকব। আমি কখনো কোনো সাংবাদিক বা কোনো সাংবাদিক সংগঠনকে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখি না।
অপরাধবিষয়ক সাংবাদিকতার প্রশংসা করে মন্ত্রী হাছান বলেন, আপনাদের নানা অনুসন্ধানী রিপোর্টের কারণে, অনেক অপরাধ যেমন মাদক বিস্তার, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে রাষ্ট্রের সুবিধা হয়। আপনারা রিপোর্ট করলে সেটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা সরকারের পক্ষে সুবিধা হয়।
তিনি বলেন, ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন ৪০ বছর ধরে ঐক্যবদ্ধ আছে এটিই বড় আশার বিষয়। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি যেমন বিভক্ত হয়নি, আমি আশা করব আপনারাও ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। রাজনীতি মতাদর্শ থাকবে, পছন্দ-অপছন্দ থাকবে কিন্তু রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হওয়া মোটেই সমীচীন নয়।
ক্র্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমালের সভাপতিত্বে সহসভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ, সাবেক সভাপতি খায়রুজ্জামান কামাল, মিজান মালিক ও আবুল হোসেন, ডিআরইউয়ের সভাপতি মুরসালিন নোমানী, সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এবং ক্র্যাবের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মন্ত্রীর সঙ্গে কেক কাটায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি ধ্বংসাত্মক রাজনীতি থেকে সরে আসেনি: তথ্যমন্ত্রী
নির্বাচনী সংলাপ নিয়ে কোনো বিদেশি চাপ নেই: তথ্যমন্ত্রী