%E0%A6%86%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80-%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%97
দুঃখ প্রকাশ করে আচরণবিধি লঙ্ঘনের জবাব দিলেন বিমান প্রতিমন্ত্রী
হবিগঞ্জ -৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন অভিযোগের জবাব দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার(৪ জানুয়ারি) নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রধান সিনিয়র সহকারী জজ সবুজ পালের কাছে লিখিত জবাব দেন তিনি।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে মাশরাফির সমর্থকদের জরিমানা
এতে তিনি বলেন, গত ২ জানুয়ারি বিকালে চুনারুঘাট উপজেলা সদরে মধ্যবাজারে শেখ হাসিনার নৌকা মার্কার প্রার্থী হিসেবে তার জনসভা ছিল। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারীদের এবং নৌকা পাগল জনগণের বিপুল উপস্থিতির কারণে যানবাহন ও জনগণের চলাচলে কোনো প্রকার অসুবিধা হয়ে থাকলে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।
লিখিত জবাবে ভবিষ্যতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন না করার নিশ্চয়তা দেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী তার প্রতিনিধির মাধ্যমে এ জবাব পাঠান। সিনিয়র সহকারী জজ সবুজ পালের বেঞ্চ সহকারী খন্দকার শরীফ মো. রুবেল প্রতিমন্ত্রীর জবাবের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানা, ম্যাজিস্ট্রেটের উপর হামলা
অন্যরা ক্ষমতায় আসে খেতে, আওয়ামী লীগ আসে দিতে: আইনমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দুই হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করেছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিদান দিতে জানি। অন্য সরকার আসে খেতে আর আওয়ামী লীগ সরকার আসে দিতে।’
বৃহস্পতিবার(৪ জানুয়ারি) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার দক্ষিণ ইউনিয়নের হিরাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন মাঠে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি উছিলা খুঁজে নির্বাচন কীভাবে না করা যায়। তারা প্রথমে ২০১৪ সালে অবরোধ দিয়েছে। বিনা দোষে নিরীহ সাধারণ মানুষকে বাসে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। ২০১৮ সালে মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। ২০২৩ সালে আবারও এই অবরোধ দিয়েছে। এই নির্বাচন না করার জন্যই ট্রেনের বগিতে আগুন দিয়ে নিষ্পাপ মায়ের কোলে শিশুকে হত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের আমলে হত্যা করলেও কোনো বিচার হতো না: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, এমন রাজনৈতিক দলের কাছে বাংলাদেশের জনগণ নিরাপদ নয়। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎও নিরাপদ নয়, সেটাই প্রমাণ করার সময় এসেছে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ সারা বিশ্বকে দেখাবে যে, গণতন্ত্র বাংলাদেশের মানুষ বোঝে। তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতেও জানে।
দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মজনু মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলসহ আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত বিশ্বে টাকা বিলিয়ে দেশের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে: আইনমন্ত্রী
গণতন্ত্রের স্বার্থে রবিবার ভোটকেন্দ্রে যাবেন: নারায়ণগঞ্জের জনসভায় শেখ হাসিনা
বাংলাদেশে যে গণতন্ত্র আছে প্রমাণ করতে রবিবারের নির্বাচনে জনগণকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'নির্বাচনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিন।’
৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার এ কে এম শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকায় বাংলাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ফরিদপুরে আ. লীগের নেতা-কর্মীদের উপচেপড়া ভিড়
এই নির্বাচন ঘিরে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে উল্লেখ করে আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শান্তি বজায় রাখার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি।
তিনি বলেন, 'এই নির্বাচন যাতে না হয় সেজন্য এখনো ষড়যন্ত্র চলছে।’
সহিংসতার জন্য বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের মধ্যে কোনো মানবিকতা নেই।
তিনি বলেন, 'তারা নির্বাচনে অংশ নেয়নি। এটা তাদের ইচ্ছা, কিন্তু এদেশের জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধা কখনই মেনে নেবে না।’
আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠানের ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা (বিএনপি) যাতে জনগণের সম্পদ নষ্ট করতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির চক্রান্ত বন্ধ করতে নৌকায় ভোট দিন: ফরিদপুরে শেখ হাসিনা
জনসভায় প্রধানমন্ত্রী তার দলের মনোনীত প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী (নারায়ণগঞ্জ-১), শামীম ওসমান (নারায়ণগঞ্জ-৪), নজরুল ইসলাম বাবু (নারায়ণগঞ্জ-২) ও আবদুল্লাহ আল কায়সারের (নারায়ণগঞ্জ-৩) জন্য ভোট চেয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাইয়ের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।
বিকাল ৩টা ১৩ মিনিটে নৌকার আকৃতির বিশাল মঞ্চে উঠেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমানসহ আওয়ামী লীগের চার প্রার্থী মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল, স্লোগান ও হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করে। সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে মাঠ।
শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে বিভিন্ন পোস্টার, ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডে সজ্জিত হওয়ায় পুরো নারায়ণগঞ্জ শহর উৎসবমুখর হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন: আজ সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা
জনগণের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত বিএনপি বিদেশি এজেন্ট নিয়োগ করেছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপির নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। পিছু হটে তারা এখন মুখে নির্বাচন বর্জনের কথা বলছে আর ডেভিড বার্গম্যানসহ কিছু ইহুদি এজেন্ট নিয়োগ করেছে।’
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির নির্বাচনবিরোধী প্রচারণা এবং নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা কার্যত জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। জনগণ যেভাবে নির্বাচনে সাড়া দিয়েছে তা দেখে বিএনপি পিছু হটেছে। সেই সঙ্গে তারা এখন লবিস্ট নিয়োগ করে বিদেশে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নিবন্ধ লেখাচ্ছে। ডেভিড বার্গম্যানসহ কিছু ইহুদি এজেন্ট তারা নিয়োগ করেছে এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দেশবিরোধী রিপোর্ট করানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া নিজের নামে নিবন্ধ লেখেছিলেন দেশের বিরুদ্ধে। এটি নতুন কোনো কিছু নয়। বিএনপি সবই পারে।’
এ সময় ব্রাসেলসভিত্তিক সংস্থা 'ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ'র সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে দেওয়া মন্তব্যের বিষয়ে প্রশ্ন করলে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘ব্রাসেলসে বসে রিপোর্ট লেখা খুব সহজ। তারা রিপোর্টটা নিশ্চয়ই আরও ২০-২৫ দিন বা ১ মাস আগে লিখেছিল। তারা যদি দেশে এসে গ্রামে-গঞ্জে ঘুরে যেত তাহলে রিপোর্টটা সংশোধন করে নিত। আশা করি তারা রিপোর্টটা পরে সংশোধন করে নেবে।’
বামজোট নির্বাচন বর্জনের কর্মসূচি দেবে এমন বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাম ভাইদের আমি খুব সম্মান করি। কারণ বাম ভাইয়েরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, প্রগতিশীল শক্তি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বাম ভাইদের কোনো ভোট নেই। তাই উনারা ভোট বর্জন করুক আর না করুক এতে নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়বে না।’
হাছান বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সার্কভুক্ত দেশগুলো, ওআইসি আরও দেশ ও জোট দেশে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক এরই মধ্যে পাঠিয়েছে। ২০০৮ সালসহ অন্য সময় যেভাবে নির্বাচনী পর্যবেক্ষকরা এসেছিল, একইভাবেই পর্যবেক্ষকরা বিদেশ থেকে এসেছে, দেশি পর্যবেক্ষকরাও ব্যাপকভাবে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি প্রার্থনা করেছে, অনেকেই অনুমতি পেয়েছেন। এই নির্বাচনকে নিয়ে সমগ্র পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের যে আগ্রহ, এতেই প্রমাণিত হয় এ নির্বাচনকে আন্তর্জাতিক মহল ব্যাপকভাবে গ্রহণ করেছে।’
‘সুতরাং বিএনপির এই নির্বাচন বিরোধী প্রচারণা এবং তাদের নেতাদের এই বক্তব্য আসলে এগুলো অন্তঃসারশূন্য এবং জনগণের কাছে এগুলোর কোনো আবেদন নেই’ বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘১৯৭০ সালেও নির্বাচনেও অনেক নাম করা দল, অনেক নাম করা নেতা অংশ নেয়নি। কিন্তু জনগণ ব্যাপকভাবে অংশ নিয়েছিল এবং সেটি আন্তর্জাতিকভাবে অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ছিল।’
গণতন্ত্র রক্ষায় আবারও শেখ হাসিনাকে প্রয়োজন: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণতন্ত্র রক্ষা ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আসতে হবে।
এ কে এম শামসুজ্জোহা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে সমাবেশে তিনি বলেন, 'বড় দলে আসুন এবং নৌকায় ভোট দিন। গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আমাদের শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে।’
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হওয়ার আগে এটাই ছিল তার শেষ জনসভা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি ফাউল খেলায় ধরা পড়া লাল কার্ড নিয়ে পালিয়েছে।
তিনি বলেন, যারা স্বাধীনতাবিরোধী, যারা অর্থ পাচারকারী, দুর্নীতিবাজ তাদের জন্য কোনো স্থান থাকবে না।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিকে আঙুল তুলে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'আমরা কোনো হাওয়া ভবন চাই না। আমাদের লড়াই লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে।’
বিএনপিকে ভূযা দল উল্লেখ করে তিনি বলেন, দলের মতোই তাদের আন্দোলনও ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়েছে।
দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও নারায়ণগঞ্জের নেতারা বক্তব্য রাখেন সমাবেশে।
অনুষ্ঠানস্থলটি নৌকার সমর্থকে পরিপূর্ণ ছিল। এ কারণে বিপুল লোক বাইরে থেকে নেতাদের বক্তব্য শুনছিলেন।
১৫ বছর পর নারায়ণগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী, সমাবেশস্থলে মানুষের ঢল
দীর্ঘ ১৫ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নারায়ণগঞ্জ শহরে আগমন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল থেকেই জনসমাগম শুরু হওয়ায় উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
সকাল ১০টা থেকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের 'জয় বাংলা' স্লোগান দিয়ে সমাবেশস্থল শামসুজ্জোহা ক্রীড়া চক্রের দিকে পদযাত্রা করতে দেখা যায়।
এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্বাচনী জনসভাকে সামনে রেখে মোটরসাইকেল, পিকআপ ভ্যান ছাড়াও জনগণকে পায়ে হেঁটে সমাবেশস্থলে যেতে দেখা যায়।
এদিকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা রয়ে গেছে, যা ইতোমধ্যে দলীয় সমর্থকদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠেছে।
১৫ বছর পর আওয়ামী লীগ সভাপতি নারায়ণগঞ্জ যাচ্ছেন। তাই এ ঘোষণা আসার পর থেকেই তাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একবার দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ।
উল্লেখ্য, লিংক রোড, মালেহ রোড, কলেজ রোড, কালীবাজার, হাসপাতাল রোডসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে শোভাযাত্রা ও জনসমাগম দেখা গেছে। তাদের বেশির ভাগই শামসুজ্জোহা ক্রীড়া চত্বরের দিকে যাচ্ছেন।
নারায়ণগঞ্জের লিংক রোড ও জনসভাস্থলের আশপাশের এলাকা ফেস্টুন, পোস্টার ও ব্যানার দিয়ে সাজানো হয়েছে।
শোভাযাত্রার জন্য নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সমাবেশস্থলের বাইরে শহরের বিভিন্ন বৈদ্যুতিক খুঁটিতে মাইক স্থাপন করা হয়েছে। রাস্তা পরিষ্কার করা হয়েছে এবং পুরো শহর পোস্টার দিয়ে সাজানো হয়েছে।
বিদেশিদের হুমকি-ধমকির পরোয়া করেন না শেখ হাসিনা: কাদের
শেখ হাসিনা ভিসা নীতি ও নিষেধাজ্ঞার কোনো পরোয়া করেন না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা বিদেশি কোনো শক্তির হুমকি-ধমকির পরোয়া করেন না। তিনি ভয় পান একমাত্র স্রষ্টাকে। তিনি ভালোবাসেন বাংলাদেশের জনগণকে।’
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারি জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে ‘ভালো নির্বাচনের’ সাক্ষী হবে বিশ্ববাসী: ওবায়দুল কাদের
তিনি আরও বলেন, ‘ভালো লোকেরা নির্বাচিত হলে দেশ ভালো চলবে, নতুবা দুঃশাসন অনিবার্য।’
কাদের বলেন, ‘তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছে বোমা মেরে আতঙ্ক সৃষ্টি করার। এই বিএনপিকে চিরতরে লাল কার্ড দেখাতে হবে।’
ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। পরে ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।
আরও পড়ুন: অপতৎপরতার জবাব দিতে দলে দলে ভোটকেন্দ্রে আসুন: কাদের
আওয়ামী লীগ নয়, ড. ইউনূসকে সাজা দিয়েছেন আদালত: কাদের
আজ সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।
বুধবার রাতে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন তিনি (শেখ হাসিনা)।
বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও স্টেশনগুলো একযোগে ভাষণটি সম্প্রচার করবে।
আরও পড়ুন: গুজবের বিরুদ্ধে সজাগ থাকুন: প্রধানমন্ত্রী
আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন দেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে একটি মাইলফলক হবে: প্রধানমন্ত্রী
৭ জানুয়ারি জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে ‘ভালো নির্বাচনের’ সাক্ষী হবে বিশ্ববাসী: ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারছে বলেই নির্বাচনী আচরণবিধি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যেখানেই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হচ্ছে, সেখানেই নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ বা তাদের কর্তব্য পালনে বাধা দেওয়া হচ্ছে না। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে আছেন।
কাদের আরও বলেন, ‘বিশ্ববাসী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে একটা ভালো নির্বাচন প্রত্যক্ষ করবে। যেখানে জনমত বিজয়ী হবে।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নয়, ড. ইউনূসকে সাজা দিয়েছেন আদালত: কাদের
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত তারা এখন আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে লিফলেট বিতরণ করছে। তারা ব্যর্থতা ও ভুলের চোরাবালিতে আটকে গেছে। এখান থেকে তারা বের হতে পারছে না। তাদের নেতিবাচক কর্মসূচি, নাশকতা, অবরোধ জনগণ অগ্রাহ্য করেছে। বিএনপি সহিংসতা করবে না বললেও সেটা সত্যি কথা কি না সেটা বলার সুযোগ নেই। কারণ তারা বলে একটা, করে আরেকটা। খবর পাচ্ছি তারা ভেতরে ভেতরে ষড়যন্ত্র করছে।’
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দ্বিমুখী ভূমিকার সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ড. ইউনুসের মামলার রায় প্রসঙ্গে বাংলাদেশের মানবিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। কিন্তু ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল যে হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে সে বিষয়ে কেন কথা বলছে না। তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটা কথাও বলেনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।
আরও পড়ুন: অপতৎপরতার জবাব দিতে দলে দলে ভোটকেন্দ্রে আসুন: কাদের
স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির চক্রান্ত বন্ধ করতে নৌকায় ভোট দিন: ফরিদপুরে শেখ হাসিনা
স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'চারপাশে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে।’
মঙ্গলবার(২ জানুয়ারি) বিকালে ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে দলের এক বিশাল নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, 'যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করেনি, তারা এখনও তাদের ষড়যন্ত্র বন্ধ করেনি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের চক্রান্ত বাড়াচ্ছে, কারণ তারা জানে বাংলাদেশ কখনও কারো কাছে মাথা নত করে না।
তিনি বলেন, 'আমি জাতির পিতার কন্যা, আমি কখনও কারো কাছে মাথা নত করি না এবং করবও না।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ইতোমধ্যে সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করলেও আরও অনেক কিছু করার আছে।
তিনি সমবেত জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের গড়ে তুলতে হবে। এর জন্য আপনাদের কার প্রয়োজন? শুধু আমাকে বলুন। কেবল নৌকাই এটি করতে পারে।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নয়, ড. ইউনূসকে সাজা দিয়েছেন আদালত: কাদের
তিনি বলেন, ‘শুধু নৌকা ভোট পেলে আমি আবার ক্ষমতায় আসতে পারব এবং বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কখনও পিছিয়ে পড়বে না। শুধু নৌকাই আপনাকে সমাধান দেবে। আপনাদের সবাইকে এটা মনে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি স্মার্ট জাতিতে পরিণত হবে।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত ও সমৃদ্ধ স্মার্ট সোনার বাংলা।’
তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ মানে স্মার্ট সরকার, স্মার্ট মানুষ, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সমাজ।
তিনি বলেন, সবকিছু হারিয়ে তিনি বাংলাদেশের মানুষকে তার পরিবার হিসেবে গ্রহণ করেছেন। সুতরাং আমার যা কিছু আছে তা আমি দেশের মানুষের জন্য ত্যাগ করেছি।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ফরিদপুরে আ. লীগের নেতা-কর্মীদের উপচেপড়া ভিড়
নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য আগত জনতার কাছে প্রতিশ্রুতিও চান তিনি।
উৎফুল্ল জনতা হাত তুলে নৌকার পক্ষে স্লোগান দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। ফরিদপুর, রাজবাড়ী ও মাগুরার প্রার্থীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে ভোট চান তিনি।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ফরিদপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুর রহমান, মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এবং ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম হক বক্তব্য দেন।
মঞ্চ থেকে শেখ হাসিনা জাতীয় পতাকা উড়িয়ে জনতাকে শুভেচ্ছা জানান। জবাবে শ্রোতারা তাদের বহন করা ক্ষুদ্র পতাকাও উড়ান করেন।
প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে ফরিদপুর শহরের পাশাপাশি সমগ্র জেলার সর্বত্র উৎসবমুখর পরিবেশ দেখা গেছে।
পদ্মা সেতু পার হয়ে সড়কপথে ফরিদপুরে পৌঁছান শেখ হাসিনা। বেলা সোয়া ৩টার দিকে তিনি সমাবেশস্থলে পৌঁছান।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পাঠ্যসূচিতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী