আওয়ামী-লীগ
বিএনপি আসলে নির্বাচন বানচাল করতে চায়: তথ্যমন্ত্রী
রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ না নিয়ে বিএনপি আসলে নির্বাচন বানচাল করতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপতি একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সবার মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করার লক্ষ্যে সংলাপের আয়োজন করেছেন যা বিএনপি কখনো করেনি। বিএনপি সেই সংলাপে যাবে না এবং সংলাপের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। কারণ আসলে বিএনপির উদ্দেশ্য হচ্ছে আগামী নির্বাচনটাকে বানচাল করা। তারা যেভাবে ২০১৪ সালে নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিল, ২০১৮ সালে নির্বাচনে ষড়যন্ত্র করেছিল একইভাবে তারা আগামী নির্বাচনটাকে বানচাল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। কিন্তু দেশের মানুষ তাদেরকে সেই সুযোগ দেবে না।’রবিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র টিএসসি সড়কদ্বীপে পোস্টার সাংস্কৃতিক সংসদ ও বজ্রকণ্ঠ সংগঠনদ্বয় আয়োজিত দিন বদলের মেলা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।
আরও পড়ুন: পার্বত্য অঞ্চলের পর্যটন সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের আহ্বান তথ্যমন্ত্রীরপোস্টার সাংস্কৃতিক সংসদ সভাপতি এস এম জামাল উদ্দিন ইউসুফের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী বাবলুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ঢাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান উদ্বোধক হিসেবে, আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বিশেষ অতিথি এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শাহে আলম মুরাদ সম্মানিত আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন।তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে দিন বদল হয়েছে। কিন্তু এই দিন বদল অনেকের পছন্দ নয়। দেশের মানুষ ভালো আছে এটি অনেকের পছন্দ নয়। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা যখন পদ্মা সেতু নির্মাণ শুরু করলাম, তখন বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপি নেতারা বললেন, আওয়ামী লীগ করতে পারবে না, তারা ক্ষমতায় গেলে একসঙ্গে দু’টা পদ্মা সেতু করবে। এখন তো পদ্মা সেতু হয়েই গেছে। পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ক’দিন আগে গাড়ি চালিয়ে এই প্রান্ত থেকে ওই প্রান্তে গেছেন। আবার ওই প্রান্ত থেকে গাড়ি চালিয়ে এ প্রান্তে ফেরত এসেছেন। এখন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষায়। আর আমরা অপেক্ষায় আছি, যারা পদ্মা সেতু হবে না বলেছিল, তারা গাড়ি চালিয়ে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যায়, না কি আওয়ামী লীগের মার্কা নৌকায় এপার থেকে ওপার যায় সেটা দেখার জন্য।’ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তারা (বিএনপি) ফ্লাইওভার দিয়ে বিমানবন্দরে যায় আর গিয়ে বলে দেশে কোনো উন্নয়ন হয়নি। এই হঠকারি রাজনীতি বন্ধ হওয়া আবশ্যক। গত ১৩ বছরে দেশ আরও অনেক এগিয়ে যেতে পারতো যদি বিএনপি-জামাত এবং তাদের দোসরদের ধ্বংসাত্মক রাজনীতি, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যার রাজনীতি, দিনের পর দিন মানুষকে অবরোধ করার রাজনীতি না থাকতো এবং দেশের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে অপপ্রচার চালানোর অপরাজনীতি যদি তারা না করতো। আজ থেকে ১০ বছর পর বাংলাদেশ ২০৩১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা রচনা করতে চাই, সেই স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছুতে হলে এই অপরাজনীতির অবসান হতে হবে।’
আরও পড়ুন: বেগম জিয়ার কিছু হলে বিএনপি নেতারাই আসামি হবেন: তথ্যমন্ত্রীদেশকে এগিয়ে নিতে রাজনীতি স্থিতিশীলতা প্রয়োজন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার চেতনাকে যদি সমুন্নত রাখতে হয় একইসাথে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি যদি রাষ্ট্র ক্ষমতায় না থাকে এই কবিতা পাঠের আসর, সংস্কৃতির চর্চা ভবিষ্যতে হবে কি না সন্দেহ আছে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি দেশ পরিচালনার দায়িত্বে না থাকেন তাহলে দেশের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর গলা চেপে ধরা হবে। কারণ বিএনপি-জামাত তাদের সঙ্গে জোট করেছে, যারা এই দেশটাকে তালেবানী রাষ্ট্র বানাতে চায়। এই অপশক্তির যাতে বিনাশ হয় ও চিরতরে দূরীভূত হয় সেই চেতনা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে সারাদেশে একটি সাংস্কৃতিক গণজোয়ার তৈরির জন্য আমি সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে অনুরোধ জানাবো। তাহলে নতুন প্রজন্মকে আমাদের আবহমান সংস্কৃতির সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারবো, একইসঙ্গে মাদকাসক্তি এবং মৌলবাদ-আসক্তি থেকে তাদেরকে মুক্ত রাখা সম্ভব হবে।আলোচক হিসেবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কামাল চৌধুরী, ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবিএম আশরাফুল ইসলাম মারুফ, স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট মো. ফোরকান মিঞা, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপপরিষদ সদস্য সুজন হালদার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা এবং মেলা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকার আলী আসগর স্বাগত বক্তা হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। কবি ও সাহিত্যিকদের মধ্যে কবিতা আবৃত্তি করেন ড. শাহাদৎ হোসেন নিপু, অসীম সাহা, আসলাম সানি, অঞ্জনা সাহা, তপন বাগচী, রহিম শাহ, বাপ্পি রহমান, ইউসুফ রেজা প্রমুখ।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে দায় বিএনপিরই: তথ্যমন্ত্রী
বেগম জিয়ার কিছু হলে বিএনপি নেতারাই আসামি হবেন: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া এখন বিএনপি এবং তার পরিবারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার স্বাস্থ্যের যদি কোনো হানি হয় তাহলে বিএনপি নেতারাই আসামি হবেন।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএনপি মহাসচিবের সাম্প্রতিক মন্তব্য ‘খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারের সবাই আসামি হবে’ এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
বুধবার বিএনপি’র গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপি গণতন্ত্র হত্যা করতে চেয়েছিল, পারে নাই। তারা ৫শ’ ভোট কেন্দ্র আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছিল। পাঁচশ’ স্কুলের ভোট কেন্দ্রে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে বিতরণের জন্য যে বই সংরক্ষিত ছিল সেগুলোও জ্বালিয়ে দিয়েছিল। ঐ দিন তারা গণতন্ত্র হত্যা করতে চেয়েছিল, যাতে নির্বাচন না হয়। নির্বাচন না হওয়ার মধ্য দিয়ে দেশে একটি গণতন্ত্রহীন পরিবেশ তৈরি হয় এবং অন্যকিছু ঘটে, তারা সেই চেষ্টা করেছিলো কিন্তু সফল হয়নি।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে দায় বিএনপিরই: তথ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি গণতন্ত্র হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত। জিয়াউর রহমান বন্দুকের নল উঁচিয়ে মানুষের লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল, মানুষের লাশের ওপর দিয়েই ক্ষমতায় টিকে ছিল।’
বিএনপি’র বুধবারের মানববন্ধনসহ বিভিন্ন সমাবেশে নিজেদের মধ্যে মারামারির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মির্জা ফখরুলের মতো মহাসচিবের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক ও লজ্জাকর যে তার সামনে নেতাকর্মীদের মারামারি, বাকবিতণ্ডা হয় এবং তা থামানোর জন্য তাকে উচ্চস্বরে চিৎকার করতে হয়। এটি বিএনপির জন্য সত্যিই লজ্জাকর এবং যারা নিজেদের শৃঙ্খলা রাখতে পারে না, একটি সমাবেশের শৃঙ্খলা রাখতে পারে না, সারাদেশে সমাবেশ করতে গিয়ে নিজেরা নিজেরা মারামারি করে, তারা কিভাবে দেশ চালাবার স্বপ্ন দেখে, এটিই হচ্ছে প্রশ্ন।’
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি যে চিঠি গ্রহণ করেছে, সেটি ভালো দিক। আমি আশা করবো বিএনপি সংলাপে অংশগ্রহণ করবে। তাদের যে ওজর আপত্তি কিংবা সংলাপ প্রক্রিয়া নিয়ে তাদের যে প্রশ্ন সেগুলো তারা সেখানে বলে আসতে পারে। তাহলেই সেটি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের আচরণ হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নিজেদের বিশৃঙ্খলা আড়াল করতে সরকারকে দোষারোপ করছে: তথ্যমন্ত্রী
ঢাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, জয়-লেখকসহ আহত ১০
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে সংগঠনের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ছাত্রলীগের সমাবেশ চলাকালে জসিমউদ্দিন হল ও ঢাকা কলেজের গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সমাবেশে সামনে থাকা নিয়ে তারা প্রথমে হাতাহাতি করে এবং পরে বাঁশের লাঠি নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ থামাতে গেলে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য আহত হন।
আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে সেখানকার পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে মিশে আছে ছাত্রলীগ: খাদ্যমন্ত্রী
ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ৮১ বছরের পুরনো স্কুলের নাম পরিবর্তনের অভিযোগ
বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে মিশে আছে ছাত্রলীগ: খাদ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে ছাত্রলীগ মিশে আছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, ‘এদেশে গণতান্ত্রিক যতগুলো আন্দোলন হয়েছে তার সূতিকাগার ছাত্রলীগ নামের প্রতিষ্ঠান। মাটি ও মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যে অবদান বঙ্গবন্ধু তার বক্তব্যে তা বলে গেছেন।’
মঙ্গলবার সকালে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ৮১ বছরের পুরনো স্কুলের নাম পরিবর্তনের অভিযোগ
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী এ ছাত্র সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। জন্মের শুরু থেকেই ভাষার অধিকার, শিক্ষার অধিকার, বাঙালির স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান, সর্বোপরি স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের ছয় দশকের সবচেয়ে সফল সাহসী সারথি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। তাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সততা-নিষ্ঠা ও অন্যায়কে প্রতিরোধ করে নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক, সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির রহমান রিজভী, সাধারণ সম্পাদক আমানুজ্জামান সিউলসহ জেলা আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
আরও পড়ুন: শিক্ষক সেলিমের মৃত্যুকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা চলছে, অভিযোগ কুয়েট ছাত্রলীগের
ভোলায় আ’লীগ প্রার্থীর প্রচারণায় ককটেল নিক্ষেপ, আহত ৫
ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের নির্বাচনী প্রচারণায় ককটেল নিক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে। এতে পাঁচজন আহত হয়েছেন।
শিবপুর ইউনিয়নের শান্তির হাট বাজারে শনিবার সন্ধ্যায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
অভিযোগে বলা হয়, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম রাকিবের সমর্থকরা এ হামলা চালিয়েছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সিরাজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: যশোরে ব্যবসায়ীর বাড়িতে বোমা হামলা
আহত ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নৌকার প্রার্থী মো. জসিম উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের জ্যৈষ্ঠ সহসভাপতি দোস্ত মাহামুদ, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন ও মইনুল হোসেন বিপ্লবসহ দলের নেতারা নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে শান্তির হাট বাজার ও বেড়িবাঁধ এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় বাজার উত্তর দিক থেকে কয়েকজন লোক এসে পর পর ৭ থেকে ৮টি ককটেল নিক্ষেপ করেন। এতে সজিবসহ পাঁচ জন আহত হন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত সজিবকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব এ হামলার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান।
আরও পড়ুন: যশোরে বোমা হামলায় যুবলীগ নেতাসহ আহত ৩
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয়।
ভোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
ভাইরাল হওয়া ফোনালাপ এডিটেড: দাবি কুমিল্লার আ.লীগ নেতার
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ফোনালাপ এডিটেড বলে দাবি করেছেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রওশন আলী মাস্টার। এর প্রতিবাদে মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশও করেছে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় তারা এই মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
এ সময় সমাবেশে বক্তব্য দেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, দেবিদ্বার উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি কাউছার হায়দার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য লুৎফুর রহমান বাবুল, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মামুনুর রশীদ, দেবিদ্বার উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন,ফতেহাবাদ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান, মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলামসহ, ধামতি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ জসিম উদ্দিনসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে নেতারা বলেন, যারা অডিওটি বিকৃত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র,আমরা আইননানুগভাবে এর মোকাবিলা করব।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বাস-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে চালক নিহত, আহত ৭
বিষয়টি নিয়ে রওশন আলী মাস্টার বলেন, ‘আমার পুরো বক্তব্য শুনলে বুঝতে পারবেন আমি কি বলেছি। কাকে উদ্দেশ্য করে বলেছি। এখানে কথোপকথনের অংশ বিশেষ নিয়ে অডিও ক্লিপসটি ভাইরাল করা হয়।’
উল্লেখ্য, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রওশন আলী মাস্টার ও দেবিদ্বার উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা রুহুল আমিনের এক ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে।
ওই ফোনালাপে রওশন আলী মাস্টার বলেন, ‘যারা নৌকা করে সব রাজাকারের বাচ্চা। কী করবেন রাজনীতি করে। যে দেশে টাকা দিলে নমিনেশন পাওয়া যায়, যে দেশে টাকা দিলে মন্ত্রিত্ব পাওয়া যায়, যে দেশে টাকা দিলে সব আকাম চলে।’
এই ফোনালাপ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ কুমিল্লা জেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় জোড়া খুনের মামলায় আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
কুমিল্লায় ২০টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
২০২২ সালে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চায় আ.লীগ
দেশের গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে সকল গণতান্ত্রিক, দেশপ্রেমিক ও প্রগতিশীল শক্তিকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শনিবার সকালে নিজ বাসভবনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এক ব্রিফিংয়ে সড়ক ও পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ আহ্বান জানান।
নতুন বছরে জনগণের দল হিসেবে আওয়ামী লীগ নতুন আশা নিয়ে নতুন পথে যাত্রা করতে চায় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের জনগণের স্বপ্ন পূরণে ইতিবাচক অগ্রগতি অব্যাহত রাখার এবং আরও সংগঠিত, আধুনিক ও স্মার্ট রাজনৈতিক দল গঠনের অঙ্গীকার করেন।
এসময় আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের মানুষের প্রত্যাশা ও স্বপ্নকে সামনে রেখে সকল কার্যক্রম পরিচালনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এসময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: সংলাপে কেউ না আসলেও ইসি গঠন থেমে থাকবে না: ওবায়দুল কাদের
পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে জুনে: ওবায়দুল কাদের
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে, জঙ্গীবাদ উদ্বুদ্ধ করতে: ওবায়দুল কাদের
ভোলায় ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ৩০
আসন্ন পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত ১২ জনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম রাকিবের সমর্থকের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: ঝিনাইদহে সংঘর্ষে আহত ৭, আটক ৫
স্থানীয়রা জানান, রাত ৮ টায় সদর উপজেলার শিবপুরের ৫নং ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন ও স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) সিরাজুল ইসলাম রাকিবের কয়েকজন সমথর্কেরর মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় রতনপুর বাজার, শান্তির হাটসহ বিভিন্ন স্থানে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এসময় কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা হয় উভয় গ্রুপের অন্তত ৩০ জন আহত হন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের অভিযোগ, ৬নং ওয়ার্ডে ওঠান বৈঠক চলাকালে খবর পান তার তিনটি নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করেছে এবং তার ১০ জন কর্মীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। বিএনপি জামায়াতের বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্বাচন বানচাল করার জন্য এ হামলা চালিয়েছে। তার লোকজনকে লক্ষ্য করে বোমা ও গুলি বর্ষণ করে। বিভিন্ন বাড়ি ঘর ভাঙচুল। তিনি প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠ নির্বাচন কামনা করেন।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: নেত্রকোণায় হামলা ও সংঘর্ষে আহত ২৫
স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিদ্রোহী) সিরাজুল ইসলাম রাকিবের অভিযোগ, ইভিএম ভোটের নিয়ম দেখানোর সময় নৌকার সমর্থকরা গুলি করে হামলা চালায়। আহতদের হাসপাতালে নেয়ার সময় অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে মারধর করেছে। তার পক্ষের ১৪ জন আহত হয়েছে ও অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। তবে তিনি নির্বাচনী আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুরের কথা অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী সুজা জানান, এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শৃঙ্খলা ভঙের চেষ্টা করলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংলাপে কেউ না আসলেও ইসি গঠন থেমে থাকবে না: ওবায়দুল কাদের
নেতিবাচক রাজনীতি থেকে সরে এসে শক্তিশালী, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে বিএনপি রাষ্ট্রপতির উদ্যোগে অংশ নিবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, কেউ সংলাপে আসুক বা না আসুক নির্বাচন কমিশন গঠন থেমে থাকবে না।
ওবায়দুল কাদের বুধবার সকালে তাঁর বাসভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতির সংলাপ অর্থহীন এবং এই সংলাপে নাকি সংকটের সমাধান হবে না, - বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এর আগেও নির্বাচন কমিশন গঠনে যে পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছিল, এবারও সেই পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে।
গতবারও বিএনপি'র তালিকা থেকে একজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মিডিয়ায় বক্তব্য দিয়ে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করা যাবে না, নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হলে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমেই প্রমাণিত হবে বিএনপি কি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন চায়, নাকি বিতর্ক সৃষ্টি করতে চায়।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন নিয়ে বিতর্ক করার অবকাশ নেই: আইনমন্ত্রী
সরকার নাকি দেশকে অগণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে, - মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকৃতপক্ষে দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় শেখ হাসিনার নিরলস প্রয়াসে বিএনপিই পদে পদে বাধা সৃষ্টি করছে।
বিএনপির বহুদলীয় তামাশা আর ভোটারবিহীন নির্বাচনই দেশকে গণতন্ত্র থেকে ছিটকে দিয়েছিল বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
সোয়া এক কোটি ভূয়া ভোটার সৃষ্টি করে বিএনপিই গণতন্ত্রের কবর রচনা করতে চেয়েছিল উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আপাদমস্তক অগণতান্ত্রিক এবং লুটপাটের রাজনীতির জনক বিএনপি মুখে গণতন্ত্রের বুলি ছাড়লেও অন্তরে সাম্প্রদায়িকতা আর সুবিধাবাদ লালন করে।
তিনি বলেন, বিএনপিই এদেশকে ধর্মান্ধ, উগ্রবাদী ও সাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে বিশ্ব-দরবারে সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
সরকার নাকি বেগম জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে মিথ্যাচার করছে, বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন , সরকার নয়, মিথ্যাচার আর বিএনপি এখন সমার্থক শব্দ।
বিএনপি নেতাদের অবিরাম মিথ্যাচারের দাপটে এখন আর তাদের বক্তব্যে সত্যের লেশমাত্র খুঁজে পাওয়া যায় না এমন দাবি করে সেতুমন্ত্রী বলেন, বেগম জিয়ার মামলার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তারা মিথ্যাচার আর অপরাজনীতির উপরই ভরসা করে চলেছে।
তিনি বলেন, বন্দি বেগম জিয়া অধিকতর শক্তিশালী- এ দর্শন প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে তারা মুক্তির চেষ্টাও করেনি, আইনগত লড়াইও তেমনটা করেনি, তাদের উদ্দেশ্যমূলক অপরাজনীতির দাবার গুটি হয়েছেন বেগম জিয়া।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সংলাপ: ইসি গঠনে আইন চায় ওয়ার্কার্স পার্টি
বিএনপি নেতারা বেগম জিয়ার চিকিৎসা নিয়েও অতি রাজনীতি করছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা চিকিৎসার চেয়ে রাজনৈতিক ফয়দা হাসিলকেই অধিকতর গুরুত্ব দিয়েছে, বরং শেখ হাসিনাই বেগম জিয়ার প্রতি উদারতা এবং মানবিকতার নজির স্থাপন করেছেন। অথচ সেই কৃতজ্ঞতাবোধও বিএনপিতে নেই।
জনগণের সম্পদ লুন্ঠনের টাকায় চলছে বিএনপি নেতাদের বিলাসী জীবন এমন মনে করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, তাদের মুখে জনগণের কথা লোক দেখানো বাক্য ছাড়া আর কিছু নয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির সিনিয়র নেতারা এখন সাইড- লাইনে, যার বা যাদের নির্দেশে দল চলছে তারা মাঠের বাস্তবতা বুঝে না, জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যেন- তেন উপায়ে ক্ষমতা দখল এবং লুটপাটে লেগে যাওয়াই এখন বিএনপির একমাত্র টার্গেট।
পরে ওবায়দুল কাদের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রওশনা আরা মান্নানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপ: সুশীল সমাজকেও চায় তরিকত
চিরনিদ্রায় শায়িত জয়নাল হাজারী
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য জয়নাল হাজারীকে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে ফেনী পৌর শহরের মাস্টারপাড়া হাজারী বাড়ির মুজিব উদ্যানে দাফন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
বিকাল সাড়ে ৩টায় ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জয়নাল হাজারীর মরদেহ এসে পৌঁছালে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ হাজারো মানুষ তাকে এক নজর দেখতে সেখানে ভিড় করেন। পরে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করা হয়।
এর আগে একই দিন সকাল ১০টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
৭৬ বছর বয়সী প্রবীণ এই নেতা সোমবার বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে রাজধানীর ল্যাবএইড বিশেষায়িত হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। হাসপাতালের এক কর্মকর্তা জানান, জয়নাল হাজারী হৃদযন্ত্র, কিডনি ও ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।