আওয়ামী-লীগ
বিএনপি অসহযোগের নামে মানুষ হত্যা করছে: দীপু মনি
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বিএনপি অসহযোগের নামে মানুষ হত্যা করছে। ট্রেনে, বাসে ও ট্রাকে আগুন দিচ্ছে। তবে আন্দোলন করলেও জনগণকে ছাড়া অসহযোগ আন্দোলন করা যায় না।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নে (চাঁদপুর-৩ আসনে) প্রচারণায় অংশ নিয়ে উঠান বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে: দীপু মনি
দীপু মনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে লোকজন দেখা যায় না। হঠাৎ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটা ঘোষণা দিয়ে, চার/পাঁচজন নিয়ে রাস্তায় দৌড়া-দৌড়ি করে নাশকতা করেন।
তিনি আরও বলেন, অসহযোগ মানে নাশকতা নয়। যারা নাশকতা, সহিংসতা করে, যারা যুদ্ধাপরাধীর দোসর, তারা অসহযোগের মানেও বুঝে না। কারণ জনগণ তাদের সঙ্গে নেই।
গণসংযোগকালে দীপু মনির সঙ্গে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নাজিম দেওয়ান, জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ বই উৎসব হবে: দীপু মনি
পর্যটন পরিকল্পনার বড় অংশ হচ্ছে চাঁদপুর আধুনিক নৌবন্দর: দীপু মনি
বিএনপির অসহযোগ আন্দোলনের নিন্দা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনের আহ্বানের জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নিন্দা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারকে সব ধরনের কর, খাজনা, পানি, গ্যাস-বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে। তাহলে তাদের (বিএনপি নেতা-কর্মীদের) বাসায় বিদ্যুৎ-গ্যাস বন্ধ হয়ে গেলে তারা কী করবে?’
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নাশকতা কিংবা সন্ত্রাসের কারণে নির্বাচন বন্ধ থাকবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রসঙ্গত, এখন থেকে বর্তমান সরকারকে আর কোনো সহযোগিতা না করতে প্রশাসন ও দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। সেইসঙ্গে আগামী ৭ জানুয়ারির ভোট বর্জনের আহ্বানও জানিয়েছে দলটি।
বিএনপির 'অসহযোগ আন্দোলন' প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন যারা এই অসহযোগ আন্দোলন করছেন তাদের বাসায় বিদ্যুৎ- পানি বন্ধ হয়ে গেলে কি হবে? যেহেতু উনারাই অসহযোগ চাচ্ছেন।’
তিনি বলেন, তারা কি বুঝতে পারছেন যে গ্যাস বিদ্যুৎ বা পানির বিল না দিলে ওয়াসা ও বিদ্যুৎ বিভাগ অন্য গ্রাহকের সঙ্গে যা করে, তাদের সঙ্গেও তাই করবে; তখন কি হবে? সেটা নিয়ে তাদের মাথায় চিন্তা আসা উচিত।
মন্ত্রী বলেন, এ দেশের জনগণ তাদেরকে চেনে। এসব ডাকে জনগণ কোনোদিনই প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। আমাদের জনগণ সময় মতো নির্বাচনে ভোট দেবে এবং নির্বাচন কমিশন (ইসি) আমাদেরকে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দেবে।
আরও পড়ুন: বিএনপিতে যারা তারেকের নেতৃত্ব মানছেন না, নির্বাচনে আসতে তারা নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, আমি সবসময় বলেছি তারা নিশ্চিত জানে এ দেশের জনগণ তাদেরকে ভোট দেবে না, তাদের কর্মকাণ্ডে জনগণ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তাই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন এবং ক্রমাগতভাবে তারা একটার পর একটা কর্মসূচি দিচ্ছে। যাতে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করা যায় এবং নির্বাচন না হয় তারা সে চেষ্টা করছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২৮ অক্টোবরের পর থেকে তারা ক্রমাগত নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে। বাসের ভেতর অগ্নিদগ্ধ করে হেলপারকে পুড়িয়ে মেরেছে, এখন শুরু করেছে রেললাইন উপড়ে ফেলা।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন চারজন মানুষকে চলন্ত গাড়িতে পুড়িয়ে মেরেছে তারা। এর আগেও গাজীপুর এলাকায় এরকম একটি ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা অনবরত এ ধরনের নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে। একটা অস্থিতিকর পরিস্থিতি কিভাবে তৈরি করা যায় তারা শুধু সেই পায়তারা করছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী জনগণের মেন্ডেট নিয়েই ক্ষমতায় আসছেন এবং জনগণের ম্যান্ডেডকেই তিনি সরকার বদলানোর একমাত্র উপায় বলে মনে করেন।
আরও পড়ুন: ফখরুলের জামিন নামঞ্জুরে সরকারের কোনো প্রভাব নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের ভোট দিন: সিলেটে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী
জনগণকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন দলের প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা সমবেত জনতাকে জিজ্ঞেস করেন, 'আপনারা কি আমাদের প্রার্থীদের (আওয়ামী লীগের) ভোট দেবেন? আপনারা হাত উচু করুন এবং আমাকে ওয়াদা দিন’।
তিনি আবারও বিরোধী দল বিএনপিকে লুটেরা, খুনি, দুর্নীতিবাজ ও এতিমদের টাকা আত্মসাৎকারী আখ্যায়িত করে আক্রমণ করেন।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও সুষ্ঠু হবে: সিইসি
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বানচাল করার জন্য তারাই মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারছে।
এসময় মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়া অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য সকলের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত চক্র জনগণের জীবন কেড়ে নিতে চায় এবং জনগণকে ভোট দিতে বাধা দিয়ে নির্বাচন বানচাল করতে চায়।
তিনি বলেন, তারা এত সাহস কোথা থেকে পায়? লন্ডনে একজন অপরাধী বসে হুকুম দেয় এবং কিছু লোক এখানে আগুন জ্বালায়, ...... সেই আগুনেই তাদের হাত পুড়ে যাবে। তিনি স্পষ্টতই যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বসবাসরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কথা বলছিলেন।
আরও পড়ুন: লন্ডন থেকে দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করছে বিএনপি-জামায়াত: সিলেটে প্রধানমন্ত্রী
বিএনপি ও জামায়াতের নিন্দা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা ভেবেছিল তাদের অগ্নিসন্ত্রাসে সরকার জড়িয়ে পড়বে।’
তিনি বলেন, 'তারা ভেবেছিল কিছু অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সরকারের পতন ঘটবে। ব্যাপারটা খুব একটা সহজ নয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার ফলে জনগণ সুফল পাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সোনার বাংলা গড়ে তোলা এবং সে লক্ষ্যে আমি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, তার হারানোর কিছু নেই, কারণ তিনি বাবা, মা, ভাইসহ সবকিছু হারিয়েছেন।
‘আমার এবং আমার একমাত্র ছোট বোন বেঁচে গিয়েছিলাম। সবকিছু হারিয়ে এবং আমার ছোট সন্তানদের তাদের মাতৃপ্রেম থেকে বঞ্চিত করে আমি ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলাম। শুধু আমার বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্য। স্বপ্নটি হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে গড়ে তোলা।’
আরও পড়ুন: সিলেটে শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে লাখো মানুষের ঢল
সিলেটে শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে লাখো মানুষের ঢল
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে সিলেটজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশে আওয়ামী লীগের প্রতি সমর্থন জানাতে লাখো মানুষের ঢল নামে।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিকালে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসায় দলীয় নেতা-কর্মীরা জয় বাংলা স্লোগান দেওয়ার সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি তার বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে মঞ্চে উঠে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
এর আগে শেখ হাসিনা সিলেটে হযরত শাহজালালের (রহ.) এর মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, তিনি নাগরিকদের ভোটাধিকারের সাংবিধানিক অধিকারের ওপর জোর দেন এবং ঘোষণা দেন যে, কেউ যেন অন্যের ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধাদান বা ক্ষতি না করে।
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তার নির্বাচনী প্রচারণার সূচনা করেন।
আরও পড়ুন: লন্ডন থেকে দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করছে বিএনপি-জামায়াত: সিলেটে প্রধানমন্ত্রী
ভোটের মাধ্যমে বিএনপি'র অগ্নিসন্ত্রাসের জবাব জনগণ দেবে: নসরুল হামিদ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি অগ্নিসংযোগ ও মানুষ হত্যা করছে বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নসরুল হামিদ।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে না এসে তাদের জনপ্রিয়তা পরিমাপের সুযোগ হারিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে জনসম্পৃক্ততার অভাবে তারা নির্বাচন থেকে সরে এসেছেন। এখন তারা সন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে।’
মঙ্গলবার(১৯ ডিসেম্বর) কেরাণীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বীরবাঘাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন,‘আজ সকালে একটি ট্রেনে আগুন দিয়ে এক শিশুসহ চারজন নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ ৭ জানুয়ারি ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে এর জবাব দেবে।’
আরও পড়ুন: বুধবার সিলেট থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'কেরাণীগঞ্জে বিএনপির অগ্নিসংযোগের ঘটনা বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে। জনগণ তাদের প্রতিহত করেছে। এসব অগ্নিসংযোগকারীদের কোনো জনপ্রিয়তা নেই, জনভিত্তি নেই, তাই তারা জনগণের মনে ভীতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। যদি তাদের জনপ্রিয়তা থাকত, তাহলে তারা ভোটের মাধ্যমে নিজেদের প্রমাণ করতে পারত।’
এ সময় কেরাণীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক এম ই মামুন, কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচন বর্জনকারীদের মুখে কালিমা লেপন করবে: হাছান মাহমুদ
জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচন বর্জনকারীদের মুখে কালিমা লেপন করবে: হাছান মাহমুদ
আগামী ৭ জানুয়ারি উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়ে জনগণ নির্বাচন বর্জনকারীদের মুখে কালিমা লেপন করবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনমুখী, মানুষের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। এটি নির্বাচন বর্জনকারী ও প্রতিহতকারীদের মুখে চপেটাঘাত।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামে বিজয় দিবস উপলক্ষে র্যালি পরবর্তী পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান থেকে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে প্রায় ২০ কিলোমিটার প্রদক্ষিণ করে তাপবিদ্যুৎ ফটক এলাকায় র্যালিটি শেষ হয়।
ড. হাছান বলেন, 'একজন কাজের লোক ডিউটি করে আট ঘণ্টা আর আমি সময় দিই ১৬ থেকে ২০ ঘণ্টা। সকাল ৮টায় ঘুম থেকে উঠে রাতের ২টার আগ পর্যন্ত কোনো ঘুম নেই। একজন রাখাল যেভাবে খাটে, আপনাদের সন্তান হিসেবে আমি সেই পরিমাণ খাটাখাটি করি।'
তিনি বলেন, 'আপনাদের কাছে অনুরোধ, এই রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী অংশে যে পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে, এগুলো আপনারা মাথায় রাখবেন। ৭ তারিখ মা-বোন, বউ-বাচ্চা ও নাতিদের নিয়ে ভোট কেন্দ্রে যাবেন। যারা ভোট বর্জন করতে চেয়েছিল, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমরা তাদের মুখে কালিমা লেপন করে দেব ইনশআল্লাহ।'
আরও পড়ুন: সাইকেল শোভাযাত্রা করে নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন তথ্যমন্ত্রী
দেশের উন্নয়ন নিয়ে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশ রচনার এবং তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনার সার্থকতা এখানেই যে, আজকে পাকিস্তান আমাদের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে পাকিস্তান এখন বাংলাদেশ হতে চায়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমগ্র বাংলাদেশ আজকে বদলে গেছে। ১৫ বছর আগে উত্তর রাঙ্গুনিয়ার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যেতে সকাল থেকে বিকাল গড়িয়ে যেত। আর এখন সর্বোচ্চ এক ঘণ্টায় যেকোনো প্রান্তে পৌঁছানো যায়।'
তিনি বলেন, 'বর্তমানে গ্রামের আর শহরের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে এখন টিভি-ফ্রিজ, ইন্টারনেটের লাইন, এগুলো আগে ছিল না। এগুলো সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে।'
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে আবুল কাশেম চিশতি, মো. শাহজাহান সিকদার, নজরুল ইসলাম তালুকদার, মো. ইদ্রিছ আজগর, মুহাম্মদ আলী শাহ, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, ইফতেখার হোসেন বাবুল, আকতার হোসেন খান, শফিকুল ইসলাম, আবদুল মোনাফ সিকদার, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার প্রমুখ মন্ত্রীর সঙ্গে শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: রাজনীতির নামে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের মানববন্ধনে তথ্যমন্ত্রী
বুধবার সিলেট থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী
সিলেটের শাহজালাল ও শাহপরানের মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে দলের নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার(২০ ডিসেম্বর) সকালে হযরত শাহজালালের মাজার জিয়ারত করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর হযরত শাহপরানের মাজার জিয়ারত করবেন তিনি। আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
ওই দিন বিকালে সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রচার শুরু করতে জনসভা করবেন তিনি। আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ করা হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সমাবেশস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীসহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভাতিজার উপর প্রতিপক্ষের হামলা, আহত ৩
এর আগে সমাবেশ সফল করতে গত ১৩ ডিসেম্বর সিলেট নগরীর কনভেনশন হলে প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ প্রায় এক ডজন কেন্দ্রীয় নেতার উপস্থিতিতে বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিলেট বিভাগের চার জেলার আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আওয়ামী লীগের ১৯টি আসনের সব প্রার্থীকে দলীয় নৌকা প্রতীক নিয়ে অন্তত ১০ হাজার মানুষকে সমাবেশে নিয়ে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিকে সিলেটে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেছেন। নগরীর বিভিন্ন স্থানে চলছে সভা-সমাবেশ ও প্রচার।
সিলেটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর ও জনসভা প্রসঙ্গে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ বলেন, শেখ হাসিনা প্রতিবারই পবিত্র ভূমি সিলেট থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে এ ধরনের কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি: কৃষিমন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে কাদের
আমি যা বলেছি, কোনো ভুল বলিনি: কৃষিমন্ত্রী
বিএনপি নিয়ে দেওয়া বক্তব্যের বিষয়ে নিজের অবস্থান জানালেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘আমি যা বলেছি কোনো ভুল বলিনি। বক্তব্য একদম ঠিক আছে। অনেক কথার মধ্যে বিষয়টি এসেছে।’
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কৃষি গবেষণায় জি২০'র বিনিয়োগ প্রয়োজন: কৃষিমন্ত্রী
একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে সহিংসতা আটকাতে পরিকল্পিতভাবেই বিএনপি নেতাদের কারাগার রাখা হয়েছিল। তবে নির্বাচনে এলে ছাড় দেওয়ার প্রস্তাবেও রাজী হয়নি বিএনপি নেতা-কর্মীরা।’
আব্দুর রাজ্জাকের এ বক্তব্য ‘সঠিক নয়’দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এ বক্তব্য আওয়ামী লীগ কিংবা সরকারের নয়, এটি তার নিজস্ব বক্তব্য।
তিনি বলেন, ‘আমি এটাই বলতে চেয়েছি- আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ সব সময় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চেতনার আলোকে পরিচালিত হয়। আমরা সব সময় চেয়েছি এই নির্বাচনে সব দল অংশ নিক। বহুবার আমি বলেছি বিএনপি অবশ্যই একটি বড় রাজনৈতিক দল তাদের নির্বাচনে আমরা আনতে চাই কিন্তু সংবিধানের বাইরে আমাদের যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমার কথার সারমর্ম ছিল, প্রধানমন্ত্রী ও আমরা সব সময় চেয়েছি, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিক। সেটা বলতে গিয়ে বলেছি আমরা কতদূর পর্যন্ত, নির্বাচন কমিশনার কথা বলেছি, ইয়ের কথা বলেছি। ওই উইল লেফট নো স্টোন আনট্র্যাক, আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। কিন্তু বিএনপি আসবে না।'
আরও পড়ুন: নেতৃত্ব অন্যের হাতে চলে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচন চায় না তারেক: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ চেয়েছে আগামী নির্বাচনের সব রাজনৈতিক দল অংশ নিক। বিএনপি একটি বড় দল এটা আমরা সব সময় বলি। কিন্তু বিএনপি সব সময় নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার নানা রকম ফন্দি করেছে। আমরা কী দেখেছি, ১৩ সালে, ১৪ সালে ও ১৫ সালে?’
‘আমার বক্তব্য হলো- এই যে আওয়ামী লীগ আন্তরিকভাবে চেয়েছে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিক। এই কথাটা বলতে গিয়ে আমি সেদিন কিছু কথাবার্তা বলেছি।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এটাও বলেছি, বিএনপি চায় নির্বাচন বানচাল হোক। তারেক জিয়ার নামে মামলা রয়েছে, তার শাস্তি হয়েছে, সে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। তার মা (খালেদা জিয়া) অসুস্থ, তারও শাস্তি হয়েছে। তারা নির্বাচনে আসতে চায় না।’
তিনি আরও বলেন, আমাদের আওয়ামী লীগের বক্তব্য হলো- সংবিধানের বাইরে গিয়ে কোনোক্রমে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। পৃথিবীর কোনো দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই। কাজেই আওয়ামী লীগের তো কোনো বিকল্প নেই, এই কথা আমি বলেছি।’
আরও পড়ুন: বিএনপির শান্তিপ্রিয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এই পদ্ধতির মধ্যে থেকে বিএনপি বলতে পারতো কীভাবে নির্বাচনকে সবার কাছে সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করা যায়? সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থনও আমরা নিতে পারতাম, আরও বেশি পর্যবেক্ষক আসত বিদেশ থেকে। এখন ওসিদের বদলি করছে, এভাবে এসপিদের ট্রান্সফার করা যেত, ডিসিদের করা যেত। নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য যা যা করা দরকার সংবিধান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও এই সরকারকে রেখে সেটা আওয়ামী লীগ সবসময় করতে চেয়েছে। কিন্তু বিএনপি সেটা বিশ্বাস করে না। তারা গেছে আন্দোলনে।’
‘কীভাবে তারা রেললাইন কেটেছে! দেশে কি কোনো মুক্তিযুদ্ধ চলছে? দেশে কি যুদ্ধাবস্থা? এগুলো তো যুদ্ধের সময় করে। এগুলো বন্ধ করতে হলে মানুষকে তো গ্রেপ্তার করতে হবে। বিএনপি নেতাদের হুকুম ছাড়া কোনো কর্মী কি বাসে আগুন দেবে? তার জেল জুলুমের ভয় আছে না। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের দায়িত্ব হলো মানুষের জান মালের নিরাপত্তা দেওয়া। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
বিএনপি নির্বাচনে এলে সহিংসতা ও আগুন সন্ত্রাস করার প্রয়োজন হতো না জানিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নির্বাচন কমিশন বারবার বলেছে বিএনপি নির্বাচনে এলে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হবে। ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কি জেলে রেখে নির্বাচন হবে?
আরও পড়ুন: বাজেট বাস্তবসম্মত ও কৃষিবান্ধব: কৃষিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, সেটা একটা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে জামিনের ব্যবস্থা করা হতো। একটা ফর্মালিটিজ করে আইনের মাধ্যমে তাদের ছেড়ে দিয়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হতো। নির্বাচন কমিশনে তো আইনের লোক অনেক আছে।’
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি যদি রাজি হয় নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে। এই কথাটিই আমি বলেছি।
তিনি আরও বলেন, ‘একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য আলাপ-আলোচনা করে অনেক কিছুই করা যায়। খুনের আসামিরও তো জামিন হয়। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুর ফাঁসি হবে, কোথায় গেল মামলা, একদিনেই তো উনি জামিন পেয়েছেন। নিশ্চয়ই প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলে ফরমালিটিস করেছে।’
বিএনপি অংশগ্রহণ না করলে নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে না। কিছু ভোটার কম হলেও উল্লেখযোগ্য ভোটার ভোট দিতে আসবে বলেও মনে করেন আব্দুর রাজ্জাক।
আপনার দলের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, আপনার বক্তব্য ব্যক্তিগত- এ বিষয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এটাতো দলের বক্তব্য না, অবশ্যই আমি ব্যক্তিগতভাবে দিয়েছি যেটা অনুভব করি। আমার দলও চায় সব দল নির্বাচন অংশ নিক।’
নির্বাচনে এলে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে জামিন আর নির্বাচনে না এলে হবে না এটা কি বিচার বিভাগের স্বাধীনতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি না- জানতে চাইলে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সারা পৃথিবীতে অর্থনীতি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এটা আপনাকে মানতে হবে। শুধু আইনের কথা বললেই হবে বাস্তবতাকে...। আমি এক হাজার উদাহরণ দেব।’
আরও পড়ুন: দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত: কৃষিমন্ত্রী
বিএনপিকে এ ধরনের কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি: কৃষিমন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে কাদের
বিএনপিকে নির্বাচনে আনার বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটা তার ব্যক্তিগত মতামত বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীতে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেউলিয়া দল নয়। আওয়ামী লীগ কখনোই বিএনপি বা অন্য কোনো দলকে এমন উদ্ভট প্রস্তাব দেবে না, যা দলীয় নিয়ম ভঙ্গ করে বা গণতন্ত্রের প্রতি আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার কেড়ে নেয়।
তিনি বলেন, 'সরকার বা দলের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: কাদের
উল্লেখ্য, রবিবার বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ২৪-এ প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী রাজ্জাক বলেন, আটক সব নেতাকে রাতারাতি মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করেনি।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশের ৪০ জন বুদ্ধিজীবীর বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, 'যারা আগুনসন্ত্রাস বন্ধের আহ্বান না জানিয়ে নির্বাচনের কথা বলছে, তারা বিএনপির এজেন্ট, তারা বিএনপির রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।’
কাদের বলেন, এ পর্যন্ত ২৭টি দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে এবং ৩৫৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট প্রার্থী সংখ্যা ১ হাজার ৮৮৬ জন। নির্বাচনের সব প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, আগামী ২৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নির্বাচনে কোনো শরিকের জয়ের নিশ্চয়তা দেবে না: কাদের
পিরোজপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভাতিজার উপর প্রতিপক্ষের হামলা, আহত ৩
পিরোজপুর- ১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএমএ আউয়ালের ভাতিজা ও জেলা ছালীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানভীর মুজিব অভি’র উপর প্রতিপক্ষ হামলার চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার(১৭ ডিসেম্বর) বিকালে পিরোজপুর সদর উপজেলা কদমতলা ইউনিয়ন কদমতলা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এসময় তার সঙ্গে থাকা যুবলীগ কর্মী রনি দাস ও ছাত্রলীগ নেতা স্মরণ চক্রবর্তীকে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করা হয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তৌকির মুজিব আবির এই হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আহত জেলা ছালীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানভীর মুজিব অভি পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান খালেকের ছেলে, যুবলীগ কর্মী রনি দাস শহরের প্রেসক্লাব সড়কের বলরাম দাসের ছেল এবং জেলা ছাত্রলীগ নেতা স্মরণ চক্রবর্তী পিরোজপুর শহরের বলাকা ক্লাব সড়কের অ্যাডভোকেট দিলিপ চক্রবর্তীর ছেলে।
এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মল্লিক স্বপন জানান, পিরোজপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে এম এ আউয়ালকে সমর্থন দেয়ায় কদমতলা ও শিকদারমল্লিক ইউনিয়নের সমর্থক নেতা-কর্মীদের নানা রকম হুমকি ও মারধরের ঘটনা ঘটছে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ প্রাণ দিয়েছিল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বায়জিদ হোসেন এর লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের উপর হামলা করে। এতে অভি’র সঙ্গে থাকা যুবলীগ কর্মী রনি দাস গুরুতর আহত হন। এছাড়া এ সময় হামলাকারীরা অভি এবং তার সঙ্গে থাকা স্মরণ চক্রবর্ত্তীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন তারা।
পরে তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শ. ম. রেজাউল করিমের অনুসারী বায়জিদকে ফোন দেওয়া হলেও তিনি তা রিসিভ না করে কেটে দেন। তাকে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তিনি এর কোন উত্তর দেননি।
পিরোজপুর জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. স্বাগত হালদার জানান আহতদের মধ্যে দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া তানভীর মুজিব অভির হাতে সহ শহীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত আছে।
পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শহর পরিদর্শন করেন সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। নির্বাচনে যেকোন প্রকার সহিংসতাকে কঠোরভাবে দমন করা হবে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ধ্বংসাত্মক রাজনীতি নির্মূল করে মানবিক রাষ্ট্র গঠনই বিজয় দিবসের প্রত্যয়: তথ্যমন্ত্রী