আওয়ামী-লীগ
নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে আ. লীগের প্রার্থী-নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান কাদেরের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলীয় প্রার্থী ও নেতা-কর্মীদের নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণের অংশগ্রহণে একটি ভালো নির্বাচন হবে। বিশেষ করে নারী ভোটারদের মধ্যে জাগরণ দেখা যাচ্ছে। আগামী নির্বাচন ভোটারবিহীন হবে না।’
আরও পড়ুন: বিএনপি ভোটে না এলেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে: সালমান এফ রহমান
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক না পাঠালেও যুক্তরাষ্ট্র, কমনওয়েলথসহ অনেকে পাঠাচ্ছে। এ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে প্রায় শতাধিক পর্যবেক্ষকের নাম চলে এসেছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস রাষ্ট্রদূত হিসেবে তার আচরণবিধি মেনে চলবেন বলে আশা করে সরকার।
সেতুমন্ত্রী বলেন, জোটের আসন নিয়ে শরিকদের হতাশ করবে না আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন: সিলেটবাসীর উন্নয়নে কাজ করেছি, আবারও তারা আমাকে ভোট দেবেন: মোমেন
সিলেটবাসীর উন্নয়নে কাজ করেছি, আবারও তারা আমাকে ভোট দেবেন: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সিলেটবাসীর উন্নয়নের লক্ষ্যে আমি কাজ করেছি। জনগণের জন্য কাজ করেছি। তাই আবারও তারা আমাকে ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে সংসদে পাঠাবেন।
তিনি বলেন, আরও অনেক প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা আছে। আগামীতে সেগুলো বাস্তবায়ন করতে চাই।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) সিলেট-১ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বুধবার দুপুর ১২টায় সিলেট জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে রিটানিং কর্মকর্তার কাছে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন।
মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন জেলা রিটানিং অফিসার ও সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান।
পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিলেট সদর উপজেলা কার্যালয়ে সহকারী রিটানিং অফিসে যান।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সমর্থন করবে: মোমেন
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তিগত কর্মকর্তা শফিউল আলম জুয়েল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে এখন নির্বাচনী জোয়ার বইছে। নির্বাচন কমিশন ও সরকার একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ। উৎসবমুখর পরিবেশেই আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণ ভোটকেন্দ্রে যাবে এবং স্বাধীনভাবে নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে।
আরও পড়ুন: পারস্পরিক সহমর্মিতা-বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে: মোমেন
ড. মোমেন বলেন, আমি বিরোধী দলকে আহ্বান জানাব জ্বালাও-পোড়াও না করে, সম্পদ ধ্বংস না করে নির্বাচনে আসুন, জনসমর্থন প্রমাণ করুন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও আমার দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ যে তারা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতি অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর। তাই অবরোধ-হরতালের মতো ধ্বংসাত্মক রাজনীতি তারা পরিহার করেছেন।
এ সময় নিজের জয়ের ব্যাপারেও দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন ড. মোমেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ আবারও বিজয়ী হবে আশাবাদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের
বিএনপি ভোটে না এলেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে: সালমান এফ রহমান
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, বিএনপি ভোটে না এলেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিদেশিরা যেমন সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছে, প্রধানমন্ত্রী ঠিক সেই রকমই সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করছেন।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) দোহার ও নবাবগঞ্জে আলাদাভাবে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার পরিবর্তনের একমাত্র উপায় নির্বাচন: বৈঠকে সালমান এফ রহমান ও মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া
শুরুতেই নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে তার মনোনয়নপত্র জমা দেন সালমান এফ রহমান।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুই-একটা দল ছাড়া বাকি সব দলই ভোটে অংশ নিচ্ছে।
এ ছাড়া অনেক আসনে আওয়ামী লীগেরও স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকা ভোটের জন্য ইতিবাচক বলেও দাবি তার।
সালমান এফ রহমান বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
এ ছাড়া সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, তাদের উদ্দেশে বলব— কোনো অপশক্তি এ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারবে না। কারণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা বলেন, যারা নির্বাচনের ট্রেনে উঠবে না, তারা গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। তাই তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাই।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেসব রাজনৈতিক সংগঠন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে তাদের সাধুবাদ জানাই।
তিনি বলেন, যেসব রাজনৈতিক সংগঠন নির্বাচনে অংশ নেয়নি তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানাই।
তিনি বলেন, কোনো অপশক্তি নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আন্তর্জাতিক চাপ আছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, এটাকে আমি চাপ বলব না।
আরও পড়ুন: সরকার পরিবর্তন করতে হলে বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে হবে: সালমান এফ রহমান
তিনি আরও বলেন, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব গণতান্ত্রিক ও সংবিধানপরিপন্থী কোনো কাজ বর্তমান সরকার করছে না।
বিএনপিতে যারা তারেকের নেতৃত্ব মানছেন না, নির্বাচনে আসতে তারা নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানকে যারা নেতা হিসেবে মানতে পারছেন না, তারা নির্বাচনে আসতে নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছেন।
তিনি বলেন, মানুষ যখন তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন, তারা নিশ্চিত নির্বাচনে আসতে পারবে না কোনোদিন। তাই তারা কুৎসা রটাচ্ছে, অবান্তর কথা বলে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলনে বিএনপির ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি না এলে নির্বাচন প্রতিযোগিতাপূর্ণ হবে কিনা— এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারেক রহমানকে যারা নেতা হিসেবে মানতে পারছেন না, তার নেতৃত্ব মানতে যাদের কষ্ট হচ্ছে, তারা কিন্তু এরই মধ্যে নির্বাচনে আসবে বলে আমরা জানি। এছাড়া, নির্বাচনে আসার জন্য তারা বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মও তৈরি করেছেন।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন বিএনপির যে নেতৃত্ব, তা দলটির অনেকের পছন্দ না। তাই তারা নতুন দল করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করছেন। আবার বিএনপিরও অনেকেই প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করছেন।
এ দেশের মানুষও একটা উৎসবমুখর পরিবেশে চলে এসেছে। সবাই নিজেদের প্রার্থীকে কীভাবে জয়ী করা যায়, তা নিয়ে চিন্তা করছেন। কে নির্বাচনে আসলেন না, বা কে কী বললেন, তা নিয়ে মানুষের কোনো উদ্বেগ নেই।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির কথিত চেয়ারপারর্সন তারেক রহমান রাজনীতি করবেন না বলে মুচলেকা দিয়েছিলেন। আবার রাজনীতির মাঠ গরম করছেন। একেক সময় একেক ঘোষণা দিচ্ছেন। ২৮ অক্টোবর সরকার পরিবর্তন হবে, তারপর বিএনপি যেভাবে চাইবে, সেভাবে দেশ চলবে। এমন ঘোষণাও দিয়েছিলেন। সেদিন তারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুর করেছে, হাসপাতালে ভাঙচুর করেছে।
লেভেল-প্লেয়িং ফিল্ড আছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা আছে কিনা আপনারা দেখবেন। রাজনৈতিক দলগুলো তো প্রচার করবেই। সবাই প্রচারে নামবে। নিজেদের প্রার্থী নিয়ে তারা আনন্দ করবে, উৎসব করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তাদের যতগুলো নেতা কারাগারে, তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মামলা আছে। তারা ভাঙচুর করেছেন, বাস জ্বালিয়েছেন, মানুষ পুড়িয়েছেন। এসব ঘটনা আমরা শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি এবং তারা গ্রেপ্তার হয়েছেন। এছাড়াও তারা বিভিন্ন সময়ে রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ড করেছে। বিনাকারণে কাউকে ধরা হয়নি।
নির্বাচন ঘিরে নাশকতার শঙ্কা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, আমি এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো খবর পাইনি। কেবল বাংলাদেশের মানুষই না, বিশ্বের কোনো সভ্য দেশের মানুষই নাশকতা পছন্দ করেন না। তাই তারা যত নাশকতা করবে, ততই জনবিচ্ছিন্ন হবে। এতে জনসমর্থনের চেয়ে ধিক্কার জুটবে তাদের ভাগ্যে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, মানুষ সেটাই চাচ্ছে। সেই আলোকিত বাংলাদেশ থেকে কেউ আর অন্ধকারে ফিরে যেতে চাচ্ছে না। আগামী নির্বাচনে নিজেদের পছন্দের মানুষকে নির্বাচিত করবেন বলে মানুষ তৈরি হয়ে আছে।
বিএনপির কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেই কঠোর আন্দোলন কী আমি জানি না। আমরা তো দেখলাম, ট্রেনের লাইন কাটার জন্য তারা গিয়েছিল, এ দেশের জনগণ তাদের ধরিয়ে দিয়েছে। বাসে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করলে জনগণ তাদের ধরে পুলিশে দিয়েছে। এতে প্রমাণ হয়, এ দেশের মানুষ সহিংসতা পছন্দ করে না। যেখানে জনসমর্থন নেই, সেখানে এ ধরনের চিন্তা কাম্য না।
তিনি বলেন, আমি আগেই বলেছি, নির্বাচনে পরাজিত হবে জেনেই তারা আসছে না। ২০০৮ সালে তারা ৩০টি আসন পেয়েছিল। ২০১৪ সালে তারা নির্বাচনে আসেনি। সারা বাংলাদেশে তারপরে জ্বালাও-পোড়াও ও অগ্নিসন্ত্রাস করেছে।
আরও পড়ুন: ফখরুলের জামিন নামঞ্জুরে সরকারের কোনো প্রভাব নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সব দল সম্পৃক্ত করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা করছি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশের উন্নয়নে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে বর্তমানে যে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড চলছে, তা অব্যাহত রাখতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার।
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার। ২০১৩-১৫ সাল পর্যন্ত যেভাবে জ্বালাও-পোড়াও করেছে এবং এখনও একনাগারে এগুলো করছে; তাতে দেশের ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হচ্ছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছাড়া কখনোই উন্নয়ন সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: সংলাপ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হয়, আগুনসন্ত্রাসীদের সঙ্গে নয়: তথ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) প্রেস ইনস্টিটিউট প্রকাশিত ‘এসডিজি এবং উন্নয়নমূলক ফিচার সংকলন’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির অবরোধের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় যানজট হচ্ছে। দূরপাল্লার গাড়িও চলছে। এই যে কর্মসূচি দিয়ে তারা নিজেদের হাস্যকর করছে, আমি বুঝি না তারা কেন এই সিদ্ধান্তগুলো নেয়? এসব কর্মসূচি কেউ মানছে না, বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দিচ্ছে যে তোমাদের মানি না, কিসের অবরোধ!
তিনি বলেন, আমরা তো চাই বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। ধ্বংসাত্মক এই অপরাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসুক। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) বক্তব্য আমি শুনেছি, আমি মনে করি তিনি যথার্থ বলেছেন। আশা করি বিএনপির শুভ বুদ্ধির উদয় হবে।
তিনি আরও বলেন, একটি নির্বাচিত সরকারকে দিন তারিখ বলে ফেলে দেওয়া এটাই তো একটি সন্ত্রাসী ঘোষণা। এই অপরাজনীতি থেকে আশা করি তারা বেরিয়ে আসবে। সাত সমুদ্র তের নদীর ওপার থেকে দেশের বাস্তবতা তাদের বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে। কারণ সিদ্ধান্তটা ওখান থেকে আসে। যারা পলাতক কিংবা যারা নির্বাচন করতে পারবে না। তারাই সিদ্ধান্ত দেয় নির্বাচনে যাবে না। বিএনপি নেতারা তো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি রাষ্ট্র, সমাজ ও সাংবাদিকদের শত্রু: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির আগুনসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কলম ধরুন: সাংবাদিকদের প্রতি তথ্যমন্ত্রী
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে দেখাতে চাই আমরা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বলেছেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান তাদের লক্ষ্য এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে তারা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে তা প্রমাণ করতে চায়।
রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে অনেকেই নানা ধরনের মন্তব্য করছেন এবং অনেকে অনেক জল্পনা-কল্পনা করছেন।
মন্ত্রী বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে এসবের সমাধান হবে। ‘তারপর অনেক সমালোচনাই বন্ধ হয়ে যাবে।’
জোটের মধ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ। আমরা পর্যবেক্ষণ করব, এর মধ্যে সমন্বয় করব। ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে সবকিছু চূড়ান্ত করা হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করার পথ বেছে নিয়েছে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগ নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা দেখছি কারা কারা চাইছে। আমাদের একটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত আছে।’
কাদের আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় আছে। এর ভেতরে আমরা পরিবর্তন, সংশোধন করতে পারবো। আমাদের কৌশলগত দিক থাকবে।’
উৎসবমুখর পরিবেশে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছেন।
নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা অংশগ্রহণ করলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা তাদের স্বাগত জানাই। তাদের কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। কেউ কেউ ইতো্মধ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।’
প্রসেঙ্গত, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করায় খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা একরামুজ্জামান ও আবু জাফরকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
আরও পড়ুন: নির্বাচনকে সামনে রেখে নাশকতা ও অপপ্রচার প্রতিহত করাই আ. লীগের মূল লক্ষ্য: কাদের
এখন সংলাপের আর সুযোগ নেই: কাদের
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে কাজ করছি: হাছান মাহমুদ
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চাই।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সিনেমা হল মালিকদের নবনির্বাচিত কমিটি ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনের বিষয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করছে ইউরোপীয় দেশগুলো : ড. হাছান মাহমুদ
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে নিয়ে রাশিয়ার মুখপাত্রের বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া বিবৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সেটির জবাবও দিয়েছে। সেটি নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না।
তিনি আরও বলেন, এটি দুই রাষ্ট্রের বিষয়। কেউ ছুটিতে যেতে পারে, আবার ছুটি থেকে আসতেও পারে। এটি কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে আমি মনে করি না।
তিনি বলেন, এটি রুটিন কাজের অংশ। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। পাশাপাশি বহুমাত্রিক সম্পর্ক আছে। আমরা সে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে কাজ করছি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন— নির্বাচনে বাইরের থাবা এসে পড়েছে এবং দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে হলে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে হবে৷
একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে এবারের নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করা চ্যালেঞ্জ কি না- প্রশ্ন করা হলে হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন কমিশন চায় দেশে একটি গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর একটি নির্বাচন হোক।
মন্ত্রী বলেন, আমরাও সেটি চাই। আমরা চাই সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। ইতোমধ্যে সারা দেশে নির্বাচনের যেভাবে সাড়া পড়েছে, যেভাবে নির্বাচনী আমেজ তৈরি হয়েছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ নির্বাচনে থাকবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, এছাড়া অন্য দলগুলো যারা এখনও নির্বাচনে আসার ঘোষণা দেয়নি। তাদের অনেকেই শিগগির ঘোষণা দেবে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দমন-পীড়ন চলছে।
এ ব্যাপারে তথ্যমন্ত্রীর মতামত চাইলে তিনি বলেন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বিভিন্ন সময় বিবৃতি বিক্রি করে। ফলে তাদের নিয়ে আমি তেমন কোনো কথা বলতে চাই না।
তিনি বলেন, দেশে যেমন কিছু বিবৃতিজীবী আছে আর আন্তর্জাতিকভাবেও কিছু বিবৃতিজীবী আছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ দেশে যে এত গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো হচ্ছে, সেটি যখন তাদের বিবৃতিতে অনুপস্থিত থাকে আর অন্যটিকে গুরুত্ব দেওয়া হয় সেই বিবৃতিজীবীদের নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, অ্যামিনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিবৃতি দেয় যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য আর গাজায় হত্যাকাণ্ড হলে চুপ থাকে। আর বাংলাদেশে কেউ কাউকে ঘুষি মারলে বিবৃতি দেয়। এ সমস্ত বিবৃতি নিয়ে কথা বলতে চাই না। এগুলোর গ্রহণযোগ্যতা নেই।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারী 'অপরাধীদের' বিচারের আওতায় আনা হবে: হাছান মাহমুদ
কুলিয়ারচরে সারভর্তি ট্রাকে আগুন
শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুসরণ করে ডামি প্রার্থী দিতে বাধা নেই: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি দেওয়া ‘কৌশলগত সিদ্ধান্ত’।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সময়ের প্রয়োজনের আলোকে কৌশল পরিবর্তন করে এগিয়ে যাচ্ছে। দলীয় প্রধানের (শেখ হাসিনা) গাইডলাইন অনুসরণ করে ডামি প্রার্থী দিতে কোনো বাধা নেই।’
সোমবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শহীদ ড. মিলন দিবস উপলক্ষে ড. শামসুল আলম খান মিলনের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে দলীয় টিকিট পাননি আওয়ামী লীগের ৭১ সংসদ সদস্য
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গীর দরকার নেই, কারণ জনগণই তাদের শক্তি। আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপির অপকর্মের জন্য সহযোগী দরকার।
তিনি বলেন, দেশে নির্বাচনের মৌসুম শুরু হওয়ায় দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দেশের মানুষ অধীর আগ্রহে নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আসন্ন নির্বাচনে ব্যাপক জনসমর্থনের জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, যা বিক্ষিপ্ত বোমা হামলা ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে বানচাল করা যাবে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও অভিযোগ করেন, আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পর বিএনপি এখন নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে।
আরও পড়ুন: আ.লীগের মনোনয়ন তালিকা থেকে বাদ পড়লেন ৩ প্রতিমন্ত্রী
আ.লীগের মনোনয়ন তালিকা থেকে বাদ পড়লেন ৩ প্রতিমন্ত্রী
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি তিন প্রতিমন্ত্রী।
মনোনয়ন না পাওয়া প্রতিমন্ত্রীরা হলেন- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।
কুড়িগ্রাম-৪ আসনে জাকির হোসেনের পরিবর্তে বিপ্লব হাসানকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে দলীয় টিকিট পাননি আওয়ামী লীগের ৭১ সংসদ সদস্য
ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনে কে এম খালিদের পরিবর্তে মো. আব্দুল হাই আকন্দ এবংবেগম মুন্নুজান সুফিয়া সুফিয়ানের খুলনা-৩ আসনে এস এম কামাল হোসেনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮টি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।
কুষ্টিয়া-২ ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ক্ষমতাসীন দল কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। কুষ্টিয়া-২ আসনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের হাসানুল হক ইনু এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে জাতীয় পার্টির (এরশাদ) সেলিম ওসমানের দখলে রয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা-১ আসন: মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ
নির্বাচনে দলীয় টিকিট পাননি আওয়ামী লীগের ৭১ সংসদ সদস্য
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিট পাননি ক্ষমতাসীন দলের ৭১ জন সংসদ সদস্য।
টিকিট না পাওয়া সংসদ সদস্যদের মধ্যে রয়েছে-মাজাহারুল হক প্রধান (পঞ্চগড়-১), আলহাজ্ব মো. দবিরুল ইসলাম (ঠাকুরগাঁও-২), এইচ এন আশিকুর রহমান (রংপুর-৫), এম এ মতিন (কুড়িগ্রাম-৩), মো. জাকির হোসেন (কুড়িগ্রাম-৪), মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী (গাইবান্ধা-৪), মো. হাবিবুর রহমান (বগুড়া-৫), মো. সেলিম উদ্দিন তরফদার (নওগাঁ-৩), মো. সেলিম উদ্দিন তরফদার (নওগাঁ-৩), মো. ইমাদ উদ্দিন (নওগাঁ-৪)। তানভীর ইমাম (সিরাজগঞ্জ-৪), মেরিনা জাহান (সিরাজগঞ্জ-৬), মো. নুরুজ্জামান বিশ্বাস (পাবনা-৪), মোহাম্মদ শহীদুজ্জামান (মেহেরপুর-২), মো. শফিকুল আজম খান (ঝিনাইদহ-৩), মো. নাসির উদ্দিন (যশোর-২), রণজিৎ কুমার রায় (যশোর-৪), মো. শিফুজ্জামান (মাগুরা-১), মো. আমিরুল আলম মিলন (বাগেরহাট-৪), মো. শাহ ই আলম (বরিশাল-২), পঙ্কজ নাথ (বরিশাল-৪), আতাউর রহমান খান (টাঙ্গাইল-৩), মোহাম্মদ হাসান ইমাম খান (টাঙ্গাইল-৪), মো. সানোয়ার হোসেন (টাঙ্গাইল-৫), জোয়াহেরুল ইসলাম (টাঙ্গাইল-৮), আবুল কালাম আজাদ (জামালপুর-১), মো. মুরাদ হাসান (জামালপুর-৪), মো. মোজাফফর হোসেন (জামালপুর-৫), এ কে এম ফজলুল হক (শেরপুর-৩), নাজিম উদ্দিন আহমেদ (ময়মনসিংহ-৩), নাজিম উদ্দিন আহমেদ (ময়মনসিংহ-৩), নাজিম উদ্দিন আহমেদ (ময়মনসিংহ-৫)।
বাকিরা হলেন- নূর মোহাম্মদ (কিশোরগঞ্জ-২), এ এম নাঈমুর রহমান (মানিকগঞ্জ-১), কাজী মনিরুল ইসলাম (ঢাকা-৫), হাজী মো. সেলিম (ঢাকা-৭), মো. শফিউল ইসলাম (ঢাকা-১০), এ কে এম রহমতউল্লাহ (ঢাকা-১১), মো. সাদেক খান (ঢাকা-১৩), আগা খান মিন্টু (ঢাকা-১৪), মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন (গাজীপুর-৩), মো. জয়া সেন গুপ্ত (সুনামগঞ্জ-২), হাফিজ আহমেদ মজুমদার (সিলেট-৫), নেছার আহমেদ (মৌলভীবাজার-৩), গাজী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ (হবিগঞ্জ-১), আব্দুল মজিদ খান (হবিগঞ্জ-২), মোহাম্মদ এবাদুল করিম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫), মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া (কুমিল্লা-১), মহিউদ্দিন খান আলমগীর (চাঁদপুর-১), নুরুল আমিন (চাঁদপুর-২), আয়েশা ফেরদৌস (নোয়াখালী-৬), ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন (চট্টগ্রাম-১), দিদারুল আলম (চট্টগ্রাম-৪), শামসুল হক চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১২) ও জাফর আলম (কক্সবাজার-১)।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা-১ আসন: মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ
এছাড়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন মাশরাফি ও সাকিব
তবে অন্তত দু'জন সংসদ সদস্য তাদের ছেলেদের জন্য মাঠ ছাড়ার জন্য দলীয় মনোনয়ন চাননি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮টি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। কুষ্টিয়া-২ ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি ক্ষমতাসীন দলটি।
বিদায়ী একাদশ জাতীয় সংসদে সরাসরি নির্বাচিত ৩০০ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের ২৬২ জন, জাতীয় পার্টির ২৩ জন, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের তিনজন করে, গণফোরাম ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের দুইজন করে, জাতীয় পার্টি-জেপি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের একজন করে এবং তিনজন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রয়েছেন।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ২৯৮ আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ আওয়ামী লীগের