আওয়ামী-লীগ
সিসিক মেয়র-কাউন্সিলরদের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতবিনিময়
সিলেট সিটি করপোরেশেনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
শনিবার সকালে নগরীর হাফিজ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত সভায় সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলররা অংশ নেন।
সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সিলেট-১ আসন একটি মর্যাদাপূর্ণ আসন। তাই এ আসনে জনগণের নির্বিঘ্ন ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, সিলেট মহানগরীর ভোটারদের কাছে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলাররা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তাদের সুখে-দুঃখে আপনারা সবসময় পাশে থাকেন। সেইসঙ্গে সরকারের মাঠ পর্যায়ের সেবা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড কাউন্সিলরদের মাধ্যমেই বাস্তবায়িত হয়। তাই ভোটারদের নির্বাচনমুখী করতে কাউন্সিলদের বিকল্প নেই।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার সিলেট সিটি করপোরেশনের উন্নয়নে অনেক কাজ করেছে। বিগত ১০ বছর সিসিক মেয়র পদ আওয়ামী লীগের না হলেও উন্নয়ন বরাদ্দ বিন্দুমাত্র কম দেয়নি সরকার। কারণ প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেশ ও জনগণই মুখ্য, অন্য কিছু নয়।আরও পড়ুন: সিলেটবাসীর উন্নয়নে কাজ করেছি, আবারও তারা আমাকে ভোট দেবেন: মোমেন
সভায় ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহধর্মিনী সেলিনা হোসেন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোখলেছুর রহমান কামরান, জগদীশ চন্দ্র দাশ, আজাদুর রহমান আজাদ, মো. তৌফিক বক্স, শান্তনু দত্ত সন্তু, এস এম শওকত আমীন তৌহিদ, জাহাঙ্গীর আলম, মো. ছয়ফুল আহমদ বাকের, আব্দুর রকিব বাবলু, মোস্তাক আহমদ, শেখ তোফায়েল আহমদ সেপুল, নাজমুল হোসেন, রুহেল আহমেদ এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর সালমা সুলতানা, নার্গিস সুলতানা, মোছা. হাজেরা বেগম, বাবলী আক্তার, ফাতেমা বেগম, নারগিস সুলতানা রুমি, রেবেকা বেগম, শাহানা বেগম শানু, রুহেনা খানম মুক্তা প্রমুখ।
আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ১৯৭১ সালে ভূমিকার জন্য বাংলাদেশের জনগণের কাছে কিসিঞ্জারের ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল: মোমেন
নির্বাচন সংক্রান্ত সংঘাত-বিশৃঙ্খলায় ব্যবস্থা নেওয়া ইসির দায়িত্ব: কাদের
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের সংঘাত বা বিশৃঙ্খলা হলে ব্যবস্থা নেওয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দায়িত্ব বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘কমিশন যে সিদ্ধান্ত নেবে তার প্রতি আওয়ামী লীগের আস্থা আছে।’
কাদের বলেন, ‘বিএনপি হরতাল, অবরোধ, আগুন সন্ত্রাস করে জনগণকে নির্বাচন বিমুখ করতে পারেনি। জনগন পুরোপুরি নির্বাচনমুখী হয়ে পড়েছে। এ নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি হবে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের ট্রেন চলছে, কোথাও থামবে না: কাদের
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও ঠেকাতে বিএনপি যে অপচেষ্টা করেছিল তা এখনো অব্যাহত আছে। বাংলাদেশের জনগন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। তারা আরেকটি বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাতে চায়। এজন্য ভোট দিতে তারা উন্মুখ হয়ে আছে।’
চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র করে মানুষকে নির্বাচন বিমুখ করা যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছে এবং আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে দেখাতে চাই আমরা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি: কাদের
নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে আ. লীগের প্রার্থী-নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান কাদেরের
নির্বাচনের ট্রেন চলছে, কোথাও থামবে না: কাদের
যত বাধাই আসুক গন্তব্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত নির্বাচনের ট্রেন কোথাও থামবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ট্রেন চলছে। আর যত বাধাই আসুক না কেন গন্তব্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত এ ট্রেন কোথাও থামবে না।
কাদের বলেন, ‘বিএনপি দল হিসেবে নির্বাচনে অংশ না নিলেও তাদের ১৫ জন কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৩০ জন সাবেক এমপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। সারা দেশে নির্বাচন ঘিরে বহুদিন পর একটা উৎসবমুখর পরিবেশ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ২/১টা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিল কি না তার চেয়ে জনগণের অংশগ্রহণ কেমন সেটা বেশি করে ভাববার বিষয়।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে আ. লীগের প্রার্থী-নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান কাদেরের
শুক্রবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, ‘বিএনপি আন্দোলনের নামে দেশে যে সহিংসতা, সন্ত্রাস করছে সে বিষয়ে টিআইবি (ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল) কিংবা সুজন (সুশাসনের জন্য নাগরিক), তাদের মুখে কোনো কথা নেই। অথচ তারা গণতন্ত্র, মানবাধিকারের কথা বলে।’
তিনি বলেন, ‘ইউরোপ, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকাসহ অনেক দেশেই বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে নির্বাচন হয়। সেসব নির্বাচন কেউ তো অবৈধ মনে করে না। কারণ যে ভোটে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয় সেখানে ২/১টা দল না এলে নির্বাচন অবৈধ হয়ে যাবে- এটা বলা যায় না।’
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে দেখাতে চাই আমরা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি: কাদের
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া আওয়ামী লীগ নেতাদের বিষয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ঢালাওভাবে সবাই স্বতন্ত্র নির্বাচন করবে বিষয়টা এমন নয়। ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দলীয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএসপি সুবিধা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, সম্পর্কের মাঝে টানাপোড়েন বন্ধুত্বেরই অংশ। আমাদের তাদের দরকার। আবার তাদের আমাদেরও দরকার।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুসরণ করে ডামি প্রার্থী দিতে বাধা নেই: ওবায়দুল কাদের
মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সাকিব আল হাসান
মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে মাগুরায় জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ আবু নাসের বেগের কার্যালয়ে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এ সময় মাগুরা-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখরসহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
একই সঙ্গে মনোনয়নপত্র জমা দেন মাগুরা-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ড. বীরেন শিকদার।
এর আগে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে সাকিব আল হাসানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সাকিবকে শুক্রবার বিকালে নির্বাচনী সার্চ কমিটির কাছে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
নেটিশে বলা হয়েছে, ২৯ নভেম্বর নাগরিক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন সাকিব। তাতে জনগণের চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। যা বিভিন্ন অনলাইন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে।
বিএনপি নামক ‘কারাগারে’ বন্দি তাদের নেতারা: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির মূল নেতৃত্ব তাদের দলের নেতাদের বিএনপি নামক ‘কারাগারে’ বন্দি করে রেখেছে। যেখান থেকে বের হয়ে কেউ নির্বাচন করতে পারবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি করলে এখন কোনো নির্বাচন করা যায় না। সংসদ নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন; এমনকি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনও করা যায় না। আর তাদের সিদ্ধান্ত হয় সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপার থেকে; যার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো সম্পর্ক নেই।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, তবে বিএনপি নামক এই কারাগার থেকে অনেকেই বের হয়ে এসেছেন।
মন্ত্রী বলেন,‘আজকে অনেকেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অনেকেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বিএনপির অনেক নেতাই স্বীকার করেন, আসলে এই সিদ্ধান্তগুলো বিএনপিকে ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে আসার জন্য সরকার কাউকে চাপ সৃষ্টি করছে না: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি এখন আকাশের দিকে আর পশ্চিমের দিকে তাকিয়ে থাকে, যদি কিছু হয়। এভাবে একটি দল টিকে থাকতে পারে না। বিএনপি আজকে আবার হরতাল ডেকেছে এবং আরও না কি কর্মসূচি দেবে। কিন্তু এই হরতালে জনগণের কোনো সাড়া নেই এবং মূল নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তে বিএনপির নেতা-কর্মীরা কেউ একমত নয়। নির্বাচনী আমেজ ও ডামাডোলে বিএনপির সব কর্মসূচি হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে। তারা একটি হাস্যকর দলে পরিণত হয়েছে। আমি আশা করব বিএনপি এই অপরাজনীতির পথ থেকে বের হয়ে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন টিআইবি নির্বাচনের দিন দেখতে পাবে। টিআইবির প্রতি প্রশ্ন, ২৮ অক্টোবর থেকে দেশে সহিংসতা হচ্ছে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে, জাজেস কমপ্লেক্সে এমন কি পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালানো হলো, নার্সদের অপদস্ত করা হলো, অ্যাম্বুলেন্সসহ ১৯টি গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হলো, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে হামলা চালানো হলো, জীবন্ত মানুষকে বাসের মধ্যে পুড়িয়ে হত্যা করা হলো, এ নিয়ে টিআইবির কী বিবৃতি, কী বক্তব্য?
হাছান মাহমুদ বলেন, কাউকে ঘুষি মারলে, ধাওয়া করলে টিআইবি বিবৃতি দেয়; আর এত চোরাগোপ্তা হামলা, অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা হচ্ছে সে নিয়ে আপনাদের জোরালো কোনো বক্তব্য দেখতে পাচ্ছি না। এভাবে টিআইবি আসলে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে।
তিনি বলেন, টিআইবি যদি মনে করে একটি দল অংশগ্রহণ না করলে সেটি অংশগ্রহণমূলক নয়, তাহলে সেটি টিআইবির চিন্তার বা বোঝার দৈন্য। আজকে দেশে যে উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে, ইনশাআল্লাহ নির্বাচনে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে। আর গণতন্ত্রে দল নয়, গণতন্ত্রে জনগণের অংশগ্রহণ হচ্ছে মুখ্য।
এ সময় সাংবাদিকরা ‘পোশাক শ্রমিক নেতা কল্পনা আক্তার কার এজেন্ট’- প্রশ্ন করলে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, তিনি কার এজেন্ট আমি জানি না, আপনারা খুঁজে বের করুন। তবে এক বছরে যতবার তিনি বিদেশ গেছেন এবং বিদেশ যাত্রায় ১৪-১৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে, তা থেকে প্রশ্ন আসে একজন শ্রমিক নেতার এত টাকা কোথা থেকে আসে, এতবার বিদেশ যাত্রারই বা কেন প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: বিদেশে বসে গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দেশে মামলা হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
নির্বাচনী আমেজে ঢাকা পড়ে গেছে বিএনপির বর্জনের ডাক: তথ্যমন্ত্রী
নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে আ. লীগের প্রার্থী-নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান কাদেরের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলীয় প্রার্থী ও নেতা-কর্মীদের নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণের অংশগ্রহণে একটি ভালো নির্বাচন হবে। বিশেষ করে নারী ভোটারদের মধ্যে জাগরণ দেখা যাচ্ছে। আগামী নির্বাচন ভোটারবিহীন হবে না।’
আরও পড়ুন: বিএনপি ভোটে না এলেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে: সালমান এফ রহমান
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক না পাঠালেও যুক্তরাষ্ট্র, কমনওয়েলথসহ অনেকে পাঠাচ্ছে। এ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে প্রায় শতাধিক পর্যবেক্ষকের নাম চলে এসেছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস রাষ্ট্রদূত হিসেবে তার আচরণবিধি মেনে চলবেন বলে আশা করে সরকার।
সেতুমন্ত্রী বলেন, জোটের আসন নিয়ে শরিকদের হতাশ করবে না আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন: সিলেটবাসীর উন্নয়নে কাজ করেছি, আবারও তারা আমাকে ভোট দেবেন: মোমেন
সিলেটবাসীর উন্নয়নে কাজ করেছি, আবারও তারা আমাকে ভোট দেবেন: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সিলেটবাসীর উন্নয়নের লক্ষ্যে আমি কাজ করেছি। জনগণের জন্য কাজ করেছি। তাই আবারও তারা আমাকে ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে সংসদে পাঠাবেন।
তিনি বলেন, আরও অনেক প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা আছে। আগামীতে সেগুলো বাস্তবায়ন করতে চাই।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) সিলেট-১ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বুধবার দুপুর ১২টায় সিলেট জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে রিটানিং কর্মকর্তার কাছে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন।
মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন জেলা রিটানিং অফিসার ও সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান।
পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিলেট সদর উপজেলা কার্যালয়ে সহকারী রিটানিং অফিসে যান।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সমর্থন করবে: মোমেন
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তিগত কর্মকর্তা শফিউল আলম জুয়েল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে এখন নির্বাচনী জোয়ার বইছে। নির্বাচন কমিশন ও সরকার একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ। উৎসবমুখর পরিবেশেই আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণ ভোটকেন্দ্রে যাবে এবং স্বাধীনভাবে নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে।
আরও পড়ুন: পারস্পরিক সহমর্মিতা-বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে: মোমেন
ড. মোমেন বলেন, আমি বিরোধী দলকে আহ্বান জানাব জ্বালাও-পোড়াও না করে, সম্পদ ধ্বংস না করে নির্বাচনে আসুন, জনসমর্থন প্রমাণ করুন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও আমার দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ যে তারা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতি অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর। তাই অবরোধ-হরতালের মতো ধ্বংসাত্মক রাজনীতি তারা পরিহার করেছেন।
এ সময় নিজের জয়ের ব্যাপারেও দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন ড. মোমেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ আবারও বিজয়ী হবে আশাবাদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের
বিএনপি ভোটে না এলেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে: সালমান এফ রহমান
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, বিএনপি ভোটে না এলেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিদেশিরা যেমন সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছে, প্রধানমন্ত্রী ঠিক সেই রকমই সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করছেন।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) দোহার ও নবাবগঞ্জে আলাদাভাবে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার পরিবর্তনের একমাত্র উপায় নির্বাচন: বৈঠকে সালমান এফ রহমান ও মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া
শুরুতেই নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে তার মনোনয়নপত্র জমা দেন সালমান এফ রহমান।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুই-একটা দল ছাড়া বাকি সব দলই ভোটে অংশ নিচ্ছে।
এ ছাড়া অনেক আসনে আওয়ামী লীগেরও স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকা ভোটের জন্য ইতিবাচক বলেও দাবি তার।
সালমান এফ রহমান বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
এ ছাড়া সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, তাদের উদ্দেশে বলব— কোনো অপশক্তি এ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারবে না। কারণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা বলেন, যারা নির্বাচনের ট্রেনে উঠবে না, তারা গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। তাই তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাই।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেসব রাজনৈতিক সংগঠন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে তাদের সাধুবাদ জানাই।
তিনি বলেন, যেসব রাজনৈতিক সংগঠন নির্বাচনে অংশ নেয়নি তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানাই।
তিনি বলেন, কোনো অপশক্তি নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আন্তর্জাতিক চাপ আছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, এটাকে আমি চাপ বলব না।
আরও পড়ুন: সরকার পরিবর্তন করতে হলে বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে হবে: সালমান এফ রহমান
তিনি আরও বলেন, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব গণতান্ত্রিক ও সংবিধানপরিপন্থী কোনো কাজ বর্তমান সরকার করছে না।
বিএনপিতে যারা তারেকের নেতৃত্ব মানছেন না, নির্বাচনে আসতে তারা নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানকে যারা নেতা হিসেবে মানতে পারছেন না, তারা নির্বাচনে আসতে নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছেন।
তিনি বলেন, মানুষ যখন তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন, তারা নিশ্চিত নির্বাচনে আসতে পারবে না কোনোদিন। তাই তারা কুৎসা রটাচ্ছে, অবান্তর কথা বলে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলনে বিএনপির ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি না এলে নির্বাচন প্রতিযোগিতাপূর্ণ হবে কিনা— এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারেক রহমানকে যারা নেতা হিসেবে মানতে পারছেন না, তার নেতৃত্ব মানতে যাদের কষ্ট হচ্ছে, তারা কিন্তু এরই মধ্যে নির্বাচনে আসবে বলে আমরা জানি। এছাড়া, নির্বাচনে আসার জন্য তারা বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মও তৈরি করেছেন।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন বিএনপির যে নেতৃত্ব, তা দলটির অনেকের পছন্দ না। তাই তারা নতুন দল করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করছেন। আবার বিএনপিরও অনেকেই প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করছেন।
এ দেশের মানুষও একটা উৎসবমুখর পরিবেশে চলে এসেছে। সবাই নিজেদের প্রার্থীকে কীভাবে জয়ী করা যায়, তা নিয়ে চিন্তা করছেন। কে নির্বাচনে আসলেন না, বা কে কী বললেন, তা নিয়ে মানুষের কোনো উদ্বেগ নেই।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির কথিত চেয়ারপারর্সন তারেক রহমান রাজনীতি করবেন না বলে মুচলেকা দিয়েছিলেন। আবার রাজনীতির মাঠ গরম করছেন। একেক সময় একেক ঘোষণা দিচ্ছেন। ২৮ অক্টোবর সরকার পরিবর্তন হবে, তারপর বিএনপি যেভাবে চাইবে, সেভাবে দেশ চলবে। এমন ঘোষণাও দিয়েছিলেন। সেদিন তারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুর করেছে, হাসপাতালে ভাঙচুর করেছে।
লেভেল-প্লেয়িং ফিল্ড আছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা আছে কিনা আপনারা দেখবেন। রাজনৈতিক দলগুলো তো প্রচার করবেই। সবাই প্রচারে নামবে। নিজেদের প্রার্থী নিয়ে তারা আনন্দ করবে, উৎসব করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তাদের যতগুলো নেতা কারাগারে, তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মামলা আছে। তারা ভাঙচুর করেছেন, বাস জ্বালিয়েছেন, মানুষ পুড়িয়েছেন। এসব ঘটনা আমরা শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি এবং তারা গ্রেপ্তার হয়েছেন। এছাড়াও তারা বিভিন্ন সময়ে রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ড করেছে। বিনাকারণে কাউকে ধরা হয়নি।
নির্বাচন ঘিরে নাশকতার শঙ্কা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, আমি এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো খবর পাইনি। কেবল বাংলাদেশের মানুষই না, বিশ্বের কোনো সভ্য দেশের মানুষই নাশকতা পছন্দ করেন না। তাই তারা যত নাশকতা করবে, ততই জনবিচ্ছিন্ন হবে। এতে জনসমর্থনের চেয়ে ধিক্কার জুটবে তাদের ভাগ্যে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, মানুষ সেটাই চাচ্ছে। সেই আলোকিত বাংলাদেশ থেকে কেউ আর অন্ধকারে ফিরে যেতে চাচ্ছে না। আগামী নির্বাচনে নিজেদের পছন্দের মানুষকে নির্বাচিত করবেন বলে মানুষ তৈরি হয়ে আছে।
বিএনপির কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেই কঠোর আন্দোলন কী আমি জানি না। আমরা তো দেখলাম, ট্রেনের লাইন কাটার জন্য তারা গিয়েছিল, এ দেশের জনগণ তাদের ধরিয়ে দিয়েছে। বাসে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করলে জনগণ তাদের ধরে পুলিশে দিয়েছে। এতে প্রমাণ হয়, এ দেশের মানুষ সহিংসতা পছন্দ করে না। যেখানে জনসমর্থন নেই, সেখানে এ ধরনের চিন্তা কাম্য না।
তিনি বলেন, আমি আগেই বলেছি, নির্বাচনে পরাজিত হবে জেনেই তারা আসছে না। ২০০৮ সালে তারা ৩০টি আসন পেয়েছিল। ২০১৪ সালে তারা নির্বাচনে আসেনি। সারা বাংলাদেশে তারপরে জ্বালাও-পোড়াও ও অগ্নিসন্ত্রাস করেছে।
আরও পড়ুন: ফখরুলের জামিন নামঞ্জুরে সরকারের কোনো প্রভাব নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সব দল সম্পৃক্ত করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা করছি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশের উন্নয়নে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে বর্তমানে যে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড চলছে, তা অব্যাহত রাখতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার।
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার। ২০১৩-১৫ সাল পর্যন্ত যেভাবে জ্বালাও-পোড়াও করেছে এবং এখনও একনাগারে এগুলো করছে; তাতে দেশের ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হচ্ছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছাড়া কখনোই উন্নয়ন সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: সংলাপ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হয়, আগুনসন্ত্রাসীদের সঙ্গে নয়: তথ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) প্রেস ইনস্টিটিউট প্রকাশিত ‘এসডিজি এবং উন্নয়নমূলক ফিচার সংকলন’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির অবরোধের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় যানজট হচ্ছে। দূরপাল্লার গাড়িও চলছে। এই যে কর্মসূচি দিয়ে তারা নিজেদের হাস্যকর করছে, আমি বুঝি না তারা কেন এই সিদ্ধান্তগুলো নেয়? এসব কর্মসূচি কেউ মানছে না, বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দিচ্ছে যে তোমাদের মানি না, কিসের অবরোধ!
তিনি বলেন, আমরা তো চাই বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। ধ্বংসাত্মক এই অপরাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসুক। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) বক্তব্য আমি শুনেছি, আমি মনে করি তিনি যথার্থ বলেছেন। আশা করি বিএনপির শুভ বুদ্ধির উদয় হবে।
তিনি আরও বলেন, একটি নির্বাচিত সরকারকে দিন তারিখ বলে ফেলে দেওয়া এটাই তো একটি সন্ত্রাসী ঘোষণা। এই অপরাজনীতি থেকে আশা করি তারা বেরিয়ে আসবে। সাত সমুদ্র তের নদীর ওপার থেকে দেশের বাস্তবতা তাদের বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে। কারণ সিদ্ধান্তটা ওখান থেকে আসে। যারা পলাতক কিংবা যারা নির্বাচন করতে পারবে না। তারাই সিদ্ধান্ত দেয় নির্বাচনে যাবে না। বিএনপি নেতারা তো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি রাষ্ট্র, সমাজ ও সাংবাদিকদের শত্রু: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির আগুনসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কলম ধরুন: সাংবাদিকদের প্রতি তথ্যমন্ত্রী