আওয়ামী-লীগ
বিএনপির শান্তিপ্রিয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না: কৃষিমন্ত্রী
বিএনপির শান্তিপ্রিয় নিরীহ কোনো নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভিডিও ফুটেজ দেখে দোষীদের ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করছে। কোনোভাবেই বিএনপির কোনো শান্তিপ্রিয় নিরীহ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। টাঙ্গাইলের কোনো উপজেলার বিএনপির একজন নেতা-কর্মীকেও গ্রেপ্তার করা হয়নি।
তিনি বলেন, বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্য ধরপাকড় করা হচ্ছে না। বিএনপি নেতারা তাদের কর্মীদের আগুনসন্ত্রাস ও সহিংসতার জন্য প্ররোচিত করছে, উস্কানি দিচ্ছে। গ্রেপ্তার করা ছাড়া তাদের নিবৃত্ত করা যাবে না। মানুষের জানমাল, গাড়ি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের সুরক্ষা এবং দোকানপাট খোলা রেখে ব্যবসা-বাণিজ্য অব্যাহত রাখা সরকারের দায়িত্ব। এ লক্ষ্যেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে।
আরও পড়ুন: চলতি বছর কৃষিখাতে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ: কৃষিমন্ত্রী
শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি উত্তরপাড়ায় খামারি অ্যাপের কার্যকারিতা যাচাই ও উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানকাটা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল ( বিএআরসি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সহযোগিতায় ছিল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)।
বিএনপি আগুন সন্ত্রাস ও সহিংসতার পথ ছেড়ে নির্বাচনে অংশ নেবে এবং দেশকে সমৃদ্ধির পথে পরিচালনায় সহযোগিতা করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
বিএআরসির 'খামারি' মোবাইল অ্যাপের কার্যকারিতা সরেজমিনে দেখে মন্ত্রী বলেন, দেশের যেকোনো মৌজার সুনির্দিষ্টভাবে একটি প্লট বা জমিতে কী ধরনের ফসল হবে, কতটুকু সার,বীজ লাগবে- সব তথ্য খামারি অ্যাপে পাওয়া যাবে। খামারি অ্যাপ ব্যবহার করলে ধান আবাদে সারের পরিমিত ব্যবহার করা যাবে, এতে ধানের জমিতে বিঘাপ্রতি সারের খরচ ১ হাজার টাকা কমবে। ধানের ফলনও বিঘাপ্রতি এক মণ বাড়বে।
তিনি বলেন, দেশের চাষিরা ইউরিয়া ও অন্যান্য সার প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ব্যবহার করে। বেশি সার দিলেই বেশি ফলন হয় না। যতটুক দরকার, ততটুকু সার দিতে হবে। এক্ষেত্রে খামারি অ্যাপ কৃষকদের সহায়তা করবে।
ব্রিধান ১০৩ এর নমুনা কাটা শেষে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ দেশে জমি কমছে। ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের যোগান বজায় রাখতে হলে উন্নত ও উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানের আবাদ ছড়িয়ে দিতে হবে।
উল্লেখ্য, নমুনা কর্তনে ব্রি ধান ১০৩ এর বিঘাপ্রতি প্রায় ২৫ মণ ফলন পাওয়া গেছে। দেশের অন্যান্য জায়গাতেও একইরকম ফলন পাওয়া গেছে। ব্রি ধান১০৩ জাতের গড় জীবন কাল ১৩০ দিন (১২৮-১৩৩ দিন)। প্রচলিত জাতের তুলনায় এর বৈশিষ্ট্য হলো, ব্রি ধান১০৩ এর কাণ্ড শক্ত, পাতা হালকা সবুজ এবং ডিগ পাতা খাড়া, লম্বা ও চওড়া।
এর আগে কৃষিমন্ত্রী বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের ধনবাড়ী আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন।
কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদার, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার, স্কয়ার হাসপাতালের উপদেষ্টা ডাক্তার সানোয়ার হোসেন, ধনবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনার রশীদ হীরা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর ফারুক আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: আলু আমদানি হলে দাম কমবে, মানুষ স্বস্তি পাবে: কৃষিমন্ত্রী
২৮ অক্টোবর নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে না আ. লীগ: কৃষিমন্ত্রী
অগ্নিসংযোগ করে নির্বাচন থামানো যাবে না: সালমান এফ রহমান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, সারাদেশে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে আসন্ন নির্বাচন ঠেকানো যাবে না।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) তার নির্বাচনী এলাকায় (দোহার-নবাবগঞ্জ) বীর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এটি বিএনপির জনপ্রিয়তা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনবে।’
আরও পড়ুন: সালমান এফ রহমানের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেকের সৌজন্য সাক্ষাৎ
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, ‘বিএনপি নেতা-কর্মীদের দেশে অরাজকতা সৃষ্টির আর কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। যারা সহিংস কর্মকাণ্ড করছে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দিন।’
বিএনপির আল্টিমেটাম মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা শুধু হরতাল-অবরোধে উসকানি দিয়ে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি করছে ও গ্রহণযোগ্যতাও হারিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই ভুয়া আল্টিমেটাম দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না। মানুষ আপনাদের আর বিশ্বাস করবে না। দেশের মানুষ বুঝে গেছে আপনারা দেশ চালানোর যোগ্য নয়।’
তিনি আরও বলেন, এ দেশে জোর করে ক্ষমতায় আসার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, ‘এসব ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নিয়ে আপনার জনপ্রিয়তা যাচাই করুন।’
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা যদি জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারেন, তাহলে আমরা আপনাকে অভিনন্দন জানাব।’
ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান সরকারের ১৫ বছরের উন্নয়নের কারণে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
দেশের অব্যাহত উন্নয়নের জন্য আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার পরিবর্তনের একমাত্র উপায় নির্বাচন: বৈঠকে সালমান এফ রহমান ও মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া
এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের উদ্বোধন করলেন সালমান এফ রহমান
সরকারের কোনো কৌশলই বিএনপির আন্দোলন দমন করতে পারবে না: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বর্তমান সরকারের পতন আসন্ন। বিরোধী দলের চলমান এক দফা আন্দোলন দমনে তাদের কোনো কৌশল কাজ করবে না।
এক বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, অবরোধ কর্মসূচিতে ভীত হয়ে সরকার বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে, রিমান্ডে নিয়ে নিপীড়ন চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: আব্বাস ও আলালের গ্রেপ্তারের নিন্দা রিজভীর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, 'বিএনপি দেশের সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল এবং জনগণের সঙ্গে এর সম্পর্ক রয়েছে। সুতরাং আন্দোলন দমনে আপনাদের (সরকারের) কোনো কৌশল সফল হবে না।
তিনি আরও বলেন, গণহারে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে বিএনপির নেতৃত্ব দুর্বল করা যাবে না। যিনি কারাগার থেকে বের হবেন তিনিই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবি আদায়ে জনগণ বদ্ধপরিকর। এই অবৈধ সরকারের শিগগিরই পতন ঘটবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার একতরফাভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করে আবারও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে। এই ঘৃণ্য উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য তারা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের কারারুদ্ধ করার ঘৃণ্য খেলায় লিপ্ত হয়েছে।
রিজভী অভিযোগ করেন, ফ্যাসিবাদী সরকার বিএনপির নেতৃত্ব নির্মূল করতেই দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেপ্তার করছে। জ্যেষ্ঠ নেতাদের ৮/১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে অবর্ণনীয় নির্যাতন করা হচ্ছে।
সরকার ভেবেছিল, এভাবে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হলে বিএনপির আন্দোলন দমন করা হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গুলশানের একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমান সারোয়ারকে আটক করেছে পুলিশ: রিজভী
বিএনপির ঢাকা উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুলসহ ৪ জন গ্রেপ্তার: রিজভী
বিএনপি নেতৃত্বাধীন শক্তিকে প্রতিহত ও পরাজিত করতে হবে: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রতিহত ও পরাজিত করতে হবে।
বিএনপিকে জাতির প্রধান শত্রু আখ্যায়িত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'আবারও ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের জন্য অবরোধ ঘোষণা করেছে দলটি।’
শুক্রবার(৩ নভেম্বর) জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আজ সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'গত ২৮ অক্টোবর ২৪ জন সাংবাদিকের ওপর নৃশংস হামলা হয়েছে। একজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন, একটি হাসপাতালে হামলা হয়েছে এবং প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা হয়েছে। তারা পার্ক করা একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়, ভেতরে ঘুমন্ত হেলপারকে হত্যা করে।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করায় বিএনপির নিন্দা ওবায়দুল কাদেরের
কাদের বলেন, যারা এসব অপকর্মের নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের গ্রেপ্তার করা কিভাবে নিপীড়নমূলক?
এ ধরনের সহিংসতা করার পর তারা কীভাবে দায় এড়াতে পারে?এসবের ন্যায়বিচার কি হবে না? সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
রবিবার থেকে বিএনপি দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ঘোষণা করেছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, 'তারা যত ইচ্ছা অবরোধ ঘোষণা করতে পারে। তারা (বিএনপি) ইতোমধ্যে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে।’
বিএনপি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘হয় তারা জেলে থাকবে, না হয় পলাতক থাকবে। তারা সম্ভবত হিন্দি (ভারতীয়) সিরিয়াল দেখবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির মতো ‘সন্ত্রাসী দলের’ সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না: কাদের
ওবায়দুল কাদের আরও অভিযোগ করেন, বিএনপি তাদের পক্ষ থেকে সড়কে অগ্নিসংযোগ ও গাড়ি ভাঙচুরের জন্য লোক নিয়োগ করছে।
জেলহত্যা দিবস প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, '১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা ছিল ১৫ আগস্টের ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা। এরপর ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মূল টার্গেট ছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ‘
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৯৭১ সালের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে ১৯৭৫ ও ১৯৭৫ পরবর্তী হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল।
কাদের বলেন, সেই পরাজিত শক্তি বারবার জাতির আত্মা ও চেতনাকে আক্রমণ করছে। তারা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়াচ্ছে।
এই সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে বিএনপি আশ্রয় দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, '১৯৭৫ সালে যারা নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তাদের বিশ্বস্ত মিত্র বিএনপি। ২৮ অক্টোবর তা আবার প্রমাণিত হয়। আর এ কারণেই তারা জাতির প্রধান শত্রু।’
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের কোনো কার্যকারিতা বাস্তবে নেই : ওবায়দুল কাদের
জাতিসংঘের কোনো কার্যকারিতা বাস্তবে নেই : ওবায়দুল কাদের
বাস্তবে জাতিসংঘের কোনো কার্যকারিতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে জাতিসংঘের দেওয়া বিবৃতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাতিসংঘ তো নামকাওয়াস্তে। জাতিসংঘের কোনো কার্যকারিতা বাস্তবে নেই।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
২৮ অক্টোবরের রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে জাতিসংঘের দেওয়া বিবৃতির বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের বিভ্রান্ত করা হয়েছে। আমরা বলতে চাই জাতিসংঘের আসলে বাংলাদেশ নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় এটা নয়।
আরও পড়ুন: বিএনপির সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না কেউ: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, সুদান দেশটা আরও দু্ই ভাগ হয়ে যাচ্ছে। আজকে ফিলিস্তিনে কী হচ্ছে? জাতিসংঘের কথা কেউ শুনে? আজকে গাজায় যা হচ্ছে জাতিসংঘের একটি কথা কেউ শুনেছে কি না? জাতিসংঘ তো নামকাওয়াস্তে। জাতিসংঘের কোনো কার্যকারিতা তো নেই বাস্তবে। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এখানে একটা ঘটনা ঘটেছে বিভিন্ন রকম ইনফরমেশন যেতে পারে, এটাতে তো তাদের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। তাদের আসল দায়িত্বটা তারা তো পালন করতে পারছেন না।
তিনি আরও বলেন, ইউক্রেইনে তারা কিছু শব্দচয়ন করে সুন্দর সুন্দর কথা বলেছে। ক্লাইমেট চেইঞ্জের অবনতি ঘটছে। ভালো ভালো কিছু কথা বলা ছাড়া জাতিসংঘের আর কোথাও তো কোনো ভূমিকা আছে বলে আমাদের জানা নেই। বাংলাদেশ নিয়ে তারা মাথা ঘামাচ্ছে, আমরা অনেক ভালো আছি।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করায় বিএনপির নিন্দা ওবায়দুল কাদেরের
বিএনপিবিহীন আরেকটি নির্বাচনের দিকে দেশ এগুচ্ছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, আমি জানি না। বিএনপির অধিকার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার। তারা নির্বাচন না করলে, করবে না। আমার কথা হলো বাংলাদেশের সংবিধান পরিবর্তন হচ্ছে না। সংবিধান যেভাবে বলছে আমাদের নির্বাচন, আমাদের গণতন্ত্র ঠিক সেভাবে চলবে, এতে কে এল, কে এল না সেটা বিষয় নয়।
বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন হলে দেশে-বিদেশে তার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্পেস দেন, সময় আসুক।
তিনি বলেন, বিএনপি না এলে আমরা কি তাদের জোর করে আনব? বিএনপি না এলে সংবিধান অবজ্ঞা করে নির্বাচন করব না, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চালু থাকবে না, এটা কেমন কথা, এটা তো হতে পারে না। সেটিকে প্রশ্নবিদ্ধ যারা বলেন তারা বলতে পারেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির মতো ‘সন্ত্রাসী দলের’ সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না: কাদের
বিএনপির মতো ‘সন্ত্রাসী দলের’ সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির মতো একটি ‘সন্ত্রাসী দলের’ সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না।
তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) তাদের নাশকতা ও সন্ত্রাসের পুরোনো রূপে ফিরে গেছে। তাই সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কোনো সংলাপ হতে পারে না।’
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপথনকালে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন একটি সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না। আমিও বলছি, তাদের সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করায় বিএনপির নিন্দা ওবায়দুল কাদেরের
কাদের বলেন, ‘বিএনপিকে অনেকবার সংলাপের জন্য ডাকা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) তাদের ডেকেছে, রাষ্ট্রপতিও তাদের ডেকেছেন; কিন্তু তারা সংলাপে আসেনি।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘তারা (বিএনপি) নিজেরাই নিজেদের আন্দোলনকে নস্যাৎ করেছে। প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা, পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হত্যার পর তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের সংবিধান অনুযায়ী সঠিক সময়ে নির্বাচন হবে। অন্যান্য দেশ আমাদের পরামর্শের ভিত্তিতে নির্বাচন করে না, তাহলে আমরা কেন তাদের কথা শুনব?’
আরও পড়ুন: বিএনপি সত্যিকার অর্থে নির্বাচন চাইলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতো না: ওবায়দুল কাদের
বিএনপির শনি ও রবিবারের হামলা পূর্বপরিকল্পিত: ওবায়দুল কাদের
প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করায় বিএনপির নিন্দা ওবায়দুল কাদেরের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিএনপির 'মিথ্যাচারের' তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গণতন্ত্রের চ্যাম্পিয়ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগ বদ্ধপরিকর। বিএনপি নিজেকে গণতন্ত্রপন্থী শক্তি বলে দাবি করলেও সংক্ষেপে এটি গণতন্ত্রবিরোধী ও রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি।’
আরও পড়ুন: অবরোধ করলে বিএনপি অবরুদ্ধ হবে: ওবায়দুল কাদের
‘এ কারণেই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে তাদের প্রধান শত্রু মনে করে বিএনপি। সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও গণতান্ত্রিক চেতনাকে ধ্বংস করে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিএনপির রাজনীতির প্রধান অস্ত্র সন্ত্রাসবাদ। এখন তারা তথাকথিত নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের ছদ্মবেশে আবার সন্ত্রাসবাদের আশ্রয় নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে নিয়ে মিথ্যাচার করে রাজনৈতিক সুবিধা অর্জনের কোনো সুযোগ নেই। শেখ হাসিনার অর্জন ও অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই। মিথ্যাচার, হত্যা-সন্ত্রাস-নৈরাজ্য-নাশকতা ও ধ্বংসাত্মক রাজনীতির পথ পরিহার করার জন্য আমরা বরাবরের মতো বিএনপির প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: বিএনপি সত্যিকার অর্থে নির্বাচন চাইলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতো না: ওবায়দুল কাদের
বিএনপির শনি ও রবিবারের হামলা পূর্বপরিকল্পিত: ওবায়দুল কাদের
রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই সংলাপে উৎসাহ দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, তিনি সহিংসতা নয়, শান্তিপূর্ণ সংলাপের পক্ষে।
বুধবার (১ নভেম্বর) সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে একথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি যোগাযোগের জন্য উন্মুক্ত পন্থা বজায় রাখা এবং আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান বলেন, উল্লেখযোগ্য কোনো আলোচনা হয়নি।
আরও পড়ুন: বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করলে সরকার বাধা দেবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি দেশের সংবিধান অনুযায়ী রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের প্রাথমিক মাধ্যম হিসেবে সংলাপের তাৎপর্য তুলে ধরেন। রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্য সংলাপের অপরিহার্যতার বিষয়টি স্বীকার করে এই দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে একমত পোষণ করেন সারাহ কুক।
সংলাপের কোনো বিকল্প নেই বলেও জোর দেন মন্ত্রী। তিনি কুকের সঙ্গে সমস্যার সমাধানের জন্য আলোচনাকে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহারের উপর জোর দেন। তারা উভয়েই সংলাপের জন্য সংবিধানের কাঠামো মেনে চলার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: আনসার বাহিনীকে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়টি ভুল: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
চলমান অবরোধের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, এটি দীর্ঘদিনের অবস্থান এবং প্রশ্নবিদ্ধ দলগুলো ধারাবাহিকভাবে সংলাপ প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ আলোচনার পরিবর্তে সহিংসতা ও প্রতিকূল পরিবেশ সৃষ্টি করছে, যা বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার পরিপন্থী।
তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন, জাতিসংঘের উচিত সবাইকে সহিংসতা পরিহার ও সংলাপের নীতি মেনে চলতে উৎসাহিত করা। সরকার আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সহিংসতা সহ্য করবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সহিংসতার দায় বিএনপির নেতারা এড়াতে পারবেন না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপির সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না কেউ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'বিএনপির সন্ত্রাসীদের হাত থেকে সাংবাদিক, পুলিশ, সাধারণ মানুষ কেউই রেহাই পাচ্ছে না। তারা চোর-ডাকাতের চেয়েও জঘন্য ভয়ংকর হয়ে উঠেছে।'
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর মিন্টো রোডের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএনপির ডাকা অবরোধ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নই আসে না: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'প্রকৃতপক্ষে বিএনপি ও জামায়াত সমগ্র বাংলাদেশে অবরোধ যখন ডেকেছে তখন আমরা এই আশঙ্কাই করেছিলাম যে ঢাকা শহরে তারা ২৮ তারিখ যে নৈরাজ্য তাণ্ডব চালিয়েছে, সেটি সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে অবরোধ ডেকেছে। তাদের আগুন সন্ত্রাসীদের তারা মাঠে নামিয়েছে। তাদের এই আগুনসন্ত্রাস থেকে স্কুলগামী বাস, বরযাত্রীবাহী বাস, এম্বুলেন্স, সাধারণ যাত্রীবাহী গাড়ি, সাধারণ মানুষের গাড়ি কোনোটাই রেহাই পাচ্ছে না।'
হাছান বলেন, 'বিএনপির এরা আসলে রাজনৈতিক দল নয়, এরা সন্ত্রাসী ও দুস্কৃতিকারী। দেশের মানুষকে অনুরোধ জানাব এই দুস্কৃতিকারীদের প্রতিহত করার জন্য। আমরা সরকার এই দুস্কৃতিকারীদের প্রতিহত করতে বদ্ধপরিকর। একটু অপেক্ষা করুন, সমস্ত দুস্কৃতিকারীকে আইনের কাঠগড়ায় হাজির করা হবে।'
এ সময় বাংলাদেশ বিষয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক ক্যাম্পেইনার ইয়াসামিন কাভিরত্নের বিবৃতিকে একপেশে বলে নাকচ করে দেন ড. হাছান মাহমুদ।
এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি সমাবেশের নামে পুলিশের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। পুলিশ সদস্য মারা গেছে এবং শতাধিক পুলিশ আহত হয়েছে। ২৫-৩০ জন আনসার আহত হয়েছে, আমাদের দলের নেতা-কর্মীরা মারা গেছে, সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ হয়েছে। কই তাদের বিবৃতিতে একটি শব্দও তো হতাহতদের ওপর আক্রমণের বিরুদ্ধে নাই।'
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস এবং আর কারা কারা যে বিবৃতি দেয়, যারা বিবৃতি নিয়ে ব্যবসা করে এবং বিবৃতি বিক্রি করে, তাদেরকে তো এ নিয়ে বিবৃতি দিতে দেখছি না।
হাছান মাহমুদ বলেন, 'যে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করার জন্য বিবৃতি দেয়, যে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল একজন ব্যক্তিকে রক্ষা করার জন্য বিবৃতি দেয়, কিন্তু ইসরাইল যখন গাজায় হাজার হাজার শিশু ও নারী হত্যা করে তখন নিশ্চুপ থাকে, সেটি আর মানবাধিকার সংগঠনে নাই একপেশে রাজনৈতিক সংগঠনের রূপ ধারণ করেছে। তারা কি বলল, না বলল এতে কিছু আসে যায় না। কারণ তারা আজকে যে বিবৃতি দিয়েছে সেটিও একপেশে বিবৃতি।'
এর আগে বাসভবন থেকে ভার্চুয়াল উপায়ে মন্ত্রী নিজ নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা ইউনিয়ন পরিষদ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে পোমরার একটি কমিউনিটি সেন্টারে উপকারভোগী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ‘বাইডেনের উপদেষ্টা’ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি ইসরাইলের এজেন্ট: তথ্যমন্ত্রী
দেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে নস্যাৎ করতে দেওয়া হবে না: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির অবরোধ পাগলামি ছাড়া আর কিছুই না: সাঈদ খোকন
বিএনপির ডাকা অবরোধ পাগলামি ছাড়া আর কিছুই না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের ডাকা টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ১৭ কোটি মানুষকে অবরোধ করে রাখা। এটা পাগলামি ছাড়া আর কিছুই না। এটা সম্পূর্ণভাবে বিকৃত মস্তিষ্কের কাজ, সম্পূর্ণভাবে একটা উন্মাদনা।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় পুরান ঢাকার নর্থ-সাউথ রোডে এক প্রতিবাদ সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: মেয়র তাপসকে নিয়ে বক্তব্য: সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে ২ মামলা
সাঈদ খোকন বলেন, বিএনপি-জামায়াতের এই দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি থেকে জনগণের জানমালের নিরাপত্তার জন্য শেখ হাসিনা আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে থাকার জন্য। আমরা রাজপথে আছি এবং রাজপথেই থাকব।
তিনি বলেন, বিএনপির অবরোধ করার এই হটকারিতামূলক সিদ্ধান্ত জনগণ সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করেছে। আমরা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা রাজপথে আছি, জনগণের সঙ্গে আছি, জনগনের পাশে আছি। জনগণের জানমালের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসন পাশে আছে।
এ ছাড়া জনগণের সাহায্য-সহযোগিতার জন্য আওয়ামী লীগের প্রতিটা নেতা-কর্মী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রাজপথে অবস্থান করছে ও করবে।
তিনি বলেন, অবৈধ অবরোধের প্রতিবাদে পুরান ঢাকায় আজকে আমরা প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করেছি। আমরা অতীতে যেভাবে শেখা হাসিনার পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতে যে কোনো সংকট-সম্ভাবনায় পুরান ঢাকার মানুষ শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকবে, ইনশাআল্লাহ।
সাঈদ খোকন বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের সুফল বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ ভোগ করছে। আমাদের কিছু সমস্যা থাকতে পারে, এই সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা সুস্থ ধারার রাজনীতি দেখতে চাই। আমরা মানুষের পক্ষে রাজনীতি দেখতে চাই, যে রাজনীতি বঙ্গবন্ধুকন্যা আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন। আমরা মানুষের উন্নয়ন-অগ্রগতির রাজনীতি দেখতে চাই।
ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র বলেন, বিএনপি বলে ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’- এর অর্থ হচ্ছে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এটাকে টেনে-হেঁছড়ে পিছে নাও। এটা কোন সুস্থ বক্তব্য হতে পারে না। এটা কোনো সুস্থ ধারার রাজনীতি হতে পারে না। সুতরাং যারা অসুস্থ মন-মানসিকতা পোষণ করে, যারা অসুস্থ রাজনীতির চর্চার মধ্যদিয়ে দেশের মানুষকে, অগ্রযাত্রাকে পিছিয়ে দিতে চায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ঢাকাবাসী রাজপথে নেমেছে। আমরা রাজপথে থাকব, আমরা রাজপথে প্রতিবাদ করব, বিএনপি-জামায়াতের এই অসুস্থ কর্মসূচির মোকাবিলা করব। আমরা শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলাম, তার নেতৃত্বে সোনার বাংলা বিনির্মানে এগিয়ে যাব।
আরও পড়ুন: সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে ২ মামলার একটি খারিজ, অন্যটি প্রত্যাহার
তাপস মেয়র পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন: সাঈদ খোকন