আওয়ামী-লীগ
জনগণ যতক্ষণ শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকবে, কোনো আলটিমেটাম বা বার্তা দিয়ে লাভ হবে না: কাদের
জনগণ যতক্ষণ শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকবে, কোনো আলটিমেটাম বা বার্তা দিয়ে লাভ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যতদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকবেন, ততদিন কোনো আলটিমেটাম বা বার্তা দিয়ে লাভ হবে না। সংবিধান থেকে একচুলও সরবে না সরকার।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি শর্ত প্রত্যাহার করলে সরকার সংলাপের বিষয়ে বিবেচনা করবে: ওবায়দুল কাদের
এসময় মন্ত্রী বলেন, ‘সারাদেশ থেকে সন্ত্রাসীদের ঢাকায় এনে নাশকতার ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি। এই নাশকতার সমুচিত জবাব দিতে আওয়ামী লীগ সরকার প্রস্তুত আছে।’
বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে এবং এই নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনসহ আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা।
আরও পড়ুন: নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম শিগগিরই কমবে: ওবায়দুল কাদের
মৃত তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে টানাটানি করে কোনো লাভ নেই: ওবায়দুল কাদের
শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিন: নসরুল হামিদ
সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিপরীতে শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট চাইলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও ঢাকা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নসরুল হামিদ।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে উঠান বৈঠকে এসব কথা বলেন।
এসময় নসরুল হামিদ বলেন, কেরাণীগঞ্জ এক সময় সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে পরিচিত ছিল। ঢাকার খুব কাছে হওয়ার পরেও কেরাণীগঞ্জে বিএনপি-জামায়াত জোট বা সামরিক স্বৈরাচার সরকারগুলো কোন উন্নয়ন করেনি। একারণে কেরাণীগঞ্জকে বলা হতো বাতির নিচে অন্ধকার। বিগত সরকারগুলো সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও খুনের রাজত্ব কায়েম করেছিল। সাধারণ মানুষের জানমালের কোনো নিরাপত্তা ছিলনা। বিগত সরকারগুলোর আশ্রয়-প্রশ্রয়ে রাজনৈতিক সন্ত্রাস ছিল এ এলাকার নিত্যদিনের সঙ্গী। মানুষের সাধারণ চলাচল, নিরাপত্তার মত বিষয়গুলো হয়ে পড়েছিল কঠিন। ব্যবসা-বাণিজ্য হয়ে পড়েছিল স্থবির। মানুষের মনোবল ভেঙে পড়েছিল। আমরা সেই অবস্থা থেকে সাধারণ মানুষকে বের করে এনেছি। মানুষের মধ্যে এখন আত্মবিশ্বাস ফিরে এসেছে। এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। সেকারণে সবাইকে আবারো নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে।
নসরুল হামিদ বলেন, আজ কেরাণীগঞ্জের শুভাঢ্যার মানুষের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। আজকেই প্রধানমন্ত্রী এই এলাকার মানুষের জন্য শুভাঢ্যা খাল পুনর্খনন কাজের উদ্বোধন করেছেন। এই খাল উদ্ধার হলে মানুষের চলাচলের জন্য নৌপথ যোগ হবে। অল্প খরচে ও স্বাচ্ছন্দে মানুষ চলাচলের পাশাপাশি পণ্য পরিবহন করতে পারবে।
উঠান বৈঠকে এলাকাবাসীর কথা স্থানীয় সংসদ সদস্য নসরুল হামিদ মনোযোগ দিয়ে শোনেন। মানুষের সুযোগ ও সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন।
দাবি-দাওয়াগুলো খুব শিগগিরই পূরণ হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ সদস্য মো. শাহাজাহান এর সভাপতিত্বে উঠান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ম.ই. মামুন, শুভাঢ্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসেন, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী মো. মুবিবর, শুভাঢ্যা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী বাসের উদ্দিনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
বিএনপির আন্দোলনে জনসমর্থন নেই: হাছান মাহমুদ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য দেখে মনে হচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো ইসরাইলের মতো বিএনপিকে উৎসাহিত করছে, কিন্তু বাস্তবে বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিকে কেউ সমর্থন করে না।
তিনি বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোর অবস্থান পরিষ্কার, তারা ইসরায়েলকে সমর্থন করে। একদিকে পশ্চিমা দেশগুলো মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ইসরাইলকে উৎসাহ দিচ্ছে, অন্যদিকে মির্জা ফখরুল বলছেন, তারাও (পশ্চিমা দেশগুলো) তাদের সমর্থন করছে। কিন্তু বিএনপির আন্দোলনে কারো সমর্থন নেই।
আরও পড়ুন: হেরে যাওয়ার ভয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করতে চায়: হাছান মাহমুদ
সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সোমবার (১৬ অক্টোবর) গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপির বিদেশ নির্ভরতার কথা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণের ওপর বিএনপির কোনো আস্থা নেই। তাই জনগণের দিকে না তাকিয়ে বিএনপি এখন কাকের মতো দূরদেশ থেকে কে কী বলেছে, তার দিকে তাকিয়ে আছে।
নির্বাচনের আগে সংলাপের বিষয়ে বিদেশি সুপারিশের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জনগণই ক্ষমতার মালিক। তারাই সিদ্ধান্ত নেবে কে দেশ চালাবে আর কে চালাবে না।
বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোর যে কেউ যেকোনো কিছু সুপারিশ করতে পারে, কিন্তু মানুষ কী চায় সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের কোনো প্রয়োজন বা বাধ্যবাধকতা নেই।
তিনি বলেন, চলমান সরকার নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে কাজ করবে।
ফিলিস্তিন ইস্যুতে বিএনপির নীরবতার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে। কিন্তু মানবতাবিরোধী এই অপরাধের বিষয়ে বিএনপি নীরব।
একটি বড় শক্তি অসন্তুষ্ট হতে পারে, তাই নীরব থেকে বিএনপি আসলে এই বর্বরতা, নৃশংসতা, যুদ্ধাপরাধ ও ইসরায়েলের পক্ষ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনের বিষয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করছে ইউরোপীয় দেশগুলো : ড. হাছান মাহমুদ
খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা হাছান মাহমুদের
বিএনপি শর্ত প্রত্যাহার করলে সরকার সংলাপের বিষয়ে বিবেচনা করবে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি শর্ত প্রত্যাহার করলে তবেই সরকার সংলাপের বিষয়টি বিবেচনা করবে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি বলছে যে- তারা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নির্বাচন কমিশন বাতিল চায়। বিএনপি শর্ত প্রত্যাহার করলে তবেই আমরা সংলাপের কথা ভাবব।’
আরও পড়ুন: বিএনপি উন্নয়নের সুবিধা নেয় কিন্তু প্রশংসা করতে পারে না: ওবায়দুল কাদের
রবিবার (১৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন যে, ‘আমরা কোনো শর্তসাপেক্ষ সংলাপ নিয়ে মাথা ঘামাই না।’
এর আগে আসন্ন সাধারণ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ‘কর্যকরী সংলাপ’র আহ্বান জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল।
এনডিআই'র কো-চেয়ার কার্ল এফ ইন্ডারফার্থ বলেন, ‘২০২৪ সালের জানুয়ারির নির্বাচনের অচলাবস্থা নিরসনের সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে কার্যকরী সংলাপ।’
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা (যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন দল) আমাদের সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে (অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে) কোনো আলোচনা করেনি। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং সাংবাদিকদের জানিয়েছি করেছি। সাংবাদিকরাও প্রশ্ন তোলেন। সংলাপের বিষয়ে তারা কিছু বলেননি। এখন তারা যদি মনে করে (সংলাপ প্রয়োজন) তাহলে সেটা তাদের ব্যাপার।’
বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সম্ভাব্য বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে সংঘাতের পেছনে সরকার দায়ী নয়।’
সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করব। বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেভাবেই আমরা নির্বাচন করব।’
আরও পড়ুন: মৃত তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে টানাটানি করে কোনো লাভ নেই: ওবায়দুল কাদের
ষড়যন্ত্রকারীরা প্রস্তুত হচ্ছে, আমরাও প্রস্তুত আছি : ওবায়দুল কাদের
বিএনপিকে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব আওয়ামী লীগের নয়: তাজুল ইসলাম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশে নির্বাচন করার কাজ সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের।
তিনি বলেন, এখন বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে তাদের নির্বাচনে আনার দায়িত্ব আওয়ামী লীগের নয়।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো জনকল্যাণে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, সেটাই প্রত্যাশিত।
আরও পড়ুন: বিএনপির সন্ত্রাস প্রতিরোধে কমিটি গঠন করতে হবে: তাজুল ইসলাম
শনিবার (১৪ অক্টোবর) চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্নফুলি পানি শোধনাগার প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়) হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, এক সময় চট্টগ্রামে পানির কোনো ব্যবস্থা ছিল না। পানি সরবরাহ নিয়ে ওয়াসার অবস্থা ছিল নাজুক। বর্তমান সরকার চট্টগ্রামে পানি সংকট নিরসনে একের পর এক প্রকল্প নিয়েছে। যার ফলে চট্টগ্রামে এখন পানির সমস্যা নেই।
তিনি বলেন, বিএনপি সরকার চট্টগ্রামে পানি সংকট নিরসনে কোনো প্রকল্প গ্রহণ করেনি। রাস্তায় রাস্তায় পানির জন্য কলসি মিছিল করেছে চট্টগ্রামের মানুষ। আর এখন পানির জন্য চট্টগ্রামে হাহাকার নেই।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে: তাজুল ইসলাম
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা হলো শুভংকরের ফাঁকি: তাজুল ইসলাম
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম শিগগিরই কমবে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমাতে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, খুব শিগগিরই তেল, চাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভুল বুঝবেন না। তার ওপর আস্থা রাখুন।
বিএনপি সমঝোতার সুযোগ রাখেনি: মার্কিন প্রতিনিধি দলের কাছে ওবায়দুল কাদের
শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে সোনারগাঁ থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, 'মির্জা ফখরুল বলেছেন, তারা ঢাকাকে অচল করে দেবে। আমরা বলতে চাই, বিএনপি ভবিষ্যতে দেশের মানুষের কাছে পঙ্গু হয়ে যাবে। এই নারায়ণগঞ্জই বিএনপিকে দমিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট।’
১/১১-এর মতো সরকার গঠনের ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
বিএনপিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা ভুলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার মরে গেছে, এখন ভূতে পরিণত হয়েছে।
'নির্বাচনে আসুন। অন্যথায় আপনারা সবকিছু হারাবেন।’
তিনি বলেন, ভারতে জি-২০ সম্মেলন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেলফি সবকিছু পরিষ্কার করে দেয়। বিএনপি এখন ভেতর থেকে জ্বলছে।
তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে আর কোনো সমঝোতার সুযোগ নেই। তারা জনগণের শত্রু। আওয়ামী লীগ জনগণের শত্রুর সঙ্গে আপস করবে না।
সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে: ওবায়দুল কাদের
এ সময় বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা বিভাগীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মইনুল হাসান নিখিলপ্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মৃত তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে টানাটানি করে কোনো লাভ নেই: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বলেছেন, মৃত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে নিয়ে টানাটানি করে কোনো লাভ নেই এবং তা বিরোধীদের জন্য কোনো স্বস্তিও বয়ে আনবে না।
তিনি বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন নজিরবিহীন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ হবে। এই নির্বাচনে বিএনপি না আসলে আমও যাবে, ছালাও যাবে।’
এদিন বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে দলটি এ সমাবেশ করে।
বিএনপি-জামায়াত জোটের অতীত আন্দোলনের স্মৃতিচারণ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট নির্বাচন নিয়ে খেলায় ফাউল করলে তাদের ‘লাল কার্ড’ দেখাতে হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সহিংসতামুক্ত হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, এবার কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
কাদের বলেন, পিটার হাসকে দেখিয়ে নির্বাচন বন্ধ করবেন, ঢাকা অচল করে দিবেন। নির্বাচন বন্ধ করতে আসবেন। সেই খেলা খেলতে দিবো না। সন্ত্রাসের খেলা বিএনপিকে খেলতে দিবো না।
বিএনপির চলমান আন্দোলন ও কৌশলের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিরোধী দল নিজেই পথ রুদ্ধ করায় বিএনপির ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন সফল হবে না।
তিনি বলেন, ‘ভীসা নীতি দিবেন, নিষেধাজ্ঞা দিবেন?’
জেলা দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ডা. হাসান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, ঢাকা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ঢাকা অচল করতে আসলে বিএনপিকে অচল করে দেবে ঢাকাবাসী: সেতুমন্ত্রী
বিএনপি সমঝোতার সুযোগ রাখেনি: মার্কিন প্রতিনিধি দলের কাছে ওবায়দুল কাদের
বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সহিংসতামুক্ত হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আগামী নির্বাচন সহিংসতামুক্ত হবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলকে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সহিংসতামুক্ত হবে। আমার মনে হয় না কোনো সমস্যা হবে। আমরা তাদের বলেছি যে ৮০ ও ৯০ এর দশকে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ভিন্ন। আমরা নিঃসন্দেহে তাদের বলেছি যে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (১১ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সফররত দলের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভিসা নীতিতে কাকে নিষিদ্ধ করেছে জানি না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন কীভাবে হবে, তা পর্যবেক্ষণ করতে মার্কিন প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে এসেছেন। এবার তাদের প্রতিনিধি দলের নেতা ২০১৮ সালের নির্বাচনেও এসেছিলেন।
এদিকে নির্বাচনের সময় যদি কোনো প্রার্থী নিরাপত্তাহীনতা বোধ করেন কিংবা কোনো দল বাধাগ্রস্ত হওয়ার অভিযোগ করেন, তখন কী হবে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন ঢাকায় সফররত যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল। এ ছাড়াও বিভিন্ন প্রশ্ন তারা জিজ্ঞাসা করেছেন।
আমরা বলে দিয়েছি, আমরা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড দেখেছি, এমন হত্যাকাণ্ড আর দেখিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত দেশে আসতে দেওয়া হয়নি। তিনি আবার এখানে আসার পর আবার তাকে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে।
আসাদুজ্জামান খান আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা একটি সহিংসা ও সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ গড়েছি। এখানে এখন শান্তির সুবাতাস বইছে। তিনি দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। একটি অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনিও চান, নির্বাচনের কমিশনের মাধ্যমে একটি সুন্দর নির্বাচন হোক। স্বচ্ছ ব্যালটবাক্স, ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা তিনিই প্রবর্তন করেছেন। কাজেই এখন দুর্নীতির কোনো কারণ নেই।
তারা জিজ্ঞাসা করেছেন, নির্বাচনে প্রার্থীদের নিরাপত্তা আমরা দিতে পারব কি না? বিরোধী দল নির্বাচনে এলে সঠিকভাবে তারা প্রচার চালাতে পারবে কি না। আমরা বলে দিয়েছি, নির্বাচনের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা সর্বময় ক্ষমতাধর ব্যক্তি। তার নেতৃত্বে সেই এলাকার নির্বাচন হবে। এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এমনকি প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের ক্ষমতার কথাও আমরা বলেছি।
মন্ত্রী বলেন, আমরা বলেছি, সহিংসতামুক্ত নির্বাচন পরিচালনায় পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও আনসার দায়িত্ব পালন করে। অনেকগুলো নির্বাচন পরিচালনার অভিজ্ঞতা তাদের আছে।
এই নির্বাচন কমিশন এরইমধ্যে ৫ হাজার ৩০০টি নির্বাচন পরিচালনা করেছেন। নির্বাচনের সময় নিরাপত্তা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীন থাকে। এখানকার পুলিশ সুপ্রশিক্ষিত, কীভাবে নির্বাচনকে পরিচালনা করতে হয়, তা তারা জানে। আগের মতো সহিংসতা আমাদের দেশে হয় না। এখন আমরা সহিংসতামুক্ত।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সুযোগ নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
খালেদাকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে আইনি জটিলতা রয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা হাছান মাহমুদের
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দ্রুত সুস্থ হয়ে বাসায় ফেরার জন্য দোয়া করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমি সর্বশক্তিমানের কাছে প্রার্থনা করি বেগম জিয়া যেন আগের মতো এবারও দ্রুত সুস্থ হয়ে আগের মতো বাসায় ফিরে যান।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে দুটি বইয়ের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশের বিষয়ে সাংবাদিকদের মন্তব্য জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘তারা (ডাক্তাররা) বিএনপির মতো কথা বলছে। সরকার আন্তরিক এবং বেগম জিয়া যাতে সর্বোত্তম স্বাস্থ্যসেবা পান তা নিশ্চিত করতে যা যা সহায়তা প্রয়োজন তা করছে এবং প্রয়োজনে আরও কিছু করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের যদি বাইরের ডাক্তার আনার প্রয়োজন হয় তবে তারা তা করতে পারে।’
বিএনপির কয়েকজন নেতার বিচারে সাজা হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে হাসান বলেন, ‘দেশের আদালত স্বাধীনভাবে কাজ করে, তারা স্বেচ্ছাচারী রায় দেয় না। নিম্ন আদালতের রায়ে বিএনপি নেতারা সন্তুষ্ট না হলে হাইকোর্টে যেতে পারেন। আরও দুই স্তর উচ্চ আদালত আছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু বাস্তবে দেশ বা আদালতের ওপর বিএনপির আস্থা নেই।’
তিনি বলেন, 'বেগম জিয়ার মামলায় একশ'বারের বেশি তারিখ পেছাতে হয়েছে। সে জন্যই তারা এগুলো বলে। দেশে আইন ও আদালত স্বাধীনভাবেই কাজ করে। সে কারণে আওয়ামী লীগ নেতারও বিচার হয়, শাস্তিও হয়।
যুদ্ধের নামে ফিলিস্তিনিদের জিম্মি করা কখনো সমীচীন নয়: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশ সবসময়ই যুদ্ধ ও হত্যাকাণ্ডের বিপক্ষে এবং যুদ্ধের নামে ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষকে জিম্মি করা কখনো সমীচীন নয়। এটি যুদ্ধ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক কনভেনশনেরও পরিপন্থী।'
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অর্জন প্রকাশন প্রকাশিত 'বঙ্গবন্ধু সংকলন' ও অনার্য প্রকাশনী প্রকাশিত 'সুন্দরবনের পেশাজীবী সম্প্রদায়ের সমাজ ও সংস্কৃতি' দু'টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
এসময় সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান বলেন, 'পৃথিবীর যেখানেই হোক, বাংলাদেশ সংঘাতের বিপক্ষে। আমরা সংঘাতময় পৃথিবী চাই না। আমরা শান্তি চাই। ফিলিস্তিন অঞ্চলে আজ বহু বছর ধরে দশকের পর দশক ধরে সংঘাত চলছে এবং ফিলিস্তিনিরা তাদের অধিকারের জন্য লড়াই করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার জাতিসংঘের বক্তৃতায় ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন। আমাদের সরকার সবসময় ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন এবং অনেক সময় আমরা সাহায্য সহযোগিতাও করেছি।'
তিনি বলেন, 'সেখানে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে, তাতে ফিলিস্তিন বা ইসরাইল যেখানেই হোক, সাধারণ মানুষের হত্যাকাণ্ড আমরা সমর্থন করি না। যুদ্ধের নামে গাজা স্ট্রিপে খাদ্য, পানিসহ সমস্ত কিছু সরবরাহ বন্ধ করে ফিলিস্তিনিদের যেভাবে জিম্মি করা হয়েছে, সেটি কখনো সমর্থনযোগ্য নয়। এটি যুদ্ধ সংক্রান্ত যে আন্তর্জাতিক কনভেনশন আছে, সেটির নিয়মনীতিরও পরিপন্থী।'প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া, সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার মুন্সী জালাল উদ্দিন ও অর্জন প্রকাশনীর সত্তাধিকারী আবু হাশেম মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন।