আওয়ামী-লীগ
‘বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করুন’ মন্ত্রণালয় ও ইসিকে যুবলীগের স্মারকলিপি পেশ
বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে চার দফা স্মারকলিপি পেশ করেছে ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বিকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মইনুল হোসেন খান।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি ছাড়াও বাকি দফাগুলো হলো- বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার, দণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে দেশে ফেরত এনে বিচারের রায় কার্যকর এবং বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের আত্মস্বীকৃত পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করা।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ‘এটা জনগণের কাছে পরিষ্কার যে জিয়াউর রহমানই ১৯৭৫ সালের হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী। কারণ তারাই এ হত্যাকাণ্ডের সুবিধাভোগী। তারাই বন্দুকের নল উঁচু করে দল গঠন করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের পর বাংলাদেশের জনগণের উপর এই সংগঠন যে নৃশংসতা চালিয়েছে; একাত্তরের আদলে যেভাবে সন্ত্রাস, নির্যাতন, হত্যা ও সহিংসতা করেছে; তাতে আমরা নৈতিকভাবে মনে করি এদেশে বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।’
শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, ‘দ্বিতীয়ত, আমরা জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার চাই। এটি আজকের যুব সমাজ ও প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক, উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণের ক্ষেত্রে যারা সংগ্রাম করে যাচ্ছে, সেই নাগরিকদের প্রত্যাশা। এটি না হলে প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ কলঙ্কমুক্ত হবে না। তাই জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার এখন সময়ের দাবি এবং একটি ন্যায্য দাবি বলে আমরা মনে করি। আমরা আজ এ দাবি উপস্থাপন করার জন্য এখানে এসেছি।’
আরও পড়ুন: ঢাকার প্রবেশমুখে যুবলীগের শান্তি সমাবেশ শনিবার
শেখ হাসিনার উপর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনা এবং আদালতের রায় বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ‘তিনি বিদেশ থেকেও জঘন্য কর্মকাণ্ড এবং সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত। গতকাল আমাদের যুবলীগের একজন নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। তারা ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে আমাদের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। প্রায় ২৫ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা দাবি করছি, বিএনপি-জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে।’
স্মারকলিপি পাওয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আমরা তাদের স্মারকলিপি পেয়েছি। আইন অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যা যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার আমরা নেব। আমরা সব ঘটনা অবগত আছি। ইতোমধ্যেই তারেক রহমান ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা সবকিছু করব।’
বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেনের নেতৃত্বে আরেকটি প্রতিনিধি দল ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়।
অন্যদিকে, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন স্বাক্ষরিত স্মারকলিপির অনুলিপি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: যুবলীগের ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশ ২৭ জুলাই
রাজধানীতে যুবলীগের ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশ সোমবার
তারেক-জুবাইদাকে ফিরিয়ে আনতে যা করার করব: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে যা করার করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী। এর আগে চার দফা দাবিতে যুবলীগের পক্ষে থেকে মন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়।
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন। এর মধ্যে তারেক রহমান ও জুবাইদাকে ফিরিয়ে আনার দাবিও রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী দেশকে জঙ্গিবাদ থেকে শান্তির দেশে পরিণত করেছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য অর্থনৈতিক বিষয়গুলো তুলে ধরুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, বিদেশিরা আপনার মঙ্গল চায় না। তারা এখানে অশান্তি চায়। দেশ যদি দুর্বল হয় তাদের অনেক সুবিধা হয়। তাই তারা দুর্বল করতে চায়। দেশের উন্নয়ন দেশের মানুষ ও সরকার করবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই চাই একটি সুন্দর, শান্তিময়, উন্নত, সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ। আর সেকারণে অর্থনৈতিক ইস্যুগুলোকে আগামী নির্বাচনের জন্য মূল প্রতিপাদ্য করে কথা বলা প্রয়োজন।’
বুধবার (৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট (বিএসটি) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়নের গতি-প্রকৃতি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আগামীতে নির্বাচনের আলোচ্য ইস্যু হিসেবে অর্থনৈতিক ইস্যুগুলো তুলে ধরুন। কারণ এইগুলো হচ্ছে আমাদের ভবিষ্যৎ।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংগুলোতে বাংলাদেশের রাজনীতি, নির্বাচন নিয়ে তাদের অনেক আগ্রহ দেখা যায়, কিন্তু প্রায় শ’খানেক দেশে সম্প্রতি নির্বাচন হয়েছে। আগামীতেও হবে সেগুলো নিয়ে তাদের কোনো আলোচনা থাকবে না। এর একটি অর্থ হচ্ছে আমাদের দেশের অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে তাই সবার আকর্ষণও বেড়েছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগ জনগণের উপর বিশ্বাস করি। জনগণের রায়েই আমাদের অবস্থান সুদৃঢ় হবে। আমাদের দেশের সাম্প্রতিক যে উন্নয়ন এবং তার ধারাবাহিকতা কীভাবে বজায় রাখা যায় সেই ইস্যুগুলো তুলে ধরা জরুরি। যেহেতু সামনে নির্বাচন, এখন এসব বিষয় আলোচনায় আসা উচিত।’
বিএনপির শাসনামলের তুলনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘২০০১ থেকে ২০০৬ আমাদের অর্থনীতির অবস্থা কেমন ছিল, আমাদের সামাজিক অবস্থা কী ছিল, আমাদের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি কতটুকু বিস্তৃত ছিল, আমাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে কী রকম অগ্রগতি ছিল। এগুলোর সঙ্গে ২০০৯ থেকে ২০২৩ এর অগ্রগতির তুলনামূলক বিচার করে দেখুন।’
ড. মোমেন বলেন, ‘রাজনীতি হলো দেশের মানুষের মঙ্গলের জন্য - যদি তাই হয় তাহলে কাকে আপনি যুক্তিযুক্তভাবে সঠিক নেতৃত্ব মনে করেন, সেটা আপনাকেই বিচার করতে হবে।’
তিনি উন্নয়নের জন্য স্থিতিশীলতার উপর জোর দিয়ে বলেন, ‘যে সমস্ত দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আছে, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা আছে সেসব দেশে উন্নয়ন সবচেয়ে বেশি হয়।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেশে মারামারি কাটাকাটি চাই না, শান্তি স্থিতিশীলতা চাই। আমরা দেশে এবং এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাই। আমরা যদি শান্তি, স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারি তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।
আরও পড়ুন: বিএনপি বাংলাদেশে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছে, তাদের প্রতিহত করুন: কাদের
এসময় ইয়েমেনে ১৮ মাস অপহৃত থাকার পর জাতিসংঘের কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল সুফিউল আনামের উদ্ধার হওয়ার সুসংবাদ দেন তিনি।
বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. উত্তম কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী।
সেমিনারে আলোচকদের মধ্যে বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মিল্টন বিশ্বাস, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বাহাদুর বেপারি, সম্প্রীতি বাংলাদেশ- এর সদস্য সচিব প্রফেসর ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল), দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার- এর সম্পাদক ড. খান আসাদুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. ফারুক শাহ, সাবেক রাষ্ট্রদূত আব্দুল হান্নান প্রমুখ।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক টি এইচ এম জাহাঙ্গীর। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান লিটু।
আরও পড়ুন: অসহিষ্ণুতা থেকে সহিংসতা-সন্ত্রাসের উৎপত্তি: মোমেন
বিএনপি-জামায়াত সহিংসতা ছাড়া কিছুই বোঝে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা এখনো জনগণকে জিম্মি করে নানাভাবে হয়রানির চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা ও গুলি ছাড়া কিছুই বোঝে না।
২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে এবং চলাকালীন সহিংসতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। অগ্নিসংযোগসহ তারা মানুষকে জিম্মি করে বিভিন্নভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: আরও ১২ জেলা ও ১২৩ উপজেলাকে গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আরও ১২টি জেলা ও ১২৩টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা এবং আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় দরিদ্রদের মধ্যে ২২ হাজার ১০১টি ঘর বিতরণের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার জনগণের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা জানি আমাদের একটি বিরোধী দল আছে। তারা মানুষ হত্যা, অগ্নিসংযোগ সহিংসতা, বাস ও ট্রেনে অগ্নিসংযোগ, পুলিশকে আক্রমণ এবং সাধারণ মানুষকে হত্যার মতো অপকর্ম করে।
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বাড়ি বিতরণের সময় প্রধানমন্ত্রী কার্যত তিনটি স্থানের সুবিধাভোগী এবং স্থানীয় জনগণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
তিনটি স্থান হলো- খুলনার তেরখাদা উপজেলায় বারাসত সোনার বাংলা পল্লী আশ্রয়ণ প্রকল্প সাইট, পাবনার বেড়া উপজেলায় চাকলা আশ্রয়ন-২ প্রকল্প সাইট এবং নোয়াখালী জেলার অন্তর্গত বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানুল্লাহপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প সাইট।
দেশের বিভিন্ন জেলায় ২২ হাজার ১০১টি বাড়ির চাবি ও ২ দশমিক ২ শতাংশ জমির মালিকানা দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ছাড়া প্রায় ১ লাখ ১৫,০০০ লোককে বাড়িতে পুনর্বাসন করা হচ্ছে।
১২টি জেলা ও ১২৩টি উপজেলা নিয়ে সারাদেশে এ পর্যন্ত মোট ২১টি জেলা ও ৩৩৪টি উপজেলা গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত হয়েছে।
ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার হওয়ার গৌরব অর্জনকারী ১২টি জেলা হলো- মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ময়মনসিংহ, শেরপুর, দিনাজপুর, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, কুষ্টিয়া, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
আরও পড়ুন: আরও ৩৯,৩৬৫টি গৃহহীন পরিবারের হাতে ঘর-জমি তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
সকল গৃহহীন মানুষের ঘর নিশ্চিত করতে কাজ করছি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ ওবায়দুল কাদেরের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
মন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ওবায়দুল কাদের বুধবার সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের
এ সময় ওবায়দুল কাদেরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাবৃন্দ। অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, নিজাম উদ্দিন হাজারী।
সেতু বিভাগের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ জানান, সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ১১ আগস্ট তিনি দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে দেশে ফিরলেন কাদের
বিএনপি বাংলাদেশে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছে, তাদের প্রতিহত করুন: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রকে নিরাপদ রাখতে এবং অসাম্প্রদায়িক মানবতাবোধকে বাচিয়ে রাখতে হলে বিএনপি নামক অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে।
মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) সকালে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৪ তম জন্মদিনে বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, পঁচাত্তর থেকে যে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি এ দেশে শুরু হয়েছে সেই ধারাবাহিকতায় ১৫ আগস্ট, ৩রা নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর সহচর জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ড, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রনেড হামলা যার প্রধান টার্গেট ছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আইভি রহমানসহ ২৩ জনের জীবন চলে গেল। এই সমুদয় ইতিহাসের পেছনে একটা দল বিএনপি। এই দল দলটি বাংলাদেশে হত্যা, ষড়যন্ত্রের হোতা।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক কোনো চাপে নেই আওয়ামী লীগ: কাদের
ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব আমাদের ইতিহাসের এক অসাধারণ ত্যাগী বিজয়লক্ষ্মী নারী। আজ তার ৯৪ তম জন্মদিন। জন্মের আনন্দ যখন বেদনার অশ্রুতে তখন সে এক অনির্বচনীয় অনুভূতি। যার কোনো প্রকাশ নেই।
তিনি বলেন, বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা এই যে উত্তরণ; বঙ্গবন্ধুর জীবনে সংগ্রাম, স্বাধীকার থেকে স্বাধীনতার সংগ্রাম- এই সকল সংগ্রামে বেগম মুজিব শুধু বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী নয়, তিনি ছিলেন এক নিবেদিতপ্রাণ সহযোদ্ধা।
কাদের আরও বলেন, তিনি ছিরেন বঙ্গবন্ধুর একেবারে কাছের একজন সহকর্মী। সংকটে সংগ্রামে পেছন থেকে যিনি বঙ্গবন্ধুকে প্রেরণা ও শক্তি দিয়েছেন, এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।
আরও পড়ুন: গয়েশ্বরের ডিবি অফিসে দুপুরের খাবার খাওয়ার ভিডিও ছড়ানোতে কোনো দোষ দেখেন না কাদের
আ. লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে অসাধ্য সাধন করতে পারে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে অসাধ্য সাধন করতে পারে; অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে। রংপুরের জনসভাই তার প্রমাণ।
শনিবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে তার দলীয় সাংগঠনিক দায়িত্বভুক্ত রংপুর বিভাগের সংসদ সদস্য, জেলা-উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ইসির সক্ষমতায় বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আশ্বস্ত: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, গত ২ আগস্ট রংপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসভায় পুরো শহর জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল।
তাতে যে দুইটি বিষয় প্রমাণ হয়েছে, তা হলো- রংপুর আজও অন্য কারও নয়; আওয়ামী লীগের ঘাঁটি এবং আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে অসাধ্য সাধন করতে পারে। অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে। এই জনজোয়ার ধরে রাখতে হবে।
বিএনপির সাম্প্রতিক কর্মসূচির বিষয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বিএনপি কয়েকদিন আগে সরকারকে ধাক্কা দিতে গিয়ে পুলিশ ও আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা-নাশকতা করে শেষে পালিয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, দুর্মুখেরা এখন বিএনপির নাম দিয়েছে ‘বাংলাদেশ নাশকতা পার্টি।
এর পাশাপাশি সম্প্রতি কানাডার আদালত পঞ্চমবারের মতো বিএনপিকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে রায় দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রায়ের ব্যাখ্যায় তারা বলেছে একটি নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য বিএনপি মানুষের ওপর হামলা, গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানোসহ সন্ত্রাসে লিপ্ত।
তিনি বলেন, সে কারণে বিএনপির কোনও সদস্যকে কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া যাবে না। বিএনপির মুখে এ নিয়ে কোনও কথা নেই।
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সম্প্রতি তাদের একটি বিবৃতিতে বিরোধী দলের বিক্ষোভে বলপ্রয়োগ না করার জন্য বলে। কিন্তু তারা বিরোধী দলকে মানুষের ওপর হামলা, গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানোর বিষয়ে কিছু বলেনি।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের আগের সেক্রেটারি জেনারেল আইরিন খান ছিলেন তারেকের বেয়াইন। সুতরাং, সেই সংগঠন কোনদিকে বলবে, তা সহজেই অনুমেয়।
মন্ত্রী বলেন, যে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এ দেশে জীবন্ত মানুষ ও গাড়ি-ঘোড়া পোড়ালে বা ফিলিস্তিনি শিশুদের ঢিল ছোঁড়ার জবাবে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিবর্ষণে পাখির মতো মানুষ হত্যার বিরুদ্ধে কোনও বিবৃতি দেয় না; তাদের বিবৃতি কাগজের টুকরো ছাড়া কিছু নয়।
তিনি বলেন, এই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালই মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের জন্য বিবৃতি দিয়েছিল। অর্থাৎ এটি একটি পক্ষপাতদুষ্ট মূল্যহীন সংগঠনে পরিণত হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, রংপুর বিভাগের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা সভায় বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ছায়াকেও ভয় পেতেন খুনিরা: তথ্যমন্ত্রী
তারেক-জুবাইদার বিচারের রায় স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল ৩ দিনের ভারত সফরে যাচ্ছে
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে রবিবার (৬ আগস্ট) তিন দিনের সফরে ভারতের নয়াদিল্লি যাচ্ছে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল।
শনিবার (৫ আগস্ট) আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী জানান, ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির আমন্ত্রণে দেশটিতে সফরে যাচ্ছে প্রতিনিধি দলটি।
প্রতিনিধি দলে আরও রয়েছেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, নির্বাহী কমিটির সদস্য মেরিনা জাহান ও সংসদ সদস্য আরমা দত্ত।
আরও পড়ুন: জি-২০ উন্নয়ন মন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিতে ভারত সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এই সফরে প্রতিনিধি দলটি ভারতের সরকার ও বিজেপির প্রতিনিধিদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে মিলিত হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
এছাড়া বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডাসহ রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক হবে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলটির।
আরও পড়ুন: ৩ দিনের ভারত সফর শেষে দেশে ফিরেছেন সেনাপ্রধান
৪ দিনের ভারত সফর শেষে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর ছায়াকেও ভয় পেতেন খুনিরা: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের খুনিরা শুধু বঙ্গবন্ধু নয়, বঙ্গবন্ধুর ছায়াকেও ভয় পেতেন।
তিনি বলেন, সেই কারণেই তারা মেধাবী তরুণ শেখ কামালসহ জাতির পিতার পরিবারের যতজনকে পেয়েছেন, সেই রাতে হত্যা করেছেন।
আরও পড়ুন: ইসির সক্ষমতায় বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আশ্বস্ত: তথ্যমন্ত্রী
শনিবার (৫ আগস্ট) বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠপুত্র শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, দুঃখের বিষয় বিএনপির মিছিলে এখনো “পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে ওঠো আরেকবার” স্লোগান দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমেই তারা স্বীকার করে নিচ্ছেন যে, তাদের নেতা জিয়াউর রহমান ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার ভুয়া জন্মদিনে কেক কাটা সেই নির্মম হত্যাকাণ্ডকেই উপহাস করা।
তিনি আরও বলেন, দেশ থেকে এই অপরাজনীতি চিরদিনের জন্য বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মেধাবী তরুণ শেখ কামাল মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে জীবন বাজি রেখে দেশমাতৃকার জন্য লড়েছিলেন।
তিনি বলেন, বহু গুণে গুণান্বিত ক্রীড়া ও রাজনৈতিক সংগঠক, সংস্কৃতিকর্মী, ক্রিকেটার শেখ কামাল প্রতিষ্ঠিত আবাহনী ক্লাব দেশে আধুনিক ফুটবলের প্রবর্তক।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই মেধাবী তরুণ শেখ কামাল বেঁচে থাকলে পরে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়াসহ জাতিকে অনেক কিছু দিতে পারতেন।
তিনি আরও বলেন, এমন এই মেধাবী তরুণকে মাত্র ২৬ বছর বয়সে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যা করা হয়েছিল। আমরা তার আত্মার চিরশান্তি কামনা করি।
আরও পড়ুন: তারেক-জুবাইদার বিচারের রায় স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আবারও আন্তর্জাতিকভাবে প্রমাণিত: তথ্যমন্ত্রী
দেশের রাজনীতিতে বিএনপি ভয়ঙ্কর বিষফোঁড়া: কাদের
দেশের রাজনীতিতে বিএনপি ‘ভয়ঙ্কর বিষফোঁড়া’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘দেশের রাজনীতিতে বিএনপি হচ্ছে ভয়ঙ্কর বিষফোঁড়া। এই বিষফোঁড়া যতদিন আছে ততদিন হত্যা, ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস, যত প্রকার অশান্তি, অস্থিরতা, সবকিছু থাকবে। কারণ এসবের মূলহোতা বিএনপি।’
শনিবার রাজধানীর বনানীতে জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকীতে তাকে শ্রদ্ধার জানানোর পর তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিদেশি বন্ধুদের সমর্থন চেয়ে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশে জাতীয় যত রক্তাক্ত ট্রাজেডি তার মূলে রয়েছে জিয়া পরিবার। পঁচাত্তর তাদেরই সৃষ্টি। এর মাস্টার মাইন্ড জিয়াউর রহমান। ৩ নভেম্বরের হোতাও তিনি। একুশে আগস্টের মাস্টার মাইন্ড তার ছেলে তারেক রহমান। মূলত এই পরিবার বাংলাদেশের রাজনীতিতে হত্যা, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছে।
বিএনপি দেশে আবারও সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছে। তারা নির্বাচন নয়, পেছনের দরজা দিয়ে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে চোরাগলি পথে ক্ষমতায় যেতে চক্রান্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: খেলা হবে তারেক ও হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে: ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল বলছেন আওয়ামী লীগকে গুগলি মেরে বোল্ড আউট করে ফেলেছে। গুগলি তো করেছেন, বলতো নো বল। নো বলে গুগলিও হবে না, বোল্ড আউটও হবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজ শহীদ শেখ কামালে জন্মদিন। মানুষের জন্মদিন কতই আনন্দের, কিন্তু আমাদের জীবনে আজ শোকের বার্তা বয়ে যাচ্ছে।