আওয়ামী-লীগ
অসহিষ্ণুতা থেকে সহিংসতা-সন্ত্রাসের উৎপত্তি: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহনশীলতা জাগ্রত করতে পারলে জাতির মধ্যে স্থায়ী শান্তি আসতে পারে।
তিনি বলেন, আসুন আমরা এমন একটি লক্ষ্য অর্জনের জন্য একসঙ্গে কাজ করি।
পররাষ্টমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতপক্ষে এখানে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সব দেশ ও জাতির শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান প্রয়োজন।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) ঢাকার সবুজবাগে অনুষ্ঠিত “বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বৌদ্ধ ধর্ম ও বৌদ্ধ সার্কিট উন্নয়ন” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন।
মোমেন বলেন, বৌদ্ধ সংগঠন এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ভগবান বুদ্ধের শিক্ষা শান্তিপূর্ণ সমাজ ও অঞ্চলের জন্য অমূল্য ভিত্তি হতে পারে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব সময় বিশ্বাস করতেন যে উন্নয়নের জন্য শান্তি অপরিহার্য।
বঙ্গবন্ধুর দর্শন অনুসরণ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তির শক্তিশালী প্রবক্তা হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: ইসিতে অডিট রিপোর্ট: গত বছর আ. লীগের উদ্বৃত্ত ২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সবার শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
এ ছাড়া তিনি শান্তির সংস্কৃতি শিরোনামে জাতিসংঘের একটি প্রস্তাব প্রচার করেছিলেন।
তিনি বলেন, সহিংসতা, সন্ত্রাসবাদ ও যুদ্ধ অন্যদের প্রতি অসহিষ্ণুতা ও অসম্মানের মানসিকতা থেকে সৃষ্টি হয়।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সব ধর্মের মানুষ একে অপরকে ভালোবাসে, সহানুভূতিশীল, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সমর্থন করে।
তিনি বলেন, দেশের প্রতি তাদের গভীর অনুরাগ স্পষ্ট। কারণ তারা সম্মিলিতভাবে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন।
মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছেন। তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচার করছেন। আমরা বৈষম্য করি না।’
মোমেন আরও বলেন, বাংলাদেশে সব ধর্মের প্রতি সমান আচরণ করা হয়।
তিনি বলেন, বৌদ্ধধর্ম হলো বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম ধর্ম। যার অনুসারী ৫২০ মিলিয়নেরও বেশি। বা বিশ্ব জনসংখ্যার ৭ শতাংশেরও বেশি। বাংলাদেশে প্রায় ১০ মিলিয়ন বৌদ্ধ বসবাস করেন।
তিনি বলেন, মূল শিক্ষার উপর ভিত্তি করে বৌদ্ধধর্ম বিভিন্ন ঐতিহ্য, বিশ্বাস ও আধ্যাত্মিক অনুশীলনগুলিকে ধারণ করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ বৌদ্ধ। বৌদ্ধ জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশের বেশি পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে কেন্দ্রীভূত।
মোমেন বলেন, দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে বৌদ্ধধর্মের ঐতিহাসিক ভিত্তি ও উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক পরিক্রমা রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়া বৌদ্ধ ধর্মের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়নে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। যা দুই দেশের মধ্যে জনগণের যোগাযোগ ও বন্ধনকে আরও গভীর করতে পারে।
মোমেন এই ক্ষেত্রে আরও সম্পৃক্ততার জন্য পাঁচটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবের উপর জোর দেন।
তিনি বলেন, বৌদ্ধধর্ম ও এর ঐতিহ্যকে দেশগুলোর মধ্যে 'বন্ধুত্বের' মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার কো প্রয়োজন।
এ জন্য তিনি বলেন, এসব ঐতিহ্যের সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও প্রচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, এটি শুধু আধ্যাত্মিক অনুসারীদের জন্যই নয়। যারা দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য অনুসন্ধান করতে আগ্রহী তাদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
মোমেন বলেন, যদিও আমরা দ্বিপাক্ষিকভাবে কাজ চালিয়ে যেতে পারি তাহলে আমাদেরও দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একটি আঞ্চলিক-স্তরের পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য এই অঞ্চলের বৌদ্ধ ঐতিহ্যের সম্ভাবনাকে উন্মোচন করতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এটিকে সম্প্রসার করতে হবে।
তিনি বলেন, সার্ক ও বিমসটেকের মতো আঞ্চলিক সংস্থাগুলোর মধ্যে কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। যাতে এই অঞ্চলে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও প্রচারের উপায় বের করা যায়। বিশেষ করে বৌদ্ধ ধর্মের দর্শন প্রচার করা।
আরও পড়ুন: বিএনপির ‘সহিংসতার’ বিরুদ্ধে ১৪ দলের সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি
মোমেন বলেন, এ অঞ্চলের সামগ্রিক টেকসই উন্নয়নের পরিপূরক হিসেবে টেকসই পর্যটন উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করতে হবে।
তিনি বৌদ্ধ ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রচার সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা, সর্বোত্তম অনুশীলন এবং চ্যালেঞ্জগুলো ভাগ করে নেওয়ার জন্য দক্ষিণ এশিয়ায় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং পর্যটন উন্নয়নের উপর নিয়মিত আঞ্চলিক ফোরাম এবং সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তাব করেন।
থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক এবং বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন তাদের যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বিশেষ দূত সাবের হোসেন চৌধুরী এবং বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি বুদ্ধপ্রিয় মহাথেরো প্রমুখ।
আরও পড়ুন: আ. লীগ কখনো জনগণকে ছেড়ে পালায় না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে উৎসবমুখর পরিবেশ রংপুরে
বুধবার রংপুরে একটি জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি উত্তরাঞ্চলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জনসভা হবে বলে মনে করেন দলটির নেতারা।
মঙ্গলবার রংপুর জিলা স্কুল মাঠে বিভাগীয় জনসভার প্রস্তুতি পর্যালোচনা করে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে একটি আগাম প্রতিনিধি দল।
দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন শেষে কাদের বলেন, ‘রংপুরে এটিই হতে যাচ্ছে সবচেয়ে বড় জনসভা।’ ‘এখানকার মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে এবং তার কথা শোনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।’
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা বিকাল ৩টায় জনসভায় ভাষণ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বুধবার দুপুর দেড়টায় হেলিকপ্টারযোগে বিকাল সাড়ে ৩টায় রংপুরে পৌঁছার কথা রয়েছে তার। তারপর তাকে জনসভাস্থলের একটি বড় নৌকা আকৃতির মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হবে।
সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং প্রায় ১ হাজার ২৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারসহ পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির ‘সহিংসতার’ বিরুদ্ধে ১৪ দলের সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি
প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উচ্ছ্বসিত।
জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শোনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন এ অঞ্চলের সর্বস্তরের মানুষ।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের সমর্থনের ওপর নির্ভরশীল। সুতরাং, আমরা অস্ত্রের ওপর নয় জনগণের উপর নির্ভরশীল। আমরা সন্ত্রাসবাদে বিশ্বাস করি না। আমাদের শক্তি দেশের জনগণ।’
আরও পড়ুন: ইসিতে অডিট রিপোর্ট: গত বছর আ. লীগের উদ্বৃত্ত ২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা
তিনি আরও বলেন, তাদের লক্ষ্য হচ্ছে দেশকে দুর্বৃত্ত, স্বৈরাচারী, অর্থপাচারকারী, জঙ্গি ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির হাত থেকে রক্ষা করা। ‘আমরা আমাদের মাতৃভূমি এই ধরণের লোকদের হাতে তুলে দিতে পারি না। এটি আমাদের প্রতিশ্রুতি।’
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত শত শত অস্থায়ী গেট, ফেস্টুন, ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও পোস্টারে সাজানো হয়েছে পুরো রংপুর।
আরও পড়ুন: আ. লীগ কখনো জনগণকে ছেড়ে পালায় না: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আবারও আন্তর্জাতিকভাবে প্রমাণিত: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি যে সন্ত্রাসী সংগঠন, তা আবারও আন্তর্জাতিকভাবে প্রমাণিত হলো।
মঙ্গলবার (০১ আগস্ট) দুপুরে রংপুরে বাংলাদেশ টেলিভিশন কেন্দ্র প্রকল্পস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মন্ত্রী। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ইতোপূর্বে বিএনপির কয়েকজন সদস্য যখন কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছিলেন। কানাডার একটি আদালত সেসময় তাদের রায়ে বলেছিলেন, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন এবং তারা গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে বল প্রয়োগ করে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাইছে এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। তারা গাড়ি-ঘোড়া ও মানুষ পোড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন: সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন, ইইউ-মার্কিন সফর ইতিবাচক: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, এরপর আবার কয়েক দিন আগে বিএনপির আরেকজন সদস্য সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন এবং সে ক্ষেত্রে কানাডার ফেডারেল আদালত আবার একই রায় দিয়েছেন যে বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। সুতরাং তাদেরকে আর রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া যাবে না এবং এই মর্মে তার আবেদন তারা খারিজ করে দিয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির লজ্জা থাকা উচিত যে কানাডার আদালত পঞ্চমবারের মতো তাদেরকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিলো এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও এভাবে যখন বিএনপি সদস্যরা আবেদন করেছে, অনেক জায়গাতেই প্রায় অনুরূপ মন্তব্য করেছে।
বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান ও ডিবি কার্যালয়ে গয়েশ্বর রায়কে সরকারের পক্ষ থেকে উন্নত খাবার ও সেবাদান নিয়ে বিএনপির বিরূপ মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, এটি আওয়ামী লীগের শিষ্টাচার এবং ১৫ বছর তাদের আদর করা হয়নি সেটি সঠিক নয়। যখনই তারা গ্রেপ্তার হয়েছে, তাদের ডিভিশন দেওয়া হয়েছে এবং কারাগারের মধ্যে যতটুকু সম্ভব ভালো রাখা যায়, সে চেষ্টা সব সময় করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এবং আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে অনেক নেতা যখন গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাদের খোঁজখবর নিয়েছি, যাতে কোনো অসুবিধা না হয়।
হাছান বলেন, এটি আমাদের দলের শিষ্টাচার, যা আমাদের আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিখিয়েছেন। এই শিষ্টাচার বিএনপির মধ্যে নাই, এর মর্মও তারা বোঝে না।
সেই সঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ বেগম মতিয়া চৌধুরীকে রাসেল স্কোয়ারে টানাহেঁচড়া করেছে, আমাদের জ্যেষ্ঠ নেতা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে পুলিশ লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে। তাদের সেবা-শুশ্রূষা তো দূরের কথা, কোনো কিছুই করা হয়নি।
বিপরীতে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা যেটি করেছেন, এটি রাজনৈতিক শিষ্টাচার। এটির প্রশংসা আমানউল্লাহ আমান নিজেও করেছেন। আবার বের হওয়ার পর ভোল পাল্টিয়েছেন।
সোমবারের সমাবেশ প্রসঙ্গে হাছান বলেন, তারা নিজেরাই তো বোল্ড-আউট হয়েছে। বিএনপি ঢাকা অবরোধ করতে চেয়েছিল, সেখান থেকে পালিয়েছে। সোমবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের জনসভা দেখে আমার নিজেরই লজ্জা লাগলো যে, ফাঁকা মাঠ, বিএনপির জনসভায় মানুষ এতো কম কেন!
এর আগে বিটিভি রংপুর কেন্দ্র প্রকল্প নিয়ে বলেন, আমাদের সরকার প্রত্যেকটি বিভাগে টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সে জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, একনেকে অনুমোদন হয়েছে।
তিনি বলেন, রংপুর বিভাগেও বাংলাদেশ টেলিভিশনের একটি পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্র স্থাপনের কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। সেটি হলে এখানকার শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী সবাই সংস্কৃতির নানা বিষয়ে তাদের দক্ষতা সারা দেশে তুলে ধরার সুযোগ পাবে এবং স্থানীয় কৃষ্টি-সংস্কৃতিকেও তুলে ধরার সুযোগ পাবে।'
আরও পড়ুন: ইসির সক্ষমতায় বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আশ্বস্ত: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির ‘ আগুনসন্ত্রাস’ বন্ধ করতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
আ. লীগ কখনো জনগণকে ছেড়ে পালায় না: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ দেশ ছেড়ে পালানোর পথ পাবে না বিএনপি নেতাদের এমন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগ কখনো পালায় না।
আরও পড়ুন: ২৮ কর্মকর্তা ও ২ প্রতিষ্ঠানকে 'বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পুরস্কার' দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষক লীগ আয়োজিত ‘স্বেচ্ছায় রক্তদান শীর্ষক’ এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিরোধী দলের কাছ থেকে আমরা শুনছি যে- আমরা (আওয়ামী লীগ) না কি পালানোর পথ পাবো না। তারা সংসদে না থাকায় যদিও তাদের বিরোধী দল বলা যায় না- তবুও আমি মনে করিয়ে দিতে চাই, শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগ কখনও পালায়নি এবং কখনও পালাবেও না।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাদের প্রভু জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন। এরপর এরশাদ ও খালেদা জিয়া চেষ্টা করেও সফল হয়নি।
তিনি বলেন, খালেদা তার শাসনামলে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যার মতো ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের প্রায় ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়। অনেকের ওপর নির্যাতন করা হয়। বাড়ি-ঘর দখল করাসহ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা এমন অপকর্ম করেও টিকতে পারেনি।
খালেদার ছেলে তারেক রহমান আর রাজনীতি করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে ২০০৭ সালে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন যাদের দলের নেতা সাজাপ্রাপ্ত, তারাই এখন বড় বড় কথা বলছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হুমকি ও কঠোর বাধা সত্ত্বেও তিনি দেশে ফিরে আসেন।
তিনি বলেন, আপনারা (বিএনপি নেতারা) ইতিমধ্যে পলাতক রয়েছেন। একজন দণ্ডিত পলাতক আসামির তত্ত্বাবধানে তারা এত বড় মন্তব্য করতে পারে কীভাবে?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে।
২০১৩, ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে সংঘটিত অগ্নিসংযোগ এবং আ.লীগ নেতাকর্মীদের ওপর বিএনপি কর্তৃক অত্যাচারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা যদি এক শতাংশ প্রতিশোধ (এসব অপকর্ম) নিতাম, এখন আপনার হদিস পাওয়া যাবে না। আমরা প্রতিশোধে বিশ্বাস করি না।
শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং অন্যান্য যারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শহীদ হন তাদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষকলীগের সভাপতি সমীর চন্দ। এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, বেগম মতিয়া চৌধুরী ও মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: রংপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী
আন্দোলনে আপত্তি নেই, জ্বালাও-পোড়াও সহ্য করব না: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপির ‘সহিংসতার’ বিরুদ্ধে ১৪ দলের সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি
বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতা ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে আগামী বুধবার (২ আগস্ট) থেকে সপ্তাহব্যাপী সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট।
সোমবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর নিউ ইস্কাটনের বাসভবনে জোটের বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু।
আমির হোসেন আমু বলেন, আগামী ২ আগস্ট থেকে আমরা (১৪ দল) মাঠে নামবো। সাতদিনের কর্মসূচি আছে। আগামীকাল কর্তৃপক্ষের কাছে দেবো। অনুমোদন সাপেক্ষে সপ্তাহব্যাপী এ কর্মসূচি চলবে।
তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি বিএনপি সংবিধান পরিবর্তনের কথা বলছে। সাংবিধানিক ধারা ব্যাহত করে অন্যধারা প্রবর্তন করতে চায় তারা। তবে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যে শর্ত দিক মানবো। কিন্তু সাংবিধানিক ধারা ব্যাহত করে সংবিধান পরিবর্তন করতে চাইলে সুযোগ দেবো না।
আরও পড়ুন: ১৪ দলের বাম শরিকরা রাষ্ট্রীয় সফরে চীন গেলেন
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আমির হোসেন আমু বলেন, ‘যারা আলোচনায় বিশ্বাসই করে না, সরকার উৎখাতের কথা বলে, তাদের সঙ্গে কিসের সংলাপ? যারা রাজনৈতিক ধারা, সংবিধানের ধারায় বিশ্বাস করে না তাদের সঙ্গে কি কারণে বসব? সাংবিধানিক ধারা মোতাবেক দেশ যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে, সেইভাবে পরিচালনার জন্য প্রস্তুতি চলছে।’
বৈঠকে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাধারন সম্পাদক শিরিন আখতার, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, গণতান্ত্রিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ওয়াজেদুল ইসলাম খান, গণ আজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস কে সিকদার,বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সভাপতি জাকির হোসেন, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ফারুক, জাতীয় পার্টি জেপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এনামুল হক রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল খায়ের সিদ্দিকী আবু সহ ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ১৪ দলের সমাবেশ শনিবার
মঙ্গলবার ঢাকায় শান্তি সমাবেশ করবে ১৪ দল
আ. লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটি অনুমোদন
আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৩১ জুলাই) রাতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে এই কমিটির অনুমোদন দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদকে। সদস্য সচিব হিসেবে আছেন আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান।
উপকমিটিতে ৮৬ জন সদস্য রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৭ বছর পর চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন
চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের গণসমাবেশ: পোলো গ্রাউন্ডে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
কুমিল্লা সিটি নির্বাচন: আওয়ামী লীগের রিফাত মেয়র নির্বাচিত
ইসির সক্ষমতায় বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আশ্বস্ত: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সংবিধানের আলোকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সুষ্ঠু নির্বাচন করার সক্ষমতা নিয়ে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আশ্বস্ত বলে প্রতীয়মান হয়েছে।
সোমবার (৩১ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
নির্বাচন পর্যবেক্ষক যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিশ্লেষক টেরি এল. ইজলে ও আয়ারল্যান্ডের ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিষয়ক রিপোর্টার নিক পাওয়েল ও ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যান আবেদ আলী, পরিচালকদের মধ্যে অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ, ড. আজাদুল হক, মোহাম্মদ ইকবাল বাহার এবং আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বৈঠকে যোগ দেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। আগামী নির্বাচন নিয়ে তারা নানা প্রশ্ন করেছে বিশেষ করে আগামী নির্বাচন করার লক্ষ্যে সরকার কী প্রস্তুতি নিচ্ছে বা নির্বাচন কমিশনের কী পরিস্থিতি, সেগুলো তারা আলোচনা করেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে দলের মধ্যে বড় বিস্ফোরণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, আমি তাদের জানিয়েছি নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবং নির্বাচনকালে বর্তমান সরকার শুধু ফ্যাসিলিটেটরের ভূমিকা পালন করবে।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর মাঠ প্রশাসন, পুলিশ, জনপ্রশাসন এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যেগুলো নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত হয় তাদের উপর সরকারের কর্তৃত্ব থাকে না। সরকার নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ব্যতিরেকে কোনো কর্মকর্তাকে বদলি বা কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমার ধারণা, তারা বুঝতে পেরেছে যে, বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশনের অধীনে বর্তমান সংবিধানের আলোকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ সুন্দর নির্বাচন করা সম্ভব এবং নির্বাচনকালে সরকারের ভূমিকা গৌণ এবং নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাই বেশি।
তিনি বলেন, তারা জেনেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাচন কমিশন যে কতো শক্তিশালী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে, যেমন সরকারি দলের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন তারা বাতিল করেছিল। সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলো অত্যন্ত সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ হয়েছে এবং ভোটারদের অংশগ্রহণ ৫০ শতাংশের বেশি ছিল।
সেখানে একজন প্রার্থীর গায়ে একটি ঘুষি লেগেছে যা সমীচীন হয়নি। কিন্তু যে ঘুষি দিয়েছে তাকেসহ আশেপাশের অনেককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকা-১৭ আসনে একজন প্রার্থীকে যারা হেনস্তা করেছিল সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ৫০ জনের বেশি মৃত্যুবরণ করেছে।
বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির বেশির ভাগ নেতারাই নির্বাচন করতে চায়। বিএনপি এমন একটি দল যে দলের কাউকে ইউনিয়ন পরিষদ বা সিটি কর্পোরেশন কোনো নির্বাচনই করতে দিচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, অথচ তাদের দলের প্রায় সবাই নির্বাচন করতে চায়। সেটির বহিঃপ্রকাশ আমরা সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোতে দেখেছি, উকিল আব্দুস সাত্তারকে দেখেছি। এ রকম বহু আব্দুস সাত্তার আগামী নির্বাচনে বেরিয়ে আসবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির ‘ আগুনসন্ত্রাস’ বন্ধ করতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
কাঁটাতার ছিঁড়তে পারেনি নাড়ির বন্ধন: কলকাতায় তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা উত্তর আ.লীগের বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত
‘বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস’র বিরুদ্ধে থানায় থানায় বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সোমবার (৩১ জুলাই) সকালে শান্তি সমাবেশ করার কথা জানালেও তা বাতিল করে এ কর্মসূচি পালন করেছে দলটি।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, বিএনপির তাদের পুরোনো চরিত্রে ফিরে গেছে। আমরা ১৫০ দিন মাঠে থাকব। সেই ধারাবাহিকতায় থানায় থানায় বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি চলমান থাকবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে আ.লীগ প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বিজয়ী
মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক প্রলয় সমাদ্দর বাপ্পি ইউএনবিকে বলেন, এতদিন আওয়ামী লীগ কাউন্টার কর্মসূচি দেওয়াতে সমালোচনার ঝড় ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ আগেই বুঝতে পেরেছিল তাদের মাঠ খালি করে দিলে যেকোনো সময় ঢাকা শহর দখলে নেওয়ার চেষ্টা করবে এবং ক্ষতি করবে। শেষ পর্যন্ত বিএনপি তাই করেছে।
ইসিতে অডিট রিপোর্ট: গত বছর আ. লীগের উদ্বৃত্ত ২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা
২০২২ সালের বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সেই অনুযায়ী, ২০২১ সালের তুলনায় গত বছর দলটির আয় কমেছে।
সোমবার (৩১ জুলাই) ক্ষমতাসীন দলটির প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে এই বার্ষিক নিরীক্ষা প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে দলটির মোট আয় ছিল প্রায় ১০ কোটি ৭২ লাখ টাকা এবং ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: রবিবার সারাদেশে আ. লীগের বিক্ষোভ কর্মসূচি: ওবায়দুল কাদের
২০২১ সালে দলটির আয় ছিল ২১ কোটি ২৩ লাখ টাকা, যা ২০২০ সালে ছিল ১০ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
আওয়ামী লীগ আজ পর্যন্ত তাদের মোট তহবিল দেখিয়েছে ৭৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, যেখানে দলটি ২০২২ সালের উদ্বৃত্ত ২ কোটি ৮৫ লাখটি টাকা।
আয়ের প্রধান উৎস ছিল মনোনয়ন ফরম বিক্রি, ফি এবং দলীয় সদস্যদের কাছ থেকে অনুদান এবং ব্যয়ের প্রধান উৎস ছিল কর্মচারীদের বেতন ও বোনাস, সেমিনার আয়োজন এবং ইউটিলিটি বিল।
নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে চিঠি পাঠিয়ে তাদের বার্ষিক অডিট রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে।
আরও পড়ুন: গয়েশ্বরের ডিবি অফিসে দুপুরের খাবার খাওয়ার ভিডিও ছড়ানোতে কোনো দোষ দেখেন না কাদের
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের আগের বছরের অডিট রিপোর্ট ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জমা দিতে হবে।
এতে বলা হয়েছে, যদি কোনো দল পরপর তিন বছর তাদের বার্ষিক রিটার্ন জমা না দেন, তাহলে নির্বাচন কমিশন তার নিবন্ধন বাতিল করতে পারে।
২০২২ সালের অডিট প্রতিবেদন ইসিতে জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া ও দলটির নির্বাচন কমিটি।
আরও পড়ুন: বিএনপির ওপর মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগ করা উচিত: ওবায়দুল কাদের
আন্দোলনে আপত্তি নেই, জ্বালাও-পোড়াও সহ্য করব না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো আপত্তি নেই। তবে জ্বালাও-পোড়াও সহ্য করা হবে না।
তিনি বলেন, ‘আমি কখনোই কোনো জ্বালাও-পোড়াও সহ্য করি না। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু তারা যেকোনো আন্দোলন বা সংগ্রাম করুক তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’
সোমবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক (বিপিএএ)-২০২৩ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য কর্মক্ষমতার জন্য ২৮ জন কর্মকর্তা ও দুইটি সরকারি দপ্তরকে পুরস্কার দেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, যারা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সমর্থন দেয়নি, তাদের মনের শত্রুতা এখনো কাটেনি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এটিকে অতিক্রম করে এগিয়ে যাচ্ছি। তাই বাংলাদেশকে অবশ্যই অগ্রসর হতে হবে।
প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যতদিন জনগণ সরকারের সঙ্গে থাকবে ততদিন বিরোধীদের আন্দোলন-সংগ্রাম দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি কারোর বিষণ্ণ মুখ দেখতে চান না বরং সবাইকে খুশি এবং হাসিমুখে দেখতে চান।
শেখ হাসিনা বলেন, জীবনে সমস্যা থাকা স্বাভাবিক। তবে সমস্যা কাটিয়ে উঠতে মনোবল ও শক্তি প্রয়োজন।
তিনি বলেন, আমি এটা বিশ্বাস করি যে, এই মনোবল নিয়ে এগিয়ে গেলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে “ইনশাআল্লাহ”।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার নিম্নবিত্তসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের জীবিকা নির্বাহের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ে মানুষের ভোগান্তি শহরাঞ্চলের মতো গ্রামাঞ্চলে ততটা নয়।
প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মচারীদের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন। কারণ জনগণের সেবা করা তাদের দায়িত্ব।
সরকারি কর্মকর্তাদের সর্বদা নতুন নতুন উদ্ভাবনের করতে আহ্বান জানান। তাদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সেসব উদ্ভাবনী কাজে লাগিয়ে দেশকে আধুনিক প্রযুক্তির যুগে এগিয়ে নিতে বলেন।
তিনি বলেন, তরুণ কর্মকর্তাদের মধ্যে উদ্ভাবনী শক্তি অনেক বেশি। এ ছাড়া এখন নতুন প্রযুক্তির যুগ।
তিনি আরও বলেন, আপনি যখন নিজ নিজ কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন করেন, সে সময় চিন্তা করুন কী কী উদ্ভাবন করা যায় এবং কীভাবে দেশকে আরও এগিয়ে নেওয়া যাওয়া যায়।
জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতা, মননশীলতা এবং উদ্ভাবনী প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করার জন্য ২০১৬ সালে বিভিন্ন বিভাগের অধীনে পুরস্কারটি চালু করা হয়েছিল।
প্রতি বছর ২৩ জুলাই জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস পালিত হয়। কিন্তু জাতিসংঘের খাদ্য সম্মেলনে যোগদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ইতালি সফরের তারিখের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় এ বছরের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ২৩ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়নি।
এ পুরস্কার বিজয়ীরা তাদের নামের শেষে বিপিএএ পদবি ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিটি বিজয়ীকে একটি স্বর্ণপদক (১৫ গ্রাম ওজনের) এবং একটি রাষ্ট্রীয় মনোগ্রামসহ একটি প্রশংসাপত্র দেওয়া হয়।
এ ছাড়া ব্যক্তিগত অবদানের জন্য দেওয়া হয়েছে ২ লাখ টাকা। দলগত অবদানের জন্য দেওয়া হয়েছে ৫ লাখ টাকা।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন- জনপ্রশাসন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচএন আশেকুর রহমান ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: ২৮ কর্মকর্তা ও ২ প্রতিষ্ঠানকে 'বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পুরস্কার' দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বিএনপির ভয়ঙ্কর অগ্নিসন্ত্রাসের রূপ আমরা আবারও দেখলাম: প্রধানমন্ত্রী