আওয়ামী-লীগ
আ. লীগের সহযোগী সংগঠনের সমাবেশ এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত
সারাদেশ থেকে আওয়ামী লীগের ৩ সংগঠনের লাখ লাখ নেতা-কর্মী শান্তি সমাবেশে যোগ দিয়েছে। রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট ও আশপাশের এলাকায় জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।
দেশাত্মবোধক গান পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই শান্তি সমাবেশ।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনের জনসভায় স্ট্রোক করে বিএনপি নেতার মৃত্যু
সমাবেশস্থলে পৌঁছাতেই আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মীর স্লোগান
বৃষ্টি উপেক্ষা করে সারাদেশ থেকে আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মী তাদের শান্তি সমাবেশস্থলে প্রবেশ করতে শুরু করে।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকাল ৩টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে শুরু হয় শান্তি সমাবেশ।
সংহতি প্রদর্শনে, আওয়ামী লীগের তিন শাখা- ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী ও নেতারা রাজধানীতে পৌঁছেন বৃষ্টি উপেক্ষা করেই।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশক নিধন অভিযান: ১৮ দিনে ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা জরিমানা
বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলের দ্বারা সৃষ্ট যে কোনো ধরনের নৈরাজ্য বানচালের অঙ্গীকার সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড বহন করে তারা রাজধানীতে পৌঁছান।
অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছানোর সময় তারা স্লোগান দিচ্ছিলেন- “২০১৩ ও ২০১৪ সালের মতো বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসংযোগ হতে দেব না। সন্ত্রাসবাদকে দেশের অগ্রগতি ঠেকাতে দেওয়া হবে না। বাংলাদেশ পলাতক তারেক রহমানের মতো সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী প্রাপ্য নয়”।
আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে- বিএনপির বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য রোধে শান্তি সমাবেশ ব্যানারে শত শত সমর্থক সমাবেশস্থলের দিকে যাচ্ছেন মিছিল নিয়ে।
এ ছাড়া মঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা নেতা-কর্মীদের বেশ কিছু ছবিও শেয়ার করা হয়েছে।
এদিকে, কর্মীদের সঙ্গে পরিপূর্ণ সমাবেশস্থলের আশেপাশের এলাকাগুলো সহিংসতার প্রচেষ্টা ব্যর্থ করার জন্য এবং উন্নয়নের দশক যা জাতীয় অগ্রগতির গতিপথ পরিবর্তন করেছে এর উত্তরাধিকার অব্যাহত রাখার জন্য সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের আহ্বানে প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল।
বিএনপির জনসভা থেকে ১ দশমিক ৭ কিলোমিটার দূরে নয়াপল্টন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মসজিদের দক্ষিণ গেটের সামনে দলের তিন সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন: রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীর সমাগম
আ.লীগের সহযোগী সংগঠনের সমাবেশের জন্য মঞ্চ প্রস্তুত
আ.লীগের সহযোগী সংগঠনের সমাবেশের জন্য মঞ্চ প্রস্তুত
নগরীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুব মহাসমাবেশের মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।
বিএনপি বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে শুক্রবার সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেয় আওয়ামী লীগ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ইউএনবি দেখতে পায় সেখানে ২০ থেকে ২২ জন কর্মী কাজ করছেন এবং মঞ্চের পেছনে কাজ করছেন ১০ থেকে ১৫ জন কর্মী।
ডেকোরেশনের দায়িত্বে থাকা টোটাল সলিউশনের স্বত্বাধিকারী মোজাম্মেল হক জানান, মঞ্চটি হবে ৬৪ ফুট লম্বা ও ২৮ ফুট চওড়া। বিকেল থেকেই মঞ্চ তৈরি করছেন আমাদের কর্মীরা।
আরও পড়ুন: আ.লীগের নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন সমৃদ্ধি তুলে ধরুন: নেতা-কর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠনের শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু জানান, ঢাকা বিভাগের তিন থেকে পাঁচ লাখ ছাত্র-যুবক এখানে জড়ো হবেন। এটা আরো বাড়তে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘আগত অতিথিদের জন্য পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা করা হবে। ইতোমধ্যে অনেক জেলা থেকে নেতাকর্মীরা এসেছেন। আমি তাদের খাবারের ব্যবস্থা করছি। সমাবেশে পর্যাপ্ত পানি, খাবার ও পানীয় ও চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে। । যারা অসুস্থ তাদের জন্য স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২০ জন ডাক্তারের একটি টিম গঠন করেছি।’
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বলেন, প্রস্তুতি প্রায় শেষ, আমি মনে করি শুক্রবার লক্ষাধিক তরুণ-শিক্ষার্থীর গণসমাবেশ হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ ছাত্রলীগের কার্যালয়ে সমাবেশ সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন খাঁন নিখিল ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু উপস্থিত ছিলেন।
যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, সমাবেশ আমাদের প্রত্যাশার চেয়েও বড় হবে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘অনুষ্ঠানে শুধু নেতা-কর্মী-সমর্থকরাই যোগ দেবেন না, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী গণমানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দেবেন।
এর আগে শুক্রবার ২৩টি শর্তে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠনকে যথাক্রমে নয়াপল্টন ও বায়তুল মোকাররমে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আ.লীগ ও বিএনপির জন্য শর্ত একই: শুক্রবারের সমাবেশ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আ.লীগের নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন সমৃদ্ধি তুলে ধরুন: নেতা-কর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
গত সাড়ে ১৪ বছরে দেশের সার্বিক উন্নয়ন জনগণের সামনে তুলে ধরতে তার দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তিন মেয়াদে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিসহ প্রতিটি খাতে দেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি জনগণের সামনে তুলে ধরুন।
বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতারা তার সঙ্গে দেখা করার সময় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি এই আহ্বান জানান।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীসহ তার দলের নেতা-কর্মীদের জাতির পিতার আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ ও জনগণের সেবা করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: জনদুর্ভোগ বা সম্পত্তি নষ্ট হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আসাদুজ্জামান
বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, খরার মতো যেকোনো দুর্যোগে সর্বদা জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দলের নেতাকর্মীদের বিশেষ করে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
এ উপলক্ষে কেক কেটে স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা ও একমাত্র পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন উদযাপন করেছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা।
উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
গাজী মেসবাউল হোসেন শাচ্চুকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির পরিবর্তে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হিসেবে পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু।
আরও পড়ুন: আ. লীগের সহযোগী ৩ সংগঠনের শান্তি সমাবেশ শুক্রবার
আ. লীগ ক্ষমতায় না থাকলে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি যেমন মাথাচাড়া দেবে, জঙ্গিবাদও মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে কলকাতা প্রেসক্লাবে 'সাংবাদিকদের মুখোমুখি' অনুষ্ঠানে ভারতীয় সাংবাদিকদের উন্মুক্ত প্রশ্নের জবাব দেন ভারত সফররত মন্ত্রী হাছান।
বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না এলে এখানে সাম্প্রদায়িকতা ফণা তুলবে কি না -এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'বেগম খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন একসঙ্গে বাংলাদেশে ৬৩ জেলায় বোমা হামলা হয়েছিল। শায়খ আব্দুর রহমান, বাংলা ভাই, আফগানিস্তানের ট্রেনিং প্রাপ্তরা প্রকাশ্যে মহড়া দিতো। এই হচ্ছে বিএনপি সরকারের আমল।'
তিনি বলেন, 'যখন আমরা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করি তখন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া প্রকাশ্যে বলছেন, 'কিছু লোককে ধরে এনে আটকিয়ে রাখা হয়, চুল-দাড়ি লম্বা হলে তাদের জঙ্গি আখ্যা দেওয়া হয়'। বাংলাদেশে যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকে তাহলে সেই সাম্প্রদায়িকতা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা আবার অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে।'
নিজদলের আদর্শ তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে দেশ হিসেবে সংগ্রাম করেছে এবং অসাম্প্রদায়িক দল হিসেবে যে দলটি প্রতিষ্ঠিত, সেটি হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে।
তিনি বলেন, '১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর সেই সাম্প্রদায়িকতাকে আবার ফিরিয়ে এনেছেন। আমাদের দেশে স্বাধীনতার পর ধর্মীয় রাজনীতিটা বন্ধ করা হয়েছিলো, সেটি '৭৫ সালে আবার চালু করা হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, বিএনপির বহুদলীয় জোটের মধ্যেই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি আছে। সেখানে অনেক দল আছে যে দলের নেতারা তালেবানের সঙ্গে যুদ্ধ করেছে। এ সমস্ত অনেক নেতা প্রকাশ্যে 'বাংলা হবে তালেবান' স্লোগান দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে দলের মধ্যে বড় বিস্ফোরণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি না -এ প্রশ্নে ড. হাছান বলেন, 'বিএনপি গণমানুষের দল বলে তারা দাবি করে। কিন্তু সিটি করপোরেশন এমন কি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও তাদের দলের সবাইকে অংশ নিতে বারণ করেছে। এ সত্ত্বেও তাদের অনেকেই কাউন্সিলর, মেম্বার এমন কি চেয়ারম্যান পদেও নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।'
তিনি বলেন, 'বিএনপি নেতাদের বেশিরভাগই নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু তাদের নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত দিতে পারে না বিধায় তারা পারে না। যারা নিজেদের জনগণের দল হিসেবে দাবি করে বা গণমানুষের দল হিসেবে টিকে থাকতে চায় তাদের জন্য ক্রমাগতভাবে নির্বাচন বর্জন করা অত্যন্ত ক্ষতির কারণ। আগামী নির্বাচনও যদি তারা বর্জন করে তাহলে সেই ক্ষতি তারা আরও টের পাবে।'
রোহিঙ্গা শরণার্থী বিষয়ে প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমি চট্টগ্রামের মানুষ, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বহুবার গিয়েছি, আমার হিসেবে এখন প্রায় ১৫ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশ। আমাদের দেশ পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ, কোনো রকমে আমরা আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আমাদের জন্য একটা চাপ, অর্থনীতির চাপ। তাদের খাওয়াতে হচ্ছে, পরাতে হচ্ছে, চিকিৎসাসহ সবকিছু দিতে হচ্ছে। এ জন্য ভারত সরকারের সঙ্গে আমরা সবসময় আলাপ আলোচনা করছি।'
বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতার প্রশ্নে বাংলাদেশের সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আমাদের সঙ্গে ভারতের এবং অন্যান্য দেশের আন্তরিক সহযোগিতা আছে। আমাদের শুধু বাণিজ্যে সহযোগিতা নয়, নিরাপত্তা থেকে শুরু করে নানাবিধ সহযোগিতা আছে। আমরা মনে করি আমাদের অঞ্চলকে নিরাপদ রাখা, এখানে শান্তি, স্থিতি বজায় রাখা আমাদের আন্তরিক দায়িত্ব। একইসঙ্গে ভারতেরও দায়িত্ব। অর্থাৎ এসব ক্ষেত্রে প্রয়োজন আমাদের দু’দেশের সহযোগিতা।
ইদানিং মাঝেমধ্যেই বাংলাদেশে কূটনীতিকদের বিবৃতি দিতে দেখা যাচ্ছে -মন্তব্যের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতে কিংবা পশ্চিমা দেশেও কথায় কথায় কেউ বিবৃতি দেয় না। কারণ তাতে কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন হয়। আমাদের এখানে এ ধরনের বিবৃতির কড়া ভাষায় প্রতিবাদ করা হয়েছে।
কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস সুর, সম্পাদক কিংশুক প্রামাণিক ও স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ এ আয়োজনে অংশ নেন। কলকাতায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক অপরাধ থেকে সমাজ রক্ষায় কাজ করুন: তথ্যমন্ত্রী
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন, ইইউ-মার্কিন সফর ইতিবাচক: তথ্যমন্ত্রী
বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে শুক্রবার সমাবেশ করবে আ. লীগের ৩ সহযোগী সংগঠন
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু বলেছেন, আগামীকাল শুক্রবার (২৭ জুলাই) আগারগাঁওয়ের পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠের পরিবর্তে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার আগারগাঁও-এ তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রাষ্ট্রপতির নির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় পুরাতন বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণে সমাবেশ করা যাচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: আ. লীগের সহযোগী ৩ সংগঠনের শান্তি সমাবেশ শুক্রবার
আজ বিকাল ৫টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ছাত্রলীগের কার্যালয়ে সমাবেশ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল বুধবার (২৬ জুলাই) আওয়ামী লীগের তিনটি সহযোগী সংগঠন ঘোষণা দেয়, আগামীকাল শুক্রবার তাদের যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপি বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে শুক্রবার সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত আসে।
আরও পড়ুন: বিভাগীয় সমাবেশে বিশৃঙ্খলা: রংপুরে ছাত্রলীগের ৯ কর্মীকে স্থায়ী বহিষ্কার
যুবলীগের ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশ ২৭ জুলাই
আ. লীগের সহযোগী ৩ সংগঠনের শান্তি সমাবেশ শুক্রবার
আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের পূর্বঘোষিত শান্তি সমাবেশ এখন বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া জানিয়েছেন, আগারগাঁওয়ের পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠটি সমাবেশের উপযোগী না হওয়ায় সমাবেশ একদিনের পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিএনপি বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে শুক্রবার মহাসমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেয় আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলো।
বুধবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন খান নিখিল জানান, বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের মঞ্চ নির্মাণের কাজ স্থগিত করা হয়েছে।
উন্মুক্ত স্থানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। তারা বিভিন্ন মাঠ পরিদর্শনও করেছেন। সবশেষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের প্রাক্তণ বাণিজ্য মেলার মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
আরও পড়ুন: আন্দোলনে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে দায় বিএনপিকেই নিতে হবে: কাদের
এদিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজধানীতে শান্তি সমাবেশের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলো।
এর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছিলেন, পুলিশ বিএনপিকে নয়াপল্টন বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়নি। ‘বৃহস্পতিবার কর্মদিবস হওয়ায় আমরা তাদের গোলাপবাগ মাঠ বা অন্য কোনো মাঠে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।’
ডিএমপি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তিনটি সহযোগী সংগঠন- যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগকে তাদের নির্ধারিত সমাবেশ বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে না করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা মহানগর নাট্যমঞ্চে করার পরামর্শ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: জনদুর্ভোগ বা সম্পত্তি নষ্ট হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আসাদুজ্জামান
আন্দোলনে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে দায় বিএনপিকেই নিতে হবে: কাদের
আন্দোলনের নামে যে কোনো সন্ত্রাস ও সহিংসতার দায় বিএনপিকেই নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের নামে বিএনপি কোনো ধরনের সন্ত্রাস ও সহিংসতা সৃষ্টি করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ তা মোকাবিলা করবে। কোনোভাবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিঘ্নিত হলে এবং জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে তার দায়দায়িত্ব বিএনপিকেই নিতে হবে।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘বিভ্রান্তিকর’ ও ‘উদ্দেশ্যমূলক’ রাজনৈতিক বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে বুধবার (২৬ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতিহাস বলে, সন্ত্রাস ও মিথ্যাচারই বিএনপির রাজনীতির প্রধান হাতিয়ার।
আরও পড়ুন: বিএনপির ২৭ তারিখের সমাবেশ ঘিরে সংঘাতের আশঙ্কা নেই: কাদের
তিনি বলেন, বিএনপি ও তার সহযোগীরা এদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে বারবার ব্যাহত করেছে এবং মানুষের মনে ভীতি সৃষ্টি করে জনগণকে জিম্মি করে যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল করাই বিএনপির মূল লক্ষ্য।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ধ্বংসকারী বিএনপি নেতারা গণতন্ত্রের মুখোশ পরে জনগণের সামনে দাঁড়িয়েছেন। জনগণ মুখোশের পেছনের মুখগুলো ভালো করেই জানে তাই তারা বিএনপির কোনো আহ্বানে সাড়া দেয়নি এবং ভবিষ্যতেও জনগণের সমর্থন পাবে না।
তিনি বিএনপিকে ষড়যন্ত্রের পথ থেকে ফিরে এসে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের বন্ধুদের হাতে এই দেশ ছেড়ে দিব না: কাদের
নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপির শর্ত অসাংবিধানিক: কাদের
জনদুর্ভোগ বা সম্পত্তি নষ্ট হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আসাদুজ্জামান
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকারের কোনো বাধা থাকবে না।
তিনি বলেন, বিএনপিকে বলে দেওয়া হয়েছে আন্দোলনের নামে জানমাল বা সম্পত্তি ধ্বংস অথবা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমন গিলমোরের নেতৃত্বে আসা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সরকার পরিবর্তন করতে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আগামী ২৭ জুলাই বিএনপির সমাবেশ নিয়ে এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করলে সরকারের কোন বাধা নেই।
তিনি বলেন, আপনারা (সাংবাদিক) দেখেছেন তারা পদযাত্রা করেছে তারা মানববন্ধন করেছে, যা করেছে আমরা কিন্তু কোনোটাতেই বাধা দিইনি। তারা সুন্দরভাবে এসব কর্মসূচি পালন করেছেন।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতেও যদি তারা করতে চান করবেন। সেখানেও আমাদের বাধা থাকবে না। কিন্তু যখন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করবে, জানমাল ধ্বংস করতে চাইবে তখন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
তিনি আরও বলেন, এটাই তাদের বলে দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা পদযাত্রার পরে অতি সম্প্রতি একটা লং মার্চ করল, তারুণ্যের একটা সমাবেশও করল। এখন তারা একটা বড় সমাবেশ করার জন্য আমাদের পুলিশ কমিশনারের কাছে চিঠি দিয়েছেন। পুলিশ কমিশনার এখনো তার মতামত জানাননি। আশা করছি, শিগগিরই মতামত জানিয়ে দেবেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত কী হবে? দেখুন, হঠাৎ করেই তারা (বিএনপি) এমন-এমন কর্মসূচি দিচ্ছে যেগুলোয় জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। তারা বলছেন আন্দোলন শুরু করেছেন, আন্দোলন করবেন। আমরা সেখানে কোনো বাধা দিচ্ছি না।
তিনি বলেন, যদি জনগণ আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে আসে তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু জনগণকে জোর করে আনলে আমাদের আপত্তি।
আমাদের আপত্তি সেখানেই যদি জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে, রাস্তাঘাট বন্ধ করে তারা যদি কিছু করে কিংবা জান-মালের ক্ষতি করে অথবা জীবননাশ হয়, আমরা তখনই বাধা দেব।
আওয়ামী লীগ বিএনপির পাল্টাপাল্টি সমাবেশ জনগণের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দেয় কি না, এমন প্রশ্নের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা আপনারাই দেখছেন।
রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের আগে কর্মসূচি দেয়, শুধু আওয়ামী লীগের কর্মসূচি দেখছেন কেন?
আরও অন্যান্য পার্টিও তো দিচ্ছে। সেগুলোও আপনার নজরে নিশ্চয়ই পড়েছে। ২০ জন নিয়ে রাস্তায় নামতে পারেন না তিনিও একটা কর্মসূচি দেওয়া শুরু করেছেন।
কাজেই সবাই কর্মসূচি দিচ্ছে। সবাই রাস্তায় থাকবে। আমরা এটুকুই বলব, যতক্ষণ পর্যন্ত জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করবেন, জান-মালের ক্ষতি না করবেন, গাড়ি ভাঙচুর না করবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা তাদের কোনো ধরনের কর্মসূচিতে বাধা দেবো না।
আরও পড়ুন: আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
হিরো আলমের ওপর হামলা, পুলিশের গাফিলতি খতিয়ে দেখা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে দলের মধ্যে বড় বিস্ফোরণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপি যদি নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে দলের (বিএনপি) মধ্যে বড় বিস্ফোরণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে কোনো সংকট নেই। বিএনপি সংকট তৈরির চেষ্টা করছে, কিন্তু পারেনি। বরং তাদের দলের মধ্যে সংকট ঘনীভূত হচ্ছে। সেটার প্রভাব দেশের মানুষের মধ্যে নয়, বিএনপির মধ্যেই পড়বে। বিএনপির ভিতর থেকে তাদের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটবে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক অপরাধ থেকে সমাজ রক্ষায় কাজ করুন: তথ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে গ্রন্থমোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যেদিন সমাবেশ ডাকবে, সেদিন এতবড় শহরে অন্য কেউ সমাবেশ ডাকতে পারবে না এমন তো নিয়ম নেই। বিএনপি যখন সমাবেশ ডাকে জনগণ তখন আতংকে থাকে৷
তিনি বলেন, সরকারি দল হিসেবে আওয়ামী লীগ কিংবা এর সহযোগী সংগঠনগুলোর দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের পাশে থাকা। কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে খেয়াল রাখা। এটা তাদের দায়িত্ব। সে কারণেই ২৭ জুলাই ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ যৌথভাবে সমাবেশের ডাক দিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা কখনোই সংঘাত তৈরি করতে চাই না। কারণ আমরা সরকারে আছি। দেশে যদি কোনো সংঘাত সৃষ্টি হয় তবে সরকারেরই বদনাম হয়। তাই আমরা সংঘাত চাই না। বিএনপিই সংঘাত তৈরি করার অযুহাত খুঁজছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, এর আগে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরত্বে আমরা এবং তারা বড় সমাবেশ করেছি। সেখানে কোনো সংঘাত হয়নি। সেখানে আমাদের দল সর্বোচ্চ সংযমের পরিচয় দিয়েছে। আমরা এখনো চাই বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ পালন করুন।
তিনি বলেন, বিএনপি অতীতে সময়ে সময়ে মানুষের সহায় সম্পত্তির ওপর হামলা করেছে, পুলিশ, পথচারী, গাড়ি ভাঙচুর করেছে। আগুন দিয়েছে এবং সম্পদের ক্ষতি করেছে। আমরা সরকারি দল হিসেবে দায়িত্ববোধ থেকে ২৭ তারিখ সমাবেশ ডেকেছি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে কোনো সংকট নেই। কিন্তু বিএনপির মধ্যে সংকট রয়েছে। তাদের নেতাকর্মীরা নির্বাচন করতে চাই, কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতাদের থেকে তারা সিদ্ধান্ত পায় না৷ এটা একটি বড় সংকট।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদূতদের বিবৃতি ভিয়েনা কনভেনশনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিএনপি এমন একটি রাজনৈতিক দল যারা নেতাকর্মীদের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনও করতে দেয় না। এমনকি সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর পদেও নির্বাচন করতেও বারণ করছে। এটি একটি দলের অভ্যন্তরীণ সংকটেরই বহিঃপ্রকাশ। অথচ তারা গণমানুষের দল হিসেবে নিজেদের দাবি করে।
তিনি আরও বলেন, কখন যে সেই দলের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটে সেটাই এখন সময়ের অপেক্ষা।
মন্ত্রী বলেন, এভাবে যদি তাদের নেতাকর্মীদের নির্বাচন থেকে বিরত রাখা হয় তাহলে দ্রুতই দলের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটবে। এরই মধ্যে ছোটখাটো একটা বিস্ফোরণ অবশ্য ঘটেছে। নির্বাচনে তাদের দলীয় নেতা কর্মীদের অংশগ্রহণ করতে বারণ করেছিল।
কিন্তু নির্বাচনে তাদের কয়েকজন নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেছেন। কেউ কেউ নির্বাচনে জয়ীও হয়েছেন। তাদের আক্ষেপ আমরা পত্র-পত্রিকায় ও টিভির পর্দায় দেখেছি ও শুনেছি। আগামী সংসদ নির্বাচনে তারা যদি বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে দলের মধ্যে বড় বিস্ফোরণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সেটার প্রভাব দেশের মানুষের মধ্যে নয়, বিএনপির মধ্যেই পড়বে। বিএনপির ভেতর থেকে তাদের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটবে।
শোকের মাসে জামায়াতের কর্মসূচির অনুমতির প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, জামায়াত ডাকতে চেয়েছে এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সিদ্ধান্ত দিবে৷ শোকের মাসের ভাবগাম্ভীর্যের বিষয়টি মাথায় রেখেই আইনশৃংখলা বাহিনী সিদ্ধান্ত দিবে। জামায়াত চেয়েছে তারা চাইতেই পারে কিন্তু সব কিছু বিবেচনা করে করতে হবে।
জামায়াত এক আগস্ট বিক্ষোভ করবে সে বিষয়টি কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে তারা বিক্ষোভ করতেই পারে। যদি সে বিক্ষোভ সহিংস না হয় তাহলে দোষের কিছু নেই। এ বিক্ষোভ যদি অতীতের মতো বিএনপির সঙ্গে যোগ দিয়ে সহিংসতা ছড়ানোর জন্য অপচেষ্টা হয়, তাহলে সেটা বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আর আমাদের দলও বসে থাকবে না।
বিএনপি বলেছে, বর্তমানে দেশে যে সংকট চলছে এ সংকট সমাধানের কোন পথ সরকার খোঁজে পাবে, এ বিষয়ে মতামত জনতে চাইলে তিনি বলেন, দেশে কোনো সংকট নেই৷
তিনি বলেন, বিএনপি একটি সংকট তৈরি করতে চেষ্টা করছে, কিন্তু তারা সেটি পারেনি। ২০১৪ সালেও তারা চেষ্টা করেছিল। তখনো তারা সফল হয়নি। তারা ভেবেছিল সরকার তিন মাসের মধ্যে পড়ে যাবে কিন্তু সরকার পাঁচ বছর মেয়াদ পূরণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালে তারা চেষ্টা করেছিল। ভেবেছিল সরকার মনে হয় টিকবে না। নানা দেন-দরবার করেছিল বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকদের কাছে। দেশ বিদেশে লবিং করেও তারা কিছুই করতে করতে পারেনি। দেশের মধ্যে তারা কোনো সংকট তৈরি করতে পারেনি। বরং বিএনপির মধ্যেই সংকট ঘনীভূত হয়েছে৷
আরও পড়ুন: সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন, ইইউ-মার্কিন সফর ইতিবাচক: তথ্যমন্ত্রী