আওয়ামী-লীগ
জামায়াতকে মাঠে নামিয়েছে বিএনপি, তারা অগ্নিসংযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছে: কাদের
জামায়াতকে মাঠে নামিয়েছে বিএনপি, অর্থাৎ গোষ্ঠীটি অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার বিকালে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে বিএনপি-জামায়াতের রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের বলেন, ‘আমরা তাদের (বিএনপি) ডাকছি না।শেখ হাসিনা যদি পদত্যাগ করেন, সংসদ ভেঙে দিলে তারা কার সঙ্গে বসবে? সরকার পদত্যাগ করলে কি বাতাসের সঙ্গে আলোচনা হবে? মির্জা ফখরুল আজেবাজে কথা বলছেন। ’
ফখরুলের কথায় জনগণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, ‘দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাইলে- তত্ত্বাবধায়ক সরকার, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও সংসদ ভেঙে দিতে হবে এসব বিএনপির মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী আলোচনায় কাউকে আমন্ত্রণ জানানোর সুযোগ নেই: আমু
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিকে ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, যদি গণআন্দোলন চান, গণআন্দোলনের ঢেউ চাইলে, সৎ সাহস থাকলে রাজপথে আসুন, আমরা মাঠে নামব। এটি মোকাবিলা করতে যাচ্ছি।’
ঢাকা মহানগর উত্তর আ’লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি প্রমুখ।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে আপাতত বিএনপির সঙ্গে সংলাপের কথা ভাবছে না সরকার: কাদের
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আরাফাতকে মনোনয়ন দিয়েছে আ. লীগ
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের জন্য শুক্রবার মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে (মোহাম্মদ এ আরাফাত) মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন: উপনির্বাচন: ৬ আসনে আ.লীগের ৩ প্রার্থীর জয়
১৫ মে ঢাকা-১৭ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও কিংবদন্তি অভিনেতা আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক নামে পরিচিত) মারা যান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচন ৩০ জুলাই
৬টি উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৫% এর বেশি হয়নি: ফখরুল
নির্বাচন নিয়ে আপাতত বিএনপির সঙ্গে সংলাপের কথা ভাবছে না সরকার: কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বৃহস্পতিবার বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আপাতত বিএনপির সঙ্গে কোনো সংলাপের কথা ভাবছে না সরকার।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই মুহূর্তে কোনো সংলাপের কথা ভাবছি না। শেষ বারের কথা মনে আছে? বিএনপির সঙ্গে সংলাপের ফল কী ছিল!’
ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: বিদেশে বিএনপির অভিযোগে কোনো ফল হয়নি: কাদের
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভয় পাওয়ার কিছু নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, নিষেধাজ্ঞার জন্য নালিশ করতে করতে বিএনপি এখন নিজেরাই ফাঁদে পড়েছে।
কাদের বলেন, ‘কাকে ভিসা দেবে, কাকে দেবে না, সেটা সেই দেশের ব্যাপার। আমরাও আমাদের দেশে কাকে ভিসা দেব, কাকে দেব না, সেটাও আমাদের ব্যাপার। এ নিয়ে ভয় পাওয়ার কী আছে।’
নির্বাচনে যারা বিশৃঙ্খলা করবে তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নীতি প্রয়োগ হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বিশৃঙ্খলা করতে চায় কারা? তারা হলো বিএনপি।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিতে আ. লীগ বা সরকার ভয় পায় না: ওবায়দুল কাদের
সাম্প্রতিক সময়ের লোডশেডিং বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘তারা (বিএনপি) বিদ্যুৎ দিতে পারেনি, শুধু ‘খাম্বা’ (বৈদ্যুতিক খুঁটি) দিয়েছে। এই সংকট সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। অন্যান্য দেশের মতো আমাদেরও জ্বালানি সংকট রয়েছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা মানুষের কাছে সময় চেয়েছি। ১০-১৫ দিন ধৈর্য ধরুন। শেখ হাসিনা যা বলেন তাই করেন।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমদ মন্নাফির সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীর বিক্রম) ও অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: আসন্ন নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপের সিদ্ধান্ত নেয়নি আ.লীগ: ওবায়দুল কাদের
কুমিল্লায় শান্তি সমাবেশ করেছে আ. লীগ
বিএনপির সন্ত্রাস নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্রমূলক অপরাজনীতির প্রতিবাদে কুমিল্লায় শান্তি সমাবেশ করেছে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ।
বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর কান্দিরপাড় রামঘাটস্থ দলীয় কার্যালয়ে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ইলিয়াস মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সদর দক্ষিণ উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার।
এ সময় বক্তব্য দেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সাজ্জাদ হোসেন স্বপন, পার্থ সারথী দত্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক রুপম মজুমদার প্রমুখ।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সরকারের আলোচনার ইঙ্গিত আমির হোসেন আমু’র
জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার সিদ্ধান্ত নেবেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নির্বাচনকালীন সরকারের নেতৃত্বে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছেন, চলতি সরকারই আগামী নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিনেট ভবন মিলনায়তনে ৮ জুন বিশ্ব সমুদ্র দিবস উপলক্ষে ঢাবি সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগ আয়োজিত সেমিনারে সাংবাদিকরা 'বিএনপির পক্ষ থেকে এখন নির্বাচনকালে নিরপেক্ষ সরকারের দাবি তোলা হয়েছে' এমন প্রসঙ্গ তুললে তিনি এ কথা বলেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তো আন্তর্জাতিকভাবে কারও সমর্থন পায়নি। তাই এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাদ দিয়ে 'নিরপেক্ষ' সরকারের কথা বলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা যে সমস্ত দেশের হাতে-পায়ে ধরে, সে সকল দেশে যেভাবে চলতি সরকার নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে, আমাদের দেশেও ঠিক তাই হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির ধ্বংসাত্মক অপরাজনীতির কারণেই নতুন মার্কিন ভিসা নীতি: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন ৩ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। এখন যে কোনো সময় ১৮ থেকে ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের সক্ষমতা সরকারের আছে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন দেশে ৪০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় ছিল। এখন দেশের শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যুতের বহুমাত্রিক ব্যবহারে গত ১৪ বছরে মানুষের অভ্যাস পরিবর্তন হয়ে গেছে। মানুষকে এতো বিদ্যুৎ সুবিধা দিয়ে নিশ্চয়ই ভুল করা হয়নি, সবার খানিক ধৈর্যের প্রয়োজন। এখন বিশ্বমন্দা ও যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এই অসুবিধাটা সাময়িক, ১৫-২০ দিনের মধ্যে দূর হবে।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক এখনও 'অত্যন্ত চমৎকার': তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নিয়ে আমির হোসেন আমু’র বক্তব্যটি ব্যক্তিগত: তথ্যমন্ত্রী
নির্বাচনী আলোচনায় কাউকে আমন্ত্রণ জানানোর সুযোগ নেই: আমু
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেছেন, আগামী সাধারণ নির্বাচন নিয়ে কাউকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানোর সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, কাউকে আমন্ত্রণ জানানোর সুযোগ নেই (সংলাপে যোগ দিতে) এবং কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
বুধবার ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংলাপ ছাড়া অন্য কোনো মাধ্যমে সংকট সমাধান সম্ভব নয় বলে কথিত অভিযোগের একদিন পর এই মন্তব্য এলো।
আমু বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের নেত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করায় আগামী সাধারণ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নিয়ে আমির হোসেন আমু’র বক্তব্যটি ব্যক্তিগত: তথ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘আজ সংবিধানের ভিত্তিতেই নির্বাচন হবে। এটা দেশে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টির অনুমতি দিতে পারে না।’
আমু বলেন, ২০১৩ সাল থেকে নির্বাচন নিয়ে বারবার ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আলোচনার বিষয়ে কাউকে বলা হয়নি। কাউকেই আলোচনায় আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।’
মঙ্গলবার আমু দাবি করে বলেন, বিএনপি ২০১৩ সালে সংলাপে পরাজয় মেনে নেয় এবং তারপর ২০১৪ সালের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সরকারের আলোচনার ইঙ্গিত আমির হোসেন আমু’র
জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার সিদ্ধান্ত নেবেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নিয়ে আমির হোসেন আমু’র বক্তব্যটি ব্যক্তিগত: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু’র বক্তব্যটি তার ব্যক্তিগত মন্তব্য।
তিনি বলেন, এ বক্তব্য নিয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় ফোরামে কোনো আলোচনা হয়নি, এমনকি ১৪ দলেও আলোচনা হয়নি।
বুধবার (৭ জুন) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক এখনও 'অত্যন্ত চমৎকার': তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। তারা নির্বাচনের রেফারি। তারা যদি সংলাপে ডাকে আমরা যাবো।
মন্ত্রী বলেন, তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তিনি বলেছেন কাগজে বা গণমাধ্যমে যেভাবে এসেছে, তিনি ঠিক সেভাবে বলেননি। যেভাবেই আসুক এটি তার ব্যক্তিগত অভিমত। এটি দল, সরকার এমনকি ১৪ দল কোথাও এনিয়ে আলোচনা হয়নি।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি হচ্ছে সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল, কানাডার আদালত কর্তৃক রায়প্রাপ্ত সন্ত্রাসী, অর্থাৎ সিলমারা সন্ত্রাসী। আদালতের রায়ে একেবারে সিলমারা সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল।
তিনি বলেন, যারা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালায়, যাদের হামলায় এস এম কিবরিয়া, আসহান উল্লাহ মাস্টারসহ অনেকেই নিহত হয়েছেন। যাদের হামলার জজ আদালতের বিচারক নিহত হয়েছে। তাদের পৃষ্ঠপোষকদের হামলায় সারাদেশের ৫০০ জায়গায় একযোগে বোমা ফুটেছে।
খালেদা জিয়ার ছেলে মারা যাওয়ার পর তার প্রতি সহানুভূতি জানাতে শেখ হাসিনা তার বাড়ির দরজায় গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আধা ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পরেও দরজা খুলেনি।
সেই দলের সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রী আলোচনায় বসেছেন এবং আলোচনায় বসার ইচ্ছা ব্যক্তও করেছিলেন। যারা এ ধরনের অগ্নি সন্ত্রাস চালায়, মানুষের ওপর হামল চালায় তাদের সঙ্গে আলোচনা কতটুকু ফলপ্রসু বা আলোচনা করে কি হবে সেটিই হচ্ছে বড় প্রশ্ন।
তাহলে কি আলোচনার সুযোগ নেই? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেখুন বিএনপির যদি নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রসঙ্গ থাকে, সেটি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করতে পারে। নির্বাচক আয়োজক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন যদি আমাদের ডাকে আমরা নির্বাচন কমিশনে যাব।
আরও পড়ুন: অনলাইন নিউজ পোর্টাল পরিচালনায় শৃঙ্খলা আনার পরিকল্পনা করছে সরকার: তথ্যমন্ত্রী
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই নির্বাচনে বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক এবং সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি চমৎকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। বিশ্বের কাছে উদাহরণস্বরূপ একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক আমরা সেটি চাই।
তিনি বলেন, বিএনপি আসলে নির্বাচনকে ভয় পায়। তারা ২০১৪ সালে নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করেছ। তারা আসলে নির্বাচন প্রতিহত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এবং সেই কথাটি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আবার বলেছেন।
কিন্তু এবার আর তাদের পক্ষে নির্বাচন প্রতিহত করা কিংবা বর্জন করা সম্ভবপর হবে না। দেশে অবশ্যই একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি একটি রাজনেতিক দল, তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেই পারে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য তা নয়, তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচন ভণ্ডুল করে দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করা।
কিন্তু নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণই হলো মুখ্য বিষয়। জনগণ যদি ব্যাপকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন এবং ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় তালেই সেটি জনগণের অংশগ্রহণমূলক একটি ভালো নির্বাচন।
নির্বাচনে আসতে বিএনপি যদি খালেদা জিয়ার মুক্তি শর্ত দেয়, তাহলে সরকারের অবস্থান কি হবে, এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়াকে চাইলেই সরকার মুক্তি দিতে পারবে না, উনি আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
তিনি আরও বলেন, এটি তো আদালতের এখতিয়ার। সরকার চাইলেই তো মুক্তি দিতে পারবে না।
আরও পড়ুন: বাজেট গরিববান্ধব গণমুখী, সমালোচনা গৎবাঁধা: তথ্যমন্ত্রী
জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার সিদ্ধান্ত নেবেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন জামায়াতে ইসলামীর প্রতিবাদ সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে বলেছেন, রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্তদের সভা-সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে।‘তারা তাদের মতামত প্রকাশ করবে এটাই স্বাভাবিক।’
তিনি বলেন, তবে জামায়াত বর্তমানে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃত নয়। ‘তাই সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ডিএমপি কমিশনার। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভাঙচুর বা বিশৃঙ্খলার সম্ভাবনা বিবেচনা করা হবে।’
বুধবার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিদেশি কূটনীতিকদের আলোচনা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিষয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রণালয় পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং রাষ্ট্রদূতরা কূটনৈতিক প্রোটোকল মেনে চলবেন এবং তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন বলে আশা করছে।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক ও সন্ত্রাস ঠেকাতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা চাইলে বাড়তি নিরাপত্তা ফেরত দিতে পারেন, তার জন্য অর্থ দিতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পাহাড়ে কোনো অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও জঙ্গিগোষ্ঠীকে ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সরকারের আলোচনার ইঙ্গিত আমির হোসেন আমু’র
আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা ও ১৪ দলীয় মহাজোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু মঙ্গলবার আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আন্দোলনে থাকা বিএনপির সঙ্গে সরকারের আলোচনার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আলোচনা বাদে অন্য কোনো পন্থায় সংকটের সমাধান সম্ভব নয়। আর অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতায় আসার পাঁয়তারা করলে প্রতিরোধ করবে জনগণ।’
মঙ্গলবার (৬ জুন) বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দেশবিরোধী দেশি ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ১৪ দলের প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এই কথা বলেন।
নির্বাচনি সমস্যা সমাধানে বিএনপির সঙ্গে সরকার আলোচনা করতে রাজি উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রয়োজনে জাতিসংঘের প্রতিনিধির সামনে বিএনপির সঙ্গে মুখোমুখি বসে রাজনৈতিক সংকট ও আগামী নির্বাচনের সুরাহা করতে চায় আওয়ামী লীগ বলে জানিয়েছেন সাবেক এই মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: আমুই হলেন ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র
আমির হোসেন আমু বলেন, সংবিধানের মধ্যে থেকে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে আলোচনার দরজা সবসময় খোলা। বিএনপির সঙ্গে যেকোনো আলোচনা হতে পারে। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে আলোচনার দ্বার সবসময় খোলা আছে। প্রয়োজনে জাতিসংঘের প্রতিনিধির মধ্যস্থতায় বিএনপির সাথে আলোচনা হতে পারে।
এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ভিসানীতির ঘোষণা দিয়েছে। পাশাপাশি আগামী নির্বাচন নিয়ে দেশটির নানামুখী তৎপরতা চোখে পড়ার মতো।
মঙ্গলবার ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে।
পাশাপাশি তিনি বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গেও। দুই দিন আগে তিনি বৈঠক করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সঙ্গে।
আরও পড়ুন: ঈর্ষা করে বিএনপি নানা কথা বলছে: আমু
বাংলাদেশের সম্পদের ওপর বিদেশিদের লোভ দীর্ঘদিনের: আমু
বিএনপির ধ্বংসাত্মক অপরাজনীতির কারণেই নতুন মার্কিন ভিসা নীতি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির নেতিবাচক ধ্বংসাত্মক, মানুষ পোড়ানোর অপরাজনীতি, নির্বাচন প্রতিহত করা-বয়কট করার অপরাজনীতির কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে।
তিনি বলেন, নতুন মার্কিন ভিসা নীতি ঘোষণার পর বিএনপির অন্তর্জ্বালা শুরু হয়েছে, কারণ তাদের তত্বাবধায়ক সরকারের দাবি যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি নাকচ করেছে এবং অন্য কোনো দেশের সমর্থনও পায়নি।
আরও পড়ুন: ৭ মে শেখ হাসিনা দেশে না ফিরলে গণতন্ত্রও ফিরতো না: তথ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী বিএনপি মহাসচিবের ‘আওয়ামী লীগ সরকারের কারণেই নতুন মার্কিন ভিসা নীতি’ বক্তব্যের জবাবে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ফলে তাদের পক্ষে আগের মতো- নির্বাচন প্রতিহত করবো, বর্জন করবো- এগুলো বলার সুযোগ নাই। যে কারণে এখন ফখরুল সাহেব একটু হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে একেক সময় একেক কথা বলছেন। বিভিন্ন কথা বলে আত্মতুষ্টি লাভের চেষ্টা করছেন।
হাছান বলেন, সব কথার শেষ কথা হচ্ছে তাদেরকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। নির্বাচন প্রতিহত করার রাজনীতি তাদের পক্ষে আর করা সম্ভবপর নয়। তাই তাদেরকে অনুরোধ জানাবো, দেশে গণ্ডগোল করার পরিকল্পনা না করে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত তো সবসময় এক আছে। তারা কোনো সময় বিচ্ছিন্ন হয় নাই, মাঝে মধ্যে মৌনতা অবলম্বন করে।
তিনি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা দেশে গণ্ডগোল করার চেষ্টা করবে। সেই গণ্ডগোল করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই তারা বিদ্যুৎকেন্দ্রের সামনে অবস্থান কর্মসূচি দিয়েছে। এটি কোনো সাধারণ রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, গণ্ডগোল করার উদ্দেশ্যেই। সেই গণ্ডগোল তাদেরকে করতে দেওয়া হবে না। আমরা সতর্ক আছি, বিএনপি-জামায়াতকে কিভাবে মোকাবিলা করতে হয় দেশের জনগণ জানে।
একই সাথে ড. হাছান বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নানা কর্মসূচি ঘোষণা করবে, এটি অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে জামায়াত এবং বিএনপির সহিংসতা করার লক্ষ্যেই কর্মসূচি সাজাচ্ছে বলে আমরা মনে করি।
মন্ত্রী বলেন, তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশে একটি গণ্ডগোল করে বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করা, পানি ঘোলা করা, পানি ঘোলা করে সেখান থেকে মাছ শিকার করা। সেটি করার সুযোগ তারা পাবে না।
আরও পড়ুন: তথ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
নির্বাচনকে সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা গুজবের উদ্ভব হচ্ছে- এ বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব বিশ্বব্যাপী একটি চ্যালেঞ্জ। আমি কয়েকদিন আগে এশিয়া মিডিয়া সামিটে গিয়েছিলাম সেখানে এই বিষয়টা গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং সামিটের ঘোষণাপত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব পেয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের পেইড এজেন্ট যারা খুনের দায়ে, দুর্নীতির দায়ে পলাতক তারা বিদেশে বসে আর কিছু ব্যক্তিবিশেষ দেশ থেকে নানা গুজব ছড়ায়।
গুজব প্রতিরোধের জন্য সরকার নানা ব্যবস্থা নিয়েছে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, আগামী জুলাই থেকে বিটিআরসির সক্ষমতা বাড়বে এবং আমাদের মন্ত্রণালয়েও গুজব প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, আর মূলধারার গণমাধ্যম পত্রিকা এবং টেলিভিশন করোনার মধ্যেও গুজবের বিরুদ্ধে অত্যন্ত বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে। আমি আশা করবো, ভবিষ্যতেও নির্বাচনকে সামনে রেখে হোক, যে কোনো প্রেক্ষাপটেই হোক, গুজবের বিরুদ্ধে গণমাধ্যম সবসময় বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।
৮ জুন বিএনপির বিদ্যুৎকেন্দ্র ঘেরাও কর্মসূচি নিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি তো আগে বিদ্যুৎ কেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিলো, এবার যদি সেটা করে তাহলে জনগণ তাদেরকে প্রতিহত করবে, উচিৎ শিক্ষা দিবে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও প্রস্তুত আছে।
তিনি বলেন, আর তারা তো বিদ্যুৎ দিতে পারেনি। তারেক রহমানের খাম্বা ইন্টারনেশনাল কোম্পানি করে বিদ্যুতের খাম্বা বানিয়েছিলো বিদ্যুৎ না দিয়ে শুধু খাম্বা লাগিয়েছিলো। আমি আশা করবো তারা যখন বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঘেরাও করতে যাবে তারেক রহমান যে শুধু খাম্বা দিয়েছিলো সেটিও মাথায় রাখবে।’
বিদ্যুৎ সরবরাহে ছেদ নিয়ে প্রশ্নে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, আমরা ২০০৯ সালে সরকার গঠনের সময় দেশের মাত্র ৪০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় ছিলো।
তিনি আরও বলেন, এখন শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায়। এখন মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে এটি ঠিক কিন্তু বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন ১৫ দিনের মধ্যে এটা পরিবর্তন হবে।
বিদ্যুতের এই অসুবিধা বিশ্বব্যাপী উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জার্মানিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এক সেকেন্ডের জন্যও কখনো বিদ্যুৎ যায়নি। সেখানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর বিদ্যুতের রেশনিং করা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবাইকে এসএমএস করে বলা হয়েছে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ীভাবে ব্যবহার করার জন্য।
আরও পড়ুন: বিশ্বাঙ্গণে শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি সমর্থন অনুধাবনে ব্যর্থ হলে বিএনপি ভুল করবে: তথ্যমন্ত্রী