আওয়ামী-লীগ
বড় ধরনের হামলা ও নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
বিরোধী দল বিএনপি সারাদেশে বড় ধরনের হামলা-নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘দেশে জঙ্গিবাদ নিষ্ক্রিয় মনে হলেও বিএনপি ছদ্মবেশে সক্রিয়। গোয়েন্দাদের কাছে এমন তথ্য রয়েছে।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেতু ভবনে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক আগেই গণতন্ত্র মুক্ত হওয়ায় বিএনপির আর গণতন্ত্র উদ্ধারের প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নয়, মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্রের জন্য বিএনপিকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: পরবর্তী সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী
আ.লীগ নেতা বলেন, তার দল জনগণের জানমাল রক্ষায় রাজপথে থাকবে এবং নির্বাচন পর্যন্ত তাদের গণপ্রচার ও শান্তি সমাবেশ অব্যাহত রাখবে।
তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে তার দলের সংঘর্ষের কোনো ইচ্ছা নেই বলে আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেয় না।
অন্যদিকে বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দলের কর্মসূচির দিনে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি থেকে বিরত থাকতে আওয়ামী লীগের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দয়া করে কোনও পাল্টা কর্মসূচি রাখবেন না এবং বাধা দেবেন না। এ কারণে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তার দায় আওয়ামী লীগ ও সরকারকে নিতে হবে।’
এর আগে সেতু ভবনে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পদ্মা সেতুসহ সব সেতুতে শুধু রাষ্ট্রপতিকে টোল অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
আরও পড়ুন: বিনিময়ের জন্য জনগণের কাজ করে না আ.লীগ: প্রধানমন্ত্রী
বিনিময়ের জন্য জনগণের কাজ করে না আ.লীগ: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করার বিনিময়ে কী পায় তা কখনই বিবেচনা করে না।
চট্টগ্রামে নবনির্মিত বাশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, ‘বরং আমরা তাদের কল্যাণে আমরা কী করতে পারি তা বিবেচনা করি।’
তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের কার্যালয় উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: জামায়াতের সঙ্গে কোনো সমঝোতা না: ওবায়দুল কাদের
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার গত ১৪ বছরে বাংলাদেশ ও জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করেছে কারণ ‘আমরা সবসময় চিন্তা করি আমরা জনগণের জন্য কী করতে পারি।’
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের নতুন কার্যালয় তার দলের নীতি ও আদর্শ তৃণমূলে ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করবে।
তিনি আওয়ামী লীগকে গণমুখী দল হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের পাশে থাকবে।
তিনি বলেন, তার সরকার দারিদ্র্য কমাতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে এবং গত ১৪ বছরে জনগণের জন্য স্বাস্থ্যসেবা সহ সেবা নিশ্চিত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন যারা তার দলকে ভোট দিয়েছেন। আমরা জনগণের জন্য সব ধরনের সেবা নিশ্চিত করতে চাই।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী।
আরও পড়ুন: পরবর্তী সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী
পরবর্তী সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী
সংসদের পরবর্তী উপনেতা হতে যাচ্ছেন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা,আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং শেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মতিয়া চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনের কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বৈঠক থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের জানান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই পদের জন্য মতিয়া চৌধুরীর নাম প্রস্তাব করেন, যা সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন সমর্থন করেন।
গত ১১ সেপ্টেম্বর সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে উপনেতার পদটি শূন্য হয়।
ক্ষমতাসীন দলের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য সাজেদা টানা তৃতীয়বারের মতো একাদশ জাতীয় সংসদের উপনেতা নির্বাচিত হয়েছেন।
শেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মতিয়া আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কৃষিমন্ত্রী ছিলেন।
সংসদে উপনেতা পদে কাউকে নিয়োগ দিতে বাধ্যতামূলক আইনি বাধ্যবাধকতা নেই।
২০০১-০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কাউকে উপনেতা হিসেবে নিয়োগ দেননি।
আরও পড়ুন: টানা তৃতীয়বার সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী
তবে আওয়ামী লীগ বরাবরই একজন সিনিয়র নেতাকে মন্ত্রী পদে বসিয়েছে।
মতিয়া পাঁচবারের সংসদ সদস্য।
এসময় আগামী জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের জনগণের কাছাকাছি থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইন প্রণেতাদের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে তার কাছে গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট কার্ড রয়েছে এবং যারা জনগণের সঙ্গে যুক্ত এবং তাদের নির্বাচনী এলাকায় ভালো কাজ করছেন, তারাই আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পাবেন বলে বৈঠক সূত্র জানায়।
প্রধানমন্ত্রী সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ‘যারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন, তাদের মনোনয়নের জন্য বিবেচনা করা হবে না।’
বিএনপির চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধী দলের চলমান আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চললে তাতে সরকারের কোনো আপত্তি নেই।
বৈঠকে শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে একজন আইনপ্রণেতা বলেছেন, ‘তবে তারা যদি অতীতে যেভাবে সরকারবিরোধী আন্দোলন চালিয়েছিল, একইভাবে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের পথ অবলম্বন করে; তবে তাদের শক্ত হাতে মোকাবিলা করা হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে তার সরকার এই মুহূর্তে নতুন কোনো উন্নয়ন প্রকল্পে অংশ নেবে না। বরং চলমান প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ করার ওপর জোর দেবে সরকার।
এদিন রাত ৮টা থেকে শুরু হয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে।
প্রধানমন্ত্রী সংসদ সদস্যদের জনগণের সঙ্গে কথা বলতে এবং সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সবাইকে জানানোর আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, সরকার আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে বদ্ধপরিকর।
আরও পড়ুন: সংসদ উপনেতা নির্বাচিত হওয়ায় সাজেদা চৌধুরীকে অভিনন্দন
আ.লীগ নেত্রী সাজেদা চৌধুরী মারা গেছেন
জামায়াতের সঙ্গে কোনো সমঝোতা না: ওবায়দুল কাদের
জামায়াতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সমঝোতা হয় নি বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘কোনো সমঝোতা না। যেহেতু জামায়াত নিষিদ্ধের বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। সেহেতু ভিন্ন কোনো উদ্যোগ নেয়া যুক্তিসংগত নয় বলে আমরা মনে করি।’
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপির কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, তারা(বিএনপি) কর্মসূচি দিতে পারে, তাদের দফা আছে, দশ দফা আবার বলে এক দফা। তারপর দেখলাম, ২৩ দল, আবার ৫৪ দল। এখন শুনলাম আবার ৫২ দল একসঙ্গে ১৬ জানুয়ারি কর্মসূচি পালন করবে। এখন তাদের এই জগাখিচুড়ি ঐক্যের শেষ কোথায়, পরিণতি আমরা গত নির্বাচনে দেখেছি। অতিবাম, অতি ডান মিলিমিশে একাকার।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে গিয়ে ২ পুলিশ আহত
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গতকাল বিএনপির সমাবেশ দেখলাম, অবশ্যই বড় হয়েছে, অস্বীকার করে লাভ নেই। আমাদের দুটো মিটিং অনেক বড় হয়েছে। শহীদ মিনারের সমাবেশ বড় হয়েছে। মিরপুরে তো বিরাট সমাবেশ হয়েছে। আলোচনাসভা সমাবেশে রূপ নিয়েছে, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে। তাদের এই যে এত জোট, প্রেসক্লাবের সামনে, বিজয়নগরে, দেখলাম ফুটপাতে বসে আছে সমমনা ১২ দল। প্রেসক্লাবের সামনে দেখলাম, কয়েকটি চেয়ার, সেখানে আবার তাদের কর্মীদের চেয়ে সাংবাদিক বেশি। আর মঞ্চে আছে কিছু নেতা।’
বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, তাদের তো কোনো নেতা নেই। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনের নেতৃত্ব দেবেন। রাজনৈতিকভাবে তিনি আমাদের সভাপতি। তিনি আমাদের পরবর্তী নির্বাচনের নেতা। তাদের কে? তারা কখনও বলে বেগম জিয়া, কখনো বলে তারেক রহমান তাদের নেতা। কিন্তু তাদের নির্বাচন করার যোগ্যতা নেই। তারা অভিযুক্ত আসামি। কাকে তারা নেতা বানাবেন? গতবার কামাল হোসেন ছিল। পরে তাদের মানসম্মানও বিঘ্নিত হয়ে গেছে। সবাই জানেন, শেষ পর্যন্ত তিনিও(কামাল) হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু এবার কী হবে, সময় বলে দেবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা রাজপথে আছি। আমরা রাজপথ ছাড়ব না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে, আমাদের বিক্ষোভ করার কিছু নেই। তবে শান্তি সমাবেশ করব। শান্তির শোভাযাত্রা করব। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা আমাদের দায়িত্ব। আমরা সতর্ক অবস্থানে থাকব। আমাদের বিক্ষোভের কোনো কারণ নেই।
ফরিদপুরে বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচিতে সংঘর্ষ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গতকাল কোথাও সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। ফরিদপুরে যেটা হয়েছে, সেটা হচ্ছে তাদের মিটিং থেকে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। তবে সেটা বেশি দূর গড়ায়নি। সমাধান হয়ে গেছে। আর ময়মনসিংহে স্পটে কিছু হয়নি। তবে তাদের গাড়ি নাকি আক্রান্ত হয়েছে। ঢিল ছুড়েছে, এ রকম কিছু হয়েছে। ঢাকায় উল্লেখযোগ্য কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বিএনপির সঙ্গে পাল্টা কোনো কর্মসূচি দেয়া হচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, ১০ জানুয়ারি কেন্দ্রীয়ভাবে আমরা কর্মসূচি পালন করেছি। পরের দিন ১১ জানুয়ারি আমাদের কর্মসূচি ছিল।
মহানগরী উত্তর-দক্ষিণ আমাদের যুবলীগ-ছাত্রলীগ, অন্য সহযোগী সংগঠন, মফস্বলের উপজেলা পর্যায়ে কর্মসূচি পালন করেছি। এটি সবসময় হয়ে আসছে। এখানে পাল্টাপাল্টির কোনো বিষয় না।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মিছিল থেকে জামায়াত শিবিরের ৮ নেতাকর্মী আটক
‘তবে বিএনপির আন্দোলন নিয়ে আমাদের অবস্থান অপরিবর্তিত। সেটা হচ্ছে সতর্ক পাহারায় থাকা। যাতে করে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে না পারে এবং অশান্তি, বিশৃঙ্খলা সহিংসতার কোনো উপদান যুক্ত হতে না পারে, সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক থাকছি,’ বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে জামায়াতের সঙ্গে সরকারের কোনো সমঝোতা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে প্রশ্নে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আদালতের রায়ের জন্য অপেক্ষা করছি। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ ধরনের প্রক্রিয়া শুরু করার ব্যাপারে আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
জামায়াতকে নিয়েই বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, তা সবাই জানেন। জামায়াত ছাড়া বিএনপির টিকে থাকাই দুষ্কর। নেতিবাচক রাজনীতি করতে করতে বিএনপি যেখানে গিয়ে পৌঁছেছে, তাদের বড় সমাবেশ, বড় মিছিল করতে হলে জামায়াতকে দরকার। জামায়াতের আবার একটি সমর্থক-কর্মীর ব্যাংক আছে। কাজেই সমাবেশ বড় করতে হলে, মিছিলে লোক বেশি আনতে হবে জামায়াত ছাড়া তাদের (বিএনপি) চলবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা বারবার একই কথা বলেছি, সাম্প্রদায়িক শক্তির পৃষ্ঠপোষক বিএনপি। জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীর বিশ্বস্ত ঠিকানা বিএনপি। বিএনপি-জামায়াত একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। তাদের একটিকে ছাড়া আরেকটি চলবে না।’
আরও পড়ুন: বিশ্বের কোথায়ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নেই: ওবায়দুল কাদের
বিএনপির আন্দোলন নিয়ে সতর্ক থাকবে আ.লীগ: কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির আন্দোলন নিয়ে আমরা সতর্ক থাকব। তারা যাতে সহিংস পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে, সে ব্যাপারে আমরা নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করিনি। আমরা রাজপথে আছি। রাজপথ আমরা ছাড়ব না। জনগণের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব পালন করব।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, গতকাল বিএনপির বৈঠক অনেক বড় হয়েছে। আমাদের আলোচনা সভাও বড় সমাবেশে রূপ নেয়।
বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, পরের নির্বাচনে আমাদের নেতৃত্ব দেবেন শেখ হাসিনা। কিন্তু তাদের নেতা কে? গত নির্বাচনে তারা কামাল হোসেনের নেতৃত্বে নির্বাচন করেছে।
তিনি বলেন, গতকাল কোনো সহিংস পরিস্থিতি কোথাও হয়নি। ফরিদপুরে তাদের মিটিং থেকে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুড়েছে। তবে তা বেশিদূর গড়ায়নি।
তারা শোভাযাত্রা করলে আমরা শান্তি সমাবেশ করব বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ করা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা আদালতের বিষয়। এ বিষয়ে আমরা সক্রিয় হওয়ার সিদ্ধান্ত নিইনি। আদালতের বিষয়ে দলীয় ভূমিকা যুক্তিসঙ্গত হবে না।
তার মতে, জামায়াত ছাড়া বিএনপি শক্তিহীন। বিএনপি-জামায়াত একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। জামায়াত ছাড়া তাদের চলা অচল। বেশি লোক আনতে হলে তাদের জামায়াত ছাড়া চলবে না।
আরও পড়ুন: বিএনপি ক্ষমতায় এলে একাত্তরের চেতনা বিলুপ্ত হয়ে যাবে: ওবায়দুল কাদের
ভারতের সঙ্গে বৈরি সম্পর্ক রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয়: কাদের
দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের সমুচিত জবাব দিতে প্রস্তুত আ.লীগ: কাদের
সরকারকে আবার ধাক্কা দিতে গেলে বিএনপির পা ভেঙে যাবে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকারকে আবার ধাক্কা দিতে গেলে বিএনপির পা ভেঙে যাবে।
তিনি বলেন, দয়া করে আর ধাক্কা দেয়ার চেষ্টা করবেন না। ১০ ডিসেম্বর বিএনপির কোমর ভেঙেছে, আবার ধাক্কা দেয়ার চেষ্টা করলে পা ভেঙে যাবে।
বুধবার বিকালে রাজধানীর মিরপুরে শাহ আলী ঈদগাহ ময়দানে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি অস্থিরতা তৈরি করতে চায়: তথ্যমন্ত্রী
ড. হাছান বলেন, আজকে বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণের পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। ক’দিন আগে আইএমএফ (আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল) রিপোর্ট দিয়েছে-বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন পৃথিবীর ৩৫তম। আমরা যখন ২০০৯ সালে সরকার গঠন করেছিলাম, দেশ ছিল ৬০তম। আমরা গত ১৪ বছরে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ অনেক দেশকে এবং পাকিস্তানকে বহু আগেই পেছনে ফেলেছি।
এই উন্নয়ন বিএনপি, খালেদা জিয়া ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরদের পছন্দ হয় না মন্তব্য করে তিনি বলেন, যে সরকার উন্নয়নের চাকাকে ধাবমান চাকায় পরিণত করে আজকে উন্নয়নের মহাসড়কে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, সেই সরকারকে তারা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে চায়। তারা ১০ ডিসেম্বর ধাক্কা দিতে চেয়েছিল, কিন্তু আওয়ামী লীগ কোনও ধাক্কায় পড়ে যাওয়ার দল নয়, বরং যে ধাক্কা দেয় সে-ই পড়ে যায়। ১০ তারিখ সেটিই প্রমাণ হয়েছে।
১০ ডিসেম্বর বিএনপি আমাদের ধাক্কা দিতে গিয়ে তারাই পড়ে গিয়ে নয়াপল্টন থেকে গরুর হাটে চলে গেছে, তাই আজকে সুর পাল্টে ফেলেছে' উল্লেখ করে মন্ত্রী হাছান বলেন, আজকে মির্জা আব্বাস বক্তব্য রেখেছেন আমরা কোনও সরকারকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে চাই না। অর্থাৎ ধাক্কা দেয়ার চেষ্টা করে বুঝতে পেরেছে ১০ ডিসেম্বর তাদের কোমর ভেঙে গেছে। সুতরাং এখন লাইনে এসেছে, বলে কী—আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারকে বিদায় দেবো।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি এখন কর্মসূচি দিয়েছে ১৬ তারিখ নাকি তারা গণমিছিল করবে। আমরা রাজপথে নেমেছি, আমরা রাজপথ ছাড়বো না, আমরা রাজপথে থাকবো। কারণ, এই রাজপথেই জন্ম আওয়ামী লীগের। আর বিএনপির জন্ম ক্যান্টনমেন্টের মধ্যে, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। রাজপথ আর কাউকে দখলে নিতে দিবো না।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি, যে দিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করে বাংলাদেশে পর্দাপণ করেছিলেন, সে দিনই আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা লাভ করেছিল। বঙ্গবন্ধুকে যখন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যা করা হয়, তখন আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৯.৫৪ শতাংশ। আমরা আজ পর্যন্ত সেই রেকর্ড ভাঙতে পারিনি।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শিক্ষার্থীর মৃত্যু মানবাধিকারের লঙ্ঘন: তথ্যমন্ত্রী
ভারতীয় সাংবাদিকদের সফর দু’দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নেবে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি ক্ষমতায় এলে একাত্তরের চেতনা বিলুপ্ত হয়ে যাবে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আবার ক্ষমতায় এলে দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থাকবে না।
তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তি ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপিকে আমরা ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারি না।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বুধবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় যোগ দিতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: গোলাপবাগে সমাবেশ করে বিএনপি ‘অর্ধেক পরাজিত’: ওবায়দুল কাদের
এছাড়া পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি লন্ডন ও নয়াদিল্লি হয়ে বঙ্গবন্ধু ঢাকায় ফিরে আসেন।
কাদের বলেন, বাংলাদেশের আরেক নাম শেখ মুজিবুর রহমান। যতদিন এই ভূমি থাকবে বঙ্গবন্ধু থাকবেন।
বুধবার বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বিরোধী দলের কড়া সমালোচনা করে বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৫৪টি দল হাত মিলিয়েছে। কিন্তু ৫৪ দল কী করবে? তারা কিছু করতে পারে না।
কাদের বলেন, বিএনপির দুর্নীতি, লুটপাট ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে খেলা হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে যা ধ্বংস করেছিল হাসিনা তা মেরামত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা একদিনে শত শত সেতু ও শত শত রাস্তার উদ্বোধন করেছেন। শেখ হাসিনাই পারেন, একমাত্র শেখ হাসিনাই পারেন। আসুন আমরা তার হাতকে শক্তিশালী করি।
স্থানীয় গণমাধ্যমের সমালোচনা করে কাদের বলেন, বিএনপির শাসনামলে ৫০ দিনও তিনি ঘরে থাকতে পারেননি। এখন বিএনপির দুই নেতা ২৬ দিন ধরে কারাগারে ছিলেন।
এছাড়া কিছু মিডিয়া এমনভাবে লিখছে যেন তারা ২৬ হাজার বছর ধরে জেলে ছিল।
এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।
আরও পড়ুন: নেতার দরকার নেই, চৌকস কর্মী চাই: ছাত্রলীগকে ওবায়দুল কাদের
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন ওবায়দুল কাদের
বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি: ঢাকার রাজপথে জড়ো হয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা
বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দল ও জোটের অবস্থান কর্মসূচির পালটা কর্মসূচি হিসেবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বুধবার ঢাকায় অবস্থান নিয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবিলায় নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিটি নেতাকর্মী রাস্তায় নেমেছেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় প্রধান শিক্ষককে আওয়ামী লীগ নেতার চড়-থাপ্পড়!
সকাল থেকেই বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, মহিলা যুবলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়ো হন।এছাড়া সমাবেশকে কেন্দ্র করে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। কর্মসূচির কারণে যানবাহন আটকে থাকায় অধিকাংশ যাত্রী পায়ে হেঁটেই এলাকা অতিক্রম করেন।
অন্যদিকে সকাল থেকেই শাহবাগে জড়ো হন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচিতে জনদুর্ভোগ সহ্য করা হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, রাজধানীতে বিএনপির গণ-অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে জনদুর্ভোগ ও নৈরাজ্য বরদাস্ত করা হবে না।
মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সদর দফতরে মুজিব কর্নার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করলে বিএনপি কোনও বাধার মুখে পড়বে না। তাদের কর্মসূচি জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ালে তা বরদাস্ত করা হবে না।’
সরকার বিএনপির কর্মসূচিতে কোনও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেনি। দলটি তাদের আগের কর্মসূচিতে সহিংসতার আশ্রয় নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রাস্তা অবরোধ করে গণঅস্থানের নামে ভাঙচুর ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের প্রতিহত করবে।’
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও ঢাকা মেট্রোপলিটনের কমিশনার এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ১১ জানুয়ারি দেশের সব বিভাগীয় শহরে গণঅবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ঢাকায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত থাকবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
অচিরেই সীমান্তে হত্যা বন্ধ হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের সমুচিত জবাব দিতে প্রস্তুত আ.লীগ: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র, আন্দোলনের নামে সংগঠিত সহিংসতা, সাম্প্রদায়িকতার উত্থানের সমুচিত জবাব দিতে দল প্রস্তুত।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ আগের চেয়ে অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ, অনেক শক্তিশালী।
এর আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ফাইনাল খেলা হবে আগামী জানুয়ারিতে: কাদের
নেতার দরকার নেই, চৌকস কর্মী চাই: ছাত্রলীগকে ওবায়দুল কাদের