আওয়ামী-লীগ
আ.লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলে বিএনপি নেতাদের আমন্ত্রণ
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে (বিএনপি)দলের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ (আ.লীগ)।
শুক্রবার আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক আবু সায়েমের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে কাউন্সিলে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানায়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির তিন সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান ও নজরুল ইসলাম খানকে শনিবার কাউন্সিলে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও দলের ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদ সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স আমন্ত্রণ গ্রহণ করে আ.লীগের প্রতিনিধিদলকে বলেন,‘আমাদের সব নেতা এখন কারাগারে, তারা কীভাবে কাউন্সিলে যোগ দেবেন?’
এসময় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের সায়েম বলেন, ‘এটি (কারাবাস) সরকারের একটি বিষয়। আমরা এখানে দলের পক্ষ থেকে এসেছি। আমি আশা করি একটি প্রতিনিধি দল (আপনার দলের) কাউন্সিলে অংশ নেবে।’
প্রিন্স বলেছেন, ‘আমরা আমাদের দলের হাইকমান্ডের সঙ্গে আলোচনার পরে কাউন্সিলে যোগ দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’
নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, দেশে যদি কেউ নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বুধবার রাজশাহীর বাঘায় উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ম মেনে রাজনীতি করতে হবে।
আরও পড়ুন: ফারদিন নূর: র্যাব, ডিবি'র তদন্তে আস্থা প্রকাশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
তিনি বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক এবং পুলিশ বাহিনী দেশপ্রেম ও সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করছে। দেশের রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ম না মানলে তাদের জবাবদিহি করতে হবে।
‘প্রতিটি বাহিনী দক্ষতার সাথে কাজ করছে। তাদের মধ্যে আনসার ও ভিডিপি রয়েছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যখন নির্বাচনে পুলিশ মোতায়েন করা যায় না, তখন আনসার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে যখন অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল তখন প্রায় দুই লাখ আনসার সদস্য সাহসিকতার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।’
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সীমান্তে হত্যা বন্ধে ভারতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারাও (ভারত) এ ধরনের হত্যাকাণ্ড সমর্থন করে না।’
এছাড়া ভারত বাংলাদেশ সরকারকে সীমান্ত এলাকায় অবাধ চলাচলের বিষয়টি খেয়াল রাখতে অনুরোধ করেছে। সরকারও সেদিকে নজর রাখছে।
সীমান্তে কোনো সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক পতাকা বৈঠক হচ্ছে। বিভিন্ন সমস্যা ও সংকট সমাধানে উভয় দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করছে বলেও জানান মন্ত্রী।
বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রমকে আরো গতিশীল ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের ১৩টি উপজেলায় উপজেলা আনসার ও ভিডিপি মডেল ভবন নির্মাণের কাজ চলছে।
৯টি উপজেলায় আনসার ও ভিডিপি ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
আরও পড়ুন: বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে রাস্তা কিংবা ফ্লাইওভারে কোনো কনসার্ট নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মিয়ানমারের মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃত্বে সাদ্দাম-ইনান
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটিতে সাদ্দাম হোসেনকে সভাপতি ও শেখ ওয়ালি ইয়াসির ইনানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় কাউন্সিলের ৪৫ দিন পর মঙ্গলবার রাতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
নবগঠিত ছাত্রলীগ কমিটির সভাপতি সাদ্দাম ও সাধারণ সম্পাদক ইনান দুজনেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের ছাত্র এবং তাদের সেশন ২০১১-২০১২। এর আগে সাদ্দাম ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
এছাড়া মাজহারুল কবির শয়ন ও তানভীর হাসান সৈকতকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
তারা যথাক্রমে নৃবিজ্ঞান এবং থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র এবং তাদের অনার্স সেশন ২০১১-২০১২ ও ২০১৩-২০১৪।
ঢাকা উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে রিয়াজ মাহমুদ ও সাগর আহমেদ এবং ঢাকা দক্ষিণ শাখায় রাজিবুল ইসলাম ও সজল কুন্ডুর নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন: কমিটি নিয়ে কেন্দ্রীয় সভাপতির মুখোমুখি অবস্থানে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ
জাবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
বিএনপি নেতাদের মুখে রাষ্ট্র সংস্কারের কথা হাস্যকর: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির ২৭ দফা নিয়ে তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যারা রাষ্ট্র ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছিল, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে যারা বন্দুকের নল উঁচিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল আর ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দল গঠন করেছিল, সেই বিএনপি নেতাদের মুখে রাষ্ট্র সংস্কারের কথা হাস্যকর।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় হ্যাকাথন ‘কোড সামুরাই’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, রাষ্ট্র সংস্কার বলে তারা যে প্রস্তাবগুলো দিয়েছে সেটা আমি দেখেছি। ১৩ নম্বর প্রস্তাবে আছে-দুর্নীতির ব্যাপারে কোনও আপোষ করা হবে না।
আরও পড়ুন: তদন্তের স্বার্থে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ: তথ্যমন্ত্রী
যারা পরপর পাঁচবার দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিল, যাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দুর্নীতির দায়ে শাস্তিপ্রাপ্ত, তারা যখন এ সমস্ত কথা বলে তখন মানুষ হাসে গাধাও হাসে।
এছাড়া খন্দকার মোশাররফ সাহেব তো ছাত্রলীগ করতেন। ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট গ্রহণ করার জন্য রাজনীতির কাকরা সমবেত হয়ে বিএনপি গঠন করেছিল। এই উচ্ছিষ্ট গ্রহণকারী নেতারা যখন রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলে তখন সেটি হাস্যকর ছাড়া অন্য কোনও কিছু নয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ২৭ দফায় গতানুগতিক কিছু কথা বলেছে যে সব দাবি নিয়ে তারা আন্দোলন করছে। আমাদের দেশে যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলা হয় তখন রাজনীতি এবং রাজনীতিবিদদের ওপর অনাস্থার কথাই চলে আসে। কারণ রাজনীতিতে আমরা সহনশীলতা প্রতিষ্ঠা করতে চাই, সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠা করতে চাই, সেটি তারা করতে চায় না বিধায় অগণতান্ত্রিক কিছুকে আনতে চায়। এটি কখনই সমীচীন নয়।
ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সাম্প্রতিক মন্তব্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কোনো বিরূপ মন্তব্য নয়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে তারা বক্তব্য রেখেছেন। তবে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের জেনেভা কনভেনশন মেনে বক্তব্য রাখা প্রয়োজন। আমাদের রাজনৈতিক বিষয়গুলো আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের বা ১৯৭৬-৭৭ সালের কিংবা ১৯৮২-৮৩ সালের বাংলাদেশ নয়। বাংলাদেশ এখন ২০২২ সালের বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে এখন বাজেট প্রণয়নের জন্য প্যারিস কনসোর্টিয়ামের মিটিংয়ে ছুঁটে যেতে হয় না। আমাদের বাজেট আমরাই প্রণয়ন করি সুতরাং বিদেশিদের নাক গলানোর কোনও সুযোগ নেই।
এর আগে মন্ত্রী ঢাবি কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ এবং সফটওয়্যার সংস্থা বিজেআইটি’র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘কোড সামুরাই’ ২৪ ঘন্টার হ্যাকাথন উদ্বোধন করেন।
এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শিল্পবিপ্লবে পিছিয়ে পড়লেও চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে পিছিয়ে পড়েনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন ড. হাফিজ মো. হাসান বাবু, ওয়ানপ্রুপ ইনকর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী ইজুমি হিরায়ামা, মারুবেনি করপোরেশন ঢাকার মহাব্যবস্থাপক হিকারি কাওয়াই, কোড সামুরাই কমিটি সদস্য ইয়াসুহিরো আকাশি এবং ঢাবির কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সাইফুদ্দিন মো. তারিক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
প্রাথমিক পর্বের পাঁচ শতাধিক থেকে বাছাই হয়ে আসা দেড় শতাধিক প্রতিযোগী হ্যাকাথনের চূড়ান্ত পর্বে অংশ নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: বুদ্ধিজীবী দিবসে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বিতর্কিত করা হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যার নেপথ্যে থাকা জামায়াত বিএনপির প্রধান সহযোগী: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা হাস্যকর: কাদের
রাষ্ট্রকে মেরামত করতে বিএনপির রূপরেখাকে হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির ২২তম জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষ্যে খাদ্য উপকমিটির সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, তারা ক্ষমতায় আসলে রূপরেখা বাস্তবায়ন হবে না, বরং নদীতে ভেসে যাবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল। শেখ হাসিনার দৃঢ়তার কারণে বাংলাদেশ আজকে সমৃদ্ধ। বিএনপি গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করেছে।’
আরও পড়ুন: একাত্তরের পরাজিত শক্তি প্রতিশোধ নিতে সক্রিয় হচ্ছে: কাদের
কাদের আরও বলেন, ‘যারা ধ্বংস করে তারা মেরামত করবে কি করে। এটা অত্যন্ত হাস্যকর স্ট্যান্টবাজি।’
বিএনপি মিথ্যাচারের হোতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের মুখে সত্য বেমানান। বিএনপিকে কেউ বিশ্বাস করে না। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তারা মাঠে রয়েছে, কিন্তু সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ এখনও বিশ্বাস করে যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাবে। এটা প্রমাণিত সত্য, বিএনপি সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনো সক্রিয়: ওবায়দুল কাদের
মার্কিন রাষ্ট্রদূত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে স্মৃতিসৌধে যাননি, অন্য কোথাও গেছেন: কাদের
আন্দোলনের মাধ্যমে আ.লীগ সরকারকে উৎখাত করা এত সহজ নয়: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা বিএনপি ও অন্যদের পক্ষে সহজ হবে না। তারা সর্বোত্তমভাবে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে পারে।
তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, ‘কিছুদিন আগে বিএনপি সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করে। এটা কি এত সহজ? বরং, আওয়ামী লীগের ক্ষমতা (এমন আন্দোলন বন্ধ করার)।’
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশের অনেক পরিবর্তন হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
আলোচনায় সভাপতিত্বকারী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ পারে, আইয়ুব খানকে আমরা উৎখাত করেছি। ইয়াহিয়া খানকে যুদ্ধে পরাজিত করে উৎখাত করেছি। জিয়াকে পাই নাই হাতে; কিন্তু জিয়া যখনই যেখানে গেছে- আন্দোলন তো তার বিরুদ্ধে হয়েছে। এরশাদকে উৎখাত করেছি। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ভোট চুরি করে, তাকে উৎখাত করা হয়েছে। আবার ২০০৬ এ ভোট চুরি করেছিল, এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে ভোট করতে চেয়েছিল, সেটাও বাতিল হয়েছে। কাজেই আওয়ামী লীগ পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসলে... হ্যাঁ চক্রান্ত করতে পারবে, ষড়যন্ত্র করতে পারবে। ’
খুনি ও যুদ্ধাপরাধীরা যাতে ক্ষমতায় এসে দেশকে ধ্বংস করতে না পারে সেজন্য সবাইকে বিজয়ী পতাকা সমুন্নত রাখতে এবং সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
বিজয়ের এই মাসে বিএনপি কেন সরকার পতনে মরিয়া তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ষড়যন্ত্রের কারণে ২০০১ সালে তার দল ক্ষমতায় আসতে না পারায় বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে দেশের মানুষ চরম দুর্ভোগ সহ্য করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিটি নাগরিকের কম্পিউটার সাক্ষরতা এবং ই-গভর্নেন্স, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার আধুনিকায়নের পাশাপাশি ই-বিজনেস ও ই-কমার্সকে আরও বিকশিত করা হবে।
আরও পড়ুন: আমরা বাংলাদেশে মানবাধিকার সমুন্নত রাখি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী সম্মানসূচক “গ্লোবাল এম্বাসেডর ফর ডায়াবিটিস”-এর উপাধিতে ভূষিত
বিদ্রোহী প্রার্থীদের সাধারণ ক্ষমা আ.লীগের
আওয়ামী লীগ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী ও দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যারা দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে তাদের মধ্যে শতাধিক নেতা ক্ষমা চেয়ে আবেদন করলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমা করেন। এর বাইরে কেউ থাকলে তারাও আবেদন করতে পারবে।’
কাদের আরও বলেন যে ৩০ লাখ টাকা কমিয়ে দলীয় কাউন্সিলের বাজেট তিন কোটি ১৩ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় সাতক্ষীরায় আ’লীগের ৯ নেতা-কর্মী বহিষ্কার
ইউপি নির্বাচন: বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় সাতকানিয়ায় ১৮ জনকে আ’লীগ থেকে বহিষ্কার
স্বার্থান্বেষী মহল গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চায়: প্রধানমন্ত্রী
একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাদের ব্যক্তিগত লাভের জন্য দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার কাজে নিহিত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, ‘গণতন্ত্রের অভাবটা কোথায়? নাকি যারা এসব কথা বলেন তাঁদের জরুরি অবস্থার সরকার, সামরিক শাসক আসে তাহলে ভালো লাগে। তাঁদের একটু দাম বাড়ে। খোশামোদী-তোষামোদী করে। ওইটুকু পাওয়ার লোভে ব্যক্তি স্বার্থের জন্য তাঁরা দেশের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিটাই ধ্বংস করতে চায়।’
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশের অনেক পরিবর্তন হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও সেক্রেটারি এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কমিটির সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত শনিবার আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সূচনা বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।
তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার কেউ নেই। 'আমি তাদের জিজ্ঞেস করি যে গণতন্ত্রের ঘাটতি কোথায়?’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, এই স্বার্থান্বেষী মহল মনে করে ভোট কারচুপি, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ, যা বিএনপি-জামায়াতের আমলে খুবই স্বাভাবিক ছিল, গণতন্ত্রের সমার্থক শব্দ।
‘আমি বিশ্বাস করি জনগণের শক্তিই সবচেয়ে বড় শক্তি; জনগণের আস্থাই সবচেয়ে বড় শক্তি,’ বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকায় এবং দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকায় বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নয়ন করেছে এবং বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি না যারা গণতন্ত্র খুঁজছেন তারা অবশ্যই চোখে দূরবীন ব্যবহার করছেন, আমি তাদের একটি প্রশ্ন করি, জাতির পিতার সাড়ে তিন বছর এবং আওয়ামী লীগের শাসনামলে অন্য বছর ছাড়া দেশে গণতন্ত্র কোথায় ছিল?’
জিয়াউর রহমান, এইচএম এরশাদ ও খালেদা জিয়ার শাসনামলে সেনানিবাসের হাতে সকল ক্ষমতা কুক্ষিগত ছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা প্রশ্ন তোলে বলেন, ‘ক্যান্টনমেন্ট থেকে দেশ শাসিত হয়েছিল, তাহলে গণতন্ত্র বা জনগণের শক্তি কোথায় ছিল?’
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সরকার পরিচালিত হওয়ায় দেশ ব্যাপকভাবে এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। ‘যে বাংলাদেশ সন্ত্রাস, দুর্ভিক্ষ, দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ছিল, সে দেশ এখন গণতন্ত্র ও উন্নয়নের দেশে পরিণত হয়েছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগ সরকার টানা ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকায় এসব ব্যাপক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই দেশের মানুষ ইতিবাচক পরিবর্তন পায়।
আওয়ামী লীগ সবসময় ন্যায়বিচারে বিশ্বাস করে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়া দেশে অনাচারের সংস্কৃতি গড়ে তুলেছিলেন, আমরা তা থেকে মুক্তি পেয়ে ন্যায়ের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করেছি।’
আরও পড়ুন: আমরা বাংলাদেশে মানবাধিকার সমুন্নত রাখি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী সম্মানসূচক “গ্লোবাল এম্বাসেডর ফর ডায়াবিটিস”-এর উপাধিতে ভূষিত
স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনো সক্রিয়: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিজয়ের ৫১ বছর পরও স্বাধীনতাবিরোধীরা দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে।
আরও পড়ুন: আ. লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই: ওবায়দুল কাদের
শুক্রবার সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক শক্তি, জঙ্গিরা বিজয়ের আনন্দকে নস্যাৎ করতে ষড়যন্ত্র করছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তিকে প্রতিরোধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এ সময় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান, প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও জাতীয় স্মৃতিসৌধে একাত্তরের বীরাঙ্গনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কেনো বিএনপির অপছন্দ: ওবায়দুল কাদের
যুব মহিলা লীগের নতুন সভাপতি ডেইজি, সাধারণ সম্পাদক লিলি
আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুব মহিলা লীগের নতুন সভাপতি ডেইজি সারোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মহিলা লীগের তৃতীয় ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
২০০২ সালে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাকালে ১০১ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়।
২০০৪ সালে অনুষ্ঠিত সংগঠনের প্রথম কাউন্সিলে নাজমা আক্তারকে সভাপতি ও অপু উকিলকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
১৩ বছর পর ২০১৭ সালের ১৭ মার্চ যুব মহিলা লীগের দ্বিতীয় কাউন্সিলে ফের নাজমা আক্তারকে সভাপতি ও অপু উকিলকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
ছবির ক্যাপশন-যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি।
আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন আ.লীগের
তদন্তের স্বার্থে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপিকে ২৪ ডিসেম্বর ঢাকায় বিশৃঙ্খলা না করার আহ্বান কাদেরের