আওয়ামী-লীগ
বিএনপির আন্দোলনের কথা শুনলে মানুষ হাসে: ওবায়দুল কাদের
বিএনপি গত ১৩ বছরে ২৬ বার আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। এখন বিএনপির আন্দোলনের কথা শুনলে মানুষ হাসে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, গত ১৩ বছরে বিএনপি ২৬বার আন্দোলনের ডাক দিয়ে পারলো না, পারবে কোন বছর? তাদের আন্দোলনে সবার প্রশ্ন, এই বছর না ওই বছর আন্দোলন হবে কোন বছর।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রাজাপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে নেতাকর্মীদের ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আগামী জুনের মধ্যে পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের তারিখ পিছানো হয়নি। আগামী জুনেই পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হবে।তিনি আরও বলেন, এলাকার সঙ্গে আমার সম্পর্ক কখনো বিচ্ছিন্ন হয়নি। অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর, আইসিইউ প্রতিস্থাপন, খাদ্য সামগ্রী এবং ত্রাণ সামগ্রী দিয়েছি। বহুদিন মা বাবার কবর জিয়ারত করতে পারিনি তাই মনটা বিষন্ন ছিল। যারা আমার ভোটার, তাদের মাঝে আসতে পেরে ভাল লাগছে। নিজের বাড়িতে এসেছি, নিজের খাবার খেয়েছি, নামাজ পড়েছি। আমার আজকে অনেক ভাল লেগেছে।
আরও পড়ুন: প্রায় ৩ বছর পর নির্বাচনী এলাকায় ওবায়দুল কাদেরওবায়দুল কাদেরকে বীর ৭১ সম্মাননা দেয়া হয়েছে।এর আগে, তিনি নিজ বাড়ির দরজায় পুলিশের গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে তাঁর হাতে বীর ৭১ সম্মাননা পদক তুলে দেন তাঁর ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। পরে, বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করেন।
এদিকে, বিকাল ৩টায় কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে উপজেলা ডাক বাংলায় ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ওবায়দুল কাদের।এসময় জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক খায়রুল আনম সেলিম, যুগ্ম আহবায়ক এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন, নোয়াখালী পৌর মেয়র শহিদ উল্ল্যাহ খান সোহেল, ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জাসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৩ আগস্টের পর দীর্ঘ প্রায় ৩৩ মাস পর নিজ নির্বাচনী এলাকা কোম্পানীগঞ্জে আসেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গত এক বছর নানা ঘটনায় সমালোচনায় পড়তে হয় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের। আলোচনার সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। তাঁর বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠছে সংগঠনের ভেতর থেকেই। বড় ভাই সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও ভাবীর বিরুদ্ধে বিষেদগার করেন কাদের মির্জা। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে বার বার সংবাদের শিরোনাম হন তিনি। এতে স্থানীয়ভাবে নাজুক অবস্থায় পড়েছে সংগঠন। স্থানীয় রাজনীতিতে কাদের মির্জা বিরোধী অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল। তাঁর খুঁটি হচ্ছে কাদের মির্জার আপন তিন ভাগ্নে। বাদল ও ভাগ্নেদের বিরুদ্ধেও কাদের মির্জা নানা অভিযোগ তুলেন। একপর্যায়ে দুই গ্রুপের এ দ্বন্দ্ব সংঘাতে কাদের মির্জার প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ায় তারই আপন তিন ভাগ্নে। সেই বিরোধের জের ধরে গত কয়েক মাসে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে একজন সাংবাদিকসহ দুই জন নিহত হয়। আহত হয় প্রায় এক হাজার নেতাকর্মী। পাল্টাপাল্টি ৭২টি মামলা হয়। এতে আসামি হয় উভয় পক্ষের প্রায় সাত হাজার তৃণমূলের নেতাকর্মী। এখনও বাড়ি ছাড়া রয়েছে হাজারো নেতাকর্মী।
প্রায় ৩ বছর পর নির্বাচনী এলাকায় ওবায়দুল কাদের
প্রায় তিন বছর পর নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জে নির্বাচনী এলাকায় গেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার সকালে নিজ বাসভবনে পৌঁছে প্রথমেই তিনি বাবা মায়ের কবর জিয়ারত করেন। সেখানে কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে মা ও বাবার আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত করেন।
পরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তার নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময়ে করেন।
আরও পড়ুন: বিদেশে আ’লীগের বন্ধু আছে, কোনো প্রভু নেই: কাদের
কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টার দিকে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভায় যোগ দেবেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পথে নিজ বাড়ি যাওয়া পথে ফেনীর দাগনভূঁইয়া থেকে বাসভবন পর্যন্ত সড়কপথে বিপুল সংখ্যক মানুষের ফুলের ভালোবাসায় সিক্ত হন।
বিএনপির কাজই ছিল রাষ্ট্রযন্ত্রকে দলীয়ভাবে ব্যবহার করা: হানিফ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ক্ষমতায় থাকার সময় বিএনপির কাজই ছিল রাষ্ট্রযন্ত্রকে দলীয়ভাবে ব্যবহার করা।
তিনি বলেন, ‘২০০৪ সালের ২১ আগস্টে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে জঙ্গিদের দিয়ে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। আর এই হামলা পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করেছিল বিএনপি।’
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে কুষ্টিয়ায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন হানিফ।
আরও পড়ুন: বিএনপি অংশ না নিলেও নির্বাচন কমিশন গঠন বন্ধ হবে না: হানিফ
এ সময় বিএনপি নেতাদেরকে উদ্দেশে করে সরকার দলের এই নেতা বলেন, বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকতে রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গকে ক্রীড়ানক (খেলনা) হিসেবে ব্যবহার করেছে। বর্তমান সরকারের সময় দেশের সাংগঠনিক প্রতিষ্ঠানগুলো সঠিক কাজ করলেও বিএনপি মনে করে তারা সরকারের পক্ষে কাজ করছে।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, আগামী বছর জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে শক্তিশালী করায় এবারের কাউন্সিলের মূল লক্ষ্য। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জোট যেন নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করতে পারে সেটিই লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর হবে না:হানিফ
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে হলে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই।
বিদেশে আ’লীগের বন্ধু আছে, কোনো প্রভু নেই: কাদের
রবিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিদেশি আওয়ামী লীগের বন্ধু আছে, কিন্তু কোনো প্রভু নেই।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে দুস্থদের মাঝে উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে কাদের একথা বলেন।
রবিবার ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
তিনি দাবি করেন, বরং বিএনপির বিদেশে প্রভু আছে।
আরও পড়ুন: ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে জাপানি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানাসহ দলের নেতারা।
এএমএ মুহিতের প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন
সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এএমএ মুহিতের প্রথম নামাজে জানাজা রাজধানীর গুলশানের আজাদ মসজিদে সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সর্বস্তরের মানুষ যাতে শ্রদ্ধা জানাতে পারে সেজন্য দুপুর ১২টায় তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হবে। পরে তার মরদেহ দাফনের জন্য সিলেটে নিয়ে যাওয়া হবে।
শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে দীর্ঘ অসুস্থতাজনিত কারণে মুহিত মারা যান বলে ইউএনবিকে জানান তার ভাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
আরও পড়ুন: এএমএ মুহিত: আওয়ামী লীগের উন্নয়ন যুগের স্থপতি আর নেই
২০২১ সালের ২৫ জুলাই তিনি করোনা আক্রান্ত হন এবং এর সঙ্গে লড়াই করেছিলেন। তারপরে মার্চ মাসে বার্ধক্যজনিত কারণে তাকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শোক
মুহিতের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৎকালীন পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসের সদস্য মুহিত ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তান দূতাবাসে চাকরিরত অবস্থায় পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের প্রথম সরকারে যোগদান করেন।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত সফল এ অর্থনীতিবিদ ও রাজনীতিবিদ তাঁর স্ব কাজের মধ্য দিয়ে আমাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনও তার ভাই সাবেক অর্থমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা এএমএ মুহিতের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
পৃথক আরেক বার্তায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও মুহিতের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
মুহিতের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনও।
আরও পড়ুন: এএমএ মুহিতের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
এক শোকবার্তায় এফবিসিসিআইয়ের প্রধান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তার অতুলনীয় অবদানের জন্য জাতি তাকে মনে রাখবে।
তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
কর্মজীবন
আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে টানা ১০ বছর সংসদে বাজেট পেশ করেন মুহিত।
তার আমলেই বাজেটের আকার প্রসারিত হয়।
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি মুহিত বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নেন।
মুহিত ১৯৩৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সিলেটের ধোপাদিঘীতে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ছিলেন পাকিস্তান আন্দোলনের নেতা এবং সিলেট জেলা মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডভোকেট আবু আহমদ আবদুল হাফিজের তৃতীয় সন্তান।
তার মা সৈয়দ শাহার বানু চৌধুরীও রাজনীতি ও সমাজসেবায় সক্রিয় ছিলেন।
মুহিত দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, আইডিবি, এডিবি ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থায় প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
তিনি ১৯৫১ সালে সিলেট এমসি কলেজ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রদেশে প্রথম স্থান অধিকার করেন।
মুহিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৪ সালে ইংরেজি সাহিত্যে বিএ-তে প্রথম হন এবং ১৯৫৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এমএ পাস করেন।
চাকরিকালীন তিনি ১৯৫৭ থেকে ৫৮ সাল পর্যন্ত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন এবং ১৯৬৪ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমপিএ ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৫৬ সালে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগদানের পর তিনি পূর্ব পাকিস্তান, পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার এবং তারপর বাংলাদেশ সরকারে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: এএমএ মুহিতের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
মুহিত পাকিস্তানের ওয়াশিংটন দূতাবাসের প্রথম কূটনীতিক যিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় জুনে বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন।
তিনি ১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে পরিকল্পনা সচিব এবং ১৯৭৭ সালের মে মাসে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বহিরাগত সম্পদ বিভাগের সচিব হিসেবে নিযুক্ত হন।
মুহিত ১৯৮১ সালে চাকরি থেকে অবসরে যান এবং ফোর্ড ফাউন্ডেশন, ইফাদ, জাতিসংঘ,ইউএনডিপি, এডিবি এবং বিশ্বব্যাংকের অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন বিষয়ক পরামর্শক হিসেবে কর্মজীবনের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করেন।
তিনি ১৯৮২ সালের মার্চ থেকে ১৯৮৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী ছিলেন।
মুহিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের পথিকৃৎ এবং ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত বাপা’র প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ছিলেন।
তিনি ২০০১ সালে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন এবং ২০০৯ সালে সিলেটের নিজ নির্বাচনী এলাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
মুক্তিযুদ্ধে অবদান ও জনসেবার নিবেদিত রেকর্ডের জন্য মুহিত ২০১৬ সালে সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন।
এএমএ মুহিত: আওয়ামী লীগের উন্নয়ন যুগের স্থপতি আর নেই
সাবেক অর্থমন্ত্রী এএমএ মুহিত মারা গেছেন। শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
মুহিতের ভাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ইউএনবিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
৮৮ বছর বয়সী মুহিত বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। ২০২১ সালের জুলাই মাসে তিনি করোনা আক্রান্ত হন এবং এর সঙ্গে লড়াই করেছিলেন।
তারপরে মার্চ মাসে বার্ধক্যজনিত কারণে তাকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিতের শারীরিক অবস্থার উন্নতি
মুহিতের প্রথম জানাজা শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশান আজাদ মসজিদে এবং দ্বিতীয় জানাজা বেলা সাড়ে ১১টায় সংসদ চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান মোমেন।
এরপর দুপুর 1২টায় তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য এবং এরপর সিলেটে দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে।
মুহিতের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রকাশ করেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন শনিবার তার ভাইয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
এক শোক বার্তায় তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
মোমেন মুহিতের অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, মানবিক গুণাবলী, দেশপ্রেম এবং দেশ ও জনগণের কল্যাণে অবদানের কথা স্মরণ করেন।
পৃথক আরেক বার্তায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও মুহিতের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে টানা ১০ বছর সংসদে বাজেট পেশ করেন মুহিত।
তার আমলেই বাজেটের আকার প্রসারিত হয়।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিত সিএমএইচে ভর্তি
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি মুহিত বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নেন।
মুহিত ১৯৩৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সিলেটের ধোপাদিঘীতে জন্মগ্রহণ করেন।
সড়ক-মহাসড়ক আগের চেয়ে ভালো: ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিগত যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার দেশের সড়ক-মহাসড়ক অনেক ভালো।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল পরিদর্শন শেষ তিনি কথা জানান।
পথে যাত্রীরা যাতে কোনো ধরনের ভোগান্তির শিকার না হয় সেদিকে কঠোর নজর দিতে বিআরটিএ ও আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর প্রতি নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিদিন খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।
জাতীয় স্বার্থে ঈদে ঘরমুখো মানুষের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া না নিতে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি: কাদের
বিএনপি মহাসচিবের সরকার পতন আন্দোলনের ঘোষণা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘দেখতে দেখতে ১৩, বিএনপির আন্দোলন হবে কোন বছর?’
তিনি আবারও বিএনপি নেতাদের কাছে জানতে চান তাদের আন্দোলনের নেতা কে?
বিএনপিকে পথহারা পথিকের সঙ্গে তুলনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির নেতারা কখন যে কি বলে, তা তারা নিজেরাও জানে না।’
আরও পড়ুন: বিএনপিকে গরীব-দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর
বিদেশিদের সঙ্গেও বিএনপির মিথ্যাচারের প্রমাণ জার্মান রাষ্ট্রদূতের ক্ষোভ: তথ্যমন্ত্রী
উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন-অর্জনে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপিসহ অনেকেই তাঁকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকালে শহীদ শেখ জামালের ৬৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে তাঁর সমাধিতে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী ও পরে আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এসময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে গণতন্ত্র এবং প্রগতির পথে বাধাই হচ্ছে বিএনপি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমানের সংশ্লিষ্টতা এবং পরবর্তীতে দেশের রাজনীতিতে কর্মসম্পর্কের যে অলংঘনীয় দেয়াল তা গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পড়ুন: অপরাজনীতির চর্চার কারণে বিএনপির রাজনৈতিক ভবিষ্যত প্রশ্নবিদ্ধ: কাদের
ওবায়দুল কাদের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকল গণতন্ত্র দেশপ্রেমিক শক্তিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বাংলার মাটি থেকে চিরতরে বন্ধ করে দিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
গত কয়েকদিনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সরকার বিরোধী বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন দেশকে ধ্বংস করে গেছে, তাই তারা এখন শুধু ধ্বংসই দেখে এবং এটাই তারা বুঝিয়ে দিচ্ছে এখনো ধ্বংসই চায় বিএনপি।
বিএনপির জাতীয় সরকারের দাবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের জাতীয় সরকারের নামে গতবার লেজে গোবরে অবস্থা ছিল, এবারও বিএনপির জাতীয় সরকার কি হবে তা তাদের রাজনীতি থেকেই বুঝা যায়।
পড়ুন: জুনে পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে: কাদের
বিএনপিকে গরীব-দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর
ক্ষমতায় যেতে চাইলে আন্দোলন না করে বিএনপিকে গরীব দুঃখী মানুষরে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের জনসমর্থন নেই। রাজনীতির নামে, গণতন্ত্রের নামে আন্দোলন করে, জ্বালাও-পোড়াও আর হরতাল করে আপনারা ক্ষমতায় যেতে পারবেন না। ক্ষমতায় যেতে চাইলে আপনাদেরকে গরীব দুঃখী মানুষের পাশে থাকতে হবে, তাদেরকে সহযোগিতা করতে হবে। জনগণের সমর্থন না পেলে কোনদিন ক্ষমতায় যেতে পারবেন না।’
বুধবার (২৭ এপ্রিল) সকালে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী পৌরসভা প্রাঙ্গণে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসাবে অতিদরিদ্র ও অসহায় দুঃস্থ পরিবারের মাঝে ভিজিএফ চাল বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপিকে গঠনমূলক সমালোচনা করার আহ্বান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আপনারা জনগণের জন্য রাজনীতি ও গঠনমূলক সমালোচনা করেন। কিন্তু রাজনীতির নামে, আন্দোলনের নামে গাড়িতে আগুন দেবেন, মানুষকে পুড়িয়ে মারবেন, হরতাল করবেন, রেললাইন উপড়ে ফেলবেন, সেটি আমরা করতে দিব না। এটি গণতন্ত্র না, রাজনীতি না। আন্দোলন করে অতীতে আপনারা সফল হন নাই, ভবিষ্যতেও কখনও সফল হবেন না।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির আমলে দেশে সার পাওয়া যেতো না। চালের দাম বেশি ছিল, মানুষ চাল কিনতে পারত না। প্রতিবছর উত্তরবঙ্গে মঙ্গা হতো, মানুষ ৩-৪ দিন পর্যন্ত না খেয়ে থাকতো, না খেয়ে অনেক মানুষ মারাও যেতো। সেখানে আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের কৃষি উন্নয়ন ও ব্যাপক খাদ্য সহায়তার ফলে দেশে খাওয়ার কোন কষ্ট নেই, মঙ্গা নাই; বরং সব মানুষ খাবার পায়।
তিনি বলেন, তারপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদ উপলক্ষে গরীব ও দুঃস্থ মানুষকে চাল দিচ্ছেন, যাতে করে কোনক্রমেই একটি মানুষও যেন খাদ্যের কষ্ট না করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে ভালবাসেন, মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত আছেন।
অনুষ্ঠানে ধনবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনার রশিদ হীরা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসলাম হোসাইন, পৌর মেয়র মনিরুজ্জামান বকলসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: আগামী নির্বাচন হবে সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য: কৃষিমন্ত্রী
হাওরের ফসলের ঝুঁকি কমাতে কাজ চলছে: কৃষিমন্ত্রী
বিদেশিদের সঙ্গেও বিএনপির মিথ্যাচারের প্রমাণ জার্মান রাষ্ট্রদূতের ক্ষোভ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি প্রায় সময় বিদেশিদের উদ্ধৃতি দিয়ে নানা ধরনের বক্তব্য দেয়, যার বেশিরভাগই মিথ্যা এবং বানোয়াট। বিএনপি যে বিদেশিদের সঙ্গেও মিথ্যাচার ও অপরাজনীতি করে সেটির প্রমাণ হচ্ছে সম্প্রতি তাদের বক্তব্যে জার্মান রাষ্ট্রদূতের ক্ষোভ প্রকাশ।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাটের আর বি কনভেনশন সেন্টারে তথ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দাদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে যোগদানের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
একজন রাষ্ট্রদূত প্রকাশ্যে একটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন -এমন ঘটনা আমাদের দেশে আগে কখনও আমরা দেখি নাই উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, 'জার্মান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির যে বৈঠক ছিল সেই বৈঠকে রাষ্ট্রদূত যা বলেছেন, বিএনপি সেটিকে বিকৃতভাবে মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করেছে। তিনি যা বলেননি সেটি তারা মিডিয়ার সামনে বলেছেন। সে কারণে জার্মানির মত একটি দেশের রাষ্ট্রদূত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।'
তিনি বলেন, 'বিএনপির রাজনীতি তো জনগণের সঙ্গে নয়, তারা ক্ষণে ক্ষণে বিদেশিদের কাছে দৌড়ে যায়, বিদেশিদের কাছে চিঠি লেখে বাংলাদেশকে সাহায্য বন্ধ করার জন্য। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব নিজের স্বাক্ষরে আমেরিকার কংগ্রেসম্যানদের কাছে চিঠি লিখেছিলেন বাংলাদেশকে সাহায্য বন্ধ করার জন্য।'
বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য 'ঢাকা নিউমার্কেটের ঘটনায় ছাত্রলীগ যুক্ত' এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, 'মির্জা ফখরুল সাহেব মিথ্যাচারে চ্যাম্পিয়ন এবং যে কোনো গন্ডগোলকে আশ্রয় করে বিএনপি যে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চায়, নিউমার্কেটের ঘটনাটা সেটির একটি প্রমাণ। পুলিশ ভিডিও ফুটেজ দেখে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেই আসামিদের গ্রেপ্তার করছে এবং এখন নিজেদের মুখোশ উম্মোচিত হয়েছে বিধায় বিএনপি নেতারা নানা ধরনের কথা বলছেন।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা আবোল-তাবোল বলছেন: তথ্যমন্ত্রী
মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকার চাকুরে ছিলেন জিয়াউর রহমান: তথ্যমন্ত্রী