%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A6%BF
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য ইসির শো-কজ জনগণের সঙ্গে তামাশা: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, একতরফা নির্বাচনের আগে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য নির্বাচন কমিশনের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেশের জনগণের সঙ্গে ‘তামাশা’।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনই (ইসি) জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে সংবিধানের অখণ্ডতা নষ্ট করেছে। এখন আওয়ামী ধাঁচের নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য নোটিশ দেওয়া মানে কমিশন জনগণকে নিয়ে মজা করছে।’
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতাকালে তিনি আরও বলেন, একতরফা নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো তাৎপর্য নেই। যেখানে জনগণের অংশগ্রহণ নেই এবং ভোটারদের ভোট দেওয়ার আগ্রহ নেই।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘এটি একটি একতরফা নির্বাচন, যেখানে একই দল এবং চার ভাগের এক ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। কেউ এক নম্বর প্রার্থী, কেউ দুই নম্বর প্রার্থী আবার কেউ তিন নম্বর প্রার্থী। তবে সবাই আওয়ামী লীগের প্রার্থী।’
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে ইউএনও ও ওসিদের বদলির ইসির সিদ্ধান্ত আওয়ামী মতাদর্শী ইউএনও ও ওসিদের মধ্যে রদবদল মাত্র। ‘পুরো প্রক্রিয়াটি হাসি ও কৌতুকের একটি অভূতপূর্ব হাস্যরস-উদ্দীপক নাটক।’
আরও পড়ুন: হাসিনাকে সমর্থন দিয়ে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে ভারত: রিজভী
রিজভী বলেন, ৬০টিরও বেশি রাজনৈতিক দল বর্জন করায় এই একতরফা নির্বাচন নিয়ে জনগণ কম উদ্বিগ্ন।
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে প্রহসন করতে বিএনপিসহ গণতন্ত্রপন্থী দলগুলোর নেতা-কর্মীদের বাড়িঘরে হামলা চালাচ্ছে সরকারের পেশিশক্তি।
রিজভী বলেন, ‘সারাদেশে বিএনপিসহ গণতন্ত্রপন্থী নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা অব্যাহত রয়েছে। তারা বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর লুটপাট করছে এবং আলবদর ও রাজাকারদের মতো পুরুষহীন ঘরে নারীদের হয়রানি করছে।’
তিনি বলেন, এমতাবস্থায় নির্বাচনকে সামনে রেখে শুধু বিএনপি পরিবারই নয়, সাধারণ ভোটারদেরও ভয় ও উদ্বেগ গ্রাস করেছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা অভিযোগ করেন, সরকার ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে আবারও জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করছে।
রবিবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বিএনপির ২৩০ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাশিয়ার ইতিবাচক ভূমিকা প্রত্যাশা বিএনপির: রিজভী
রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে লুটপাট করে নতুন দল তৈরি করছে সরকার: রিজভী
বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা আরেকটি অবরোধ চলছে
বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ আজ রবিবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে। চলবে আগামী মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত।
আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে বিরোধী দলগুলো এর আগে সাতটি অবরোধ পালন করে।
অবরোধে অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে এবং রাস্তার কর্মসূচিতে জনসাধারণের কম প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
আগের অবরোধের মতো এবারও ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি বেশি।
আরও পড়ুন: সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির আন্দোলনের বিজয় নিশ্চিত: নজরুল ইসলাম খান
ঢাকার রাস্তায় গণপরিবহনের সংখ্যা আজ পর্যাপ্ত এবং উত্তেজনা ও অগ্নিসংযোগের আশঙ্কা সত্ত্বেও জনসাধারণকে তাদের গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
এছাড়া ঢাকার রাস্তায় রিকশা আধিপত্য বিস্তার করেছে এবং কিছু ব্যক্তিগত যানবাহনকেও রাস্তায় চলাচল করতে দেখা গেছে।
গণমাধ্যমের যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ওষুধ বহনকারী যানবাহন এ অবরোধের আওতাবহির্ভূত থাকবে।
মধ্যরাতের ঠিক আগে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে দুটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
গাবতলীতে রাত ১১টা ৯ মিনিটে পদ্মা লাইনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের (মিডিয়া সেল) উপসহকারী পরিচালক শাহজাহান শিকদার জানান, আগারগাঁওয়ে রাত ১১টার দিকে বেতার ভবনের সামনে ভূঁইয়া পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হচ্ছে রবিবার
বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হচ্ছে রবিবার
বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলো রবিবার সকাল থেকে সারাদেশে ফের ৪৮ ঘণ্টার সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধ শুরু করতে যাচ্ছে।
এই কর্মসূচির উদ্দেশ্যও ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তি দিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা।
রবিবার সকাল ৬টায় অবরোধ শুরু হয়ে মঙ্গলবার সকাল ৬টায় শেষ হবে। ৩১ অক্টোবর থেকে এটি হবে বিরোধী দলগুলোর নবম দফা অবরোধ কর্মসূচি।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাতে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দেশবাসী এবং বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলের সমর্থকদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান।
সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমের যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ওষুধ পরিবহনকারী যানবাহন অবরোধের আওতার বাইরে থাকবে।
আরও পড়ুন: সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির আন্দোলনের বিজয় নিশ্চিত: নজরুল ইসলাম খান
এর আগে বৃহস্পতিবারও বিরোধী দলের দিনব্যাপী হরতাল শেষ হওয়ার প্রায় তিন ঘণ্টা আগে নতুন করে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন রিজভী।
তিনি বলেন, অন্যান্য বিরোধী দল যারা দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করে আসছে, তারাও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করবে।
ক্ষমতা ছাড়তে এবং নির্দলীয় প্রশাসনের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে বিরোধী দলগুলো আট দফায় অবরোধ পালন করেছে।
নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হামলার প্রতিবাদে তারা ২৯শে অক্টোবর দেশব্যাপী ভোর-সন্ধ্যা হরতালও পালন করে। যা যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিহত হওয়ার পর শেষ হয়।
২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির বহুল আলোচিত মহাসমাবেশ শুরুর আধা ঘণ্টা পর কাকরাইলে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিএনপি নেতা-কর্মীরা।
শিগগিরই সহিংস সংঘর্ষ নয়াপল্টনের চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে এবং মাঝপথে সমাবেশ বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারি নির্বাচন: তফসিল ঘোষণার পর থেকে ১৫ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি
৭ জানুয়ারির তফসিল বাতিলের দাবি বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের
সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির আন্দোলনের বিজয় নিশ্চিত: নজরুল ইসলাম খান
সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির আন্দোলনের বিজয় নিশ্চিত বলে জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, তাদের চলমান আন্দোলনের বিজয় নিশ্চিত, কারণ সরকার দমনমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিরোধী দলকে দমন করতে পারবে না।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘যারা আন্দোলন করছে, তাদের এখন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আমাদের নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ সবাইকে শুধু রাজপথে নামার জন্য কারাগারে রাখা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারির তফসিল বাতিলের দাবি বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) শ্রমিকদের সমাবেশে কাল্পনিক মামলা দায়ের এবং বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের পাইকারি গ্রেপ্তার বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি নেতা।
তিনি আরও বলেন, ‘যারা অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের মুক্তি দিতে এবং আমাদের ন্যায়সঙ্গত দাবি মেনে নিতে আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘বলপ্রয়োগ ও দমন-পীড়নের মাধ্যমে আন্দোলন দমন করা যাবে না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্বের কোনো স্বৈরাচারী সরকার দমন-পীড়ন চালিয়ে জনগণের মন জয় করতে পারে না। এই সরকারও তা করতে পারবে না। আমাদের সংগ্রাম গণতন্ত্রের জন্য এবং জনগণের ভোটাধিকারের জন্য। আমরা অবশ্যই এই লড়াইয়ে জয়ী হব।’
গার্মেন্টস শ্রমিক হত্যার বিচার, আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ও সুচিকিৎসা এবং সাম্প্রতিক আন্দোলনে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করে সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদ।
গ্রেপ্তার হওয়া শ্রমিকদের মুক্তি, চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের পুনর্বহাল এবং পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করার জন্য সরকারের উপর চাপ বাড়ানোর লক্ষ্যেও এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহবুবুর রহমান মান্না বলেন, সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিরোধী দলগুলোর চলমান আন্দোলন বন্ধ করতে চায়।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি মানুষ ভোট দিতে যাবে না। কিন্তু তারা (সরকার) নাটকের মতো মঞ্চে অনেক কেন্দ্র প্রস্তুত করবে। পরে সন্ধ্যায় তারা ঘোষণা করার চেষ্টা করবে যে আমরা নির্বাচনে জয়ী হয়েছি।’
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানিতে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে এমন জল্পনা-কল্পনা রয়েছে উল্লেখ করে মান্না বলেন, জাতীয় নির্বাচনের নামে কীভাবে নাটক করা যায় তা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় সরকার এ ধরনের গুরুতর বিষয় নিয়ে ভাবছে না।
তিনি দাবি আদায়ের পাশাপাশি জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন অব্যাহত রাখার জন্য শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি বলেন, সরকার জনগণ ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের মতামত উপেক্ষা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্যান্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতা দখলের ‘প্রহসনের’ নির্বাচন করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র শ্রম অধিকার নিয়ে একটি নতুন নীতি ঘোষণা করেছে।’
তারা বলেন, ‘এ ধরনের একতরফা নির্বাচন হলে এবং শ্রমিকদের অধিকার লঙ্ঘিত হলে তারা আমাদের পোশাক খাতের উপর নতুন বিধিনিষেধ বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে।’
সাকি অভিযোগ করে বলেন, ‘সরকার বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন ছাড়াই শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজারকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে যাচ্ছে। সরকারের এই প্রচেষ্টা কোনোভাবেই সফল হতে দেওয়া যাবে না।’
একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানেসরকারের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য তিনি শ্রমিকসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: শাহজাহান ওমরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে ঝালকাঠি জেলা বিএনপি
৭ জানুয়ারি নির্বাচন: তফসিল ঘোষণার পর থেকে ১৫ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি
শাহজাহান ওমরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে ঝালকাঠি জেলা বিএনপি
ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় বিএনপির বহিষ্কৃত ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) শাহজাহান ওমরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে দলটির ঝালকাঠি জেলা শাখা।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকালে এক ভিডিও বার্তায় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন এ ঘোষণা দেন।
শাহাদাত বলেন, ওমরের কর্মকাণ্ডে ঝালকাঠি জেলা বিএনপিসহ কেন্দ্রীয় বিএনপি 'আবর্জনামুক্ত' হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দলের সাবেক এই নেতা এমপি থাকা অবস্থায় দলীয় পদ ও পদবী ব্যবহার করে বিভিন্ন সুবিধা লুটপাট করেছেন এবং দলে সর্বদা বিশৃঙ্খলা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন। নৌকার প্রার্থী হওয়ায় ঝালকাঠির মানুষ তার নিন্দা করছে।’
ইতোমধ্যেই তাকে আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদস্য সচিব। ঝালকাঠি জেলা বিএনপিও তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছে।
আরও পড়ুন: আ. লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর
ঝালকাঠি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম জামাল বলেন, দলের শত্রু আজ চিহ্নিত হয়েছে। দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে নেতা-কর্মীরা তাদের ঘৃণা প্রকাশ করছে।
প্রায় চার সপ্তাহ কারাগারে থাকার পর বুধবার দুপুরে ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে জামিন পান শাহজাহান ওমর।
জামিনের পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ইউটিসি ভবনে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র নেওয়ার ঘোষণা দেন শাহজাহান ওমর।
তিনি জানান, ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগ তাকে মনোনয়ন দিয়েছে। নৌকার প্রার্থী হিসেবে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।
পরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাবেক প্রতিমন্ত্রীকে দল থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারি নির্বাচন: তফসিল ঘোষণার পর থেকে ১৫ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি
মনোনয়নপত্র নেওয়ায় একরামুজ্জামান ও আবু জাফরকে দল থেকে বহিষ্কার
৭ জানুয়ারি নির্বাচন: তফসিল ঘোষণার পর থেকে ১৫ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপি তাদের কেন্দ্রীয় ও তৃণমূল পর্যায়ের ১৫ নেতাকে বহিষ্কার করেছে।
বিভিন্ন সময়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন ১৫ নেতা। এর মধ্যে আটজন কেন্দ্রীয় ও সাতজন জেলা পর্যায়ের নেতা। এ নেতাদের বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় আট নেতা হলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান, তাঁতিবিষয়ক সহসম্পাদক রাবেয়া সিরাজ, নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আবু জাফর, শাহ শহীদ সারোয়ার, মতিউর রহমান মন্টু ও খন্দকার আহসান হাবিব ও একেএম ফখরুল ইসলাম।
অন্য সাত নেতা হলেন- শেরপুর জেলা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক জায়েদুর রশিদ শ্যামল, সদস্য অ্যাডভোকেট এম আব্দুল্লাহ, পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল আজিজ, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য মাহবুবুল হাসান, ঢাকা ধামরাই পৌর-বিএনপির সভাপতি দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আব্দুল মতিন ও জামালপুর জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট হোসেন রেজা বাবু।
আরও পড়ুন: আ. লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর
এর মধ্যে শাহজাহান ওমর বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ঝালকাঠি-১ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এর আগে ফরিদপুর-৪ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নতুন নিবন্ধিত দল বিএনএমে যোগ দেন শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর।
রাজশাহী-৩ আসনে মতিউর রহমান মন্টু, টাঙ্গাইল-৫ আসনে খন্দকার আহসান হাবীব, ঝালকাঠি-২ আসনে একেএম ফখরুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে সৈয়দ একে একরামুজ্জামান এবং ময়মনসিংহ-২ আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে শাহ শহীদ সারোয়ার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এছাড়া, শেরপুর-১ আসনে এম আব্দুল্লাহ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ থেকে আব্দুল মতিন বিএনএম রানার্স হিসেবে এবং শেরপুর-২ থেকে জায়েদুল রশিদ শ্যামল তৃণমূল বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রার্থিতা জমা দিয়েছেন।
এদিকে, জামালপুর-১ আসনে মাহবুবুল হাসান, পঞ্চগড়-২ আসনে আবদুল আজিজ, ঢাকা-২০ থেকে দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
টাঙ্গাইল-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করা মেয়ে শুল্কা সিরাজের পক্ষে প্রচারণা চালালে রাবেয়া সিরাজকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়।
আরও পড়ুন: মনোনয়নপত্র নেওয়ায় একরামুজ্জামান ও আবু জাফরকে দল থেকে বহিষ্কার
‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের’ অভিযোগে নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপিতে বহিষ্কার অব্যাহত
৭ জানুয়ারির তফসিল বাতিলের দাবি বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা দলগুলো।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে এক যৌথসভায় তারা এ দাবি জানান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিরোধী দলগুলো অভিযোগ করে বলেছে, জনগণের দাবি উপেক্ষা করে সরকার তার নীলনকশা অনুযায়ী আরেকটি একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা করছে।
তারা আরও বলেন, সরকার ও ক্ষমতাসীন দল পরিকল্পিতভাবে ২৮ অক্টোবর সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দলের মহাসমাবেশ বানচাল করেছে।
আরও পড়ুন: আবারও রবিবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের ডাক বিএনপির
তারা আরও অভিযোগ করেন, সরকার সহিংসতার দায় তাদের ওপর চাপিয়ে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, দমন-পীড়ন করছে। তারা (সরকার) সারা দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।
তিনি বলেন, 'আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, সরকার তার পদত্যাগের দাবি উপেক্ষা করে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আরেকটি একতরফা নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করছে। সরকার ও তার সহযোগীদের এই রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।’
এতে বলা হয়, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জনগণের গণতান্ত্রিক ভোটাধিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ঘোষিত এই তফসিল আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা অবিলম্বে নির্বাচনের তফসিল বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: আ. লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিরোধী দলীয় নেতারা বলেন, ‘একই সঙ্গে অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন পরিচালনার লক্ষ্যে একটি নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের অবিলম্বে পদত্যাগ এবং কার্যকর রাজনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি আমরা।’
তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সরকার যদি নির্বাচনের নামে আরেকটি প্রহসন করতে চায়, তাহলে দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।
জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে বৈঠকে ৩৯টি বিরোধী দলের শীর্ষ নেতারা অংশ নেন। বৈঠকে বিএনপির পক্ষে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপির ১০ নেতা-কর্মীকে আটকের অভিযোগ
খাগড়াছড়িতে বিএনপির ৬ নেতা-কর্মী আটক
খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) চালের ট্রাকে আগুন দেওয়ার মামলার এজহারভুক্ত আসামিসহ বিএনপির ছয় নেতা-কর্মীকে আটক করেছে গুইমারা থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারেরা হলেন-গুইমারা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আ. লতিফ, তার ছেলে এইচ এম বিজয়, আ. আজিজ, মুক্তার আলী মুসল্লি, মো. সাইদুল ইসলাম ও বাবুল খাঁ। তারা সকলে গুইমারা উপজেলার বাসিন্দা।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব চন্দ্র কর।
তিনি বলেন, গত ২৬ নভেম্বর গুইমারার হাফছড়িতে ট্রাকে আগুনের ঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামিসহ ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে গুইমারা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সোহাগ।
তিনি বলেন, ট্রাকে আগুন বা নাশকতার কোনো কাজে জড়িত নয় গ্রেপ্তারেরা। মিথ্যা বানোয়াট ও হয়রানিমূলকভাবে পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপির ১০ নেতা-কর্মীকে আটকের অভিযোগ
সিলেটে বিএনপি ও যুবদলের ২ নেতা গ্রেপ্তার
প্রধান বিচারপতির কাছে স্মারকলিপি পেশ গ্রেপ্তার ও কারাবন্দি বিএনপি নেতা-কর্মীদের স্বজনদের
চট্টগ্রামে বিএনপির ১০ নেতা-কর্মীকে আটকের অভিযোগ
বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলাকালে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগরী ও জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশ কমপক্ষে ১০ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে বলে দাবি করেছে দলটি। তবে, পুলিশের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। আজ সন্ধ্যায় বিএনপির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হরতালের সমর্থনে নগরীর কালামিয়া বাজার এলাকায় পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ড মহিলাদলের মিছিল করার সময় ওয়ার্ড মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক কহিনুর আকতার, সখিনা বেগম ও আনিকা মনিকে আটক করে বাকলিয়া থানা পুলিশ।
এছাড়া, বুধবার বিকালে চট্টগ্রাম আদালতে মামলার হাজিরা দিয়ে ফেরার সময় রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে থেকে দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি আবদুর রহিম, যুগ্ম সম্পাদক হাসান রুবেল, প্রচার সম্পাদক মো. হেলাল, বিএনপি নেতা মো. শাহাবুদ্দিন ও মো. রুবেলকে আটক করেছে হালিশহর থানা পুলিশ।
অন্যদিকে, বুধবার রাতে চকবাজার থানা যুবদলের আহ্বায়ক মো. সেলিমকে বহদ্দারহাট থেকে চান্দগাঁ থানা ও বক্সির হাট ওয়ার্ড যুবদল নেতা মো. বেলালকে শাহ আমানত সংযোগ সড়ক থেকে আটক করেছে বাকলিয়া থানা পুলিশ।
তবে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)আফতাফ আহমেদ জানিয়েছেন, আজ বাকলিয়া এলাকায় বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী আটক নেই।
এদিকে, হরতালের সমর্থনে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল হালিম শাহ আলম ও সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হালিম স্বপনের নেতৃত্বে জামাল খান মোড় থেকে গণি বেকারি ও চট্টগ্রাম কলেজ এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা পিকেটিং ও বিক্ষোভ মিছিল করে।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির কাছে স্মারকলিপি পেশ গ্রেপ্তার ও কারাবন্দি বিএনপি নেতা-কর্মীদের স্বজনদের
সিলেটে বিএনপি ও যুবদলের ২ নেতা গ্রেপ্তার
খাগড়াছড়িতে বিএনপির ৬ নেতা-কর্মী আটক
সিলেটে বিএনপি ও যুবদলের ২ নেতা গ্রেপ্তার
সিলেট, ৩০ নভেম্বর (ইউএনবি)- সিলেটে বিএনপি ও যুবদলের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকালে তাদের নগরীর সুবিদবাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ (পিপিএম)।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মহানগর যুবদল নেতা জামাল আহমদ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা শাকিল আহমদ।
তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলার রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে বুধবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেটে মশাল মিছিল থেকে মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে নগরের ঝর্ণারপাড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার চার নেতা-কর্মী হলেন- মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি আহসান, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সালেহ আহমদ, ছাত্রদল কর্মী ওয়াহিদ আহমদ ও রেদুয়ান আহমদ।