%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A6%BF
ভোটচোরের নেতৃত্বে বাংলাদেশে আর কোনো ভোট হবে না: শিমুল বিশ্বাস
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেছেন,সারাদেশে পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। এই ভোটচোরের নেতৃত্বে বাংলাদেশে আর কোনো ভোট হবে না।
তিনি বলেন, হাসিনার বিদায়ের ঘণ্টা বেজে গেছে। জাতিসংঘসহ পশ্চিমা বিশ্ব সেই জানান দিচ্ছে। অথচ বর্তমান সরকার তা বোঝার চেষ্টা করছে না। এই সরকার আজ ভোট চোর হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) বিকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে খুলনা জেলা আইনজীবী মিলনায়তনে খুলনায় শ্রমিক জাগরণ সমাবেশের প্রস্তুতিমূলক এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেন বিএনপি নেতা শিমুল বিশ্বাস
তিনি খুলনায় আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে শ্রমিক জাগরণের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। খুলনার মৃত শিল্পাঞ্চলকে খুলনাকে আবারও জাগিয়ে তুলতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, বর্তমান অবৈধ ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।
তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে সংলাপের প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে কিন্তু আগে হাসিনার পদত্যাগ করতে হবে তারপর সংলাপের বিষয় বিএনপি ভাববে। এ সময় শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি মো. আনোয়ার হোসাইন।
আরও পড়ুন: জামিনে মুক্তি পেলেন শিমুল বিশ্বাস
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি না মেনে ক্ষমতা ছাড়ার আগ পর্যন্ত সংলাপ নয়: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাদের দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পরবর্তী নির্বাচনের ঘোষণা না দেওয়া ও আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে সরে না আসা পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো সংলাপে বসবে না।
তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ না সরকার ঘোষণা করে যে আগামী নির্বাচন একটি নিরপেক্ষ বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে, আপনি যেভাবেই বলুন না কেন আমরা কোনও ফরম্যাটে আলোচনায় অংশ নিতে চাই না। সরকারকে আগে এটা ঘোষণা করতে হবে তারপর ক্ষমতা ছাড়তে হবে।’
অন্যথায়, আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো সংলাপের প্রশ্নই আসে না বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
আরও পড়ুন: আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, হাসিনার সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেব না: মির্জা ফখরুল
বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে ১২ দলীয় জোটের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল এ মন্তব্য করেন।
এর আগে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, আদালতের বাতিল করা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে বিএনপির সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না।
ফখরুল বলেন, দেশের প্রতি ভালোবাসা দেখিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করলে দেশের সব মানুষ খুশি হবে।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাস্তবায়নে ‘এক দফা’ আন্দোলনের ধরন ভিন্ন রকম হবে: ফখরুল
বিএনপি নেতা বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে আমরা স্বাগত জানাব।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দেশের জন্য যে কোনো ধরনের ত্যাগ স্বীকার করতে পারেন। ‘যখন তিনি ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করতে চান এটি তার সত্য মন্তব্য নয়।’
ফখরুল বলেন, আগামী নির্বাচন হবে জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এতে দেশের অস্তিত্ব ও স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন থাকবে কি থাকবে না তা নির্ভর করছে।
তিনি বলেন, অতীতে রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের ঐকমত্য বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্বাচনের আয়োজন করেছিল। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) যদি দেশের জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে চান, তাহলে তিনি (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) পদক্ষেপ নিবেন।
বিএনপি নেতা বলেন, গণতন্ত্র ও সব গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য তারা ৩৬টি বিরোধী দলের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে একযোগে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন ইতোমধ্যে চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেছে। এই বছরটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আওয়ামী লীগ আবারও একটি পাতানো নির্বাচনের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের নির্বাচন দেশের জনগণ কখনই মেনে নেবে না।’
আরও পড়ুন: পদত্যাগ ছাড়া সরকারের আর কোনো বিকল্প নেই: ফখরুল
ফখরুল বলেন, তাদের সব দাবি আদায়ে কাজ করে যাচ্ছেন। ‘আন্দোলনকে চূড়ান্ত রূপ দিতে আমরা শিগগিরই আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপের ঘোষণা দেব।’
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের আহ্বায়ক মোস্তফা জামাল হায়দার জানান, বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে তারা তাদের ভবিষ্যৎ আন্দোলন ও কর্মসূচির রূপরেখা চূড়ান্ত করেছেন। ‘আমরা বৈঠকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি তবে আমরা এখন তা প্রকাশ করছি না।’
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান ও ১২ দলের নেতা সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক বলেন, তারা বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এক দফা আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি বলেন, সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে এক দফা আন্দোলনের বিস্তারিত পরিকল্পনা পরবর্তীতে প্রকাশ করা হবে।
আরও পড়ুন: নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: ইইউ রাষ্ট্রদূতকে ফখরুল
সিরিয়ার বিষয়ে জাতিসংঘের ভোটে সরকারের বিরত থাকা মানবাধিকার নীতির পরিপন্থী: বিএনপি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা সরকারের সমালোচনা করে বলেছেন, এক লাখ ৩০ হাজার সিরিয়ান নিখোঁজের বিষয়ে জাতিসংঘের প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকা মানবাধিকার নীতির পরিপন্থী।
সোমবার এক ভার্চুয়াল বৈঠকে বিএনপির নীতিনির্ধারকরাও ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করে ব্যাংক পরিচালকদের মেয়াদ ৯ থেকে ১২ বছর বাড়ানোর সরকারের পদক্ষেপকেও গণতান্ত্রিক ও সুশাসনবিরোধী বলে অভিহিত করেছেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিখোঁজ ১ লাখ ৩০ হাজার সিরীয় নাগরিকের পরিবারকে তাদের আত্মীয়-স্বজন ও প্রিয়জনদের হদিস জানতে সাহায্য করার জন্য জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত প্রস্তাবে বাংলাদেশ ভোটদানে বিরত থাকে।
বৈঠকে আরও বলা হয়, ‘জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের দ্বারা প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছিল। বাংলাদেশের প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকা মানবাধিকার নীতির পরিপন্থী।’
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের সদস্য নির্বাচিত হলেও সরকার এ বিষয়ে ভোটদানে বিরত থাকে। ‘এটি প্রমাণ করেছে যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের বর্তমান অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ মিথ্যা নয়। সভায় এই অবৈধ সরকারের সকল মানবাধিকার লঙ্ঘন ও গণতন্ত্র বিরোধী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ক্ষমতাসীনদের স্বার্থ রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে: রিজভী
বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ব্যাংক কোম্পানি (সংশোধন) বিল-২০২৩ এরও বিরোধিতা করা হয়েছে যা ২১ জুন সংসদে পাস হয়েছিল। নতুন আইনানুযায়ী ব্যাংক পরিচালকদের মেয়াদ বাড়িয়ে ১২ বছর করা হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বৈঠকে মনে হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকিং ব্যবস্থায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করে ব্যাংকিং খাতকে পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে। বিশেষ করে খেলাপি ঋণের ক্ষেত্রে, সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়ে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিয়ে খেলাপিদের সব ধরনের সুবিধা দিচ্ছে।’
বৈঠকে দেখা গেছে, পুনঃতফসিলকৃত ঋণ,রাইট অব লোন, ফাইন্যান্স কোর্টে ঝুলে থাকা বিপুল পরিমাণ ঋণ এবং খেলাপি ঋণের তালিকাভুক্ত হচ্ছে না আরও অনেক খেলাপি ঋণ।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বৈঠকে বলা হয়, খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, সব ঋণ তালিকাভুক্ত হলে প্রকৃত খেলাপি ঋণ ৪ লাখ কোটি টাকার বেশি হবে।
আরও পড়ুন: ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক
এতে অভিযোগ করা হয়, সরকারের কাছের প্রভাবশালী বড় ব্যবসায়ীরা খেলাপি ঋণ বারবার পুনঃতফসিল ও রিট অব করে লুকিয়ে রাখা হয়। ‘এই সরকার সচেতনভাবে ব্যাংকিং খাতকে ধ্বংস করছে। সভায় ব্যাংক কোম্পানি (সংশোধনী) বিল-২০২৩ বাতিল দাবি করা হয়।
বিএনপির নীতিনির্ধারকরা কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকারের ব্যর্থতার জন্য নিন্দা করেছেন যা শেষ পর্যন্ত দরিদ্র জনগণকে প্রভাবিত করেছে।
তারা কাঁচা চামড়ার ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ক্রমবর্ধমান দাম কমানোর জন্য পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: ইইউ রাষ্ট্রদূতকে ফখরুল
নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: ইইউ রাষ্ট্রদূতকে ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন এবং আগামী নির্বাচন ও রাজনীতি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল বলেন, তারা বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বিএনপির পরিকল্পনা, কর্মসূচি ও কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে তাদের (ইইউ দূত) বলেছি যে দেশের বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার ছাড়া অন্য কোনো সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
বৈঠকের কারণ সম্পর্কে ফখরুল বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করতে আগামী সপ্তাহে ইইউ’র একটি বিশেষজ্ঞ দল বাংলাদেশে আসবে।
তিনি বলেন, ইইউ বিশেষজ্ঞ দলের সেই বৈঠকের বিষয়ে আমরা আগেই আলোচনা করেছি।
তিনি বলেন, ইইউ দীর্ঘদিন ধরেই বারবার বলে আসছে যে তারা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের সুযোগ আছে কিনা তা দেখতে তাদের দল এখানে আসবে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যস্থতায় আগামী নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের মধ্যে সংলাপের সম্ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের বৈঠকে এমন বিষয় নিয়ে আলোচনা করিনি।
ফখরুল বলেন, ইইউ রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে এখন নির্বাচনের পরিবেশ আছে কি না এবং বর্তমান সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব কিনা তা জানতে চেয়েছেন।
বৈঠকে বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদসহ ইইউ’র দুই কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির’ অভিযোগে মির্জা ফখরুল ও রাজশাহী বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতার নামে মামলা
ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের মুক্তির দাবি ৬০ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বিকাল ৩টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয় বলে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান।
তিনি জানান, বৈঠকে বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুই কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘স্বৈরাচারের’ বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শ্রমিকদের প্রতি মির্জা ফখরুলের আহ্বান
২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন মির্জা ফখরুলের
বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়েছেন।
সোমবার তার ছোট ছেলে খন্দকার মারুফ হোসেন জানান, সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে এই বিএনপি নেতার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ব্রেন টিউমার শনাক্ত হয়েছে।
মারুফ বলেন, ‘আমরা পরীক্ষার রিপোর্ট পেয়েছি। চিকিৎসকরা বলেছেন যে তার মস্তিষ্কের বাইরে একটি স্ফেনয়েড উইং মেনিনজিওমাস শনাক্ত করা হয়েছে।’
বয়সের কথা বিবেচনা করে চিকিৎসকরা আপফ্রন্ট রেডিও থেরাপির মাধ্যমে টিউমার অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও তিনি জানান।
মা বিলকিস আক্তার হোসেনের সঙ্গে সিঙ্গাপুরে মোশাররফের সঙ্গে অবস্থান করছেন মারুফ।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন খন্দকার মোশাররফ
তিনি তার বাবার দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসী ও বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক মন্ত্রী মোশাররফ উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ২৭ জুন সিঙ্গাপুরে যান।
১৮ জুন স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ৮ দিন চিকিৎসা নেন তিনি।
এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল হাসপাতালে যান এই বিএনপি নেতা।
আরও পড়ুন: বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন হাসপাতালে ভর্তি
বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে আ. লীগ সরকার বাধা: বিএনপি নেতা মোশাররফ
পদত্যাগ ছাড়া সরকারের আর কোনো বিকল্প নেই: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান ঘটিয়ে বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন করতে সরকারের পদত্যাগ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য খুবই স্পষ্ট... অবিলম্বে পদত্যাগ করুন এবং সংসদ ভেঙে দিন। অযথা সময় নিলে দেশ ও জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
সোমবার এক সরকারবিরোধী সমাবেশে ফখরুল এসব কথা বলেন।
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ নিতে বর্তমান সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, ‘এটাই একমাত্র উপায়, অন্য কোনো উপায় নেই। সুতরাং, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি করুন। অন্যথায়, আপনাদের পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না। আপনাদের সময় শেষ।’
আরও পড়ুন: ক্ষমতাসীনদের স্বার্থ রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে: রিজভী
চলমান আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করে তাদের দল সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন ফখরুল।
বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও দমন-পীড়ন অব্যাহত রাখার জন্য তিনি সরকারের সমালোচনা করেন।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘গত এক মাসে আমাদের ৩৮৬ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে… কাজেই এই সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নেই।’
তিনি বর্তমান সরকারকে রাজপথে পরাজিত করতে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের আরও ত্যাগ স্বীকারের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান।
বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখাসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
দল ও এর বিভিন্ন ফ্রন্ট সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মী কর্মসূচিতে যোগদান করে এবং একটি মিছিল বের করে যা কাকরাইল ও শান্তিনগর মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মঞ্চ-অভিনীত নির্বাচন, দমনমূলক কর্মকাণ্ড এবং দলীয় প্রধান খালেদা জিয়াসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে ক্ষমতায় এসেছে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। ‘তারা (জনগণ) সেই নির্বাচনে ভোট দিতে চায়। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। এটা প্রমাণিত হয়েছে যে হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে এবং তার দল সরকারে থাকলে কোনো নির্বাচনই গ্রহণযোগ্য হবে না।’
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাস্তবায়নে ‘এক দফা’ আন্দোলনের ধরন ভিন্ন রকম হবে: ফখরুল
সরকারের নিষ্ক্রিয়তায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক: বিএনপি
ক্ষমতাসীনদের স্বার্থ রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র নেতা রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, ক্ষমতাসীন দলের স্বার্থ রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙ্গে পড়েছে।
রবিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি শোকপ্রকাশ করে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাফিলতির কারণে ঈদের ছুটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ৩৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘দলীয় কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নীরব ভূমিকার মধ্যে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তৎপর থাকায় পুরো জাতি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।’
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, দেশ সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হওয়ায় শুধু সাধারণ মানুষই নয়, পুলিশ সদস্যদেরও হত্যা করা হচ্ছে।
রিজভী বলেন, ‘গতকাল (শনিবার) ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশ বাহিনীর এক সদস্য নিহত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এতটাই ভেঙ্গে পড়েছে যে প্রতি পদে পদে মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়েছে।’
তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারালেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেপরোয়া চালকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না।
বিএনপি নেতা বলেন, ক্রমবর্ধমান সামাজিক অবক্ষয়ের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের মদদপুষ্ট বিকৃত যুবকরা জনমনে উপদ্রব সৃষ্টি করছে এবং বিভিন্ন অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সুইজারল্যান্ড সফর ‘অত্যন্ত রহস্যময়’: রিজভী
তিনি বলেন, ‘এই দানবরা তাদের আক্রমণ থেকে নারীসহ কাউকে রেহাই দিচ্ছে না…আমরা এমন একটি খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি যে বোনদের উত্যক্ত করার বিচার চাইতে গেলে তরুণদের হত্যা করা হচ্ছে। বাবা-মা তাদের মেয়েদের সম্ভ্রম ও মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে প্রাণ হারাচ্ছেন।’
রিজভী বলেন, ‘মানবাধিকার এখন সর্বত্র ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শুধুমাত্র বিরোধী দলের কর্মসূচি নস্যাৎ করার জন্য সহিংস হামলা চালাচ্ছে এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করছে; তাই সমাজে নৈরাজ্যের অন্ধকার নেমে এসেছে।’
বাজার মনিটরিং করতে এবং ব্যবসায়িক সিন্ডিকেটদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও রান্নার জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো থেকে বিরত রাখতে ব্যর্থতার জন্য বিএনপির এই নেতা সরকারের সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘গডফাদার, মাফিয়া ও সিন্ডিকেটররা চারিদিকে লাভবান হচ্ছে। বিভিন্ন মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা জড়িত থাকায় এসব সিন্ডিকেট খুবই শক্তিশালী।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ভারতে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচের দাম ২৫ টাকা, কিন্তু সিন্ডিকেটের অসাধুতার কারণে বাংলাদেশে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। ‘কিছু জায়গায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজিতে। এই ধরনের সিন্ডিকেশন শুধুমাত্র একটি দুর্নীতিবাজ ও দুর্নীতিবাজ সরকারের অধীনেই সম্ভব। তারা মানুষের ক্ষুধা নিয়ে মজা করে।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের প্ররোচনায় বিএনপির সমাবেশে হামলা করা হচ্ছে: রিজভী
সুষ্ঠু নির্বাচন ঠেকাতে মরিয়া আ.লীগ: রিজভী
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাস্তবায়নে ‘এক দফা’ আন্দোলনের ধরন ভিন্ন রকম হবে: ফখরুল
সরকার পদত্যাগের এক দফা আন্দোলনের ধরন ‘ভিন্ন রকম’ হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি মানতে বাধ্য হবে, কারণ তাদের দল জনগণকে সম্পৃক্ত করে ‘ভিন্ন রকম’ আন্দোলন করতে যাচ্ছে।
শনিবার দলীয় চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এসময় তিনি আশ্বস্ত করেন যে তারা রাস্তায় সহিংসতা এড়াতে হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন না।
এই বিএনপি নেতা বলেন, নিঃসন্দেহে আগের আন্দোলন থেকে কিছুটা ভিন্ন হবে এবং জনগণের সম্পৃক্ততাও বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, ‘সেটা নিসন্দেহে গত আন্দোলনগুলোর চাইতে ধরনও হবে একটু ভিন্ন এবং জনগনের সম্পৃক্ততাও বাড়বে। একটা ব্যাপারে আমরা নিশ্চয়তা দিতে পারি যে, আমাদের এই আন্দোলন প্রথম থেকেই যেটা শুরু করেছি সেটা হচ্ছে যে জনগণকে সম্পৃক্ত করে আন্দোলন। এই আন্দোলনে জনগনের অনেক বেশি সম্পৃক্ততা আসবে। আমি বিশ্বাস করি যে এই আন্দোলনের মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে সরকার বাধ্য হবে নতি স্বীকার করে পদত্যাগ করে একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে।’
আরও পড়ুন: আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, হাসিনার সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেব না: মির্জা ফখরুল
আরেক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছি, আমরা হরতাল-অবরোধের মতো কোনো কর্মসূচিতে সচেতনভাবে চাচ্ছি না। আমাদের ভায়োলেন্সে যাওয়া প্রশ্নই উঠতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘সরকার যদি কোনোভাবে ওইসব দিকে ঠেলে দেয় তা সরকারের দায়। শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনটা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনে আমরা চূড়ান্ত পর্যায়ে যেতে চাই।’
ফখরুল বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, সরকার শেষ পর্যন্ত নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের জন্য পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে।
তিনি দাবি করেন, বিভিন্ন শহর ও জেলায় তাদের দলের সাম্প্রতিক যুব সমাবেশ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘সামনে আমাদের পদযাত্রার কর্মসূচি শুরু হবে। আমরা আশা করি যে এক দফাতে আমরা আন্দোলন শুরু করব।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের যে ১০ দফা, অন্যান্য যুগপত আন্দোলনকারী দলগুলো আছে তাদের দফাগুলো মিলিয়ে একটা দফায় আন্দোলনে যাবো…সেটা হচ্ছে যে, এই অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করা, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং নতুন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠান… এগুলোকে নিয়ে আমরা একটা জায়গায় আসছি… সেটা হচ্ছে যে, মূলত এই সরকারের পদত্যাগ।’
নতুন ধরনের আন্দোলনের ধরন সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা বলেন, হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি তারা সচেতনভাবে এড়িয়ে যাচ্ছেন।
ঈদুল আজহা উদযাপন শেষে নিজ জেলা ঠাকুরগাঁও থেকে বিকালে ঢাকায় ফিরে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয়ে কথা বলেন ফখরুল।
আরও পড়ুন: পতনের আশঙ্কায় সরকার দমন-পীড়নের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে: মির্জা আব্বাস
‘শিগগিরই’ বিএনপি এক দফা আন্দোলন শুরু করবে: ফখরুল
আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, হাসিনার সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেব না: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, হাসিনার সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেব না।
তিনি বলেন, আগে বলা হতো এবং হাসিনা সরকারের লোকেরা এখনও বলে যে আমরা সহিংসতা করি। গত কয়েক বছরে আমরা প্রমাণ করেছি যে আমরা সহিংসতা করি না।
তিনি বলেন, আমরা সহিংসতায় বিশ্বাসী নই। সহিংসতা তারাই (আওয়ামী লীগ) করে, পরে আমাদের ওপরে দোষ চাপানোর চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: দাবি একটাই, শেখ হাসিনার পদত্যাগ: মির্জা ফখরুল
শুক্রবার সকালে ঠাকুরগাঁয়ের কালীবাড়িস্থ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
আন্দোলন নিয়ে মির্জা আলমগীর বলেন, এটা ইতোমধ্যে প্রমাণিত যে বিএনপি কিভাবে আন্দোলন করতে পারে। আন্দোলন কোন ছককাটা জিনিস না। এটাতে জনগণের সম্পৃক্ততার সঙ্গে সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে সামগ্রিকভাবে সে আন্দোলন দানা বাঁধে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই এ সরকারের যত অপকর্ম, দুঃশাসন, দুর্নীতি এমন একটা পর্যায়ে চলে গেছে যে মানুষ আর এ সরকারকে দেখতে চায় না। এ সরকার আর সরকারের লোকেরাই আজ দেশে একটা বড় রাজনৈতিক সঙ্কট তৈরি করে রেখেছে।
তিনি বলেন, আমাদের বক্তব্য খুব স্পষ্ট। হাসিনা সরকারের অধীনে আমরা কোনো ধরনের নির্বাচনে অংশ নেব না। আমরা একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলছি, যারা আমাদের সঙ্গে আসতে চান। জামায়াতকে তারাই অবৈধ ঘোষণা করে, আবার তারাই সুযোগ করে দেয় সমাবেশসহ নানা কর্মসূচির।
এছাড়া দেশের মানুষ বুঝতে পারে তারা কী রাজনীতির অনুশীলন করে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নিজেদের জন্য নয় জনগণের মৌলিক অধিকারের জন্যই আন্দোলন করছে। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়া, সাংবাদিকদের লেখার স্বাধীনতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা ও দলীয় কোনো সরকারের অধীনে নির্বাচন নয়, এসব বিষয় নিয়েই আমাদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে নিরপেক্ষ সরকার দরকার।
এই সব অধিকার আদায়ে কাজ করছে বিএনপি। গোটা পৃথিবী আজ বাংলাদেশের আন্দোলনকে সমর্থন করছে।
কর্মসূচি বিষয়ে তিনি বলেন, কর্মসূচি চলছে আমাদের। আগেও কর্মসূচি দিয়েছি আবারো নতুন কর্মসূচি আসবে। এবারেরর কর্মসূচির ধরন কিছুটা আলাদা হবে। স্বাভাবিকভাবেই দিন দিন আমাদের জনসম্পৃক্ততা বাড়ছে।
অর্থনৈতিক জোট ব্রিকসে সরকারের যোগ দেয়ার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ব্রিকসেই যাক আর আইএমএফ এ যাক, হাসিনা সরকার কখনোই সফল হতে পারবে না, যতক্ষণ না পর্যন্ত সরকার দুর্নীতি রোধ করতে পারবে। আর এটা স্পষ্ট যে তারা দুর্নীতিতে এতটাই নিমজ্জিত হয়েছে যে সেখান থেকে তাদের বের হবার কোনো পথ নেই।
আরও পড়ুন: বিএনপি মাঠে নেমেছে, অধিকার আদায় করেই ঘরে ফিরবে : মির্জা ফখরুল
‘প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির’ অভিযোগে মির্জা ফখরুল ও রাজশাহী বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা