%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A6%BF
লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে ৮ জুন দেশব্যাপী বিএনপি’র অবস্থান কর্মসূচি
বিদ্যুৎ খাতে চলমান লোডশেডিং ও দুর্নীতির প্রতিবাদে আগামী ৮ জুন সারাদেশে বিদ্যুৎ বিভাগের সব জেলা কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। এছাড়া একই দিন জেলা বিদ্যুৎ অফিসে স্মারকলিপিও দেবে দলটি।
মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, সোমবার রাতে তাদের দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সংস্থা স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, আগামী ৮ জুন সকল জেলা সদরে বিদ্যুৎ অফিসের সামনে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে এবং সেখানে অসহনীয় লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতির প্রতিবাদে স্মারকলিপি পেশ করা হবে।
তিনি বলেন, সারাদেশে ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে মানুষ অসহনীয় দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ‘গ্রাম ও শহরে মানুষ ২৪ ঘণ্টায় এক-দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ পায়। দিনেও পাঁচ-ছয় ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের শিকার হচ্ছে মানুষ।’
তিনি আরও বলেন, রাজধানীতেও প্রতিদিন ৩/৪ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না।
এই বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, ‘সরকার কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্রকল্প ও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি দেওয়ার নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে তাদের (সরকার) প্রতারণা এখন জনগণের সামনে স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী সরকার বিদ্যুৎ খাতে লুটপাটের সুযোগ সৃষ্টি করে ফৌজদারি অপরাধ করেছে। বিদ্যুৎ খাতে লুটপাটকে বৈধতা দিতে ক্ষতিপূরণ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। সেজন্য এসব কুইক রেন্টাল প্রকল্পের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে হবে। তারা জনগণের সবচেয়ে বড় শত্রু।’
এসময় বগুড়ায় গণতন্ত্র মঞ্চের শান্তিপূর্ণ রোডমার্চ কর্মসূচিতে হামলার নিন্দা জানান তিনি।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে নির্বাচন ও প্রচারণা প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা বিএনপি মহাসচিবের
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বাসায় তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে যে তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, প্রচারণা প্রক্রিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের কিছু অতিরিক্ত গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বিএনপির চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপির মহাসচিবকে বহনকারী একটি প্রাইভেটকার দুপুর ১টা ২০ মিনিটে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে প্রবেশ করে এবং দুপুর ২টা ২৪ মিনিটে গাড়িটি বের হয়।
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা নীতি ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে জনগণের দীর্ঘদিনের দাবিকে প্রতিফলিত করে: ফখরুল
তবে এ সাক্ষাৎ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি বিএনপি।
এর আগে ১৬ এপ্রিল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদসহ তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার গুলশানের বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন।
বিএনপি ওই সাক্ষাতের বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস এক ফেসবুক পোস্টে বলেছে, তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং অহিংস রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের অসম্মানজনক ভিসা নীতির জন্য সরকার দায়ী: ফখরুল
মার্কিন ভিসা নীতি: বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা বিএনপির
বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের পরিণতি: ফখরুল
সরকারের দুঃশাসনের কারণেই বাংলাদেশের ওপরে ‘গণতান্ত্রিক বিশ্বের নানা চাপ’ দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র ক্ষমতার জন্যে তারা (সরকার) বাংলাদেশের রাষ্ট্রের মানুষে যে আকাঙ্খা ছিলো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, গণতান্ত্রিক সমাজ; তার সব কিছু তারা চুরমার করে দিয়েছে। যার ফলে কি হয়েছে আমরা সব জানি। আজকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি দেয়, নিষেধাজ্ঞা দেয়-এটা আমাদের জন্য খুব আনন্দের কথা নয়, লজ্জার কথা… যে আমরা একটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের আজকে আমাদের ওপরে আরেকটা দেশ থেকে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। কেনো?’
সোমবার বিকালে এক সেমিনারে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
গুলশানে হোটেল লেকশোরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিএনপির উদ্যোগে ‘বাংলাদেশে বহুদলীয় প্রবর্তক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান’ শীর্ষক এই সেমিনার হয়। এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক কামরুল আহসান।
ফখরুল বলেন, ‘কারণ এই আওয়ামী লীগ, এই আওয়ামী লীগের অবৈধ সরকার আজকে দেশকে এমন জায়গা নিয়ে গেছে তাদের দুঃশাসনের কারণে, তাদের দুর্ব্যৃত্তায়নের কারণে, তাদের লুটের কারণে যে আজকে একটা এই ধরনের ব্যবস্থা ছাড়া গণতন্ত্রে ফিরে আসার আর কোনো পথ আন্তজাতিক ভাবে গণতান্ত্রিক বিশ্ব দেখতে পারছে না।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী নয়, জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে তারা যুক্তরাষ্ট্রে যাবে কি না: বিএনপি
‘জনগণকে জাগিয়ে তুলতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন একমাত্র একটাই পথ আবার জনগণকে জাগিয়ে তুলতে হবে, যেভাবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সাহেব জাগিয়ে তুলেছিলেন মানুষকে যুদ্ধের জন্যে, যেভাবে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করেছিলেন, যেভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গ্রামেগঞ্জে চারণ কবির মতো গান গেয়ে মানুষকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নামিয়েছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে সেই একইভাবে আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব বিদেশ থেকে যিনি ১০ দফা দিয়েছেন, ২৭ দফা দিয়েছেন রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য সেই দাবিগুলোকে সঙ্গে নিয়ে, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমস্ত রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে সংগঠিত করে, রাজনৈতিক দলগুলোকে সংগঠিত করে গণতন্ত্রকে এখানে আবার প্রতিষ্ঠা করার জন্য, তাকে এখানে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দেওয়ার জন্য গণতন্ত্রমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করার জন্য আজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে হবে, সংগ্রাম করতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদেরকে একটা সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে… এই শাহাদাত বার্ষিকীকে এই হোক শপথ।’
দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সেমিনার কমিটির আহ্বায়ক ইসমাইল জবিউল্লাহর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় এই সেমিনারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক তাজমেরী এস এ ইসলাম, অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী, অধ্যাপক লুতফর রহমান বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের অসম্মানজনক ভিসা নীতির জন্য সরকার দায়ী: ফখরুল
মার্কিন ভিসা নীতি: বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা বিএনপির
জার্মানিতে জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করেছে বিএনপি জার্মানি শাখা।
শনিবার (৩ জুন) ফ্রাঙ্কফুর্টের সালবাউ ওবারআডে কর্মসূচিটি পালন করে দলটির প্রবাসী নেতাকর্মীরা।
জার্মান বিএনপির সভাপতি দেওয়ান শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রেজার উপস্থাপনায় জিয়াউর রহমানের জীবনের ওপর আলোকপাত করে বক্তারা বলেন তিনি দেশ ও জনগণের কল্যাণে তার জীবন উৎসর্গ করে গেছেন।
দেশ ও জাতির দুর্দিনে রাষ্ট্র পরিচালনা দায়িত্ব তার ওপড় অর্পিত হলে তিনি দক্ষতার সঙ্গে সে দায়িত্ব পালন করে বিশ্বের দরবারে আমাদেরকে একটি মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছিলেন। সবুজ বিপ্লবের মাধ্যমে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা, শ্রমশক্তি এবং তৈরি পোশাক রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক আয়ের পথ সুগম করেছিলেন।
বক্তারা আরও বলেন, জিয়ার সেই শান্তিপূর্ণ সহঅবস্হানের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে আজ বাকশালীরা ভয়ানক জনপদে পরিণত করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েমের পায়তারা চালাচ্ছে। তাই আজ জাতীয় স্বাধীনতার সুরক্ষা ও হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দৃঢ় প্রত্যয় বুকে নিয়ে নির্যাতিত নিস্পেষিত গণতন্ত্রপ্রিয় বাংলার জনতা এক অদম্য শক্তিতে রাজপথে নেমে এসেছে।
তারা বলেন, ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী নিজ স্বার্থে জাতীয় স্বাধীনতাকে বিপন্ন করে দেশকে এক অজানা গন্তব্যে ঠেলে দিয়েছে, শুধুমাত্র নিজেদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে একদলীয় হিংস্র শাসন অঘোষিত বাকশাল চালু করেছে। ফলশ্রুতিতে মানুষের বাক-ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে গলাটিপে হত্যা করে এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী নয়, জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে তারা যুক্তরাষ্ট্রে যাবে কি না: বিএনপি
এতে জনমনে চরম অশান্তি ও হতাশা নেমে এসেছে,দেশের অর্থনীতি এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্নীতি আর লুটপাটের মাধ্যমে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে। জ্বালানি তেল, বিদুৎ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের ক্রমবর্ধমান ঊর্ধ্বগতিতে মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন জীবিকা নির্বাহ কঠিন হয়ে পরেছে অন্যদিকে চলছে লুটপাটের মহোৎসব। এমতাবস্থায় বিরোধী দল, সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সরকার আর সরকারি দলের অন্যায়,অবিচার, জেল-জুলুম নির্যাতন, হামলা-মামলা,লুটপাটের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো এবং তাদের দাবি দাওয়া তুলে ধরার চেষ্টা করছে।
কিন্তু সরকার জনগণের সেই সাংবিধানিক গনতান্ত্রিক অধিকার নির্বিঘ্নে পালন করতে বাধা দিচ্ছে। ৫২ বছরের অর্জিত সুনামটুকু কলঙ্কিত করেছেন আমাদের সুসংগঠিত রাষ্ট্রীয় বাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আর জাতির ওপড় আমেরিকার ভিসা নীতি ঘোষণার মাধ্যমে।
অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন, ড. আমানউল্লাহ,ফিরোজ কোরাইশী মোজান্মেল হক, সেলিম ব্যাপারী চঞ্চল, জুয়েল খান, শাখাওয়াত হোসেন সোহাগ, সেলিম রেজা, মো. কাওসার শামীম, মন্জু সরকার, আনোয়ার হোসেন, নিয়াজ হাবিব, রিয়াদ খন্দকার দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
আরও পড়ুন: দেশের ১৫ জেলায় ‘জিয়া স্মৃতি পাঠাগার’ খুলেছে বিএনপি
দেশের ১৫ জেলায় ‘জিয়া স্মৃতি পাঠাগার’ খুলেছে বিএনপি
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ১৫ জেলায় ‘জিয়া স্মৃতি পাঠাগার’ খুলেছে বিএনপি। রবিবার বিকালে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের জিয়া স্মৃতি পাঠাগার থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি এসব পাঠাগারের উদ্বোধন করেন।
এগুলো হচ্ছে- চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, মুন্সিগঞ্জ, কক্সবাজার, ঠাকুরগাঁও, মানিকগঞ্জ, ঝিনাইদহ, খাগড়াছড়ি, জয়পুরহাট, যশোর ও রাজবাড়ীতে দলের কার্যালয়ের ভেতরে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সকলকে বই পড়তে হবে। একটা অনুরোধ থাকবে যারা আজকে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন তাদের অনেকেই জেলাগুলোতে তড়িঘড়ি করে এই পাঠাগার তৈরি করেছেন এবং সুন্দরভাবে সাজিয়ে দিয়েছেন। শুধু সাজালে চলবে না, বইগুলো রেখে দিলে চলবে না। বইগুলো যেন পড়া হয় তার ব্যবস্থা করতে হবে।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বর্তমান যে সরকার, এই সরকার কিন্তু পাঠাগার ধবংস করেছে। আপনারা কতটুকু জানেন জানি না, আমি জানি আগে প্রত্যেকটা জেলায় সরকারিভাবে পাঠাগার নির্মাণ করা হতো এবং সেখানে বরাদ্ধ দেওয়া হতো, প্রচুর বইপত্র দেওয়া হতো। জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র একটা আছে, সেই গ্রন্থকেন্দ্র থেকে বইপত্রগুলো সেখানে (বিভিন্ন পাঠাগারে) পাঠানো হতো প্রতিবছর। এখন সব বন্ধ হয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: ক্ষমতায় গেলে জিয়া হত্যার বিচারে কমিশন গঠন করবে বিএনপি: ফখরুল
তিনি আরও বলেন, ‘পাঠাগারের আন্দোলনই এখন নেই। এই আন্দোলনটা আমাদের তৈরি করতে হবে। আজকে আপনারা যে আজকে ১৫ টা জেলায় পাঠাগার আমাদের মাননীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাহেব উদ্বোধন করলেন, এটাকে আন্দোলনের পরিণত করতে হবে। সবাই এই কাজ করে না, যারা করে তাদেরকে উৎসাহিত করতে হবে। সব কিছুকে রাজনীতিকরণ করার প্রয়োজন নেই। এখানে আমার রাজনীতিকে সমৃদ্ধ করার জন্য এই পাঠাগারকে অবশ্যই সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে আমরা যেন প্রতিটি জেলায় অন্তত একটা পাঠাগার নির্মাণ করতে পারে সেই প্রচেষ্টা আমাদের নিতে হবে। আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি বিএনপি সেই দল, যে জেলায় জেলায় পাঠাগার গড়ে তুলছে।’
জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম সভাপতিত্বে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ অনলাইনে যুক্ত থাকার ১৫ টি জেলার নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, যুব দলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্র দলের সাইফ মাহমুদ জুযেল, জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক জহির দীপ্তি উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন
জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার
প্রধানমন্ত্রী নয়, জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে তারা যুক্তরাষ্ট্রে যাবে কি না: বিএনপি
বিএনপির সিনিয়র নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নয়, দেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে তারা যুক্তরাষ্ট্রে যাবে কি না।
তিনি বলেন, ‘তিনি কোনো বিশেষ দেশে যাবেন কি যাবেন না সেটা তার (প্রধানমন্ত্রী) ব্যক্তিগত ব্যাপার। বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষ সে দেশে যাবে কি যাবে না সেটাও তাদের সিদ্ধান্তের ব্যাপার।’
রবিবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে খসরু এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে তারা তাদের ব্যক্তিগত, ব্যবসায়িক, পেশাগত, পারিবারিক ও শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রে যাবে কি না।
বিএনপির পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান খসরু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।’
এর আগে শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০ ঘণ্টার বিমান ভ্রমণে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে কেউ যুক্তরাষ্ট্রে না গেলে তাতে কিছু যায় আসে না।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের অসম্মানজনক ভিসা নীতির জন্য সরকার দায়ী: ফখরুল
তিনি আরও বলেন, ‘পৃথিবীতে আরও অনেক মহাসাগর এবং অনেক মহাদেশ আছে। সেই মহাদেশের সঙ্গে মহাসাগর হয়ে আমরা যাতায়াত করব আর বন্ধুত্ব করব। আমাদের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী এবং আরও উন্নত ও চাঙ্গা হবে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ নিজের পায়ে চলবে, সরকার নিজের দেশকে গড়ে তুলবে। ‘আমরা কারও মুখাপেক্ষী হবো না, যারা আমাদের ভিসা দেবে না বা যারা আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।’
এদিকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা বা ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে চিন্তিত নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে চিন্তিত।
দলের প্রতিষ্ঠাতার ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় জাতীয়তাবাদী তাঁতীদলের ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখা আয়োজিত খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেন যে কেউ যুক্তরাষ্ট্রে না গেলে তাতে কিছু আসে যায় না।
তিনি প্রশ্ন করেন, ‘তাহলে আপনার ছেলেকে দেশে রাখছেন না কেন? আপনার ছেলে মেয়েরা বিদেশে থাকে কেন? কেন আপনি আপনার অন্য কোনো বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের পরিবর্তে আপনার ছেলেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রেখেছেন?
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দেশের জনগণকে শত্রু মনে করে সুষ্ঠু নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠায় কোনো পদক্ষেপ নেবেন না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে দেশের মানুষ স্বাধীন ও সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারবে। তিনি জানেন মানুষ তার দলকে ভোট দেবে না। তাই নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চান না।’
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা নীতি ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে জনগণের দীর্ঘদিনের দাবিকে প্রতিফলিত করে: ফখরুল
মার্কিন ভিসা নীতি: বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা বিএনপির
সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বরিশালে বিএনপির ১৯ নেতাকে আজীবন বহিষ্কার
দলীয় সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ‘মীরজাফর’ আখ্যা দিয়ে মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপনসহ বিএনপির ১৯ নেতাকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
রবিবার দুপুরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়।
বিএনপি থেকে আজীবন বহিষ্কৃত কাউন্সিলর প্রার্থীরা হলো- বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির তিন যুগ্ম আহবায়ক ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর প্রার্থী হাবিবুর রহমান টিপু, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হারুন অর রশিদ ও ১৯ নং ওয়ার্ডের শাহ আমিনুল ইসলাম আমিন।
আরও পড়ুন: নিঃসন্দেহে জনগণের টাকা লুটপাটের জন্য এটি একটি স্মার্ট বাজেট: বিএনপি
এছাড়াও নির্বাচনে থাকা মহানগর বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ৯ নং ওয়ার্ডের সেলিম হাওলাদার, সংরক্ষিত ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জাহানারা বেগম, ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সেলিনা বেগম এবং ১০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে অংশ নেয়া রাশিদা পারভীন।
নগরীর ১৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সচিব জিয়াউল হক মাসুম, একই ওয়ার্ডের প্রার্থী দক্ষিন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাবের আব্দুল্লাহ সাদি, একই ওয়ার্ডের প্রার্থী বরিশাল জেলা তাতি দলের সাবেক সভাপতি কাজী মোহাম্মদ শাহীন, ১৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, নগরীর ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সিনিয়র সভাপতি হাবিবুর রহমান ফারুক, ৯ নং ওয়ার্ড যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি সৈয়দ হুমায়ন কবির লিংকু, ১৫ নং ওয়ার্ড থেকে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, ২২ নং ওয়ার্ড মহিলা দলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জেসমিন সামাদ, ২৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি ও মহানগরের সাবেক সহসভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ, ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি ফরিদউদ্দিন হাওলাদার এবং ২৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক হুমায়ন কবির।
কামরুল আহসান রুপনকে দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বরিশাল সিটির ভোটে অংশ নেওয়ায় করা শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় রুপনকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়া তাকে মীরজাফর আখ্যা দেওয়া হয়।
এদিকে আরও ১৮ বিএনপি নেতা কাউন্সিলর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় তাদেরও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিএনপি। তাদের অনেকের জবাব সন্তোষজনক না হওয়া এবং অনেকে জবাব না দেওয়ায় তাদের আজীবন বহিষ্কার করা হয়।
এর আগে মহানগর বিএনপি ১৯ বিএনপি নেতাকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছিলো কেন্দ্র বিএনপির কাছে।
আরও পড়ুন: জাপান বুঝতে চায় বাংলাদেশে কী হচ্ছে, আগামীতে কী হতে যাচ্ছে: বিএনপি
সিলেট সিটি নির্বাচন: বিএনপির মেয়র প্রার্থীসহ ৪১ নেতাকর্মীকে শোকজ
জাপান বুঝতে চায় বাংলাদেশে কী হচ্ছে, আগামীতে কী হতে যাচ্ছে: বিএনপি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
রবিবার সকাল ১০টায় গুলশানে দলটির চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘জাপানের নতুন রাষ্ট্রদূত কিছুদিন আগে বাংলাদেশে এসেছেন। উনি আমাদের সঙ্গে কার্টিসি কল(সৌজন্য সাক্ষাৎ) করতে এসেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ-জাপানের বন্ধুত্ব, অংশীদারিত্ব অনেক পুরনো। বাংলাদেশ-জাপান অংশীদারিত্ব, দ্বিপক্ষীয়ভাবে জাপানের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক সবার উপরে। জাপানের অনেক বিনিয়োগ বাংলাদেশে আছে। তাদের ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করছে, সরকারের অবকাঠামোর প্রজেক্টগুলোতে জাপান বিনিয়োগ করছে।’
আমির খসরু বলেন, ‘সতুরাং জাপান বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক দীর্ঘ। দেশ হিসেবে জাপান বাংলাদেশের মানুষের কাছে খুব একটি গ্রহনযোগ্য দেশ। সেজন্য বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের অসম্মানজনক ভিসা নীতির জন্য সরকার দায়ী: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ক্ষমতায় ছিলাম প্রচুর বিনিয়োগ জাপান থেকে এসেছে, প্রচুর অবকাঠামোগত বিনিয়োগ বাংলাদেশে সেসময়ে হয়েছে। আমাদের সময়ে মুক্তবাজার অর্থনীতি যেটা শুরু করেছিলাম তারপর থেকে জাপানের সঙ্গে সস্পর্ক বাংলাদেশের অনেক বেশি বেড়ে গেছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে আমির খসরু বলেন, ‘সেজন্য জাপান দেখতে চায় সরকার বদল হলেও সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের সার্বিক নির্বাচনী ব্যবস্থা, বর্তমান মানবাধিকার যেগুলো নিয়ে আজকে সবার কনসার্ন, স্বাভাবিকভাবে তাদেরও কনসার্ন থাকার কথা, তারা জানতে চাচ্ছে- বাংলাদেশে কী হচ্ছে, আগামীতে কী হতে যাচ্ছে, আগামী দিনে বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে। এটা তারা বুঝার চেষ্টা করছেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে গণতন্ত্রকামী দেশগুলো বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে তাদের সদিচ্ছা ব্যক্ত করেছে। সুতরাং জাপান তো আলাদা কোনো দেশ না। সবাই চেষ্টা করে যাচ্ছে বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু অবাধ ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের জন্য।’
আরও পড়ুন: নিঃসন্দেহে জনগণের টাকা লুটপাটের জন্য এটি একটি স্মার্ট বাজেট: বিএনপি
যুক্তরাষ্ট্রের অসম্মানজনক ভিসা নীতির জন্য সরকার দায়ী: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত নতুন ভিসা নীতি জাতির জন্য কলঙ্কজনক, কারণ এটি সারা বিশ্বের কাছে প্রকাশ করেছে যে দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসন নেই।
তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) অস্থির হয়ে পড়েছে (মার্কিন ভিসা নীতিতে)। তারা বলার চেষ্টা করছে এটা তাদের সমস্যা নয়। তাহলে ভিসা নীতি কেন এলো... যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে তা আমাদের জন্য শোভনীয় নয়। একটি জাতি হিসাবে।’
শনিবার এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি নেতা বলেন, ক্ষমতাসীন দল দেশে এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে যে, যারা রাজনীতিবিদ, আমলা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিচারক যারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আমেরিকা ভিসা নীতি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতাদের দোষী সাব্যস্ত করতে সরকারের ‘ভয়ংকর মাস্টার প্ল্যান’: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘এর মানে শুধু দেশের জনগণের কাছে নয়, সারা বিশ্বের কাছে এটা স্পষ্ট যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন নেই।’
বিএনপি নেতা বলেন, সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় না হওয়ায় এখনো তারা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ‘মিথ্যা ও গায়েবি’ মামলায় ফাঁসিয়ে গ্রেপ্তার করে জেলে ভরার চেষ্টা করছে।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের দমন-পীড়ন, গ্রেপ্তার ও কারাগারে রেখে সরকার বিএনপির চলমান আন্দোলনকে দমন করতে পারবে না।
পৃথক পৃথক দুর্নীতি মামলায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমানের সাজা বহাল রেখে হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা।
আরও পড়ুন: নিঃসন্দেহে জনগণের টাকা লুটপাটের জন্য এটি একটি স্মার্ট বাজেট: বিএনপি
আমাদের আন্দোলন দ্রুত চূড়ান্ত পর্যায়ে যাচ্ছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার উৎখাত করতে বিএনপির চলমান আন্দোলন দ্রুত গতিতে চূড়ান্ত পর্যায়ে যাচ্ছে।
শনিবার এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায় এখন একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের পক্ষে কাজ করায় তাদের আন্দোলন ইতোমধ্যে সাফল্য অর্জন করেছে।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষ যে আন্দোলন শুরু করেছে তা দ্রুত গতিতে চূড়ান্ত পর্যায়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতাদের দোষী সাব্যস্ত করতে সরকারের ‘ভয়ংকর মাস্টার প্ল্যান’: ফখরুল
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ১৭ জন রাস্তায় তাদের জীবন দিয়েছেন, লাখ লাখ মানুষকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে এবং অনেককে গুম ও হত্যার শিকার করা হয়েছে, কিন্তু মানুষ গণতন্ত্রের জন্য তাদের সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে।
জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আলোচনা সভা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপির ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশের জনগণ রুখে দাঁড়িয়েছে।
সকল রাজনৈতিক দল, সকল সংগঠন, সকল গণতান্ত্রকামী জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই এবং গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা পুনরুদ্ধার এবং ভোটাধিকার রক্ষার চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর হই।
ফখরুল বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের পথ সুগম করে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে এবং সংসদ ভেঙে দিতে হবে। এই সংকট কাটিয়ে উঠতে এবং জাতিকে বাঁচানোর এটাই একমাত্র উপায়।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না: ফখরুল