বিএনপি
বিএনপি নেতা রিজভীর সমাবেশ থেকে গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ পিকেটারদের
বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ঘোষিত দশম দফা অবরোধের দ্বিতীয় দিনে বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে ঝটিকা মিছিল থেকে পিকেটারদের রাস্তায় চলাচলরত বাস ও অন্যান্য যানবাহনে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে দেখা গেছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, রিজভীর নেতৃত্বে প্রায় ৩০ জন পিকেটারকে রাস্তায় মিছিল করতে।
তারা ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের ঘোষিত তফসিলের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিল।
একপর্যায়ে পিকেটাররা রাস্তায় বসে থাকলেও বাস, গাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ অন্যান্য যানবাহনকে অবরোধ অমান্য করে চলাচল করতে দেখা যায়।
পিকেটাররা তখন একটি টায়ার এনে রাস্তায় আগুন ধরিয়ে দিতে এবং যানবাহন চলাচল বন্ধ করার চেষ্টা করে।
কিন্তু রাস্তার অপর পাশ দিয়ে যানবাহন চলতে থাকায় সেগুলোর দিকে পিকেটারদের ইট-পাটকেল ছুঁড়তে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: ক্ষমতা ধরে রাখতেই তৈরি পোশাক খাতে বিপদ ডেকে আনছে সরকার: রিজভী
এর মাত্র একদিন আগে, এই বিএনপি নেতা গণমাধ্যমকে বলেন, জনসাধারণের মনোযোগ সরাতে আওয়ামী লীগ নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করতে পারে।
২৮ অক্টোবর থেকে দেশে গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, হামলা, সহিংসতা ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটছে।
লন্ডন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত প্রধান তারেক রহমান দেশের ভাগ্য নির্ধারণে তার দলের কর্মীদের ‘রাস্তায়’ নামার জন্য ডাক দিলে অনেক মানবাধিকারকর্মীও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
সংখ্যালঘু নেতারা এই আহ্বানকে ‘সহিংসতার প্ররোচনা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে কারচুপির সঙ্গে জড়িতদের জনগণের আদালতে বিচার হবে : রিজভী
বুধবার থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ঘোষণা বিএনপির
ক্ষমতা ধরে রাখতেই তৈরি পোশাক খাতে বিপদ ডেকে আনছে সরকার: রিজভী
আগামী ৭ জানুয়ারি একতরফা জাতীয় নির্বাচন করে সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে দেশের পোশাক শিল্পের জন্য বিপদ ডেকে আনছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার(৭ ডিসেম্বর) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দল ত্যাগ করার জন্য পুলিশ রিমান্ডে থাকা বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতনেরও অভিযোগও তোলেন।
তিনি বলেন, 'দেশের মানুষ মনে করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৈরি পোশাক ব্যবসা অন্য দেশের হাতে তুলে দিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার নিশ্চয়তা চান।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের দল বারবার সরকারকে সতর্ক করেছে যে, একতরফা নির্বাচন দেশের রাজনৈতিক সংকটকে আরও গভীর করবে এবং দেশকে বিপদের দিকে ঠেলে দেবে।
আরও পড়ুন: সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির আন্দোলনের বিজয় নিশ্চিত: নজরুল ইসলাম খান
তিনি বলেন, ‘সরকার ইতোমধ্যে বাংলাদেশের (তৈরি পোশাক) বাজারকে হুমকির মুখে ফেলেছে। আসন্ন একতরফা নির্বাচন শুধু শেখ হাসিনার ক্ষমতার নবায়ন নয়, এটি বাংলাদেশকে ধ্বংস করার লাইসেন্সও।’
দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, শুধু নির্বাচন বর্জন নয়, বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে একটি বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, ক্রেতাদের মতামত উপেক্ষা করে সরকারপন্থী সুবিধাবাদী মহলের শোষণমূলক নীতির পক্ষে অবস্থান নিয়ে এবং শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি দমনে অযৌক্তিকভাবে হত্যা ও নিপীড়নের আশ্রয় নিয়ে সরকার প্রতিবেশী দেশের স্বার্থে দেশের বৃহত্তম রপ্তানিমুখী শিল্পকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র শ্রম অধিকার রক্ষায় নতুন শ্রমনীতি ঘোষণা করার পর বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রায় নিশ্চিত বলে পোশাক কারখানার মালিকরা আশঙ্কা করছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য ইসির শো-কজ জনগণের সঙ্গে তামাশা: রিজভী
তিনি বলেন, তৈরি পোশাক খাত ইতোমধ্যে ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ ব্যবসা হারিয়েছে। তিনি বলেন, 'পোশাক শিল্পের অনিশ্চয়তার মধ্যে অদ্ভুত পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন তার বোকামি দেখিয়ে বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা থাকলে কিছুই হবে না।’
যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে বাংলাদেশও একই কাজ করবে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, তার সরকার কোটি কোটি দরিদ্র মানুষের রুটি-রুজির একমাত্র উৎস পোশাক শিল্পের জন্য বিপদ ডেকে আনছে।
দেশের মোট পোশাক রপ্তানির ৮২ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোতে হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব দেশে রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হলে তৈরি পোশাক খাত ধ্বংস হয়ে যাবে।
বিএনপির এই নেতা দাবি করেন, গ্রেপ্তার বিএনপি নেতা-কর্মীদের পুলিশ রিমান্ডের নামে মারাত্মক নির্যাতন করা হচ্ছে। ‘আমাদের গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন জার্মান কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে নির্যাতনের গল্পকে ছাড়িয়ে গেছে।
তিনি বলেন, তারা জানতে পেরেছেন যে, বিএনপি নেতা-কর্মীদের দল পরিবর্তনের সম্মতি নেওয়ার জন্য পুলিশ রিমান্ডে অপমানজনকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।
রিজভী দাবি করেন, বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপির ৪১৫ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে কারচুপির সঙ্গে জড়িতদের জনগণের আদালতে বিচার হবে : রিজভী
বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলগুলোর ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হচ্ছে বুধবার
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত আগামী জাতীয় নির্বাচনের তফসিলের প্রতিবাদে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে সারাদেশে আরও ৪৮ ঘণ্টা সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধ করবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
৩১ অক্টোবর থেকে এটি হবে বিরোধী দলগুলোর দশম দফা অবরোধ কর্মসূচি।
বুধবার সকাল ৬টায় শুরু হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় অবরোধ শেষ হবে।
মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দেশবাসী এবং বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলের সমর্থকদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান।
সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমের যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ওষুধ পরিবহনকারী যানবাহন অবরোধের আওতার বাইরে থাকবে।
আরও পড়ুন: বুধবার থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ঘোষণা বিএনপির
এর আগে সরকারের উপর চাপ বাড়াতে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তি দেওয়ার দাবিতে সোমবার নতুন করে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন রিজভী।
তিনি বলেন, অন্যান্য বিরোধী দল; যারা দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করে আসছে, তারাও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করবে।
এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় প্রশাসনের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে নয় দফা অবরোধ পালন করে বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দল।
তারা ২৯ অক্টোবর থেকে তিন দফায় দেশব্যাপী ভোর-সন্ধ্যা হরতালও পালন করেছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য ইসির শো-কজ জনগণের সঙ্গে তামাশা: রিজভী
নির্বাচনে কারচুপির সঙ্গে জড়িতদের জনগণের আদালতে বিচার হবে : রিজভী
নির্বাচনে কারচুপির সঙ্গে জড়িতদের জনগণের আদালতে বিচার হবে : রিজভী
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদের একতরফা নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের 'জনগণের আদালতে' বিচার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতা বলেন, বর্তমান সরকার দেশ, জাতি ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মতামত ও দাবি উপেক্ষা করে প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠানে জোর দিচ্ছে।
সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং তাদের সঙ্গে যারা চুক্তি করছে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন বিএনপির এই নেতা।
রিজভী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, 'জনগণের আদালত গঠন করা হচ্ছে এবং তাদের প্রতিটি অপকর্মের জবাব দিতে হবে।’
রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেন, সরকার গার্মেন্টস শিল্পকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপি নেতা বলেন, 'গার্মেন্টস শিল্পের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে অনেক মানুষ বেকার হয়ে পড়বে। কিন্তু সরকার তা নিয়ে ভাবছে না। এটা যদি দেশপ্রেমিক সরকার হতো, তাহলে তারা সবকিছু বিবেচনায় নিত।’
রিজভী অভিযোগ করেন, প্রহসনমূলক নির্বাচন করতে সরকার বিএনপির হাইকমান্ডকে কারারুদ্ধ করছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য ইসির শো-কজ জনগণের সঙ্গে তামাশা: রিজভী
তিনি আরও অভিযোগ করেন, সরকার গত ১৫ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে 'বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের গুম' করতে বাধ্য করছে।
আগামীকাল সকাল ৬টায় শুরু হতে যাওয়া ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের ১০ম দফা সফল করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব।
তিনি বলেন, 'আমাদের আন্দোলন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য। আগামীকাল সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ চলবে। অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে বিএনপিসহ সমমনা দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা রাজপথে থাকবে।
রিজভী বলেন, ‘আমরা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করি। আমাদের একমাত্র আশ্রয় হচ্ছে জনগণ। আমরা বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভরশীল নই। আমরা আমাদের দাবি আদায়ের জন্য জনগণের শক্তির উপর নির্ভর করছি।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি সফল করার জন্য আমি সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: বুধবার থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ঘোষণা বিএনপির
বুধবার থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ঘোষণা বিএনপির
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য ইসির তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে আগামী বুধবার সকাল থেকে সারাদেশে ফের ৪৮ ঘণ্টার সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধ ঘোষণা করেছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
৩১ অক্টোবর থেকে এটি হবে বিরোধী দলগুলোর দশম দফা অবরোধ কর্মসূচি।
এছাড়াও, ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে দলটি গুম ও ভুয়া মামলার শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সারাদেশের সব মহানগর ও জেলা শহরে মানববন্ধন করবে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ ঘোষণা দেন।
বুধবার সকাল ৬টায় অবরোধ শুরু হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় শেষ হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ: সারা দেশে ১৫৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
রিজভী বলেন, অবরোধের উদ্দেশ্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন আয়োজন করা এবং দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের সব নেতা-কর্মীদের মুক্তিদান।
তিনি বলেন, অন্যান্য বিরোধী দল যারা দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করে আসছে, তারাও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করবে।
আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টায় বিরোধী দলের চলমান অবরোধ কর্মসূচি শেষ হওয়ার প্রায় ৯ ঘণ্টা আগে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
অবরোধ সফল করায় দেশবাসী ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানান রিজভী।
আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন আয়োজনের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে বিরোধী দলগুলো নবম দফা অবরোধ পালন করেছে।
তারা ২৯ অক্টোবর থেকে তিন দফায় দেশব্যাপী ভোর-সন্ধ্যা হরতালও পালন করেছে।
আরও পড়ুন: ঢিলেঢালাভাবে চলছে সর্বশেষ অবরোধ
নবম দফার অবরোধ: ১৬২ প্লাটুন বিজিবি, ৪৩৫ র্যাবের টহল দল মোতায়েন
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য ইসির শো-কজ জনগণের সঙ্গে তামাশা: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, একতরফা নির্বাচনের আগে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য নির্বাচন কমিশনের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেশের জনগণের সঙ্গে ‘তামাশা’।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনই (ইসি) জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে সংবিধানের অখণ্ডতা নষ্ট করেছে। এখন আওয়ামী ধাঁচের নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য নোটিশ দেওয়া মানে কমিশন জনগণকে নিয়ে মজা করছে।’
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতাকালে তিনি আরও বলেন, একতরফা নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো তাৎপর্য নেই। যেখানে জনগণের অংশগ্রহণ নেই এবং ভোটারদের ভোট দেওয়ার আগ্রহ নেই।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘এটি একটি একতরফা নির্বাচন, যেখানে একই দল এবং চার ভাগের এক ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। কেউ এক নম্বর প্রার্থী, কেউ দুই নম্বর প্রার্থী আবার কেউ তিন নম্বর প্রার্থী। তবে সবাই আওয়ামী লীগের প্রার্থী।’
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে ইউএনও ও ওসিদের বদলির ইসির সিদ্ধান্ত আওয়ামী মতাদর্শী ইউএনও ও ওসিদের মধ্যে রদবদল মাত্র। ‘পুরো প্রক্রিয়াটি হাসি ও কৌতুকের একটি অভূতপূর্ব হাস্যরস-উদ্দীপক নাটক।’
আরও পড়ুন: হাসিনাকে সমর্থন দিয়ে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে ভারত: রিজভী
রিজভী বলেন, ৬০টিরও বেশি রাজনৈতিক দল বর্জন করায় এই একতরফা নির্বাচন নিয়ে জনগণ কম উদ্বিগ্ন।
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে প্রহসন করতে বিএনপিসহ গণতন্ত্রপন্থী দলগুলোর নেতা-কর্মীদের বাড়িঘরে হামলা চালাচ্ছে সরকারের পেশিশক্তি।
রিজভী বলেন, ‘সারাদেশে বিএনপিসহ গণতন্ত্রপন্থী নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা অব্যাহত রয়েছে। তারা বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর লুটপাট করছে এবং আলবদর ও রাজাকারদের মতো পুরুষহীন ঘরে নারীদের হয়রানি করছে।’
তিনি বলেন, এমতাবস্থায় নির্বাচনকে সামনে রেখে শুধু বিএনপি পরিবারই নয়, সাধারণ ভোটারদেরও ভয় ও উদ্বেগ গ্রাস করেছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা অভিযোগ করেন, সরকার ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে আবারও জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করছে।
রবিবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বিএনপির ২৩০ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাশিয়ার ইতিবাচক ভূমিকা প্রত্যাশা বিএনপির: রিজভী
রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে লুটপাট করে নতুন দল তৈরি করছে সরকার: রিজভী
বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা আরেকটি অবরোধ চলছে
বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ আজ রবিবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে। চলবে আগামী মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত।
আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে বিরোধী দলগুলো এর আগে সাতটি অবরোধ পালন করে।
অবরোধে অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে এবং রাস্তার কর্মসূচিতে জনসাধারণের কম প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
আগের অবরোধের মতো এবারও ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি বেশি।
আরও পড়ুন: সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির আন্দোলনের বিজয় নিশ্চিত: নজরুল ইসলাম খান
ঢাকার রাস্তায় গণপরিবহনের সংখ্যা আজ পর্যাপ্ত এবং উত্তেজনা ও অগ্নিসংযোগের আশঙ্কা সত্ত্বেও জনসাধারণকে তাদের গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
এছাড়া ঢাকার রাস্তায় রিকশা আধিপত্য বিস্তার করেছে এবং কিছু ব্যক্তিগত যানবাহনকেও রাস্তায় চলাচল করতে দেখা গেছে।
গণমাধ্যমের যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ওষুধ বহনকারী যানবাহন এ অবরোধের আওতাবহির্ভূত থাকবে।
মধ্যরাতের ঠিক আগে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে দুটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
গাবতলীতে রাত ১১টা ৯ মিনিটে পদ্মা লাইনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের (মিডিয়া সেল) উপসহকারী পরিচালক শাহজাহান শিকদার জানান, আগারগাঁওয়ে রাত ১১টার দিকে বেতার ভবনের সামনে ভূঁইয়া পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হচ্ছে রবিবার
বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হচ্ছে রবিবার
বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলো রবিবার সকাল থেকে সারাদেশে ফের ৪৮ ঘণ্টার সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধ শুরু করতে যাচ্ছে।
এই কর্মসূচির উদ্দেশ্যও ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তি দিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা।
রবিবার সকাল ৬টায় অবরোধ শুরু হয়ে মঙ্গলবার সকাল ৬টায় শেষ হবে। ৩১ অক্টোবর থেকে এটি হবে বিরোধী দলগুলোর নবম দফা অবরোধ কর্মসূচি।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাতে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দেশবাসী এবং বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলের সমর্থকদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান।
সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমের যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ওষুধ পরিবহনকারী যানবাহন অবরোধের আওতার বাইরে থাকবে।
আরও পড়ুন: সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির আন্দোলনের বিজয় নিশ্চিত: নজরুল ইসলাম খান
এর আগে বৃহস্পতিবারও বিরোধী দলের দিনব্যাপী হরতাল শেষ হওয়ার প্রায় তিন ঘণ্টা আগে নতুন করে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন রিজভী।
তিনি বলেন, অন্যান্য বিরোধী দল যারা দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করে আসছে, তারাও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করবে।
ক্ষমতা ছাড়তে এবং নির্দলীয় প্রশাসনের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে বিরোধী দলগুলো আট দফায় অবরোধ পালন করেছে।
নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হামলার প্রতিবাদে তারা ২৯শে অক্টোবর দেশব্যাপী ভোর-সন্ধ্যা হরতালও পালন করে। যা যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিহত হওয়ার পর শেষ হয়।
২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির বহুল আলোচিত মহাসমাবেশ শুরুর আধা ঘণ্টা পর কাকরাইলে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিএনপি নেতা-কর্মীরা।
শিগগিরই সহিংস সংঘর্ষ নয়াপল্টনের চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে এবং মাঝপথে সমাবেশ বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারি নির্বাচন: তফসিল ঘোষণার পর থেকে ১৫ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি
৭ জানুয়ারির তফসিল বাতিলের দাবি বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের
সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির আন্দোলনের বিজয় নিশ্চিত: নজরুল ইসলাম খান
সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির আন্দোলনের বিজয় নিশ্চিত বলে জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, তাদের চলমান আন্দোলনের বিজয় নিশ্চিত, কারণ সরকার দমনমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিরোধী দলকে দমন করতে পারবে না।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘যারা আন্দোলন করছে, তাদের এখন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আমাদের নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ সবাইকে শুধু রাজপথে নামার জন্য কারাগারে রাখা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারির তফসিল বাতিলের দাবি বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) শ্রমিকদের সমাবেশে কাল্পনিক মামলা দায়ের এবং বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের পাইকারি গ্রেপ্তার বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি নেতা।
তিনি আরও বলেন, ‘যারা অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের মুক্তি দিতে এবং আমাদের ন্যায়সঙ্গত দাবি মেনে নিতে আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘বলপ্রয়োগ ও দমন-পীড়নের মাধ্যমে আন্দোলন দমন করা যাবে না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্বের কোনো স্বৈরাচারী সরকার দমন-পীড়ন চালিয়ে জনগণের মন জয় করতে পারে না। এই সরকারও তা করতে পারবে না। আমাদের সংগ্রাম গণতন্ত্রের জন্য এবং জনগণের ভোটাধিকারের জন্য। আমরা অবশ্যই এই লড়াইয়ে জয়ী হব।’
গার্মেন্টস শ্রমিক হত্যার বিচার, আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ও সুচিকিৎসা এবং সাম্প্রতিক আন্দোলনে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করে সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদ।
গ্রেপ্তার হওয়া শ্রমিকদের মুক্তি, চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের পুনর্বহাল এবং পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করার জন্য সরকারের উপর চাপ বাড়ানোর লক্ষ্যেও এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহবুবুর রহমান মান্না বলেন, সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিরোধী দলগুলোর চলমান আন্দোলন বন্ধ করতে চায়।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি মানুষ ভোট দিতে যাবে না। কিন্তু তারা (সরকার) নাটকের মতো মঞ্চে অনেক কেন্দ্র প্রস্তুত করবে। পরে সন্ধ্যায় তারা ঘোষণা করার চেষ্টা করবে যে আমরা নির্বাচনে জয়ী হয়েছি।’
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানিতে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে এমন জল্পনা-কল্পনা রয়েছে উল্লেখ করে মান্না বলেন, জাতীয় নির্বাচনের নামে কীভাবে নাটক করা যায় তা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় সরকার এ ধরনের গুরুতর বিষয় নিয়ে ভাবছে না।
তিনি দাবি আদায়ের পাশাপাশি জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন অব্যাহত রাখার জন্য শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি বলেন, সরকার জনগণ ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের মতামত উপেক্ষা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্যান্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতা দখলের ‘প্রহসনের’ নির্বাচন করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র শ্রম অধিকার নিয়ে একটি নতুন নীতি ঘোষণা করেছে।’
তারা বলেন, ‘এ ধরনের একতরফা নির্বাচন হলে এবং শ্রমিকদের অধিকার লঙ্ঘিত হলে তারা আমাদের পোশাক খাতের উপর নতুন বিধিনিষেধ বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে।’
সাকি অভিযোগ করে বলেন, ‘সরকার বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন ছাড়াই শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজারকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে যাচ্ছে। সরকারের এই প্রচেষ্টা কোনোভাবেই সফল হতে দেওয়া যাবে না।’
একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানেসরকারের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য তিনি শ্রমিকসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: শাহজাহান ওমরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে ঝালকাঠি জেলা বিএনপি
৭ জানুয়ারি নির্বাচন: তফসিল ঘোষণার পর থেকে ১৫ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি
শাহজাহান ওমরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে ঝালকাঠি জেলা বিএনপি
ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় বিএনপির বহিষ্কৃত ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) শাহজাহান ওমরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে দলটির ঝালকাঠি জেলা শাখা।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকালে এক ভিডিও বার্তায় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন এ ঘোষণা দেন।
শাহাদাত বলেন, ওমরের কর্মকাণ্ডে ঝালকাঠি জেলা বিএনপিসহ কেন্দ্রীয় বিএনপি 'আবর্জনামুক্ত' হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দলের সাবেক এই নেতা এমপি থাকা অবস্থায় দলীয় পদ ও পদবী ব্যবহার করে বিভিন্ন সুবিধা লুটপাট করেছেন এবং দলে সর্বদা বিশৃঙ্খলা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন। নৌকার প্রার্থী হওয়ায় ঝালকাঠির মানুষ তার নিন্দা করছে।’
ইতোমধ্যেই তাকে আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদস্য সচিব। ঝালকাঠি জেলা বিএনপিও তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছে।
আরও পড়ুন: আ. লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর
ঝালকাঠি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম জামাল বলেন, দলের শত্রু আজ চিহ্নিত হয়েছে। দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে নেতা-কর্মীরা তাদের ঘৃণা প্রকাশ করছে।
প্রায় চার সপ্তাহ কারাগারে থাকার পর বুধবার দুপুরে ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে জামিন পান শাহজাহান ওমর।
জামিনের পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ইউটিসি ভবনে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র নেওয়ার ঘোষণা দেন শাহজাহান ওমর।
তিনি জানান, ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগ তাকে মনোনয়ন দিয়েছে। নৌকার প্রার্থী হিসেবে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।
পরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাবেক প্রতিমন্ত্রীকে দল থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারি নির্বাচন: তফসিল ঘোষণার পর থেকে ১৫ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি
মনোনয়নপত্র নেওয়ায় একরামুজ্জামান ও আবু জাফরকে দল থেকে বহিষ্কার