বিএনপি
জনাকীর্ণ কারাগারে মানবিক সংকটে বিএনপির নেতা-কর্মীরা
বিএনপি অভিযোগ করেছে, কারাগারে তাদের নেতা-কর্মীরা মানবিক সংকটের সম্মুখীন হচ্ছেন। কারাগারের ওয়ার্ডগুলোতে ইতোমধ্যে ভিড় রয়েছে, যা তাদের স্বাভাবিক ধারণক্ষমতার চারগুণ বেশি।
সোমবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির 'শান্তিপূর্ণ' আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে এবং বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করতে সরকার তাদের বিরুদ্ধে 'অগ্নিসংযোগের গল্প' তৈরি করছে।
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিন: প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রিজভী
তিনি বলেন, কারাগারগুলো মানবিক বিপর্যয়ের সাক্ষী। কেরানীগঞ্জ কারাগারে পাঠানো নেতা-কর্মীদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা জানতে পারছেন না আইনজীবী ও স্বজনরা। কারাগারের অভ্যন্তরে প্রতিটি ভবনের ঘনবসতিপূর্ণ ওয়ার্ডে নেতা-কর্মীদের রাখা হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে ৪০-৫০ জন বন্দি রাখা হচ্ছে, যেখানে ১০-১৫ জনের বেশি বন্দি রাখা যাবে না। ‘এমনকি কারাবন্দি বিএনপির নেতা-কর্মীদের দিন বা রাত কোনো সময়ই ওয়ার্ডের বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।’
রিজভী আরও অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে কারাবন্দি বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীরা নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপির ২৭৫ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বিরোধী দলের ৯৯৫ জন অনুসারীকে আসামি করে আরও নয়টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা দাবি করেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রতিদিন বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের জন্য তাদের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করেন, জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য চলমান আন্দোলন দমন করতে সরকার বিএনপিকে দোষারোপ করতে যানবাহনে অগ্নিসংযোগের খেলা শুরু করেছে। যার অসংখ্য প্রমাণ এখন মানুষের হাতে রয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে রওনা হওয়া বাসে যারা আগুন দিয়েছে তাদের একটি ভিডিও রয়েছে। তিনি বলেন, 'প্রতিদিনই বিভিন্ন ঘটনায় এ ধরনের দৃশ্য দেখা যায়। শুধু গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করতেই বিএনপির বিরুদ্ধে অগ্নিসংযোগের গল্প তৈরি ও প্রচার করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, সরকারপন্থী কিছু টিভি স্টেশনের ক্যামেরাপার্সনরা গাড়ি পোড়ানোর সময় উপস্থিত রয়েছেন। ‘এতে সহজেই বোঝা যায় অগ্নিসংযোগ তাদেরই মাস্টার প্ল্যানের অংশ।’
রিজভী অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে কোনো প্ররোচনায় সাড়া না দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তায় নামতে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: রাজপথে বিরোধী দলের ব্যাপক উপস্থিতি সরকারকে বিভ্রান্ত করছে: রিজভী
টিক্কা ও নিয়াজির চরিত্রে অভিনয় করছেন কাদের: রিজভী
৭ নভেম্বরের সাধারণ কর্মসূচি স্থগিত করেছে বিএনপি
সরকারের দমন-পীড়ন ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ব্যাপক গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে মঙ্গলবারের কর্মসূচি স্থগিত করেছে বিএনপি।
সোমবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ ঘোষণা দেন।
৭ নভেম্বর তাদের কর্মসূচি স্থগিত করার কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণতন্ত্রকামী মানুষ ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা এখন অমানবিক ও ভয়ংকর পরিবেশে দিন কাটাচ্ছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘সরকারের নিষ্ঠুর ও নির্মম নিপীড়নের প্রতিবাদে আগামীকাল (মঙ্গলবার) ৭ নভেম্বর আমাদের শহীদ রাষ্ট্রপতি ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্র ধ্বংস ও বাকস্বাধীনতা দমন করে একদলীয় বাকশাল শাসন প্রতিষ্ঠা করে।
রিজভী বলেন, ‘৭ নভেম্বর বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বাকশাল থেকে উত্তরণের পথ তৈরি হয়েছিল। প্রতি বছর গণতন্ত্র এবং জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে ভালোবাসে এমন মানুষেরা এই দিন উদযাপন করে। কিন্তু '৭৫ সালে গণতন্ত্রকে হত্যাকারী শাসকেরা এখন আবার বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছে। তারা নতুনভাবে বিরোধীদের কণ্ঠ স্তব্ধ করতে বিএনপি কার্যালয়ে তালা দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, সরকার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তার করে দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমাদের অনেক নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করায় তারা ঘরে থাকতে পারছেন না। সরকারের দমন-পীড়নের কারণে হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।’
১৯৭৫ সালের ‘বেসামরিক-সামরিক অভ্যুত্থান’ উপলক্ষে প্রতি বছর ৭ নভেম্বরকে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ৭ নভেম্বরকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করে বিএনপি।
১৯৭৫ সালের এই দিনে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে সৈন্য ও বেসামরিক জনগণ যৌথভাবে তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে ঢাকা সেনানিবাসের বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে তার ক্ষমতায় আসার পথ সুগম করে।
বিএনপি ও তার জোটের শরিকরা ৭ নভেম্বরকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তার সমমনা সংগঠনগুলো একে মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবস হিসেবে বিবেচনা করে।
বুধবার থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর
সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় প্রশাসনের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে আগামী বুধবার থেকে ফের সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধের ডাক দিয়েছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের ‘বেসামরিক-সামরিক অভ্যুত্থান’ উপলক্ষে বিএনপি ৭ নভেম্বরকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে বিবেচনা করায় মঙ্গলবার বিরোধী দলগুলো তাদের কর্মসূচি পালনে বিরতি দেয়।
সোমবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনকারী অন্য বিরোধী দলগুলোও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একই ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
দেশবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় তাদের চলমান অবরোধ সফলভাবে পালিত হচ্ছে বলে দাবি করেন রিজভী।
আরও পড়ুন: রাজপথে বিরোধী দলের ব্যাপক উপস্থিতি সরকারকে বিভ্রান্ত করছে: রিজভী
অবরোধ কর্মসূচি সফল করতে বিএনপি ও সমমনা দলের নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
বিরোধীদের ৪৮ ঘণ্টার দেশব্যাপী অবরোধের শেষ দিনে নতুন আন্দোলনের ঘোষণা করা হয়েছে।
গত সপ্তাহের শুরুতে হরতাল চলাকালে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও গ্রেপ্তারের ঘটনায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে।
দেশব্যাপী তিন দিনের অবরোধে সংঘর্ষ এবং যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ব্যাপক ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছে।
এ ছাড়া, নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হামলার প্রতিবাদে রবিবারও তারা দেশব্যাপী ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবরোধ পালন করে; যা যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজনের প্রাণহানির মধ্যদিয়ে শেষ হয়।
২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির বহুল আলোচিত মহাসমাবেশ শুরুর দেড় ঘণ্টা পর কাকরাইলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দলটির নেতা-কর্মীরা। ক্রমেই তা নয়াপল্টনের মহাসমাবেশে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে সমাবেশটি মাঝপথে ভণ্ডুল হয়ে যায়।
অন্যদিকে, গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় এক পুলিশ কনস্টেবলসহ দুইজন নিহত হওয়ার ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ওই রাজনৈতিক সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সেদিন থেকেই অবরুদ্ধ হয়ে আছে দলটির প্রধান কার্যালয়।
আরও পড়ুন: নেতাদের পরিবারের সদস্যদের আটকের অভিযোগ বিএনপির
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের দ্বিতীয় দিন আজ
রাজপথে বিরোধী দলের ব্যাপক উপস্থিতি সরকারকে বিভ্রান্ত করছে: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, ব্যাপক গ্রেপ্তার ও দমন-পীড়নের মধ্যেও বিরোধী দলের বিপুল উপস্থিতি দেখে আতঙ্কিত হয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বেপরোয়া মন্তব্য করছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন। তীব্র দমন-পীড়নের পরও বিএনপির অবরোধ কর্মসূচিতে জনগণের উপস্থিতি দেখে সরকার বিস্মিত হয়ে পড়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতারা বেপরোয়া মন্তব্য করছেন।’
আরও পড়ুন: বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: রিজভী
সোমবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, বলেন, জনগণের সমর্থন পেলে তাদের চলমান এক দফা আন্দোলনের সাফল্য নিশ্চিত।
এদিকে, অবরোধ কর্মসূচির মধ্যেই সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে পল্লীমা সংসদের সামনে বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মীকে নিয়ে আকস্মিক মিছিল বের করেন রিজভী।
অবরোধ কর্মসূচির সমর্থনে তারা সেখানে কিছুক্ষণের জন্য বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং পরে তড়িঘড়ি করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা।
রিজভী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর দমন-পীড়ন ও গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সরকার বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক আন্দোলন থামাতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করে রিমান্ডে নিয়ে তাদের মনোবল দুর্বল করা সম্ভব হবে না। নির্যাতনের মাত্রা যত বাড়ছে, আমাদের নেতা-কর্মীরা ততই জোরালোভাবে রাস্তায় নামছে।’
সোমবার (৬ নভেম্বর) ভোরে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানান বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) শামসুজ্জামান দুদুসহ আমাদের জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেপ্তার করছে। যারা আমাদের ঘোষিত আন্দোলনের কর্মসূচির মাধ্যমে পবিত্র হয়ে উঠেছে।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘তারা সারা দেশে গ্রেপ্তারের ঝড় তুলেছে।’
তিনি বলেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের বিজয় নিশ্চিত। সরকারের পতন আসন্ন হওয়ায় আমাদের অধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলন সফল হবে।’
এদিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় আগের মতোই তালাবদ্ধ রয়েছে এবং সেখানে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: টিক্কা ও নিয়াজির চরিত্রে অভিনয় করছেন কাদের: রিজভী
পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিন: প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রিজভী
নেতাদের পরিবারের সদস্যদের আটকের অভিযোগ বিএনপির
দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ অন্যায়ভাবে তাদের পরিবারের সদস্যদের আটক করছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
সোমবার (৬ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে দলটি বলেছে, দেশের জনগণের সহায়তায় বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে তারা বদ্ধপরিকর।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ বিবৃতি দেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পুলিশ আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের জন্য দিন-রাত যেকোনো সময় বাড়িঘরে হানা দিচ্ছে। যখন টার্গেট করা ব্যক্তিদের বাড়িতে পাওয়া যায় না, তখন তাদের বাবা ও ভাই বা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের অন্যায়ভাবে আটক করা হচ্ছে।’
বিএনপি নেতাদের আটক স্বজনদের থানায় নিয়ে গেলে অবর্ণনীয় নির্যাতন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান স্বৈরাচারী সরকার বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে সারাদেশে ভয়াবহ দমন-পীড়ন শুরু করেছে। তবে বিএনপিকে নির্মূলের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নই থেকে যাবে, কারণ বিএনপি জনগণের পাশাপাশি বর্তমান অবৈধ সরকারের পতন নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।
বিএনপি ঘোষিত আন্দোলনের কর্মসূচিতে ভয় পেয়ে ফ্যাসিবাদী সরকার শামসুজ্জামান দুদুকে গ্রেপ্তার করেছে বলে অভিযোগ করেন এই বিএনপি নেতা।
তিনি শামসুজ্জামান দুদুর নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান।
সোমবার ভোরে রাজধানীর মিরপুর এলাকার একটি বাসা থেকে দুদুকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের দ্বিতীয় দিন আজ
বিএনপি, জামায়াত ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের দ্বিতীয় দিনে সোমবার সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের কিছু ঘটনা ঘটেছে।
তিন দিনের দেশব্যাপী অবরোধের পর গতকাল সকাল ৬টা থেকে আরেকটি সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ শুরু হয়। শেষ হবে মঙ্গলবার সকাল ৬টায়।
উত্তেজনা ও সহিংসতার আশঙ্কায় ঢাকার রাস্তায় গণপরিবহনের উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে কম ছিল।
গণপরিবহনের অভাবে অফিসগামী, শিক্ষার্থী ও অন্যান্য যাত্রীদের বাস খুঁজতে হিমশিম খেতে দেখা গেছে।
রাজধানীর মিরপুর ও বাংলামোটর এলাকায় গতকাল সন্ধ্যায় দুর্বৃত্তরা বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: টিক্কা ও নিয়াজির চরিত্রে অভিনয় করছেন কাদের: রিজভী
অবরোধ চলাকালে চট্টগ্রামের কাটঘর ও অক্সিজেন মোড় এলাকায় দুটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
এ নিয়ে শনিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে গতকাল রবিবার রাত ১১টা পর্যন্ত সারাদেশে মোট ১৭টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
পুলিশ ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইতোমধ্যে সারাদেশে নজরদারি বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা জোরদারের জন্য তাদের ইউনিটগুলোকে সতর্ক করেছে।
ঢাকার প্রবেশ পথ ও সব বড় স্থানে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে এবং চেকপোস্ট স্থাপন করেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঘোষণা দেন রবিবার সকাল থেকে সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হবে।
সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমের যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ওষুধ বহনকারী যানবাহন এই অবরোধের আওতাবহির্ভূত থাকবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির আরেক ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু আটক
বিএনপির আরেক ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু আটক
ঢাকা সেনানিবাসের পোস্ট অফিস এলাকা থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
দুদুর ভাই অ্যাডভোকেট ওয়াহিদুজ্জামান ইউএনবিকে জানান, রবিবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় তার বোনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুদুকে আটক করে।
আরও পড়ুন: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী কারাগারে
তিনি বলেন, সেখান থেকে তার ভাগ্নে হাসনাত আশরাফ রবিনকেও আটক করে ডিবি পুলিশ।
ওয়াহিদ দাবি করেন, রবিনের রাজনীতিতে কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
এর আগে গত রবিবার রাজধানী থেকে বিএনপির দুই ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও শাহজাহান ওমরকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আরও পড়ুন: টিক্কা ও নিয়াজির চরিত্রে অভিনয় করছেন কাদের: রিজভী
টিক্কা ও নিয়াজির চরিত্রে অভিনয় করছেন কাদের: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার নির্বাচনের নামে উপহাস করতে চায় বলেই দেশে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের ঝড় বইছে।
রবিবার ভার্চুয়াল সংবাদ তিনি বলেন, সরকারকে পদত্যাগ করতে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধ্য করতে চলমান ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের পর তারা আরও কর্মসূচি নিয়ে আসবেন।
রিজভী বিএনপি নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়ে বিরোধী দলের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দিতে পারে।
তিনি বলেন, 'সারা দেশে গ্রেপ্তারের ঝড় চলছে। এই গ্রেপ্তার অভিযানে আপনারা (সরকার) জাতীয় পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যন্ত কাউকে ছাড় দিচ্ছেন না। যারা ক্ষমতায় আছে তারা ভয়ংকর ডাকাতের মতো আচরণ করছে।’
এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে এবং টাকার বিনিময়ে কাউকে কাউকে ছেড়ে দিচ্ছে। আবার অনেককে টাকা নেওয়ার পরও ছেড়ে দিচ্ছে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের আত্মগোপনে চলে যাওয়া এবং ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন করার জন্য সমালোচনা করেন।
রিজভী বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের হাসতে হাসতে জিজ্ঞেস করেন, বিএনপি নেতারা কোথায়? তিনি (ওবায়দুল কাদের) বলেন, আমরা গুহা থেকে ব্রিফিং করি। টিক্কা খান (১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক কমান্ডার) নির্মম সামরিক অভিযান ও অপারেশন সার্চলাইট চালানোর পর এ ধরনের মন্তব্য করতেন।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর নৃশংসতার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করতে পারেনি কারণ তাদের ঘরবাড়ি, গ্রাম ছেড়ে দেশের সীমানা অতিক্রম করতে হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী কারাগারে
বিএনপি নেতা বলেন, ‘সে সময় টিক্কা খান ও নিয়াজি ঠিক একই কথা বলেছিলেন। তারা মুক্তিযোদ্ধাদের দুর্বৃত্ত বলে অভিহিত করে। ওবায়দুল কাদের এখন ঠিক একই ভাষা ব্যবহার করছেন।’
রিজভী বলেন, ১৯৭১ সালে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল, এখন বাংলাদেশেও সরকারের দমনমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে একই অবস্থা বিরাজ করছে।
ওবায়দুল কাদের এখন টিক্কা খান ও নিয়াজির ভূমিকা অনুসরণ করছেন এবং বাংলাদেশ থেকে বিরোধী দল ও বিএনপিকে নির্মূল করার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে জনগণের রক্ত ঝরিয়ে দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, 'তারা (সরকার) নীরব পরিবেশে নির্বাচনের নামে উপহাস করবে এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার শেখ হাসিনার তালিকা অনুযায়ী বিজয়ী প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করবেন।’
তিনি আরও বলেন, যে দেশে পুলিশ নিজেরাই দাঙ্গার গাড়ি থেকে ককটেল নিক্ষেপ করছে, সেখানে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা যাবে না।
তিনি বলেন, 'কীভাবে পুলিশকে এ দেশের মানুষের বন্ধু হিসেবে বিবেচনা করা যায়। তারা (পুলিশ) শেখ হাসিনার পেশী হিসেবে কাজ করছে এবং জনগণকে শত্রু বানাচ্ছে।’
এমতাবস্থায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, 'সরকার নানাভাবে নাশকতার চেষ্টা করতে পারে এবং এর দায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে পারে।’
তিনি বলেন, শনিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপির ২৬১ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ছাড়া একই সময়ে ১ হাজার ৬০ জনকে আসামি করে নতুন করে নয়টি মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরও দাবি করেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ও হরতাল-অবরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও হামলায় ১২২টি নতুন মামলায় বিএনপির ৫ হাজার ২৮৪ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৩ হাজার ৪৯৮ জন বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মী ও অনুসারী আহত হয়েছেন। একজন সাংবাদিকসহ নয়জন নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: মির্জা আব্বাস ফের কারাগারে, ৮ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য
টঙ্গী থেকে বিএনপি নেতা আলতাফ হোসেনকে আটক করেছে র্যাব
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী কারাগারে
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রমনা মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
রবিবার ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ শেখ সাদীর আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক আবু আনসার আসামিকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আলতাফ হোসেনের পক্ষে জামিন আবেদন করেন মাসুদ আহমেদ তালুকদার।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ।
এর আগে রবিবার সকালে আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে আটক করে র্যাব।
আরও পড়ুন: টঙ্গী থেকে বিএনপি নেতা আলতাফ হোসেনকে আটক করেছে র্যাব
মির্জা ফখরুলের মুক্তির দাবি ৬৮ জন বিশিষ্ট নাগরিকের
বিএনপি নেতা আমীর খসরু আটক
মির্জা আব্বাস ফের কারাগারে, ৮ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়ের বাইরে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় রবিবার (৫ নভেম্বর) আত্মপক্ষ সমর্থনে জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য দিন ধার্য করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
শুনানিকালে মির্জা আব্বাস আদালতের কাছে কথা বলার অনুমতি চান।
আদালত তাকে কথা বলার অনুমতি দিলে তিনি বলেন, ‘গত বছর আমাকে এবং মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সে সময় মির্জা ফখরুল ও আমাকে কনডেম সেলে রাখা হয়েছিল। এখন আমাকে মেঝেতে রাখা হয়েছে। এখন আমি পায়ে হেঁটে এখানে এসেছি, হয়তো পরের বার আমাকে হুইলচেয়ারে আসতে হবে।’
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম শুনানি শেষে আত্মপক্ষ সমর্থনের জবানবন্দি রেকর্ডের দিন ধার্য করেন।
মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম জানান, আজ মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের কথা ছিল।
তিনি বলেন, ‘আমরা মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন করেছি। শুনানির পর, আদালত জামিনের আবেদন রেকর্ড করে এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য ৮ নভেম্বর দিন ধার্য করে।’
গত ৩১ অক্টোবর একই আদালত মির্জা আব্বাসের জামিন বাতিল করে মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এদিকে নাশকতার মামলায় রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় দায়ের করা মামলায় রিমান্ড শেষে মির্জা আব্বাসকে আজ ফের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী সংস্থা ডিবি পুলিশ রবিবার মির্জা আব্বাসকে আদালতে হাজির করে কারাগারে রাখার আবেদন জানায়।
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠান।
এর আগে গত ১ নভেম্বর এ মামলায় তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।