বিএনপি
খালেদা জিয়ার টিআইপিএস প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ট্রান্সজুগুলার ইন্ট্রাহেপাটিক পোর্টোসিস্টেমিক শান্ট বা টিআইপিএস প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন, বিদেশ থেকে ৩ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এখানে এসেছেন। গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় তারা অত্যন্ত সফলভাবে (টিআইপিএস) পদ্ধতিটি সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে।’
শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া বর্তমানে হাসপাতালের সিসিইউতে (করোনারি কেয়ার ইউনিট) রয়েছেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ডাক্তাররা তার সঙ্গে কথা বলছেন… এখন পর্যন্ত তার অবস্থা অনেক ভালো।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার পানি বৃদ্ধি-রক্তক্ষরণ রোধে টিআইপিএস দিয়েছেন মার্কিন চিকিৎসকরা
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৩ মার্কিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক খালেদা জিয়ার ওপর বিশেষ টিআইপিএস পদ্ধতি পরিচালনা করেন। এই পদ্ধতিতে পাকস্থলী ও বুকে পানি জমে যাওয়া এবং লিভারে রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে কোনো ধরনের অস্ত্রোপচার ছাড়াই তার লিভারের দুটি রক্তনালীর মধ্যে নতুন সংযোগ সৃষ্টি করা হয়।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের হামিদ রব, ক্রিস্টোস জর্জিয়াডেস ও জেমস পি এ হ্যামিল্টন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য ও মেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্ট যাচাই-বাছাই করে তার টিআইপিএস প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেন।
টিআইপিএস এমন এক পদ্ধতি যা পোর্টাল শিরাগুলোকে নিম্ন চাপযুক্ত সংলগ্ন রক্তনালীগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য একটি স্টেন্ট (টিউব) সন্নিবেশ করে। এটি পোর্টাল শিরার (পোর্টাল হাইপারটেনশন নামে পরিচিত) উচ্চ রক্তচাপ উপশম করে, যা প্রায়শই লিভার সিরোসিসের সেটিংয়ে ঘটে।
আরও পড়ুন: সমাবেশের ৩ দিন আগেই বিএনপির ১২শ’ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার : রিজভী
বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ড. হামিদ রব ও ড. জেমস পি এ হ্যামিল্টন। আরেক চিকিৎসক ক্রিস্টোস জর্জিয়াডেস বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে বিমানবন্দরে পৌঁছান।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ৯ আগস্ট থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
৯ অক্টোবর এভারকেয়ার হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপার্সনের মেডিকেল বোর্ড জানায়, তার পাকস্থলী ও বুকে পানি জমে যাওয়া, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসের কারণে সৃষ্ট সংক্রমণ রোধে যথাযথ চিকিৎসার অভাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে সমাবেশ করবে বিএনপি: রিজভী
খালেদা জিয়ার পানি বৃদ্ধি-রক্তক্ষরণ রোধে টিআইপিএস দিয়েছেন মার্কিন চিকিৎসকরা
খালেদা জিয়ার পানি বৃদ্ধি-রক্তক্ষরণ রোধে টিআইপিএস দিয়েছেন মার্কিন চিকিৎসকরা
খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করে ইউএনবিকে বলেন, ‘আমেরিকান চিকিৎসকরা বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে টিআইপিএস দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এটি শেষ হয়।’
তিনি বলেন, চিকিৎসকরা টিআইপিএস প্লেসমেন্টের সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং খালেদা জিয়ার পরিবারের কয়েকজন সদস্য হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিসিইউ থেকে কেবিনে খালেদা জিয়া
চিকিৎসক বলেন, টিআইপিএস প্লেসমেন্ট প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর খালেদা জিয়াকে হাসপাতালের সিসিইউতে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের হামিদ রব, ক্রিস্টোস জর্জিয়াডেস ও জেমস পি এ হ্যামিল্টন দুপুর দেড়টার দিকে হাসপাতালে যান এবং বিএনপি চেয়ারপার্সনের মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ও পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা শেষে তারা টিআইপিএস প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেন।
টিআইপিএস এমন একটি পদ্ধতি যা পোর্টাল শিরাগুলোকে নিম্ন চাপযুক্ত সংলগ্ন রক্তনালীগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত করতে একটি স্টেন্ট (টিউব) সন্নিবেশ করে। এটি রোগাক্রান্ত লিভারের মাধ্যমে প্রবাহিত রক্তের চাপ উপশম করে এবং রক্তপাত এবং তরল ব্যাকআপ বন্ধ করতে সহায়তা করতে পারে।
একটি টিআইপিএস পোর্টাল শিরা (পোর্টাল হাইপারটেনশন নামে পরিচিত) এর উচ্চ রক্তচাপকে উপশম করে যা প্রায়শই লিভার সিরোসিসের সেটিংয়ে ঘটে।
বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ড. হামিদ রব ও ড. জেমস পি এ হ্যামিল্টন। আরেক চিকিৎসক ক্রিস্টোস জর্জিয়াডেস বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে বিমানবন্দরে পৌঁছান।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসছেন ৩ চিকিৎসক
বিএনপি চেয়ারপার্সনের পরিবার এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে আলোচনার পর নেফ্রোলজি--- হেপাটোলজি, ইন্টারন্যাশনাল রেডিওলজি এবং লিভার-কিডনি ট্রান্সপ্লান্টসহ বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ তিন চিকিৎসককে যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিয়ে আসেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া গত ৯ আগস্ট থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
গত ৯ অক্টোবর এভারকেয়ার হাসপাতালের বিএনপি চেয়ারপার্সনের মেডিকেল বোর্ড সুপারিশ করে, বাংলাদেশে তার চিকিৎসার কোনো সুযোগ না থাকায় তাকে দ্রুত বিদেশে মাল্টিডিসিপ্লিনারি সেন্টারে পাঠানো হোক।
হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে বোর্ডের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, পেট ও বুকে পানি জমে যাওয়া বন্ধে যথাযথ চিকিৎসার অভাবে, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসের কারণে সৃষ্ট সংক্রমণের ফলে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে দেখেছেন মার্কিন চিকিৎসকরা, প্রতিবেদন পর্যালোচনা চলছে
সমাবেশের ৩ দিন আগেই বিএনপির ১২শ’ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার : রিজভী
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে গত সোমবার থেকে মাত্র তিন দিনে প্রায় এক হাজার ২০০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে দলটি।
নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে ৩৩০ জন বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ সময়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১৬টি 'মিথ্যা মামলা' দায়ের করা হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপির মহাসমাবেশকে সামনে রেখে সরকার দমন-পীড়নের মাত্রা আরও বাড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার ও নিপীড়নের মুখে বিএনপির নেতা-কর্মী ও গণতন্ত্রকামী জনগণ এখন ঘরে থাকতে পারছে না। এটি একটি নজিরবিহীন এবং ভয়াবহ পরিস্থিতি।’
তিনি বলেন, পুলিশের গ্রেপ্তার ও হয়রানির ভয়ে স্বাধীন দেশে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীরা ঘরে থাকতে পারে না।
রিজভী বলেন, ‘আমরা সারাদেশ থেকে গ্রেপ্তারের তথ্য পাচ্ছি। যারা জামিনে কারাগার থেকে বের হচ্ছেন, তাদের ফের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এটা একটা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ
তিনি বলেন, জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সকল বাধা ও নিপীড়ন মোকাবিলা করে ২৮ অক্টোবর রাজপথে নামতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, তাদের দল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) পুলিশকে জানিয়েছে যে নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করতে বিএনপি বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, ‘তারা (ডিএমপি) জানতে চেয়েছিল আমরা অন্য কোনো বিকল্প স্থানে সমাবেশ করব কি না। আমরা তাদের পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছি যে আমাদের সমাবেশ এই দলীয় কার্যালয়ের (নয়াপল্টন) সামনেই হবে।’
নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, তাদের সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের সাংগঠনিক নেতারা এই সমাবেশ সফল করতে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। জনগণকে সংগঠিত করতে এবং সমাবেশে নিয়ে আসার জন্য আমরা গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুযায়ী প্রচারণা চালাচ্ছি।’
এর আগে গত বুধবার নয়াপল্টনে বিকল্প ভেন্যুর দুটি নাম, সমাবেশে প্রত্যাশিত সংখ্যক লোকসমাগম, এর সময়কাল, কোথায় মাইক লাগানো হবে, অন্য দলের কেউ উপস্থিত থাকবেন কি না, এমন বিভিন্ন তথ্য জানতে চেয়ে বিএনপিকে চিঠি দিয়েছে ডিএমপি।
এর জবাবে বিএনপির পক্ষ থেকেও চিঠি দিয়ে বলা হয়, নয়াপল্টনে সমাবেশের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ায় অন্য কোনো স্থানে সমাবেশ করা তাদের দলের পক্ষে সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে দেখেছেন মার্কিন চিকিৎসকরা, প্রতিবেদন পর্যালোচনা চলছে
নয়াপল্টনে এক লাখ থেকে এক লাখ ২৫ হাজার মানুষ সমাবেশে অংশ নিতে পারে এবং অন্য দলের কোনো নেতা-কর্মীও উপস্থিত থাকবেন না।
বিএনপি ডিএমপিকে আরও জানায়, দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হবে এবং অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দলের ৫০০ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবে।
রিজভী বলেন, তারা বারবার বলে আসছেন যে তাদের সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে, কিন্তু সরকার সহিংসতা উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘তারা সংঘাত ও সহিংসতার হুমকি দিচ্ছে। তারা এ দিন (শনিবার) লাঠিসোঁটা বহনের ঘোষণা দেন। তারা (আ.লীগ নেতা) গতকাল (বুধবার) বলেছেন এবং তাদের সাধারণ সম্পাদক কয়েকদিন আগে বলেছেন, এর পরিণতি শাপলা চত্বরের চেয়েও ভয়াবহ হবে। তারা হামলা করার হুমকি দিয়েছেন। এমনকি হামলা করে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার হুমকিও দিচ্ছেন।’
তা সত্ত্বেও স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার পরিকল্পনা নিয়ে তারা এগোচ্ছেন বলে জানান এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, জনসভার আগে সরকার প্রতিদিন ১০০-২০০ বিএনপি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করছে, যদিও তারা কোনো অনৈতিক ও বেআইনি কর্মকাণ্ডে লিপ্ত নয়।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে সমাবেশ করবে বিএনপি: রিজভী
২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে সমাবেশ করবে বিএনপি: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বলেছেন, তাদের দল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে (ডিএমপি) জানিয়েছে, তারা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোলেও সরকার সহিংসতার জন্য উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
রিজভী জানান, তারা বারবার বলছেন তাদের সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে হবে, কিন্তু সরকার সহিংসতার জন্য উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী জানান, তাদের সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, ‘তারা (ডিএমপি) জানতে চেয়েছিল যে আমরা অন্য কোনো বিকল্প স্থানে সমাবেশ করব কি না। আমরা তাদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি যে আমাদের অনুষ্ঠানস্থল এই পার্টি অফিসের (নয়াপল্টন) সামনে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের সংশ্লিষ্ট সাংগঠনিক নেতারা এই সমাবেশ সফল করতে দিন-রাত কাজ করছেন। জনগণকে সংগঠিত করে সমাবেশে আনার জন্য আমরা গণতান্ত্রিক রীতি অনুযায়ী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি।’
এর আগে বুধবার নয়াপল্টনে বিকল্প ভেন্যু দুটির নাম, সমাবেশের প্রত্যাশিত উপস্থিতির সংখ্যা, এর সময়কাল, কোথায় লাউড স্পিকার বসানো হবে এবং অন্য দলের কেউ উপস্থিত থাকবেন কি না-ইত্যাদি তথ্য চেয়ে ডিএমপি বিএনপির কাছে চিঠি পাঠিয়েছে।
এর জবাবে বিএনপিও চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, নয়াপল্টনে সমাবেশ করার সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করায় দলের পক্ষে অন্য কোনো স্থানে সমাবেশের আয়োজন করা সম্ভব নয়।
দলটি আরও বলেছে, ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার মানুষ সমাবেশে অংশ নিতে পারে এবং কর্মসূচি চলাকালীন নয়াপল্টনে অন্য দলের কোনো নেতা-কর্মী সেখানে থাকবে না।
বিএনপি ডিএমপিকে আরও জানিয়েছে, দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হবে এবং অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দলের ৫০০ স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘তারা সংঘাত ও সহিংসতার হুমকি দিচ্ছে। তারা এ দিন (শনিবার) লাঠিসোঁটা বহনের ঘোষণা দেন। তারা (আ.লীগ নেতা) গতকাল (বুধবার) বলেছেন এবং তাদের সাধারণ সম্পাদক কয়েকদিন আগে বলেছেন, এর পরিণতি শাপলা চত্বরের চেয়েও ভয়াবহ হবে। তারা হামলা করার হুমকি দিয়েছেন। এমনকি হামলা করে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার হুমকিও দিচ্ছেন।’
তা সত্ত্বেও স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার পরিকল্পনা নিয়ে তারা এগোচ্ছেন বলে জানান এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, জনসভার আগে সরকার প্রতিদিন ১০০-২০০ বিএনপি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করছে, যদিও তারা কোনো অনৈতিক ও বেআইনি কর্মকাণ্ডে লিপ্ত নয়।
খালেদা জিয়াকে দেখেছেন মার্কিন চিকিৎসকরা, প্রতিবেদন পর্যালোচনা চলছে
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ও রিপোর্ট যাচাই-বাছাই করতে এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বিদেশি এই তিন সদস্যের চিকিৎসক দল খালেদা জিয়ার চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের হামিদ রব, ক্রিস্টোস জর্জিয়াডেস ও জেমস পি এ হ্যামিল্টন দুপুর দেড়টার দিকে হাসপাতালে যান এবং বিএনপি চেয়ারপার্সনের মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: কোনো কিছুই ২৮ অক্টোবরের বিএনপির সমাবেশ বন্ধ করতে পারবে না: ফখরুল
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ওই তিন চিকিৎসক বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিভিন্ন মেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করেন এবং কেবিনে তাকে দেখতে যান।
শায়রুল বলেন, খালেদা জিয়ার পরবর্তী চিকিৎসার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকরা মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ড. হামিদ রব ও ড. জেমস পি এ হ্যামিল্টন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। আরেক চিকিৎসক ক্রিস্টোস জর্জিয়াডেস বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে বিমানবন্দরে পৌঁছান।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের পরিবার এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে আলোচনার পর নেফ্রোলজি, হেপাটোলজি, ইন্টারন্যাশনাল রেডিওলজি ও লিভার-কিডনি ট্রান্সপ্লান্টসহ বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ তিন চিকিৎসককে যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিয়ে আসেন। তারা ট্রান্সজুগুলার ইন্ট্রাহেপ্যাটিক পোর্টোসিস্টেমিক শান্ট বা লিভার সিরোসিসের রোগীদের চিকিৎসা করেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসছেন ৩ চিকিৎসক
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া গত ৯ আগস্ট থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
গত ৯ অক্টোবর এভারকেয়ার হাসপাতালের বিএনপি চেয়ারপার্সনের মেডিকেল বোর্ড সুপারিশ করে, বাংলাদেশে তার চিকিৎসার কোনো বিকল্প না থাকায় তাকে দ্রুত বিদেশে মাল্টিডিসিপ্লিনারি সেন্টারে পাঠানো হোক।
হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে বোর্ডের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, পেট ও বুকে পানি জমে যাওয়া বন্ধে যথাযথ চিকিৎসার অভাবে, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ ও লিভার সিরোসিসের কারণে সৃষ্ট সংক্রমণের কারণে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ
বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনকে রাজধানীর সিপাহীবাগ এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিবির মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার রাজিব আল মাসুদ জানান, ঢাকা ও নরসিংদী জেলায় একাধিক মামলায় ওয়ান্টেড থাকায় গোয়েন্দারা তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
এদিকে বিএনপির এই নেতার স্ত্রী শিরিন সুলতানা জানান, বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে সিপাহীবাগ এলাকায় খোকনকে তার ভাইয়ের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা এ্যানির ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে বিএনপি নেতা চাঁদ
নয়াপল্টনেই বিএনপির সমাবেশ করতে হবে: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আগামী ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তাদের বহুল আলোচিত মহাসমাবেশ করতে হবে।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'পেশিশক্তি' হিসেবে কাজ করায় বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে মন্ত্রীদের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘ডিএমপি কর্মকর্তারা বলেছেন, যেখানেই অনুমতি দেওয়া হবে সেখানেই বিএনপিকে সমাবেশ করতে হবে। এই বক্তব্য প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশের জনগণ এখন পরাধীন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সকল কর্মকাণ্ড ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা এখন পুলিশের ছাড়পত্রের ওপর নির্ভর করবে।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসছেন ৩ চিকিৎসক
তিনি বলেন, আগামী ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশের সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। সর্বস্তরের মানুষের অভূতপূর্ব অংশগ্রহণে নয়াপল্টনে অবশ্যই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এটি (নয়াপল্টন) সঠিক জায়গা যেখানে আমরা বেশ কয়েকবার শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করেছি।
বিএনপি নেতা বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়ে সারা দেশের মানুষ অব্যাহত গণগ্রেপ্তার ও সকল দমন-পীড়নের মধ্য দিয়ে ঢাকার দিকে ছুটে আসতে বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, 'পুলিশ কর্মকর্তারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, দেশের মালিক নয়। কোন রাজনৈতিক দলের সভা কোথায় হবে তা তারা কীভাবে ঠিক করবে? বিএনপি একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল, যার বেশ কয়েকবার দেশ পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিএনপি কি জানে না কোথায় সমাবেশ করতে হবে?
বিএনপির সমাবেশের অনুমতি নিয়ে ডিএমপি কর্মকর্তাদের বক্তব্য রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচিতে সরাসরি বাধা ও হস্তক্ষেপের শামিল বলে দাবি করেনে বিএনপির এই নেতা।
আরও পড়ুন: কোনো কিছুই ২৮ অক্টোবরের বিএনপির সমাবেশ বন্ধ করতে পারবে না: ফখরুল
তিনি বলেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর বিরুদ্ধে 'অবৈধ' প্রধানমন্ত্রী ও পুলিশের ক্ষোভ তাদের বিভিন্ন বক্তব্যের মাধ্যমে সমানভাবে ফুটে উঠছে।
রিজভী বলেন, 'তারা (প্রধানমন্ত্রী ও পুলিশ) মনে করে আওয়ামী লীগ ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের লোকজন দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আক্ষরিক অর্থেই শেখ হাসিনার পেশী হিসেবে কাজ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা এবং পুলিশ কর্মকর্তারা বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে তাদের বক্তব্য ও হুমকি দিয়ে ঢাকাকে আতঙ্কের শহরে পরিণত করতে চায়।
তিনি বলেন, র্যাবের সদস্যরা চেকপয়েন্ট বসিয়ে রাজধানীর প্রবেশপথে তল্লাশির নামে মানুষকে হয়রানি করছে এবং পুলিশের সদস্যরা বিএনপি নেতা-কর্মী ও তাদের আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার ও পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে লাঞ্ছিত করছে।
আরও পড়ুন: গ্রেপ্তার-তল্লাশির ক্ষমতা আনসারদের দেওয়ার সরকারের উদ্যোগ প্রত্যাখান বিএনপির
খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসছেন ৩ চিকিৎসক
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বুধবার ঢাকায় আসছেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারের অনুমতি পাওয়ায় এই তিন চিকিৎসক বুধবার ঢাকায় আসবেন।
এর আগে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সহায়তার জন্য সরকার বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনার অনুমতি দিয়েছে।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘চিকিৎসকদের ভিসা প্রদানে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সিসিইউ থেকে কেবিনে খালেদা জিয়া
আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে প্রায় ৯ ঘণ্টা রাখার পর মঙ্গলবার বিকালে আবারও করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে ফিরিয়ে আনা হয়।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। চিকিৎসকরা বারবার বলছেন যে তিনি খুব অসুস্থ। গতকাল রাতে তাকে সিসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর দুপুর ১২টার দিকে তাকে কেবিনে নিয়ে যাওয়া হয়।’
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন, সকালে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তারা (চিকিৎসকরা) বলেছেন, ম্যাডাম এখন খুবই উদ্বেগজনক অবস্থায় আছেন।
৯ আগস্ট থেকে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন।
আরও পড়ুন: আড়াই ঘণ্টা পর সিসিইউ থেকে কেবিনে ফিরেছেন খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়া ও হাজী সেলিম নির্বাচন করতে পারবেন না: খুরশীদ আলম
কোনো কিছুই ২৮ অক্টোবরের বিএনপির সমাবেশ বন্ধ করতে পারবে না: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাদের আন্দোলন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে, তাই আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে ঘোষিত বিএনপির মহাসমাবেশ কেউ আটকাতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, কোনো কিছুই আমাদের থামাতে পারবে না। আওয়ামী লীগের ভয়ভীতি, পাল্টা সমাবেশ, গ্রেপ্তার, মামলা ও রাতভর বিচারিক কার্যক্রম জনগণকে তাদের দাবি আদায় থেকে বিরত রাখতে পারবে না।’
মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণ যখন তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন আওয়ামী লীগ 'শান্তি সমাবেশের' নামে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিরোধী দলের প্রতিটি পদক্ষেপ ঝুঁকিপূর্ণ, যারা সচেতনভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে: ফখরুল
বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণ রাজপথে আন্দোলনের কোনো ঝুঁকি নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়, কারণ তারা তাদের দাবি আদায়ে অঙ্গীকারবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা নিশ্চিত হতে পারেন যে, আমাদের আন্দোলন এবার একটি চূড়ান্ত পর্যায়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং জনগণের বিজয় অনিবার্য।’
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আগামী ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে সমাবেশ করার পরিকল্পনার বিষয়ে তারা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন।
তিনি বলেন, 'পুলিশের কাছে অনুমতি চাওয়ার কিছু নেই। আমরা তাদের (সমাবেশের বিষয়ে) অবহিত করেছি। এটা এখন তাদের দায়িত্ব... তারাই সিদ্ধান্ত নেবে এখানে কী করা উচিত বা কী করবে না।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ, জামায়াতসহ অন্যান্য দলও তাদের গণতান্ত্রিক অধিকারের অংশ হিসেবে ২৮ অক্টোবর সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে।
ফখরুল বলেন, সরকার সংবিধান অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলে বিশ্ব সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
কিন্তু তারা যা বলছে, তাদের কর্মকাণ্ড সেগুলোর বিপরীত। বিরোধী দল যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে এবং ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারে সেজন্য তারা নির্বাচনের পরিবেশ ধ্বংস করে সারা দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুন: সিসিইউ থেকে কেবিনে খালেদা জিয়া
একতরফা ও নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
এর আগে গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লায় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মিছিলে হামলার ঘটনায় বিএনপির গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি সংবাদ সম্মেলনে তাদের প্রতিবেদন উপস্থাপন করে।
তদন্ত কমিটির সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু গত ১৭ অক্টোবর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয় জনগণ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারসহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের 'ক্যাডাররা' এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
তদন্ত প্রতিবেদনকে সমর্থন করে দিয়ে ফখরুল এ হামলার জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে দায়ী করেন। এতে প্রমাণিত হয়েছে, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিন বাহারের নির্দেশেই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডাররা কুমিল্লায় হামলা চালিয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে মূলত আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটছে কারণ এটি একটি সন্ত্রাসী দল।
তিনি বলেন, ‘তারা (আওয়ামী লীগ) সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে টিকে আছে এবং তারা আবারও একইভাবে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে। এটাই তাদের চরিত্র।’
আরও পড়ুন: গ্রেপ্তার-তল্লাশির ক্ষমতা আনসারদের দেওয়ার সরকারের উদ্যোগ প্রত্যাখান বিএনপির
গ্রেপ্তার-তল্লাশির ক্ষমতা আনসারদের দেওয়ার সরকারের উদ্যোগ প্রত্যাখান বিএনপির
সন্দেহভাজন অপরাধীদের গ্রেপ্তারের মতো কিছু পুলিশি ক্ষমতা আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যদের দিয়ে সাজানোর সরকারের পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার(২৪ অক্টোবর) নতুন প্রবর্তিত আইন আনসার ব্যাটালিয়ন বিল-২০২৩ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে দলটি।
সোমবার সংসদে উত্থাপিত বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, 'গতকাল (সোমবার) সংসদে একটি বিল উত্থাপন করা হয়েছে। এটি কেবল গুরুতর উদ্বেগের কারণ নয়, আতঙ্কের বিষয়ও। এভাবেই তারা (সরকার) সমগ্র রাষ্ট্রব্যবস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করছে।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সারা বিশ্বে পুলিশই একমাত্র সংস্থা, যার অপরাধীদের গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা রয়েছে। ‘কিন্তু আনসার, যাদের মৌলিক প্রশিক্ষণও নেই, তাদের এখানে (বাংলাদেশে) সেই ক্ষমতা দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে: ফখরুল
বিএনপির এই নেতা বলেন, পুলিশিং একটি ভিন্ন বিষয় এবং বাহিনীটি বিভিন্ন আইন, বিধি এবং ভিন্ন আচরণবিধির অধীনে পরিচালিত হয়।
তিনি বলেন, আনসার বাহিনীর ভূমিকা ও কার্যক্রম ভিন্ন এবং এটি একটি ভিন্ন প্রতিষ্ঠান দ্বারা পরিচালিত হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান তার শাসনামলে আনসার বাহিনীর আধুনিকায়ন করেছিলেন।
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, সরকার আনসার ব্যাটালিয়ন বিল-২০২৩ এনেছে বাহিনীকে রাজনীতিকরণের অংশ হিসেবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এর নিন্দা জানাই এবং একই সঙ্গে বিলটি প্রত্যাহারের দাবি জানাই। আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি যে এই বিলটি কোনোভাবেই পাস করা হবে না।’
বাংলাদেশ পুলিশের মতো অপরাধীদের আটক, দেহ তল্লাশি ও মালামাল জব্দের ক্ষমতা আনসার ব্যাটালিয়নকে দিয়ে একটি খসড়া আইন জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।
সংসদে কিছু বিরোধী দলীয় সদস্য বিলটির বিরোধিতা করে বলেছিলেন যে এটি বাংলাদেশ পুলিশের সমান্তরাল বাহিনী হিসাবে আনসার তৈরি করতে পারে।
বিদ্রোহ, বিদ্রোহে উস্কানিসহ বিভিন্ন অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে বিতর্কিত বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীরিক্ষা কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। চলতি সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাস হলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনসার সদস্যরা তাদের নতুন ক্ষমতা প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।
আরও পড়ুন: সিসিইউ থেকে কেবিনে খালেদা জিয়া