বিএনপি
বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনকে রাজধানীর সিপাহীবাগ এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিবির মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার রাজিব আল মাসুদ জানান, ঢাকা ও নরসিংদী জেলায় একাধিক মামলায় ওয়ান্টেড থাকায় গোয়েন্দারা তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
এদিকে বিএনপির এই নেতার স্ত্রী শিরিন সুলতানা জানান, বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে সিপাহীবাগ এলাকায় খোকনকে তার ভাইয়ের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা এ্যানির ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে বিএনপি নেতা চাঁদ
নয়াপল্টনেই বিএনপির সমাবেশ করতে হবে: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আগামী ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তাদের বহুল আলোচিত মহাসমাবেশ করতে হবে।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'পেশিশক্তি' হিসেবে কাজ করায় বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে মন্ত্রীদের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘ডিএমপি কর্মকর্তারা বলেছেন, যেখানেই অনুমতি দেওয়া হবে সেখানেই বিএনপিকে সমাবেশ করতে হবে। এই বক্তব্য প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশের জনগণ এখন পরাধীন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সকল কর্মকাণ্ড ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা এখন পুলিশের ছাড়পত্রের ওপর নির্ভর করবে।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসছেন ৩ চিকিৎসক
তিনি বলেন, আগামী ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশের সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। সর্বস্তরের মানুষের অভূতপূর্ব অংশগ্রহণে নয়াপল্টনে অবশ্যই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এটি (নয়াপল্টন) সঠিক জায়গা যেখানে আমরা বেশ কয়েকবার শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করেছি।
বিএনপি নেতা বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়ে সারা দেশের মানুষ অব্যাহত গণগ্রেপ্তার ও সকল দমন-পীড়নের মধ্য দিয়ে ঢাকার দিকে ছুটে আসতে বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, 'পুলিশ কর্মকর্তারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, দেশের মালিক নয়। কোন রাজনৈতিক দলের সভা কোথায় হবে তা তারা কীভাবে ঠিক করবে? বিএনপি একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল, যার বেশ কয়েকবার দেশ পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিএনপি কি জানে না কোথায় সমাবেশ করতে হবে?
বিএনপির সমাবেশের অনুমতি নিয়ে ডিএমপি কর্মকর্তাদের বক্তব্য রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচিতে সরাসরি বাধা ও হস্তক্ষেপের শামিল বলে দাবি করেনে বিএনপির এই নেতা।
আরও পড়ুন: কোনো কিছুই ২৮ অক্টোবরের বিএনপির সমাবেশ বন্ধ করতে পারবে না: ফখরুল
তিনি বলেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর বিরুদ্ধে 'অবৈধ' প্রধানমন্ত্রী ও পুলিশের ক্ষোভ তাদের বিভিন্ন বক্তব্যের মাধ্যমে সমানভাবে ফুটে উঠছে।
রিজভী বলেন, 'তারা (প্রধানমন্ত্রী ও পুলিশ) মনে করে আওয়ামী লীগ ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের লোকজন দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আক্ষরিক অর্থেই শেখ হাসিনার পেশী হিসেবে কাজ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা এবং পুলিশ কর্মকর্তারা বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে তাদের বক্তব্য ও হুমকি দিয়ে ঢাকাকে আতঙ্কের শহরে পরিণত করতে চায়।
তিনি বলেন, র্যাবের সদস্যরা চেকপয়েন্ট বসিয়ে রাজধানীর প্রবেশপথে তল্লাশির নামে মানুষকে হয়রানি করছে এবং পুলিশের সদস্যরা বিএনপি নেতা-কর্মী ও তাদের আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার ও পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে লাঞ্ছিত করছে।
আরও পড়ুন: গ্রেপ্তার-তল্লাশির ক্ষমতা আনসারদের দেওয়ার সরকারের উদ্যোগ প্রত্যাখান বিএনপির
খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসছেন ৩ চিকিৎসক
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বুধবার ঢাকায় আসছেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারের অনুমতি পাওয়ায় এই তিন চিকিৎসক বুধবার ঢাকায় আসবেন।
এর আগে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সহায়তার জন্য সরকার বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনার অনুমতি দিয়েছে।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘চিকিৎসকদের ভিসা প্রদানে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সিসিইউ থেকে কেবিনে খালেদা জিয়া
আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে প্রায় ৯ ঘণ্টা রাখার পর মঙ্গলবার বিকালে আবারও করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে ফিরিয়ে আনা হয়।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। চিকিৎসকরা বারবার বলছেন যে তিনি খুব অসুস্থ। গতকাল রাতে তাকে সিসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর দুপুর ১২টার দিকে তাকে কেবিনে নিয়ে যাওয়া হয়।’
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন, সকালে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তারা (চিকিৎসকরা) বলেছেন, ম্যাডাম এখন খুবই উদ্বেগজনক অবস্থায় আছেন।
৯ আগস্ট থেকে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন।
আরও পড়ুন: আড়াই ঘণ্টা পর সিসিইউ থেকে কেবিনে ফিরেছেন খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়া ও হাজী সেলিম নির্বাচন করতে পারবেন না: খুরশীদ আলম
কোনো কিছুই ২৮ অক্টোবরের বিএনপির সমাবেশ বন্ধ করতে পারবে না: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাদের আন্দোলন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে, তাই আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে ঘোষিত বিএনপির মহাসমাবেশ কেউ আটকাতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, কোনো কিছুই আমাদের থামাতে পারবে না। আওয়ামী লীগের ভয়ভীতি, পাল্টা সমাবেশ, গ্রেপ্তার, মামলা ও রাতভর বিচারিক কার্যক্রম জনগণকে তাদের দাবি আদায় থেকে বিরত রাখতে পারবে না।’
মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণ যখন তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন আওয়ামী লীগ 'শান্তি সমাবেশের' নামে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিরোধী দলের প্রতিটি পদক্ষেপ ঝুঁকিপূর্ণ, যারা সচেতনভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে: ফখরুল
বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণ রাজপথে আন্দোলনের কোনো ঝুঁকি নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়, কারণ তারা তাদের দাবি আদায়ে অঙ্গীকারবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা নিশ্চিত হতে পারেন যে, আমাদের আন্দোলন এবার একটি চূড়ান্ত পর্যায়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং জনগণের বিজয় অনিবার্য।’
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আগামী ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে সমাবেশ করার পরিকল্পনার বিষয়ে তারা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন।
তিনি বলেন, 'পুলিশের কাছে অনুমতি চাওয়ার কিছু নেই। আমরা তাদের (সমাবেশের বিষয়ে) অবহিত করেছি। এটা এখন তাদের দায়িত্ব... তারাই সিদ্ধান্ত নেবে এখানে কী করা উচিত বা কী করবে না।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ, জামায়াতসহ অন্যান্য দলও তাদের গণতান্ত্রিক অধিকারের অংশ হিসেবে ২৮ অক্টোবর সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে।
ফখরুল বলেন, সরকার সংবিধান অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলে বিশ্ব সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
কিন্তু তারা যা বলছে, তাদের কর্মকাণ্ড সেগুলোর বিপরীত। বিরোধী দল যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে এবং ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারে সেজন্য তারা নির্বাচনের পরিবেশ ধ্বংস করে সারা দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুন: সিসিইউ থেকে কেবিনে খালেদা জিয়া
একতরফা ও নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
এর আগে গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লায় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মিছিলে হামলার ঘটনায় বিএনপির গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি সংবাদ সম্মেলনে তাদের প্রতিবেদন উপস্থাপন করে।
তদন্ত কমিটির সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু গত ১৭ অক্টোবর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয় জনগণ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারসহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের 'ক্যাডাররা' এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
তদন্ত প্রতিবেদনকে সমর্থন করে দিয়ে ফখরুল এ হামলার জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে দায়ী করেন। এতে প্রমাণিত হয়েছে, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিন বাহারের নির্দেশেই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডাররা কুমিল্লায় হামলা চালিয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে মূলত আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটছে কারণ এটি একটি সন্ত্রাসী দল।
তিনি বলেন, ‘তারা (আওয়ামী লীগ) সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে টিকে আছে এবং তারা আবারও একইভাবে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে। এটাই তাদের চরিত্র।’
আরও পড়ুন: গ্রেপ্তার-তল্লাশির ক্ষমতা আনসারদের দেওয়ার সরকারের উদ্যোগ প্রত্যাখান বিএনপির
গ্রেপ্তার-তল্লাশির ক্ষমতা আনসারদের দেওয়ার সরকারের উদ্যোগ প্রত্যাখান বিএনপির
সন্দেহভাজন অপরাধীদের গ্রেপ্তারের মতো কিছু পুলিশি ক্ষমতা আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যদের দিয়ে সাজানোর সরকারের পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার(২৪ অক্টোবর) নতুন প্রবর্তিত আইন আনসার ব্যাটালিয়ন বিল-২০২৩ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে দলটি।
সোমবার সংসদে উত্থাপিত বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, 'গতকাল (সোমবার) সংসদে একটি বিল উত্থাপন করা হয়েছে। এটি কেবল গুরুতর উদ্বেগের কারণ নয়, আতঙ্কের বিষয়ও। এভাবেই তারা (সরকার) সমগ্র রাষ্ট্রব্যবস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করছে।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সারা বিশ্বে পুলিশই একমাত্র সংস্থা, যার অপরাধীদের গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা রয়েছে। ‘কিন্তু আনসার, যাদের মৌলিক প্রশিক্ষণও নেই, তাদের এখানে (বাংলাদেশে) সেই ক্ষমতা দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে: ফখরুল
বিএনপির এই নেতা বলেন, পুলিশিং একটি ভিন্ন বিষয় এবং বাহিনীটি বিভিন্ন আইন, বিধি এবং ভিন্ন আচরণবিধির অধীনে পরিচালিত হয়।
তিনি বলেন, আনসার বাহিনীর ভূমিকা ও কার্যক্রম ভিন্ন এবং এটি একটি ভিন্ন প্রতিষ্ঠান দ্বারা পরিচালিত হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান তার শাসনামলে আনসার বাহিনীর আধুনিকায়ন করেছিলেন।
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, সরকার আনসার ব্যাটালিয়ন বিল-২০২৩ এনেছে বাহিনীকে রাজনীতিকরণের অংশ হিসেবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এর নিন্দা জানাই এবং একই সঙ্গে বিলটি প্রত্যাহারের দাবি জানাই। আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি যে এই বিলটি কোনোভাবেই পাস করা হবে না।’
বাংলাদেশ পুলিশের মতো অপরাধীদের আটক, দেহ তল্লাশি ও মালামাল জব্দের ক্ষমতা আনসার ব্যাটালিয়নকে দিয়ে একটি খসড়া আইন জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।
সংসদে কিছু বিরোধী দলীয় সদস্য বিলটির বিরোধিতা করে বলেছিলেন যে এটি বাংলাদেশ পুলিশের সমান্তরাল বাহিনী হিসাবে আনসার তৈরি করতে পারে।
বিদ্রোহ, বিদ্রোহে উস্কানিসহ বিভিন্ন অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে বিতর্কিত বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীরিক্ষা কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। চলতি সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাস হলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনসার সদস্যরা তাদের নতুন ক্ষমতা প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।
আরও পড়ুন: সিসিইউ থেকে কেবিনে খালেদা জিয়া
সিসিইউ থেকে কেবিনে খালেদা জিয়া
ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিকালে তাকে কেবিনে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, 'আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। চিকিৎসকরা বারবার বলছেন, তিনি খুবই অসুস্থ। গতকাল রাতে তাকে সিসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর বেলা ১২টার দিকে তাকে কেবিনে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।’
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, সকালে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা (চিকিৎসকরা) বলেছেন, ম্যাডাম এখন খুবই আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর ঢাকায় সমাবেশের জন্য ডিএমপির অনুমতি চেয়েছে বিএনপি
গত ৯ আগস্ট থেকে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
তিনি বলেন, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও শারীরিক অবস্থা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
এর আগে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিএনপি চেয়ারপার্সনকে বেশ কয়েকবার সিসিইউতে নেওয়া হয়।
লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার তার নিঃশর্ত মুক্তি এবং জীবন বাঁচাতে জরুরি ভিত্তিতে 'অ্যাডভান্সড মেডিকেল সেন্টারে' চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে: ফখরুল
কিন্তু আইন মন্ত্রণালয় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেছে, দুর্নীতির সাজা ভোগ করতে জন্য তাকে প্রথমে কারাগারে ফিরে যেতে হবে এবং পরে এ বিষয়ে অনুমতি নিতে আদালতে আবেদন করতে হবে।
গত ৯ অক্টোবর এভারকেয়ার হাসপাতালের বিএনপি চেয়ারপার্সনের মেডিকেল বোর্ড সুপারিশ করে, বাংলাদেশে তার চিকিৎসার কোনো বিকল্প না থাকায় তাকে দ্রুত বিদেশে মাল্টিডিসিপ্লিনারি সেন্টারে পাঠানো হোক।
হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে বোর্ডের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, পেট ও বুকে পানি জমে যাওয়া বন্ধে যথাযথ চিকিৎসার অভাবে, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসের কারণে সৃষ্ট সংক্রমণের কারণে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে পুরান ঢাকার কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর দুর্নীতির আরেকটি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসায় থাকা এবং দেশ ত্যাগ না করার শর্তে তার সাজা স্থগিত করে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন: বর্তমান সংসদ অধিবেশনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান চালু করতে আ. লীগের প্রতি ফখরুলের আহ্বান
শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে দেশে চলমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধান হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সবসময় ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে বিজয়ী হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের জনগণ এবারও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হবে।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে বিএনপি আয়োজিত ‘এ ডেমোক্রেটিক ফিউচার ফর বাংলাদেশ অ্যান্ড দ্য ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি’- শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সাহস নিয়ে রাজপথে থাকুন: ফখরুল
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কমিটির চেয়ারম্যান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
এসময় ফখরুল বলেন, আমরা এ দেশের সব রাজনৈতিক দল এক দফা দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। কারণ আমরা এই সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে একটি অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন চাই।
বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের উপর দমন-পীড়নের জন্য সরকারের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, জাতি এখন সবচেয়ে সংকটময় সময় পার করছে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের জন্য সারাজীবন সংগ্রাম করা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ক্ষমতাসীন দলের চরম প্রতিহিংসার কারণে সুচিকিৎসার অভাবে এখন গুরুতর অসুস্থ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের তিন সাবেক সংসদ সদস্যসহ প্রায় ৭০০ জনকে গুম করা হয়েছে। আমাদের ৪৫ লাখ মানুষকে মিথ্যা মামলার মুখোমুখি করা হয়েছে। আমাদের অনেককে নির্বাচনের আগে সাজা দেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে।’
তিনি বলেন, সরকার দেশে এমন একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে যেখানে একমাত্র আওয়ামী লীগই নির্বাচনে অংশ নিতে পারে এবং বিরোধী দলগুলোকে ভোটদান থেকে দূরে রেখে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে।
আরও পড়ুন: বর্তমান সংসদ অধিবেশনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান চালু করতে আ. লীগের প্রতি ফখরুলের আহ্বান
বিএনপির একমাত্র পরিকল্পনা ২৮ অক্টোবর শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, রাজপথ দখল নয়: ফখরুল
বর্তমান সংসদ অধিবেশনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান চালু করতে আ. লীগের প্রতি ফখরুলের আহ্বান
রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে সংসদের চলতি অধিবেশনে ‘নির্বাচনকালীন নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের’ বিধান সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে আওয়ামী লীগকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আজ (রবিবার) সংসদ অধিবেশন শুরু হতে যাচ্ছে। তারা (আ.লীগ) এই সংসদকে ব্যবহার করে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের বিধান আনতে পারে এবং এই সংসদে পাস করে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। সুতরাং, তারা এই সংবিধানের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে পারে যা আমরা করেছি (১৯৯৬ সালে)।’
রবিবার (২২ অক্টোবর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে বিশৃঙ্খলা এড়াতে সরকারকে এ পদক্ষেপ নিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের প্রতি আহ্বান জানাই এই সংসদ অধিবেশনে সংবিধানে এই ব্যবস্থা (নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার) চালু করার জন্য। যদি তাদের মধ্যে দেশপ্রেম, দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা এবং গণতন্ত্রের প্রতি ন্যূনতম সম্মান থাকে তাহলে এই সংসদের পথ প্রশস্ত করার জন্য এবং একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করার।’
অন্যথায় দেশে ইতোমধ্যে যে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়েছে তার জন্য সম্পূর্ণভাবে সরকার দায়ী থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দেন ফখরুল।
তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সরকার চায় না বিরোধী দল নির্বাচনে আসুক এবং দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হোক।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য গণতন্ত্রের আড়ালে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
তিনি বলেন, ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে ক্ষমতাসীন দল দেশে আবারও একতরফা নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু তা বাস্তবায়নে বিরোধী দল বিএনপিই সবচেয়ে বড় বাধা।
ভোটের সময় বিরোধী দল যাতে প্রার্থী পূরণ করতে না পারে সেজন্য সরকার বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে তাদের দোষী সাব্যস্ত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘এটাই তাদের মূল লক্ষ্য। তারা (সরকার) নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর মানে তারা ব্যবস্থা করছে যাতে বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে।’
বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর দমন-পীড়নের জন্য সরকারের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, রাজধানীতে বিএনপির ২৮ অক্টোবরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ১২ হাজার ৩৭০ বিরোধী দলের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ৪৭টি ‘ভুয়া’ মামলা করা হয়েছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আপনারা কল্পনা করতে পারেন আমরা কোন রাষ্ট্রে এবং কোন সমাজে বাস করি? এসব মামলায় ৫৬০ জনেরও বেশি লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
ঢাকায় বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বিচার বিভাগে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছেন বলে অভিযোগ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে সব মামলায় সাক্ষী আনতে হবে এবং সব মামলায় আসামির সাজা নিশ্চিত করতে হবে। ‘তার (প্রধানমন্ত্রীর) বক্তব্য পুরোপুরি প্রমাণ করেছে যে আওয়ামী লীগের অবৈধ সরকার বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করছে এবং আদেশ জারি করছে।’
বিএনপির একমাত্র পরিকল্পনা ২৮ অক্টোবর শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, রাজপথ দখল নয়: ফখরুল
ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বক্তব্য ও সব জল্পনা-কল্পনা উড়িয়ে দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় শান্তিপূর্ণভাবে মহাসমাবেশ করার পরিকল্পনা রয়েছে, রাজপথ দখলের নয়।
তিনি বলেন, ‘এটা (রাস্তায় বসে) সম্পূর্ণ অসত্য ও অপপ্রচার। আমরা আমাদের নেতা-কর্মীদের ঢাকায় এসে রাস্তায় বসতে বলিনি। বরং আমরা তাদের বলেছি, ২৮ অক্টোবরের কর্মসূচি শেষে সবাই নিজ নিজ জায়গায় ফিরে যাবেন এবং পরবর্তী কর্মসূচির জন্য অপেক্ষা করবেন।’
আরও পড়ুন: নিরাপদ প্রস্থান চান নাকি ক্ষমতাচ্যুতি চান, সিদ্ধান্ত নিন: ফখরুল
রবিবার (২২ অক্টোবর) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তাদের নেতা-কর্মীদের ঢাকায় অবস্থান করতে হবে এমন কোনো কর্মসূচি তাদের দল ঘোষণা করবে না।
তিনি বলেন, ‘২৮ অক্টোবর আমাদের সমাবেশ সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে। আমরা আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি যে, আমাদের মহাসমাবেশ খুব শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হবে। আমরা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।’
সমাবেশকে কেন্দ্র করে অযথা কোথাও কোনো বাধা সৃষ্টি না করতে এবং বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে না নিতে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান ফখরুল।
তিনি বলেন, তারা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে (ডিএমপি) জানিয়েছেন যে তারা নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে চান এবং কর্মসূচির জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন পুলিশ কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।
বিএনপি নেতা আশা প্রকাশ করেন, সারাদেশ থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা নির্বিঘ্নে সমাবেশে এসে তাদের দাবির পক্ষে সোচ্চার হতে পারবেন।
অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কোনো বাধা সৃষ্টি না করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সেটা করলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া হবে বলে বিবেচিত হবে। তাই আমরা বিশ্বাস করি আপনি এটি মাথায় রাখবেন এবং আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করবেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের দল শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ ও ‘ভুতুড়ে’ মামলা অব্যাহত রেখেছে।
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশের আগে ও পরে কিছুই হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ ও ‘কাল্পনিক’ মামলা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে মর্মান্তিক বিষয় হলো- আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা কোনো কিছু ঘটলে কঠোর হাতে মোকাবিলার হুমকি দিচ্ছেন। যদি তাই হয় তাহলে যারা বেআইনিভাবে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে।
ফখরুল বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ক্ষমতাসীন দলের বেআইনি কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে বিরোধী দলকে নির্মূল করতে সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সাহস নিয়ে রাজপথে থাকুন: ফখরুল
সহজ জয়ের জন্য বিএনপিকে নির্বাচনে বাধা দিচ্ছে আ. লীগ: ফখরুল
নাটোরে মৎস্যজীবী দলের নেতাকে অপহরণের পর ছুরিকাঘাত
নাটোর সদরে বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের এক নেতাকে অপহরণের পর কুপিয়ে জখম করে রাজশাহীর পুঠিয়ায় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার মির্জাপুর বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু জানান, আবু রায়হান (৪০) ওই উপজেলার মৎস্যজীবী দলের সভাপতি।
আরও পড়ুন: নাটোরের সিংড়ায় অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
তিনি জানান, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আবু রায়হান তার নিজ গ্রাম সদর উপজেলার মির্জাপুর বাজারে বসে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় একটি মাইক্রোবাসে এসে দুবৃর্ত্তরা তাকে অস্ত্রের মুখে জোর করে গাড়িতে তুলে নেয়।
জানা গেছে, স্থানীয় লোকজন বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে দুবৃর্ত্তরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে আবু রায়হানকে অপহরণ করে নিয়ে চলে যায়। পরে রাজশাহীর পুঠিয়া এলাকায় কুপিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকে ভর্তি করে। খবর পেয়ে দলীয় লোকজন তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ বলেন, আমরা বিষয়টি শুনেছি এবং খোঁজখবর নিচ্ছি।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার লাশ উদ্ধার