বিএনপি
যশোরে বিএনপির ৬২ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা
যশোরে বিএনপির ৬২ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দু’টি নাশকতার মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার(১১ অক্টোবর) রাতে এই মামলা করেন পুলিশ।
বিএনপির ৩৪ জনের বিরুদ্ধে বেনাপোল বন্দর থানায় এবং বাকি ২৮ জনের বিরুদ্ধে শার্শা থানায় মামলা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, একই রাতে বেনাপোল থেকে বিএনপির ৭ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার এবং পাঁচটি পেট্রোল বোমা ও ছয়টি ককটেল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন, শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাসান জহির, যুবদলের সভাপতি মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম, বেনাপোল পৌরসভা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের ভরত ও সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান আক্তার।
আরও পড়ুন: সরকার দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে: ফখরুল
শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাসান জহির বলেন, ‘ঘটনার দিন রাতে আমি যশোরে ছিলাম। আমাদের বিরুদ্ধে সাজানো মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।’
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূঁইয়া জানান, উপজেলার পোড়াবাড়ী গ্রামের একটি আম বাগান থেকে বিএনপির সাত নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অভিযানকালে তাদের কাছ থেকে পাঁচটি পেট্রোল বোমা ও ছয়টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সুইস রাষ্ট্রদূত রেতো রেংগলির সঙ্গে বিএনপি প্রতিনিধি দলের বৈঠক
সুইস রাষ্ট্রদূত রেতো রেংগলির সঙ্গে বিএনপি প্রতিনিধি দলের বৈঠক
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো রেংগলির সঙ্গে তার বারিধারার বাসভবনে বৈঠক করেছেন।
আরও পড়ুন: সরকার দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে: ফখরুল
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে শুরু হওয়া বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিদল বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় ইস্যু এবং বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করে।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ ও নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার জীবন বাঁচাতে বাধা অপসারণ করুন: সরকারের প্রতি বিএনপির নীতিনির্ধারকদের আহ্বান
সরকার দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে: ফখরুল
সরকার আরেকটি একতরফা নির্বাচনের জন্য দেশকে সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুদবার বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সরকার বিএনপির সক্রিয় নেতাদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে রেখে এবং তাদের বিরুদ্ধে 'মিথ্যা' মামলা দিয়ে একতরফা নির্বাচনের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো ভোটারবিহীন আরেকটি একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সরকার দেশকে সম্পূর্ণ সংঘাতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দেশের জনগণ সরকারকে আর একতরফা নির্বাচন করতে দেবে না।
তিনি বলেন, 'আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এই সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে এবং এই সংসদ ভেঙে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আতঙ্কিত প্রধানমন্ত্রী : ফখরুল
বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের দল এখন নির্বাচন নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নয়, কারণ তাদের মূল লক্ষ্য আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন নিশ্চিত করা।
তিনি আরও বলেন, সরকারের অধীনস্থ কয়েকটি দল ছাড়া প্রায় সব রাজনৈতিক দলই ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয় না।
তিনি বলেন, 'এভাবে নির্বাচন করার কোনো মানে হয় না। সারা বিশ্ব বলছে, আপনাদের শেষ দুটি নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য ছিল না। সুতরাং, এই ধরনের নির্বাচনের কী লাভ? সুতরাং জোর করে অগ্রহণযোগ্য নির্বাচন করে তারা কী লাভ করবে?’
তিনি বলেন, সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে আগামী দিনগুলোতে তাদের আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে।
সফররত যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ আইআরআই ও এনডিআই'র প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশনের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ আছে কি না তা খতিয়ে দেখতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে এসেছিল।
তিনি বলেন, তারা মার্কিন দলকে বলেছেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া বাংলাদেশে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।
বিএনপি রাজনৈতিক সংলাপের পথ বন্ধ করে দিয়েছে বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যে মন্তব্য করেছেন, তা প্রত্যাখ্যান করে ফখরুল বলেন, 'এটা বাজে কথা ও বড় মিথ্যে।'
তিনি বলেন, তাদের দল দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে, সরকার নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের বিষয়ে আলোচনা করতে চাইলে তারা সংলাপে বসতে পারে। তিনি বলেন, 'সরকারকে প্রথমে ঘোষণা করতে হবে যে তারা এটি (নিরপেক্ষ সরকারের দাবি) মেনে নেবে।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে আজ (১১ অক্টোবর) সকালে ধানমন্ডির বাসা থেকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
তিনি বলেন, রাতের অন্ধকারে এ্যানির বাড়ির দরজা ভেঙে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ডাকাতের মতো আচরণ করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, 'যেভাবে তাকে (অ্যানি) গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা প্রমাণ করে যে, বিএনপির সক্রিয় নেতাদের গ্রেপ্তার করে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে এই সরকার একতরফা নির্বাচনের পথে রয়েছে।’
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই সরকার বিএনপির অনেক নেতাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, 'বিরোধী দলীয় নেতাদের কারারুদ্ধ করা ও গ্রেপ্তার করা স্বৈরাচারী শাসকদের পুরোনো অভ্যাস।’
আরও পড়ুন: সাংবাদিকতা এখন সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পেশা: ফখরুল
খালেদা জিয়ার জীবন ঝুঁকির মুখে পড়লে সরকারকে ভয়াবহ পরিণামের হুঁশিয়ারি ফখরুলের
খালেদা জিয়ার জীবন বাঁচাতে বাধা অপসারণ করুন: সরকারের প্রতি বিএনপির নীতিনির্ধারকদের আহ্বান
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সব বাধা অপসারণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দলটির স্থায়ী কমিটি।
বুধবার সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, এটা এখন স্পষ্ট, সরকার তার প্রধান প্রতিপক্ষ খালেদা জিয়াকে বিদেশে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে জাতীয় নির্বাচনের আগে তাকে হত্যা করতে চায়।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসা নিয়ে চিকিৎসকদের বক্তব্যে দেশের মানুষের মতো বিএনপির সর্বস্তরের নেতা-কর্মী, সদস্য ও সমর্থকরা উদ্বিগ্ন।
ফখরুল বলেন, ‘আমাদের দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটি আমাদের নেত্রীর (খালেদা জিয়া) জীবন বাঁচাতে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব এরকম যেকোনো দেশে পাঠাতে সরকারের কাছে জোরালো দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে বিদেশে যাওয়ার পথে আরোপিত অমানবিক প্রতিবন্ধকতা অবিলম্বে অপসারণের আহ্বানও জানিয়েছে স্থায়ী কমিটি।’
আরও পড়ুন: আবারও সিসিইউতে খালেদা জিয়া
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের শর্ত, তার বয়স ও অসুস্থতা এবং বিদ্যমান আইনের অযৌক্তিক ও ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে অশালীন, নিষ্ঠুর ও অমানবিক বক্তব্য দিয়ে তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার 'অসুস্থ' প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী স্থায়ী কমিটি।
সোমবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের ফলাফল জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ফখরুল বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটি দৃঢ়ভাবে মনে করে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়াকে যেভাবে ক্যান্টনমেন্টের বাসভবন থেকে অন্যায়ভাবে উচ্ছেদ করা হয়েছে, ঠিক তেমনি কোনো অপরাধ না করেও নির্ধারিত রায়ের মাধ্যমে তাকে বিনা চিকিৎসায় এবং ইচ্ছাকৃত পরিত্যক্ত কারাগারে পাঠিয়ে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে নদীতে ফেলে দেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য এবং প্রায় ৮০ বছর বয়সী মৃতপ্রায় ব্যক্তির জন্য কান্নাকাটি করার কোনো মানে নেই বলে তার সাম্প্রতিক মন্তব্য প্রমাণ করেছে যে বর্তমান 'দখলদার' সরকার তাকে জীবিত দেখতে চায় না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘কোনো সভ্য, মানবিক ও সুস্থ সাধারণ নাগরিক, কোনো দেশের সরকার প্রধানের কথাই বলা হোক না কেন, প্রতিপক্ষকে নিয়ে এমন ‘সন্ত্রাসী’ শব্দ উচ্চারণ করতে পারে না। আমাদের নেত্রীর মৃত্যু চায় এমন সরকার অন্যায়ভাবে তার উন্নত চিকিৎসায় বাধা সৃষ্টি করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সরকারের এই মনোভাব ও আচরণ দেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।’
খালেদা জিয়াকে তার প্রাপ্য চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করলে যদি খারাপ কিছু ঘটে তাহলে সরকারকে জনগণের রোষের মুখে পড়তে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘বিদেশে চিকিৎসার পথ সুগম করতে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে একের পর এক কর্মসূচি পালন করছেন তারা। খালেদা জিয়ার (বিদেশে) চিকিৎসা নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, তাতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, তারা (সরকার) তাকে হত্যা করতে চায়। তাকে চিকিৎসার সুযোগ না দেওয়া মানে জাতীয় নির্বাচনের আগে তাকে হত্যা করা।’
তিনি বলেন, সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে আগামী দিনগুলোতে তাদের আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে।
এর আগে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে গঠিত মেডিকেল বোর্ড বাংলাদেশে তার চিকিৎসার কোনো বিকল্প না থাকায় তাকে দ্রুত বিদেশে মাল্টিডিসিপ্লিনারি সেন্টারে পাঠানোর সুপারিশ করেছে।
হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে বোর্ডের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, লিভার সিরোসিসের কারণে পেট ও বুকে পানি জমে যাওয়া, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ এবং সংক্রমণ রোধে যথাযথ চিকিৎসার অভাবে ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
আরও পড়ুন: খালেদাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ক্ষমতা রয়েছে সরকারের: আইন বিশেষজ্ঞরা
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার আবেদন নাকচ আইন মন্ত্রণালয়ের
আ. লীগের সাধারণ সম্পাদককে ‘কেমিক্যাল কাদের’ বলে মন্তব্য বিএনপির রিজভীর
বিরোধী দলের নেতাদের মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে দেওয়া মন্তব্যের জন্য মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ‘কেমিক্যাল কাদের’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র নেতা রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘ইরাকে আলী নামে একজন মন্ত্রী ছিলেন। তিনি বিষাক্ত রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির তদারকি করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই সবাই তাকে কেমিক্যাল আলী বলে ডাকতো। বাংলাদেশেও একজন কেমিক্যাল কাদের (আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক) আবির্ভূত হয়েছে।’
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বিরোধী বিএনপি নেতাদের মাথায় ধ্বংসাত্মক ইউরেনিয়াম ঢেলে দেওয়ার হুমকি দিয়ে, তাদের দল কতটা নিষ্ঠুর তা প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ইউরেনিয়াম তার বিষাক্ত বিকিরণের মাধ্যমে পুরো বিশ্বকে ধ্বংস করতে পারে। তিনি (কাদের) ওই ইউরেনিয়াম বিএনপি মহাসচিব ও স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মাথায় ঢেলে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।’
সোমবার আওয়ামী লীগের ঢাকা উত্তর মহানগর শাখার এক অনুষ্ঠানে কাদের হুঁশিয়ারি দেন, রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করতে চাইলে বিএনপি নেতাদের মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে দেবেন।
কাদের বলেন, ‘ইতোমধ্যে রাশিয়া থেকে ইউরেনিয়ামের দুটি চালান দেশে এসেছে। আমরা ফখরুল, মঈন খান, গয়েশ্বর, আব্বাস এবং ‘পাগলা’ রিজভীদের মাথায় কিছু ইউরেনিয়াম ঢেলে দেব। যারা বাড়াবাড়ি করবে, আমরা লাঠি দিয়ে পেটানোর বদলে মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে তাদের শান্ত করব।’
রিজভী অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার সরকার এবং তার মন্ত্রীরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বাংলাদেশে বলপূর্বক গুম, হত্যা, গুপ্তহত্যা ও ক্রসফায়ারের মতো ভয়ঙ্কর কর্মকাণ্ডে জড়িত। ‘বিরোধী দলের নেতাদের মাথায় বিষাক্ত রাসায়নিক ইউরেনিয়াম ঢেলে দেওয়ার হুমকি ক্ষমতাসীন দলের নিষ্ঠুর মনোভাবের পরিচায়ক।’
তিনি অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে না দেওয়ায় সরকারের সমালোচনা করেন।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি না দিয়ে সরকার তার চিকিৎসার মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা।
তিনি সর্বস্তরের জনগণকে বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করতে রাজপথে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে জেগে ওঠার আহ্বান জানান।
রিজভী নবনিযুক্ত বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক আলী আসগর হেনাকে সঙ্গে নিয়ে জিয়ার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে: ওবায়দুল কাদেরের 'ইউরেনিয়াম' মন্তব্য প্রসঙ্গে আব্বাস
বিরোধী দলের নেতাদের মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, এটা বিএনপির সিনিয়র নেতাদের হত্যার হুমকি।
তিনি বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের বলেছেন যে লাঠিপেটা না করে মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে আমাদের শান্ত করবেন। আমি তাকে জিজ্ঞেস করতে চাই: ইউরেনিয়াম কী এবং এর ধরন সম্পর্কে আপনার কি কোনো ধারণা আছে। এটা একজন পাগলের প্রলাপ।’
এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা বলেন, ইউরেনিয়াম কারো গায়ে ঢাললে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মানুষ মারা যেতে পারে।
তিনি বলেন, ‘তাহলে আপনি (বিএনপি নেতাদের) হত্যার হুমকি দিচ্ছেন না? আপনি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে আপনি আমাদের স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্যকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন।’
এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল (জেসিডি) কর্মী নাজির উদ্দিন আহমেদ জেহাদের স্মরণে জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জিহাদ স্মৃতি পরিষদ।
এর আগে সোমবার আওয়ামী লীগের ঢাকা উত্তর মহানগর শাখার এক কর্মসূচিতে ওবায়দুল কাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের চেষ্টা করলে বিএনপি নেতাদের মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে দেবেন।
কাদের বলেন, ‘ইওতামধ্যে রাশিয়া থেকে ইউরেনিয়ামের দুটি চালান দেশে এসেছে। আমরা ফখরুল, মঈন খান, গয়েশ্বর, আব্বাস ও পাগলা রিজভীর মাথায় কিছু ইউরেনিয়াম ঢেলে দেব। যারা বাড়াবাড়ি করবে, আমরা লাঠি দিয়ে পেটানোর বদলে মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে তাদের শান্ত করব।’
আব্বাস স্মরণ করেন যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতু থেকে নদীতে ফেলে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা তা (খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতু থেকে নদীতে ফেলে দেওয়ার হুমকি) ভুলিনি। আপনারা এখন ইউরেনিয়াম হুমকি জারি করেছেন… আপনারা কি শুরু করেছেন? রাজনীতি করুন এবং রাজনৈতিক ভাষায় কথা বলুন এবং রাজনৈতিক শিষ্টাচারের সঙ্গে কথা বলতে শিখুন।’
আব্বাস হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তারা এই ধরনের ঘৃণ্য মন্তব্যের জন্য ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে।
তিনি বলেন, আমরা এবার আর তাদের (আ.লীগ নেতাদের) রেহাই দেবো না।
তিনি দাবি করেন, বিএনপি ভদ্র মানুষের দল, আর আওয়ামী লীগ অসভ্য মানুষের দল। আমরাও (বিএনপি নেতারা) গালিগালাজ করতে জানি, কিন্তু বিএনপি ভদ্রলোকদের দল বলে আমরা তা করি না।
এসময় আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের নতুন শক্তি ও সাহস নিয়ে রাজপথে নামতে আহ্বান জানান তিনি।
খালেদা জিয়ার জীবন ঝুঁকির মুখে পড়লে সরকারকে ভয়াবহ পরিণামের হুঁশিয়ারি ফখরুলের
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাদের দলের অসুস্থ চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জীবন বিদেশে যথাযথ চিকিৎসার অভাবে ঝুঁকির মুখে পড়লে সরকারকে ভয়াবহ পরিণামের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
ফখরুল বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জীবনের কোনো হুমকি থাকলে এ দেশের জনগণ এই ঘৃণ্য লুটেরা সরকারকে কখনো ক্ষমা করবে না।
সোমবার (৯ অক্টোবর) এক সমাবেশে বক্তৃতায় এই বিএনপি নেতা বলেন, জনগণ এতটা বোকা নয় যে তারা বুঝতে পারবে না যে সরকার তার প্রধান প্রতিপক্ষ খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরাতে এবং ক্ষমতা নিশ্চিত করতে কারাগারে পাঠিয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, কারাগারে থাকা অবস্থায় তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে বসবাসের অযোগ্য কক্ষে আটকে রেখে সরকার তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে।
দলের দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার দাবিতে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে।
খালেদাকে বিদেশে যেতে দিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকাসহ সারাদেশে টোকেন অনশন কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
আগের দিন, খালেদার চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড তাকে অবিলম্বে বিদেশে একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি সেন্টারে পাঠানোর সুপারিশ করেছিল। কারণ বাংলাদেশে এখন তার জন্য কোনো চিকিৎসার বিকল্প নেই।
বোর্ড আরও বলেছে, ৭৮ বছর বয়সী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কারণ তার পেট ও বুকে পানি বৃদ্ধি, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ এবং তার লিভার সিরোসিস সমস্যার কারণে সংক্রমণ বন্ধ করার জন্য যথাযথ চিকিৎসার ব্যভস্থা নেই।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের অধীনে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়: মার্কিন প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলকে বিএনপি
ফখরুল বলেন, মেডিকেল বোর্ড যখন খালেদাকে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বলে জানায়, তখন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে সরকার বলছে, তাকে বিদেশে পাঠানোর সুযোগ নেই।
বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ এখন একটি ফ্যাসিবাদী সংগঠনে পরিণত হয়েছে, যারা দমন-পীড়নে লিপ্ত আমলা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করে এবং কিছু ব্যবসায়ী যারা লুণ্ঠনে লিপ্ত।
তিনি বলেন, মিথ্যা অভিযোগে খালেদাকে দোষী সাব্যস্ত করে আওয়ামী লীগ সন্তুষ্ট নয়, কারণ তারা এখন রাজপথে আন্দোলনকারী বিএনপি নেতাদের জেলে ও গ্রেপ্তার করছে।
প্রায় আট বছর আগে ঢাকায় দায়ের করা ‘মিথ্যা’ নাশকতার মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. শাহজাহান এবং চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবসহ ১৫ জন নেতা-কর্মীকে সাজা দিয়ে নিম্ন আদালতের রায়ের তীব্র প্রতিবাদ করেন ফখরুল।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের জেলে ও দমন-পীড়ন করে প্রতিহত করা সম্ভব হবে না।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘তারা ভেবেছিল আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখার পর বিএনপি আর থাকবে না। তবে বিএনপি আরও শক্তিশালী হয়েছে এবং আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন নিশ্চিত করতে জেগে উঠেছে।’
তিনি অভিযোগ করেন, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতি থেকে সরানোর জন্য সরকার ইতোমধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ঢাকা উত্তর মহানগর দলের আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমানসহ বিএনপির অনেক নেতাকে সাজা দিয়েছে।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে না সরিয়ে থামব না এবং আমরা অবশ্যই এই সরকারকে পরাজিত করব।’
তিনি বলেন, ডলারের সংকটের মধ্যে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির কারণে সরকার গুরুতর অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
ফখরুল বলেন, ‘মজুদ যেভাবে কমছে, কয়েকদিন পর পণ্য আমদানির আর টাকা থাকবে না… সরকার এখনও বুঝতে পারছে না কী পরিণতি অপেক্ষা করছে। ইতিহাস ভুলে যাবেন না। এভাবে কেউ দেশ চালাতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: আমাদের সর্বোচ্চটা করেছি, প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা পাচ্ছেন না খালেদা জিয়া: মেডিকেল বোর্ড
সরকারের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছেন সিইসি: খসরু
মঙ্গলবার ‘শহীদ জেহাদ দিবস’ পালন করবে বিএনপি
নাজির উদ্দিন আহমেদ জেহাদের ৩৩তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) ‘শহীদ জেহাদ দিবস’ পালন করবে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।
এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় ১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকর্মী জেহাদকে ঢাকায় গুলি করে হত্যা করা হয়।
দিবসটি পালনে সকালে দৈনিক বাংলা মোড়ে জিহাদ স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
নব্বই দশকের একদল ছাত্রনেতা ও শহীদ জেহাদ স্মৃতি পরিষদ দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জেহাদের স্মরণে আলোচনা সভার আয়োজন করবে।
আরও পড়ুন: শুক্রবার আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস
দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
এদিকে, দিবসটি উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জিহাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
৩০ বছর আগের এই দিনে এইচ এম এরশাদের স্বৈরাচারী শাসনের অবসানের আহ্বান জানিয়ে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন সাত দলীয় জোট আয়োজিত রাজধানীর পল্টনে মহাসমাবেশে যোগ দেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সরকারি আকবর আলী কলেজ শাখার তৎকালীন সভাপতি জেহাদসহ উল্লাপাড়ার ৬০ জন শিক্ষার্থী।
বিকাল ৪টার দিকে পুলিশ সমাবেশে লাঠিচার্জ ও গুলি ছোঁড়ে। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান জেহাদ।
আরও পড়ুন: সোমবার বিশ্ব শিশু দিবস
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
বর্তমান সরকারের অধীনে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়: মার্কিন প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলকে বিএনপি
বাংলাদেশে সফররত যুক্তরাষ্ট্রের আইআরআই ও এনডিআই'র প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলকে বিএনপি বলেছে,বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয় কারণ তারা ভোট কারচুপিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে।
সোমবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশানের কার্যালয়ে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি এমন বিষয় তুলে ধরেছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘আমরা স্বাভাবিকভাবেই তাদের (মার্কিন দল) বলেছি যে শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, বিগত দুটি জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আতঙ্কিত প্রধানমন্ত্রী : ফখরুল
বিএনপি নেতা বলেন, তারা মার্কিন দলকেও বলেছেন যে গত দুই নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি।
খসরু বলেন, ‘পরিস্থিতি এখন বদলায়নি বরং খারাপ হয়েছে। এমনকি ভোট চুরি ও বিরোধীদের নির্যাতনের ষড়যন্ত্র আরও বেড়েছে। তারা (সরকার) ভোট চুরির পরিকল্পনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে।’
তিনি বলেন, সরকার বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সরকারি কর্মকর্তা, লুটপাটের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদদের নিয়ে ভোট কারচুপির পরিকল্পনা তৈরি করেছে।‘তারা এখন বাংলাদেশের জনগণের ভোট চুরি করতে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে একসঙ্গে কাজ করছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি নেতা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল নির্বাচন নিয়ে কিছু বলেননি, কারণ তারা নির্বাচনের সম্পৃক্ত সকলের মতামত ও পর্যবেক্ষণ জানতে বাংলাদেশে এসেছেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশন তাদের কাছ থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কিত সব দিক জানতে চেয়েছেন।
খসরু বলেন, তারা মার্কিন প্রতিনিধিদলকে বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে এবং সংসদ ভেঙে দিয়ে একটি নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের বৈঠক সোমবার
তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন না হলে বাংলাদেশের জনগণ যে তাদের ভোট দিতে পারবে না এতে কোনো সন্দেহ নেই।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ছয় সদস্যের যৌথ আইআরআই এবং এনডিআই প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশন সকাল ১০টা ২০ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে সাত সদস্যের বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি দলের নেতৃত্ব দেন এবং বাংলাদেশে চলতি বছরের শেষ বা আগামী বছরের জানুয়ারির শুরুতে অনুষ্ঠিতব্য পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন সম্পর্কে দলের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন।
ফখরুল ছাড়াও বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইসমাইল জবিউল্লাহ, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ উপস্থিত ছিলেন।
আন্তর্জাতিক রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশন (পিইএএম) নির্বাচনের প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ এবং একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ মূল্যায়ন করতে শনিবার বাংলাদেশে এসেছে।
প্রতিনিধি দলটি ৮ থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের নেতা, নির্বাচন কর্তৃপক্ষ, সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন নির্বাচনী স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: আমাদের সর্বোচ্চটা করেছি, প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা পাচ্ছেন না খালেদা জিয়া: মেডিকেল বোর্ড
প্রতিনিধি দলের যৌথভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দক্ষিণ এশীয় বিষয়ক সাবেক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল এফ ইন্ডারফার্থ এবং ইউএসএআইডির সাবেক ডেপুটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বনি গ্লিক। এর মধ্যে মালয়েশিয়ার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের সাবেক সদস্য মারিয়া চিন আবদুল্লাহ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির প্রাক্তন সহযোগী পরামর্শদাতা জামিল জাফর; এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এনডিআই আঞ্চলিক পরিচালক মনপ্রীত সিং আনন্দ এবং এশিয়া-প্যাসিফিক বিভাগের আইআরআই সিনিয়র ডিরেক্টর জোহানা কাও।
প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী এবং জাতিসংঘে ২০০৫ সালে সই হওয়া আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণের নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তার মূল্যায়ন পরিচালনা করবে।
কার্যক্রম শেষে প্রতিনিধিদল তাদের মূল অনুসন্ধান, নির্বাচন-পূর্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ এবং নির্বাচনের প্রতি নাগরিকদের আস্থা বৃদ্ধির জন্য ব্যবহারিক সুপারিশের একটি বিবৃতি প্রকাশ করবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির সঙ্গে বসেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন মনিটরিং টিম
বিএনপির সঙ্গে বসেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন মনিটরিং টিম
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে করেছে যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ আইআরআই ও এনডিআই প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশন।
সোমবার (৯ অক্টোবর) সকালে ১০টা ২০ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।
বাংলাদেশে চলতি বছরের শেষ বা আগামী জানুয়ারির শুরুতে অনুষ্ঠিতব্য পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন সম্পর্কে দলের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরতে বৈঠকে অংশ নেয় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
আন্তর্জাতিক রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশন (পিইএএম) নির্বাচনের প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ এবং একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ মূল্যায়ন করতে শনিবার ঢাকায় পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আতঙ্কিত প্রধানমন্ত্রী : ফখরুল
প্রতিনিধি দলটি ৮ থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের নেতা, নির্বাচন কর্তৃপক্ষ, সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন নির্বাচনী স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
প্রতিনিধি দলের যৌথভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দক্ষিণ এশীয় বিষয়ক সাবেক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল এফ ইন্ডারফার্থ এবং ইউএসএআইডির সাবেক ডেপুটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বনি গ্লিক। এর মধ্যে মালয়েশিয়ার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের সাবেক সদস্য মারিয়া চিন আবদুল্লাহ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির প্রাক্তন সহযোগী পরামর্শদাতা জামিল জাফর; এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এনডিআই আঞ্চলিক পরিচালক মনপ্রীত সিং আনন্দ; এবং এশিয়া-প্যাসিফিক বিভাগের আইআরআই সিনিয়র ডিরেক্টর জোহানা কাও।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছে প্রতিনিধিদলটি।
আরও পড়ুন: বিএনপির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের বৈঠক সোমবার
বিএনপির সঙ্গে বৈঠক শেষে বনানীতে একটি হোটেলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও তাদের বৈঠক করার কথা রয়েছে।
প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী এবং জাতিসংঘে ২০০৫ সালে সই হওয়া আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণের নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তার মূল্যায়ন পরিচালনা করবে।
কার্যক্রম শেষে প্রতিনিধিদল তাদের মূল অনুসন্ধান, নির্বাচন-পূর্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ এবং নির্বাচনের প্রতি নাগরিকদের আস্থা বৃদ্ধির জন্য ব্যবহারিক সুপারিশের একটি বিবৃতি প্রকাশ করবে।
এনডিআই এবং আইআরআই হলো একটি অরাজনৈতিক বেসরকারি সংস্থা, যা বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং অনুশীলনগুলোকে সমর্থন এবং শক্তিশালী করে।
ইনস্টিটিউটগুলো সম্মিলিতভাবে গত ৩০ বছরে ৫০টিরও বেশি দেশে ২০০টিরও বেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে।
আরও পড়ুন: আমাদের সর্বোচ্চটা করেছি, প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা পাচ্ছেন না খালেদা জিয়া: মেডিকেল বোর্ড