বিএনপি
বাংলাদেশকে ‘হীরক রাজার দেশে’ পরিণত করেছে সরকার : আব্বাস
সরকার দেশকে ‘হীরক রাজার দেশে’ পরিণত করেছে এবং হীরক রাজার মতোই পরিণতি হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেন, কারো একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। এটা কোনো রাজা বা রানির রাজ্য নয় এবং 'হীরক রাজার দেশ'-এ পরিণত হবে না।’
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঝিনাইদহ বাস টার্মিনালে দলের রোডমার্চ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন।
বিএনপির রোডমার্চ সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে ঝিনাইদহ শহর থেকে শুরু হয়ে যশোর ও মাগুরা হয়ে খুলনায় গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
তিনি সরকার পতনের জন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে: ফখরুল
আব্বাস আরও বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সরকার মানি লন্ডারিং করে দেশকে দেউলিয়া করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, ‘আমরা সেটি বললেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠায়। স্বাধীন দেশে এসব সহ্য করা হবে না।’
গতকাল অনুমতি না পেয়ে আমিনবাজারের সমাবেশ স্থগিত করেছে বিএনপি।
আরও পড়ুন: আমিনবাজারের সমাবেশ স্থগিত করেছে বিএনপি
তিনি আরও বলেন, একসময় বাংলাদেশের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২১ হাজার কোটি টাকা আর এখন তা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা। ‘জনগণ জানতে চায় এই টাকা কোথায় গেল?’
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সরকারের পদত্যাগের দাবিতে চলমান এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে রোডমার্চসহ ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ১৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার কর্মসূচি দুই দিন বাড়িয়ে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত করে দলটি।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান রিজভীর
খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান রিজভীর
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে অথবা সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘তিনি একজন নারী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী। দেরি না করে তাকে বাঁচানোর জন্য এখনই পদক্ষেপ নিন। অন্যথায় সরকারকেই এর দায় নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী
সোমবার বিকালে দলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলামের সঙ্গে বিএনপি নেতা রিজভী এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে গিয়ে এ কথা বলেন।
হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে রিজভী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। ডাক্তাররা তাকে বিদেশে নিয়ে যেতে বলছেন, কারণ এখানে তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করার পর তারা বুঝতে পেরেছেন যে তার উন্নত চিকিৎসা দরকার।’
এ সময় খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন রিজভী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, গত কয়েকদিন ধরে তার অবস্থা খুবই খারাপ। তাকে ডাক্তারের বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ থেকে বার্তা না পেলে কঠোর কর্মসূচি: রিজভী
সালাহউদ্দিন আহমেদকে বিনা চিকিৎসায় কারাগারে বন্দি রেখেছে: রিজভী
মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে: ফখরুল
মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
একটি আঞ্চলিক দৈনিকের একটি অংশের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সচিবালয়ে আলোচনা হচ্ছে, যারা সরকারের অবৈধ কাজে সহায়তা করেছে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। প্রসাশন উৎকণ্ঠা রয়েছে। বোঝা যাচ্ছে এ সরকারের পতন ঘণ্টা বেজে গেছে।’
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর ধোলাইখালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে উল্লেখ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, চিকিৎসকরা তাকে জরুরি ভিত্তিতে বিদেশে নিয়ে যেতে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘তাই অবিলম্বে নেত্রীকে মুক্তি দিন, অন্যথায় সব দায়-দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শুধু মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নয়, এদেশের মানুষ এখন নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে এই সরকারকে। এদেশের মানুষ পরিষ্কার ভাষায় একবাক্যে বলছে, এখন অনেক হয়েছে, অনেক অত্যাচার, নির্যাতন করেছে, নেতাদের কারাগারে আটক করেছে, আমরা আর সেটা হতে দেব না। এজন্য আমরা আন্দোলন করছি।’
তিনি বলেন, ‘এখনও সময় আছে, এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কথা ভেবে নিয়ে আপনারা পদত্যাগ করুন, সংসদ বিলুপ্ত করুন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন দিয়ে এই রাজনৈতিক সংকট দূর করুন। অন্যথায় সব দায়-দায়িত্ব আপনাদেরই নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খালেদাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা নিন: ফখরুল
তিনি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘এ সরকার সহজভাবে কথা শুনবে না, তরঙ্গের ওপর তরঙ্গ সৃষ্টি করে আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের ধাক্কা দিয়ে সরাতে হবে। তাই আন্দোলনের তরঙ্গ সৃষ্টি করতে হবে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কাজ না হলে কঠোর আন্দোলনে যেতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। আপনারা যতই চেষ্টা করেন এই দেশের মানুষকে আর ঘরে ফেরাতে পারবেন না। ’
এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, স্বাবলম্বীবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।
এর আগে, সোমবার বেলা ১১টা থেকে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী স্লোগানে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন।
ধোলাইখাল মোড়ে সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও তা রায় সাহেব বাজার, টিপু সুলতান রোড, লক্ষ্মীবাজার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম।
আরও পড়ুন: ‘মেগা দুর্নীতির’ মাধ্যমে কিছু মানুষ ধনী হয়েছেন: বিএনপি নেতা নজরুল
চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে বিদেশে পাঠান: ফখরুল
আমিনবাজারের সমাবেশ স্থগিত করেছে বিএনপি
সমাবেশের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি না পাওয়ায় ঢাকার আমিনবাজারে অনুষ্ঠিতব্য আজকের সমাবেশ স্থগিত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে বলেন, প্রশাসন আমাদের অনুমতি না দেওয়ায় আমরা আমিন বাজারে আজকের সমাবেশ স্থগিত করেছি।
সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিএনপির চলমান এক দফা আন্দোলনের অংশ ছিল এই সমাবেশ।
ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীর বরাত দিয়ে শায়রুল অভিযোগ করেন, রবিবার মধ্যরাতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা অনুষ্ঠানস্থলে নির্মিত মঞ্চ ভাঙচুর করেছে।
বিএনপির সিনিয়র নেতা ও সমাবেশের প্রধান অতিথি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বিষয়টি নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ‘মেগা দুর্নীতির’ মাধ্যমে কিছু মানুষ ধনী হয়েছেন: বিএনপি নেতা নজরুল
আজ বিকাল ৩টায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈঠকের পর সমাবেশের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে বিকাল ৩টায় পুরান ঢাকার ধোলাইখাল এলাকায় সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সরকারের পদত্যাগের দাবিতে চলমান এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে রোডমার্চসহ ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ১৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার কর্মসূচি দুই দিন বাড়িয়ে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খালেদাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা নিন: ফখরুল
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খালেদাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা নিন: ফখরুল
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অন্যথায় কিছু হলে সরকার দায়ী থাকবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ফখরুল বলেন, ‘আমি তাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। তাকে কখনো কাঁদতে দেখিনি। তিনি এতটাই পাতলা হয়ে গেছেন যে তিনি ঠিকমতো কথা বলতে পারে না। চিকিৎসক বলেছেন আপনার যদি কিছু করার থাকে তবে করুন, তিনি ভালো নেই।’
রবিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি এবং চিকিৎসার জন্য পাঠানোর দাবিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনের চেষ্টা করবেন না: মির্জা ফখরুল
খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, তার কিছু হলে তা শুধু বিএনপির নয়, জনগণ, গণতন্ত্র ও দেশের জন্যও বড় ক্ষতি হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, এটা দেশের জন্য সম্মানের নয়।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এমন একজন নেত্রী গণতন্ত্রের জন্য, দেশের প্রয়োজনে রাজপথে নেমেছিলেন এবং এরশাদকে হটিয়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন, তাকে পর্যাপ্ত চিকিৎসা ছাড়াই বন্দি করে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ১৭৬ দিনের হরতাল পালন করেছে এবং খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের স্বার্থে সংবিধান পরিবর্তন করে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা চালু করেছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন মির্জা ফখরুল
ফখরুল বলেন, দেশের মানুষ এখন বলছে সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো সম্ভাবনা নেই এবং গণতন্ত্রপন্থী কোনো দলই সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে না। এই অবস্থা চলতে থাকলে দেশের ভবিষ্যৎ ধ্বংস হয়ে যাবে।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান খান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-ভারতের কথায় মাথা ঘামানোর দরকার নেই: মির্জা ফখরুল
২৬ সেপ্টেম্বর রোডমার্চের প্রস্তুতি খুলনা জেলা বিএনপির
সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়াসহ বিভিন্ন দাবিতে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর খুলনা মহানগরীতে রোডমার্চ করবে বিএনপি। এতে ৫ লাখের বেশি মানুষ অংশ নেবে বলে প্রত্যাশা দলটির।
রোডমার্চের জন্য অনুষ্ঠানস্থল নির্ধারণসহ সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। জেলার শীর্ষ থেকে তৃণমূল পর্যায়ের বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
খুলনা মহানগরীর প্রবেশপথগুলোতে দুই শতাধিক তোরণ স্থাপন করা হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয় সম্বলিত বিপুল সংখ্যক পোস্টার ও ব্যানার লাগানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: আন্দোলন করে আবারও ব্যর্থ হয়ে হতাশ হবেন: বিএনপির উদ্দেশে কৃষিমন্ত্রী
এ ছাড়া নগরীর জিয়া হলে অনুষ্ঠেয় রোডমার্চে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সকাল থেকে মাইকিং-এর মাধ্যমে প্রচারণা শুরু হয়েছে। নগর ও জেলার সাধারণ মানুষের মাঝে ১০ লাখেরও বেশি লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। ক্ষমতাসীন সরকারের প্রতি অনাস্থা জানাতে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ জড়ো হবেন বলে আশা করছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা।
খুলনা বিভাগীয় বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মিল্টন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে বলে ‘দেশবাসীকে দুঃশাসন থেকে বাঁচাতে’ তারা এই রোডমার্চ করতে যাচ্ছেন।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শাহিফকুল ইসলাম তুহিন বলেন, বিগত বিভাগীয় ও যুব সমাবেশে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে যে তারা ‘অবৈধ সরকারের’ সঙ্গে নেই।
সাধারণ মানুষের পাশাপাশি নেতা-কর্মীদের মধ্যেও উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রোড মার্চটি ঝিনাইদহ থেকে শুরু হয়ে ২৬ সেপ্টেম্বর খুলনা শহরের জিয়া হলে গিয়ে শেষ হবে।
খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পী বলেন, অধিকার আদায়ের জন্য জনগণ নিজেরাই এই রোডমার্চে যোগ দেবে।
আরও পড়ুন: ‘মেগা দুর্নীতির’ মাধ্যমে কিছু মানুষ ধনী হয়েছেন: বিএনপি নেতা নজরুল
মঙ্গলবার থেকে বিএনপির ১৫ দিনের কর্মসূচিতে রয়েছে ৫ রোড মার্চ
সিসিইউ থেকে কেবিনে ফিরলেন খালেদা জিয়া
ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে কেবিনে ফিরিয়ে আনা হয়।
এর আগে মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর
লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
২০২০ সালে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে গত ৯ আগস্ট গুলশানের বাসা ফিরোজায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে পুরান ঢাকার কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর দুর্নীতির আরেকটি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশ ত্যাগ না করার শর্তে সাময়িকভাবে মুক্তি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি, সিসিইউতে স্থানান্তর
খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে কেবিনে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে
‘মেগা দুর্নীতির’ মাধ্যমে কিছু মানুষ ধনী হয়েছেন: বিএনপি নেতা নজরুল
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, মেগা প্রকল্পের নামে কিছু লোক ‘মেগা দুর্নীতি’ করে ধনী হয়েছেন অথচ সাধারণ মানুষের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের একটাই দাবি, এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বরিশাল বিভাগের বরিশাল থেকে পটুয়াখালী পর্যন্ত দলের রোড মার্চের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এই রোড মার্চে বিভাগের ৬টি জেলা থেকে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির সহযোগী সংগঠনের রংপুর-দিনাজপুর রোডমার্চ শুরু হবে শনিবার দুপুরে
তিনি বলেন, আমাদের নেতা-কর্মীরা ছাড়া কেউ সরকারের অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বললে এমনকি সাংবাদিকরা রেহাই পান না।
তিনি আরও বলেন, তাই সংসদ ভেঙে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করাই আমাদের একমাত্র দাবি।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সরকারের পদত্যাগের দাবিতে চলমান এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ১৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) পর্যন্ত এ কর্মসূচি দুই দিন বাড়ানো হয়।
গত ২১ সেপ্টেম্বর ভৈরব থেকে সিলেট (সিলেট বিভাগ) পর্যন্ত সারাদেশে ৬টি রোড মার্চ শুরু হয়।
খুলনা বিভাগের অধীনে রোডমার্চ ২৬ সেপ্টেম্বর, তারপর ১ অক্টোবর ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ (ময়মনসিংহ বিভাগ) এবং সবশেষে ৩ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম (কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম বিভাগ)।
খুলনা বিভাগীয় রোড মার্চে নেতৃত্ব দেবেন মির্জা আব্বাস ও বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগরীর গাবতলী ও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন- নজরুল ইসলাম খান ও বেগম সেলিমা রহমান (গাবতলী), ড. আবদুল মঈন খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী (ফতুল্লা)।
আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকায় নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বেগম সেলিমা রহমান সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন।
এ ছাড়া- ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় শ্রমিক সম্মেলন, ১ অক্টোবর ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ পর্যন্ত রোড মার্চ, ২ অক্টোবর ঢাকায় কৃষক সমাবেশ এবং ৩ অক্টোবর ফরিদপুর, ফেনী, মিরসরাই ও চট্টগ্রামে রোড মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার থেকে বিএনপির ১৫ দিনের কর্মসূচিতে রয়েছে ৫ রোড মার্চ
খালেদাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে না দিয়ে ‘হত্যার ষড়যন্ত্র’ করছে সরকার: বিএনপি
উন্নত চিকিৎসায় বিদেশে যেতে খালেদা জিয়াকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আবেদনটি অবশ্যই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে। তারপর সে সম্পর্কে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাইতে পারে। তাদের আনুষ্ঠানিক জমা দেওয়ার পরে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতা ও মহানুভবতায় খালেদা জিয়ার সাজা বহাল থাকার পরও এভারকেয়ার হাসপাতালে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন।’
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের স্থগিতাদেশ আরও ৬ মাস বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন জারি করে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে: ব্যক্তিগত চিকিৎসক
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, খালেদা জিয়াকে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে হবে এবং এই সময়ের মধ্যে তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না।
৭৮ বছর বয়সী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
২০২০ সাল থেকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর খালেদা জিয়া- হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর দুর্নীতির আরেকটি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশ ত্যাগ না করার শর্তে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে বিদেশে পাঠান: ফখরুল
চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে বিদেশে পাঠান: ফখরুল
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক উল্লেখ করে উন্নত চিকিৎসার জন্য অবিলম্বে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আজ যখন তিনি (খালেদা জিয়া) জীবনের সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় আছেন, তখন তাকে আটকে রাখা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া শুধু বন্দ নন, দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের এক নম্বর নেত্রীও।
তিনি বরেন, তিনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী এবং দুইবারের বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে দেশের সেবা করেছেন।
আরও পড়ুন: অধিকারের আদিলুর ও নাসিরউদ্দিনের মুক্তি দাবি ফখরুলের
শুক্রবার বিকালে ঢাকার উত্তরায় সরকারের পদত্যাগ, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও এক দফা দাবিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ঢাকা উত্তর শাখা বিএনপি হাজার হাজার নেতা-কর্মীর অংশগ্রহণে আব্দুল্লাহপুর পলওয়াল সুপার মার্কেটসংলগ্ন মাঠে এ সমাবেশের আয়োজন করে।
ফখরুল অভিযোগ করেন, ‘ফ্যাসিস্ট’ সরকার খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, চেয়ারপারসনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে হবে। শিগগিরই তার অবস্থার অবনতি হতে পারে।
তার পরিবার, ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির দাবি সত্ত্বেও সরকার খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানবিক কারণে চিকিৎসার স্বার্থে তাকে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো উচিত।
ফখরুল বলেন, কারাবন্দিদের চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর উদাহরণ রয়েছে। এ ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে শেখ হাসিনাকে চিকিৎসার জন্য আমেরিকায় পাঠানো হয়েছিল।
সমাবেশে দলের কেন্দ্রীয় ও উত্তর শাখার নেতারা বক্তব্য দেন।
এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসনকে তার মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে এভারকেয়ার হাসপাতালের কেবিন থেকে সিসিইউ-তে স্থানান্তর করা হয়।
৭৮ বছর বয়সী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
২০২০ সালে তার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর থেকে বিএনপি চেয়ার হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের পর খালেদাকে পুরান ঢাকা কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন খালেদা।
করোনাভাইরাসপ্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশ ত্যাগ না করার শর্তে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন: সরকার পদত্যাগ না করলে দেশে সংঘাতের আশঙ্কা করছেন ফখরুল
সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রোডমার্চ চলবে: ফখরুল