বিএনপি
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে খালেদা জিয়াকে নিয়ে মিথ্যা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী: ফখরুল
প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে খালেদা জিয়াকে নিয়ে মিথ্যা বলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকালে ‘শ্রমিক-কর্মচারি’ কনভেনশনে ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, ‘শেখ হাসিনা আজ ভয়েস অব আমেরিকার সঙ্গে কথা বলেছেন। সেখানে তিনি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলছেন।’
আরও পড়ুন: আবারও সিসিইউতে খালেদা জিয়া
তিনি দাবি করেন, ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির মামলা নেই। তারা যে দুই কোটি ৩৩ লাখ টাকার কথা বলে, তা এখন 8 কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে... এটা ব্যাংকে আছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে, যাতে তিনি রাজনীতি করতে না পারেন।’
এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার গুরুতর শারীরিক অবস্থার জন্য সরকারকে দায়ী করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকার তাকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় বন্দি রেখে চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ক্ষমতায় থাকার জন্য খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে: ফখরুল
ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার ভয়ঙ্কর দানব, লুটেরা, 'বর্গিদের' মতো সরকার। তারা বিদেশে সম্পদ পাচার করে বাগান তৈরি করছে। আর আমার দেশে মানুষ অসহায় ও ক্ষুধার্ত।’
শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই শ্রমিক শ্রেণী অতীতে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে। আমি বিশ্বাস করি, শ্রমিকরাই এবার অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।’
‘ইনশাআল্লাহ, আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত। আমরা এই সরকারকে পদত্যাগ করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারব।’
মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের সামনের সড়কে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল ও সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদ যৌথভাবে ‘দ্রব্যমূল্য, মজুরি কমিশন, জাতীয় বেতন স্কেল, ন্যূনতম মজুরি, শ্রম পরিস্থিতি এবং ন্যূনতম মজুরি’ এবং সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এ সম্মেলনের আয়োজন করে।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের নেতা আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ।
আরও পড়ুন:দেশে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় 'ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রঐক্য' গঠন
দেশে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় 'ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রঐক্য' গঠন
ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা, ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে, সার্বজনীন শিক্ষা ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে 'ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রঐক্য' নামে একটি নতুন ছাত্র জোট গঠন করা হয়েছে।
এই ব্যানারে শুক্রবার সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক যৌথ ঘোষণার মাধ্যমে ১৫টি ছাত্র সংগঠন এই জোটটি গঠন করে।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের পক্ষে এই জোটের ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনে চুরি করলে রেহাই নেই: আমীর খসরু
তিনি বলেন, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠাসহ ৯ দফার ওপর বৃহত্তর ছাত্র আন্দোলন গড়ে তুলতে 'ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রঐক্য' নামে একটি সক্রিয় ছাত্র জোট গঠনের ঘোষণা দিচ্ছি।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- শিক্ষার মানোন্নয়ন, মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে জাতীয় অনুবাদ সংস্থা গঠন, মেধা ও যোগ্যতার আলোক শিক্ষা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সব জাতিকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি, ছাত্র সংসদ নির্বাচন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সব ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত করা।
এছাড়াও তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে সরকারবিরোধী ৩১ দফা দাবি, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল।
আরও পড়ুন: আবারও সিসিইউতে খালেদা জিয়া
সংগঠনগুলো হলো- জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ছাত্রলীগ (জেএসডি), গণতান্ত্রিক ছাত্রদল (এলডিপি), নাগরিক ছাত্র ঐক্য, জাগপা ছাত্রলীগ, গণফোরাম মন্টু, ভাসানী ছাত্র পরিষদ, জাতীয় ছাত্র সমাজ (কাজী জাফর), জাতীয় ছাত্র সমাজ (বিজেপি-পার্থ), জাগপা ছাত্রলীগ (খন্দকার লুৎফর), ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ, বিপ্লবী ছাত্রসংহতি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
জোট থেকে নির্বাচিত তিন সমন্বয়ক হলেন ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান রিচার্ড ও ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদিব।
ছাত্রদল নেতা জুয়েল জোটের মুখপাত্র এবং সব সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২০
মিরসরাইয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২০
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে এক কিশোর নিহত হয়েছে। এ ছাড়া এ সময় উভয় পক্ষের ২০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার আজমপুর বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়।
নিহত কিশোর জাহিদ হোসেন রুমন (১৬) উপজেলার ওসমানপুর এলাকার মরহুম নুরের জামানের ছেলে।
নিহত কিশোর জাহিদ হোসেনকে নিজেদের ছাত্র সংগঠনের কর্মী বলে দাবি করেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দল।
নিহত জাহিদকে ছাত্রলীগ কর্মী দাবি করে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাসুদ করিম রানা বলেন, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ওসমানপুর ইউনিয়নে আজমপুর বাজারে বিএনপির লোকজন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ওসমানপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মোহাম্মদ হাসান, মিরাজ, আরেফিন, জাহিদ হোসেন রুমন ও রাফিসহ পাঁচ নেতা-কর্মী আহত হন। তাদের মধ্যে জাহিদ হোসেন রুমন মারা যায়।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনে চুরি করলে রেহাই নেই: আমীর খসরু
জানা গেছে, আগামী ৫ অক্টোবর বিএনপির ১৫ দিনের কর্মসূচির মধ্যে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে রোডমার্চ উপলক্ষে মিরসরাইয়ে একটি পথসভা করার কথা রয়েছে। তারই প্রস্তুতি হিসেবে শুক্রবার উপজেলার ৫ নম্বর ওসমানপুর ইউনিয়নে সভার প্রস্তুতি নিচ্ছেলেন দলটির নেতা-কর্মীরা।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান দাবি করেন, সভার প্রস্তুতি সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের লোকজন তাদের ওপর হামলা করে। এতে তাদের একজন মারা যায় এবং ১৫ নেতা-কর্মী আহত হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার দায়ী: ফখরুল
ওসমানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাহ্ আলম বলেন, ‘বিএনপি নেতা নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের অনুসারীরা স্থানীয় আজমপুর বাজারে আমাদের ছাত্রলীগ নেতা হাসান ও তার কয়েক সহযোদ্ধার ওপর হামলা চালায়। এতে হাসপাতালে রুমন নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী নিহত হন এবং আহত হয় পাঁচজন।’
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘দুই দলের মারামারিতে একজন মারা গেছে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।’
আরও পড়ুন: ক্ষমতায় থাকার জন্য খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে: ফখরুল
ক্ষমতায় থাকার জন্য খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে: ফখরুল
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে সরকারের ক্ষমতায় থাকা কঠিন হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফরখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। কারণ তিনি মুক্ত হলে সরকারের পক্ষে ক্ষমতায় থাকা কঠিন হবে।
তিনি বলেন, বেগম জিয়া কারাগার থেকে বের হলে দেশের গণতন্ত্র মুক্তি পাবে এবং জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া যাবে না।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঢাকার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার এবং সরকার পতনের একদফা দাবিতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করা খালেদা জিয়াকে আজ ঘরে বন্দি করে রাখা হয়েছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে যে আবেদন করা হয়েছে তা সরকার বাস্তবায়ন করবে।’
আরও পড়ুন: আবারও সিসিইউতে খালেদা জিয়া
ফখরুল বলেন, এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে সারাদেশের মানুষ যখন জেগে উঠেছে তখন, এই নারী সমাবেশ তাদের আরও সাহস যুগিয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, এই সরকারের দমন-পীড়ন থেকে মা-বোনেরাও রক্ষা পায়নি। সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের নামে তাদের আটকে রাখা হয়েছে। লেখালেখির মাধ্যমে সত্য তুলে ধরার জন্য তাদের পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের দুর্ভোগের কথা জানিয়ে এই বিএনপি নেতা বলেন, সরকারের নির্ধারিত মূল্য কেউ মানছে না এবং সব জায়গায় আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেট।
সরকার উৎখাতে নারী-পুরুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার ফের ক্ষমতায় এলে দেশের স্বাধীনতা বিলীন হয়ে যাবে।
মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আফরোজা আক্তার রিতা, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, দলের নেত্রী হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনে চুরি করলে রেহাই নেই: আমীর খসরু
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার দায়ী: ফখরুল
আবারও সিসিইউতে খালেদা জিয়া
ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে আবারও কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
গত ৯ আগস্ট থেকে হাসপাতালে ভর্তি আছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত সপ্তাহে তাকে দুইবার কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ‘হীরক রাজার দেশে’ পরিণত করেছে সরকার : আব্বাস
অন্যদিকে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্থায়ী জামিনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আপিলটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে এবং তা যাচাই-বাছাই করে শিগগিরই আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।
২০২০ সালে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তির পর থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: সিসিইউ থেকে কেবিনে ফিরলেন খালেদা জিয়া
২০২০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের পর খালেদাকে পুরান ঢাকা কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।
করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়। তবে, এতে শর্ত থাকে যে তিনি গুলশানের বাড়িতে থাকবেন এবং দেশ ছেড়ে যাবেন না।
আরও পড়ুন: মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে খালেদা, কোনো উন্নতি নেই: চিকিৎসক
আগামী নির্বাচনে চুরি করলে রেহাই নেই: আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে গণতান্ত্রিক দেশগুলো বাংলাদেশের ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আমিনবাজারে ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে চুরি করার পথে যারাই হাত বাড়াবে, তারা কেউ রেহাই পাবে না।’
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বারবার বলা হচ্ছে, এই ভোট চুরির সঙ্গে যারা সরাসরি ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকবেন, যারা দেখেও না দেখার ভান করছেন তারাও বাদ যাবেন না।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান রিজভীর
তিনি আরও বলেন, ‘সবার বুকেই ধড়ফড় শুরু হয়ে গেছে। বাইরে দেখান খুব সাহসী, কিন্তু ভেতরে এত সাহস নেই।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সেলফি প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, ‘ওয়াশিংটনে জাতিসংঘের সব কাজ শেষে বিশ্বের সব নেতারা বাড়ি চলে গেলেও আমাদের অনির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী ওয়াশিংটনে বসে আছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘অবস্থা বুঝতে পারছেন, কতটা খারাপ! কত খারাপ অবস্থা বুঝতে পারছেন, সেলফি তুলেও এখন কোনো কাজ হচ্ছে না। সেলফি তুলে কতদিন একটু ফুরফুরা মেজাজে ছিলেন, তারপর দেখা গেল স্যাংশন। আওয়ামী লীগ যে ভুয়া, সারা বিশ্ব বুঝে গেছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ‘হীরক রাজার দেশে’ পরিণত করেছে সরকার : আব্বাস
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমি পরিষ্কারভাবে বলছি সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। দেশে একটি নির্বাচিত সরকার এবং সংসদ হবে, যারা জনগণের কাছে দায়ী থাকবে, তাদের জবাবদিহি থাকবে।
ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশরাফের সভাপতিত্বে ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রিপন রায়ের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার দায়ী: ফখরুল
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার দায়ী: ফখরুল
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে দায়ী করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘এই ভিসা নীতিতে, আমাদের সাংবাদিকদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হবে... কেন এই জাতিকে এর মধ্য দিয়ে যেতে হবে? আমরা খুব ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্যে আছি। অনেক মানুষ আছে যারা খুব খুশি। এটা আনন্দের বিষয় নয়, এটা লজ্জার।’
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে প্রয়াত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আ স ম হান্নান শাহের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্যে আছি, দেশের অবস্থা ভয়াবহ। সেই অবস্থা থেকে বের না হলে পুরো জাতির অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। আজ এই বিপদ, এই সংকট শুধু বিএনপির নয়, এই সংকট জাতির।’
তিনি বলেন, ‘সবকিছুই নির্ভর করছে আগামী কয়েকদিনের ওপর--ভবিষ্যতে আমরা স্বাধীন থাকব কি না, আমাদের স্বাধীনতা থাকবে কি না, আমাদের সার্বভৌমত্ব থাকবে কি না, আমার দেশ একটি ক্রীতদাস রাষ্ট্রে (ভ্যাসেল স্টেট) পরিণত হবে কি না, আমার গণতান্ত্রিক অধিকার থাকবে কি না। আমি আমার পছন্দ অনুযায়ী আমার প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারি কি না।’
তিনি বলেন, ‘জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জনগণ সব দলের অংশগ্রহণে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। তারা এর কোনো বিকল্প চায় না।’
ফখরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করছি। প্রায় এক বছর ধরে আমরা রাজপথে রয়েছি, এতে আমাদের ২২ জন তরুণ নেতা রাস্তায় পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন, আমাদের ওপর অসংখ্য মামলা হয়েছে, আমরা রয়েছি। বহুবার জেল খাটতে হয়েছে, তারপরও ওরা কখনো আমাদের দমাতে পারেনি, পারবেও না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেক বুদ্ধিজীবী টেলিভিশনের টকশোতে আর আসেন না। কারণ কী? তাদের হুমকি দেওয়া হয় যে, সরকারের বিরুদ্ধে গিয়ে কথা বললে বিপদে পড়বেন... আমরা এই অবস্থায় বাস করি।’
গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বেনজীর আহমেদ টিটু ও শ্রম বিষয়ক সহসম্পাদক হুমায়ুন কবির খান।
মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে খালেদা, কোনো উন্নতি নেই: চিকিৎসক
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের (সিসিইউ) কেবিনে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
মঙ্গলবার বিএনপির মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আমি বিকাল ৫টায় ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) মেডিকেল বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি বলেন, চেয়ারপার্সন মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। ডা. জাহিদ তার জন্য সবাইকে দোয়া করতে বলেছেন।’
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে বিদেশে পাঠান: ফখরুল
বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ম্যাডামের শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। গত কয়েকদিন ধরে তিনি একই অবস্থায় আছেন। তাকে মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’
ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, অতীতে আমরা দেখেছি আ স ম আবদুর রব, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এমপি হাজী সেলিম চিকিৎসার জন্য বিদেশে গেছেন। সরকার যদি প্রথম থেকে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দিত, তাহলে তার এই অবস্থা হত না।’
আরও পড়ুন: সিসিইউ থেকে কেবিনে ফিরলেন খালেদা জিয়া
বাংলাদেশকে ‘হীরক রাজার দেশে’ পরিণত করেছে সরকার : আব্বাস
সরকার দেশকে ‘হীরক রাজার দেশে’ পরিণত করেছে এবং হীরক রাজার মতোই পরিণতি হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেন, কারো একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। এটা কোনো রাজা বা রানির রাজ্য নয় এবং 'হীরক রাজার দেশ'-এ পরিণত হবে না।’
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঝিনাইদহ বাস টার্মিনালে দলের রোডমার্চ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন।
বিএনপির রোডমার্চ সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে ঝিনাইদহ শহর থেকে শুরু হয়ে যশোর ও মাগুরা হয়ে খুলনায় গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
তিনি সরকার পতনের জন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে: ফখরুল
আব্বাস আরও বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সরকার মানি লন্ডারিং করে দেশকে দেউলিয়া করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, ‘আমরা সেটি বললেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠায়। স্বাধীন দেশে এসব সহ্য করা হবে না।’
গতকাল অনুমতি না পেয়ে আমিনবাজারের সমাবেশ স্থগিত করেছে বিএনপি।
আরও পড়ুন: আমিনবাজারের সমাবেশ স্থগিত করেছে বিএনপি
তিনি আরও বলেন, একসময় বাংলাদেশের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২১ হাজার কোটি টাকা আর এখন তা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা। ‘জনগণ জানতে চায় এই টাকা কোথায় গেল?’
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সরকারের পদত্যাগের দাবিতে চলমান এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে রোডমার্চসহ ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ১৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার কর্মসূচি দুই দিন বাড়িয়ে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত করে দলটি।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান রিজভীর
খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান রিজভীর
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে অথবা সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘তিনি একজন নারী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী। দেরি না করে তাকে বাঁচানোর জন্য এখনই পদক্ষেপ নিন। অন্যথায় সরকারকেই এর দায় নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী
সোমবার বিকালে দলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলামের সঙ্গে বিএনপি নেতা রিজভী এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে গিয়ে এ কথা বলেন।
হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে রিজভী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। ডাক্তাররা তাকে বিদেশে নিয়ে যেতে বলছেন, কারণ এখানে তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করার পর তারা বুঝতে পেরেছেন যে তার উন্নত চিকিৎসা দরকার।’
এ সময় খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন রিজভী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, গত কয়েকদিন ধরে তার অবস্থা খুবই খারাপ। তাকে ডাক্তারের বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ থেকে বার্তা না পেলে কঠোর কর্মসূচি: রিজভী
সালাহউদ্দিন আহমেদকে বিনা চিকিৎসায় কারাগারে বন্দি রেখেছে: রিজভী