বিএনপি
অধিকারের আদিলুর ও নাসিরউদ্দিনের মুক্তি দাবি ফখরুলের
অবিলম্বে অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক নাসিরউদ্দিন এলানের মুক্তি দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আদিলুর রহমান খান বাংলাদেশে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সোচ্চার ছিলেন।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল এ দাবি জানান।
ফখরুল বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে মানবাধিকার কমিশন ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় এসব বিষয় তুলে ধরেন আদিলুর। আর এ কারণেই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া সাইবার ট্রাইব্যুনালের রায় ও তাদের বিরুদ্ধে সাজার নিন্দাও জানান বিএনপি নেতা।
তিনি আরও বলেন, আদিলুর একজন সাধারণ মানবাধিকার কর্মী নন। তিনি সারা বিশ্বে একজন মানবাধিকার কর্মী হিসেবে অত্যন্ত সুপরিচিত ও সম্মানিত।
আরও পড়ুন: সরকার কমিশন পাওয়ার জন্য ১০টি এয়ারবাস উড়োজাহাজ কিনছে: ফখরুলের অভিযোগ
ফকরুল বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টে প্রস্তাবে বলা হয়েছে- বাংলাদেশে মানবাধিকার নেই বললেই চলে। তারা বলেন- বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার খুবই খারাপ এবং পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে।
তিনি বলেন, এতে প্রমাণিত হয় বাংলাদেশের বিচার বিভাগ এখন পুরোপুরি সরকারের নিয়ন্ত্রণে। আজ কেউ ন্যায়বিচার পাচ্ছে না, মানুষ তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
অধুনালুপ্ত আইসিটি আইনের ৫৭ ধারার একটি মামলায় বৃহস্পতিবার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদিদুল রহমান ও নাসিরুদ্দিনকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
সাইবার নিরাপত্তা আইনকে খারাপ আইন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকারের সবকিছুই প্রতারণা। তারা মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু তারা বোঝে না যে মানুষ বোকা নয় তাদের প্রতারণা সবাই বোঝে।
ফখরুল বলেন, এই আইন (সাইবার নিরাপত্তা আইন) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের চেয়েও খারাপ। এ আইনে পুলিশ ওয়ারেন্ট ছাড়াই কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারে, কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে এবং মামলা করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা (সাংবাদিকরা) আমাদের চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এর একটা কারণ আছে। এই আইনে আপনি আটকা পড়েছেন, বাঁধা পড়েছেন, কেউ কথা বলতে পারবেন না।
তিনি বলেন, আমরা বলছি না যে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে হবে। শুধু দেশ মুক্ত করুন, জাতিকে মুক্ত করুন।
তিনি বলেন, সরকার একটি শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ তৈরি করেছে। তাই গণতান্ত্রিক ও মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আমাদের সবাইকে দাঁড়াতে হবে।
মির্জা ফহকরুল ইসলাম আরও বলেন, জামালপুরের ডিসিকে প্রত্যাহার করাটা ধোকা দেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে বিএনপি একা নয়: ফখরুল
বিচারব্যবস্থা সম্পূর্ণ সরকারের নিয়ন্ত্রণে: ফখরুল
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে বিএনপি একা নয়: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে বিএনপি একা নয়, সারাবিশ্ব তাদের সঙ্গে আছে।
তিনি সবাইকে এই আন্দোলনে যোগদানের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রস্তুতি নিতে আহ্বানও জানান।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা একা নই এই আন্দোলনে। আমাদের সঙ্গে গণতান্ত্রিক বিশ্ব আছে। আসুন আমরা সবাই একযোগে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ি-এই হোক আজকে গণতন্ত্র দিবসে আমাদের শপথ।’
তিনি আরও বলেন, ‘গণতন্ত্র দিবসে আমাদের অঙ্গীকার স্পষ্ট: গণতান্ত্রিক দিবসে আমাদের শপথ হচ্ছে যেকোনো মূল্যে এই সরকারের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাব না। কোনো নির্বাচন হবে না নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া। এখনো বলছি পদত্যাগ করুন, সংসদ ভেঙে দেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দেন। কেন দিতে চান না? যদি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়, যদি জনগণ ভোট দিতে যেতে পারে, তাহলে তারা ১০টা আসনও পাবে না।’
অধিকারের আদিলুর রহমান খান ও আ স ম নাসির উদ্দিনের কারাবরণের ব্যাপারে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি আরেকটা কথা বলতে চাই, বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, মানবাধিকার নিয়ে যিনি কথা বলতেন, যিনি বিচারবর্হিভূত হত্যার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, যিনি নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা হয়েছিল সেই হেফাজতে ইসলামী মিটিংয়ে তার বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন, তাকে কারাদণ্ড দিয়েছে। আজকে এই সরকার এত ভীত সন্ত্রস্ত্র যে তাদের দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে।’
ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, ‘আজকে সারাবিশ্ব এই সরকারের নিন্দা জানিয়েছে এবং অবিলম্বে তাদেরকে মুক্ত করতে বলেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রেজুলেশন করেছে যে অবিলম্বে এই মামলা বাতিল করে তাদের মুক্ত করা হোক এবং বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হোক, মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হোক।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্যের উল্লেখ করে ফখরুল ইসলাম আলমগীর কটাক্ষ করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য যে তিনি ভালো নির্বাচন করেন এবং দেশ-বিদেশে তাদের বিষয়ে প্রশ্ন করেন, এটি বছরের শ্রেষ্ঠ কৌতুক। আওয়ামী লীগ ভালো নির্বাচন করে একথা ঘোড়াও বিশ্বাস করে না। ওরা শুনলে হাসে… তাই না। এই হচ্ছে অবস্থা।’
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘নিউইয়র্ক টাইমস বলছে বাংলাদেশে গণতন্ত্র নিরব মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ভারতে টাইমস অব ইন্ডিয়া গতকাল একটা নিবন্ধ ছাপিয়েছে, যেখানে তারা বলেছে বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখন লাইফ সাপোর্টে।’
তিনি সরকারের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে বলেন, ‘নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ততই তারা বিভিন্ন অজুহাতে সারাদেশে গণতান্ত্রিক কর্মী যত আছে, বিএনপি যত নেতা-কর্মী আছে তাদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা, মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের আটক করে রাখছে। কারণ একটাই… সামনে নির্বাচন। এই নির্বাচনে সমস্ত বিরোধী দলকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে। আর নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের আন্দোলনে যেন বিরোধী দলের নেতারা অংশ নিতে না পারে সেই কারণে নেতাদের আটক করে রাখতে হবে। এই যে ঢাকা মহানগরের যুব দলের নেতাদের আটক করে রেখেছেন তাতে কি আজকে মহানগরের এই সমাবেশে লোক কম হয়েছে? হয়নি। মামলা দিয়ে আটক করে এই সরকার তার পতন ঠেকাতে পারবে না।’
বিচারব্যবস্থা সম্পূর্ণ সরকারের নিয়ন্ত্রণে: ফখরুল
বর্তমান বিচার ব্যবস্থা পুরোপুরি সরকারের নিয়ন্ত্রণে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু এটুকু বলতে চাই, বাংলাদেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। যে বিচার ব্যবস্থা আছে, তা সম্পূর্ণভাবে তাদের (সরকার) নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে।’
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার গুলশানের হোটেল লেকশোরে ইউনাইটেড লয়ার্স ফ্রন্ট (ইউএলএফ) আয়োজিত ‘বিচার বিভাগের বর্তমান অবস্থা: বাংলাদেশে বিরোধীদের দমনের হাতিয়ার’- শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল এ মন্তব্য করেন।
দেশে একদলীয় শাসন চলছে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, কেউ কথা বলতে পারে না, পুলিশ কর্মকর্তারা রাজনীতিবিদদের মতো কথা বলেন, জজ সাহেবেরা শপথবদ্ধ রাজনীতির কথা বলেন।
তিনি প্রশ্ন করেন, ‘আমরা সাধারণ মানুষ কোথায় যাব, কার কাছে যাব? বিচার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ দলীয়করণ হয়ে গেলে মানুষ যাবে কোথায়?’
সব নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে এই বিএনপি নেতা বলেন, জনগণকে নিপীড়নের জন্য যে রাষ্ট্রীয় কাঠামো তৈরি করা হয়েছিল, তা ভেঙে দিতে হবে এবং সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাঠামো গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বিচার ব্যবস্থায় সমস্যা সমাধানে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনসহ ৩১ দফা প্রস্তাব পেশ করেন। জনগণের সরকার গঠনে সব আইনজীবীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
ফখরুল বলেন, জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা আর সরকারকে দেখতে চায় না এবং সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে দেশের সব আইনজীবীকে জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে।
আরও পড়ুন: সরকার কমিশন পাওয়ার জন্য ১০টি এয়ারবাস উড়োজাহাজ কিনছে: ফখরুলের অভিযোগ
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদদের আপত্তি সত্ত্বেও সরকার বুধবার সংসদে তার আগের নাম পরিবর্তন করে ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ পাস করেছে।
তিনি বলেন, এছাড়াও জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন সরকারকে সদ্য পাস হওয়া সাইবার নিরাপত্তা আইনের কিছু ধারা পরিবর্তন করতে বলেছিল, কিন্তু তারা তাদের কথায় কর্ণপাত করেনি।
সেমিনারে উপস্থিত হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি (অব.) নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি (অব.) মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী হাইকোর্টের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউএলএফ-এর সহ-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী।
ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্টের (ইউএলএফ) আহ্বায়ক ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সঞ্চালনায় সেমিনারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক বোরহান উদ্দীন খান, সুপ্রিম কোর্টের ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বক্তব্য রাখেন।
এ ছাড়া সেমিনারে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী, নূর মোহাম্মদ খান, জয়নুল আবদিন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব, ইসমাইল জবিউল্লাহ, এসএকে কামরুজ্জামান, জহিরুল হক শাহাজাদা মিয়া, আবদুর রশিদ, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বদুরুজ্জামান বাদল, গাজী কামরুল ইসলাম সজল, মীর হেলাল উদ্দিন, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গণফোরামের জগলুল হায়দার আফ্রিকসহ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সরকারের দুঃশাসনে বিরক্ত জনগণ পরিবর্তন চায়: ফখরুল
‘সেলফি’ সরকারকে ক্ষমতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে না: ফখরুল
জেলে থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছে: মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেছেন, কারাগারে থাকা অবস্থায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শরীরে বিষ প্রয়োগ করা (স্লো পয়জনিং) করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনা করে শ্রমিক দল আয়োজিত এক মিলাদ মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, খালেদা জিয়ার এখন উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিলেও সরকার অনুমতি দিচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: বিএনপির সহযোগী সংগঠনগুলো ১৬-১৭ সেপ্টেম্বর রোডমার্চ করবে
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়া বর্তমানে কোনো অপরাধ না করেই কারাগারে রয়েছেন। তবে আওয়ামী লীগের মহীউদ্দীন খান আলমগীর, মায়া চৌধুরী, হাজী সেলিমের মতো ব্যক্তিরা অপরাধ করেও আইনের নাগালের বাইরে রয়েছেন।’
এসময় মির্জা আব্বাস ‘অবিচারের শিকল’ ভাঙার দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে এটা শুধু দেশনেত্রী বেগম খালেদার মুক্তির কথা নয়, এটা সারাদেশের মানুষের স্বাধীনতা, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, দেশের জনগণের ভোটাধিকারের স্বাধীনতার কথা।’
আব্বাস আরও বলেন, ‘আমাদের চেয়ারপার্সন আজ কারাগারে। আমরা তাকে মুক্ত করতে পারিনি। এটাই আমাদের দুর্বলতা। দেশ ও জনগণের স্বার্থে তিনি কখনো আপস করেননি। তিনি যদি এখন আমাদের মাঝে থাকতেন, তাহলে আজ দেশের এই অবস্থা হতো না।’
আরও পড়ুন: সরকারের দুঃশাসনে বিরক্ত জনগণ পরিবর্তন চায়: ফখরুল
‘সেলফি’ সরকারকে ক্ষমতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে না: ফখরুল
বিএনপির সহযোগী সংগঠনগুলো ১৬-১৭ সেপ্টেম্বর রোডমার্চ করবে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল যৌথভাবে ১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু বলেন, বর্তমান সরকারের অপসারণ এবং নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার এক দফা দাবি আদায়ে এই কর্মসূচি পালন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য বর্তমান সরকারকে চ্যালেঞ্জ করে আমাদের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা। আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার একটি মৌলিক স্তম্ভ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
আরও পড়ুন: সরকারের দুঃশাসনে বিরক্ত জনগণ পরিবর্তন চায়: ফখরুল
টুকু জানান, ১৬ সেপ্টেম্বর রংপুর থেকে দিনাজপুর এবং ১৭ সেপ্টেম্বর বগুড়া থেকে রাজশাহী পর্যন্ত তারা রোডমার্চের আয়োজন করবেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথি হিসেবে রোডমার্চের উদ্বোধন করবেন এবং বিএনপির সিনিয়র নেতারাও এতে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
টুকু বলেন, ‘আগের বিক্ষোভের অনুরূপ, আমরা মোটরসাইকেল আরোহী সহ সবাইকে আমাদের রোড মার্চ কর্মসূচিতে যোগদানের আহ্বান জানাই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি যে আমাদের জাতির যুবকরা এগিয়ে আসবে -- শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিকভাবে -- এই আন্দোলনে অংশ নেবে। আমাদের উদ্দেশ্য হলো জনসমর্থন তৈরি করা এবং সরকারের নেতৃত্বে পরিবর্তন আনা।’
আরও পড়ুন: সরকার কমিশন পাওয়ার জন্য ১০টি এয়ারবাস উড়োজাহাজ কিনছে: ফখরুলের অভিযোগ
বিএনপির নেতারা গণতন্ত্রের ফেরেশতা নয়: ইনু
বিএনপির নেতারা যতই গণতন্ত্র-নির্বাচন নিয়ে হৈচৈ করুক না কেন তারা গণতন্ত্রের ফেরেশতা নয় বলে মন্তব্য করেছেন হাসানুল হক ইনু।
তিনি আরও বলেন, তারা প্রত্যেকেই মানুষ পোড়ানো, জঙ্গিতাণ্ডব ও হত্যা-খুনের ভয়ঙ্কর সব জল্লাদ।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) কুষ্টিয়া সার্কিট হাউজে জেলা জাসদ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে যোগদানের আগে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, সহিংসতামুক্ত নির্বাচন চায় যুক্তরাজ্য: পররাষ্ট্র সচিব
তিনি বলেন, মানুষ পোড়ানো, জঙ্গিতাণ্ডব ও হত্যার আসামিদের প্রধান সিডিকেন্ট হচ্ছে বিএনপি।
ইনু বলেন, বিএনপির প্রস্তাবিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার জঘন্য সব অপরাধীদের হালাল করার সরকার হিসেবেই ভূমিকা রাখবে। এর সঙ্গে নির্বাচন, গণতন্ত্র ও নিরপেক্ষতার কোনো সম্পর্ক নেই।
এসময় জেলা জাসদ সভাপতি গোলাম মহসিন ও জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আহম্মদ আলীসহ স্থানীয় জাসদ জাসদ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারাই ভিসানীতিতে ফেঁসে গেছেন: খাদ্যমন্ত্রী
বিএনপি মনোনয়ন বাণিজ্য করতে ‘গোপনে’ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে: কাদের
সরকার কমিশন পাওয়ার জন্য ১০টি এয়ারবাস উড়োজাহাজ কিনছে: ফখরুলের অভিযোগ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, কমিশন পাওয়ার উদ্দেশ্যে সরকার ফ্রান্স থেকে ১০টি এয়ারবাস বিমান কিনছে।
তিনি বলেন, ‘এটা খুবই ভালো ব্যাপার যে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এখানে এসেছেন...তিনি আমাদের বড় মেহমান। আপনারা (সরকার) সেই অতিথিকে নাচ ও গানের মাধ্যমে খুব ভালভাবে স্বাগত জানিয়েছেন।’
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক কর্মসূচিতে ফখরুল এসব কথা বলেন।
এসময় ফখরুল বলেন, দেশের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে খাদ্য ব্যবস্থাপনায় হিমশিম খাওয়া সাধারণ মানুষেরা মনে করছেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সফরে ভালো কিছু হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘কি হয়েছে? বলা হয়েছে ১০টি এয়ারবাস বিমান কেনা হবে। তাদের (সরকারের) আসল লক্ষ্য এই এয়ারবাসে কিকব্যাক পাওয়া। আপনারা কি কিকব্যাক বোঝেন? এর মানে কমিশন।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, বোয়িং কিনে কমিশন পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ‘তাই ১০টি এয়ারবাস প্লেন কেনা হচ্ছে।’
সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ফখরুল বলেন, দেশের মানুষের খাবার, তাদের চিকিৎসা, হাসপাতাল নির্মাণ ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে না পারলেও সরকার এয়ারবাস বিমান কিনতে যাচ্ছে। ‘তারা (সরকার) জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে পারে না।’
আরও পড়ুন: সরকারের দুঃশাসনে বিরক্ত জনগণ পরিবর্তন চায়: ফখরুল
রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি যখন ভেঙে পড়েছে তখন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জন্য ১০টি এয়ারবাস প্লেন কেনার যৌক্তিকতা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন ফখরুল।
তিনি বলেন, বিমানও ঠিকমতো কোনো সেবা দিতে পারে না। ‘তারা এয়ারবাস বিমান কিনছে চুরির সুযোগ তৈরি করার জন্য (জনগণের অর্থ)।’
পরে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে গৃহীত তিন দিনব্যাপী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন এই বিএনপি মহাসচিব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে একটি সংক্ষিপ্ত সফরে রবিবার সন্ধ্যায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ঢাকা আসেন।
গত তিন দশকের মধ্যে এটিই কোনো ফরাসি প্রেসিডেন্টের প্রথম বাংলাদেশ সফর।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে আয়োজিত ভোজসভায় যোগ দেন তিনি।
দুই নেতা অবকাঠামো ও স্যাটেলাইটসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই করেন।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ এয়ারবাস থেকে ১০টি এ৩৫০ বিমান কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘সেলফি’ সরকারকে ক্ষমতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে না: ফখরুল
স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক দুর্নীতির কারণে মহামারিতে রূপ নিয়েছে ডেঙ্গু: বিএনপি
সরকারের দুঃশাসনে বিরক্ত জনগণ পরিবর্তন চায়: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের জনগণ অন্তর থেকে সরকারের পরিবর্তন চায় কারণ তারা দুঃশাসনে হতাশ হয়ে পড়েছে।
সোমবার এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি চলমান এক দফা আন্দোলন জোরদার করে বর্তমান সরকারের পতনের জন্য যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জোরালো আহ্বান জানান।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘তারা (মন্ত্রীরা) যাই বলুক কিছুই অর্জন করতে পারবে না। মানুষ এখন তাদের হৃদয়ের গভীর থেকে পরিবর্তন চায়। প্রতি মুহূর্তে এ দেশের মানুষ এই সরকারের বিদায় দেখতে চায়।’
আরও পড়ুন: ‘সেলফি’ সরকারকে ক্ষমতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে না: ফখরুল
তিনি বলেন, খাদ্য-বস্ত্রসহ সবকিছুর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে জনজীবন দুর্বিষহ ও অসহনীয় হয়ে উঠেছে।
ফখরুল বলেন, ‘আমি দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে সব তরুণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাতে চাই... আসুন আমরা সবাই মিলে এই ফ্যাসিবাদ দূর করতে এবং সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য এখনই লড়াই করি।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক দুর্নীতির কারণে মহামারিতে রূপ নিয়েছে ডেঙ্গু: বিএনপি
তিনি বলেন, বর্তমান দানব শাসন জাতির সব অর্জনকে ধ্বংস করে দেশ শাসন করছে। ‘যেহেতু সময় কম, তাই চলুন এগিয়ে যাই। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এই আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাব এবং আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্মরণে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ভাসানী আনুসারী পরিষদ।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানো হবে: আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানো হবে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, দুই শর্তে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর পক্ষে আইন মন্ত্রণালয় তাদের মতামত দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিদ্যমান শর্তে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর জন্য আইন মন্ত্রণালয় মতামত দিয়েছে। ইতোমধ্যেই মন্ত্রণালয়ের মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।’
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এতে করে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আট দফা বাড়ানো হবে।
বর্তমান কারাদণ্ড স্থগিতের মেয়াদ ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হবে।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে বিএনপির জমা দেওয়া আবেদনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তাকে অনুমতি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই এবং যদি কোনো আইনি সুযোগ থাকে তাহলে আমরা বিবেচনা করব।
সরকার আগের সব আবেদন গ্রহণ করলেও খালেদাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকবেন এবং দেশ ছেড়ে যাবেন না এই শর্তে তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
এরপর থেকে, পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে তার মুক্তির মেয়াদ প্রতি ছয় মাস পরপর বাড়ানো হয়েছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি-এ নিম্ন আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেওয়ায় খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। পরে, তিনি একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন।
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট, চোখের সমস্যা ও কোভিড-পরবর্তী জটিলতাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
‘সেলফি’ সরকারকে ক্ষমতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে না: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শেখ হাসিনার ‘সেলফি’ তার সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করবে না।
তিনি বলেন, ‘আপনারা (ক্ষমতাসীন দল) এতটাই দেউলিয়া এবং অসহায় যে বাইডেনের সঙ্গে সেলফি দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়েছেন। আপনারা এখন প্রচার করছেন আপনারা জিতেছেন।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, ভোটের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের বিজয় হবে। ‘সেই ভোট সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য পদক্ষেপ নিন। তা না হলে, কোনো বাইডেন ও সেলফি আপনাদের রক্ষা করতে পারবে না। এটা এখন খুব পরিষ্কার।’
তিনি বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে না। ‘জনগণ আপনাদের কখনই ক্ষমা করবে না এবং আপনারা ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।’
রবিবার প্রয়াত বিএনপি নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব বলেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এর আগে শনিবার নয়াদিল্লিতে জি২০ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেলফি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।
ফখরুল আক্ষেপ করে বলেন, এটা জাতির জন্য দুর্ভাগ্য যে মানুষ মৌলিক সমস্যার দিকে মনোযোগ না দিয়ে সেলফির মতো একটি হালকা বিষয় নিয়ে কথা বলছে।
তিনি বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের (আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক) বলছেন ফখরুল এখন কী বলবেন? আমি তার গলায় এই সেলফির একটি ফটো বেঁধে নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর পরামর্শ দিই। আমেরিকার বাইডেন যে আপনার সঙ্গে আছে তা দেখাতে এটি আপনাকে অনেক সাহায্য করবে।’
বিএনপি নেতা স্মরণ করেন, কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী তার সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছিলেন যে আমেরিকা তাকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ না দেওয়ায় তার সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
তিনি সরকারের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, ‘এটা দেখে (সেলফি) এখন আমরা কী বুঝব? আপনারাও কি সেন্ট মার্টিন দ্বীপ দিয়েছেন?’
ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সেলফির পর যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং ভিসা নীতি পরিবর্তন করেনি। ‘তাই ভেবেচিন্তে কথা বলুন।’
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন বা আমেরিকা একটি গণতন্ত্রপন্থী দেশ এবং তারা খুব স্পষ্টভাবে বলেছেন যে তারা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চান।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘তারা (আমেরিকা) বলেছে তারা এখানে একটি ভালো এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন দেখতে চায়, যা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। শুধু আমেরিকা নয়, গোটা গণতান্ত্রিক বিশ্ব তাই বলছে। আমরা এটাকে সম্মান করি। এর মানে এই নয় যে আমরা কেবল এটিই চিন্তা করি। আমরা আমাদের জনগণের মতামতকে খুব মূল্য দিই।’
তিনি বলেন, দেশের জনগণও স্পষ্টভাবে সরকারকে তার দুঃশাসন ও দমন-পীড়নের অবসান ঘটিয়ে অবিলম্বে পদত্যাগ করার বার্তা দিয়েছে।
ফখরুল বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করে সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে একটি বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত এবং গণমুখী সরকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।