বিএনপি
খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান ৫৮২ জন বিশিষ্ট নাগরিকের
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিদেশে উন্নত চিকিৎসার অনুমতি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ৫৮২ জন বিশিষ্ট নাগরিক, বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবী।
বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে ৯ আগস্ট তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। দেশে তার চিকিৎসা করার মতো কিছুই অবশিষ্ট নেই।
তারা আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে হলে তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে একটি উন্নত কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। আমরা সরকারকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে মানবিক দিক বিবেচনা করে অবিলম্বে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: সরকার অমানবিকভাবে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে: ফখরুল
স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন- অধ্যাপক আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, সাংবাদিক আলমগীর মহিউদ্দিন, রুহুল আমিন গাজী, অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ।
তারা বিদেশে চিকিৎসার সুবিধার্থে আদালতের মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে স্থায়ী জামিনে মুক্তি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট, চোখের সমস্যা, কোভিড পরবর্তী জটিলতাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে কারাগারে যান খালেদা জিয়া। পরে হাইকোর্ট তার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন।
২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার তাকে ৬ মাসের জন্য কারাগার থেকে মুক্তি দেয় এই শর্তে যে তিনি রাজধানীতে তার বাড়িতে থাকবেন এবং দেশ ত্যাগ করবেন না।
আরও পড়ুন: বিদেশে খালেদার চিকিৎসার দাবিতে বিএনপির পদযাত্রা
খালেদা জিয়ার শারিরীক অবস্থা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার মতো হয়নি: ব্যক্তিগত চিকিৎসক
সরকার অমানবিকভাবে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, সরকার তাদের দলের চেয়ারপার্সন অসুস্থ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে যথাযথ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আমরা বারবার তার মুক্তি এবং বিদেশে উন্নত চিকিৎসার কথা বলেছি। কিন্তু তারা (সরকার) কতটা অমানবিক এবং মধ্যযুগীয় বর্বর হতে পারে যে তারা তাকে যথাযথ চিকিৎসা নিতে দিচ্ছে না।’
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে বক্তৃতাকালে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অপরিসীম অবদান রাখা শারীরিকভাবে অসুস্থ বিএনপি নেত্রীর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণের জন্য সরকারের নিন্দা করেন ফখরুল।
খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনা করে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখা।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শারিরীক অবস্থা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার মতো হয়নি: ব্যক্তিগত চিকিৎসক
পরে খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী যুবদল।
অসুস্থ হয়ে পড়ায় ৯ আগস্ট খালেদাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং এরপর থেকে তিনি হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।
মেডিকেল বোর্ডের মতে, বিএনপি প্রধানকে যত দ্রুত সম্ভব বিদেশে একটি উন্নত চিকিৎসাকেন্দ্রে পাঠানো প্রয়োজন। কারণ বাংলাদেশের কোনো হাসপাতালেই তাকে সঠিক চিকিৎসা দেওয়ার সামর্থ্য নেই।
ইউএনবি’র সঙ্গে আলাপকালে তার চিকিৎসা করা মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘খুব ধীরগতিতে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘তিনি বেশ কিছু জটিল রোগে ভুগছেন। আমরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা দিচ্ছি, কিন্তু তার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন প্যারামিটার ওঠানামা করছে। আমরা এটা নিয়ে চিন্তিত।’
আরও পড়ুন: বিদেশে খালেদার চিকিৎসার দাবিতে বিএনপির পদযাত্রা
খালেদার অবস্থা আশঙ্কাজনক, বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান ড্যাবের
প্রতিহিংসাবশত ড. ইউনূসকে কারাগারে পাঠানোর ষড়যন্ত্র করছে সরকার: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে কারাগারে পাঠানোর ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, ‘এই সরকার গুণীজনদের ন্যূনতম সম্মান দেখাতে জানে না। ড. ইউনূস বাংলাদেশের একমাত্র ব্যক্তি যিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। তারা (সরকার) এখন তার বিরুদ্ধে এমনভাবে লেগেছে, যেন তাকে জেলে ঢুকিয়েই ছাড়বে।’
বৃহস্পতিবার এক আলোচনা সভায় বিএনপির এই নেতা বলেন, ক্ষমতাসীন দলের একজন মন্ত্রী বলেছেন, এমনকি আমেরিকার প্রেসিডেন্টকেও জেলে যেতে হয়েছে।
ফখরুল বলেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ এক নয়।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান সম্ভব: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘আপনারা (সরকার) ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার কারণে ড. ইউনূসকে কারাগারে পাঠানোর চেষ্টা করছেন। আপনারা তাকে জেলে পাঠানোর চেষ্টা করছেন এবং শত্রুতার কারণে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে তাকে নির্যাতন করার চেষ্টা করছেন।’
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ইস্যু করে বিএনপি রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টা করছে বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের ড. ইউনূসের ওপর নির্ভর করার কোনো কারণ নেই। আমরা এ দেশের মানুষের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। আমরা বিশ্বাস করি, এই দেশের জনগণই সব ক্ষমতার উৎস এবং জনগণ তাদের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে ও নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করবে।’
তিনি বলেন, তাদের দল সরকার পরিবর্তনে এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করতে জনগণের কাছে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ এবার আর পার পাবে না: ফখরুল
ফখরুল বলেন, ‘নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চান না কেন? কারণ, এটা খুব ভালো করেই জানেন, আপনারা যদি তা করেন তাহলে ১০টি আসনও পাবেন না।’
স্বৈরাচারী শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে নব্বই দশকের গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের বিএনপিপন্থী ছাত্র নেতারা এই আলোচনা সভার আয়োজন করেন।
বইটি লিখেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ডাকসুর সাবেক ভিপি আমানউল্লাহ আমান।
আরও পড়ুন: সরকার পতনে ছোট-বড় সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ফখরুলের
অনির্বাচিত ও দায়িত্বজ্ঞানহীন মেয়র-কমিশনারদের উদাসীনতায় ডেঙ্গুর খারাপ পরিস্থিতি: বিএনপি
দুই সিটি করপোরেশনের অনির্বাচিত ও দায়িত্বজ্ঞানহীন মেয়র ও কমিশনারদের উদাসীনতার কারণে ঢাকা মহানগরীতে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
বুধবার ডেঙ্গু রোগীদের জন্য রক্তদান কর্মসূচিতে দেওয়া বক্তব্যে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং দুই মহানগরীরর বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ব্যর্থতার জন্য ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রদের পদত্যাগ দাবিও করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘সরকার ও দুই সিটি করপোরেশন ডেঙ্গু মহামারি নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তারা আসলে স্বাস্থ্যসেবা দিতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হচ্ছে।’
ফখরুল আরও বলেন, দেশের মানুষ কোভিডের সময়ে স্বাস্থ্য খাতে চরম নৈরাজ্য ও দুর্নীতি প্রত্যক্ষ করেছে।
তিনি বলেন, ‘এটি আবারও প্রকাশ পেয়েছে। সিটি করপোরেশনের এডিস মশা মারার কীটনাশক ও ওষুধ সংগ্রহের নামে ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে যে ওই ওষুধগুলো মূল্যহীন এবং মশা নিধনে সাহায্য করছে না।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ এবার আর পার পাবে না: ফখরুল
গত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল ডেঙ্গু আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করেন। কারণ দুই সিটি করপোরেশনে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব মারাত্মকভাবে বেড়েছে।
ফখরুল বলেন, মূল সমস্যা হলো দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কমিশনাররা অনির্বাচিত এবং জনগণের কাছে তাদের কোনো জবাবদিহিতা নেই।
‘তাই তারা এই সমস্যার সমাধান করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। সেদিকে তাদের কোনো গুরুত্ব নেই। তাদের মনোযোগ দুর্নীতিতে লিপ্ত এবং অর্থ সংগ্রহের দিকে।’
ফলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, মেয়র ও দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধিরা ছুটি কাটাতে পরিবার-পরিজন নিয়ে বিদেশে গেছেন বলে জানান তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘জনগণের মেয়র নির্বাচন এবং জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করাই বর্তমান পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায়। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমানকে পরিবর্তন করে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
এর আগে, ২০১৮ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ইশরাক হোসেনের আয়োজনে শমরিতা হাসপাতালে আরেকটি রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ফখরুল।
আরও পড়ুন: সরকার পতনে ছোট-বড় সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ফখরুলের
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল বলেন, ডেঙ্গু শুধু ঢাকায় নয়, সারাদেশে মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে, এতে ৬০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিদিন অনেক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে। শিশুরা সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ায় অসহায় অবস্থায় রয়েছে।’
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ার পর যানজট আরও খারাপ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, শনিবার প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন করা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে রাজধানীর যানজটকে আরও তীব্র করে তুলেছে।
‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এখন মানুষের জন্য একটি সমস্যা। আপনারা যখন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নামছেন, তখন যানজট এত তীব্র হয়ে যায় যে ফার্মগেট দুই ঘণ্টায় পার হওয়া সম্ভব হয় না।’
গত শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর যানজট নিরসনের আশা জাগিয়ে ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সাড়ে ১১ কিলোমিটার বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশের উদ্বোধন করেন।
ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের একটি গুরুতর প্রাদুর্ভাবের মধ্যে, তাবিথ এবং ইশরাক গুরুতর ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার জন্য রক্তের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করেছিল।
আরও পড়ৃন:এক দফার আন্দোলন: শনিবার ঢাকায় গণমিছিল করবে বিএনপি
এক দফার আন্দোলন: শনিবার ঢাকায় গণমিছিল করবে বিএনপি
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে দলের এক দফার যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে গণমিছিল করবে বিএনপি।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, একদফা দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী শনিবার ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ মহানগর শাখার উদ্যোগে পৃথক গণমিছিল করা হবে।
আরও পড়ুন: সরকার পতনে ছোট-বড় সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ফখরুলের
তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ মহানগর শাখার নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর কর্মসূচির সময় ও রুট ঘোষণা করা হবে।
বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম জানান, শনিবার বিকালে বিএনপির ঢাকা মহানগর শাখা পৃথক মিছিল বের করবে এবং বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নয়াপল্টনে গিয়ে শেষ হবে।
রিজভী বলেন, অন্যান্য বিরোধী দল ও জোট যারা বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করে আসছে তারাও একই দিনে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এই কর্মসূচি পালন করবে।
এটি হবে বিরোধী দলগুলোর এক দফা আন্দোলনের ষষ্ঠ কর্মসূচি।
গত ৯ আগস্ট বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো তাদের এক দফা আন্দোলনের শেষ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীতে গণমিছিল করে।
গত ১২ জুলাই বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো দাবি আদায়ে এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দেয়।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে বর্তমান ‘ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী, জনগণের ভোট লুটেরা ও অবৈধ’ আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, বিদ্যমান সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা, অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ সকল রাজনৈতিক রাজবন্দীর মুক্তি, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা ও গায়েবী মামলা প্রত্যাহার এবং সকল মিথ্যা সাজা বাতিল করা।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ এবার আর পার পাবে না: ফখরুল
সরকার পতনে ছোট-বড় সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ফখরুলের
আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন করতে সব বিরোধী দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আজকে বড় দল-ছোট দল-মাঝারি দল …. এটা বড় কথা নয়। বিএনপি নাকি নাগরিক ঐক্য নাকি গণসংহতি আন্দোলন না গণতন্ত্র মঞ্চ… এটা বড় কথা নয়। আমাদের দেশ, আমাদের মানুষ আজকে বিপদগ্রস্ত ও বিপন্ন। এদের অস্তিত্বকে রক্ষা করার আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব নিয়ে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।’
সরকারকে পদত্যাগের বার্তা দিতে সব বিরোধী রাজনৈতিক দলকে গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণভাবে রাজপথের আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান এই বিএনপি নেতার।
তিনি বলেন, ‘আসুন গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণভাবে আমরা আমাদের রাজপথে নেমে পড়ি। যেখান থেকে আমরা উচ্চারণ করব আর নয়…. এক দফা দাবি … তুমি যাও। এনাফ ইজ এনাফ। এখন দয়া করে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে জনগণের একটা রাষ্ট্র, জনগণের একটা পার্লামেন্ট, জনগণের সমাজ তৈরি করবার ব্যবস্থা করে দাও।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান সম্ভব: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব হুঁশিয়ারি দেন, ‘অন্যথায় পালাবার পথ খুঁজে পাবে না… এটা আমি বারবার বলেছি। অতীতে দেখবেন স্বৈরাচারী শাসকেরা কিন্তু পালাবার পথ খুঁজে পায় নাই।’
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) গণতন্ত্র মঞ্চের অংশীদার গণসংহতি আন্দোলনের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল গণসংহতি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নেতা-কর্মীদের অভিনন্দন জানান এবং বলেন, আমি অন্তরের অন্তরস্থল থেকে চাই তারা আরও বিস্তৃত হোক, তাদের সংগঠন আরও বড় হোক। তারা গণমানুষের মধ্যে চলে যাক এবং মানুষকে তারা জাগিয়ে তুলক। সত্যিকার অর্থে একটা শোষণহীন সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলুক।
তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছাড়া এটা সম্ভব নয়। এখন আর একমূহুর্ত দেরি না করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সময় এসেছে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, তাদের ভোট ও অন্যান্য সকল অধিকারের জন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করাও এখন প্রয়োজন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমি খুব আনন্দিত। প্রথমবারের মতো আজকে আমরা এখানে যা্রা আছি কিংবা তার বাইরেও যারা আছেন; আমরা সবাই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এই একটি দাবিতে এক হয়েছি।
তিনি সংসদ ভেঙে দিয়ে এবং সংসদ পুনর্গঠন করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তাদের দলের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন।
ফখরুল আক্ষেপ করে বলেন, তাদের দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া জটিল রোগে ভুগলেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে সরকার তাকে বিদেশে উন্নত কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে দিচ্ছে না।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী বলেন, লাখ রাখ মানুষের রক্তের মধ্যদিয়ে এই রাষ্ট্রটা নির্মাণ হয়েছে। সেই রাষ্ট্র আজকে টিকে থাকবে কিনা সেই ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে বর্তমান শাসকরা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অবৈধ ক্ষমতাকে কুক্ষিগত রাখতে গিয়ে বাংলাদেশকে তার স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের দিক থেকে আজকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে, হুমকির মধ্যে ফেলেছে।
সাকি বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে আমাদের রাষ্ট্রটাকে একটা দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে এবং একটা নিপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে তৈরি করেছে।
তিনি আরও বলেন, তারা শুধু জনগণের অধিকার হরণ করেছে তাই নয়, জনগণের সম্পদ লুট করে এদেশকে দেউলিয়ার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। জনগোষ্ঠির মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে পুরো রাষ্ট্রকে তার অস্তিত্বের দিক থেকে হুমকির মধ্যে ফেলেছে।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুর থেকে ফেরার সময় বিমানবন্দরে হয়রানির অভিযোগ ফখরুলের!
আওয়ামী লীগ এবার আর পার পাবে না: ফখরুল
আওয়ামী লীগ এবার আর পার পাবে না: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ২০১৪ সালের মতো আরেকটি একতরফা জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারের যেকোনো প্রচেষ্টাকে বাংলাদেশের জনগণ প্রতিহত করবে।
তিনি বলেন, এদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এটা আর হতে দেবে না। জনগণ এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলায় আওয়ামী লীগ এবার আর পার পাবে না।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৬তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) উত্তরবঙ্গ ছাত্র ফোরাম ও বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম যৌথভাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে গেলেন মির্জা ফখরুল
এসময় এই বিএনপি নেতা বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং ভোট ও জনগণের হারানো অন্যান্য অধিকার ফিরিয়ে আনতে বিএনপির চলমান এক দফা আন্দোলনকে সফল করার কোনো বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা প্রায়ই বলেন, বিএনপি ষড়যন্ত্র করছে। আপনারা (আ.লীগ) ষড়যন্ত্র করছেন। আপনারা এদেশের জনগণের ভোট দেওয়ার অধিকার কেড়ে নিয়েছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দল কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই আরেকটি একতরফা নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে এবং খালি মাঠে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করছে।
বর্তমান সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ফখরুল।
তিনি বলেন, নতুন প্রাণশক্তি নিয়ে এগিয়ে আসুন এবং সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।
তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই এই দানব সরকারকে প্রতিহত করতে হবে, দমন করতে হবে এবং পরাজিত করতে হবে। এই সরকার আমাদের জাতি এবং আমাদের ভবিষ্যতকে ধ্বংস করছে। আমাদের দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করছে।
তিনি আরও বলেন, আসুন আমরা এগিয়ে যাই ও বিজয় অর্জন করি। আমাদের হাজার হাজার নেতা-কর্মীর ঋণ শোধ করি, যারা তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, বর্তমান আন্দোলনের মুখে সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা করছে। ভয়ে তারা গণতন্ত্রের সৈনিকদের নিবৃত্ত ও দমন করার উপায় খুঁজতে মরিয়া।
তিনি বলেন, তাদের দলের একমাত্র লক্ষ্য বর্তমান আন্দোলনে বিজয় অর্জনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধার করা।
আমাদের এই আন্দোলন থেকে পিছু হটবার কোন উপায় নেই।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনের চেষ্টা করবেন না: মির্জা ফখরুল
মির্জা ফখরুল সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেছেন
খালেদা জিয়ার শারিরীক অবস্থা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার মতো হয়নি: ব্যক্তিগত চিকিৎসক
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, গত ২৬ দিন ধরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের একটি কেবিনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এখনও তার শারিরীক অবস্থা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার মতো নয়।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ডাক্তার ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ম্যাডামকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তারা দিনে দুই বা তিনবার তার সঙ্গে দেখা করছেন, প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করছেন এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য খালেদাকে বিদেশে পাঠানো জরুরি: ফখরুল
জাহিদ জানান, তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের পরামর্শে তার চিকিৎসা করছেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে আরও নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা প্রয়োজন বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। এ কারণে তাকে আরও কয়েকদিন হাসপাতালে থাকতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপার্সন কবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার এখনও হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়ার মতো উন্নতি হয়নি। তাই তাকে আর কত দিন হাসপাতালে থাকতে হবে তা এখনও নির্দিষ্ট করে বলতে পারছে না মেডিকেল বোর্ড।
জাহিদ বলেন, চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে আরও কিছুদিন হাসপাতালে থাকতে হবে।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘খুব ধীরগতিতে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।
মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বলেছেন, তিনি বেশ কিছু জটিল রোগে ভুগছেন এবং তার এখন যা প্রয়োজন বাংলাদেশের কোনো হাসপাতালেই তাকে সঠিক চিকিৎসা দেওয়ার সক্ষমতা নেই।
তিনি বলেন, খালেদার জীবন বাঁচাতে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সুবিধাসহ বিদেশের যেকোনো অত্যাধুনিক চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো জরুরি। তবে আমরা তার অবস্থা যাতে খারাপ না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। কারণ এখানে সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব নয়।
অসুস্থ হয়ে পড়ায় ৯ আগস্ট খালেদাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং এরপর থেকে তিনি হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
আরও পড়ুন: খালেদার অবস্থা আশঙ্কাজনক, বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান ড্যাবের
খালেদা জিয়া ৭৯ বছরে পা দিলেন
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান সম্ভব: ফখরুল
বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধান বিষয়টিকে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বলে অভিহিত করেছেন।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান নিয়ে এক সেমিনারে বক্তৃতায় ফখরুল এ যুক্তি দেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘস্থায়ী রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের জন্য জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আসা একটি নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন।
কারণ এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করবে।
তিনি বলেন, এই সংকট (গণতন্ত্রের অভাব) শুধু বিএনপিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে না, এটি এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা। এর চেয়ে বড় সংকট এর আগে আর আসেনি। আমরা কথা বলতে পারি না, বিচার, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা পাই না... এটা তো চলতে পারে না।
নিউইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পত্রিকাটি স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে যে কীভাবে বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ধীরে ধীরে, গোপনে ও নীরবে হরণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে গেলেন মির্জা ফখরুল
ফখরুল বলেন, এই সেমিনারের মাধ্যমে আমি গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে সকল আন্তর্জাতিক সংস্থা, বিশ্ব সম্প্রদায় ও জনগণকে বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করছি।
বিএনপি এদিন রাজধানীর একটি হোটেলে ‘রোহিঙ্গা সংকট ও প্রত্যাবাসন কৌশল’- শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে।
যেখানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, বিএনপি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সহায়তায় সমস্যার সমাধান করবে।
তিনি বলেন, জনগণের ম্যান্ডেট না থাকায় আওয়ামী লীগ সরকার রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে আওয়াজ তুলতে পারে না। তাই এই সরকারকে অপসারণ না করলে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হবে না।
এই বিএনপি নেতা বলেন, মিয়ানমার থেকে আসা প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে বারবার সহিংসতা ও গুলি চালানোর ঘটনায় উদ্বিগ্ন হওয়ায় তারা রোহিঙ্গা ইস্যুতে এই সেমিনারের আয়োজন করেছেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা উদ্বিগ্ন যে সেখান থেকে উগ্রবাদের উত্থান ঘটছে কিংবা দেশে আবার সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে কি না।
তার মূল বক্তব্যে খসরু বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে চলমান মানবিক ট্র্যাজেডি টেকসই এবং অর্থবহ পদক্ষেপের দাবি রাখে। গণহত্যার ছয় বছর অতিবাহিত হলেও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে প্রত্যাবাসনে অগ্রগতির অভাব গভীরভাবে উদ্বেগজনক ও অগ্রহণযোগ্য। সত্য এই যে আজ পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গা শরণার্থীকেও প্রত্যাবাসন করা যায়নি।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালে একটি ব্যর্থ প্রত্যাবাসন চুক্তির পর মিয়ানমার এখন একটি নতুন চুক্তির অধীনে ১ হাজার ১৭৬ রোহিঙ্গাকে গ্রহণ করতে রাজি হয়েছে।
মিয়ানমারের জান্তা দাবি করে, মংডু শহরের মডেল গ্রামগুলো একটি পাইলট প্রত্যাবাসন প্রকল্পের অংশ।
খসরু বলেন, আমরা এই নতুন প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টাকে একটি ফাঁদ হিসেবে দেখছি, যা শুধুমাত্র বিশ্বের ভুলে যাওয়া সংখ্যালঘুদের একটি নিপীড়নকে স্থায়ী করবে।
তিনি উল্লেখ করেন, বিএনপি ৭০-এর দশকের শেষের দিকে এবং ৯০-এর দশকের শুরুতে দুইবার রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা করেছে। উভয় সময়েই আমাদের দল রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের সামরিক শাসনের ওপর উল্লেখযোগ্য কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে সফল হয়েছে।
খসরু বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে রোহিঙ্গা সংকট সমাধান করা আমাদের জাতীয় ও বৈদেশিক নীতির সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হবে। এই জটিল সংকটের স্থায়ী সমাধানের দিকে নজর দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনের চেষ্টা করবেন না: মির্জা ফখরুল
মির্জা ফখরুল সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেছেন
সিঙ্গাপুর থেকে ফেরার সময় বিমানবন্দরে হয়রানির অভিযোগ ফখরুলের!
সিঙ্গাপুরে এক সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিএনপি মহাসচিব তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
আরও পড়ুন: এবার অবশ্যই শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন হবে: ফখরুল
এসময় বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বিমানবন্দরে আসার পর বিরোধী দলের নেতা হিসেবে তাকে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের মধ্যে যারা বিরোধী দলের সদস্য তাদের দেশের বাইরে যাওয়া ও আসা দুই সময়ই হয়রানির সম্মুখীন হতে হয়। এটা এখন আমাদের জীবনের অংশ হয়ে গেছে। চিকিৎসার জন্য যাওয়া সত্ত্বেও আমাকে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে চিকিৎসার জন্য ৫০ লাখ টাকা নিয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালানোর বিষয়ে সাংবাদিকের মন্তব্য জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, এ ধরনের নোংরা বিষয়ে তিনি কথা বলতে রাজি নন।
তিনি আরও বলেন, সরকার এমন একটি সমাজ তৈরি করেছে যেখানে নোংরামি ছাড়া আর কিছুই নেই। এটা দুঃখের বিষয় যে আমাদের মত রাজনীতিবিদ যারা মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাদের নোংরা বিষয় মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এর উত্তর দেওয়া আমার জন্য বিব্রতকর।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ছাড়া মুক্ত গণমাধ্যম সম্ভব নয়: ফখরুল