বিএনপি
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারকে জনগণের দাবি মানতে হবে: গয়েশ্বর
বিএনপির সিনিয়র নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বলেছেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রশ্নে সরকারকে দেশের ১৮ কোটি মানুষের কাছে মাথা নত করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘দেশের ১৮ কোটি মানুষের সমর্থন নেই এই সরকারের প্রতি... সরকারকে মাথা নত করতে হবে ১৮ কোটি মানুষের কাছে।’
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক দেশগুলো তাদের দায়িত্ব হিসেবে বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যায়বিচার ও জনগণের ভোটাধিকারের পক্ষে আওয়াজ তুলছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর বলেন, সরকার বিদেশিদের কাছে আত্মসমর্পণ করছে কি না তা নিয়ে তাদের দল একদমই উদ্বিগ্ন নয়, কারণ জনগণই সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিদেশিরা মানুষের পক্ষ নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: নিরাপত্তাহীনতায় বাংলাদেশ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক ক্রমান্বয়ে দেশ ছাড়ছে: গয়েশ্বর
বিএনপির অন্যতম জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, তাদের দল গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে এবং বিদেশিরা গণতন্ত্রের কথা বলছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ন্যায়বিচার চাই এবং তারা (বিদেশিরাও) দেশে ন্যায়বিচার চায়। তারা জনগণের অধিকার লঙ্ঘন দেখতে চায় না। তারা মানবাধিকারের কথা বলে এবং হত্যা ও জোরপূর্বক গুমের বিরুদ্ধে তাদের আওয়াজ তোলে...তারা তাদের নিজস্ব বিবেচনা থেকে আমাদের দেশের জনগণের পক্ষে কথা বলছে।’
গয়েশ্বর বলেন, বিএনপি সামাজিক ন্যায়বিচার, বহুদলীয় গণতন্ত্র, জনগণের ভোটের অধিকার এবং তাদের অন্যান্য সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমরা দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে রাজপথে লড়াই করছি।
গয়েশ্বর বলেন, জিয়াউর রহমান ফ্রন্টে ৯মাস যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে জিয়াউর রহমানের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর তার জানাজায় প্রায় ৩০ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল, যা দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নেতৃত্বে বিএনপি নেতা-কর্মীরা জিয়ার শেরেবাংলা নগরের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
তারা জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাতেও যোগ দেন।
আরও পড়ুন: গয়েশ্বরের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শাহজাহান ওমর, আহমেদ আজম খান ও এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম খান, এডভোকেট আবুল মাল আবদুল মুন্না প্রমুখ। ভূঁইয়া, হাবিবুর রহমান হাবিব, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিবুন নবী খান সোহেল, প্রচার বিষয়ক সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দলের বিভিন্ন ইউনিট ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও প্রয়াত রাষ্ট্রপতির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সারাদেশে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করছে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।
জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর একটি স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ১৯ দফা সনদ নিয়ে দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে তাকে হত্যার পর তার বিধবা স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দলের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: ৩০ মাসের বিল বকেয়া, বিএনপি নেতা গয়েশ্বরের বাসার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জিয়ার প্রতি বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে দলটির নেতা-কর্মীরা।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জিয়ার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক তোয়াব খানকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন
তারা জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী; ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শাহজাহান ওমর, আহমেদ আজম খান ও এজেডএম জাহিদ হোসেন; চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, আমানউল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, হাবিবুর রহমান হাবিব; জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী; যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন; হাবিব উন নবী খান সোহেল; প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
দলের বিভিন্ন ইউনিট ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা প্রয়াত রাষ্ট্রপতির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সারা দেশে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।
দিনটি উপলক্ষে সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে বিভিন্ন কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এ উপলক্ষে বিকাল ৩টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে দল ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বর্ণাঢ্য র্যালি বের করার কথা রয়েছে। র্যালিটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রাজধানী মার্কেটের কাছে গিয়ে শেষ হবে।
জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ১৯ দফা সনদ নিয়ে দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে তাকে হত্যার পর তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দলের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন।
দলটি ৪ বার ক্ষমতায় ছিল এবং ২ বার প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করেছে। ২০০৭ সালে এক-এগারোর রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর থেকে ১৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে রয়েছে দলটি।
আরও পড়ুন: ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে নয়া দিল্লির বাংলাদেশ মিশন
ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন
পুলিশ সদস্য হত্যা মামলা: রিজভীসহ বিএনপির ৭ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
পুলিশ কনস্টেবল শামীম হত্যা মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেলসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
অভিযোগ গঠনের ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন- বিএনপির কর্মী আব্দুস সাত্তার, শাহ আলম, আনোয়ার হোসেন টিপু ও আলফাস ওরফে আব্বাস।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) ঢাকার অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক বিলকিস আক্তার আসামিদের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠন করেন।
রিজভীর আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের টানা ১২তম দিনের অবরোধ চলাকালীন রাত পৌনে ৯টার দিকে মৎস্য ভবন এলাকায় ৩০/৪০ জন পুলিশ সদস্যবাহী একটি বাসে দুর্বৃত্তরা পেট্রোলবোমায় নিক্ষেপ করে।
আরও পড়ুন: পুলিশ কর্মকর্তাদের বক্তব্যেই বোঝা যায় আরেকটি একতরফা নির্বাচন হতে যাচ্ছে: রিজভী
এই ঘটনায় কনস্টেবল শামীম, এএসআই আবুল কালাম আজাদ, কনস্টেবল শিপন, মোরশেদ, বক্তিয়ারসহ পুলিশের ১৩ সদস্য আহত হন। পরে কনস্টেবল শামীম ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা যান।
এ ঘটনায় ১৮ জানুয়ারি উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা মডেল থানায় মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১৪ জুলাই সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মো. আলী আক্কাছ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামি আনোয়ার হোসেন টিপু ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন।
টিপু নিউমার্কেট থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হওয়ার জন্য ২০ দলীয় জোটের অবরোধ বেগবান করতে দলের হাইকমান্ডের সুনজরে থাকতে নাশকতার পরিকল্পনা করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
পাশাপাশি আসামি মোহাম্মদ হোসেন নিউমার্কেট থানার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি এবং আসামি সাত্তার নিউমার্কেট থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ার জন্য এ নাশকতার সঙ্গে জড়িত হন।
আরও পড়ুন: স্বৈরাচারী এ সরকারের আমলে কেউই নিরাপদ নয়: রিজভী
রিজভীর বিরুদ্ধে হিরো আলমের ৫০ কোটি টাকার মানহানি মামলা
ইউনূসকে ব্যবহার করে বিএনপির ‘নতুন খেলা’ শুরু: কাদের
বিএনপির আন্দোলনে ভাটা পড়ায় ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে নিয়ে নতুন খেলা শুরু করেছে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের মাটিতে তাদের এই অশুভ খেলা খেলতে দেওয়া হবে না।
বুধবার (৩০ আগস্ট) সচিবালয়ে জাতির পিতার ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ এবং বাংলাদেশ সচিবালয় বহুমূখী সমবায় সমিতি এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি পত্রিকায় প্রকাশিত নোবেল বিজয়ীদের সাম্প্রতিক বিবৃতির পেছনে অর্থের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, পত্রিকায় বিবৃতির জন্য জায়গা পেতে দুই মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে।
আরও পড়ুন: গুমের শিকারদের স্মরণে বুধবার কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি
মন্ত্রী বলেন, তারা আবারও ১/১১-এর স্বপ্ন দেখছে। ড. ইউনূস সে সময় অনেক চেষ্টা করেছিলেন। তার স্বপ্ন পূরণ হয়নি।’
তিনি বলেন, কেউ কেউ ইউনুসের মামলা স্থগিত করতে বলেন, মামলা কীভাবে স্থগিত হবে? মামলার কাগজপত্র, দলিল দস্তাবেজ ঠিক আছে কি না দেখেন। আপনারা হাওয়ায় একটা বিবৃতি ছেড়ে দিলেন। আবার এরসঙ্গে একটু দ্বিধা লাগে, যখন অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করা হয়। তারা বাংলাদেশের নির্বাচনকে বানচাল করতে চান। বাংলাদেশে নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে ভণ্ডুল করতে নতুন প্ল্যাটফর্ম করতে চান। পরিষ্কার বলতে চাই, বাংলাদেশের মাটিতে এই অশুভ খেলা আমরা খেলতে দেব না।
মন্ত্রী বলেন, নোবেল পেয়েছেন বলে কোনো অপরাধ করেও অব্যাহতি পেয়ে যাবেন- এটা কোন দেশের আইনে আছে। শ্রমিকের অর্থ আত্মসাৎ করেন যিনি, তার মতো নোবেল বিজয়ী শ্রেষ্ঠ সন্তানের আমাদের প্রয়োজন কী? শ্রমিকের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্রকারীরা প্রস্তুত হচ্ছে, আমরাও প্রস্তুত আছি : ওবায়দুল কাদের
গুমের শিকারদের স্মরণে বুধবার কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি
আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে বুধবার সারাদেশে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মিছিল বের করবে বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, দেশের সব মহানগর ও জেলা শহরে এ কর্মসূচি পালন করা হবে।
বিকাল ৩টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির মিছিল বের করা হবে। নয়াপল্টনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান এ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন।
রিজভী দাবি করেন, দেশে ইতোমধ্যে জনপ্রতিনিধি, তরুণ, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মীসহ ৬ শতাধিক মানুষ গুমের শিকার হয়েছেন।
আরও পড়ুন: 'আওয়ামী নিপীড়নের শেষ ঘাঁটি আদালত': তারেকের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের আদেশের তীব্র নিন্দা বিএনপির
তিনি বলেন, ‘জোরপূর্বক গুমের শিকার প্রায় ১০০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং অনেককে অনেকদিন পর গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, জোরপূর্বক গুমের শিকার অনেক মানুষ যাদেরকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে, তাদের এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তিনি বিএনপির পক্ষ থেকে জোরপূর্বক গুমের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং ভুক্তভোগী পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গুমের শিকার ব্যক্তিদের অবিলম্বে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিশ্বব্যাপী গুমের অপরাধ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিবছর ৩০ আগস্ট আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: অবিলম্বে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবি বিএনপির
চট্টগ্রামে কমিটি বাতিলের দাবিতে বিএনপির অফিসে তালা, সংবাদ সম্মেলনে আল্টিমেটাম
অবিলম্বে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবি বিএনপির
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান বিচার কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিশ্বনেতা ও নোবেল বিজয়ীদের একটি খোলা চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি তার বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) এক বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জাতির ‘সূর্য সন্তান’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
আরও পড়ুন: নেতাদের চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যাওয়া নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে: বিএনপি
তিনি বলেন, ‘অবিলম্বে তার (ড. ইউনূস) বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, এমনকি ১০০ বছর পরেও জাতি তাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে এবং লজ্জিত হবে এই ভেবে, দেশের সরকার এমন একজন গণ্যমান্য ব্যক্তির সঙ্গে এত খারাপ আচরণ করেছে।
ড. ইউনূস এদেশের একজন বিখ্যাত ব্যক্তি উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, যারা তাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করতে চায়, তারা নতুন করে জন্ম নিলেও তার মতো মর্যাদায় পৌঁছাতে পারবে না।
তিনি বলেন, এই অনিবার্য সত্যটি স্বীকার করুন ও তাকে হয়রানি করা বন্ধ করুন এবং (তার বিরুদ্ধে) মামলা বন্ধ করুন।
এর আগে সোমবার ১০০ জনের বেশি নোবেল বিজয়ীসহ ১৬০জনেরও বেশি বিশ্বনেতা বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সুরক্ষা এবং সুস্থতার বিষয়ে তাদের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন।
চিঠিতে তারা লিখেছেন, ‘আমরা নোবেল পুরস্কার বিজয়ী, নির্বাচিত কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের নেতার পাশাপাশি, বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে লিখছি। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে আপনাদের জাতি যেভাবে প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে আমরা তার প্রশংসা করি।’
চিঠিতে সইকারীরা আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে তারা লিখেছেন, ‘তবে, সম্প্রতি বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি যে হুমকি দেখেছি তাতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা বিশ্বাস করি, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়া এবং দেশের সব বড় দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগের দুটি জাতীয় নির্বাচনে বৈধতার অভাব ছিল।’
আরও পড়ুন: 'আওয়ামী নিপীড়নের শেষ ঘাঁটি আদালত': তারেকের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের আদেশের তীব্র নিন্দা বিএনপির
ব্রিকসে প্রবেশের 'ব্যর্থতা'কে বিএনপি কীভাবে দেখছে
চট্টগ্রামে কমিটি বাতিলের দাবিতে বিএনপির অফিসে তালা, সংবাদ সম্মেলনে আল্টিমেটাম
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি শাখার একটি দলীয় কার্যালয় দখল করে তালা ও চাবি দিয়ে আটকে রেখেছে দলটির স্থানীয় ছাত্র সংগঠনের অসন্তুষ্ট কর্মীরা। যারা চট্টগ্রাম দক্ষিণ ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে স্থান পেতে মরিয়া ছিল।
গত ২৬শে আগস্ট কমিটি ভেঙ্গে দেওয়ার আল্টিমেটাম শেষ হওয়ার পর নগরীর নিউমার্কেট এলাকার কোতোয়ালি রোডের দোস্ত বিল্ডিংয়ে দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।
সদ্য ঘোষিত জেলা আহ্বায়ক কমিটিকে পকেট কমিটি দাবি করে বিক্ষুব্ধরা সংবাদ সম্মেলন করে কমিটি বাতিলে দাবি জানিয়ে আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দকে।
আল্টিমেটাম শেষ হওয়ার পরপরই দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারী ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। পরে দোস্ত বিল্ডিংয়ের নিচে কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করে ‘পদবঞ্চিত’ নেতাকর্মীরা।
জানতে চাইলে দক্ষিণ জেলা ছাত্রদল নেতা জিয়াউল হক জুনায়েদ বলেন, ‘দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের ঘোষিত কমিটিতে যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের স্থান হয়নি। এ কমিটি নিয়ে বাণিজ্য হয়েছে। অযোগ্য ও বিতর্কিত নেতাদের কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে। তাই আমরা এ কমিটি বাতিলের দাবিতে জেলা বিএনপি অফিসে তালা লাগিয়েছি। কমিটি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।’
আরও পড়ুন: ছাত্রদলের সভাপতির পদ থেকে শ্রাবণকে অপসারণ, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল
বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের করা টাকার বিনিময়ে 'পকেট কমিটি' গঠনের অভিযোগের আঙুল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ছাত্রদল বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুলের দিকে।
গত ১১ আগস্ট কেন্দ্রীয় ছাত্রদল ৪২ সদস্যের কমিটি ঘোষণার পর থেকেই এই কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা আন্দোলন করে আসছেন। ওই কমিটিতে রবিউল হোসেন রবিনকে আহ্বায়ক এবং কামরুদ্দিন সবুজকে সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক এনামুল হক এনমান তাদের পছন্দের অনুসারীদের কমিটিতে রেখেছেন, যার ফলশ্রুতিতে এনামের প্রতি অনুগত একটি সংগঠন রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ২ মামলা
নরসিংদীতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত আরেক ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু
'আওয়ামী নিপীড়নের শেষ ঘাঁটি আদালত': তারেকের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের আদেশের তীব্র নিন্দা বিএনপির
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সকল বক্তব্য ও ভিডিও কনটেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরিয়ে নিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) হাইকোর্টের দেয়া আদেশের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এটা প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা পূরণের রায়। হাইকোর্টের দুই বিচারপতি তাদের আওয়ামী চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে এ আদেশ দিয়েছেন।’
সোমবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী সুপ্রিম কোর্টের 'অন্যায্য' আদেশ প্রত্যাখ্যান করেন। ‘আমি এই আদেশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আদালতের এ ধরনের আদেশ ফ্যাসিবাদের আরেকটি নগ্ন বহিঃপ্রকাশ।’
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, সরকার ইউটিউব, ফেসবুকসহ সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে তারেক রহমানের বক্তব্য সম্বলিত সব বক্তব্য ও ভিডিও সরিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ থেকে গণতন্ত্র নির্মূল করতে চায়। এ ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা আদালতকে ব্যবহার করছেন এবং বিচারপতিরা শেখ হাসিনার চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে এই কাজ করেছেন।
আরও পড়ুন: ব্রিকসে প্রবেশের 'ব্যর্থতা'কে বিএনপি কীভাবে দেখছে
এর আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সকল বক্তব্য, ভিডিও বক্তব্য ও কনটেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরিয়ে নিতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
খসরুজ্জামান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রিজভী বলেন, রুল নিষ্পত্তির জন্য বেঞ্চ পরিবর্তনের জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করা হলেও তা উপেক্ষা করে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ‘এটা ন্যায়বিচারের সম্পূর্ণ উপহাস। এ ধরনের আদেশের নামে এটাও প্রহসন।’
তিনি বলেন, হাইকোর্টের এই আদেশের পর শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে বিচার বিভাগের উপর জনগণের কোনো আস্থা থাকবে না। আদালতের এ ধরনের অযৌক্তিক ও পক্ষপাতদুষ্ট রায় নজিরবিহীন, যেসব দেশে আইনের শাসন নেই এবং ফ্যাসিবাদ বিরাজ করছে।
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, সরকার আদালতকে ব্যবহার করে বিরোধী দলের রাজনীতির উপর নিয়ন্ত্রণ রাখছে এবং বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করছে।
তিনি আরও বলেন, 'আমরা শুনেছি, আদালত হচ্ছে জনগণের, দুর্বল ও নিপীড়িতদের শেষ আশ্রয়স্থল। কিন্তু আজ আমরা একই আদালতকে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী নিপীড়নের শেষ ঘাঁটি হিসেবে কাজ করতে দেখছি।
আরও পড়ুন: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে তারেকের বক্তব্য মুছে ফেলতে বিটিআরসিকে হাইকোর্টের নির্দেশ
ব্রিকসে প্রবেশের 'ব্যর্থতা'কে বিএনপি কীভাবে দেখছে
ব্রিকসের সদস্যপদ লাভে বাংলাদেশের ব্যর্থতার জন্য সরকারের 'কূটনৈতিক ব্যর্থতাকে' দায়ী করেছেন বিএনপির সিনিয়র নেতা ডক্টর আবদুল মঈন খান।
তিনি বলেন, ‘এই সরকার শুধু অর্থনৈতিক নয়, কূটনৈতিকভাবেও ব্যর্থ হয়েছে। সরকার ব্রিকসের সদস্য হবে বলে গর্ব করে দক্ষিণ আফ্রিকা যায়। কিন্তু আমাদের সবচেয়ে বন্ধুপ্রতীম দেশ (ভারত) ব্রিকসের সদস্যপদ সম্প্রসারণের বিষয়ে বড় সিদ্ধান্ত নেয় এবং তারা আমাদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছে।’
জোহানেসবার্গে তার সাম্প্রতিকতম শীর্ষ সম্মেলনে পাঁচ দেশের ব্রিকস গ্রুপে (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা) ছয়টি নতুন দেশকে জোটে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। বাংলাদেশসহ অন্তত ২০টি দেশ সদস্যপদের জন্য আবেদন করেছে বলে জানা গেছে।
এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা বলেন, এটা প্রশংসনীয় যে সরকার গত ১৫ বছরে অনেক মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেছে এবং অনেকগুলো বাস্তবায়ন করেছে। ‘কেন আমি তাদের ভালো কাজের জন্য তাদের প্রশংসা করব না? কিন্তু মেগা প্রজেক্টের নামে যে মেগা দুর্নীতি হয়েছে তার কথাও আমাকে বলতে হবে।’
তিনি বলেন, দুর্নীতির মাধ্যমে লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে, এই বাস্তবতা সরকার অস্বীকার করতে পারে না।
সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী এবং বর্তমানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডক্টর মঈন খান আরও বলেছেন, দেশের ভঙ্গুর অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে ব্রিকসে বাংলাদেশকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ‘এটাই বাস্তবতা এবং এটাই সত্য।’
আরও পড়ুন: এক দফা আন্দোলন: রাজধানীতে কালো পতাকা নিয়ে বিএনপির গণমিছিল শুরু
তিনি বলেন, নতুন প্রজন্ম বাংলাদেশকে কবে ব্রিকসের সদস্য হিসেবে দেখবে তা এখন অনিশ্চিত। ‘তবে আমরা বলতে পারি, বিশ্ব যেভাবে আমাদের প্রত্যাখ্যান করছে তা লজ্জাজনক, বাংলাদেশকে (ব্রিকসের) সদস্যপদ দেওয়া হয়নি।’
সোমবাবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে বিএনপিপন্থী সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১ এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সমস্ত বক্তব্য এবং ভিডিও মুছে ফেলার জন্য হাইকোর্টের নির্দেশের বিরোধিতা করেন ডক্টর মঈন। তিনি বলেন, ‘তাকে আপনারা এত ভয় পাচ্ছেন কেন? একজন মানুষকে ভয় পান কেন? কারণ তিনি (তারেক) বাংলাদেশের অধিকাংশ জনগণের কাছে পৌঁছে গেছেন এবং এই সরকার জনগণকে ভয় পায়।’
তিনি অভিযোগ করেন, তাদের দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকেও ‘মিথ্যা’ মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে, কারণ বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের কথা বলে, সরকার তাকে ভয় পায়।
আরও পড়ুন: জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে আর ক্ষমতায় থাকা যাবে না: খসরু
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ (ডিএসএ) বিভিন্ন আইন করে সরকার জনগণের কণ্ঠরোধ করছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, জনগণের কণ্ঠস্বরকে দমিয়ে রাখার জন্য ডিএসএকে সাইবার নিরাপত্তা আইনে (সিএসএ) রূপান্তরিত করার সরকারের পদক্ষেপ 'নতুন বোতলে পুরানো মদ' ছাড়া আর কিছুই নয়।
ড. মঈন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সরকার আর জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিতে পারবে না, কারণ বিরোধীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের সব কালো আইন, অপকর্ম, প্রতারণা ও একদলীয় রাজনীতি উপড়ে ফেলবে।
তাদের দল (বিএনপি) সহিংসতা ও প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করবে।
আরও পড়ুন: নেতাদের চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যাওয়া নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে: বিএনপি
নেতাদের চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যাওয়া নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে: বিএনপি
বিএনপির সিনিয়র নেতা রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেন, তাদের দলের শীর্ষ নেতাদের চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যাওয়া নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, গুরুতর অসুস্থ থাকায় তারা (তিন বিএনপি নেতা) চিকিৎসার জন্য সেখানে (সিঙ্গাপুর) গেছেন।
রবিবার (২৭ আগস্ট) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে দেশ বিরানভূমি হয়ে যাবে: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সংকটাপন্ন অবস্থায় দেড় মাস আগে সিঙ্গাপুরে যান।
তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসও গুরুতর অসুস্থ এবং তাদের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রায়ই সিঙ্গাপুর যেতে হয়।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে অকারণে নানা ধরনের ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে। তারা সেখানে শুধু চিকিৎসার জন্যই গিয়েছেন।
আগামী নির্বাচন নিয়ে সিঙ্গাপুরে বিএনপি নেতাদের বৈঠক নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনার প্রতি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে রিজভী বলেন, এটা সম্পূর্ণ অসত্য ও বানোয়াট।
রিজভী বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও গান এখনো প্রাসঙ্গিক।
তিনি বলেন, নজরুলের কবিতা ও গান বিভিন্ন অধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত মানুষকে তাদের অধিকার ফিরে পেতে ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করে।
দীর্ঘদিন ধরে পেটের সমস্যাসহ একাধিক রোগে ভুগছিলেন বলে শনিবার চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে গেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার পরিবারের তিন সদস্য।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম ও মেয়ে মির্জা সাফারুহও সিঙ্গাপুরে যান।
তিনি তার ঘাড়ের স্নায়ু সমস্যাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতার জন্য মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গত ২৭ জুন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনও ব্রেন টিউমার সমস্যা নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান।
আরও পড়ুন: এক দফা আন্দোলন: রাজধানীতে কালো পতাকা নিয়ে বিএনপির গণমিছিল শুরু
শুক্রবার ঢাকায় কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো