বিএনপি
সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে যাবে না: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিএনপি কোনোভাবেই নির্বাচনে অংশ নেবে না।
রিজভী বলেন, জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচন হলেই কেবল বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে, তার আগে নয়।
আরও পড়ুন: নতুন সমাবেশস্থল নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বিএনপি: রিজভী
শনিবার (৫ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের ডনচেম্বার এলাকায় মহানগর বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সদ্য প্রয়াত মাহমুদুর রহমানের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, এই সরকারের অধীন ‘নিশিরাতের নির্বাচন’ এ বিএনপি অংশ নেবে না। আগে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে।
তিনি বলেন, তারপর পার্লামেন্ট বাতিল করে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। তারপর নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন বিএনপি নির্বাচনে যাবে।
তারেক রহমান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতের রায়ের বিষয়েও সরকারকে দোষারোপ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, এই মামলা ও রায় সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে সরকার এ ধরনের সাজাগুলো দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: মহাসমাবেশের আগে বিএনপির ৫ শতাধিক নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার: রিজভী
মহাসমাবেশের আগে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা রিজভীর
সরকারি কর্মচারীদের সংবিধান অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের আহ্বান ফখরুলের
সংবিধান অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে আবারও ক্ষমতায় যাওয়া চেষ্টা করছে সরকার।
শনিবার (৫ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবীদের সমাবেশে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে আ. লীগ দেশে সংঘাত সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
ফখরুল বলেন, দেশের জনগণ ও সব রাজনৈতিক দল যদি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে একত্রিত হয়, তাহলে সরকারের (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে।
বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ পুরো নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে ক্ষমতায় রয়েছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে পরপর দুইটি সম্পূর্ণ হাস্যকর জাতীয় নির্বাচন করে ক্ষমতায় এসেছে।
তিনি বলেন, তারা আবার স্বপ্ন দেখছে একইভাবে নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসার। প্রতিদিন খবরের কাগজ খুললে দেখবেন ডিসি, এসপিদের বদলি, নতুন পদায়ন এবং প্রশাসনে হাজার হাজার লোকদের পদোন্নতির খবর।
তিনি বলেন, প্রশাসনকে আগের মতো নিয়ন্ত্রণ করে আবারও নির্বাচনের প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করার চিন্তায় তারা এসব করছে। এটা আর হবে না।
তিনি বলেন, অন্যান্য বিরোধী দলের সঙ্গে মিলে জনগণের ভোটাধিকার ও স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নেমেছে বিএনপি।
তিনি বলেন, প্রশাসনে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থায় ও বিচার বিভাগে যারা আছেন সংবিধান ও আচরণবিধির মেনে দায়িত্ব পালনের অনুরোধ করছি।
তিনি আরও বলেন, অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবেন না। বরং জনগণের পক্ষে অবস্থান নিন।
এ ছাড়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের ভোট ও অন্যান্য হারানো অধিকারের জন্য বিরোধী দলের চলমান আন্দোলনে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য তিনি পেশাজীবীদের প্রতি আহ্বান জানান।
দুর্নীতি মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতের ‘নির্দেশিত’ রায়ের প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করে পেশাজীবী পরিষদ।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-ভারতের কথায় মাথা ঘামানোর দরকার নেই: মির্জা ফখরুল
খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন মির্জা ফখরুল
নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-ভারতের কথায় মাথা ঘামানোর দরকার নেই: মির্জা ফখরুল
দেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ভারত কী বলে, তা নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দরকার, আমাদের মানুষ কী বলে। মানুষ খুব পরিষ্কার করে বলছে, বিদায় হও। আর সময় নেই। যেতে হবে। এই সরকারকে যেতেই হবে।’
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শুক্রবার (আগস্ট) আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে আ. লীগ দেশে সংঘাত সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, পৈশাচিক সরকারের বিরুদ্ধে অপ্রতিরোধ্য প্রতিরোধ গড়ে তুলে তাদের অবশ্যই পরাজিত করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের পুরো জাতিকে একত্রিত করে এবং মৃত্যুর ভয়কে সাহসী করে একটি ভয়ানক লড়াই চালিয়ে এই শাসনকে পরাজিত করতে হবে এবং অপসারণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এই সরকারকে সরাতে হবে। আমাদের সামনে বিকল্প কোনো পথ নেই। ফিরে যাওয়ার কোনো পথ নেই। আমাদের অস্তিত্বের জন্য, জাতির অস্তিত্বের জন্য সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
তিনি বলেন, সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, জনগণের সরকার গঠন করতে হবে। বর্তমান শাসনের পতন ঘটলে মিথ্যা মামলা ও তাদের নির্দেশিত রায় টিকবে না। আসুন সবাই সেই সংকল্প নিয়ে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে এগিয়ে যাই।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সরকার বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, জেল, সাজা, এমনকি মৃত্যুদণ্ড দিয়েও বিএনপিকে দমন করতে পারবে না।
তিনি বলেন, আমরা রাস্তায় নেমেছি এবং আমরা আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি। এই শাসনের পতন নিশ্চিত করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ, উত্তর মহানগর ও জেলা ইউনিট।
এদিকে হাজার হাজার নেতা-কর্মী টানা বৃষ্টিতে নয়াপল্টন এলাকায় হাঁটু পানিতে হেঁটে দল ও সহযোগী সংগঠনের সমাবেশে যোগ দেন। দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নয়াপল্টন এলাকায় বৃষ্টির পানিতে জমে যাওয়ায় এক ঘণ্টা দেরি হয়।
এ ছাড়া দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মুখে বিএনপি নেতা-কর্মীরা মিছিলে সমাবেশস্থলে জড়ো হয়ে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। কর্মসূচি শেষ হওয়া পর্যন্ত তারা সেখানে জল এবং বৃষ্টির মধ্যে অবস্থান করে।
বিএনপি মহাসচিব দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে সমাবেশ সফল করার জন্য দলীয় পদমর্যাদা ও ফাইলের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, আমি জানি আপনারা কঠোর পরিশ্রম করছেন। আপনারা এখানে বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন।
তিনি বলেন, পুলিশের অভিযানে আপনারা রাতে ঘুমাতে পারেন না।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার দিনের বেলায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। কিন্তু বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে রাতে তাদের বাড়িতে অভিযান চালায়।
রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার না করে রাজপথে বিএনপির মোকাবিলা করতে ক্ষমতাসীন দলকে আহ্বান জানিয়েছেন এই নেতা।
বিচারের দিনে (কেয়ামতের দিনে) বিচারকরাই আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি জবাবদিহি করবেন উল্লেখ করে তিনি বিচারকদের প্রতি অন্যায়ভাবে শাস্তি না দেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আমাদের নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য আপনাকেও একদিন দেশের জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
ফখরুল বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাট করে বিপুল অর্থ উপার্জন করছে।
বিএনপি নেতা আক্ষেপ করে বলেন, সরকার দেশকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরাও এখন দুর্নীতিতে লিপ্ত হচ্ছেন।
তিনি বলেন, এ বছর ডেঙ্গুতে রেকর্ড সংখ্যক লোক মারা গেছে। কিন্তু সরকার এ নিয়ে কম চিন্তা করছে। কারণ তাদের একমাত্র ফোকাস হচ্ছে কীভাবে নির্বাচন ছাড়াই আবার ক্ষমতায় আসা যায়।
তিনি আরও বলেন, আমরা তাদের এটি করতে দেব না।
এর আগে গত বুধবার ঢাকার একটি আদালত ২০০৭ সালের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা একটি দুর্নীতির মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছরের কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এই রায় দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বিএনপির। এর প্রতিবাদে দেশব্যাপী প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষণা ডাক দেয় দলটি।
আদালতের রায়ের প্রতিবাদে বিএনপির অন্যান্য মহানগর ও জেলা শাখাও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করেছে।
আরও পড়ুন: ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক
খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন মির্জা ফখরুল
বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ গ্রেপ্তার
বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ও দলের বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদকে বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গত ২৯ জুলাই রাজধানীতে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে সহিংসতার ঘটনায় করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সালাহউদ্দিনের ছেলে ও ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন জানান, আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় হানিফ ফ্লাইওভারে সালাহউদ্দিনসহ ছয়জনকে ডিবি পুলিশের একটি দল গ্রেপ্তার করে।
তিনি বলেন, ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় শনিবারের অবস্থান কর্মসূচিতে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা বিভিন্ন মামলায় তার বাবাকে সর্বোচ্চ আদালত আগাম জামিন দিয়েছেন।
যোগাযোগ করা হলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, তারা যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে সালাউদ্দিন আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছে।
তিনি বলেন, গত ২৯ জুলাই বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচি চলাকালে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদলসহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং তিনটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।
হারুন বলেন, এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় চারটি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়েছে: অভিযোগ ছেলের
তিনি আরও বলেন, চারটি মামলার মধ্যে দুইটিতে সালাহউদ্দিন এক নম্বর আসামি, অন্য দুটি মামলারও আসামি। এসব মামলায় ডিবি (ওয়ারী বিভাগ) তাকে গ্রেপ্তার করেছে এবং আমরা তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এদিকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, সরকারের চলমান দমন-পীড়ন ও গ্রেপ্তারের সর্বশেষ শিকার সালাহউদ্দিন আহমেদসহ বিএনপির ছয় নেতাকর্মী।
তিনি বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) ডিবি পুলিশ তাদের অন্যায়ভাবে তুলে নিয়েছে। অবৈধ সরকার তাদের অপকর্ম ঢাকতে চায় গ্রেপ্তার ও হামলা দিয়ে।’
অন্য গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপির ৬২ নম্বর ওয়ার্ডের নেতা এম শাহিন, শাহআলম মুন্সি, আবির হোসেন, নিয়ামুল হক, ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড ইউনিটের সদস্য নয়ন ও সালাহউদ্দিনের গাড়িচালক এম কাজল।
রিজভী বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবি করেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির মহাসমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ২৮ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত ৪০৬ বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে সরকার।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে ফেরার জন্য বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে সরকার
বিএসপিএ'র কাজী সালাহউদ্দিনের সাম্মানসূচক সদস্যপদ স্থগিত
ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগকে ব্যবহার করছে সরকার: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার বিরোধী দল দমন-পীড়নে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার সবচেয়ে বড় অস্ত্র হিসেবে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন, ‘এই ফ্যাসিবাদী সরকার বিচার বিভাগকে এর প্রধান ও বড় অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।’
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘সরকার বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে জনগণের মৌলিক, গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গণতন্ত্রকামী জনগণের আন্দোলন ও সংগ্রাম রুখে দিতে বিচার বিভাগের চরম হয়রানি ও দমন-পীড়নের শিকার হতে হচ্ছে।’
তিনি বলেন, সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে জাতিকে সীমাহীন সহিংসতা ও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ‘হামলার’ বিষয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের জানাল বিএনপি
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং চলমান আন্দোলনকে বানচাল করার উদ্দেশ্যেই আদালত তার বিরুদ্ধে 'নির্দেশিত' রায় দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তবে এভাবে আন্দোলন কখনো দমন করা বা থামানো যাবে না। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত জনগণ ঘরে ফিরবে না।’
ফখরুল বলেন, জুবাইদা রহমানের রাজনীতির সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা না থাকলেও তাকে 'মিথ্যা' মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, সব মামলায় তারেক রহমানকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। একই ধরনের মামলায় আওয়ামী লীগ নেতারা খালাস পেয়েছেন।
২০০৭ সালের এক-এগারো’র রাজনৈতিক পরিবর্তনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা ১৫টি দুর্নীতির মামলা বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে প্রত্যাহার করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: তারেক-জুবাইদার কারাদণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবার দেশব্যাপী বিএনপির সমাবেশ
তিনি বলেন, ‘এ কারণেই আমরা বলছি, তারা (সরকার) আসলে তাদের ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য আদালত ও বিচার বিভাগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে দোষী সাব্যস্ত করে ‘মিথ্যা’ মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এটা বিস্ময়কর যে বিচারিক আদালত তাকে (খালেদা জিয়া) ৭ বছরের সাজা দিয়েছেন এবং উচ্চ আদালত তা বাড়িয়ে ১০ বছর করেছেন। তবে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা একই ধরনের মামলায় জামিন ও খালাস পেয়েছিলেন এবং এমনকি এখন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।’
ফখরুল অভিযোগ করেন, বিচার বিভাগের পাশাপাশি সরকার সত্যকে দমন করতে এবং তাদের বক্তব্যকে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে গণমাধ্যমকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।
বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের উপর ছাত্রলীগের হামলার তীব্র নিন্দা জানান তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে ছাত্রলীগের ‘ক্যাডাররা’ নুরের উপর জঘন্য ও অমানবিকভাবে হামলা চালিয়ে তাকে আহত করেছে।
নুরের বাসভবনে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অভিযানের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো সভ্য দেশে এ ধরনের ঘটনা চলতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলন শেষে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নুরুল হক নুরকে দেখতে যান ফখরুল। সেখানে তিনি নুরের সঙ্গে কথা বলেন এবং চিকিৎসকদের কাছে তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়েছে: অভিযোগ ছেলের
বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়েছে: অভিযোগ ছেলের
বিএনপির বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন তার ছেলে ও বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুপুর দেড়টায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী (হানিফ উড়ালসড়ক সড়ক) থেকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি বলেন, আদালত থেকে আগাম জামিন পেয়ে বাড়ি ফেরার সময় তাকে তুলে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়েছে: অভিযোগ ছেলের
তানভীর বলেন, ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে শনিবারের অবস্থান কর্মসূচিতে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা বিভিন্ন মামলায় সালাহউদ্দিন আগাম জামিন পেয়েছেন।
তিনি জানান, এরপর থেকে তার বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ‘হামলার’ বিষয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের জানাল বিএনপি
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তারেক-জুবাইদার বিরুদ্ধে দুর্নীতির রায়: বিএনপি
তারেক-জুবাইদার কারাদণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবার দেশব্যাপী বিএনপির সমাবেশ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ের প্রতিবাদে শুক্রবার রাজধানীসহ সারাদেশে সমাবেশ করবে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে দলের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিট এবং ঢাকা জেলা ইউনিটের আয়োজনে সমাবেশ শুরু হবে।
ফখরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে বেআইনি ও অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার পরপরই হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছে।’
তিনি বলেন, তাদের দলের সব মহানগর ও জেলা ইউনিট আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানাতে সমাবেশ করবে।
মহানগরের বিষয়ে তিনি বলেন, দলের জেলা ইউনিটগুলো সিটি ইউনিটের সঙ্গে যৌথভাবে সমাবেশের আয়োজন করবে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ‘হামলার’ বিষয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের জানাল বিএনপি
এর আগে বুধবার ২০০৭ সালের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা একটি মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নয় বছর ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার একটি আদালত।
লন্ডনে অবস্থানরত তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে এ রায় দেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামান।
একই সঙ্গে তারেককে ৩ কোটি টাকা ও জুবাইদাকে ৪৫ লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালত।
রায় ঘোষণার কয়েক মিনিট পর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলু, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, আবদুস সালাম ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে নয়াপল্টন এলাকায় বিক্ষোভ করেন বিএনপির অনুসারীরা।
রায়ের প্রতিবাদে বিএনপির বিভিন্ন নগর ও জেলা শাখাও একই ধরনের বিক্ষোভ করেছে।
নয়াপল্টনে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম শুক্রবার নয়াপল্টনে সমাবেশ করার ঘোষণা দেন।
এ ছাড়া বৃহস্পতিবার সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল ও ছাত্রদল।
আরও পড়ুন: তারেক-জুবাইদার কারাদণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবার ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তারেক-জুবাইদার বিরুদ্ধে দুর্নীতির রায়: বিএনপি
রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ‘হামলার’ বিষয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের জানাল বিএনপি
দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং রাজধানীর প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচিতে 'হামলা' সহ আরও কিছু বিষয়ে ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিকদের অবহিত করেছে বিএনপি।
বুধবার (০২ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর একটি হোটেলে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা কূটনীতিকদের এসব বিষয়ে অবহিত করেন।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানি, চীন ও রাশিয়াসহ প্রায় ২৫টি দেশের কূটনীতিকরা প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে অংশ নেন।
এ সময় বৈঠকে মির্জা ফখরুল ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে আমির খসরু সাংবাদিকদের বলেন, তারা বর্তমান রাজনৈতিক ঘটনা, বিশেষ করে গত ২৯ জুলাই বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের সশস্ত্র ক্যাডারদের 'যৌথ' হামলার বিষয়ে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের অবহিত করেছেন।
আরও পড়ুন: তারেক-জুবাইদার কারাদণ্ডের রায়ের প্রতিবাদে শুক্রবার ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ
তিনি বলেন, 'আমরা আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়ার কথাও বলেছি। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে এবং বাংলাদেশে গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা ও মানবাধিকার দেখতে চায়, তাদের এসব বিষয় জানা দরকার। আমরা বুধবার ব্রিফিংয়ে কূটনীতিকদের এসব বিষয় জানিয়েছি।
আমির খসরু বলেন, বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা জানতে চেয়েছেন আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ কোন দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারি কর্মকর্তাদের যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল, সরকার সেভাবেই ব্যবহার শুরু করেছে, তা আমরা বলেছি।
খসরু বলেন, গত ২৮ ও ২৯ জুলাই রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের 'সন্ত্রাসী' হামলা, গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের ঘটনা সম্পর্কে তারা বিদেশি কূটনীতিকদের বিস্তারিতভাবে অবহিত করেন।
তিনি বলেন, তারা বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের বলেছেন, যারা হামলা ও নিপীড়নের শিকার হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধেই মামলা করা হয়েছে। এমনকি হজ পালনের জন্য বিদেশে বা সৌদি আরবে অবস্থানরত অনেকের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। তাদের (সরকারের) উদ্দেশ্য পরিষ্কার। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে নির্বাচনে ভোটচুরির কৌশলের অংশ হিসেবে জনগণকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ক্ষমতা দখল করা।
তিনি বলেন, দেশ-বিদেশে এখন এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তারেক-জুবাইদার বিরুদ্ধে দুর্নীতির রায়: বিএনপি
তারেক-জুবাইদার কারাদণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবার ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ
দুর্নীতির মামলায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতের রায়ের প্রতিবাদে শুক্রবার রাজধানীতে সমাবেশ করবে বিএনপি।
বুধবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখার আহ্বায়ক আবদুস সালাম।
তিনি জানান, শুক্রবার দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু হবে।
আরও পড়ুন: আ.লীগ বাংলাদেশকে ‘ডিপ স্টেটে’ পরিণত করেছে: ফখরুল
এর আগে তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে আদালতের রায়ের প্রতিবাদে নয়াপল্টন এলাকায় বিক্ষোভ করেন বিএনপির শত শত নেতাকর্মী।
বুধবার দুপুর ১টা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতিতে বিএনপি নেতাকর্মীরা এলাকায় জড়ো হতে শুরু করে।
আদালতের রায় ঘোষণার পর বিকাল ৪টা ৫ মিনিটে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলু, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, আবদুস সালাম ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ দলের সিনিয়র নেতাদের নেতৃত্বে নয়াপল্টন থেকে নাইটিঙ্গেল ক্রসিংয়ের দিকে মিছিল বের করেন বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা।
তারা ‘শেখ হাসিনার রায়’ মানি না বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: তারেক-জোবাইদার কারাদণ্ডের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিএনপির বিক্ষোভ
২০০৭ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা একটি মামলায় তারেককে ৯ বছরের কারাদণ্ড এবং জোবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামান দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক ও জোবাইদার বিরুদ্ধে এ রায় দেন।
একই সঙ্গে তারেককে ৩ কোটি টাকা ও জোবাইদাকে ৪৫ লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালত।
এদিকে বিএনপিপন্থী একদল আইনজীবীও সকাল থেকে ঢাকা কোর্ট এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন।
এর আগে মঙ্গলবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আশঙ্কা করেছিলেন, সরকারের নীলনকশা অনুযায়ী দুর্নীতি মামলার ‘আজ্ঞাবহ’ রায়ে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের সাজা হতে পারে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তারেক-জুবাইদার বিরুদ্ধে দুর্নীতির রায়: বিএনপি
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তারেক-জুবাইদার বিরুদ্ধে দুর্নীতির রায়: বিএনপি
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতের দেওয়া রায় প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি।
বুধবার (২ আগস্ট) বিএনপি বলেছে, চলমান এক দফা আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এই রায় দেওয়া হয়েছে।
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দেশের জনগণ বিচারের নামে বিদ্বেষমূলক প্রহসন প্রত্যাখ্যান করেছে। এই রায়ে সরকার প্রধানের প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, তাদের বর্তমান আন্দোলন যখন দাবানলের মতো সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে, তখন জনগণকে বিভ্রান্ত করার কৌশল হিসেবে এই রায় দেওয়া হয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘চলমান আন্দোলন নেতৃত্বহীন করতে আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে প্রতিশোধ নেওয়া হয়েছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড দিয়ে বিএনপির চলমান আন্দোলন দমন করা যাবে না। আমরা এই রায়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তাদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ মামলায় সাজা প্রত্যাহারের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন:বিএনপির আন্দোলনে আ.লীগ গুগলিতে বোল্ড আউট হয়ে গেছে: ফখরুল
ফখরুল অভিযোগ করেন, ‘আদালতে প্রায় ৪৯ লাখ মামলা বিচারাধীন। অথচ এই মামলার কার্যক্রম দ্রুত গতিতে সম্পন্ন হয়েছে, যাতে বোঝা যায় শেখ হাসিনার নির্দেশেই এই রায় দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, এই রায় বিচার বিভাগের রাজনীতিকরণের আরেকটি উদাহরণ। ‘এই নির্দেশিত রায় দেশের গণতন্ত্রকে বিলুপ্ত করার ক্রমাগত ষড়যন্ত্রের অংশ।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ বাংলাদেশকে ‘ডিপ স্টেটে’ পরিণত করেছে: ফখরুল
এর আগে ২০০৭ সালের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা একটি মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছর ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার একটি আদালত।
ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামান লন্ডনে অবস্থানরত তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে এ রায় দেন।
একই সঙ্গে তারেককে ৩ কোটি টাকা ও জুবাইদাকে ৪৫ লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালত।
আরও পড়ুন: তারেক-জোবাইদার কারাদণ্ডের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিএনপির বিক্ষোভ