বিএনপি
নতুন সমাবেশস্থল নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বিএনপি: রিজভী
বিএনপি গোলাপবাগ মাঠে তাদের পরিকল্পিত জনসভা করবে কি করবে না সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার (২৬ জুরাই) বিকাল সাড়ে ৫টায় নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, ‘জনসভাস্থলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ বিকাল ৪টায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বৈঠকে বসেন, কিন্তু এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
আজ রাত সাড়ে ৮টায় দলের চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জানান তিনি।
তাদের সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও নয়াপল্টনের পরিবর্তে নতুন ভেন্যু বেছে নিতে ডিএমপির পরামর্শে বৈঠকে বসে দলটি।
এর আগে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, পুলিশ এখনো বিএনপিকে নয়াপল্টন বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি। বৃহস্পতিবার কর্মদিবস হওয়ায় গোলাপবাগ মাঠ বা অন্য কোনো মাঠে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ করার পরামর্শ ডিএমপির
নয়াপল্টন এলাকায় দাঙ্গা-গাড়ি ও জলকামানসহ বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
বিকাল ৫টার দিকে বিএনপির কয়েকশ নেতাকর্মী দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হলেও পরে দলের সিনিয়র নেতাদের নির্দেশে তারা এলাকা ছেড়ে চলে যান।
সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টন বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার আগ্রহ জানিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে (ডিএমপি) চিঠি দেয় বিএনপি।
এর আগে ডিএমপি প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে জনদুর্ভোগের কারণ সৃষ্টি না করে তাদের কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, কারণ ভবিষ্যতে তারা জনদুর্ভোগের কারণ হলে রাজনৈতিক সমাবেশ নিষিদ্ধ করতে বাধ্য হতে পারে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ মোট ৯টি রাজনৈতিক দল ২৭ জুলাই রাজধানীতে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ডিএমপিকে চিঠি দিয়েছে। তবে কয়েকটি দলকে অনুমতি দেওয়া হবে।
তাজিয়া মিছিলে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক সমাবেশ করা রাজনৈতিক দলগুলোর গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ডিএমপির দায়িত্ব।
এর আহে শনিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে তাদের এক দফা দাবিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তাদের যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে দুপুর ২টায় রাজধানীতে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হলে ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সমাবেশ নিষিদ্ধ হতে পারে: ডিএমপি কমিশনার
আন্দোলনে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে দায় বিএনপিকেই নিতে হবে: কাদের
বিএনপিকে গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ করার পরামর্শ ডিএমপির
জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে পুলিশ বিএনপিকে তাদের ডাকা সমাবেশ নয়াপল্টন বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পরিবর্তে গোলাপবাগ মাঠে বা অন্য কোনো স্থানে করার পরামর্শ দিয়েছে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
বুধবার তিনি এই পরামর্শ দেয়ার কথা বলেন।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘পুলিশ এখনো বিএনপিকে নয়াপল্টন বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়নি। বৃহস্পতিবার কর্মদিবস হওয়ায় আমরা তাদের গোলাপবাগ মাঠ বা অন্য কোনো মাঠে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপি কার্যালয়ে হামলা-অগ্নিসংযোগ: ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
এর আগে সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টন বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার কথা জানিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে (ডিএমপি) চিঠি দেয় বিএনপি।
এর আগে খন্দকার গোলাম ফারুক রাজনৈতিক দলগুলোকে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না কর তাদের কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান। কারণ ভবিষ্যতে তারা জনদুর্ভোগের কারণ হলে রাজনৈতিক সমাবেশ নিষিদ্ধ করতে বাধ্য হতে পারে।
আরও পড়ুন: ‘সীমান্তে অস্ত্র মজুদ’ করার কাদেরের অভিযোগ আন্দোলন বানচালের ষড়যন্ত্র: ফখরুল
আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ মোট নয়টি রাজনৈতিক দল ২৭ জুলাই রাজধানীতে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ডিএমপিকে চিঠি দিয়েছে। তবে কয়েকটি দলকে অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানান ডিএমপি প্রধান।
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে তাজিয়া মিছিলের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক সমাবেশ করা রাজনৈতিক দলগুলোর গণতান্ত্রিক অধিকার, তবে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ডিএমপির দায়িত্ব।
শনিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে তাদের এক দফা দাবিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তাদের যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে দুপুর ২টায় রাজধানীতে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন মির্জা ফখরুল
খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন মির্জা ফখরুল
রাজধানীতে বিএনপির নির্ধারিত মহাসমাবেশের মাত্র ২ দিন আগে দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) রাত ৮টায় তিনি রাজধানীর গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবনে যান এবং তার সঙ্গে প্রায় ৪০ মিনিট বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত মির্জা ফখরুল
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ফখরুল বিএনপি চেয়ারপার্সনের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।
দলীয় সূত্র জানায়, বিএনপি মহাসচিব বৃহস্পতিবারের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে দলের পরিকল্পনা সম্পর্কে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে অবহিত করেন। এ বিষয়ে ফখরুলকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দেন বিএনপি চেয়ারপার্সন।
মির্জা ফখরুল সর্বশেষ গত ৮ জুলাই বিএনপি চেয়ারপার্সনের সঙ্গে দেখা করে এক দফা দাবির কথা জানান।
গত ২২ জুলাই এক দফা দাবিতে রাজধানীতে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব।
সমাবেশস্থলের জন্য নয়াপল্টন বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান চেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাছে আবেদন করেছে দলটি।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য `অপ্রত্যাশিত’: মির্জা ফখরুল
আ.লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে: মির্জা ফখরুল
‘সীমান্তে অস্ত্র মজুদ’ করার কাদেরের অভিযোগ আন্দোলন বানচালের ষড়যন্ত্র: ফখরুল
'সীমান্তে অস্ত্র মজুদ করার' ক্ষমতাসীন দলের অভিযোগকে প্রত্যাখান করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর বলেছেন, এটি সরকারবিরোধী আন্দোলন ও বৃহস্পতিবারের মহাসমাবেশ বানচালের নতুন চক্রান্ত।
তিনি বলেন,‘তারা (সরকার) গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য জনগণের উত্থান এবং রাজনৈতিক আন্দোলন ঠেকাতে নতুন চক্রান্ত শুরু করেছে। জনাব ওবায়দুল কাদের এক বৈঠকে বলেছেন, বাংলাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য বিএনপি সীমান্তে অস্ত্র মজুত করছে।’
মঙ্গলবার ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ -এ বাংলাদেশ ইউনাইটেড লইয়ার্স শাখার আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ‘কাপুরুষ’ আওয়ামী সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনকে ভয় পায়: ফখরুল
বিএনপি নেতা বলেন, জনগণ যখন জেগে উঠে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু করছে, তখন ক্ষমতাসীন দলের নেতা এই ভয়ঙ্কর মন্তব্য করেছেন।
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘তারা (আ.লীগ) নতুন ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করছে। আমরা এটা পরিষ্কার করে দিতে চাই যে আপনারা যদি আবার জনগণের বিরুদ্ধে অস্ত্র ব্যবহার করেন তবে আপনাদেরকে সমস্ত দায়ভার বহন করতে হবে। জনগণও এর জবাব দেবে।’
ফখরুল বলেন, বৃহস্পতিবার রাজধানীতে তাদের দলের মহাসমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে। ‘কোন ষড়যন্ত্র এবং সহিংসতার পথ অবলম্বন করে এই সমাবেশকে ব্যর্থ করা যাবে না বলেও তিনি অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।’
আরও পড়ুন: পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে আ. লীগ দেশে সংঘাত সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি যাতে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিতে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
অন্যথায় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনো খারাপ ঘটনা ঘটলে সরকার, কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক মতবিনিময় সভায় বলেন, বিএনপি সহিংসতার মাধ্যমে নির্বাচন বানচালের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা অভিযোগ করে বলেছিলেন, তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায়। কিন্তু বিএনপি, যারা জনসমর্থনে বিশ্বাস করে না, তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করছে।’
দেশ ও জনগণকে দুঃশাসনমুক্ত করতে বিরোধী দলগুলোর চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শরিক হওয়ার জন্য আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানান ফখরুল। ‘জনগণের জন্য একটি কল্যাণ রাষ্ট্র গড়তে বাংলাদেশের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধের মতো আরেকটি যুদ্ধ করতে হবে। আসুন আমরা সবাই সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাই।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপি কার্যালয়ে হামলা-অগ্নিসংযোগ: ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সরকার জনস্বার্থকে তোয়াক্কা করে না: তাবিথ আউয়াল
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও গত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল বলেছেন, বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই এরা জনস্বার্থকে তোয়াক্কা করে না, যেকোন প্রাকৃতিক ও অন্যান্য দুর্যোগ রোধে এই জনবিচ্ছিন্ন সরকার সবসময়ই উদাসীন থাকে।
তিনি বলেন, সরকার শুরু থেকেই ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি এত ভয়াবহ রূপ নিতো না। এত লোকের প্রাণহানি ও ডেঙ্গু জ্বর ছড়াতো না।
আরও পড়ুন: বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের ওপর হামলা
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুরে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে বিএনপির উদ্যোগে রাজধানীতে লিফলেট বিতরণকালে পথসভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তাবিথ আউয়াল এ কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর উত্তরের ইব্রাহিমপুর পুল পাড়, উত্তর কাফরুল, দক্ষিণ কাফরুল, শেওড়াপাড়া মেইন রোড, তালতলা বাসস্ট্যান্ড, মহাখালীর আইপিএইচ মসজিদ ও বাউন্ডারি বস্তি, টেমো, সাততলা বস্তি, ওয়ারলেস গেইট, বেলতলা বস্তি, কড়াইল বাজার মাঠসহ অন্যান্য স্হানে সারাদিনব্যাপী লিফলেট বিতরণ করেন তাবিথ আউয়াল।
লিফলেট বিতরণকালে এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য আহসানুল্লাহ চৌধুরী হাসান, গোলাম কিবরিয়া মাখন, কাফরুল থানা বিএনপির আহবায়ক একরাম হোসেন বাবুল, যুগ্ম আহবায়ক আকরামুল হক, সাব্বির দেওয়ান জনি, যুবদল নেতা হাবিবুর রহমান রাব্বি, ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাএদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ নাসির,বিএনপি নেতা আশরাফুল ইসলাম জাহান, জাসাস কেন্দীয় নেতা মাজহারুল ইসলাম খান পায়েল, ছাএদল নেতা আক্তার হোসেন মামুন,সারোয়ার আলম পিয়াস, ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এস এম আনসার আলীও সাধারন সম্পাদক হাবিব দেওয়ান, ১৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক হোসেন, ১৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবু হানিফসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: সরকার দুর্যোগ সৃষ্টি করে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি আড়াল করতে চাচ্ছে: তাবিথ আউয়াল
নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপের অপেক্ষায় আছি: তাবিথ আউয়াল
চট্টগ্রামে বিএনপি কার্যালয়ে হামলা-অগ্নিসংযোগ: ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রাম মহানগরীর কাজীর দেউড়িতে বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে বিএনপি। ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে নাসিমন ভবনের কেয়ারটেকার কাজী মাহমুদ হোসেন বাদী হয়ে মহানগর হাকিম জুয়েল দেবের আদালতে মামলাটি করেন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি, নগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনোয়ারুল আলম চৌধুরী নোবেল, চান্দঁগাও এলাকার মোজাফফর মিয়ার ছেলে আবু খৈরাম তৈয়ব, খুলশি থানা এলাকার জ্যেতি লাল দাশের ছেলে গোবিন্দ দাশ, একই থানা এলাকার মো. আজিমের ছেলে মো. তুষার ও শাহ্ আলমের ছেলে ব্ল্যাক হৃদয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপির কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ
পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে আ. লীগ দেশে সংঘাত সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, ২৭ জুলাই রাজধানীতে বিরোধী দলের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দল তাদের পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ক্ষমতাসীন দল ও সহযোগী সংগঠনের উসকানিমূলক পদক্ষেপের কারণে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার জন্য সরকার দায়ী থাকবে।
সোমবার (২৪ জুলাই) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি মাঠে নেমেছে, অধিকার আদায় করেই ঘরে ফিরবে : মির্জা ফখরুল
বিএনপি নেতা বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন এই অবৈধ সরকারের মন্ত্রীরা বেশ কয়েকদিন ধরে গুরুতর হুমকি দিচ্ছেন। এ ছাড়া সরকারের বিশেষ ব্যক্তিরা উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন, উসকানিমূলক কাজও করছেন।
তিনি বলেন, নগরীতে ২৪ জুলাই যুবলীগের সমাবেশ ছিল। কিন্তু বিএনপির মহাসমাবেশের কারণে তারা সেটি পিছিয়ে ২৭ জুলাই নির্ধারণ করেছে।
তিনি বলেন, এটা স্পষ্ট যে তারা এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করতে চাচ্ছে যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
ফখরুল আরও বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা সন্ত্রাসীদের মতো ভাষা ব্যবহার করছেন। তবে দেশের জনগণ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
তিনি বলেন, তাদের দল শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিকভাবে তাদের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। যদিও সম্প্রতি তাদের দুই নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে এবং অনেককে হামলা ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, আমরা আশা করি আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ একটি ভয়াবহ সংঘাতময় পরিস্থিতি এড়াবে এবং সরকার তা নিশ্চিত করবে।
তাদের সমাবেশের স্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা কর্মসূচির বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে জানিয়েছেন। শিগগিরই সমাবেশস্থলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে।
ফখরুল আশা প্রকাশ করেন, ডিএমপি কর্তৃপক্ষ তাদের গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ সফল করতে বিএনপিকে সহযোগিতা করবে।
বিএনপি নেতা বলেন, চলমান এক দফা আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের পতন নিশ্চিত করার বার্তা দেবে তারা।
তিনি বলেন, এটি জনগণের আন্দোলন এবং আমি অবশ্যই এই আন্দোলন সফল করব।
মহাসমাবেশ সফল করতে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠন এবং ঢাকাসংলগ্ন বিভিন্ন জেলা ইউনিটের যৌথসভা শেষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে চায়।কারণ তারা ভালো করেই জানে যে তারা বৈধ নয়।
তিনি আরও বলেন, তারা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে দমন-পীড়নের মাত্রা বাড়াচ্ছে।
সবচেয়ে খারাপ বিষয় হলো- তারা আমাদের কথা বলার, মতামত প্রকাশ করার এবং সমাবেশ ও সভা করার সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক
আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, হাসিনার সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেব না: মির্জা ফখরুল
বিরোধী দল দমনে সরকারের ডিজিটাল অস্ত্র ‘ইন্টারনেট বন্ধ’: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, বিরোধী দলের আন্দোলন দমন করতে ‘ইন্টারনেট বন্ধ’কে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে সরকার।
রবিবার (২৩ জুলাই) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনকে (বিটিআরসি) আধুনিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে জনগণকে দমন করতে। তাদের নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট ব্যবহারের অধিকার থেকে বঞ্চিত এবং তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করছে সরকার।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের ভয়ে জনগণের অবিরাম ইন্টারনেট ব্যবহারের অধিকার এবং তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়ার জন্য সরকার একটি নতুন ডিজিটাল অস্ত্র হিসেবে ইন্টারনেট বন্ধ করছে।’
তিনি আরও বলেন, বিরোধী নেতাদের স্মার্টফোন পর্যবেক্ষণ, তাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন এবং তাদের সেল ফোন চেক করাসহ বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে সরকার। ‘আমরা ডিজিটাল প্রযুক্তির অপব্যবহারের তীব্র প্রতিবাদ করি।’
ফেনীতে মঙ্গলবার সংঘর্ষের ঘটনায় আরও একটি মামলায় ১ হাজার ৬৫১ জন বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘কাপুরুষ’ আওয়ামী সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনকে ভয় পায়: ফখরুল
শুধু বিএনপি নেতা-কর্মীই নয়, মুক্তচিন্তার মানুষও এর মাধ্যমে হয়রানির শিকার হওয়ায় সরকারের কাছে অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) বাতিলের দাবি জানান বিএনপি নেতা।
‘ইন্টারনেট বন্ধের ঘটনাগুলো নাগরিক অধিকারের ভয়ানক লঙ্ঘন। এটি হত্যা ও জোরপূর্বক গুমের মতো অপরাধ,’ –বলেন ফখরুল।
ফখরুল বলেন, একজন ব্যক্তি যখন গুমের শিকার হন, তখন একজনই হারিয়ে যান। কিন্তু কোথাও ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে গেলে দেশ-বিদেশের কোটি কোটি মানুষ এর শিকার হয়। অনলাইনে মানুষের অস্তিত্ব মুছে ফেলা একটি হত্যার মতোই অপরাধ। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ শাসন ক্রমাগত এই অপরাধ করে চলেছে।
ইন্টারনেট বন্ধসহ সব ধরনের ডিজিটাল নির্যাতনের প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপির মিডিয়া সেল।
এক দফা আন্দোলন: আগামী বৃহস্পতিবার ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে বিএনপি
গত ১২ জুলাই নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির সমাবেশে এবং গত বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট, কুমিল্লা, রাজশাহী ও ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখার ঘটনা তুলে ধরেন ফখরুল।
তিনি অভিযোগ করেন, ১২ জুলাই বিএনপির সমাবেশে নয়াপল্টন এলাকায় ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন হলেও একই দিন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের সমাবেশে ইন্টারনেট সংযোগ স্বাভাবিক ছিল।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিপুল জনসমাগমে চলছে বিএনপির ‘যুব সমাবেশ’
এই বছর ডিজিটাল রাইটস ওয়াচডগ এক্সেস নাউ-এর প্রকাশিত প্রতিবেদনের উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, ইন্টারনেট বন্ধের সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: এক দফা আন্দোলন: ২৭ জুলাই ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ
তিনি বলেন, চারটি দেশ- ভারত ৮৪ বার, ইউক্রেন ২২ বার, ইরান ১৮ বার এবং মায়ানমার ৭ বার - বিদ্রোহ বা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির কারণে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে।
বাংলাদেশে এমন কোনো যুদ্ধ আছে কি না, যার জন্য সরকার ৬ বার ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে- প্রশ্ন তোলেন বিএনপি নেতা। "সরকার কাদের বিরুদ্ধে সেই যুদ্ধ চালাচ্ছে?"
তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেট পরিষেবা এখন মানুষের মতামত প্রকাশের একটি অপরিহার্য মাধ্যম। এই পরিষেবা বন্ধ করা মূলত মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করে।’
ইন্টারনেট সেবা এখন শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিনোদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, এই সেবাগুলো আর্থিক লেনদেন, শিক্ষা, চিকিৎসা, তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ, আউটসোর্সিং, বিদেশ ভ্রমণ, চাকরি এবং চাকরির ইন্টারভিউসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে বিস্তৃত হয়েছে এবং জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে।
ফখরুল জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে ইন্টারনেট পরিষেবাগুলো অবরুদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণের ঘটনাগুলো ব্যক্তির নাগরিক অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, জাতিসংঘের সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা এবং নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’
পুলিশ সাধারণ মানুষকে অবৈধভাবে রাস্তায় আটক করে তাদের মোবাইল ফোন তল্লাশি করে হয়রানি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘তারুণ্যের সমাবেশে’ বিএনপি সমর্থকরা
‘কাপুরুষ’ আওয়ামী সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনকে ভয় পায়: ফখরুল
নির্দলীয় সরকার ছাড়া এবার দেশে কোনো নির্বাচন হবে না জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনকে ভয় পায়।
শনিবার (২২ জুলাই) বিকালে তিন সংগঠনের তারুণ্যের সমাবেশ থেকে বিএনপি মহাসচিব এই হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি বলেন, ওদের লক্ষ্য একটাই যে ভয় দেখিয়ে মানুষকে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে। জনগণকে ভয় দেখিয়ে এই নির্বাচন থেকে বিরত রাখা।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা শুধু বিএনপি নই, আমরা ৩৬টি দল যুগপৎভাবে ঘোষণা দিয়েছি, আমরা বাংলাদেশে একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই।
তিনি বলেন, অবিলম্বে এই শেখ হাসিনার সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।
সম্প্রতি ঢাকা, লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ভয় পায়।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ভয় পায় বলে আজকে তারা ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। এরা ‘কাপুরুষ’ সরকার, নির্বাচনকে ভয় পায়।
আমরা পরিস্কার করে বলেছি, আমরা এক দফা দাবি দিয়েছি। বাংলাদেশের সমস্ত রাজনৈতিক দল প্রায় সমন্বরে বলেছে যে, এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।
আরও পড়ুন: এক দফা আন্দোলন: ২৭ জুলাই ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ
ফেনীতে ১৬৫১ বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
ফেনীতে রোডমার্চ চলাকালে গত মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অজ্ঞাত ১ হাজার ৬৫১ জনকে আসামি করে শুক্রবার (২১ জুলাই) রাতে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ নিয়ে এ পর্যন্ত তিনটি মামলা হয়েছে।
জেলার সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়ন শাখার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলাটি করেন।
থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সফিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার বিকাল পর্যন্ত মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
মামলার সর্বশেষ বিবরণী অনুযায়ী, ফেনী প্রেসক্লাবের ট্রাঙ্ক রোডে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে মিছিল করার সময় আসামিরা তাকে ছুরিকাঘাত করে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। তিনি এখন ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর আগে বুধবার ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক হায়াত উল্লাহ বাদী হয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার ও সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলালসহ ৮৮ জনকে আসামি করে অজ্ঞাত ২ হাজার জনকে আসামি করে দুটি মামলা করেন।
মঙ্গলবার বিকালে ঢাকায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ফেনী শহরে বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের নেতৃত্বে প্রায় ২০ হাজার নেতা-কর্মী পূর্বনির্ধারিত রোডমার্চ বের করে।
ট্রাঙ্ক রোডে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের সমর্থকদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, এতে প্রায় ২০০ জন আহত হয়।