বিএনপি
বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে সহিংসতা-অগ্নিসংযোগ
ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথগুলোতে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কিছু সংখ্যক মানুষ আহত হয়েছেন। পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের সময় মাতুয়াইল, শ্যামলীসহ বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।
শনিবার ৫ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালনের জন্য ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশপথে জড়ো হলে ধোলাইখাল, উত্তরা, মাতুয়াইল, রায়েরবাগ ও গাবতলী এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমানউল্লাহ আমানসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে গেলে পুলিশ তাদের আটক করে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি সত্ত্বেও বিএনপির নেতা-কর্মীরা রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশপথে জড়ো হয়।বেলা ১১টার দিকে পুরান ঢাকার ধোলাইখালে বিএনপির কয়েক’ নেতা-কর্মী সড়কের একপাশে জড়ো হন। তারা সরকারবিরোধী স্লোগান দিচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: সংঘর্ষের পর গয়েশ্বর ও আমানসহ বিএনপির নেতা-কর্মীদের আটক করেছে পুলিশ
সংঘর্ষের পর গয়েশ্বর ও আমানসহ বিএনপির নেতা-কর্মীদের আটক করেছে পুলিশ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ঢাকা উত্তর মহানগর শাখার আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে ঢাকার প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে রাস্তায় নামলে পুলিশ আটক করে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি সত্ত্বেও বিএনপির নেতাকর্মীরা পাঁচ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালনের জন্য রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশ পথে জড়ো হন।
সকাল ১১টার দিকে শনির আখড়া, ধোলাইখাল, রায়েরবাগ, যাত্রাবাড়ী, নয়াবাজারসহ উত্তরা ও গাবতলীর কয়েকটি এলাকায় বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীরা অবস্থান নিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাধা দেয়।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ধোলাইখাল মোড়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
এক পর্যায়ে পুলিশ বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে গয়েশ্বরকে আটক করে।
দুপুর ১২টার দিকে গাবতলী বাসস্টেশন থেকে আমানকে আটক করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীর সমাগম
বেলা ১১টার দিকে আমান বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে খালেক পরিবহনের বাস কাউন্টারের সামনে জড়ো হন, যখন ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা কাছেই অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে পুলিশ আমান ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলে।
আমান প্রত্যাখ্যান করলে পুলিশের সঙ্গে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এক পর্যায়ে আমান মাজার রোডের নাবিল পরিবহনের সামনের রাস্তায় শুয়ে পড়লেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে পুলিশের ভ্যানে তুলে দেয়।
ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির আরও পাঁচ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত উত্তরা, যাত্রাবাড়ীসহ সব এলাকা থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। তারা বিভিন্ন এলাকা থেকে অনির্দিষ্ট সংখ্যক বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীকে আটক করে।
আরও পড়ুন: ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথে বিএনপির ৫ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি শনিবার
বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি: ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন
বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি: ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) শুক্রবার রাতে বিএনপিকে কর্মসূচি পালনে অনুমতি না দেওয়ায় রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথগুলোতে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
উত্তরা বিএনএস সেন্টার, গাবতলীর এসএ খালেক বাসস্টেশন, নয়াবাজার ও যাত্রাবাড়ী ঘুরে দেখা গেছে, পুলিশ ও আনসারবাহিনীর কয়েকশ’ সদস্য সেখানে অবস্থান নিয়েছে এবং তারা ওইসব এলাকায় কাউকে জড়ো হতে দিচ্ছে না।
গাবতলীতে বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মী জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়।
আরও পড়ুন: আ. লীগ ও বিএনপির কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি ডিএমপি
সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি পালনের কথা থাকলেও সকাল ১০টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত অন্যান্য এলাকায় বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের রাস্তায় দেখা যায়নি।
এর আগে শুক্রবার নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঘোষণা দেন, এক দফা দাবি আদায়ে চাপ সৃষ্টি করতে শনিবার রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সব প্রবেশপথে ৫ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। এই কর্মসূচি পালন করা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার।’
দলের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি উত্তরা বিএনএস সেন্টার ও গাবতলীর এস এ খালেক বাস স্ট্যান্ডের সামনে এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ নয়াবাজার বিএনপির কার্যালয় ও যাত্রাবাড়ীর দনিয়া কলেজের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথে বিএনপির ৫ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি শনিবার
ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথে বিএনপির ৫ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি শনিবার
এক দফা দাবি আদায়ে চাপ সৃষ্টি করতে শনিবার রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সব প্রবেশপথে পাঁচ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি।
শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের মহাসমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ফখরুল বলেন, সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে তাদের অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের এক দফা দাবিতে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মীর অংশগ্রহণে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মহাসমাবেশ শুরু হয়।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির আয়োজনে দুপুর সোয়া ২টার দিকে এ সমাবেশ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীর সমাগম
সমাবেশে যোগ দিতে শুক্রবার সকাল থেকে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মী জড়ো হতে থাকেন। এমনকি দুপুর দেড়টার দিকে বৃষ্টির মধ্যেও তারা সমাবেশস্থলে অবস্থান করেন।
ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড ও দলের শীর্ষ নেতাদের প্রতিকৃতি নিয়ে সারাদেশের বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীরা কর্মসূচিতে অংশ নেন।
ফকিরাপুল থেকে কাকরাইল মসজিদ পর্যন্ত সড়ক ও গলিতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ভিড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বাড়তে থাকা ভিড় আশেপাশের রাস্তা-ঘাট এবং শান্তিনগর পর্যন্ত শূন্যস্থানে ছড়িয়ে পড়ে।
দলের অনেক নেতা-কর্মীঅভিযোগ করেন, রাজধানীর প্রবেশপথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তল্লাশির সম্মুখীন হতে হয়েছে তাদের।
আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনসহ এক দফা দাবিতে বিএনপি ছাড়াও এর সমমনা ৩৭টি রাজনৈতিক দল ও জোট বিভিন্ন শহরে পৃথক সমাবেশের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: ফেনী বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী ঢাকায় গ্রেপ্তারের অভিযোগ
ভয়, জল্পনা-কল্পনার মধ্যে শুক্রবারের সরকারবিরোধী মহাসমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীর সমাগম
মহাসমাবেশে যোগ দিতে শুক্রবার সকাল থেকেই নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে শুরু করেছে হাজার হাজার নেতাকর্মী।
সিনিয়র নেতাদের নির্দেশনা অমান্য করে কয়েক হাজার নেতাকর্মী বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার নয়াপল্টন এলাকায় ভিড় করেন এবং সেখানে রাত কাটান।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সমাবেশস্থল পরিদর্শন করে ইউএনবি প্রতিনিধি নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার দলীয় নেতাকর্মীকে মিছিল নিয়ে আসতে দেখেন।
দলের শীর্ষ নেতাদের ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড ও প্রতিকৃতি হাতে নিয়ে তারা সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন।
বিজয়নগর থেকে নয়াপল্টন পর্যন্ত সড়ক ও গলিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
রাজধানীর প্রবেশপথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তল্লাশির মুখে পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির অনেক নেতাকর্মী।
দলটি ইতোমধ্যে নয়টি ট্রাকে একটি বড় মঞ্চ তৈরি করেছে, লাল গালিচা বিছিয়েছে এবং চারদিকে মাইক স্থাপন করেছে।
সংস্কৃতিকর্মী ও সাংবাদিকদের জন্য আলাদা দুটি মঞ্চও নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রখর রোদে জনসমাগমকে চাঙ্গা রাখতে বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীরা দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করছেন এবং চলবে রাত ১২টা পর্যন্ত।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিরোধীদের এক দফা আদায়ে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা এই সমাবেশের আয়োজন করছে।
জুমার নামাজের পর দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: পুলিশের নির্দেশনা মেনে বিএনপির নেতাকর্মীরা বৃহস্পতিবার নয়াপল্টন ছেড়েছেনবিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন। তাদের এক দফা দাবি মেনে নিতে বর্তমান সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে তাদের পরবর্তী কর্মপন্থা ঘোষণা করবেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ এক দফা দাবি জানাতে বিএনপি ছাড়াও ৩৭টি সমমনা রাজনৈতিক দল ও জোট বিভিন্ন নগর এলাকায় পৃথক সমাবেশের আয়োজন করতে যাচ্ছে।
এছাড়া ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তিনটি সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ নয়াপল্টনের বিএনপির সমাবেশ থেকে ১ দশমিক ৭ কিলোমিটার দূরে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটের সামনে সমাবেশ করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: মহাসমাবেশের আগে বিএনপির ৫ শতাধিক নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার: রিজভী
বৃহস্পতিবার ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু জনদুর্ভোগ এড়াতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃপক্ষ তাদের কর্মদিবসে তাদের নির্বাচিত স্থান ব্যবহার করতে না দেওয়ায় তারা শুক্রবার তাদের কর্মসূচি পুনঃনির্ধারণ করেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য শান্তি বজায় রাখা এবং যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধ করা একটি কঠিন কাজ হবে কারণ বিরোধী দল ও ক্ষমতাসীন উভয় পক্ষই স্বল্প দূরত্বে এবং একই সময়ে তাদের কর্মসূচি পালন করবে।
আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে দলটি বিরতিহীন কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে বলে জল্পনা রয়েছে বলে সবার দৃষ্টি বিএনপির মহাসমাবেশের দিকে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ২৩টি শর্তে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠনকে যথাক্রমে নয়াপল্টন ও বায়তুল মোকাররমে সমাবেশের অনুমতি দেয়।
পুলিশ কর্তৃপক্ষ বিএনপিকে তাদের সমাবেশ কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল ক্রসিং থেকে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে সীমিত রাখতে বলেছে, অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলো তাদের সমাবেশ মহানগর নাট্যমঞ্চ থেকে মুক্তাঙ্গনে সীমাবদ্ধ রাখতে বলেছে।
আরও পড়ুন: ভয়, জল্পনা-কল্পনার মধ্যে শুক্রবারের সরকারবিরোধী মহাসমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি
ভয়, জল্পনা-কল্পনার মধ্যে শুক্রবারের সরকারবিরোধী মহাসমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি
দলের এক দফা দাবি মেনে নিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে নানা জল্পনা-কল্পনা ও ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে শুক্রবার নয়াপল্টনে তার পুনর্নির্ধারিত মহাসমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি।
বিএনপি ছাড়াও ৩৭টি সমমনা রাজনৈতিক দল ও জোটও আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ এক দফা দাবি তুলে আদায়ে বিভিন্ন মহানগরীতে পৃথক সমাবেশের আয়োজন করতে যাচ্ছে।
এছাড়া ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তিনটি সহযোগী সংগঠন- যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ-এরও নয়াপল্টনে বিএনপির অনুষ্ঠানস্থল থেকে ১ দশমিক ৭ কিলোমিটার দূরে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের সামনে সমাবেশ করার কথা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলগুলোর সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃপক্ষ জনদুর্ভোগ এড়াতে কর্মদিবসে তাদের নির্বাচিত স্থান ব্যবহার করতে না দেওয়ায় তারা শুক্রবার তাদের কর্মসূচি পুনঃনির্ধারণ করেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য শান্তি বজায় রাখা এবং যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধ করা একটি কঠিন কাজ হবে। কারণ, বিরোধী দল এবং ক্ষমতাসীন উভয় পক্ষই স্বল্প দূরত্বে এবং একই সময়ে তাদের কর্মসূচি পালন করবে।
নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত করতে আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে দলটি বিরতিহীন কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে বলে জল্পনা চলছে বিএনপির মহাসমাবেশের দিকে সবার দৃষ্টি থাকবে।
বিভিন্ন জেলা সংবাদদাতাদের কাছ থেকে ইউএনবি ডেস্কে পৌঁছেছে এমন খবরে জানা গেছে, সমাবেশে যোগ দিতে সড়ক, রেল বা নৌপথে ঢাকায় এসেছেন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ করার পরামর্শ ডিএমপির
তবে বিএনপি নেতা-কর্মীরা গ্রেপ্তার আতঙ্কে এবং সমাবেশস্থলে পৌঁছার আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধার মুখে পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, শুক্রবারের মহাসমাবেশের আগে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে দলের ৫ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হোটেলে অভিযান চালিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও সমাবেশ বানচাল করতে বিভিন্ন উসকানি দেওয়ার অভিযোগও করেন।
আগের দিন (বৃহস্পতিবার) ২৩টি শর্তে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠনকে যথাক্রমে নয়াপল্টন ও বায়তুল মোকাররমে শুক্রবার সমাবেশের অনুমতি দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
পুলিশ কর্তৃপক্ষ জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে শুক্রবার তাদের সমাবেশ পিছিয়ে দেওয়ার জন্য উভয় রাজনৈতিক দলকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপিকে তাদের মহাসমাবেশ কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল ক্রসিং থেকে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে সীমিত রাখতে বলা হয়েছে এবং আওয়ামী লীগকে তাদের সমাবেশ মহানগর নাট্যমঞ্চ থেকে মুক্তাঙ্গনে সীমাবদ্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
উভয় দলের সমর্থকদের সমাবেশে কোনো লাঠি, বাঁশ ও ব্যাগ বহন না করার আহ্বান জানিয়েছে ডিএমপি।
ডিএমপির অনুমতি পাওয়ার পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন এবং কর্মসূচি সফল করতে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: মহাসমাবেশের আগে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা রিজভীর
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আব্বাস বিএনপির মহাসমাবেশে ইতিবাচক মনোভাবের জন্য ডিএমপি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে করতে বিএনপিকে যথাযথ সহযোগিতা প্রদানের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আশা করি সমাবেশের পথে জনগণ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের কোনো বাধা থাকবে না।’
বিএনপি নেতা বলেন, জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে তাদের মহাসমাবেশ সফল করতে তারা সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
এদিকে, তাদের পুনঃনির্ধারিত মহাসমাবেশের একদিন আগে বৃহস্পতিবার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে বিএনপির নেতাকর্মীরা ভিড় করে, যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে বাধ্য হয়।
সন্ধ্যায় বিএনপির নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে আবার জড়ো হতে শুরু করে এবং পরে দলের সিনিয়র নেতার নির্দেশে এলাকা ফাঁকা করে।
সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিএনপি নেতাদের লাউডস্পিকার ব্যবহার করে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে আগামীকালের সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য দলীয় সমর্থকদের আহ্বান জানাতে দেখা গেছে।
বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখার আয়োজনে দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরও পড়ুন: পুলিশের নির্দেশনা মেনে বিএনপির নেতাকর্মীরা বৃহস্পতিবার নয়াপল্টন ছেড়েছেন
বিএনপির পাশাপাশি বিকাল ৩টায় পুরানা পল্টনে গণতন্ত্র মঞ্চ, ফকিরাপুলে ১২ দলীয় জোট, বিজয়নগরে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, পূর্ব পান্থপথে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, আরামবাগে গণফোরাম ও পিপলস পার্টি, লেবারপার্টি সমাবেশ করার কথা রয়েছে। একই সময়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণ অধিকার পরিষদ (কিবরিয়া), ফকিরাপুল কালভার্ট রোডে গণ অধিকার পরিষদ (নূর), মালিবাগে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) এবং শাহবাগে সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ।
এছাড়া সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য এবং বেলা ১১টায় বিজয়নগরে এবি পার্টি সমাবেশ করবে।
এর আগে বুধবার রাতে, পুলিশ কর্তৃপক্ষের পরামর্শ অনুযায়ী বিএনপি বৃহস্পতিবার গোলাপবাগ মাঠে কর্মসূচি করতে রাজি না হওয়ায় শুক্রবার তাদের মহাসমাবেশ পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি।
বিএনপির পদক্ষেপের পর আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠন- ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগও বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে শুক্রবার সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে।
গত শনিবার ফখরুল তাদের চলমান যুগপৎ সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: মহাসমাবেশের আগে বিএনপির ৫ শতাধিক নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার: রিজভী
ফেনী বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী ঢাকায় গ্রেপ্তারের অভিযোগ
সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে ঢাকায় মহাসমাবেশে যোগ দিতে আসা ফেনী জেলা বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদীন (ভিপি জয়নাল) বলেন, বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকায় জমায়েত হওয়া ফেনীর অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপির জনসভায় অংশগ্রহণের জন্য ফেনী জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী ঢাকা নয়াপল্টনের মিডওয়ে আবাসিক হোটেলে ছিলেন। বুধবার মধ্যরাতে হঠাৎ পুলিশ হোটেল মিডওয়েতে হানা দিয়ে সেখান থেকে শতাধিক নেতা-কর্মীকে আটক করে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ১৯ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন আরও বলেন, এর মধ্যে ফেনী জেলা বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী রয়েছেন। অনেকের বিরুদ্ধে কোনো মামলাও নেই, তাদেরও গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, ফেনী বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী ঢাকায় গ্রেপ্তার হয়েছে এমন তথ্য আমরা এখনও পাইনি। যদি সেখানে কেউ গ্রেপ্তার করা হয়ে থাকে তাহলে ঢাকা থেকে প্রসেসিং শেষে আমাদের জানানো হবে।
আরও পড়ুন: মহাসমাবেশের আগে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা রিজভীর
মহাসমাবেশের আগে বিএনপির ৫ শতাধিক নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার: রিজভী
মহাসমাবেশের আগে বিএনপির ৫ শতাধিক নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার: রিজভী
বিএনপির শুক্রবারের মহাসমাবেশের আগে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে দলের ৫ শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় আমাদের পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি গ্রেপ্তারদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, সরকার যত বাধা দেবে, গ্রেপ্তার করবে, সমাবেশ সফল করতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে ততই ক্ষোভ তৈরি হবে।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও হোটেলে অভিযান চালিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও সমাবেশ বানচাল করতে নানা উসকানি দিচ্ছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, যারা ঢাকায় এসে সমাবেশে অংশ নিতে বিভিন্ন হোটেলে অবস্থান করেছেন, তারা দলের বিভিন্ন জেলা ইউনিটের শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি ও নেতা।
তিনি বলেন, ‘আপনারা শুনেছেন যে পুলিশ গতকাল রাতে পার্টি অফিসের কাছের হোটেলগুলোতে অভিযান চালিয়ে অনেককে গ্রেপ্তার করেছে। এটা কি গণতান্ত্রিক বা সভ্য আচরণ হতে পারে? ’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরকারের ফ্যাসিবাদী শক্তির মতো আচরণ করছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি জানান, শুক্রবার দুপুর ২টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তাদের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
রিজভী বলেন, ‘আমাদের মহাসমাবেশের প্রস্তুতি চলছে। কর্মসূচিকে সফল করতে আমাদের নেতারা প্রতিনিয়ত তদারকি করছেন।’
তিনি বলেন, আমাদের দলের নেতা-কর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে প্রস্তুত রয়েছে। ‘তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সমাবেশে যোগ দেবেন এবং আমাদের নেতাদের বক্তৃতা শুনে নিজ নিজ এলাকায় বাড়ি ফিরবেন।’
এর আগে বুধবার রাতে বিএনপি বৃহস্পতিবার থেকে তাদের মহাসমাবেশ পিছিয়ে শুক্রবার আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়। পুলিশ কর্তৃপক্ষের পরামর্শ মতো গোলাপবাগ মাঠে অনুষ্ঠান করতে রাজি হয়নি দলটি। এর পরিবর্তে দলটি শুক্রবার ঢাকার নয়াপল্টন এলাকায় মহাসমাবেশ করবে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের একাধিক বৈঠক শেষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘোষণা দেন।
পুলিশের নির্দেশনা মেনে বিএনপির নেতাকর্মীরা বৃহস্পতিবার নয়াপল্টন ছেড়েছেন
বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের পুনঃনির্ধারিত মহাসমাবেশের একদিন আগে বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে জড়ো হয়েছিল। যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে বাধ্য হয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা একদল বিএনপি নেতাকর্মী সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে দিতে বিএনপি কার্যালয়ে এসে জড়ো হন।
কর্মদিবস হওয়ায় ব্যস্ত সড়কে জনসমাগমের কারণে যান চলাচল বিঘ্নিত হওয়ায় সকাল ১১টার দিকে পুলিশ বিএনপি কার্যালয়ে এসে ১০ মিনিটের মধ্যে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের এলাকা ছেড়ে যেতে বলে।
পুলিশের নির্দেশনা মেনে বিএনপি নেতাকর্মীরা পাঁচ মিনিটের মধ্যে এলাকা ছেড়ে দেয়।
বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখার আহ্বায়ক আবুস সালাম ও উত্তর মহানগর শাখার আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা শুক্রবার দুপুরে মহাসমাবেশে নেতাকর্মীদের সমবেত হওয়ার জন্য দলটির সমর্থকদের এলাকা ছেড়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিতে দেখা গেছে।
বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে বুধবার থেকে নয়াপল্টন এলাকায় প্রিজন ভ্যান,দাঙ্গা গাড়ি ও জলকামানসহ বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: একদিন পিছিয়ে শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার রওশনুল হক সৈকত বলেন, কর্মদিবসে ব্যস্ত সড়কে যে কোনো জনসমাগম হলে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। ‘সুতরাং, মানুষ যাতে ভোগান্তিতে না পড়ে সে জন্য আমরা এখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছি। আমরা কাউকে এখানে বিশৃঙ্খলা ও জড়ো হতে দেব না।’
দলের নেতাকর্মীদের এলাকায় আসতে নিরুৎসাহিত করতে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কলাপসিবল গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বিএনপি কার্যালয়ের কর্মচারী শামীম আহমেদ বলেন, দলের সিনিয়র নেতাদের নির্দেশনা আছে কোনো কারণ ছাড়া দলের কর্মীদের অফিসে ঢুকতে না দিতে। ‘তাই কলাপসিবল গেট বন্ধ রাখা হয়েছে।’
এর আগে বুধবার রাতে বিএনপি তাদের মহাসমাবেশ বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে শুক্রবার পেছানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পুলিশ কর্তৃপক্ষের পরামর্শে গোলাপবাগ মাঠে আয়োজন করতে রাজি না হয়ে ঢাকার নয়াপল্টন এলাকায় মহাসমাবেশ করবে দলটি।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের ধারাবাহিক বৈঠক শেষে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: মহাসমাবেশের আগে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা রিজভীর
মহাসমাবেশের আগে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা রিজভীর
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আগামীকাল শুক্রবার দলটির মহাসমাবেশকে সামনে রেখে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে তাদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার মীর আশরাফ আলী ও তার ছেলে ব্যারিস্টার মুনতাহা আলীকে বুধবার রাতে তাদের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘গ্রেপ্তারের সময় আশরাফ আলী গুরুতর আহত হন এবং তার দুই পা ভেঙ্গে যায়। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’
আরও পড়ুন: নতুন সমাবেশস্থল নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বিএনপি: রিজভী
এতে বলা হয়েছে যে আগামীকাল (২৮ জুলাই) ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য বিএনপির মহাসমাবেশে যোগ দিতে আসা বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল কুদ্দুস আকন, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলসহ প্রায় ২ শতাধিক নেতা-কর্মীকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ আছে যে নয়াপল্টনের কাছে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পাশে মিডওয়ে হোটেল ও ভিক্টোরিয়া হোটেলেও অভিযান চালায় পুলিশ। ২৮ জুলাই মহাসমাবেশে যোগ দিতে আসা ৩০০ জনেরও বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে তারা।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার পতনের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে: রিজভী