বিএনপি
বরই দিয়ে ইফতার করার পরামর্শ জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাসের উপহাস: মির্জা আব্বাস
বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস বলেছেন, রমজানে বরই দিয়ে রোজা ভাঙতে মন্ত্রীর যে পরামর্শ, সেটি জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাসকে নিয়ে উপহাস করা।
তিনি বলেন, জনগণের ভোটের অধিকারের মতোই এখন তারা জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে উপহাস করছে।
সোমবার সকালে শাজাহানপুরের নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
মির্জা আব্বাস প্রশ্ন করেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ইফতারের সময় আমদানি করা দামি ফল দিয়ে রোজা ভাঙবেন কিন্তু মানুষকে বরই খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন, এরা কেমন দায়িত্বশীল সরকার?’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে নিত্যপণ্যের আকাশছোঁয়া দামের কারণে দেশের মানুষ চাপ ও ভয় ছাড়া ধর্মীয় কর্মকাণ্ড করতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের উচ্চমূল্যের কারণে মানুষ ভয়ানক সময় পার করছে অথচ আওয়ামী লীগ নাগরিকদের দুর্ভোগের কথা ভাবছে না
বিএনপি নেতা বলেন, তার দল রাষ্ট্রক্ষমতা দখল নয়, বরং জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে।
তিনি দাবি করেন, বিএনপি যাতে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সেজন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগীরা শুরুতেই চক্রান্ত করেছিল।
তিনি অভিযোগ করেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে ব্যাপক হামলা বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্রের অংশ।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘ডামি নির্বাচনের’ পর, ‘ডামি সরকার’ তাদের সময় মুক্তভাবে উপভোগ করছে না কারণ তারা সবসময় ক্ষমতা হারানোর ভয়ে থাকে।
নিজের কারাবাসের কথা স্মরণ করে বিএনপি নেতা বলেন, এবারের জেল জীবন ছিল ভয়ানক কারণ আমরা সব অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলাম।
মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা আওয়ামী লীগের কারাগারে বন্দি।
বিরোধী দলকে ঘায়েল করতে সিএসএ-কে অস্ত্র বানিয়েছে আ. লীগ: রিজভী
আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের দমনের জন্য সাইবার নিরাপত্তা আইনকে (সিএসএ) হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রবিবার(১০ মার্চ) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জিয়া সাইবার ফোর্সের নবম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের পথিকৃৎ: খসরু
তিনি বলেন, 'রাজনীতিবিদ হিসেবে আমরা বছরে এক-দুইবার জেলে যেতে অভ্যস্ত। জেল জীবনে আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লেখালেখির কারণে কারাবন্দি হয়েছেন, এমন অনেক তরুণের সঙ্গে দেখা হয়েছে।’
রিজভী বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একজন ছাত্রীর ঘটনা প্রমাণ করে আওয়ামী লীগের রোষানল থেকে নারীরাও নিরাপদ নয়।
রিজভী বলেন, 'আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় তারা অন্যদের চেয়ে বেশি প্রতিভাবান।’
আরও পড়ুন: নারী দিবসে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সমাবেশ বানচালের অভিযোগ
নারী দিবসে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সমাবেশ বানচালের অভিযোগ
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সমাবেশ পুলিশ বানচাল করে দিয়েছে বলে অভিযোগ দলীয় নেতাদের।
শুক্রবার (৮ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনার পর মিছিল বের করলে পুলিশ বাধা দেয়।
পরে পুলিশের বাধার নিন্দা জানিয়ে স্লোগান দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তারা।
জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস বলেন, ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবসে পুলিশ নারীদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে দেয়নি এটা খুবই দুঃখজনক।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের নারী সমাজের অবস্থান কেমন এটি তার প্রমাণ। আমরা আজকের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বাতিলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
ডিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) ফারজানা ইয়াসমিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সমাবেশের অনুমতি না থাকায় আমরা তাদের বাধা দিয়েছি। আলোচনা সভা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং তারা তা করেছে।’
খালেদা জিয়া বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের পথিকৃৎ: খসরু
খালেদা জিয়া বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের পথিকৃৎ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
খসরু বলেন, ‘১৯৯১ সালে স্বৈরাচারী এইচএম এরশাদের বিরুদ্ধে সফল আন্দোলন করে বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন বেগম জিয়া। তিনি প্রমাণ করেছিলেন যে একজন নারী প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন এবং স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে পারেন।’
শুক্রবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
খসরু আরও বলেন, খালেদা জিয়া তার প্রথম মেয়াদে নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে সরকারের প্রতিটি সেক্টরে নারী নিয়োগ নিশ্চিত করেছিলেন।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক নারী দিবস: আমেনার দায় নিবে কে
তিনি বলেন, হাঁস, মুরগি, ছাগল ইত্যাদি পালনের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে এবং ব্যাংকের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিতে উৎসাহিত করে নারীদের আর্থিকভাবে ক্ষমতায়নের উদ্যোগ নিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি নারীর প্রকৃত ক্ষমতায়ন চাই তাহলে তাদের নিজেদের পথ বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা আমাদের দিতে হবে।’
এই বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, আজকাল দেখা যাচ্ছে যে নারীরা নিত্যদিন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের দ্বারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: নারী দিবসে ৩ সম্মাননা পেলেন বিশ্বজয়ী বাংলাদেশি পর্যটক নাজমুন নাহার
তিনি বলেন, যারা নারী অধিকারের জন্য কাজ করছেন তারাই স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার অংশ এজন্য হয়রানির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছেন না।
আমির খসরু বলেন, প্রায় সব সেক্টর আওয়ামী লীগের লোকজনের দখলে, যারা ভয়ের সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে। এজন্য কেউ বিচার পাচ্ছে না।
দেশে নারীসহ মানুষের কোনো অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেন এই বিএনপি নেতা।
খসরু বলেন, ভোটাধিকারের মতো মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হলেই নারী অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, এখন সময় এসেছে নারীসহ জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করার।
আরও পড়ুন: কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে নয়: জবি ভিসি
আ.লীগ সরকার জনবান্ধব নয়, ব্যবসায়ীবান্ধব : বিএনপি নেতা ফারুক
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে জনগণের বন্ধু নয়, বব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের বন্ধু বলে অভিহিত করেছেন বিএনপি নেতা জয়নুল আবেদীন ফারুক।
তিনি বলেন, দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গেলেও জনগণের খাদ্য অধিকার নিয়ে তাদের মাথা ব্যথা নেই।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি এবং অবিলম্বে খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ খাত গভীর সংকটে: রিজভী
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ফারুক বলেন, আওয়ামী লীগ চায় না দেশের মানুষ পেট ভরে খাবার খাক। ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে কোনো পণ্য না থাকায় মানুষ তাদের উপার্জিত অর্থের সিংহভাগ খরচ করে একটি ডিম, এক কেজি চাল ও এক লিটার তেল কিনতে হিমশিম খাচ্ছে।
আগামী ১২ মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া পবিত্র রমজানে দরিদ্র জনগণকে কষ্টে ফেলতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সিন্ডিকেট প্রায় সব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের একজন মন্ত্রী খেজুরের পরিবর্তে বরই দিয়ে ইফতার করার পরামর্শ দিয়ে মানুষের সঙ্গে তামাশা করছেন।
জয়নুল বলেন, 'আমরা জনগণের অধিকারের কথা বলছি, কারণ আমরা (বিএনপি) জনবান্ধব রাজনৈতিক দল। বিএনপি জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করে এবং কোনোভাবেই ক্ষমতা দখল করতে চায় না।’
তিনি আরও বলেন,‘আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কিছুই করেনি, বরং তাদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য সবকিছু করেছে। তারা চায় না দেশের মানুষ সম্মান ও মর্যাদা নিয়ে বসবাস করুক।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ ডামি নির্বাচন আয়োজন করেছে এবং বেশিরভাগ সংসদ সদস্য (এমপি) ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের, যারা বিপুল অর্থ ব্যয় করে আওয়ামী লীগকে সন্তুষ্ট করেছেন।
আরও পড়ুন: দেশে আ. লীগ স্টাইলের গণতন্ত্র চলছে: নজরুল ইসলাম
দেশে আ. লীগ স্টাইলের গণতন্ত্র চলছে: নজরুল ইসলাম
বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, দেশে আওয়ামী লীগ স্টাইলের গণতন্ত্র চলছে।
বুধবার (৬ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের মধ্যে কোনো পার্থক্য না থাকায় বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ অনন্য।
তিনি বলেন, ‘এ এক অদ্ভুত ধরনের সংসদ, যেখানে ক্ষমতাসীন দলের রয়েছে ৩৩৭টি আসন, আর তাদের দয়ায় বিরোধী দলের আছে ১৩টি আসন। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা ভিন্ন নয়, যেহেতু তারা আওয়ামী লীগের।’
আরও পড়ুন: বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে ছিল আ. লীগ সরকার: রিজভী
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম, ‘এ ধরনের গণতন্ত্রের জন্য আমরা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিনি। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) গঠিত হলে আমাদের গণতন্ত্র সমাহিত হয়। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জনগণের ক্ষমতায়ন ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে ১৯৮২ সালে স্বৈরাচারী এইচ এম এরশাদ আমাদের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেয় এবং ১৯৯১ সালে বেগম খালেদা জিয়া তা আবার ফিরিয়ে আনেন।
দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপি ছাড়া কোনো রাজনৈতিক দল এত ত্যাগ স্বীকার করেনি উল্লেখ করে নজরুল বলেন, তাদের হাজার হাজার নেতা-কর্মী কারাগারে এবং বেগম জিয়া ও তারেক রহমানকে ‘মিথ্যা’ মামলায় দোষী করা হয়েছে।
তাঁতীদলের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম মাওলা খান বাবলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব হাজী মজিবুর রহমান ও সিনিয়র সদস্য মিলন ইসলাম খান।
আরও পড়ুন: সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য বিএনপিকে দায়ী করছেন প্রধানমন্ত্রী: রিজভী
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
মির্জা ফখরুলের ব্যক্তিগত সহকারী এম ইউনুস আলী ইউএনবি জানান, মির্জা ফখরুল তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
তিনি জানান, ঘাড়ে ব্লকজসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা নিয়ে ফখরুলের সিঙ্গাপুরের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নেওয়ার কথা রয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী ১৮ মার্চ বিএনপি নেতার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর মির্জা ফখরুল নানা শারীরিক সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে যান এবং হাসপাতালের অধ্যাপক শামসুল আরফিনের তত্ত্বাবধানে বাসায় থেকেই চিকিৎসা নেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, গত ২৯ অক্টোবর থেকে তিন মাসের বেশি সময়ে তাদের নেতা ফখরুলের ৬ কেজি ওজন কমেছে।
এর আগে ২০২৩ সালের ২৪ আগস্ট মেডিকেল চেকআপের জন্য সিঙ্গাপুর যান ৭৭ বছর বয়সী বিএনপি মহাসচিব।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের পতন অনিবার্য মনে করে বিএনপি: নজরুল ইসলাম খান
২০১৫ সালে একটি রাজনৈতিক মামলায় কারাগারে থাকার সময় তার অভ্যন্তরীণ ক্যারোটিড ধমনীর সমস্যা ধরা পড়ে।
কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি সিঙ্গাপুরে যান এবং এরপর থেকে প্রতি বছর ফলোআপ চিকিৎসার জন্য দেশটিতে যান।
২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির জনসভা ভন্ডুল হওয়ার একদিন পর গুলশানের বাসা থেকে বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা।
হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিলে পুলিশি পদক্ষেপের নিন্দা ফখরুলের
বিদ্যুৎ খাত গভীর সংকটে: রিজভী
দেশের বিদ্যুৎ খাত গভীর সংকটে নিমজ্জিত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রবিবার (৩ মার্চ) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাম্প্রতিক বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
বিএনপি নেতা বলেন, কাদের দাবি করেছেন দেশে শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছেন অথচ তার প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন আগে বলেছিলেন, দেশে স্বল্প পরিসরে হলেও লোডশেডিং থাকবে।
আরও পড়ুন: ক্ষমতাসীন দলের ব্যবসায়ী চক্র দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে লুটপাটে মরিয়া হয়ে উঠেছে: রিজভী
তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ সকাল-সন্ধ্যা লোডশেডিংয়ে ভুগছে অথচ তাপমাত্রা এখনো সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।
বিএনপি দেশের মানুষকে উপেক্ষা করে বিদেশি প্রভুর কাছে ধর্না দিচ্ছে- কাদেরের এই বক্তব্যের নিন্দা করেন রিজভী।
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সম্ভবত স্মৃতিশক্তি লোপ পেয়েছে। কারণ তিনি ২০১৪ সালের নির্বাচন ভুলে গিয়েছিলেন যখন ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুজাতা সিং আওয়ামী লীগকে তাদের সমর্থন করতে এবং এইচএম এরশাদকে নির্বাচনে যোগদান করানোর জন্য বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।
এটি একটি সার্বভৌম দেশে হস্তক্ষেপের স্পষ্ট লক্ষণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, জয়নাল আবেদীন (ভিপি জয়নাল), সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন, সহ অর্থনৈতিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য বিএনপিকে দায়ী করছেন প্রধানমন্ত্রী: রিজভী
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে বিএনপির শোক
ঢাকার বেইলি রোডে ৬ তলা বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জন নিহত ও আরও অনেকে আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএনপি।
শুক্রবার বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শোক প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে বেইলি রোডের বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৪৫ জনের মৃত্যু হয়। আর যারা হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে জীবনের সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন, তাদের কান্না-বেদনা খুবই হৃদয়বিদারক ও মর্মস্পর্শী।
ফখরুল বলেন, সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা তাদের জানিয়েছেন- মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডের ভবনটিতে ‘ফায়ার এক্সিট’ নেই: প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ও আহতদের পরিবার-পরিজন ও বন্ধু-বান্ধবসহ আমি গভীরভাবে শোকাহত। মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন স্বজন হারানো পরিবারের সদস্যদের শক্তি ও ধৈর্য দান করুন।’
অগ্নিকাণ্ডে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন তিনি।
ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ডে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ডে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি নেতা বলেন, দেশে আইনের শাসনের অভাব এ ধরনের ঘটনা বৃদ্ধি ও বিপর্যয়কর পরিস্থিতির জন্য ভূমিকা রেখেছে।
তিনি বলেন, সমাজে নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য জনগণকে জবাবদিহির দায়িত্ব সরকার মনে করে না, যা মানুষের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু ও দুর্দশার কারণ।
আহতদের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করারও আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ড: বুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু
গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিলে পুলিশি পদক্ষেপের নিন্দা ফখরুলের
বুধবার গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিলে পুলিশি পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার সচিবালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিলে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের তীব্র নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতি দেন।
তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের পর দখলদার আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী মানুষের ভোটের অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো ক্ষুণ্ণ করে জনগনসহ বিরোধী দলগুলোর ওপর আরও তীব্র মাত্রায় দমনপীড়ন চালাচ্ছে, নির্মম নিষ্ঠুরতা দেখাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে ছিল আ. লীগ সরকার: রিজভী
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আজকে আরও একটি নির্মম বহিঃপ্রকাশ ঘটল গণতন্ত্র মঞ্চের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বর্বরোচিত হামলা, গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা জোনায়েদ সাকিসহ ৫০ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে আহত করা এবং একজন নেতাকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করার মধ্যে দিয়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এহেন পুলিশি হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং গ্রেপ্তারদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।’
বিএনপি মহাসচিব আহত জোনায়েদ সাকিসহ নেতা-কর্মীদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: পিলখানা বিদ্রোহের বিচার দীর্ঘায়িত হওয়ায় প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি
সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য বিএনপিকে দায়ী করছেন প্রধানমন্ত্রী: রিজভী