বিএনপি
পদত্যাগ ছাড়া সরকারের আর কোনো বিকল্প নেই: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান ঘটিয়ে বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন করতে সরকারের পদত্যাগ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য খুবই স্পষ্ট... অবিলম্বে পদত্যাগ করুন এবং সংসদ ভেঙে দিন। অযথা সময় নিলে দেশ ও জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
সোমবার এক সরকারবিরোধী সমাবেশে ফখরুল এসব কথা বলেন।
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ নিতে বর্তমান সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, ‘এটাই একমাত্র উপায়, অন্য কোনো উপায় নেই। সুতরাং, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি করুন। অন্যথায়, আপনাদের পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না। আপনাদের সময় শেষ।’
আরও পড়ুন: ক্ষমতাসীনদের স্বার্থ রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে: রিজভী
চলমান আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করে তাদের দল সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন ফখরুল।
বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও দমন-পীড়ন অব্যাহত রাখার জন্য তিনি সরকারের সমালোচনা করেন।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘গত এক মাসে আমাদের ৩৮৬ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে… কাজেই এই সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নেই।’
তিনি বর্তমান সরকারকে রাজপথে পরাজিত করতে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের আরও ত্যাগ স্বীকারের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান।
বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখাসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
দল ও এর বিভিন্ন ফ্রন্ট সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মী কর্মসূচিতে যোগদান করে এবং একটি মিছিল বের করে যা কাকরাইল ও শান্তিনগর মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মঞ্চ-অভিনীত নির্বাচন, দমনমূলক কর্মকাণ্ড এবং দলীয় প্রধান খালেদা জিয়াসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে ক্ষমতায় এসেছে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। ‘তারা (জনগণ) সেই নির্বাচনে ভোট দিতে চায়। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। এটা প্রমাণিত হয়েছে যে হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে এবং তার দল সরকারে থাকলে কোনো নির্বাচনই গ্রহণযোগ্য হবে না।’
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাস্তবায়নে ‘এক দফা’ আন্দোলনের ধরন ভিন্ন রকম হবে: ফখরুল
সরকারের নিষ্ক্রিয়তায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক: বিএনপি
ক্ষমতাসীনদের স্বার্থ রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র নেতা রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, ক্ষমতাসীন দলের স্বার্থ রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙ্গে পড়েছে।
রবিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি শোকপ্রকাশ করে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাফিলতির কারণে ঈদের ছুটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ৩৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘দলীয় কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নীরব ভূমিকার মধ্যে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তৎপর থাকায় পুরো জাতি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।’
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, দেশ সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হওয়ায় শুধু সাধারণ মানুষই নয়, পুলিশ সদস্যদেরও হত্যা করা হচ্ছে।
রিজভী বলেন, ‘গতকাল (শনিবার) ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশ বাহিনীর এক সদস্য নিহত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এতটাই ভেঙ্গে পড়েছে যে প্রতি পদে পদে মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়েছে।’
তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারালেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেপরোয়া চালকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না।
বিএনপি নেতা বলেন, ক্রমবর্ধমান সামাজিক অবক্ষয়ের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের মদদপুষ্ট বিকৃত যুবকরা জনমনে উপদ্রব সৃষ্টি করছে এবং বিভিন্ন অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সুইজারল্যান্ড সফর ‘অত্যন্ত রহস্যময়’: রিজভী
তিনি বলেন, ‘এই দানবরা তাদের আক্রমণ থেকে নারীসহ কাউকে রেহাই দিচ্ছে না…আমরা এমন একটি খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি যে বোনদের উত্যক্ত করার বিচার চাইতে গেলে তরুণদের হত্যা করা হচ্ছে। বাবা-মা তাদের মেয়েদের সম্ভ্রম ও মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে প্রাণ হারাচ্ছেন।’
রিজভী বলেন, ‘মানবাধিকার এখন সর্বত্র ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শুধুমাত্র বিরোধী দলের কর্মসূচি নস্যাৎ করার জন্য সহিংস হামলা চালাচ্ছে এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করছে; তাই সমাজে নৈরাজ্যের অন্ধকার নেমে এসেছে।’
বাজার মনিটরিং করতে এবং ব্যবসায়িক সিন্ডিকেটদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও রান্নার জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো থেকে বিরত রাখতে ব্যর্থতার জন্য বিএনপির এই নেতা সরকারের সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘গডফাদার, মাফিয়া ও সিন্ডিকেটররা চারিদিকে লাভবান হচ্ছে। বিভিন্ন মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা জড়িত থাকায় এসব সিন্ডিকেট খুবই শক্তিশালী।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ভারতে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচের দাম ২৫ টাকা, কিন্তু সিন্ডিকেটের অসাধুতার কারণে বাংলাদেশে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। ‘কিছু জায়গায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজিতে। এই ধরনের সিন্ডিকেশন শুধুমাত্র একটি দুর্নীতিবাজ ও দুর্নীতিবাজ সরকারের অধীনেই সম্ভব। তারা মানুষের ক্ষুধা নিয়ে মজা করে।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের প্ররোচনায় বিএনপির সমাবেশে হামলা করা হচ্ছে: রিজভী
সুষ্ঠু নির্বাচন ঠেকাতে মরিয়া আ.লীগ: রিজভী
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাস্তবায়নে ‘এক দফা’ আন্দোলনের ধরন ভিন্ন রকম হবে: ফখরুল
সরকার পদত্যাগের এক দফা আন্দোলনের ধরন ‘ভিন্ন রকম’ হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি মানতে বাধ্য হবে, কারণ তাদের দল জনগণকে সম্পৃক্ত করে ‘ভিন্ন রকম’ আন্দোলন করতে যাচ্ছে।
শনিবার দলীয় চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এসময় তিনি আশ্বস্ত করেন যে তারা রাস্তায় সহিংসতা এড়াতে হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন না।
এই বিএনপি নেতা বলেন, নিঃসন্দেহে আগের আন্দোলন থেকে কিছুটা ভিন্ন হবে এবং জনগণের সম্পৃক্ততাও বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, ‘সেটা নিসন্দেহে গত আন্দোলনগুলোর চাইতে ধরনও হবে একটু ভিন্ন এবং জনগনের সম্পৃক্ততাও বাড়বে। একটা ব্যাপারে আমরা নিশ্চয়তা দিতে পারি যে, আমাদের এই আন্দোলন প্রথম থেকেই যেটা শুরু করেছি সেটা হচ্ছে যে জনগণকে সম্পৃক্ত করে আন্দোলন। এই আন্দোলনে জনগনের অনেক বেশি সম্পৃক্ততা আসবে। আমি বিশ্বাস করি যে এই আন্দোলনের মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে সরকার বাধ্য হবে নতি স্বীকার করে পদত্যাগ করে একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে।’
আরও পড়ুন: আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, হাসিনার সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেব না: মির্জা ফখরুল
আরেক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছি, আমরা হরতাল-অবরোধের মতো কোনো কর্মসূচিতে সচেতনভাবে চাচ্ছি না। আমাদের ভায়োলেন্সে যাওয়া প্রশ্নই উঠতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘সরকার যদি কোনোভাবে ওইসব দিকে ঠেলে দেয় তা সরকারের দায়। শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনটা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনে আমরা চূড়ান্ত পর্যায়ে যেতে চাই।’
ফখরুল বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, সরকার শেষ পর্যন্ত নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের জন্য পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে।
তিনি দাবি করেন, বিভিন্ন শহর ও জেলায় তাদের দলের সাম্প্রতিক যুব সমাবেশ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘সামনে আমাদের পদযাত্রার কর্মসূচি শুরু হবে। আমরা আশা করি যে এক দফাতে আমরা আন্দোলন শুরু করব।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের যে ১০ দফা, অন্যান্য যুগপত আন্দোলনকারী দলগুলো আছে তাদের দফাগুলো মিলিয়ে একটা দফায় আন্দোলনে যাবো…সেটা হচ্ছে যে, এই অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করা, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং নতুন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠান… এগুলোকে নিয়ে আমরা একটা জায়গায় আসছি… সেটা হচ্ছে যে, মূলত এই সরকারের পদত্যাগ।’
নতুন ধরনের আন্দোলনের ধরন সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা বলেন, হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি তারা সচেতনভাবে এড়িয়ে যাচ্ছেন।
ঈদুল আজহা উদযাপন শেষে নিজ জেলা ঠাকুরগাঁও থেকে বিকালে ঢাকায় ফিরে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয়ে কথা বলেন ফখরুল।
আরও পড়ুন: পতনের আশঙ্কায় সরকার দমন-পীড়নের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে: মির্জা আব্বাস
‘শিগগিরই’ বিএনপি এক দফা আন্দোলন শুরু করবে: ফখরুল
আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, হাসিনার সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেব না: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, হাসিনার সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেব না।
তিনি বলেন, আগে বলা হতো এবং হাসিনা সরকারের লোকেরা এখনও বলে যে আমরা সহিংসতা করি। গত কয়েক বছরে আমরা প্রমাণ করেছি যে আমরা সহিংসতা করি না।
তিনি বলেন, আমরা সহিংসতায় বিশ্বাসী নই। সহিংসতা তারাই (আওয়ামী লীগ) করে, পরে আমাদের ওপরে দোষ চাপানোর চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: দাবি একটাই, শেখ হাসিনার পদত্যাগ: মির্জা ফখরুল
শুক্রবার সকালে ঠাকুরগাঁয়ের কালীবাড়িস্থ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
আন্দোলন নিয়ে মির্জা আলমগীর বলেন, এটা ইতোমধ্যে প্রমাণিত যে বিএনপি কিভাবে আন্দোলন করতে পারে। আন্দোলন কোন ছককাটা জিনিস না। এটাতে জনগণের সম্পৃক্ততার সঙ্গে সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে সামগ্রিকভাবে সে আন্দোলন দানা বাঁধে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই এ সরকারের যত অপকর্ম, দুঃশাসন, দুর্নীতি এমন একটা পর্যায়ে চলে গেছে যে মানুষ আর এ সরকারকে দেখতে চায় না। এ সরকার আর সরকারের লোকেরাই আজ দেশে একটা বড় রাজনৈতিক সঙ্কট তৈরি করে রেখেছে।
তিনি বলেন, আমাদের বক্তব্য খুব স্পষ্ট। হাসিনা সরকারের অধীনে আমরা কোনো ধরনের নির্বাচনে অংশ নেব না। আমরা একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলছি, যারা আমাদের সঙ্গে আসতে চান। জামায়াতকে তারাই অবৈধ ঘোষণা করে, আবার তারাই সুযোগ করে দেয় সমাবেশসহ নানা কর্মসূচির।
এছাড়া দেশের মানুষ বুঝতে পারে তারা কী রাজনীতির অনুশীলন করে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নিজেদের জন্য নয় জনগণের মৌলিক অধিকারের জন্যই আন্দোলন করছে। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়া, সাংবাদিকদের লেখার স্বাধীনতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা ও দলীয় কোনো সরকারের অধীনে নির্বাচন নয়, এসব বিষয় নিয়েই আমাদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে নিরপেক্ষ সরকার দরকার।
এই সব অধিকার আদায়ে কাজ করছে বিএনপি। গোটা পৃথিবী আজ বাংলাদেশের আন্দোলনকে সমর্থন করছে।
কর্মসূচি বিষয়ে তিনি বলেন, কর্মসূচি চলছে আমাদের। আগেও কর্মসূচি দিয়েছি আবারো নতুন কর্মসূচি আসবে। এবারেরর কর্মসূচির ধরন কিছুটা আলাদা হবে। স্বাভাবিকভাবেই দিন দিন আমাদের জনসম্পৃক্ততা বাড়ছে।
অর্থনৈতিক জোট ব্রিকসে সরকারের যোগ দেয়ার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ব্রিকসেই যাক আর আইএমএফ এ যাক, হাসিনা সরকার কখনোই সফল হতে পারবে না, যতক্ষণ না পর্যন্ত সরকার দুর্নীতি রোধ করতে পারবে। আর এটা স্পষ্ট যে তারা দুর্নীতিতে এতটাই নিমজ্জিত হয়েছে যে সেখান থেকে তাদের বের হবার কোনো পথ নেই।
আরও পড়ুন: বিএনপি মাঠে নেমেছে, অধিকার আদায় করেই ঘরে ফিরবে : মির্জা ফখরুল
‘প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির’ অভিযোগে মির্জা ফখরুল ও রাজশাহী বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
সরকারের নিষ্ক্রিয়তায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক: বিএনপি
বিএনপির সিনিয়র নেতা রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, সরকারের কোনো দৃশ্যমান প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না থাকায় রাজধানীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক মোড় নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘রাজধানীসহ দেশের কিছু জায়গায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে, দিন দিন ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে… এটা খুবই উদ্বেগজনক। কিন্তু বরাবরের মতো, সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’
শুক্রবার বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় রিজভী আরও বলেন, আওয়ামী সরকার নির্বাচিত সরকার না হওয়ায় জনগণের জীবন ও নিরাপত্তা নিয়ে সর্বদাই উদাসীন।
তিনি বলেন, সরকার কোভিড মহামারি এবং ভ্যাকসিন সংগ্রহকে লুণ্ঠন, মানুষের জীবন বিপন্ন করে বিপুল অর্থ উপার্জনের সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করেছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে তারা এখন কিছুই করছে না।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সরকারের দমন-পীড়ন, শোষণের বিরুদ্ধে গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত সব স্তরের মানুষ জেগে উঠেছে।
রিজভী আরও বলেন, ‘স্বৈরাচারে পিষ্ট হয়েও জনগণ অত্যাচারীদের প্রতিহত করতে শুরু করেছে। দেশের মানুষ তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ঐক্যবদ্ধ।’
আরও পড়ুন : ‘শিগগিরই’ বিএনপি এক দফা আন্দোলন শুরু করবে: ফখরুল
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বর্তমান সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়ও জেগে উঠেছে। ‘গণতান্ত্রিক বিশ্ব এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলি পুরো জাতিকে বন্দী করে রাখা শাসনের বিরুদ্ধে তাদের আওয়াজ তুলছে।’
বিএনপি নেতা আরও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন যে, দেশে-বিদেশে ব্যাপক চাপের মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকার আর একটি পাতানো নির্বাচন করতে পারবে না। সরকার ১০ নম্বর মহা সংকেতের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার ঔদ্ধত্য আর চলবে না।
তিনি অভিযোগ করেন, ঈদ উপলক্ষেও গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও দমন-পীড়ন অব্যাহত রেখেছে।
বিএনপির সিনিয়র নেতা রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, সরকারের কোনো দৃশ্যমান প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না থাকায় রাজধানীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক মোড় নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘রাজধানীসহ দেশের কিছু জায়গায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে, দিন দিন ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে… এটা খুবই উদ্বেগজনক। কিন্তু বরাবরের মতো, সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’
শুক্রবার বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় রিজভী আরও বলেন, আওয়ামী সরকার নির্বাচিত সরকার না হওয়ায় জনগণের জীবন ও নিরাপত্তা নিয়ে সর্বদাই উদাসীন।
তিনি বলেন, সরকার কোভিড মহামারি এবং ভ্যাকসিন সংগ্রহকে লুণ্ঠন, মানুষের জীবন বিপন্ন করে বিপুল অর্থ উপার্জনের সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করেছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে তারা এখন কিছুই করছে না।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সরকারের দমন-পীড়ন, শোষণের বিরুদ্ধে গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত সব স্তরের মানুষ জেগে উঠেছে।
রিজভী আরও বলেন, ‘স্বৈরাচারে পিষ্ট হয়েও জনগণ অত্যাচারীদের প্রতিহত করতে শুরু করেছে। দেশের মানুষ তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ঐক্যবদ্ধ।’
আরও পড়ুন: ছয় জেলায় সমাবেশ করবে বিএনপির ৪ সহযোগী সংগঠন
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বর্তমান সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়ও জেগে উঠেছে। ‘গণতান্ত্রিক বিশ্ব এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলি পুরো জাতিকে বন্দী করে রাখা শাসনের বিরুদ্ধে তাদের আওয়াজ তুলছে।’
বিএনপি নেতা আরও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন যে, দেশে-বিদেশে ব্যাপক চাপের মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকার আর একটি পাতানো নির্বাচন করতে পারবে না। সরকার ১০ নম্বর মহা সংকেতের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার ঔদ্ধত্য আর চলবে না।
তিনি অভিযোগ করেন, ঈদ উপলক্ষেও গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও দমন-পীড়ন অব্যাহত রেখেছে।
আরও পড়ুন: পতনের আশঙ্কায় সরকার দমন-পীড়নের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে: মির্জা আব্বাস
পতনের আশঙ্কায় সরকার দমন-পীড়নের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে: মির্জা আব্বাস
পতনের আশঙ্কায় সরকার দমন-পীড়নের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করে্ছেন মির্জা আব্বাস।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) ঈদের দিন সকালে জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পণের পরে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘এই সরকার যে চলে যাবে, এই সরকারের যে পতন ঘটবে এটা আশঙ্কা করে তারা তাদের কার্য্ক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, অত্যাচার-জুলুম বাড়িয়ে দিয়েছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘একইসঙ্গে বলতে চাই, তারা যতই জুলুম করুক, যতই অত্যাচার করুক, এই সরকারের টিকে থাকার আর কোনো সম্ভাবনা নাই।’
আরও পড়ুন: ছয় জেলায় সমাবেশ করবে বিএনপির ৪ সহযোগী সংগঠন
‘সেই ঈদ নেই’
জনগণ ঈদ কেমন কাটাচ্ছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আপনারা আজকে বলতে পারেন গত ১৫ বছর আগে যেভাবে ঈদ করেছিলেন, দ্রব্যমূল্য যে অবস্থায় ছিলো আজকে কি সেই অবস্থায় আছে? আজকে সেই অবস্থায় নাই।’
বিএনপির জ্যেস।ঠ এই নেতা বলেন,‘তবে হ্যাঁ যদি আগের অবস্থানে ফিরে যেতে হয়, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে এবং দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশের মালিকানা মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। মালিক কারা? এদেশের জনগণ।’
দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে ঈদ মোবারক জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জিয়ারত করতে এসেছি। তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।’
‘গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলন ফের শুরু হবে’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন, বিএনপির সংগ্রাম থেমে নেই, ঈদের জন্য কিছুটা স্তিমিত হতে পারে ঈদের পরে আমাদের জাতীয় যে দাবি, জনগণের যে দাবি তা আদায়ের জন্য আমাদের কার্য্ক্রম চালিয়ে যাবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে গণতন্ত্র হাইজ্যাক হয়ে গেছে, যে গণতন্ত্র ডাকাতি হয়ে গেছে সেই গণতন্ত্রকে ইনশাল্লাহ আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে পুনরুদ্ধার করব। জনগণ ইতোমধ্যে আমাদেরকে সমর্থন দিয়েছে। আমাদের আন্দোলনে-মিছিল-মিটিংয়ে জনগণ সমর্থন দিচ্ছে।’
কারাবন্দি হাজার হাজার নেতা-কর্মীর কথা স্মরণ করে তাদের পরিবার-পরিজনকে ঈদ শুভেচ্ছাও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন খন্দকার মোশাররফ
‘টাকা পাচারের প্রজেক্ট’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এদেশে উন্নয়ন শুরু করেছিলেন জিয়াউর রহমান এবং এই উন্নয়নের শেষ নাই। কিন্তু আজকে যে উন্নয়ন হচ্ছে এটাকে উন্নয়ন ঠিক বলা যাবে না, এটা হলো প্রজেক্ট, টাকা পাচারের প্রজেক্ট।’
তিনি বলেন,‘যে কারণে আজকে দেশে ডলার সংকট, অর্থের সংকট, খাদ্যপণ্যের সংকট… যত ক্রাসিস আছে সেগুলো হচ্ছে শুধুমাত্র সরকারের দুর্নীতি ও লুটপাটের জন্য। যেভাবে লুটপাট হয়েছে এটা জনগণ জানে, সোশ্যাল মিডিয়া খুললে দেখা যায় সব কিছু।’
মির্জা আব্বাস সকাল সাড়ে ১১টায় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, চেয়াপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলসহ নেতৃবৃন্দকে নিয়ে শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতার কবরে পুস্পমাল্য অর্পন করেন। তারা প্র্রয়াত নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন।
এ সময়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতার কামরুজ্জামান রতন, রফিকুল ইসলাম, মহানগর উত্তর আমিনুল হক, যুব দলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজীব আহসান, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, উলামা দলের শাহ নেসারুল হক প্র্রমূখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আগে প্রতি ঈদে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া তার স্বামী জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করতেন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি মামলার রায়ে খালেদা কারাগারে যাওয়ার পর থেকে দলের মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা এ ধারাবাহিকতা অনুসরণ করছেন।
সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়ার মুক্ত আছেন। বছরের দুটি ঈদে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তাদের নেত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। এবারও ঈদের দিন রাত সাড়ে ৮টায় তারা খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসায় গিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
পরে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আমান, সমাজকল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন ও যুব দলের সভাপতি সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু বনানীতে প্রয়াত জিয়াউর রহমানের ছোট ছেলে আরাফার রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করেন।
আরও পড়ুন: ‘শিগগিরই’ বিএনপি এক দফা আন্দোলন শুরু করবে: ফখরুল
ছয় জেলায় সমাবেশ করবে বিএনপির ৪ সহযোগী সংগঠন
সরকারের দুর্নীতি, শোষণ ও দমন-পীড়নের পাশাপাশি নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্দশার প্রতিবাদে ছয় জেলায় মেহনতি মানুষের পক্ষে সমাবেশ করবে বিএনপির চারটি সহযোগী সংগঠন।
মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদী কৃষক দল, শ্রমিক দল, তাঁতী দল ও মৎস্যজীবী দল শ্রমজীবী জনগণকে সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে উৎসাহিত করতে এসব কর্মসূচির আয়োজনে নেতৃত্ব দেবে।
রিজভী বলেন, তাদের দলের সহযোগী সংগঠনগুলো ১৫ জুলাই নোয়াখালীতে প্রথম, ১৯ জুলাই দিনাজপুরে দ্বিতীয় এবং ২৮ জুলাই রাজশাহীতে তৃতীয় সমাবেশ পালন করবে।
এই কর্মসূচির আওতায় আগস্টে আরও তিনটি পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে; যার মধ্যে ৫ আগস্ট যশোর, ১২ আগস্ট হবিগঞ্জ এবং সবশেষে ১৯ আগস্ট বরিশালে।
রিজভী বলেন, ‘নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ, সরকারের দুর্নীতি, শোষণ ও নিপীড়নের প্রতিবাদে বিএনপিসহ চারটি সহযোগী সংগঠন যৌথভাবে ছয়টি জেলা সদরে সমাবেশ করবে।’
আরও পড়ুন: ‘শিগগিরই’ বিএনপি এক দফা আন্দোলন শুরু করবে: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘ধনী-গরিবের মধ্যে ব্যবধান এখন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। নিম্ন আয়ের লোকেরা গুরুতর অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং তারা অনাহারে বা অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে।’
সরকারের ব্যাপক দুর্নীতি, লুটপাট ও শোষণের কারণে দরিদ্ররা নিঃস্ব হয়ে পড়েছে বলেও জানান এই প্রবীণ নেতা।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘এ কারণেই আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে দেশ ও জনগণকে বাঁচাতে মেহনতি মানুষের পদযাত্রার কর্মসূচি নিয়েছি।’
অনুষ্ঠান সফল করতে দলের ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান রিজভী।
এর আগে বিএনপির তিনটি সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনসহ তাদের ১০ দফা দাবিতে তরুণ প্রজন্মের সমর্থন আদায়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন নগর ও জেলায় ছয়টি সমাবেশ করেছে।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আ.লীগ সরকারকে অপসারণের কোনো বিকল্প নেই: ফখরুল
আ. লীগ সরকার দেশে ও বিদেশে সমর্থন হারিয়েছে: ফখরুল
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন খন্দকার মোশাররফ
উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান ইউএনবিকে বলেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে মোশাররফ সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আহ্বান খন্দকার মোশাররফের
তিনি জানান, স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে গত ১৮ জুন মোশাররফকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি ৮ দিন চিকিৎসা নেন।
এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল হাসপাতালে যান বিএনপি নেতা।
খন্দকার মোশাররফের দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন হাসপাতালে ভর্তি
বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ লুটপাট, ভাংচুর করেছে: খন্দকার মোশাররফ
‘শিগগিরই’ বিএনপি এক দফা আন্দোলন শুরু করবে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার বলেছেন, বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে তাদের দল ‘শিগগিরই’ তাদের ‘এক দফা’ আন্দোলন শুরু করবে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের জন্য একটি উপযুক্ত ও গ্রহণযোগ্য কাঠামো বেরিয়ে আসবে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা মূলত এক দফা আন্দোলনে আছি। খুব শিগগিরই আমরা এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবো।’
তিনি আরও বলেন, ঈদুল আজহার পর নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারকে মেনে নিতে সরকারকে বাধ্য করতে আন্দোলন আরও জোরদার করবেন।
ফখরুল বলেন, যারা আমাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করছে তাদের সঙ্গে কথা বলছি, কারণ আমরা আন্দোলন বাড়াতে চাই এবং তা আরও জোরদার করা হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছাতে তারা আলোচনা শুরু করেছেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু করেছি (নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে) এবং আমরা একটি সেমিনারে পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে কথা বলেছি। আমরা ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আরও সুনির্দিষ্টভাবে কথা বলব।’
তিনি তত্ত্বাবধায়ক বা নির্বাচনকালীন সরকারের একটি উপযুক্ত কাঠামো নির্ধারণ করতে সংবিধান ও আইন বিশেষজ্ঞদের এ বিষয়ে তাদের মতামত দেওয়ার আহ্বান জানান।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা আশা করি সকল স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য কাঠামো পাওয়া যাবে।’
আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন সংশোধনীর মাধ্যমে বর্তমান সংবিধান দলীয় ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রজাতন্ত্র জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী চলবে এবং জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী সংবিধান সংশোধন করা যেতে পারে।
ফখরুল বলেন, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ যখন দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে, এরপর যেকোনোভাবেই তারা একদলীয় শাসন পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে সংবিধান সংশোধন শুরু করে।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার জনগণের কাছে একটি গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা ছিল, কিন্তু সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের অজুহাত দেখিয়ে সরকার পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তা বাতিল করেছে; যা ছিল প্রতারণা। জনগণ ও বিচার বিভাগের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে এটা করা হয়েছে।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা দাবি করেন, পঞ্চদশ সংশোধনী বা সরকার কোনোটাই বৈধ নয়।
তার চেয়ে ভালো দেশ কে চালাতে পারে এমন প্রশ্নে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘এটি তার গণতন্ত্রবিরোধী, স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী মনোভাব প্রকাশ করেছে।’
ফখরুল বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে পারলে দেশ পরিচালনা ও গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে অনেক যোগ্য নেতা পাওয়া যাবে।
একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য সরকার পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করার সদিচ্ছা করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বিএনপি নেতা বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে আগামী নির্বাচন কোনোভাবেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না। ‘তাই আমাদের অবস্থান স্পষ্ট যে এই সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে এবং ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
তিনি বলেন, দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা সত্ত্বেও সরকার বিরোধী দলকে দমন করতে সারাদেশে দমনমূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে।
তিনি বলেন, একদিকে তারা আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করছে, অন্যদিকে আমাদের দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তুলে নিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।
ফখরুল বলেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে এখানে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন কীভাবে আশা করেন?’
এবার ঠাকুরগাঁওয়ে তার গ্রামের বাড়িতে ঈদ উদযাপন করায় ফখরুল সাংবাদিকদের সঙ্গে আগাম ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
খালেদার সঙ্গে দেখা করলেন ফখরুল
দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফখরুল খালেদার গুলশানের বাসায় যান এবং তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন বলে ইউএনবিকে জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব দলীয় প্রধানের সঙ্গে দেখা করে মূলত তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান কারণ তিনি বিভিন্ন রোগে চিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: সেন্ট মার্টিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য রাজনৈতিক কৌশল ছাড়া কিছুই নয়: ফখরুল
এর আগে গত ১৭ জুন বিএনপি চেয়ারপার্সন এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চারদিন চিকিৎসা নিয়ে গুলশানের বাসায় ফেরেন।
৭৮ বছর বয়সী খালেদা দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। ২০২০ সালে তার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর থেকে বিএনপি নেত্রী হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকার দেশে ও বিদেশে সমর্থন হারিয়েছে: ফখরুল
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করায় খালেদাকে পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে, একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সরকার তার সাজা স্থগিত করে খালেদা জিয়াকে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়। এতে শর্তে দেয়া হয়েছে যে তিনি তার গুলশানের বাড়িতে থাকবেন এবং দেশ ছেড়ে যাবেন না।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আ.লীগ সরকারকে অপসারণের কোনো বিকল্প নেই: ফখরুল