বিএনপি
খালেদার অবস্থা এখন স্থিতিশীল: ডা. জাহিদ
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল বলে বুধবার জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন,‘ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল এবং যেদিন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তার তুলনায় কিছুটা উন্নতি হয়েছে।’
চিকিৎসক জানান, অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করেন।
‘তারা পরীক্ষার রিপোর্ট এবং তার শারীরিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছেন।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. জাহিদ বলেন, খালেদার পরবর্তী চিকিৎসার ধাপ নির্ধারণ করতে বিকালে মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনকে আরও কয়েকদিন হাসপাতালে থাকতে হতে পারে।
আরও পড়ুন: গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন খালেদা জিয়া: ফখরুল
হঠাৎ জ্বর ও পেটব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়লে মঙ্গলবার ভোরে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকার হাসপাতালে তার মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় তত্ত্বাবধানে তার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন পরীক্ষা করানো হয়।
৭৮ বছর বয়সী খালেদা দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।
২০২০ সালে শর্তসাপেক্ষে তার মুক্তির পর থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সন কার্ডিওলজিস্ট অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: গভীর রাতে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের 8 ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করায় খালেদাকে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
পরে, একই বছর দুর্নীতির আরেকটি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয় এই শর্তে যে তিনি তার গুলশানের বাড়িতে থাকবেন এবং দেশ ছেড়ে যাবেন না।
আরও পড়ুন: এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে
ফয়জুল করিমের ওপর হামলার বিষয়ে সিইসি’র মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ফখরুলের
বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) মন্তব্যের সমালোচনা করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘সিইসি বলেছেন যে সোমবারের সিটি নির্বাচন নিয়ে তিনি খুবই সন্তুষ্ট। বরিশাল সিটি নির্বাচনে চরমোনাই পীর ফয়জুল করিমকে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা পিটিয়ে রক্তাক্ত করলেও তারা (ইসি) তা প্রতিহত করতে পারেনি।’
মঙ্গলবার রাজধানীর গোপীবাগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রা কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, একজন সম্মানিত আলেম ও মেয়র প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইসি চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন খালেদা জিয়া: ফখরুল
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আপনারা (ইসি) বলছেন যে আপনারা অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে পারবেন। আপনারা তা করতে পারবেন না। আমরা অনেক দেখেছি।’
ভোটের সময় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হামলায় ফয়জুল করিম মারা যাননি বলে সিইসি হাবিবুল আউয়ালের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।
ফখরুল বলেন, ‘আপনি কি তার লাশ চেয়েছিলেন? আপনি কি চেয়েছিলেন যে তিনি মারা যাক? আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।’
দেশব্যাপী চলমান লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতির প্রতিবাদে বিএনপির দেশজুড়ে কর্মসূচির অংশ হিসেবে গোপীবাগ সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টার থেকে রায়সাহেবের বাজার অভিমুখে পদযাত্রা করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কোনো আপস নয়: ফখরুল
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপিও একই মাঠে মহাখালী থেকে কারওয়ানবাজার অভিমুখে পযযাত্রা করে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
পদযাত্রা শুরুর আগে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার বারবার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে, কিন্তু সারাদেশে মানুষ লোডশেডিংয়ের সম্মুখীন হচ্ছে। কিন্তু তারা (সরকার) কিছুদিন আগে একটি আকর্ষণীয় আতশবাজি ও লেজার শো দিয়ে ক্ষমতায় স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের সাফল্য উদযাপন করেছে।
তিনি বলেন, সরকার জনগণের পকেট থেকে টাকা নিয়ে কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে এবং উৎপাদন বন্ধ থাকা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকেও টাকা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ‘ডেড’ নয়, ‘লাইফ’ ইস্যু: ফখরুল
গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন খালেদা জিয়া: ফখরুল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন, যেখানে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নেত্রী (খালেদা জিয়া) আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তিনি এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েন যে রাত ৩টায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন।’
মঙ্গলবার রাজধানীর গোপীবাগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রা কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন যে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে 'মিথ্যা' মামলায় কারারুদ্ধ করেছে, কারণ তিনি মুক্ত থাকলে তারা কোনো নির্বাচনে বিএনপিকে পরাজিত করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগও ভালো করেই জানে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে তারা ১০টি আসনও পাবে না।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বর্তমান সরকারের সকল অন্যায়ের জবাব দিতে দেশের জনগণ, সকল গণতান্ত্রিক দল ও সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে সোমবার দিবাগত রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বিএনপি চেয়ারপার্সনকে।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কোনো আপস নয়: ফখরুল
গভীর রাতে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া
এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে
রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে মঙ্গলবার মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় তত্ত্বাবধানে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।
তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, 'অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে তার মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ম্যাডামের চিকিৎসা চলছে।'
গতকাল রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে খালেদা জিয়াকে দুপুর দেড়টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশানের বাসা থেকে রাত ১টা ২০ মিনিটে বের হন এবং ১টা ৪০ মিনিটের দিকে হাসপাতালে পৌঁছান।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া এভারকেয়ারে নিবিড় পর্যবেক্ষণে: ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ
পরে তার চিকিৎসার জন্য আগে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তিনি সর্বশেষ গত ২৯ এপ্রিল একই হাসপাতালে যান এবং সেখানে পাঁচ দিন চিকিৎসা নেন।
২০২১ সালের এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে সাতবার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন।
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
২০২০ সালে তার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ৫ দিন পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
গত বছরের ১০ জুন তার বাম ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লক থাকায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন বিএনপি চেয়ারপার্সন এবং পরদিন একই হাসপাতালে ওই ব্লক অপসারণ করে সেখানে স্টেন্ট বসানো হয়।
ডাক্তাররা তার রক্তনালীতে আরও দুটি ব্লক খুঁজে পেয়েছেন, কিন্তু তার স্বাস্থ্যগত জটিলতার কারণে তারা সেগুলো অপসারণ করতে পারেনি।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করায় খালেদাকে পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে, একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে, সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা
জিয়াকে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়, এই শর্তে যে তিনি তার গুলশানের বাড়িতে থাকবেন এবং দেশ ছেড়ে যাবেন না।
আরও পড়ুন: গভীর রাতে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া
ফয়জুল করিমের ওপর হামলা আবারও প্রমাণ করে আ.লীগের অধীনে কখনো বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়: বিএনপি
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিমের ওপর হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ আখ্যায়িত করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এটা আবারও প্রমাণিত হয়েছে যে, বর্তমান 'অবৈধ' সরকার অধীনে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন কখনোই সম্ভব নয়।
সোমবার এক বিবৃতিতে বিএনপির এই নেতা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন এবং এর জন্য ক্ষমতাসীন দলের 'ক্যাডারদের' দায়ী করেছেন।ফখরুল বলেন, ‘প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রকাশ্য দিবালোকে একজন ধর্মীয় নেতা এবং একজন মেয়র প্রার্থীর ওপর সন্ত্রাসী হামলা কাপুরুষোচিত ও ঘৃণ্য। এই বর্বরোচিত হামলা আবারও উন্মোচিত করেছে যে আওয়ামী লীগ তাদের প্রার্থী ছাড়া বিরোধী দলের কোনো প্রার্থীকে সহ্য করতে পারে না।’
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের যে কোনো উপায়ে প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করার মনোভাব রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেট ও রাজশাহী সিটি নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের
সরকারের নির্দেশের বাইরে গিয়ে কিছু করতে পারে না বলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কড়া সমালোচনা করেন বিএনপির এই নেতা।তিনি বলেন, বিরোধী দলগুলোর অংশগ্রহণ ছাড়া এ ধরনের নির্বাচন করতে ইসি সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যখন একজন মেয়র প্রার্থী ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের দ্বারা আক্রান্ত, সাধারণ ভোটারদের নিরাপত্তা কোথায়? এমন নির্বাচনী পরিবেশের কারণে বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে অংশ নেয়নি।’
আরও পড়ুন:
তিনি বলেন, আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই আওয়ামী লীগের অধীনে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
ফখরুল ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী ফয়জুল করিমের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে, জাপা মেয়র প্রার্থীর অভিযোগ
বরিশাল সিটি নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম অভিযোগ করেছেন যে কাউনিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগের হামলায় তার সমর্থকদের পাশাপাশি তিনি আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ভোটার ও তার এজেন্টদের কাউনিয়া কেন্দ্র ও মানিক মিয়া কেন্দ্র ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।
পরে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এনে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) ও বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে আইএবি।
আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠেয় সিলেট ও রাজশাহী সিটি নির্বাচনও বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে দলটি।আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: হাতপাখার প্রার্থীর ওপর হামলা, নৌকার কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ
গভীর রাতে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশানের বাসা থেকে রাত ১টা ২০ মিনিটে বের হন এবং ১টা ৪০ মিনিটের দিকে হাসপাতালে পৌঁছান।
তিনি বলেন, তার মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ম্যাডাম (খালেদা) হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।’
দলীয় সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার অসুস্থতার খবর শুনে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কয়েকজন সিনিয়র নেতা তার বাসায় যান।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া এভারকেয়ারে নিবিড় পর্যবেক্ষণে: ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ
পরে তার চিকিৎসার জন্য আগে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার তাকে প্রাইভেটকারে করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
তিনি সর্বশেষ গত ২৯ এপ্রিল একই হাসপাতালে যান এবং সেখানে পাঁচ দিন চিকিৎসা নেন।
২০২১ সালের এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে সাতবার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন।
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
২০২০ সালে তার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে মন্তব্য তাকে কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র: ফখরুল
গত বছরের ১০ জুন তার বাম ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লক থাকায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন বিএনপি চেয়ারপার্সন এবং পরদিন একই হাসপাতালে ওই ব্লক অপসারণ করে সেখানে স্টেন্ট বসানো হয়।
ডাক্তাররা তার রক্তনালীতে আরও দুটি ব্লক খুঁজে পেয়েছেন, কিন্তু তার স্বাস্থ্যগত জটিলতার কারণে তারা সেগুলো অপসারণ করতে পারেনি।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করায় খালেদাকে পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে, একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে, সরকার২০২০ সালের ২৫ মার্চ তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা
জিয়াকে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়, এই শর্তে যে তিনি তার গুলশানের বাড়িতে থাকবেন এবং দেশ ছেড়ে যাবেন না।
আরও পড়ুন: ৫ দিন পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির কারণে সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে জামায়াত: গয়েশ্বর
বিএনপির সিনিয়র নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সোমবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির প্রভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে এক দশক পর রাজধানীতে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার এক আলোচনায় বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, জামায়াত একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে সভা করতে পারে, কিন্তু কিছু মানুষ ভাবছেন যে সরকারের সঙ্গে চুক্তির পর ইসলামপন্থী দলকে দীর্ঘদিন পরে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল কিনা।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আসলে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির কারণে সরকার জামায়াতকে (সমাবেশ করার) অনুমতি দিতে বাধ্য হয়েছিল। প্রত্যেককে (ক্ষমতাসীন দলের) এখন সকাল-বিকাল রক্তচাপ এবং সুগারের মাত্রা পরীক্ষা করতে হবে কারণ তারা বুঝতে পেরেছে সবকিছুর শেষ আছে।’
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে স্বাধীনতা ঐক্য পরিষদ।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কোনো আপস নয়: ফখরুল
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এই সরকারের কাছে নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার একটাই পথ খোলা আছে। তা হলো জনগণের মালিকানা এবং তাদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া এবং ১০ দফা মেনে নেওয়া।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিরোধী দল তাদের ১০ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনায় বসতে রাজি নয়।
তিনি আরও বলেন, ‘এখন সময় এসেছে আপনাদেরকে (সরকার) বিদায় জানানোর। আমরা এখন আলোচনায় বসবো কেন? আমরা প্রতিদিন যা বলছি, তাই সংলাপ, কিন্তু আপনারা তা শুনছেন না।’
গয়েশ্বর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উচিত বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়ে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠাসহ বিএনপির ১০ দফা দাবি মেনে নেওয়া।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি আগে মেনে নিতে হবে। এরপর তত্ত্বাবধায়ক বা নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা বর্তমান পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারি... আমরা এটাই চাই।’
আরও পড়ুন: নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ‘ডেড’ নয়, ‘লাইফ’ ইস্যু: ফখরুল
লোডশেডিং: ১৩ ও ১৬ জুন মহানগরীগুলোতে রোডমার্চ করবে বিএনপি
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কোনো আপস নয়: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রবিবার বলেছেন, নিরপেক্ষ সরকারের প্রশ্নে কোনো আপস হবে না, লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে রাজপথে ফয়সালা হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার হলে আওয়ামী লীগ ১০টি আসনও পাবে না
তিনি বলেন, ‘সরকারের কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেছে। তারা সকালে বলে এক কথা। বিকেলে বলে আরেক কথা।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচন করার ক্ষমতা নেই: মির্জা ফখরুল
রবিবার দুপুরে গাজীপুর মহানগর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ জন্যই এই দলের সাধারণ সম্পাদক বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি ডেড ইস্যু। কিন্তু না, তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি জীবন্ত ইস্যু। সারাবিশ্ব চায় বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন হোক।
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল নয়, প্রকৃত পক্ষে তারা একটি সন্ত্রাসী দল। তাই তারা নির্বাচন চায় না। তাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজই বলে দেয় তারা সন্ত্রাসী ছাড়া আর কিছুই না। তাদের সঙ্গে ফয়সালা হবে রাজপথেই।
তিনি আরও বলেন, মানুষ ন্যায়বিচার পাবে, সাম্য প্রতিষ্ঠা হবে, গরীব আরও গরীব হবে না, ধনী আরও ধনী হবে না, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। কিন্তু আওয়ামী লীগ আমাদের স্বপ্ন তছনছ করে দিয়েছে। ৭১’ সালে যে লক্ষ্যে বাংলাদেশ গড়েছিলাম সেই বাংলাদেশ ফিরিয়ে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ‘প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির’ অভিযোগে মির্জা ফখরুল ও রাজশাহী বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
দাবি একটাই, শেখ হাসিনার পদত্যাগ: মির্জা ফখরুল
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ‘ডেড’ নয়, ‘লাইফ’ ইস্যু: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ‘ডেড’ নয়, এখন ‘লাইফ’ ইস্যু।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে এই সরকার চরম ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। যে কারণে আমরা বার বার করে বলছি যে, এই সরকারের এখন থাকার আর কোনো কারণ নেই। তারপরও তার নেতা-মন্ত্রীরা বলেন যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নাকি এখন ডেড ইস্যু।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ‘ডেড ইস্যু’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এরকম বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির কাছে সংলাপ নিয়ে আমুর বক্তব্যের কোনো গুরুত্ব নেই: ফখরুল
তিনি বলেন, ডেড ইস্যু হবে কেনো? এটাই তো এখন সবচেয়ে লাইফ ইস্যু। কারণ আমরা মনে করি যে, এই সরকারের এই মুহুর্তে পদত্যাগ করা উচিত।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ও বিএনপির সাবেক এমপি এবং পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী গৌতম চক্রবর্তীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এতো চুরি করেছে, এতো দুর্নীতি করেছে এবং একটা সমস্যারও সমাধান করতে পারেনি সেই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কারণ নেই।
সেই কারণে আমরা বলেছি যে, একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকার অথবা একটা নিরপেক্ষ সরকার এবং নির্দলীয় সরকারকে দায়িত্ব দিতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা এবং নির্বাচনী ব্যবস্থাকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে পরিকল্পিতভাবে।
কারণ তারা জানে যে, তারা এতো চুরি-চামারি করেছে যে, সাধারণভাবে যদি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন হয় তাহলে কোনো দিনই তারা ক্ষমতায় ফিরে আসা দূরে থাকুক, পার্লামেন্টে ১০ ভাগেরও বেশি ভোট পাবে না। সেই সরকার আজকে ক্ষমতায় বসে আছে।
তিনি বলেন, আমরা খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, বাংলাদেশের মানুষ দুইটা ইলেকশন দেখেছে। ২০১৪ সালে ও ২০১৮ সালে। আবার ওই জায়গায় ফেরত যাওয়ার প্রশ্নই উঠতে পারে না।
এছাড়া গত ১৮ সালে শেখ হাসিনা আমাদেরকে ডেকেছিলেন সংলাপের জন্য। আমরা গিয়েছিলাম এ জন্য যে, আমরা মনে করেছিলাম আলোচনার মাধ্যমে যদি একটা অবস্থা তৈরি হয় সেই অবস্থায় আমরা যদি একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারি তাহলে হয়তবা জনগণের সেই ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে পারব।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের নামে নতুন খেলা শুরু করেছে সরকার: ফখরুল
‘ওদেরকে বিশ্বাস করা যায় না’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীল বলেন, আইনমন্ত্রী পার্লামেন্টে কালকে বলেছেন যে, যখন নির্বাচন চলবে, নির্বাচন কমিশনের সেই ক্ষমতা থাকবে যে, তখন আর কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না বা কাউকে আটক করা যাবে না। এই কথা কে বিশ্বাস করবে?
তিনি বলেন, আমরা কোনো কথা শুনতে চাই না। আগে পদত্যাগ করুন, তারপরে সংসদ বিলুপ্ত করে নির্বাচনকালীন একটা নির্দলীয় সরকার গঠন করবার জন্য সেই ব্যবস্থা নিন।
‘দেশের অর্থনীতি আন্ডারগ্রাইন্ডে’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এতো বেশি উন্নয়নের কথা বলেছে কিছুদিন আগে পর্যন্ত যে, খৈ ফুটে মুখের মধ্যে, সব দিকে নাকি তারা উন্নয়নে একেবারে সমুদ্র বইয়ে দিয়েছে।
আমরা তখনও বলেছি, গণতন্ত্র বিহীন উন্নয়ন কখনো উন্নয়ন হতে পারে না। এটা টেকসই নয়। এটা ভেঙে যাবে।
আজকে দেখুন আমাদের কথার প্রতিধ্বনি করছে আন্তর্জাতিক পত্রিকাগুলোতে। সরকার বলছে, বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। আর আন্তর্জাতিক পত্রিকাগুলো বলছে যে, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন ঝুঁকিতে।
বাংলাদেশের সাফল্য গল্প টক হয়ে গেছে সাওয়ার। কথাটা আমার নয়, কথাটা ভারতের টেলিগ্রাফের অনলাইন ভাসর্নে পরাণ বালাকৃষ্ণা বলে একজন প্রতিবেদকের প্রতিবেদনে এসব এসেছে।
আরও এসেছে যে, বাংলাদেশের সরকার ইতোপূর্বে যে সমস্ত দাবি করেছে সেই দাবিগুলো যে কতটা ঠুনকো ছিল, ক্রাইসিসে যখন বাংলাদেশ পড়েছে তখন সেটা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রতিবেদনে বলছে, বাংলাদেশের পুরো ব্যবস্থটাই এখন আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে গেছে। এমনকি রপ্তানি থেকেও ডলার ফেরত আসছে না। রপ্তানির রশিদ সংখ্যা, রপ্তানি শিফমেন্টের সংখ্যা মেলানো খুব কঠিন।
বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন জোর দিচ্ছে কমপক্ষে ৩০ লাখ ডলারের ওপর যেকোনো এলসিতে তারা ক্লিয়ারেন্স দেবে যা বাণিজ্যের জন্য আরও একটি বোঝা হবে।
অর্থাৎ ইকোনমি অলরেডি আন্ডারগ্রাউন্ডে। এই আন্ডারগ্রাউন্ডে কেনো? এই যে ভয়াবহ নজিরবিহীন দুর্নীতি, এই দুর্নীতি করে তো সব কাজগুলো করা হয়েছে।
শেষ মুহুর্তে আবার পরিচিত ব্যক্তি- আমি নাম বলতে চাই না যাকে আপনারা সবসময় দেখেন, যিনি সব ব্যবসাগুলো করায়াত্ত করছেন। তিনি আবার সেই এয়ারবাস নিয়ে এসেছেন যে, আবার যদি একটা বড় ফান্ড তৈরি করা যায়। আর সেই ফান্ডে একদিকে নির্বাচনেও কাজ হবে আবার তাদেরও পকেট ভর্তি হবে।
তিনি আরও বলেন, আজকে সমস্ত কিছুর লক্ষ্য একটাই নিজেদের পকেট ভর্তি করা এবং সেই টাকা বিদেশে পাচার করা।
আরও পড়ুন: আ.লীগ নেতারা মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন: ফখরুল
নির্বাচনের নামে নতুন খেলা শুরু করেছে সরকার: ফখরুল
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার আবারও নির্বাচনের নামে খেলা শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘জনগণের এখন ভোট দেওয়ার অধিকার নেই। আমরা ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে আমাদের ভোট দিতে পারিনি। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, আওয়ামী লীগ সরকার আবার নির্বাচনী খেলায় লিপ্ত হয়েছে।’
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও ‘ভয়ানক’ লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি নেতা এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ নেতারা মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন: ফখরুল
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় শ্রমিক দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী সমাবেশে যোগ দেন।
ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য একটি সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ‘একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন আয়োজনের জন্য সমগ্র জাতি ঐক্যবদ্ধ।’
তিনি বলেন, দেশের মানুষ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া ক্ষমতাসীন দলকে নির্বাচন করতে দেবে না।
আরও পড়ুন: লোডশেডিং: বিপিডিবি চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বিএনপি
বিএনপি নেতা বলেন, সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে এবং একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে, যাতে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে অনুষ্ঠানের সুযোগ তৈরি হয়। ‘এর অন্য কোন বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জোরপূর্বক ১৪ বছর ক্ষমতায় থেকে পরিকল্পিতভাবে সাধারণ মানুষের সব অধিকার হরণ করেছে।
ফখরুল আরও বলেন, ‘এখানে জড়ো হওয়া শ্রমিক ভাইদের ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে এবং তারা কর্মসংস্থানের সুযোগের অভাবে খারাপভাবে সংগ্রাম করছে। কিন্তু যারা ক্ষমতায় আছে এবং যারা তাদের সঙ্গে আছে তারা অবৈধভাবে লুটপাট ও অর্থ উপার্জনে লিপ্ত। তারা তাদের অবৈধ অর্জিত অর্থ দেশ থেকে বিদেশে পাচার করছে।’
কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও তাদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করার জন্য বিএনপি কর্তৃক সূচিত আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: লোডশেডিং: ১৩ ও ১৬ জুন মহানগরীগুলোতে রোডমার্চ করবে বিএনপি