বিএনপি
বিদ্যুৎ-জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা 'জনবিরোধী', নিষ্ঠুর: বিএনপি
আগামী মার্চে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়াতে সরকারের পরিকল্পনাকে 'গণবিরোধী, নিষ্ঠুর' আখ্যায়িত করে কঠোরভাবে সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (২২ জানুয়ারি) নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'সরকার মার্চ মাসে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে। যে সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে, তারা এ ধরনের গণবিরোধী ও অগ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’
রিজভী বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত হবে অত্যন্ত নির্মম। রমজানকে সামনে রেখে এই সিদ্ধান্ত মানে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা। মধ্যম ও নিম্ন আয়ের মানুষ ইতোমধ্যে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। জনসংখ্যার ৮০ শতাংশের কোনো প্রকার আয় বাড়েনি। মানুষ চরম কষ্টের মধ্যে বসবাস করছে। কেউ কেউ ক্ষুধা ও অপুষ্টির মুখোমুখি হচ্ছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়ানোর সরকারি সিদ্ধান্ত জনগণকে বিপদে ফেলবে।’
আরও পড়ুন: বিরোধী দলকে নিষিদ্ধ করতে চায় আ. লীগ: ড. মঈন
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়লে চেইন রিঅ্যাকশনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। কৃষি, শিল্প ও কলকারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়ানোর পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার দাম বাড়ালে প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি।
রিজভী বলেন, বর্তমান দখলদার সরকার বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি তাদের ভালোবাসা প্রদর্শন করলেও বাস্তবে এ দেশ বিদেশি ভাষা ও সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এর প্রমাণ বাংলাদেশের সর্বত্রই রয়েছে। আজ টেলিভিশন খুললেই হিন্দি নাটক, হিন্দি সিনেমা চোখে পড়ে। সিনেমা হলে দেখানো হচ্ছে ভারতীয় ছবি। এগুলো কিসের জন্য?’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুকসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: একুশে ফেব্রুয়ারির চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জনগণ অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়: বিএনপি
কারামুক্ত বিএনপি নেতা আলাল
সাড়ে তিন মাস পর গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
বুধবার(২১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে তিনি কারাগার থেকে বের হন বলে বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে।
এর আগে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে মুক্তি পান আলাল।
মুক্তি পাওয়ার পর কারাফটকের সামনে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
এ সময় আলাল বলেন, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং শিগগিরই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
তিনি আরও বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
একুশে ফেব্রুয়ারির চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জনগণ অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়: বিএনপি
অমর একুশে ফেব্রুয়ারি, ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর সকাল ১০টা ৪৭ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পৌঁছান এবং বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সকাল ৭টায় নীলক্ষেতের বলাকা সিনেমা হলের সামনে কালো ব্যাজ ধারণ করে জড়ো হন দলের নেতা-কর্মীরা। পরে তারা প্রথমে আজিমপুর কবরস্থানে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের কবরে ফাতেহা পাঠ শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যান।
সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রিজভী বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীরা সব ধরনের দমন-পীড়ন সহ্য করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাজপথে নেমেছে।
আরও পড়ুন: ভাষা আন্দোলন মাথা নত না করা শেখায়: জমির উদ্দিন সরকার
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ নির্ভয়ে উচ্চকণ্ঠে কথা বলতে চায় এবং একুশে ফেব্রুয়ারির চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আজকের এই দিনে আমরা শপথ নিচ্ছি- ভাষা শহীদদের দেখানো পথ অনুসরণ করে তা পালন করব।’
এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, তাদের এক দফা আন্দোলন থেমে নেই। আন্দোলন চলছে। কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের পতন এবং একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত তারা এক দফা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন: ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
ভাষা আন্দোলন মাথা নত না করা শেখায়: জমির উদ্দিন সরকার
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের উপায় হিসেবে সারাদেশের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে তার দলকে তৃণমূল পর্যায়ে প্রচারণা চালানোর উপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিএনপি নেতা জমির উদ্দিন সরকার।
মঙ্গলবার এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন জনগণকে মাথা নত না করতে শেখায়। এখান থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে জনগণ তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঘুরে দাঁড়াবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এখন জনগণের দ্বারে দ্বারে গিয়ে বলতে হবে বিএনপি মানেই শান্তি, গণতন্ত্র ও সাধারণ মানুষের উন্নয়ন। ইনশাল্লাহ দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে।’
আরও পড়ুন: ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার সরকার বলেন, গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের অনুপস্থিতির কারণে দেশ অরাজকতার দিকে ধাবিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপি ও দলটির নেতা-কর্মীরা গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করায় দীর্ঘদিন ধরে কঠিন সময় পার করছে।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি।
সরকার আরও বলেন, ভাষা আন্দোলন কোনো গতানুগতিক আন্দোলন নয়, এটি একটি আদর্শিক আন্দোলন।
তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলন ছিল বাংলার পরিবর্তে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার পাকিস্তানিদের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন।
তিনি বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের ফলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। এই ভাষা আন্দোলন আমাদের শিক্ষা দেয় যে- আমরা মাথা নত না করে আমরা আমাদের অধিকার আদায় করব। আমাদের আওয়াজ তুলতে হবে এবং আমাদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বাঙালিই একমাত্র জাতি যারা জীবন দিয়েছে, রক্ত ঝরিয়েছে, মাতৃভাষার জন্য যুদ্ধ করেছে। ‘মাতৃভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করা গত শতাব্দীতে বাংলা ছিল শ্রেষ্ঠ উদাহরণ।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা মুখ রক্ষায় অসংলগ্ন কথা বলছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনকারীদের নির্মমভাবে হত্যা করে পাকিস্তানিরা বাঙালিদের শহীদ মিনার দিয়েছে। ‘কিন্তু শেখ হাসিনার সুবাদে এখন বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে শহীদ মিনার তৈরির অবস্থা হয়েছে।’
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, তাদের দলের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী খুন ও গুমের শিকার হয়েছেন এবং আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে হাজার হাজার মানুষ নিপীড়ন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, বাংলাদেশ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য স্বাধীন হয়েছে। ‘দেশ স্বাধীন হওয়ার প্রায় ৫৩ বছর পর এখন আমরা এমন এক ক্রান্তিলগ্নে উপনীত হয়েছি যখন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে।’
‘আসুন আমরা জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনি, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসি। দেশে মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। এজন্য আমরা রাজপথে ছিলাম, রাজপথে আছি, রাজপথে থাকব।’
আরও পড়ুন: ‘বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিলে আমরা বাধা দেব কেন?’
সোমবার রাতে খালেদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ফখরুল
বৃহস্পতিবার বিকালে কারাগার থেকে বের হওয়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান ইউএনবিকে বলেন, রাত ৮টা ১০ মিনিটের দিকে ফখরুল খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসায় যান এবং তার সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন।
শায়রুল আরও বলেন, দীর্ঘদিন পর বিএনপি মহাসচিব কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ায় তিনি খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
তিনি বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে বৈঠক শেষে খালেদা জিয়ার বাসা থেকে বের হন মির্জা ফখরুল।
প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাভোগের পর ১৫ ফেব্রুয়ারি জামিনে মুক্তি পান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: ফখরুলের স্বাস্থ্যের অবনতিতে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চলবে: জেল থেকে বেরিয়ে ফখরুল
২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
সোমবার(১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
মাতৃভাষার জন্য জাতির সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ ২১ ফেব্রুয়ারি বুধবার মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হবে। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
রিজভী বলেন, দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: বিরোধী দলকে নিষিদ্ধ করতে চায় আ. লীগ: ড. মঈন
তিনি বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে।
একই দিন সকাল ৬টায় নীলক্ষেতের বলাকা সিনেমা হলের সামনে কালো ব্যাজ ধারণ করে জড়ো হবেন দলের নেতাকর্মীরা। এরপর আজিমপুর কবরস্থানে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের কবরে ফাতেহা পাঠ এবং পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
এছাড়া সারাদেশে বিএনপির বিভিন্ন ইউনিট বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করবে।
রিজভী বলেন, জাতি এমন একটি সময়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করতে যাচ্ছে, যখন তারা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে
তিনি বলেন, 'এদেশের ভোটাররা এখন ভোট দিতে পারছে না এবং এদেশের মানুষ নির্ভয়ে ঘরে ঘুমাতে পারছে না। অসংখ্য জাতীয়তাবাদী শক্তির অসংখ্য নেতা-কর্মী তাদের স্ত্রী, পুত্র, কন্যা বা বাবা-মাকে নিয়ে গ্রামে-গঞ্জে থাকতে পারছেন না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের দলের অনেক নেতা-কর্মী এখন অটোরিকশা চালাচ্ছেন, এমনকি রিকশা চালিয় জীবিকা নির্বাহ করছেন।
এমতাবস্থায়, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির শহীদদের আত্মত্যাগ দেশের মানুষকে তাদের অধিকার পুনরুদ্ধার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করবে। ‘দেশের মালিকানা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে এবং আইনের শাসন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠায় এটি আমাদের সাহস যোগাবে।’
আরও পড়ুন: ফখরুলের স্বাস্থ্যের অবনতিতে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের
বিরোধী দলকে নিষিদ্ধ করতে চায় আ. লীগ: ড. মঈন
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নিজেদের ক্ষমতা আরও পাকাপোক্ত করতে বিরোধী দলগুলোকে নিষিদ্ধ করতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
মঈন খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য বিচার বিভাগ ও সংসদ উভয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। তারা এখন বিরোধী দলগুলোকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়। এটাই আওয়ামী লীগের মানসিকতা।’
আরও পড়ুন: জনসমর্থন নেই বলেই সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করা হবে: মঈন খান
তিনি আরও বলেন, ‘মূল কথা হলো, এই শাসকগোষ্ঠী গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই দেশের বিরোধী দলগুলোকে নিষিদ্ধ করতে চায়।’
আওয়ামী লীগের বিপরীতে বিএনপি শুধু ক্ষমতায় না গিয়ে দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করে বলে দাবি করেন তিনি।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘গত দেড় বছর ধরে আমরা যে আন্দোলন করছি তা কেবল দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য। আমরা ক্ষমতার লোভ করি না।’
তিনি বলেন, তাদের দলের লক্ষ্য হচ্ছে ক্ষমতার পরিবর্তন আনা। যাতে দেশের মালিকানা জনগণের হাতে ফিরে আসে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আরও বলেন, জনগণের অর্থ লুটপাট, সম্পদ ও সম্পদ কুক্ষিগত করা এবং বিদেশে অভিজাত এলাকায় দ্বিতীয় বাড়ি গড়ে তোলার অধিকার বাংলাদেশের জনগণ কোনো রাজনৈতিক দলকে দেয়নি।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সেই কারণে স্বাধীন হয়নি।’
এর আগে বিএনপির সহযোগী সংগঠন বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মঈন খানের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের নেতা-কর্মীরা জিয়ার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
তারা সেখানে জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোজাজাত করেন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে মঈন বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে প্রতিটি আসনের জন্য সরকার আগে থেকেই বিজয়ী বাছাই করে ফলাফল পূর্বনির্ধারিত ছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘এ কারণে দেশের মানুষ নির্বাচন বর্জন করেছে।’
আরও পড়ুন: জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদ বা সরকার গঠিত হয়নি: ড. মঈন
তিনি বলেন, সরকার জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে বলেই এদেশে গণতন্ত্র নেই।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘এমনকি প্রধান প্রধান আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও ম্যাগাজিনগুলোও বলছে- বাংলাদেশে বাকশাল-২ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির ‘শান্তিপূর্ণ’ সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হামলা বিরোধী দলের উপর সরকারের দমন-পীড়ন বলেও মন্তব্য করেন ড. মঈন।
মঈন বলেন, ‘এমনটাই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। সেই দমন-পীড়নের মাধ্যমে সরকার আবারও এ দেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। সুতরাং ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদ ও সরকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না।’
ড. মঈন বলেন, দেশের এই ক্রান্তিকালে তাদের দল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, গরিবের অর্থনৈতিক মুক্তি এবং পাকিস্তানিদের স্বৈরাচার ও শোষণ থেকে মুক্তি পেতে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে দেশের মানুষ দেশ স্বাধীন করেছে।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রকে মুছে ফেলে, ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করেছে।’
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকার ‘তাসের ঘরের মতো’ ভেঙে পড়বে: মঈন খান
ফখরুলের স্বাস্থ্যের অবনতিতে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের
দুর্বল শরীর ও অসুস্থতার নানা উপসর্গ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে (বিএসএইচ) চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করেছেন।
শনিবার(১৭ ফেব্রুয়ারি তিনি চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন জানান, হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শামসুল আরেফিন তাকে প্রয়োজনীয় ওষুধ লিখে দিয়েছেন এবং তার গুলশানের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘কারাগারে থাকা অবস্থায় বিএনপি মহাসচিব অসুস্থ ছিলেন। তার প্রায় ৬ কেজি ওজন কমেছে এবং তার শরীরে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিয়েছে।’
ডা. জাহিদ বলেন, মির্জা ফখরুল বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে গেলে অধ্যাপক শামসুল আরেফিন তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ দেন।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে এবং বাসায় থেকেই তার চিকিৎসা চলছে। ফলোআপ চিকিৎসার জন্য আগামী বৃহস্পতিবার তাকে আবার হাসপাতালে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চলবে: জেল থেকে বেরিয়ে ফখরুল
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাগারে বন্দি থাকার পর জামিনে মুক্তি পান ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
এর আগে গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের মামলায় বুধবার(১৪ ফেব্রুয়ারি) মির্জা ফখরুল ও খসরুকে জামিন দেন ঢাকার একটি আদালত।
গত ২৯ অক্টোবর ফখরুল, খসরুসহ বিএনপির ৫৯ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করে পুলিশ।
সমাবেশে সহিংসতার ঘটনায় ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি ও খসরুর বিরুদ্ধে ১০টি মামলা হয়। গত ২৯ অক্টোবর ফখরুল ও ৩ নভেম্বর গুলশানের বাসা থেকে খসরুকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: দখলদারিত্বের নতুন নজির স্থাপন করেছে আ.লীগ সরকার: বিএনপি
দখলদারিত্বের নতুন নজির স্থাপন করেছে আ.লীগ সরকার: বিএনপি
নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অপমান করেই সরকার ক্ষান্ত হয়নি, বরং তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জেষ্ঠ নেত্রী সেলিমা রহমান।
তিনি বলেন, ‘জনগণ দেখছে তাদের (সরকারের) স্বৈরশাসন এবং কীভাবে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠানে জবরদখল করা হচ্ছে। তারা তাকে অপমান করেছে... এখন তার টেলিকম ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণভাবে দখল হয়ে গেছে।’
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে তিনি এই অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: ক্ষমতা দখল করে ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে আ.লীগ সরকার: রিজভী
বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের স্বৈরশাসন সর্বব্যাপী, কারণ এটি দখলদারিত্বের নতুন নজির স্থাপন করেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান আরও বলেন, ক্ষমতাসীনরা ধর্ষণ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত।
তিনি বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের ঘটনা আপনারা শুনেছেন। প্রতিদিন নারীরা কীভাবে নির্যাতিত ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন, তা পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে।’
দেশের মুক্তিযুদ্ধে নারীদের অনেক ত্যাগ স্বীকার করা হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এদেশে এখন মায়েরা ধর্ষণ ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ‘অনিয়ম সর্বত্র থাকার কারণে এগুলোর কোনো প্রতিকার নেই।’
সেলিমা বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রের রাজনীতিকরণের কারণে নির্যাতিত নারী ও নিপীড়িত জনগণ মানুষের কাছে থেকেও সহযোগিতা পায় না এবং বিচার বিভাগের কাছ থেকেও বিচার পায় না।
আরও পড়ুন: লুটপাটের টাকা ভাগাভাগির দ্বন্দ্বে অভ্যন্তরীণ রক্তপাত করছে আ.লীগ: বিএনপি
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ কারাবন্দী বিরোধী দলের নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলন।
সেলিমা বলেন, সব জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া দাম সামাল দিতে দেশের মানুষ কঠিন সময় পার করছে।
তিনি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে নিয়ন্ত্রণ করে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কমাতে সরকারের নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা করেন।
বর্তমান 'ফ্যাসিবাদী' সরকারকে বিদায় করে একটি গণমুখী সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজপথে নামার জন্য সর্বস্তরের জনগণকে আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভবনটি সরকারপন্থীরা দখল করেছে। তিনি বলেন, 'তিনি (মুহাম্মদ ইউনূস) নিজেই বলেছেন, তিনি পুলিশের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাচ্ছেন না।’
বর্তমান সরকার ক্ষমতা থেকে না ছাড়া পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ‘আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, বর্তমান ভঙ্গুর অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে এদেশের মানুষ বিপদে পড়বে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশের রাজনীতি, নির্বাচন ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রযন্ত্রকে ধ্বংস করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করতে যাচ্ছে সরকার।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চলবে: জেল থেকে বেরিয়ে ফখরুল
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চলবে: জেল থেকে বেরিয়ে ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিজয় না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটাধিকারের জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
কারাগার থেকে বের হওয়ার পরপরই তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'জনগণের বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় ফখরুল-খসরুর জামিন
বিএনপির এই নেতা দাবি করেন, ৭ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচন করে সরকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিএনপির কোনো ক্ষতি হয়নি, আন্দোলনেরও ক্ষতি হয়নি। ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সব সময় গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছে, সংগ্রাম করেছে। ‘ইনশাল্লাহ এই লড়াইয়ে তারা (জনগণ) জয়ী হবেই।’
এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রায় গ্রেপ্তার হয়ে সাড়ে তিন মাস আটক থাকার পর জামিনে মুক্তি পান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, জামিনের আদেশ কেরাণীগঞ্জের কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছানোর পর বিকাল ৩টা ৩৫ মিনিটে তারা কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান।
জেলগেটে তাদের স্বাগত জানান দলের নেতাকর্মী ও দলের শীর্ষ দুই নেতার স্বজনরা।
ফখরুল ও খসরু কারা গেটে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
আমীর খসরু বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতা দখল করেছে, কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। ‘নির্বাচনে তারা জনগণের কাছে নৈতিকভাবে পরাজিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ‘গণতন্ত্র ও জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত এটা অব্যাহত থাকবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করে বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্রের পক্ষে রায় দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ফখরুল-খসরু জামিনে মুক্ত
নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠিয়েছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, রাজপথে সরকারবিরোধী আন্দোলন পরিচালনার জন্য বিএনপিসহ সব গণতন্ত্রপন্থী দলের মনোবল যথেষ্ট শক্তিশালী।
এর আগে বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি আদালত গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ চলার সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের মামলায় মির্জা ফখরুল ও খসরুকে জামিন দেন আদালত।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের আবেদনের শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ২৯ অক্টোবর ফখরুল, খসরুসহ বিএনপির ৫৯ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করে পুলিশ।
সমাবেশে সহিংসতার ঘটনায় ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি ও খসরুর বিরুদ্ধে ১০টি মামলা হয়। গত ২৯ অক্টোবর ফখরুল ও ৩ নভেম্বর গুলশানের বাসা থেকে খসরুকে আটক করে পুলিশ। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলায় আদালত থেকে জামিন পেয়ে তাদের মুক্তির পথ সুগম হয়।
আরও পড়ুন: আজ মুক্তি পেতে পারেন ফখরুল-খসরু