বিএনপি
বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য জনগণ আর বহন করতে পারবে না: বিএনপি
নতুন করে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বারবার সরকারের সীমাহীন অনিয়ম ও বিদ্যুৎ খাতে লুটপাটের মূল্য দিতে হচ্ছে জনগণকে।
বুধবার দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির অন্যায় সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, জনগণ আর বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্যের বোঝা বহন করতে পারবে না।
ফখরুল বলেন, ‘সরকারের ব্যর্থতা, দুর্নীতি, লুটপাট, অব্যবস্থাপনা, ভুল নীতির কারণে মানুষ ইতোমধ্যেই অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিনিয়ত বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি সরকারের গণবিরোধী, অদ্ভুত ও অন্যায় সিদ্ধান্ত।’
তিনি বলেন, মাত্র ১৯ দিন আগে সরকার খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে।
তিনি বলেন, মাত্র ১৯ দিন পরই খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম আরও বৃদ্ধি সরকারের গণবিরোধী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ।
নতুন করে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করেন বিএনপি নেতা। ‘মানুষ আর এই বোঝা বহন করতে পারে না।’
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় বিদ্যুৎ, গ্যাস, জ্বালানি, ভোজ্যতেল, সারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বারবার বাড়িয়ে চলেছে। ‘এ নিয়ে সরকারের কোনো অনুশোচনা নেই। বরং এরা নির্লজ্জভাবে এইসব ভ্রান্ত পদক্ষেপের পক্ষে মিথ্যা কথা বলছে।’
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৪ বছরে ১১ বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে।
তিনি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের হাত থেকে বিদ্যুত ও জ্বালানির শুল্ক বৃদ্ধির কর্তৃত্ব কেড়ে নেয়ায় সরকারের পদক্ষেপকে একটি সূক্ষ্ম কৌশল বলেও অভিহিত করেন।
আরও পড়ুন: ১/১১-এর পর কারা দেশ থেকে পালিয়েছিল তা জনগণ জানে: ফখরুল
সরকার ও তার অনুসারীদের লুণ্ঠন ও দুর্নীতির কারণেই বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা। ‘জনগণ এখন সরকারের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে।’
ফখরুল বলেন, তাদের ১০ দফা দাবি মেনে নিতে এবং বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমানোর জন্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে তাদের দল ৪ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সব বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করবে।
তিনি সর্বস্তরের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে তাদের কর্মসূচি সফল করে সরকারের গণবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আহ্বান জানান।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি খুচরা দাম বাড়ানোর মাত্র ১৯ দিন পর সরকার মঙ্গলবার খুচরা বিদ্যুতের দাম পাঁচ শতাংশ এবং বাল্ক মূল্য আট শতাংশের বেশি বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: গাবতলী থেকে মিরপুর পর্যন্ত বিএনপির তৃতীয় পদযাত্রা শুরু
কুমিল্লা জেলা বিএনপির সদস্য সচিবকে অবাঞ্চিত ঘোষণা
অর্থের বিনিময়ে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা যুবদলের কমিটি গঠন করার অভিযোগে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জসিম উদ্দিনকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) কুমিল্লা নগরীর একটি রেঁস্তোরায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মো. আবু ইউসুফ বাবুল।যুবদল নেতা বাবুল বলেন,কুমিল্লা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন আওয়ামীলীগের সুবিধাভোগী। অর্থের বিনিময়ে তিনি পছন্দের লোক নিয়ে বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজলা যুবদলের কমিটি গঠন করে তারেক রহমানের পিএস পরিচয় দানকারী সানিকে টাকা দিয়ে কেন্দ্র থেকে অনুমোদন এনেছেন। যাদের বেশীরভাগই আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
আরও পড়ুন: নারীকে মারধরের অভিযোগে জকিগঞ্জ উপজেলা বিএনপি সভাপতি গ্রেপ্তার
বিএনপি নেতা বাবুল আরও বলেন,যখন আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করি, তখন জসিম উদ্দিন বিভিন্ন দেশে ভ্রমণে গিয়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে। তার মতো অযোগ্য লোক দলে থাকলে দলটার জন্য অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। আজ থেকে কমিটি বাণিজ্যে লিপ্ত থাকা জসিম উদ্দিনকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করলাম।
উল্লেখ্য,গত ১৮ জানুয়ারি ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা যুবদলের কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। এ কমিটি ঘোষণার পর থেকে বঞ্চিত নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশ সংবাদ সম্মেলন করে তাদের দাবি দাওয়া জানান দিচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মাসুদ সরকার, যুবদল নেতা কাজী ইকরামুল হক, জামাল উদ্দিন, ইসরাফিল গাজী, লিকসন মিয়া, জাহাঙ্গীর আলম, সোহেল মিয়াসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির শীর্ষ ৫ নেতা ঢাকায় গ্রেপ্তার
গাবতলী থেকে মিরপুর পর্যন্ত বিএনপির তৃতীয় পদযাত্রা শুরু
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে রাজধানীর মিরপুর থেকে গাবতলী অভিমুখে মিছিল শুরু করেছেন বিএনপির ঢাকা উত্তর মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে গাবতলী এসএ খালেক পরিবহন ময়দানে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
এটি বিএনপির তৃতীয় কর্মসূচি। এর আগে দলের ঢাকা উত্তর সিটি ইউনিট শনিবার বাড্ডা থেকে মালিবাগ পর্যন্ত এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি ইউনিট সোমবার যাত্রাবাড়ী থেকে জুরাইন পর্যন্ত পদযাত্রা করে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ২৮ জানুয়ারি থেকে ৪ দিনব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচির ঘোষণা বিএনপির
পদযাত্রা শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত ভাষণে মোশাররফ বলেন, বিএনপি যখনই কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করে তখনই ‘দখলকারী’ সরকার সহিংসতার কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। ‘কিন্তু বিএনপি বিভিন্ন বাধা অতিক্রম করে শান্তিপূর্ণভাবে ১০টি সমাবেশ করেছে। এছাড়াও আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আরও অনেক কর্মসূচি পালন করেছি। বাস্তবতা হলো বিএনপি যখনই কোনো কর্মসূচি নিয়ে আসে তখনই সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয় পায়।
তিনি বলেন, সরকার ব্যাপক লুণ্ঠন ও বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে, দেশে দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমান সরকারের পতন নিশ্চিত করতে জনগণ রাজপথে নেমেছে। ‘এই সরকার যত তাড়াতাড়ি ক্ষমতা ছাড়বে, দেশের ততই মঙ্গল।’
বিএনপি সহিংসতা ও বিশৃংখলা করে না তা প্রমাণ করতে তিনি আগের সব কর্মসূচির মতো শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করতে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে মানুষ খুবই কঠিন সময় পার করছে।
তিনি বলেন, সরকার দেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় ইউটিলিটি সার্ভিসের দামও বাড়াচ্ছে। ‘দেশ ও এর জনগণকে বাঁচাতে এবং গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধার করতে এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার কোনো বিকল্প নেই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস গণতন্ত্রকে হত্যা করছে বা যারা গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করেছে তাদের সমর্থন করছে, অথচ বিএনপি বারবার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছে। ‘জনগণের সঙ্গে মিলে আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের আবারও এটি (গণতন্ত্র) পুনরুদ্ধার করতে হবে।’
ব্যানার, জাতীয় ও দলীয় পতাকা, ফেস্টুন ও দলের শীর্ষ নেতাদের প্রতিকৃতি নিয়ে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী এ কর্মসূচিতে যোগ দেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ২৮, ৩০, ৩১ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে চারদিনের পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
বুধবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি ইউনিটের মুগদা থেকে মালিবাগ পর্যন্ত পদযাত্রার মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটবে।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ী থেকে জুরাইন পর্যন্ত বিএনপির ২য় পদযাত্রা শুরু
শাহজাদপুর থেকে মালিবাগ বিএনপির পদযাত্রা শুরু
জামিন পেলেন বিএনপি নেতা শিমুল বিশ্বাস
পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসকে সোমবার জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি শাহেদ নুরুদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ১/১১-এর পর কারা দেশ থেকে পালিয়েছিল তা জনগণ জানে: ফখরুল
শিমুলের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, আদালতের আদেশে তাকে মুক্তি দিতে কোনো বাধা নেই।
গত বছরের ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত এবং অর্ধশতাধিক আহত হন।
সংঘর্ষের ঘটনায় শিমুলসহ বিএনপির ৪৭০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ী থেকে জুরাইন পর্যন্ত বিএনপির ২য় পদযাত্রা শুরু
শাহজাদপুর থেকে মালিবাগ বিএনপির পদযাত্রা শুরু
১/১১-এর পর কারা দেশ থেকে পালিয়েছিল তা জনগণ জানে: ফখরুল
আওয়ামী লীগ কখনো পালিয়ে যায় না বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ বক্তব্য উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১/১১-এর রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর কারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছিল তা জনগণ জানে।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী গতকাল (২৯ জানুয়ারি, ২০২৩) রাজশাহীতে বলেছেন যে আওয়ামী লীগ কখনো পালায় না। ১/১১-এর (সরকারের) সময় গ্রেপ্তার হওয়ার পর কারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছিল তা সবাই জানে।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, তাদের দলের প্রধান খালেদা জিয়া ওই সময় দেশ ছাড়েননি। ‘তিনি (খালেদা) পরিষ্কার বলেছেন বিদেশে আমার কোনো জায়গা নেই। এটা আমার দেশ। আমি এখানে জন্মেছি… আমি মরলেও এখানেই মরব… তাই, সবাই জানে কে কোথায়, কখন, কীভাবে পালিয়েছে।’
সোমবার যাত্রাবাড়ী থেকে জুরাইন অভিমুখে দলের ঢাকা দক্ষিণ সিটি ইউনিটের পদযাত্রা কর্মসূচির সূচনাকালে এ মন্তব্য করেন ফখরুল।
ফখরুল বলেন, তাদের পদযাত্রা গণতন্ত্রের বিজয় মিছিল। ‘জনগণের অধিকার ফিরে পেতে আমাদের বিজয় মিছিল।’
আরও পড়ুন: 'ফ্যাসিস্ট' সরকার গণতন্ত্রের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনকে বানচাল করতে চাইছে: ফখরুল
তিনি দলের নেতাকর্মীদের আগের সব কর্মসূচির মতো শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান।
তবে তিনি ক্ষমতাসীন দলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে ‘দুর্বলতা’ না ভাবতে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত হলে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।’
ফখরুল আরও বলেন, জনগণের সম্পৃক্ততায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে ‘উৎখাত’ করে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করবেন তারা।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তাদের পায়ের নিচের মাটি হারিয়ে ফেলায় এখন ‘অসংযত’ মন্তব্য করছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি থেকে বরখাস্ত হওয়া নেতা অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তারের বিজয় নিশ্চিত করতে ক্ষমতাসীন দলের নানা ধরনের 'অশুভ' প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।
বিএনপির চার দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি জানাতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি ইউনিটের নেতাকর্মীরা যাত্রাবাড়ী থেকে রাজধানীর জুরাইন রেলগেট এলাকা অভিমুখে মিছিল করেছেন।
সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুলের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ফখরুল।
শনিবার দলের ঢাকা উত্তর মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা রাজধানীর বাড্ডা থেকে মালিবাগ পর্যন্ত মিছিল করার পর এটি ছিল বিএনপির দ্বিতীয় কর্মসূচি।
ব্যানার, জাতীয়, দলীয় ও সাদা পতাকা, ফেস্টুন ও দলের শীর্ষ নেতাদের প্রতিকৃতি নিয়ে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী এ কর্মসূচিতে যোগ দেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ২৮, ৩০, ৩১ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে চারদিনের পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
৩১ জানুয়ারি গাবতলী থেকে মিরপুর-১০ মোড় পর্যন্ত পদযাত্রা করবে বিএনপির ঢাকা উত্তর সিটি ইউনিট। ১ ফেব্রুয়ারি মুগদা থেকে মালিবাগ পর্যন্ত পদযাত্রা করবে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ সিটি ইউনিট।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা: ফখরুল
ক্ষমতাচ্যুতি এড়াতে এখনই পদত্যাগ করুন, সরকারকে ফখরুল
যাত্রাবাড়ী থেকে জুরাইন পর্যন্ত বিএনপির ২য় পদযাত্রা শুরু
বিএনপির চার দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী সাধারণ নির্বাচন নির্দলীয় নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি শাখার নেতাকর্মীরা যাত্রাবাড়ী থেকে রাজধানীর জুরাইন রেলগেট এলাকায় মিছিল করছেন।
সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুলের সামনে এ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এটি বিএনপির দ্বিতীয় কর্মসূচি। শনিবার দলের ঢাকা উত্তর মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা রাজধানীর বাড্ডা থেকে মালিবাগ পর্যন্ত মিছিল করে।
মিছিল শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ফখরুল দলের নেতাকর্মীদের আগের সব কর্মসূচির মতো শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান।
তবে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে দুর্বলতা না ভাবতে তিনি ক্ষমতাসীন দলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘আমাদের কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত হলে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।’
আরও পড়ুন: শাহজাদপুর থেকে মালিবাগ বিএনপির পদযাত্রা শুরু
সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করবেন বলেও জানান এই বিএনপি নেতা।
ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোট ও অন্যান্য অধিকারের জন্য পদযাত্রা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তারা আন্দোলনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন। এই মিছিল গণতন্ত্র ও সভ্যতার বিজয়।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পায়ের নিচের মাটি হারিয়ে ফেলায় এখন বেপরোয়া মন্তব্য করছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি থেকে বরখাস্ত হওয়া নেতা অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তারকে বিজয় নিশ্চিত করতে ক্ষমতাসীন দলের নানা ধরনের 'অশুভ' প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা: ফখরুল
ফখরুল বলেন, ‘সুতরাং, আওয়ামী লীগ সরকারকে সংসদ থেকে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে এবং সংসদ ভেঙে দিতে হবে। যাতে মানুষ একটি নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে তাদের ভোট দিতে পারে।’
ব্যানার, জাতীয়, দলীয় ও সাদা পতাকা, ফেস্টুন ও দলের শীর্ষ নেতাদের প্রতিকৃতি নিয়ে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী এ কর্মসূচিতে যোগ দেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ২৮, ৩০, ৩১ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে চারদিনের পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
আগামী ৩১ জানুয়ারি গাবতলী থেকে মিরপুর-১০ মোড় পর্যন্ত মিছিল করবে ঢাকা উত্তর মহানগর বিএনপি।
এছাড়া ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপি মুগদা থেকে মালিবাগ পর্যন্ত পদযাত্রা করবে।
আরও পড়ুন: ক্ষমতাচ্যুতি এড়াতে এখনই পদত্যাগ করুন, সরকারকে ফখরুল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের মতো একটি দেশের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে আওয়ামী লীগ জাতিকে বিশৃঙ্খলার দিকে ঠেলে দিয়েছে। দেশের মানুষ এখন জানে না কিভাবে নির্বাচন হবে এবং তারা তাদের ভোট দিতে পারবে কি না।
রবিবার বিএনপি ও ১২-দলীয় জোটের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দাবি করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান শাসনের পতনের জন্য তাদের চলমান যুগপৎ আন্দোলন জনগণের ব্যাপক আস্থা অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: খালেদা, তারেককে নিয়ে সময় টিভির প্রতিবেদন সম্পর্কে যা বললেন ফখরুল
তিনি বলেন, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ব্যবস্থাই দেশের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা।
ফখরুল বলেন, বিগত নির্বাচনগুলো প্রমাণ করেছে আওয়ামী লীগ সরকার ও দলীয় প্রশাসনের অধীনে কোনো বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না। আমরা আরও খুশি হতাম যদি দেশের আরও বিশিষ্ট নাগরিক, রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনগুলি সত্যিই এই বিষয়গুলি নিয়ে কথা বলত।
আমি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য তাদের আওয়াজ তোলার আহ্বান জানাচ্ছি।
ফখরুল বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে যুগপৎ আন্দোলন ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। অন্যান্য রাজনৈতিক দল আমাদের ১০ দফা দাবিতে একমত হওয়ায় এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ায় যুগপৎ আন্দোলনে জনগণের মধ্যে নিশ্চিতভাবে আস্থা তৈরি হয়েছে।
আওয়ামী লীগ একটি ‘ডাবল স্ট্যান্ডার্ড পার্টি’
ফখরুল অভিযোগ করেন, রবিবার রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে এবং পাবলিক ট্রেন ভাড়া করে সমাবেশ করলেও তারা বিরোধী দলের অনুরূপ কর্মসূচিতে নানা ধরনের বাধা সৃষ্টি করেছে।
বিএনপির ১০টি বিভাগীয় সমাবেশের আগে পরিবহন ধর্মঘট, পুলিশি অভিযান এবং বিরোধী দলের নেতাদের গ্রেপ্তারের মতো বাধার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বিরোধী দলগুলোকে যেকোনো মূল্যে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে বাধা দিতে নানা অপকৌশল অবলম্বন করে।
আওয়ামী লীগ সরকারের চরিত্র ও কর্মকাণ্ড ইতোমধ্যে জনগণের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে। তারা এদেশে সম্পূর্ণ একদলীয় শাসন জারি করছে।
এছাড়া আওয়ামী লীগ সব সময় ‘ডাবল স্ট্যান্ডার্ড পার্টি ’। তারা বলে এক, করে আরেক।
‘এটা বিএনপির পদযাত্রা নয়, মরণযাত্রা’ বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের করা মন্তব্য প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, বিএনপির পদযাত্রার কর্মসূচি দেখে হয়তো ক্ষমতাসীন দলের নেতার কিশোর কুমারের ‘মরণযাত্রা’ গানের কথা মনে পড়ে গেছে। আমি জানি না তিনি নিজের (তার রাজনৈতিক মৃত্যু) সম্পর্কে ভাবছিলেন কি না।
১২ দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, চলমান আন্দোলন ও দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে।
এছাড়া আমরা পরবর্তী কর্মসূচি এবং কীভাবে আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করা যায় সে সম্পর্কেও কথা বলি।
বিএনপি নেতা বলেন, গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে আরও জনসমর্থনের ঢোল বাজিয়ে তারা যুগপৎ আন্দোলন জোরদার করতে সম্মত হয়েছেন।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু ও এম শাহজাহান, ১২ দলের সমন্বয়ক মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, এলডিপি’র সালমান শাহজাদা, এলডিপির আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহিউদ্দিন ইকরাম, জাগপার রাশেদ প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের আবদুল করিম, ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম ও মুসলিম লীগের তোফাজ্জল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ক্ষমতাচ্যুতি এড়াতে এখনই পদত্যাগ করুন, সরকারকে ফখরুল
'ফ্যাসিস্ট' সরকার গণতন্ত্রের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনকে বানচাল করতে চাইছে: ফখরুল
ক্ষমতাচ্যুতি এড়াতে এখনই পদত্যাগ করুন, সরকারকে ফখরুল
দলের পদযাত্রা কর্মসূচিকে সরকারবিরোধী আন্দোলনের নতুন রূপ আখ্যায়িত করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারকে অবিলম্বে ক্ষমতা ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় পদযাত্রা কর্মসূচি শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আজ (শনিবার) ঢাকা শহরে এই নীরব প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে আমরা নতুন আন্দোলন শুরু করেছি। জনগণের সঙ্গে একত্রে নীরব মিছিলের মাধ্যমে আমরা এই ভয়ঙ্কর, দানব সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করব।’
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের মুক্তির দাবি ৬০ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের
বিএনপি নেতা আরও বলেন, অবিলম্বে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে এবং একটি নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে নতুন কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারকে বার্তা দিতে চান তারা।
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘অন্যথায় আপনাদেরকে খুব মর্মান্তিক ক্ষমতাচ্যুতির মুখোমুখি হতে হবে এবং আপনারা পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না।’
দলের চারদিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি নেতাকর্মীরা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে বাড্ডার সুবাস্তু নজর ভ্যালি বাজার থেকে রাজধানীর মালিবাগের আবুল হোটেল এলাকা অভিমুখে মিছিল করেন।
দুপুর আড়াইটার দিকে ফখরুল আনুষ্ঠানিকভাবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন যা চার কিলোমিটার সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিকাল ৪টার দিকে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়।
তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের কোনো উসকানির জবাব না দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করতে বলেন। ‘আমরা এখন পর্যন্ত আমাদের সকল কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করেছি এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের (সরকার) পতন নিশ্চিত করব।’
সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ তুলে বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে হটিয়ে তারা জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনবে।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন কোনও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। তাই, আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে এবং সংসদ ভেঙে দিয়ে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। যাতে মানুষ একটি নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে তাদের ভোট দিতে পারে।’
ফখরুল বলেন, নির্দলীয় প্রশাসনের অধীনে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি ও সরকারকে নির্বাচিত করবে। ‘নির্বাচিত সরকারই দেশ চালাবে।’
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, চাল, তেল, লবণ, ডিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, দমনমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে জনগণ এখন সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে পারে না। ‘বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা ও কাল্পনিক মামলায় ফাঁসিয়ে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। তারা (সরকার) পুরো বাংলাদেশকে কারাগারে পরিণত করেছে।
তাদের দলের প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ রাজনৈতিক মামলার শিকার হয়েছেন দাবি করে তিনি বলেন, দেশে সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের জন্য এসব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং গ্রেপ্তারকৃত সব নেতাকর্মীকে মুক্তি দিতে হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ২৮, ৩০, ৩১ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে চারদিনের পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
আগামী ৩১ জানুয়ারি গাবতলী থেকে মিরপুর-১০ মোড় পর্যন্ত মিছিল করবে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি।
এছাড়া ৩০ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থেকে শ্যামপুর এবং ১ ফেব্রুয়ারি মুগদা থেকে মালিবাগ পর্যন্ত পদযাত্রা করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।
আরও পড়ুন: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল হাসপাতালে ভর্তি
মির্জা ফখরুল ও আব্বাসের জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন
শাহজাদপুর থেকে মালিবাগ বিএনপির পদযাত্রা শুরু
বিএনপির চার দিনের কর্মসূচির অংশ হিসাবে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ তাদের ১০ দফা দাবি জানাতে রাজধানীর শাহজাদপুর থেকে মালিবাগ পর্যন্ত পদযাত্রা শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি ইউনিট।
শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে শাহজাদপুরের হোসেন মার্কেটের সামনে এ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরও পড়ুন: বরিশালে বিএনপির সমাবেশে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষ
কর্মসূচি শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ফখরুল দলের নেতাকর্মীদের কোনো উসকানি না দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান।
ফখরুল বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত আমাদের সকল কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করেছি এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের (সরকার) পতন নিশ্চিত করব।
এছাড়া তাদের পদযাত্রা কর্মসূচিকে সরকারের বিরুদ্ধে নীরব প্রতিবাদ হিসাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তারা সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করবেন।
সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ তুলে বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে হটিয়ে তারা জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনবে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। তাই, আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে এবং সংসদ ভেঙে দিয়ে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে যাতে মানুষ একটি নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে তাদের ভোট দিতে পারে।
বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী দলের শীর্ষ নেতাদের ব্যানার, ফেস্টুন ও প্রতিকৃতি হাতে নিয়ে কর্মসূচিতে যোগ দেন।
তারা সরকারের পদত্যাগ ও দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগানও দিচ্ছেন।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়া বেলা ১টা থেকে হোসেন মার্কেট এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের ভিড় দেখা যায়, অন্যদিকে দলের সিনিয়র নেতারা বারবার যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বলছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার ২৮, ৩০, ৩১ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে চারদিনের পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
আগামী ৩১ জানুয়ারি গাবতলী থেকে মিরপুর-১০ মোড় পর্যন্ত মিছিল করবে ঢাকা উত্তর মহানগর বিএনপি।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ২৮ জানুয়ারি থেকে ৪ দিনব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচির ঘোষণা বিএনপির
চট্টগ্রামে পুলিশের ৪ মামলায় বিএনপির ১০২ নেতাকর্মীর আগাম জামিন লাভ
'ফ্যাসিস্ট' সরকার গণতন্ত্রের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনকে বানচাল করতে চাইছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, সরকার ও তার দালালরা বিভিন্ন 'অশুভ' কৌশল অবলম্বন করে এবং বানোয়াট গল্প তৈরি করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে চাইছে। বিরোধী জোটের মধ্যে ফাটল সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে থাকা বিরোধী দলগুলোর মধ্যে ঐক্য অটুট রয়েছে এবং তারা 'ফ্যাসিস্ট' সরকাকে উৎখাত করতে এগিয়ে যাচ্ছে।
ফখরুল বলেন, ‘আমাদের মধ্যে (বিরোধী জোটের) কোনো সমস্যা নেই...স্বাভাবিকভাবেই সরকার ও তার দালালরা বিরোধী দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনকে দমন ও বানচাল করতে মিডিয়াকে ব্যবহার করে নানা অশুভ কৌশল অবলম্বন করছে এবং নানা রকম গল্প তৈরি করছে।’
বিরোধী দলগুলোর ঐক্য বিনষ্ট করার জন্য সরকারের প্রচেষ্টা নিয়ে তারা কম চিন্তিত বলে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মূল ফোকাস এখন মানুষকে আরও একত্রিত করা এবং ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী শাসনকে উৎখাত করার জন্য আমাদের আন্দোলনে তাদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করা।’
বিকাল ৪টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শুরু হয়ে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলে।
বৈঠকে ফখরুল বলেন, চলমান যুগপৎ আন্দোলনকে আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: খালেদা, তারেককে নিয়ে সময় টিভির প্রতিবেদন সম্পর্কে যা বললেন ফখরুল
‘আমাদের বৈঠকে আমরা বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চের একযোগে আন্দোলনের আগের কর্মসূচি পর্যালোচনা করেছি। আমাদের আন্দোলনকে সফল করার জন্য আমরা আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা করেছি’, তিনি বলেন।
বিএনপি নেতা বলেন, গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে তারা বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে সম্মত হয়েছেন।
তিনি বলেন, যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য দল ও জোটের সঙ্গেও তারা একই ধরনের বৈঠক করবেন।
গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আন্দোলনকে ধীরে ধীরে বিজয়ের দিকে নিয়ে যাওয়ার কৌশল ও নীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, তারা বিরোধী দলগুলোর মধ্যে ঐক্য জোরদার করার উপায় নিয়েও কথা বলেছেন। কেউ যেন কোনো বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে আমাদের ঐক্যে কোনো ফাটল সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
মান্না বলেন, রাজধানী ঢাকায় বিরোধী জোটের তৎপরতা কীভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়েও তারা কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, ঢাকায় বিএনপি স্বতন্ত্রভাবে কিছু কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ‘আমরা মনে করি যে প্রোগ্রামগুলি কার্যকর হতে পারে। আমরাও কর্মসূচিতে আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। এ ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা গণঅভ্যুত্থান ঘটানোর চেষ্টা করব। আমরা আশাবাদী যে আমরা বিপুল জনসমর্থন পাচ্ছি বলে আমরা বিজয়ী হব।’
খালেদাকে নিয়ে সেলিমের মন্তব্য 'ভিত্তিহীন'
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া রাজনীতি করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন বলে সংসদে আওয়ামী লীগ নেতা শেখ সেলিমের বক্তব্যের বিষয়ে মন্তব্য করতে চাইলে ফখরুল বলেন, এটা একটি বানানো গল্প।
‘তিনি (সেলিম) হঠাৎ করেই এই গল্পটা তৈরি করলেন। এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বানোয়াট মন্তব্য’, বিএনপি নেতা যোগ করেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ২৮ জানুয়ারি থেকে ৪ দিনব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচির ঘোষণা বিএনপির