%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF
রিজার্ভ সঙ্কটের কারণে দেশ দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে: জিএম কাদের
রিজার্ভ সঙ্কটের কারণে দেশ দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তায় মহানগর জাতীয় পার্টি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, রিজার্ভের অর্থ আমরা বিদেশিদের ধার দিয়েছি, পায়রা বন্দরে খরচ করেছি, বিভিন্ন ভাবে সাড়ে ৮ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ আমরা খরচ করে ফেলেছি। ফলে যখন দরকার তখন রিজার্ভ নেই।
তিনি বলেন, নিত্য খাদ্যপণ্য ও ওষুধ আমদানি করতে গিয়ে সরকার এলসি খুলতে পারছে না। ফলে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় সমস্ত জিনিসের দাম বাড়ছে। এখন রিজার্ভ পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে দেশ দেউলিয়াত্বের কাছাকাছি চলে গেছে।
কাদের বলেন, যদিও সরকার বার বার এটিকে অস্বীকার করছে। তবে এমুহুর্তে আমি মনে করি সরকারের কাছে যে রিজার্ভ রয়েছে তার চেয়ে বেশি দেনা রয়েছে। দেনা পরিশোধ করলে রিজার্ভে কোনও টাকা থাকবে না। এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে কয়েকটি খাতে লুণ্ঠনের কারণে। ব্যাংকিং ও বিদ্যুৎ খাতে অবাধ লুণ্ঠনের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
কাদের রমজান মাসে মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে রেশনিং কার্ড দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, দ্রব্য মূল্য অনেক বেড়ে গেছে, আয় রোজগার কমে গেছে। তাই রমজান মাসে নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্তদের রেশন কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: সরকার গোঁজামিল দিয়ে দেশ চালাচ্ছে: জিএম কাদের
হজের সরকার নির্ধারিত খরচের সমালোচনা করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, সামনে হজের মওসুম। আমাদের দেশ থেকে এবার এক লাখ ২৭ হাজার মানুষ হজে যাওয়ার কথা। কিন্তু বার বার সময় বাড়ানোর পরও মাত্র এক লাখ লোক হজের জন্য নিবন্ধন করেছেন। এর কারণ আমাদের দেশের মানুষ হজে যে দাম ধরা হয়েছে সেই দাম দিয়ে হজে যেতে পারছেন না। একটি মানুষ সারাজীবন কষ্টকরে হজে যাবার জন্য। কিন্তু প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ করে হজ করা এখন অসম্ভব ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের পাশ্ববর্তী দেশে যেটা অর্ধেক বা অর্ধেকের কম।
জাতীয় পার্টি শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধু ক্ষমতা হস্তান্তর নয়, রাজনীতির পরিবর্তন চায়। ক্ষমতা শুধু মানুষের মুখের পরিবর্তন নয়, বিএনপি থেকে আওয়ামীলীগ বা আওয়ামীলীগ থেকে বিএনপি, একই ধরনের লুটপাট, একই ধরনের দলীয়করণ, টেন্ডারবাজি ও মানুষের ওপর অত্যাচার। মানুষ এসব থেকে এখন মুক্তি চায়। জাতীয় পার্টি চায় দেশের মানুষ সুশাসন পাক, নাগরিক হিসেবে সবাই সমান সুযোগ পাক। প্রশাসন দলীয়মুক্ত হয়ে সরকরি কাজ করবে।
জাতীয় পার্টির গাজীপুর মহানগর সভাপতি এম এম নিয়াজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন পার্টির মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান আবু হোসেন বাবলা ও প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার মিয়া।
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মচারীরা ক্ষমতাসীন দলের সেবা করছে, জনগণের নয়: জিএম কাদের
যে যত বেশি লুণ্ঠন করতে পারে, সে তত বেশি সম্মানিত: জিএম কাদের
সরকার গোঁজামিল দিয়ে দেশ চালাচ্ছে: জিএম কাদের
সরকার গুজামিল দিয়ে দেশ চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের।
তিনি বলেন, সরকার গোঁজামিল দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে। দেশ দেওলিয়া হয়ে গেছে। দেশ শ্রীলংকা হওয়ার আশঙ্কা আছে, কারণ শ্রীলংকা যে কাজ করেছে বাংলাদেশও তা করছে।
শনিবার বিকালে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, সেটা হলো বড় প্রকল্পের জন্য যে লোন নেয়া হয়েছে তা অনেক বেশি। বড় লোন নিয়ে শ্রীলংকা দিতে পারে নাই। যার জন্য শ্রীলংকা দেউলিয়া হয়ে গেছে। বাংলাদেশের বড় প্রকল্পে যে বিনিয়োগ করা হয়েছে তা অনেকগুণ বেশি। কয়েকদফা সময় বৃদ্ধি করেও কাজ শেষ করতে পারছেনা। ফলে রির্জাভ থেকে লোনের টাকা দিতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সরকারের সমালোচনা কখনও রাষ্ট্রদ্রোহী হতে পারে না: জিএম কাদের
তিনি আরও বলেন, সরকার প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরকে দলীয় অঙ্গ-সংগঠন বানিয়ে ফেলেছে।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক এয়ার আহমেদ সেলিমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ফয়সল চিশতি,অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. আলমগীর কবির মজুমদার।
এসময় কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার আওতাধীন ১০ উপজেলা এবং ৪ পৌরসভার শীর্ষ নেতা এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলন শেষে এয়ার আহমেদ সেলিমকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে উবায়দুল কবির মোহন এর নাম ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি।
আরও পড়ুন: আমরা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই: জিএম কাদের
বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
সরকারি কর্মচারীরা ক্ষমতাসীন দলের সেবা করছে, জনগণের নয়: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের জনসেবকরা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করছে।
তিনি বলেন, রাজ্য ও ক্ষমতাসীন দল এখন এক সত্তায় পরিণত হয়েছে। সরকারি কর্মচারীদের দেশের জনগণের স্বার্থে কাজ করার কথা, কিন্তু তারা ক্ষমতাসীন দলের হয়ে কাজ করছেন।
রবিবার জাতীয় পার্টির কাকরাইল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকারি চাকরিজীবীরা সরকারের কোনো অন্যায় আদেশ মানতে বাধ্য নয়।
আরও পড়ুন: সরকারের সমালোচনা কখনও রাষ্ট্রদ্রোহী হতে পারে না: জিএম কাদের
জিএম কাদের বলেন, পুলিশ ও বেসামরিক প্রশাসনের মনে রাখা উচিত যে তারা জনসেবক ও তাদের উচিত প্রতিটি মানুষ এবং প্রতিটি দলের মানুষের সঙ্গে সমান আচরণ করা।
জাতীয় পার্টির প্রধান বলেন, যারা লুণ্ঠনে লিপ্ত তারা এখন সমাজে সম্মানিত এবং সৎ ও আদর্শবান ব্যক্তিরা অযোগ্য ও মূর্খ হিসেবে বিবেচিত হয়।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ এখন তাদের সম্পদ ও জীবন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
আগামী নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিরোধিতা করে জিএম কাদের বলেন, সাধারণ মানুষ ইভিএমে বিশ্বাস করে না এবং তারা এই মেশিন ব্যবহার করে ভোট দিতে চায় না।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ মনে করে ইভিএম হচ্ছে ভোট কারচুপির আধুনিক মেশিন।
এছাড়া দেশের মানুষ মনে করে সরকার ইভিএম ব্যবহার করে নির্বাচন করতে চায় ফলাফল কারচুপির জন্য।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে আলাপের কথা স্মরণ করে জাতীয় পার্টির প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ ও কয়েকটি দল ছাড়া অধিকাংশ রাজনৈতিক দল নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করেছে।
তবে নির্বাচন কমিশন এখনও ইভিএম ব্যবহার করে ভোট নেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।
এমনকি নির্বাচন কমিশন অকার্যকর ও অকেজো ইভিএম চালাতে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ এই উদ্যোগকে সন্দেহের চোখে দেখছে। ইভিএম দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় এবং দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ ইভিএমে বিশ্বাস করে না।
তিনি আরও বলেন, তাদের দল কোনো কারচুপির নির্বাচন দেখতে চায় না এবং এ ধরনের নির্বাচনে জিততেও চায় না।
আমরা চাই জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুক। আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে।
আরও পড়ুন: যে যত বেশি লুণ্ঠন করতে পারে, সে তত বেশি সম্মানিত: জিএম কাদের
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া মোবাইল ফোন ট্যাপিং অনৈতিক: জিএম কাদের
যে যত বেশি লুণ্ঠন করতে পারে, সে তত বেশি সম্মানিত: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, ‘দেশে লুণ্ঠনের রাজনীতি তৈরি হয়েছে। যে যত বেশি লুণ্ঠন করতে পারে, সে তত বেশি সম্মানিত।’
মঙ্গলবার বনানীতে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে কৃষক সম্প্রদায় নিয়ে জাপা'র সহযোগী সংগঠন জাতীয় কৃষক পার্টির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাতির মধ্যে বিরাজমান বাস্তবতাকে তুলে ধরার আগে মৌলিক গণতান্ত্রিক আদর্শ তুলে ধরে জিএম কাদের বলেন, দেশ সঠিকভাবে না চললে দেশের জনগণ আবারও নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি বদল করবে।
তিনি বলেন, জনগণই দেশের সম্মিলিত মালিক এবং তারাই সিদ্ধান্ত নেবে কে শাসন করবে এবং কীভাবে তাদের ভোটাধিকার চর্চা করবে।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘কারও দয়ায় নয়, আমরা জনগণের ভালোবাসায় ক্ষমতায় আসতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণই দেশের মালিক এবং তারাই সিদ্ধান্ত নেবে কার দ্বারা এবং কীভাবে দেশ পরিচালনা করা হবে।’
আড়ও পড়ুন: সরকারের সমালোচনা কখনও রাষ্ট্রদ্রোহী হতে পারে না: জিএম কাদের
জিএম কাদের বলেন, ‘এটা দুঃখজনক যে যারা দেশের জন্য ভাল কাজ করতে চায় তারা তাদের প্রাপ্য সম্মান পাচ্ছে না।’ তিনি আরও বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান তার ভাইয়ের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত দলের সভাপতি হিসাবে তার কার্যক্রমে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছেন।
সব খালি জমি কৃষির আওতায় আনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জিএম কাদের বলেন, ‘পুলিশ সামান্য টাকার জন্য কৃষকদের হয়রানি করছে। কৃষকদের বাঁচাতে সরকারকে যে পরিমাণ ভর্তুকি দেয়া দরকার তা দেয়া উচিত।’
জাতীয় কৃষক পার্টির সভাপতি সহিদুর রহমান টেপার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এবিএম লিয়াকত হোসেন চাকলাদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কৃষক পার্টির অন্যান্য নেতাকর্মী।
আরও পড়ুন: সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া মোবাইল ফোন ট্যাপিং অনৈতিক: জিএম কাদের
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া মোবাইল ফোন ট্যাপিং অনৈতিক: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে মোবাইল ফোন ট্যাপিংয়ের জন্য সরকারের সমালোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘নির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে মোবাইল ফোন ট্যাপ করা অনৈতিক এবং বেআইনি। এটা দেশের সংবিধানের লঙ্ঘন।’
বুধবার সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের উদ্ধৃতি দিয়ে জিএম কাদের বলেন, দেশে একটি গোয়েন্দা প্রযুক্তি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন উৎস থেকে জেনেছি যে সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, রাজনীতিবিদ, আইনজীবীদের স্মার্টফোন ট্যাপ করা হচ্ছে। আর এক্ষেত্রে ইসরায়েলি কোম্পানি এনএসও গ্রুপের তৈরি স্পাইওয়্যার পেগাসাস ব্যবহার করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এগুলো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে জড়িতদের জন্য ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে আমাদের কথা হলো- রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের বিশেষ করে যারা সরকারবিরোধী রাজনীতিতে জড়িত তাদের মেসেঞ্জার এবং হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টসহ বিভিন্ন মেসেঞ্জার অ্যাপ অনুমতি ছাড়াই রেকর্ড করা হচ্ছে।’
তিনি প্রশ্ন তুলেছেন- এসব কাজের যুক্তি ও উদ্দেশ্য কী হতে পারে?
এখানে তাদের একটি যু্ক্তি হলো- সরকারের সমালোচনাকে তারা রাষ্ট্রদ্রোহিতা মনে করে। তাই বলে কি সরকার ও রাষ্ট্র একীভূত হয়েছে?
তিনি বলেন, আরেকটি উদ্দেশ্য (ট্যাপিং) হতে পারে যে সরকার সব রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হয়রানি করতে চায়।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক বিরোধীদের এ ধরনের হয়রানি, বিরোধীদের নজরদারি ও হয়রানি মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা। কথা বলার অধিকার প্রত্যেকের জন্মগত অধিকার।’
আরও পড়ুন: সরকারের সমালোচনা কখনও রাষ্ট্রদ্রোহী হতে পারে না: জিএম কাদের
সরকারের সমালোচনা কখনও রাষ্ট্রদ্রোহী হতে পারে না: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, সরকারের সমালোচনা করা কখনও রাষ্ট্রদ্রোহ হতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘আমাদের রাজনীতি দেশের মানুষের জন্য। আমরা তাদের জন্য আমাদের আওয়াজ তুলি। আমরা জনগণের পক্ষে সমালোচনা করে সরকারের ভুল তুলে ধরছি। এটা কখনই রাষ্ট্রদ্রোহিতা নয়।’
মঙ্গলবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে এক বৈঠকে সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা কাদের এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, সরকার দেশের মানুষকে বিভক্ত করেছে।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান সরকার স্বাধীনতার আগে আমাদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করেছিল। দুর্ভাগ্যবশত, এই বৈষম্য এখনও অব্যাহত আছে। এটা স্বাধীনতার চেতনার পরিপন্থী।’
জাতীয় পার্টি নির্বাচনে জোটকে বন্ধুত্ব মনে করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জোট দাসত্ব নয়। জনগণের স্বার্থ আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।’
তিনি দলের নেতাকর্মীদের জনগণের অধিকারের পক্ষে কথা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা কখনোই সত্য ও ন্যায়ের পথে হাল ছাড়ব না।
আরও পড়ুন: বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকারেরই উদ্যোগ নেয়া উচিত। আমরা দলীয় ফোরামে আলোচনা করব এবং সরকার চাইলে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেব।’
সোমবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সংসদের বিরোধী দলীয় উপ নেতা জিএম কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় জনগণের আস্থা হারিয়েছে। আবার সাধারণ মানুষ বিএনপিকেও পছন্দ করে না। এমতাবস্থায় দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ছাড়া তৃতীয় শক্তি দেখতে চায়।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি তৃতীয় শক্তি হিসেবে নির্বাচনে আবির্ভূত হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
আরও পড়ুন: জাপার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না জিএম কাদের: আপিল বিভাগ
জিএম কাদের বলেন, তাদের দল দেশ থেকে দুর্নীতি, দুঃশাসন, টেন্ডারবাজি, রাজনীতিকরণ, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য দূর করার রাজনীতি করছে।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ মনে করে, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির চেয়ে জাতীয় পার্টি দেশ পরিচালনায় অনেক বেশি সাফল্য পেয়েছে। তাই দেশের মানুষ জাতীয় পার্টিকে বিকল্প শক্তি হিসেবে দেখতে চায়।’
এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, আমরা আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং আদালতের সব নির্দেশনা মেনে চলি।
তিনি বলেন, হাইকোর্টের আদেশে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের দলীয় দায়িত্ব পালনের পথ পরিষ্কার হওয়ায় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী ও দেশের সাধারণ মানুষ খুশি।
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরের দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা বহাল
দেউলিয়া হওয়ার পথে দেশ: জিএম কাদের
আমরা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, তাদের দল দেশে জবাবদিহিতা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন চায়।
তিনি বলেন, ‘আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সমাজে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে ‘
রবিবার পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির ঢাকা উত্তর মহানগর শাখার নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, জবাবদিহিতা নিশ্চিত হলেই দেশের ওপর জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, জবাবদিহিতা নিশ্চিত হলে জনগণ তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচন করে দেশ পরিচালনা করতে পারবে। তারা যদি আবারও জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করে তবে নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি পরিবর্তন করতে পারে।
সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেন, দেশে সুশাসন নিশ্চিত করতে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারভিত্তিক সামাজিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি দেশে ক্রমবর্ধমান বৈষম্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ‘বৈষম্য দূর করা উচিত। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়েই সংঘটিত হয়েছিল মহান মুক্তিযুদ্ধ। তাই বৈষম্য স্বাধীনতার চেতনার পরিপন্থী।’
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতার স্বীকৃতি না দিলে সংসদে যাবে না জাপা
জাতীয় পার্টি প্রধান আরও বলেন, ‘দেশে বৈষম্য দিন দিন বাড়ছে। একদল লোক টাকার অভাবে তিনবেলা খেতে পারছে না এবং তাদের সন্তানদের চিকিৎসার খরচ বহন করতে পারছে না। আবার আরেক দল হাজার হাজার কোটি টাকা কামাচ্ছে এবং দেশের টাকা বিদেশে পাচার করছে।’
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশের জনগণ মারাত্মক অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বলেও তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ডলারের দাম বাড়ায় আমদানি পণ্যের দাম বাড়ছে। আবারও ডলারের সংকটের কারণে এলসি খোলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি ব্যাহত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন জিএম কাদের।
দেশে চাহিদার তুলনায় কম পণ্য আমদানি হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাজারে প্রয়োজনীয় পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণেই হঠাৎ করেই বাড়ছে প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম।
তিনি বলেন, ‘কাঁচামাল আমদানির সংকটে কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দিন দিন বেকারত্ব বাড়ছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমছে, অন্যদিকে মানুষের আয় বাড়ছে না। তাই দেশের মানুষের মধ্যে হাহাকার বিরাজ করছে। মনে হয় সাধারণ মানুষের কষ্ট বোঝার কেউ নেই।’
আরও পড়ুন: জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই: হাইকোর্ট
টানা দ্বিতীয়বার রসিক মেয়র নির্বাচিত জাপার মোস্তাফিজুর রহমান
রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টি (জাপা) সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মো. মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা।
মঙ্গলবারের নির্বাচনে মোস্তফা এক লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮টি ভোট পেয়েছেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে আমিরুজ্জামান ৪৯ হাজার ৮৯২টি ভোট পেয়েছেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া থেকে মোস্তফা এগিয়ে ছিল এক লাখ ২৪ হাজার ৪৯২ ভোটের বিশাল ব্যবধানে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী (আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী) লতিফুর রহমান দৌড়ে ৩৩ হাজার ৮৮৩টি ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী।
আরও পড়ুন: রসিক নির্বাচন: শান্তিপূর্ণভাবে ভোট শেষ, গণনা শুরু
মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে ভোট গণনা শেষ হলে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন।
মেয়র পদে ৯ জন প্রার্থীর মধ্যে মোস্তফা ‘লাঙল’ প্রতীক নিয়ে এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান ‘হাত পাখা’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
রংপুর জাতীয় পার্টির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত, কারণ দলটির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত এইচএম এরশাদ জেলাবাসী ছিলেন।
রিটার্নিং অফিসার বলেন, রসিক নির্বাচনে চার লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জনের মধ্যে দুই লাখ ৭৯ হাজার জনের বেশি ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন, শতকরা হিসাবে যা ৬৫ দশমিক ৮ শতাংশ।
২২৯টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে সকাল ৮ টায় রংপুরে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে রাত সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত চলে, তবে বিকাল ৪ টায় শেষ হওয়ার কথা ছিল।
মেয়র পদে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং ৩৩টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ১৮৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
অন্য মেয়র প্রার্থীরা হলেন- বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু রায়হান, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের শফির রহমান, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান।
জয়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মোস্তাফিজুর বলেন, এটা তার জয় নয়, কৃতিত্ব নগরবাসীর।
ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে রবিবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা।
ভোট কেন্দ্রে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মোট ২২৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার, এক হাজার ৩৪৯ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং দুই হাজার ৬৯৮ জন পোলিং অফিসার তাদের দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: রসিক নির্বাচন: ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় ভোটগ্রহণ শুরু
২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর প্রথম রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমান মেয়রের মেয়াদ ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।
এর আগে মঙ্গলবার বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ইভিএম ব্যবহারে ধীরগতিতে ভোট চলছে।
ভোট কেন্দ্রে দীর্ঘ সারি থাকায় সন্ধ্যা ৭-৮টা পর্যন্ত ভোট চলতে পারে বলেও জানান তিনি। ভোট বিলম্বের পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি না তা খতিয়ে দেখবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
তিনি বলেন, ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) কারণে ধীরগতির ভোট গ্রহণের কিছু অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তবে কেন্দ্রের সকল ভোটার রাত পর্যন্ত তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।’
নির্বাচন কমিশন কন্ট্রোল রুম থেকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে।
আরও পড়ুন: রসিক নির্বাচন: রাত পোহালেই ভোটগ্রহণ
রওশন এরশাদের সঙ্গে চীনের রাষ্ট্রদূতের বিদায়ী সাক্ষাৎ
জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা এবং জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদের সঙ্গে দেখা করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় গুলশানের একটি হোটেলে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতার স্বীকৃতি না দিলে সংসদে যাবে না জাপা
সাক্ষাৎকালে বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে চীনের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। এসময় বিরোধীদলীয় নেতা চীনের সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য রাহগির আল মাহি (সাদ) এরশাদ এবং বিরোধী দলীয় নেতার রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ্।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরেছেন রওশন এরশাদ, জাপায় ঐক্যের ডাক