অন্যান্য
সরকারকে পদত্যাগ করে ১০ নভেম্বরের মধ্যে সংসদ ভেঙে দিতে হবে: চরমোনাই পীর
বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও ১০ নভেম্বরের মধ্যে সংসদ ভেঙে দেওয়াসহ চার দফা দাবি মানতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ থেকে দলটির নেতা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম (পীর সাহেব চরমোনাই) এ আল্টিমেটাম দেন।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ক্ষমতাসীনদের পদত্যাগ ও ১০ নভেম্বরের মধ্যে সংসদ ভেঙে দেওয়ার পর নিবন্ধিত ও আন্দোলনরত সব রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সমর্থন
চলমান সংকট নিরসনে এক সপ্তাহের মধ্যে বিএনপিসহ কারাবন্দি সব রাজনৈতিক নেতাকে মুক্তি দেওয়া।
এ ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকের জন্য রাষ্ট্রপতিকে উদ্যোগ নিতে হবে বলেও জানান চরমোনাই পীর।
তা ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সব বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করে আরও কঠোর ও বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেবে।
মুফতি রেজাউল করিম হুমকি দিয়ে বলেন, নির্বাচন পেছালে পাকিস্তান সরকারের মতো সরকারকেও ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে।
ইসলামী আন্দোলনের আমীর বলেন, দেশে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আর কোনো নির্বাচন হবে না।
কারো নাম উল্লেখ না করে তিনি অভিযোগ করেন, বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের ধ্বংস করার নীলনকশা তৈরি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ সরকারকে বলতে চাই, বাংলাদেশে আজ একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আজ এদেশের মানুষ একটি দাবি নিয়ে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়। যারা জনগণের এই যৌক্তিক দাবির বিরোধিতা করে, তারা এ দেশের শত্রু।’
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন: দলীয় সদস্যদের প্রতি শেখ হাসিনা
যেকোনো মূল্যে সরকার পতনের অঙ্গীকার চরমোনাই পীরের
বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সমর্থন
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে বিএনপি-জামায়াতের এক দফা আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল জনসভায় শুক্রবার (৩ নভেম্বর) দলের নেতা চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও অবৈধ সরকারের পতনের দাবিতে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর সব শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির প্রতি আমি সমর্থন ঘোষণা করছি।’
আরও পড়ুন: সরকারের কোনো কৌশলই বিএনপির আন্দোলন দমন করতে পারবে না: রিজভী
তিনি সরকারকে ১০ নভেম্বরের মধ্যে পদত্যাগ করে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে সব নিবন্ধিত ও প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত একটি জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানান।
রেজাউল করিম বলেন, বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে রাষ্ট্রপতির উচিত আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রাজনৈতিক কারাবন্দি বিএনপিসহ সব শীর্ষ নেতাকে মুক্তি দিয়ে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জাতীয় সংলাপ শুরু করা।
তিনি বলেন, সরকার যদি এসব দাবি মেনে না নেয়, তাহলে তিনিসহ সব আন্দোলনকারী বিরোধী দল বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিকামী জনতাকে ঢাকার রাজপথে নেমে আসতে হবে: ইসলামী আন্দোলন
ঢাকায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সমাবেশ শুরু
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ডাকা মহাসমাবেশে অংশ নিতে শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী ও অনুসারীরা জড়ো হচ্ছেন।
নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছে ইসলামী দলটি।
সরেজমিনে ইউএনবির সংবাদদাতা দেখতে পান, বিকালে সমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরুর অনেক আগেই দলের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী সমাবেশস্থলের একটি অংশ দখল করে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশ শুক্রবার
তারা সমবেত জনতাকে উৎসাহিত করার জন্য ইসলামী গান এবং গজল পরিবেমন করছিল।
আয়োজকরা আশা করছেন জুমার নামাজের পর জনসমাগম বাড়বে।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে দলটি তাদের দাবিগুলো তুলে ধরে।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- সংসদ ভেঙে দেওয়া, জাতীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, আনুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা প্রবর্তন এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশন বিলুপ্তি।
আরও পড়ুন: মুক্তিকামী জনতাকে ঢাকার রাজপথে নেমে আসতে হবে: ইসলামী আন্দোলন
মুক্তিকামী জনতাকে ঢাকার রাজপথে নেমে আসতে হবে: ইসলামী আন্দোলন
ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শামিল হতে দলমতের ঊর্ধ্বে ওঠে সকল ভেদাভেদ ভুলে সোহরাওয়ার্দীর মহাসমাবেশে যোগদানের আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার জরুরি সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা ৃবলেন তিনি।
তিনি বলেন,নিশিরাতের সরকারের সময় পুরিয়ে আসছে। রাজপথ জনতার দখলে রাখতে হবে। মুক্তিকামী জনতার স্রোত নামবে ঢাকায়। ঢাকাবাসীকে জনস্রোতের সঙ্গে শামিল হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বন্ধুকের নল দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে শেখ হাসিনার অবৈধ সরকার আবার ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে। স্বৈরাচার সরকারের স্বপ্ন জনগণ বাস্তবায়ন হতে দেবে না।আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন হবে না: জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর
জনাব ইমতিয়াজ আলম আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার গণমানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। শাসকের পরিবর্তে আজ সরকার জালিমের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। মুক্তিজামী জনতার আন্দোলনে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।
এতে আরও বক্তব্য দেন, মহানগর দক্ষিণের সহসভাপতি আলতাফ হোসেন, আনোয়ার হোসেন, আবদুল আউয়াল, সেক্রেটারি ডা. শহীদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম শরীয়াতুল্লাহ সহ অন্যান্য নেতারা।
আরও পড়ুন: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশ শুক্রবার
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশ শুক্রবার
সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির প্রবর্তন এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিলের দাবিতে শুক্রবার (৩ নভেম্বর) মহাসমাবেশ করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বেলা ১২টায় পুরানা পল্টনের কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান দলটির নায়েবে আমির মুফতী ফয়জুল করীম।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মহাসমাবেশ সফলে প্রশাসন, পরিবহন মালিক শ্রমিক, সাংবাদিক সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমাদের কাছে তথ্য এসেছে যে কোথাও কোথাও প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নেতা-কর্মীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে মহাসমাবেশে না আসার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, যেখানে প্রশাসনের অনুমতি হয়েছে, সেখানে ভয়ভীতি প্রদর্শন মেনে নেয়া হবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার পতনে মহাসমাবেশ থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিক্ষোভ সমাবেশ
তিনি সারাদেশে সকল জেলা, থানা, ইউনিয়ন ওয়ার্ডের ইসলামী আন্দোলন এবং সকল সহযোগী সংগঠনের সকল নেতাকর্মী, ছাত্র-শিক্ষক, শ্রমজীবী, পেশাজীবীসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে আগামীকালের মহাসমাবেশে উপস্থিত হয়ে সমাবেশকে সফল করার আহবান জানান।
বিরোধী দলের কর্মসূচিতে আহত হয়ে মৃত্যুবরণকারী সাংবাদিক, পথচারী ও পুলিশের মৃত্যুতে গভীর দুঃখ প্রকাশ করে তাদের মাগফিরাত কামনা করে মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, আমাদের মহাসমাবেশ হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। সংঘাত সহিংসতা কাম্য নয়।
মহাসমাবেশ নিয়ে কোন প্রকার অপপ্রচার এবং বিভ্রান্তিতে কান না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে ফয়জুল করীম বলেন, আগামীকালের মহাসমাবেশ স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসমুদ্রে পরিণত হবে। দেশবাসীকে কোন অপপ্রচার ও বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
দেশ, ইসলাম ও মানবতার পক্ষে এ সমাবেশ গুরম্নত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে উল্লেখ করে, তিনি বলেন সাম্প্রতিক সময়ের আন্দোলনে যারা আহত, নিহত হয়েছে তাদের প্রতি সমবেদনা জানান। অন্যায়ভাবে যে সকল রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অবিলম্বে তাদের মুক্তিরও দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মহানবীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য: ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিলে পুলিশের বাধা
নির্বাচন কমিশনের সংলাপে অংশ করবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেখানে আমরা নির্বাচন কমিশন বাতিলের দাবি করছি, যে নির্বাচন কমিশন প্রার্থীর মৃত্যু কামনা করেন, সে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে অংশগ্রহণের প্রশ্ন কিভাবে আসতে পারে?
বিরোধী দলের কর্মসূচির প্রতি সমর্থন আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির প্রতি আমাদের সমর্থন আছে।
জাতীয় সরকারের রূপরেখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধির সমন্বয়ে জাতীয় সরকার গঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান।
আরও পড়ুন: সিলেট ও রাজশাহী সিটি নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন হবে না: জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর মতিঝিলের কাছে আরামবাগে জামায়াত আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
জামায়াতে ইসলামী পূর্বানুমতি না থাকা সত্ত্বেও মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশ করতে অনড় ছিল। তবে পুলিশের ব্যারিকেডের কারণে শাপলা চত্বরে যেতে পারেননি দলের নেতা-কর্মীরা। এদিকে নটরডেম কলেজের সামনে থেকে দুপুর দুইটা ২০ মিনিটে র্যালিটি শুরু হয়।
জামায়াতের আমির বলেন, জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘদিন পর প্রকাশ্যে সমাবেশ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ২৮ অক্টোবর ছিল জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের পিটিয়ে হত্যার দিন।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিশোধ নিতে চাই। কিন্তু হত্যা করে নয়। বরং আমরা কুরআন ও সুন্নাহর আইন প্রয়োগ করে প্রতিশোধ নেব।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি দাবি করেন, শনিবারের সমাবেশে যাওয়ার পথে দুই শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি জামায়াতের আমীরসহ গ্রেপ্তারকৃত নেতা-কর্মীদের মুক্তি দাবি জানান।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের ৩ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
জামায়াতের নেতা-কর্মীরা পুলিশের ব্যারিকেডের কারণে আরামবাগ এলাকা পার হতে পারেননি। কিন্তু তারা আরামবাগে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দেয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন- ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামীর আমীর নুরুল ইসলাম।
সমাবেশের সমাপ্তি ঘোষণা করে তিনি নেতা-কর্মীদের শাহজাহানপুর হয়ে কমলাপুর ত্যাগের নির্দেশ দেন।
তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ড. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, শামসুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মাসুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: জামায়াতে ইসলামীর কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা ও আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানি ৬ নভেম্বর
আ. লীগ ও বিএনপির সমাবেশ: ৩টি গাড়ি ভাঙচুর
আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি উভয় দল তাদের নিজ নিজ সমাবেশ করতে প্রস্তুত হওয়ার সময় আজ (২৮ অক্টোবর) ঢাকার কাকরাইল এলাকায় দুর্বৃত্তরা ৩টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১১টার দিকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের বিপরীতে কাকরাইল এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় দু’টি পিকআপ ভ্যান ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা।
পরে তারা ওই এলাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের সামনে বৈশাখী পরিবহনের একটি বাসে ভাঙচুর চালায়।
এ ঘটনায় জড়িত এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। তাৎক্ষণিকভাবে আটক ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: বিএনপির তারুণ্যের রোডমার্চ: নাটোরে মাইক্রোবাসে অগ্নিসংযোগ, ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুর
পিরোজপুরে বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা, গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ
গণফোরামের সভাপতির পদ ও সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ড. কামাল
বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ড. কামাল হোসেনের প্রায় ৩০ বছর আগে প্রতিষ্ঠা করা গণফোরামের সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। কারণ তিনি আর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকবেন না।
তবে ড. কামাল এখন থেকে দলের ইমেরিটাস সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণফোরামের বিশেষ জাতীয় সম্মেলনে গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম আলতাফ হোসেন এ ঘোষণা দেন।
লিখিত বক্তব্যে ড. কামাল বলেন, ‘আমি আনুষ্ঠানিকভাবে সভাপতির পদ ছেড়ে দিচ্ছি। গণফোরামের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য আমি নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: গণফোরাম ও পিপলস পার্টির সঙ্গে আন্দোলনের কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছে বিএনপি
পরে গণফোরাম নেতা নুরুজ্জামান ড. কামালের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমার বয়স ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় গণফোরাম সভাপতির দায়িত্ব সক্রিয়ভাবে পালন করা আমার পক্ষে আর সম্ভব নয়। এমতাবস্থায় আমি সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও গণফোরামের সভাপতির পদ ত্যাগের ঘোষণা দিচ্ছি।’
ড. কামাল আরও বলেন, তিনি তার ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে যতটা সম্ভব দেশ ও জাতির কল্যাণে অবদান রাখার চেষ্টা করবেন।
তিনি গণফোরামকে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও পরামর্শ দেওয়ারও আশ্বাস দেন।
বিশেষ কাউন্সিলে মফিজুল ইসলাম খানকে গণফোরামের নতুন সভাপতি ও মিজানুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলনে ঐক্যমত্যে বিএনপি-গণফোরাম
এছাড়া দলীয় সনদ সংশোধন করে গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি পদ সৃষ্টি করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ড. কামাল আওয়ামী লীগকে ত্যাগ করে ১৯৯৩ সালের ২৯ আগস্ট গণফোরাম প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দলের সভাপতির পদে ছিলেন ড. কামাল হোসেন।
২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর গণফোরামে বিভক্তি দেখা দেয়। এর নেতাদের একটি গ্রুপ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কামাল হোসেনকে বাদ দিয়ে মোস্তফা মোহসীন মন্টুকে সভাপতি ও সুব্রত চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি গঠন করেন।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে সংলাপ: ৩ দফা দাবি গণফোরাম ও বিকল্পধারার
শর্তসাপেক্ষে আ. লীগ ও বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি
আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে (বিএনপি) শনিবার যথাক্রমে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট ও নয়াপল্টনে ২০টি শর্তে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) হেডকোয়ার্টার্স শুক্রবার রাতে উভয় দলকে এ সংক্রান্ত পৃথক চিঠি দিয়েছে।
চিঠিদ্বয়ে অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগ এবং নয়াপল্টনে তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি অনুমতি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: সমাবেশ সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ হবে, সরকারকে বাড়াবাড়ি না করতে হুঁশিয়ারি ফখরুলের
ডিএমপি'র শর্তে বলা হয়েছে, ডিএমপি শুধুমাত্র দুপুর ১২টার পর জনসমাগম করার অনুমতি দিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমাবেশ শেষ করতে হবে, সমাবেশ থেকে কোনো উস্কানিমূলক বা রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দেওয়া যাবে না, ব্যানার বা ফেস্টুন বহনের নামে নেতা-কর্মীদের লাঠি বা রড বহন করতে দেওয়া হবে না। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে আয়োজকরা দায়ী থাকবেন।
এর আগে গত ২০ ও ২১ অক্টোবর সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ডিএমপিতে আবেদন করে যথাক্রমে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি।
আরও পড়ুন: আ. লীগের সমাবেশ: বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু
শনিবারের সমাবেশকে সামনে রেখে বিএনপি নেতা-কর্মীরা নয়াপল্টনে জড়ো হতে শুরু করেছে
১৮ অক্টোবর আ. লীগের কর্মসূচি ঘোষণা, একইদিনে আছে বিএনপির সমাবেশ
বুধবার (১৮ অক্টোবর) আওয়ামী লীগ ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এবং একই দিনে ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ রয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলের নেতা-কর্মীদের ওইদিন রাজধানীতে জড়ো হওয়ার নির্দেশনা দেন।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে যুবলীগ আয়োজিত এক সমাবেশে কাদের এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘১৮ তারিখ ঢাকার গুলিস্তানে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে আমরা সমবেত হব।’
আরও পড়ুন: চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হোন, পেছনে ফিরে তাকানোর সময় নেই: ফখরুল
আওয়ামী লীগ ৭ অক্টোবর থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত কর্মসূচির বিস্তারিত সূচি নির্ধারণ করেছে। ৭ অক্টোবর শিক্ষক সমাবেশের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়। ১৮ তারিখ ঢাকায় এক জনসভার মধ্য দিয়ে এই ধারাবাহিক আয়োজনের সমাপ্তি ঘটবে।
১৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের আরও সদস্য ১৮ তারিখের কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। আমরা আন্দোলনের জন্য একটি শোভাযাত্রা ঘোষণা করব, যা জাতীয় স্মৃতিসৌধের দিকে অগ্রসর হবে।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরে আমরা তাদের সমাবেশে বাধা দেব এবং তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাধা দেব। তারা ষড়যন্ত্র করছে। ফখরুল গুজব ছড়াচ্ছেন।’
এ সময় যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ দেশও হারিয়েছে, বিদেশও হারিয়েছে: আমীর খসরু
শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিন: নসরুল হামিদ