অন্যান্য
পলাশবাড়ি পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি গ্রেপ্তার
গাইবান্ধার পলাশবাড়ি পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি তাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে পলাশবাড়ি পৌর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পলাশবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মাসুদ রানা জানান, উপজেলার কিশোরগাড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম ফরিদপুর গ্রামের বাসিন্দা তাজুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে গোপন কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন।
আজ সোমবার দুপুরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ পলাশবাড়ি পৌর এলাকা থেকে তাক গ্রেপ্তার করে।
ওসি আরও জানান, তাজুল বিভিন্ন নাশকতার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে পলাশবাড়ি থানা সহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক মামলা রয়েছে। সে পুলিশের নজর এড়িয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ পালিযে বেড়াচ্ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু, যুদ্ধ ও ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মাদ সাহাবুদ্দিন অফিসের প্রথম দিনে মঙ্গলবার একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের শহীদ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৯৫২ সালের ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
এদিন সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে তিনি প্রথমে সাভারে জাতীয় সমাধিসৌধে যান এবং সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো তিনি দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে এবং দুপুর সাড়ে ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল এই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রীয় স্যালুট পেশ করে।
সাহাবুদ্দিন নিজেও একজন মুক্তিযোদ্ধা, তিনি যুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধার নিদর্শনস্বরূপ কিছু সময় নীরবতা পালন করেন।
দীর্ঘ নয় মাস মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাত থেকে দেশ স্বাধীন হয়।
রাষ্ট্রপতি স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইতেও সই করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন
সাভার থেকে রাষ্ট্রপতি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
তিনি বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের একটি হলোগ্রাফিক উপস্থাপনাও প্রত্যক্ষ করেন।
তিনি প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে সই করেন।
রাষ্ট্রপতি ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারও পরিদর্শন করেন।
আগের দিন সকালে তিনি সাভারের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট রেজিমেন্ট গার্ড (পিজিআর) কর্তৃক তার প্রথম আনুষ্ঠানিক গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার পরিবারের সদস্যরা এবং বঙ্গভবনের কর্মকর্তারা এ অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন।
অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে পিজিআর-এর একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে যখন সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর একটি ব্যান্ড স্বাগত সুর বাজিয়েছিল।
আরও পড়ুন: নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন শপথ নেবেন সোমবার
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের শপথ গ্রহণ: পাবনায় মিষ্টি বিতরণ
বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে শপথ নেওয়ার পরপরই পাবনা জেলার বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল বের করেন এবং মিষ্টি বিতরণ করেন।
সোমবার সকাল ১১টায় বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন সাহাবুদ্দিন।
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বড় পর্দায় এ শপথ অনুষ্ঠান প্রদর্শনের আয়োজন করে।
এরপর কার্যালয়ে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয় এবং মানুষের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
পরে তারা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের করে, যা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে একই পয়েন্টে এসে শেষ হয়।
সাহাবুদ্দিনকে দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন জেলার সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন
তারা আশা প্রকাশ করেন যে নতুন রাষ্ট্রপতি পাবনাকে মডেল জেলায় রূপান্তর, মেডিকেল কলেজকে হাসপাতালে রূপান্তর, একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, আরিচা-দৌলতদিয়া-কাজিরহাটকে বহুমুখী সেতু নির্মাণ এবং ঢাকা-পাবনা রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সার্বিক উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবেন।
চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হন সাহাবুদ্দিন (৭৩)।
মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৪৯ সালে পাবনা শহরের শালগাড়িয়া মহল্লায় জন্মগ্রহণ করেন।
ছাত্রজীবনে তিনি পাবনা ছাত্রলীগের একজন কর্মী ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং পরবর্তীতে পাবনা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭১ সালে পাবনার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর তাকে কারারুদ্ধ করা হয়।
পরে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ক হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।
১৯৮২ সালে তিনি বিসিএস (জুডিশিয়াল) বিভাগে যোগদান করেন এবং ১৯৯৫ সালে তিনি জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
তিনি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন, যেটি ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াত জোটের কর্মী ও নেতাদের হত্যা, ধর্ষণ, চুরি এবং অন্যান্য অপরাধের তদন্ত করে।
২০০৬ সালে অবসর নেওয়ার আগে তিনি জেলা ও দায়রা জজ হিসেবেও কাজ করেছেন।
তিনি ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ছিলেন।
সাহাবুদ্দিনের স্ত্রী রেবেকা সুলতানা সরকারের সাবেক যুগ্ম সচিব।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে অভিনন্দন পত্র পাঠিয়েছেন শি জিনপিং
নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন শপথ নেবেন সোমবার
ওয়ার্কার্স পার্টি নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করবে: মেনন
ওয়ার্কার্স পার্টি নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করবে বলে জানিয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
তিনি বলেন, আমরা এবার নির্বাচন করবো। আমরা আমাদের নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করবো।
বরিশাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির উদ্যোগে শনিবার বিকালে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার দাবিতে অনুষ্ঠিত বিভাগীয় সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় মেনন বলেন, ‘আমি আপনাদের বরিশালের সন্তান। দুই দুইবার আমি এই বরিশাল থেকে নির্বাচিত হয়েছি। ৭৩’ সালেও আমি নির্বাচিত হয়েছিলাম, কিন্তু আমার বিজয়কে ছিনতাই করা হয়েছিলো। আমি তারপরও ঐক্য করতে পিছিয়ে থাকিনি। পরের তিনবার আমি ঢাকা থেকে নির্বাচিত হয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমি বলে দিতে চাই, ওই নির্বাচন নিয়ে বিএনপি এমন খেলেছে, অনুগ্রহ করে আপনারাও (আ. লীগ) খেলবেন না। সব খেলার শেষ আছে।’
আরও পড়ুন: ১৪ দলের চিঠির জবাব দেয়া হবে: মেনন
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা (আ.লীগ) বলেন খেলা হবে’ কিসের খেলা? খেলা একটাই জনগণ নির্বিঘ্নে ভোট দেবে। সেই ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবে এবং যারা নির্বাচিত হবেন তারাই ক্ষমতায় যাবেন।’
মেনন বলেন, হেফাজত, জামায়াত ও ইসলামী শাসনতন্ত্রের সঙ্গে কোলাকুলি করবেন? কেউ আপনাকে একটা ভোট দেবে না। এমনকি যে সংখ্যালঘুদের ভোটকে আপনারা আপনাদের ভোট ব্যাংক মনে করেন, সেই সংখ্যালঘুরা আজকে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তারা ভোট কোথায় দিবে। সুতরাং এই সমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার প্রতি আমার আহ্বান ১৪ দলের ঐক্যকে আরও শক্ত করুন।
তিনি আরও বলেন, আর যদি তা না করেন তাহলে মনে রাখবেন ১৯৯৬, ২০০১ ও ১৯৯১ সালের কথা। আমি অংক করে দেখিয়ে দেবো। ৭৩ সাল বাদে একক কোনও নির্বাচনে আপনারা (আ.লীগ) বিজয় লাভ করেননি। নির্বাচনে বিজয় লাভ করতে গেলে বামপন্থীদের আপনাদের সঙ্গে লাগবে, পাশে লাগবে। যদি ভুল করেন তাহলে সেই ভুলের খেসারত আপনারা না, জাতি দেবে। তখন এই জাতি আপনাদের ক্ষমা করবে না।
সমাবেশে আরও বক্তৃতা দেন পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি, আমিনুল ইসলাম গোলাপ, টিএম শাহজাহান।
জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি অধ্যাপক নজরুল হক নীলুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ টিপু সুলতানের সঞ্চালনায় সমাবেশ হয়।
এর আগে বিভাগের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে লাল পতাকা মিছিল নিয়ে সমবাশেস্থলে জড়ো হয়।
আরও পড়ুন: ৯ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে: মেনন
মন্ত্রী হলে কি মেনন এমন কথা বলতেন: কাদের
আদানি গ্রুপের সঙ্গে 'রাষ্ট্রবিরোধী' বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিলের দাবি ডা. জাফরুল্লাহর
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী রবিবার ভারতীয় আদানি গ্রুপের সঙ্গে সরকারের বিদ্যুৎ চুক্তিকে রাষ্ট্রবিরোধী বলে বর্ণনা করেছেন এবং এটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ চুক্তি দেশপ্রেমিক ও বিবেকবান মানুষকে হতবাক করেছে। এই চুক্তি বাংলাদেশের স্বার্থের পরিপন্থী এবং এটি প্রত্যাহার করা উচিত।’
রবিবার রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা জাফরুল্লাহ এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা এই চুক্তিকে বিদ্যুৎ আমদানির নামে দেশের সম্পদ লুটপাট এবং ভারত সরকারকে বাংলাদেশ সরকারের দেয়া উপহার হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
জাফরুল্লাহ বলেন, ‘এই চুক্তিটি মূলত আদানির পকেট ভরার জন্য সই হয়েছিল। এটি একটি একতরফা এবং অত্যন্ত ব্যয়বহুল চুক্তি।’
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশে দুর্নীতি, অপশাসন, অর্থপাচার ও সীমাহীন লুণ্ঠন জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সরকারের ব্যর্থতায় মন্দিরে ভাঙচুর : ডা. জাফরুল্লাহ
শুক্রবার আহমদিয়াদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে পঞ্চগড়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার নিন্দা করেছেন জাফরুল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘পঞ্চগড়ে তাদের ওপর হামলা প্রতিরোধে ব্যর্থতার জন্য সরকারকে আহমদিয়া সম্প্রদায়কে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সরকার প্রধানের উচিত তাদের কাছে ক্ষমা চাওয়া।’
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকার বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য নয়, রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি করেছে।
জুনায়েদ সাকি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ভারত সরকারকে খুশি করার জন্য ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে আদানির সঙ্গে চুক্তি করেছিল। ভারত যদি কোনো দলকে ক্ষমতায় রাখতে চায়, তাহলে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে তাদের বন্ধুত্ব থাকবে না।
আরও পড়ুন: ডা. জাফরুল্লাহর রিট মামলা শুনতে হাইকোর্ট বেঞ্চের অপারগতা
শাল্লার হামলায় সরকারি দলের লোক জড়িত: ডা. জাফরুল্লাহ
১১ মার্চ সব বিভাগীয় শহরে মানববন্ধন করবে গণতন্ত্র মঞ্চ
আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগসহ ১৪ দফা দাবি আদায়ে সাত রাজনৈতিক দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চ ১১ মার্চ ঢাকাসহ বিভাগীয় সব শহরে মানববন্ধন করার ঘোষণা দিয়েছে।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ থেকে ভাষানী আনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবুল চলমান যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: যুগপৎ আন্দোলন: ঢাকায় গণতন্ত্র মঞ্চের গণমিছিল
তিনি বলেন, আমরা ভোটের অধিকার রক্ষা, গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার, এই সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান, বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য হ্রাসসহ আমাদের ১৪দফা দাবি বাস্তবায়নে ১১ মার্চ মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করছি।
বাবুল নতুন কর্মসূচি সফল করতে গণতন্ত্র মঞ্চের সকল সহযোগী ও সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে গণতন্ত্র মঞ্চকে আরও শক্তি প্রদর্শন করতে হবে। তাই এ ব্যাপারে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করুন।
যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাকর্মীরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হন।
সেখানে সমাবেশ শেষে জোটের নেতাকর্মীরা ১৪ দফা দাবি আদায়ে কাকরাইল অভিমুখে পদযাত্রা করেন।
এছাড়া গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও সারাদেশে মহানগরের আওতাধীন সব ওয়ার্ডে একই ধরনের কর্মসূচি পালন করছে বিএনপিসহ বিভিন্ন বিরোধী দল ও সংগঠন।
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী ১১ ফেব্রুয়ারি পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা গণতন্ত্র মঞ্চের
১১ জানুয়ারি অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা গণতন্ত্র মঞ্চের
দেশব্যাপী ১১ ফেব্রুয়ারি পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা গণতন্ত্র মঞ্চের
আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগসহ ১৪ দফা দাবি আদায়ে ১১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সারাদেশে পদযাত্রা ও গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সাতটি রাজনৈতিক দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চ।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশ থেকে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
তিনি বলেন, ‘আমরা ভোটের অধিকার রক্ষা, গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার, এই সরকারের পদত্যাগ, একটি নির্দলীয় অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমানোর দাবিসহ আমাদের ১৪ দফা দাবি বাস্তবায়নে ১১ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী মিছিল ও গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করছি।’
গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দল ও জোট যারা যুগপৎ আন্দোলনে আছে তারাও নিজ নিজ অবস্থান থেকে একই কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন সাইফুল।
ঢাকায় তিনি বলেন, গণতন্ত্র মঞ্চ সকাল ১০টায় মিরপুর-১২ থেকে ফার্মগেট, শাহবাগ, পল্টন হয়ে মতিঝিল অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করবে।
একই সঙ্গে সারাদেশে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে তাদের জোট একই ধরনের কর্মসূচি পালন করবে বলে জানান সাইফুল।
তিনি বলেন, জনগণ রাস্তায় নামতে শুরু করেছে এবং সরকার উৎখাত না হওয়া পর্যন্ত তারা ঘরে ফিরবে না।
যুগপৎ আন্দোলনের দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে গণতন্ত্র মঞ্চ তাদের ১৪ দফা দাবি আদায়ে সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশ শেষে জোটের নেতাকর্মীরা কাকরাইল অভিমুখে মিছিল বের করে।
আরও পড়ুন: মালিবাগে গণমিছিল নিয়ে পুলিশের সঙ্গে জামায়াতের সংঘর্ষ
এদিকে সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু করেছে বিএনপি।
সমাবেশে যোগ দিতে দুপুর থেকেই নয়াপল্টনে জড়ো হতে থাকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি গণতন্ত্র মঞ্চের মতো ১১ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেন।
বিদ্যুত ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়নের প্রতিবাদে দেশের অন্য সব বিভাগেও সমাবেশ করছে বিএনপি।
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী নতুন প্লাটফর্ম 'সমমনা গণতান্ত্রিক জোট' এর আত্মপ্রকাশ
সরকারবিরোধী নতুন প্লাটফর্ম 'সমমনা গণতান্ত্রিক জোট' এর আত্মপ্রকাশ
দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সম্মিলিত আন্দোলনে যোগ দিতে ১৫টি সংগঠনের সমন্বয়ে একটি নতুন সরকারবিরোধী প্ল্যাটফর্ম, ‘সমমনা গণতান্ত্রিক জোট’ রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও যুব ফোরামের সভাপতি সাইদুর রহমান এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী ১৫টি সংগঠন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপির ১০ দফা অর্জন এবং সংস্কারের জন্য বিএনপির দেয়া ২৭ দফা বাস্তবায়নে সম্মিলিত আন্দোলনে অংশ নিতে সমমনা গণতান্ত্রিক জোটের যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে ।’তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান স্বৈরাচারী, দখলদার, ফ্যাসিবাদী ও ভোটার ডাকাত সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি ঘোষিত সকল কর্মসূচিই তাদের নতুন জোট একযোগে পালন করবে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশ বিরোধীদের পক্ষে
নবগঠিত প্ল্যাটফর্মের সদস্যদের মধ্যে রয়েছে যুব ফোরাম, জিয়া নাগরিক সংসদ, গণতান্ত্রিক আন্দোলন, শহীদ জিয়া আইনজীবী পরিষদ, জাতীয়তাবাদী নাগরিক দল, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি, সংবিধান সংরক্ষণ পরিষদ, গণতন্ত্র রক্ষা মঞ্চ, চালক দল, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল। দাঁড়াও বাংলাদেশ, মুভমেন্ট ফর ডেমোক্রেসি, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিল, দেশ রক্ষা মানুষ বাঁচাও আন্দোলন এবং বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানুল্লাহ আমান উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ১১টি দলের সমন্বয়ে ‘জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট’ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
এছাড়া ২২ ডিসেম্বর ২০ দলীয় জোটের ১২টি দলের সঙ্গে ১২ দলীয় জোট চালু করা হয়, যেখানে বিএনপির বাইরে বিদ্যমান আরও দুটি জোট- গণতন্ত্র মঞ্চ (গণতন্ত্র ফোরাম) এবং বাম গণতান্ত্রিক জোটও রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের লক্ষ্যে একযোগে আন্দোলনে যোগদানের অভিপ্রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান ড.কামালের
গণফোরামের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫
মালিবাগে গণমিছিল নিয়ে পুলিশের সঙ্গে জামায়াতের সংঘর্ষ
গণমিছিল করার সময় জামায়াত ও শিবির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর মালিবাগে জুম্মার নামাজের পর জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করার চেষ্টা করলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানায় পুলিশ।
সংঘর্ষে পুলিশ ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় জামায়াত-শিবিরের বেশ কয়েকজন সদস্যকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য বিরোধী দল ও জোট যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট থেকে একটি গণ মিছিল বের করার জন্য জামায়াতে ইসলামী পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছিল। ‘কিন্তু পার্টির অনুমতি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: যুগপৎ আন্দোলন: ৩৩টি বিরোধী দল রাজধানীতে গণমিছিল বের করবে
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (রমনা বিভাগের) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো.শাহেন শাহ মাহমুদ বলেন, ‘জামায়াতের লোকজন মালিবাগে পুলিশের অনুমতি ছাড়াই একটি গণমিছিল করার চেষ্টা করে। পুলিশ জামায়াতের লোকদের মিছিল না করতে বললে তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কথায় কর্ণপাত করেনি, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরের লোকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।’ পরে ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করে সংশ্লিষ্ট থানায় নিয়ে আসা হয়।
২০১৮ সালের এই দিনে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি এবং অন্যান্য বিরোধী দল ও জোট ৩০ ডিসেম্বরকে ‘কালো দিবস’ হিসাবে পালন করে।
সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেয়া, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনসহ ১০ দফা দাবিতে আজ রাজধানীতে গণমিছিল কর্মসূচি পালন করেছে তারা।
আরও পড়ুন: যুগপৎ আন্দোলন: ঢাকায় গণতন্ত্র মঞ্চের গণমিছিল
চট্টগ্রামে মিছিল থেকে জামায়াত শিবিরের ৮ নেতাকর্মী আটক
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১০ দফা দাবিতে বের করা মিছিল থেকে চট্টগ্রামে জামায়াত শিবিরের আট নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে পাচঁলাইশ থানার মুরাদপুর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে পুলিশ তাদের আটক করে।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দীন বলেন, সকালে ‘শুলকবহর এলাকা থেকে মিছিলটি বের করে জামায়াত শিবিরের কর্মীরা। সেখানে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। পরে যাচাই-বাছাই শেষে আট জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এছাড়া মিছিলে অংশ নেয়া জামায়াত নেতারাসহ গ্রেপ্তার আট জনকে আসামি করে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
আরও পড়ুন: জামায়াতের ১০ দফা দাবি ঘোষণা, গণমিছিল ২৪ ডিসেম্বর
জানাগেছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকালে শুলকবহর মাদ্রাসার সামনে থেকে শুরু হওয়া মিছিলটিতে নেতৃত্ব দেন মহানগর জামায়াতের আমির মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান। এতে সিনিয়র নায়েবে আমির নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিনসহ নগর জামায়াতের নেতারা অংশ নেন।
দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠাসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে দেশব্যাপী বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ গণআন্দোলনে নামে জামায়াত। ২৪ ডিসেম্বর দেশের বিভাগীয় শহর ও জেলায় জেলায় গণমিছিল করার ঘোষণা দেয় দলটির আমির। একই দাবিতে বিএনপিও গণমিছিল কর্মসূচি পালন করছে।
আরও পড়ুন: আ.লীগের অনুরোধে গণমিছিলের তারিখ পরিবর্তন করবে বিএনপি
আ.লীগের জাতীয় কাউন্সিল বিবেচনায় ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণমিছিল করবে বিএনপি