%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%B6%E0%A7%83%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%96%E0%A6%B2%E0%A6%BE
রোহিঙ্গা ভোটার সংখ্যা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
কক্সবাজার জেলায় কতজন রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রোহিঙ্গাদের ভোটার করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিচারপতি নাইমা হাইদার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এদিকে বিষয়টি তদন্ত করে আগামী ৬ জুনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া কক্সবাজারের ঈদগাঁও ইউনিয়নের ৩৮ রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতি নিয়োগ
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
এর আগে মঙ্গলবার রোহিঙ্গাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ না দিয়েই কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন ওই ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা মোহাম্মদ হামিদ।
রিটে কক্সবাজারের সব ইউনিয়ন পরিষদের ভোটার তালিকা যাচাই করে রোহিঙ্গাদেরকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া, তাদের নাগরিকত্ব প্রদান সংক্রান্ত সব নথি বাতিল করা এবং রোহিঙ্গাদেরকে নাগরিকত্ব প্রদানের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়।
রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিব, কক্সবাজার জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারসহ (এসপি) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন ৩৮ জন রোহিঙ্গা। তাদের তালিকা যুক্ত করে রিট আবেদন করা হয়।
এছাড়াও একই ইউনিয়নে কয়েকশ (সাড়ে তিনশ) রোহিঙ্গা নাগরিক হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে তাদের নাগরিকত্ব বাদ দিয়ে ভোটার তালিকা হাল নাগাদ না করা পর্যন্ত ওই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত রাখার আবেদন জানানো হয়েছে রিটে।
এই রিটের উপর বুধবার (২৪ এপ্রিল) প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল ও আদেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রমজানে স্কুল বন্ধ: মঙ্গলবার আপিল বিভাগে শুনানি
সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের সম্পত্তি স্থিতাবস্থায় রাখার নির্দেশ আপিল বিভাগের
আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতি নিয়োগ
সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের তিনজন বিচারপতিকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বুধবার(২৪ এপ্রিল) আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সই এক প্রজ্ঞাপনে এই নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রমজানে স্কুল বন্ধ: মঙ্গলবার আপিল বিভাগে শুনানি
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এই তিনজন বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ করেছেন।
এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
আপিল বিভাগে নিয়োগ পাওয়া তিনজন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ, বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।
নতুন নিয়োগ পাওয়া এই তিন বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে মোট বিচারপতির সংখ্যা হলো আটজন।
আগামী বৃহস্পতিবার(২৫ এপ্রিল) এই তিন বিচারপতিকে শপথ পড়াবেন প্রধান বিচারপতি মো. ওবায়দুল হাসান।
আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের সম্পত্তি স্থিতাবস্থায় রাখার নির্দেশ আপিল বিভাগের
আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করায় রোজায় খোলা থাকবে স্কুল
বেনজীরের সম্পদ নিয়ে দুদকের অনুসন্ধানের অগ্রগতি প্রতিবেদন চাইলেন হাইকোর্ট
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদসহ তার পরিবারের সম্পদের বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধানের অগ্রগতি প্রতিবেদন আগামী দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে দুদককে এ নির্দেশ দেন।
এদিন আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সারওয়ার হোসেন ও ব্যারিস্টার মনোজ কুমার ভৌমিক। বেনজীর আহমেদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও সাঈদ আহমেদ রাজা। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
শুনানিতে আদালত বলেন, ‘ভারতের মতো আমাদের দেশেও সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সম্পদ বিবরণী আইন করা উচিত। আইন থাকলে কাউকে তাদের (সরকারি চাকরিজীবীদের) সম্পদের পাহারা দিতে হতো না। ভারতে সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময় এবং চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার সময় সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের বিবরণী জমা দিতে হয়। বিবরণীতে সম্পদের ১০ শতাংশের বেশি পার্থক্য হলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে এরকম আইন করতে হবে। শুধু বাতাস খেয়ে চললে হবে না।’
এর আগে গত সোমবার বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠায় তা অনুসন্ধান করবে বলে জানায় দুদক। এ ঘটনায় সংস্থার উপপরিচালক হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। একই দিন তার দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাউদ্দিন রিগ্যান হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেন।
রিটে বেনজীর আহমেদের পরিবারের সদস্যদের সম্পদ নিয়ে সম্প্রতি একটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের আলোকে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চাওয়া হয়। একই সঙ্গে বেনজীরের সম্পদের অনুসন্ধান করতে দুদকের নিষ্ক্রীয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। এই রিটে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, দুদক কমিশনার (তদন্ত), দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ও দুদক সচিবকে বিবাদী করা হয়।
‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে গত ৩১ মার্চ অনুসন্ধানি প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি জাতীয় দৈনিক। এরপর গত রবিবার বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা চেয়ে দুদকে আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন। লিখিত ওই আবেদনে সাবেক আইজিপির দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান চান তিনি। পাশাপাশি দুদক কোনো ব্যবস্থা না নিলে, উচ্চ আদালতে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। আবেদনে বেনজীর আহমেদের পাশাপাশি তার স্ত্রী জিসান মির্জা, দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাশিন রাইসা বিনতে বেনজীরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়।
ঢাকার পয়োবর্জ্য-গ্যাস লাইন পরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের
রাজধানী ঢাকা শহরের বাড়িঘরে ওয়াসার পয়োবর্জ্য (স্যুয়ারেজ) লাইন ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ঢাকার সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও সিদ্দিক বাজারে দুটি ভবনে গ্যাল লাইন ও সুয়ারেজ লাইন বিস্ফোরণে দুর্ঘটনার ফলে একাধিক মৃত্যুর ঘটনায় জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ একটি রিট পিটিশন দায়ের করে।
রিটে ঢাকার প্রতিটি বাড়ি ঘরে ওয়াসার সংযোজিত পয়োনিষ্কাশন লাইন ও তিতাসের গ্যাস লাইন যথাযথ আছে কি না তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়। আদালতে বাদী পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিতাসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবুল বাশার টুটুল।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, শুনানি শেষে আদালত ওয়াসাকে একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেন। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দুইজন প্রতিনিধি, তিতাস গ্যাসের একজন প্রতিনিধি ও রাজউকের একজন প্রতিনিধির সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যের এ কমিটি গঠন করে আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের জন্য আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এছাড়াও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কোনো ত্রুটি পেলে তা সংশোধন করার নির্দেশনা দেন।
শুনানিতে মনজিল মোরসেদ বলেন, ঢাকা শহরের প্রতিটি বাড়ি-ঘরে ওয়াসার পয়োনিষ্কাশন ও তিতাস গ্যাসের যে লাইন দেওয়া হয়েছে তা সময়ে সময়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার বিধান থাকলেও কর্তৃপক্ষ তা না করায় অনেক সময় দুর্ঘটনা হয়। যে কারণে মানুষ মৃত্যুবরণ করে। এ ধরনের অযাচিত মৃত্যু থেকে মানুষকে রক্ষার জন্য ওয়াসা ও তিতাস গ্যাসকে যথাযথ ভূমিকা পালনের নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন।
নওগাঁয় স্ত্রীহত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন ওরফে টনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় শিশু ধর্ষণের পর হত্যা: যুবকের মৃত্যুদণ্ড
রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন- জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুল খালেক।
তিনি বলেন, সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সরকারি কৌঁসুলি আরও বলেন, ‘রায়ে হাইকোর্ট বিভাগে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা সাপেক্ষে আসামি সালাউদ্দিনকে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, এ রায় হত্যা মামলার ক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
আসামিপক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আতিকুর রহমান মামলাটি শুনানি করেন।
আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে নিয়ামতপুর উপজেলার ধানসা গ্রামের আবু কালামের মেয়ে তুকাজ্জেবার (২৪) সঙ্গে নাচোলের মুরাদপুর গ্রামের সালাউদ্দিনের বিয়ে হয়। স্বামীকে নিয়ে ২০২০ সালের ২৯ জুন বাবার বাড়ি বেড়াতে আসে তুকাজ্জেবা। এরপর ১ জুলাই তার গলায় কাঁচি দিয়ে জখম করে সালাউদ্দীন। চিৎকারের শব্দ পেয়ে দরজা ভেঙে আহত অবস্থায় তুকাজ্জেবাকে উদ্ধার করে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্ত্রীকে আহত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় সালাউদ্দিনকে স্থানীয়রা আটকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
এ ঘটনায় নিহত তুকাজ্জেবার বাবা আবু কালাম বাদী হয়ে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে নিয়ামতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা ২০২২ সালের ২২ জুন আদালতে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের মোট ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে আদালতে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেন নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: শেরপুরে ১৫ বছর পালিয়ে থাকার পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
অর্থ আত্মসাৎ মামলা: মেজর মান্নানসহ ৭ জনের জামিন বাতিল বিষয়ে হাইকোর্টের রুল
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সাবেক মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নানসহ ৭ জনকে বিচারিক আদালতের দেওয়া জামিন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
তাদের জামিন বাতিল চেয়ে দুদকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (২২ এপ্রিল) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের রায়ের পর বুয়েটের ভবিষ্যৎ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের প্রতিক্রিয়া
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন- আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
এ মামলায় বিচারিক আদালতে জামিন পাওয়া অন্যরা হলেন– বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফসি) সাবেক পরিচালক আ ন ম জাহাঙ্গীর, রইস উদ্দিন, রোকেয়া ফেরদৌস, ডিএমডি ইনামুর রহমান, পরিচালক এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ ফখরে ফয়সল।
২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল মাজেদ দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে ১২ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মেসার্স টেলিকম সার্ভিস এন্টারপ্রাইজের রাজিয়া সুলতানার নামে বিআইএফসি হতে মোট ৯ কোটি ৭৭ লাখ ৯৪ হাজার ৮৯২ টাকা ঋণ মঞ্জুর ও বিতরণ দেখিয়ে টাকা স্থানান্তর ও রূপান্তর ঘটিয়ে আত্মসাৎ করেন।
এ মামলায় গত ৭ মার্চ মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ তাদের জামিন দেন। পরে জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক।
আরও পড়ুন: বুয়েটের রাব্বীকে হলের সিট ফেরত দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
সাজেকের পাহাড় কাটা বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের
মন্দিরে আগুন: ফরিদপুরে বিক্ষুব্ধ জনতার হামলায় ২ জন নিহতের ঘটনায় বিজিবি মোতায়েন
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের একটি মন্দিরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২ নির্মাণ শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার পর শুক্রবার সেখানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।
বিক্ষুব্ধদের হামলায় গুরুতর আহত আরও ৫ শ্রমিক স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, গতকাল রাতের ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের পুরুষ সদস্যরা সবাই তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
আরও পড়ুন: কাপ্তাইয়ের সীতা মন্দিরে মহাবারুণী স্নানে ভক্তদের ঢল
নিহত নির্মাণ শ্রমিকরা হলেন- মধুখালী উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের ঘোপেরঘাট গ্রামের শাহজাহান খানের ছেলে আশরাফুল (২১) ও তার ভাই আশাদুল (১৫)।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, হিন্দু অধ্যুষিত পঞ্চপল্লী গ্রামের ওই বারোয়ারি মন্দিরের কালী প্রতিমায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৭ শ্রমিককে অবরুদ্ধ করে রাখে।
মন্দির থেকে ২০ গজ দূরে পঞ্চপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওয়াশ ব্লক তৈরি করছিলেন শ্রমিকরা।
সরকারি এই কর্মকর্তা জানান, খবর পেয়ে মধুখালী থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গেলে বিক্ষুব্ধরা তাদেরও অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে ফরিদপুর জেলা সদর ও রাজবাড়ী জেলা পুলিশের সহযোগিতায় কয়েক ঘণ্টা পর অবরুদ্ধদের উদ্ধার করা হয়।
জেলা প্রশাসক বলেন, আহত অবস্থায় ৭ শ্রমিককে উদ্ধার করা হলেও তাদের মধ্যে ৪ জন অচেতন ছিলেন। আহতদের উদ্ধার করে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন ২ জন মারা যান।
তিনি আরও বলেন, এদিকে ডুমাইন এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পুলিশের পাশাপাশি একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিজিবির ৩ প্লাটুন সদস্য মোতায়েন করা হয়।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মন্দির তৈরির কথা বলে কৃষকের বাড়ি ভাঙচুর, মারধরে আহত ৮
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মোরশেদ আলম বলেন, শত শত মানুষ এই হামলায় অংশ নেওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি ছোঁড়া হয়। বিক্ষুব্ধদের ছোড়া ইট পাটকেল এর আঘাতে পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, এই ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে, পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। সম্পূর্ণ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে বলে জানান পুলিশ সুপার।
আহত শ্রমিক লিটন মোল্লা বলেন, আগুন দেখার পর এলাকাবাসীর সঙ্গে আমরাও নেভানোর কাজে অংশ নেই। কিন্তু বিক্ষুব্ধরা শ্রমিকদের সন্দেহ করে হাত-পা বেঁধে গণপিটুনি দেয়। বিক্ষুব্ধ বিপুলসংখ্যক মানুষ লাঠি, রড, ইট দিয়ে হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারপিট করে তাদরে। এ সময় স্কুলটির দরজা-জানালা ভাঙচুর করা হয়।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান তপন বলেন, ‘মাগরিবের নামাজ পড়ে আমি মাঠে বসেছিলাম। কিছু সময় পরে এই ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার অজিত বাবু আমাকে ফোন দেন। বললেন, আপনি দ্রুত আসেন। এখানে মন্দিরে আগুন দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি তাৎক্ষণিকভাবে এখানে আসলাম। এসে দেখি হাজার হাজার জনতা। আমি জনগণকে শান্ত করার চেষ্টা করি। কিন্তু দেখলাম যে পরিস্থিতি বেগতিক। এখানে আসলে প্রশাসন ছাড়া কোনোভাবেই সম্ভব না। আমি সরে গিয়ে প্রশাসনকে ফোন দিই, ইউএনওকে ফোন দেই। পরে প্রশাসন এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’
আরও পড়ুন: মন্দিরে পূজা করতে বাধা: দুই ইউপি চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ
বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন বিজিপির আরও ১৩ সদস্য
মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ১৩ সদস্য বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
শুক্রবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) শরিফুল ইসলাম জানান, বর্তমানে মোট ২৭৪ জন আশ্রয় গ্রহণ করে বাংলাদেশে অবস্থান করছে।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার টেকনাফের নাফ নদীতে নতুন করে আরও ১৩ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, টেকনাফ স্টেশনের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন বিজিপির আরও ৪৬ সদস্য
পরবর্তীতে কোস্ট গার্ড উক্ত বিজিপি সদস্যদেরকে বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নে (১১ বিজিবি) হস্তান্তর করে।
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে বিজিপি, সেনা সদস্য ও ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাসহ মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ৩৩০ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
১৫ ফেব্রুয়ারি কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে তাদের মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যের সংখ্যা ১৭৯
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ইয়াবা সরবরাহ না করায় যুবক খুন
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে ইয়াবা সরবরাহ না করায় তৌহিদুল ইসলাম খোকন (৩০) নামে এক যুবককে হত্যা করেছে মাদকসেবীরা।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের মীরসরাই হিঙ্গুলী খান সিটি সেন্টারের পূর্বপাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত খোকন হিঙ্গুলী ইউনিয়নের আজমনগর গ্রামের মৃত হাসেম ড্রাইভারের ছেলে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে বন্ধু খুনের অভিযোগ
নিহতের স্ত্রী সানজিদা আক্তার বলেন, আমার স্বামী বুধবার রাতে একই এলাকার শাহজাহান মেম্বারের বাড়িতে তার ভাতিজির গায়ে হলুদে যায়। সেখানে যাওয়ার আগে স্থানীয় ইয়াবা সেবনকারী মোতালেব, আমজাদ, রাশেল তাদের জন্য ইয়াবা নিতে উনার মোবাইলে বার বার ফোন করে।
কিন্তু তিনি রাজি হননি। রাতে গায়ে হলুদে গিয়ে আর ফেরেনি। সকালে রেললাইনে তার লাশ পাওয়া গেছে। তারা আমার স্বামীকে খুন করে রেললাইনে ফেলে যায়, যাতে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে এটা বুঝানোর জন্য।
আমার স্বামীর হত্যার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।
হিঙ্গুলী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে খবর পাই খোকন মারা গেছে। দুবৃত্তরা তাকে খুন করে রেললাইনে ফেলে গেছে। আমি পুলিশকে খবর দিয়েছি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে।
সহকারী পুলিশ সুপার (মিরসরাই সার্কেল) মনিরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।
আরও পড়ুন: হাসপাতালের প্রিজন সেলে আসামির হাতে আসামি খুনের অভিযোগ
কক্সবাজারে ২ কেজি ক্রিস্টাল মেথ জব্দ, যুবক আটক
কক্সবাজারের রামু উপজেলায় বুধবার রাতে ২ কেজি ক্রিস্টাল মেথ (আইস) জব্দ ও এক যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।
আটক সাইন মং থোয়াই মারমা (১৮) বান্দরবান জেলার মংসাইন মারমার ছেলে।
বিজিবির পাঠানোর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মিয়ানমার থেকে মাদকের একটি বড় চালান দেশে পাচার হবে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির একটি দল মরিচা চেকপোস্টে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা থামিয়ে একটি শপিং ব্যাগে রাখা ২ কেজি ক্রিস্টাল মেথ জব্দ করে।
তারা মাদকদ্রব্য রাখার দায়ে চালককে আটক করেন। পরে তাকে রামু থানায় হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: টেকনাফ থেকে ৩ কেজি ক্রিস্টাল মেথ জব্দ
কক্সবাজারে লবণবোঝাই ট্রাকে ১৮ কেজি ক্রিস্টাল মেথ জব্দ, আটক ২