%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%B6%E0%A7%83%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%96%E0%A6%B2%E0%A6%BE
ইসলাম বিরোধী মন্তব্য করার দায়ে হিন্দু যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড
রংপুরে ইসলাম ধর্মবিরোধী মন্তব্য করার দায়ে টিটু নামে এক হিন্দু যুবককে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার রংপুর সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক ড. আব্দুল মজিদ এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: দুবাইয়ের আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খানের ১০ বছরের কারাদণ্ড
দণ্ডপ্রাপ্ত টিটু রায় রংপুরের গঙ্গাচড়া থানার হরিকলি ঠাকুরপাড়ার মৃত খগেন্দ্রনাথ রায়ের ছেলে।
পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, প্রায় ছয় বছর আগে ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম ও নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্যের মামলায় রংপুরের একটি আদালত টিটু রায়কে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, নারায়ণগঞ্জে কর্মরত থাকাকালীন ২৮ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে টিপু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইসলাম বিরোধী মন্তব্যের পোস্টটি আপলোড করেন। একই বছরের ১০ নভেম্বর রংপুরের শ্লেয়াশাহ বাজারে টিটুর শাস্তির দাবিতে স্থানীয় মুসলমানেরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা ঠাকুরপাড়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে। পরে এ ঘটনায় রংপুর সদর ও গঙ্গাচড়া থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়।
রায় প্রকাশে সন্তোষ প্রকাশ করে পিপি বলেন, তারা ন্যায়বিচার পেয়েছেন এবং এটি ধর্মের অবমাননার একটি দৃষ্টান্ত হবে।
অপরদিকে আসামির আইনজীবী প্রশান্ত কুমার রায় জানান, তারা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ায় এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে জেএমবি কমান্ডার এরশাদের ২০ বছর কারাদণ্ড
১৩ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নির্বাচনের দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত: জিএমপি কমিশনার
গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম বুধবার বলেছেন, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিতব্য গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৩ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ২০-২২ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। আমি আশা করি নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে সকলের প্রচেষ্টায় একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারণা শেষ হয়েছে এবং নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় প্রশাসন সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও আনসার সদস্যদের ৩০টি টিমের পাশাপাশি ২০ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেট সিটি নির্বাচন: ১১ মেয়র প্রার্থীসহ ৩৮৭ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল
ইতোমধ্যে ইভিএম মেশিন ও প্রয়োজনীয় সব উপকরণ ভোটকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে এবং সব কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
৫৭টি ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ টিম থাকবে এবং ১৯ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ১৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ভোটকেন্দ্রে সজাগ থাকবে।
ফরিদুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে ৪৮০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৫১টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে এবং এসব কেন্দ্রে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন এবং কাউন্সিলর পদে ২৪৮ জন এবং নারী কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
মোট ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে এবং তাদের মধ্যে পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী এবং ট্রান্সজেন্ডারের সংখ্যা ১৮ জন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী বছরের বাজেটের আগে মূল্যস্ফীতি, রাজস্ব ঘাটতি ও ডলার সংকট অর্থনীতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: সেই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ফরিদপুরে মামলা
রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের (৬৫) বিরুদ্ধে ফরিদপুরে মানহানি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরেকটি মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম ১নং আমলী আদালতে এ মামলাটি করা হয়।
মামলা করেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক। তিনি জেলা শহরের দক্ষিণ আলীপুরের ওলিউল হকের ছেলে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ঢাবি ছাত্রলীগের বিক্ষোভ
দুপুরে ফরিদপুর কোর্টের পরিদর্শক আবুল খায়ের মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকির ফলে তার জীবনহানি ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মী বর্তমানে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
তাছাড়া বিভিন্ন মাধ্যমে বিএনপি নেতার বক্তব্য প্রচার হওয়ায় তা মানহানি হয়েছে। মানহানির ঘটনায় ২০ কোটি টাকা উল্লেখ করা হয়।
অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম ১নং আমলী আদালতের বিচারক তরুণ বাছার মামলাটি আমলে নিয়ে তা এফআইআর এর জন্য কোতোয়ালি থানাকে নির্দেশ দেন।
মামলাটি দায়েরের সময় জেলা আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংঘঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে মামলার বাদি ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির পর সারা বাংলাদেশে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিক্ষুব্ধ মানুষ হুমকিদাতার বিচার চাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা, মেরে ফেলে ও কবরস্থানে পাঠানোর হুমকি জাতিসহ বিশ্ব বিবেক মানে না।
তিনি আরও বলেন, এজন্য আমরা আইনের দারস্থ হয়ে বিচার চেয়েছি। আশা করছি আদালতে সুষ্ঠু বিচার পাবো।
তিনি দাবি করেন যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে বিএনপির যে এটা নীলনকশা ছিলো তা ফাঁস হয়ে গেছে। জাতি জেনে গেছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: নেত্রকোণা আদালতে আরও ১টি মামলা
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতার নামে মামলা
রাজধানীর ধানমন্ডিতে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, বাসে আগুন
রাজধানীর ধানমন্ডির সীমান্ত স্কয়ারের সামনে মঙ্গলবার পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি জানাতে বিকালে ধানমন্ডি এলাকায় পূর্বনির্ধারিত পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
পদযাত্রা শেষে তারা একটি মিছিল বের করে, যা সায়েন্সল্যাব মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
তারা সিটি কলেজের দিকে অগ্রসর হলে বিকাল ৪টার দিকে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।এসময় বিএনপি নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল ছোঁড়ে ও লাঠিচার্জ করে।
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. আশরাফ হোসেন জানান, পুলিশকে লক্ষ্য করে বিএনপি কর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেছে। এসময় তারা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর ও একটি বাসে আগুন দেয়।
ডিসি আশরাফ আরও বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে এবং ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করেছে।’
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে পুলিশসহ ৩০ জন আহত
খুলনায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: নেত্রকোণা আদালতে আরও ১টি মামলা
বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় নেত্রকোণায় অতিরিক্ত প্রধান বিচারিক হাকিম আদালতে আরও একটি মামলা করা হয়েছে। এঘটনায় এ নিয়ে মোট দুটি মামলা করা হলো।
মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অসিত সরকার সজল বাদী হয়ে মামলা করেন। অসিত সরকারের আইনজীবী মো. শহিদুল্লাহ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ঢাবি ছাত্রলীগের বিক্ষোভ
মামলায় বলা হয়, গত ১৯ মে প্রকাশ্য জনসভায় শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি প্রধানমন্ত্রীর জন্যে মানহানিকর, কুরুচিপূর্ণ, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের জন্যে হুমকি। এ ধরনের হুমকি দেওয়ায় বাদী সংক্ষুব্ধ, মর্মাহত ও মানসিকভাবে আহত হয়েছেন।
আইনজীবী মো. শহিদুল্লাহ জানান, মামলায় প্রাণনাশের হুমকি, মানহানি ও হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিচারক মো. কামাল হোসাইন মামলা আকারে গ্রহণের জন্য নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদেশ দিয়েছেন বলে জানান এই আইনজীবী।
এর আগে গতকাল সোমবার (২২ মে) একই আদালতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামছুর রহমান লিটন বাদী হয়ে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ‘প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির’ অভিযোগে মির্জা ফখরুল ও রাজশাহী বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতার নামে মামলা
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রীকে পদাধিকার বলে জামুকা'র চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ কেন বাতিল নয়: হাইকোর্ট
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীকে পদাধিকার বলে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) চেয়ারম্যান এবং সচিবকে সদস্য পদে নিযোগ সংক্রান্ত আইনের বিধান কেন বাতিল নয় তা জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রিট আবেদনকারী নওয়াব আলী মণ্ডলের মুক্তিযোদ্ধা গেজেট বাতিল সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনটি স্থগিত করেন। তার ভাতা অব্যাহত রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
রিট আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম। তাকে মামলা পরিচালনায় সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট অনিক হোসেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সেলিম আজাদ।
আরও পড়ুন:হিন্দু নারীদের অধিকার প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
উল্লেখ্য, বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বীরমুক্তিযোদ্ধা নওয়াব আলী মণ্ডল ১৯৬৭ সালে তৎকালীন পাকিস্তান পুলিশে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে যুদ্ধকালীন সময়ে তিনি অস্ত্র লুট করে সম্মুখ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। যা যুদ্ধে পুলিশ বাহিনীর গৌরবগাঁথা হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশের প্রকাশিত বইয়েও স্থান পায়।
বীরত্বের স্বীকৃতি হিসেবে সরকার গত ২০০৫ সালে তাকে মুক্তিযোদ্ধা সনদ প্রদান করেন এবং ওই বছরেই তার নাম গেজেটভুক্ত হয়। তিনি নিয়মিত সম্মানী ভাতাও পেয়ে আসছিলেন। কিন্তু ১৮ অক্টোবর ২০২২ তারিখে জামুকা'র ৮১ তম সভায় তার গেজেটটি বাতিলের জন্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হয়।
ওই সুপারিশ অনুসারে মন্ত্রণালয় এবছর ২২ ফেব্রুয়ারি তারিখে তার গেজেট বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। তিনি তার গেজেট বাতিলের প্রজ্ঞাপন, ভাতা বন্ধ ও জামুকা'র চেয়ারম্যান ও সদস্য হিসাবে মন্ত্রী ও সচিবের নিয়োগ সংক্রান্ত আইনের সংশ্লিষ্ট বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট মামলাটি করেন।
ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম আদালতে বলেন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ২০২২ সালের আইন দ্বারা গঠিত একটি পৃথক সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। এই আইনের ৫(১) (ক) ও ৫(১)(খ) ধারা অনুসারে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ও সচিব পদাধিকার বলে যথাক্রমে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)'র চেয়ারম্যান ও সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন এবং মন্ত্রণালয়ে যদি প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী থাকেন, সেক্ষেত্রে তারা পদাধিকার বলে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: প্লট বরাদ্দ বাতিলের নথি না দেওয়ায় রাজউক চেয়ারম্যানকে হাইকোর্টে তলব
জামুকা আইন ২০২২ এর ৬ ধারা অনুসারে জামুকা'র অন্যতম প্রধান কাজ হলো- গেজেটভুক্ত কোনো মুক্তিযোদ্ধা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নয় মর্মে তদন্তে আসলে তার গেজেটটি বাতিলের জন্য মন্ত্রণালয় বরাবরে 'সুপারিশ' করা এবং নতুন মুক্তিযোদ্ধাদেরকে গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে সুপারিশ করা।
যেহেতু মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এবং সচিব একইসঙ্গে জামুকা'র সর্বোচ্চ পদে আসীন, ফলে তারা জামুকা'র নির্বাহী প্রধান হিসেবে যে সুপারিশ করেন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব হিসেবে সেটাই ‘মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত’- হিসেবে প্রকাশ করেন।
তাছাড়া, জামুকা যখন একজন মুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিলের জন্য মন্ত্রণালয় বরাবরে সুপারিশ করে, মন্ত্রণালয় কিন্তু গেজেট বাতিলের আগে তাকে কোনো ধরনের অভিযোগ খন্ডানোর বা শুনানির সুযোগও দেয় না; শুধুমাত্র জামুকা'র সুপারিশ মোতাবেক গেজেট বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। জামুকা আইনের ৮ ধারা অনুসারে জামুকা'র চেয়ারম্যান অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী জামুকা'র সকল নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী, অন্যদিকে মন্ত্রণালয়েরও প্রধান তিনি।
সে কারণে প্রকৃত অর্থে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় একই প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এক্ষেত্রে তদন্তকারী এবং বিচারক একই ব্যক্তি। এটা প্রতিষ্ঠিত ন্যায়বিচার নীতির পরিপন্থী। ফলশ্রুতিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতি, মর্যাদা ও সম্মানী মন্ত্রীর একক ইচ্ছা-অনিচ্ছার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
মন্ত্রী ও সচিবকে বাদ দিয়ে জামুকা'র বাকি সদস্যদের মধ্য থেকে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান নিয়োগের বিধান রাখা জরুরি।
আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় রায় ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে বহাল
‘প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির’ অভিযোগে মির্জা ফখরুল ও রাজশাহী বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে ‘হত্যার হুমকি’ দেওয়ার অভিযোগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান বাদী হয়ে নাটোর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
আবু সাঈদ চাঁদকে এ মামলার প্রধান আসামি এবং বিএনপি মহাসচিবকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে।
এ সময় জেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ মামলাটি গ্রহণ করেছেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রাজশাহী বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদকে বিশ্বাসঘাতক উল্লেখ করে মামলার বাদী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রধান আসামির 'হুমকিমূলক বক্তব্য' দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতার নামে মামলা
মামলার এজাহারে বলা হয়, এ ধরনের মন্তব্য দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।
এর আগে শুক্রবার বিকালে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শিবপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মহানগর ও জেলা বিএনপির জনসভায় প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দেন আবু সাঈদ চাঁদ।
তিনি বলেন, ‘আর ২৭ বা ১০ দফা দাবি নয়, এখন শুধু একটাই দফা, আর তা হলো- শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠাও! শেখ হাসিনার পদত্যাগের জন্য যা যা করা দরকার আমরা করব।’
এদিকে এই হুমকির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
এ ঘটনায় আবু সাঈদ চাঁদের বিরুদ্ধে পুঠিয়া থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এটা সরকারের সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র: খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা প্রসঙ্গে ফখরুল
মুচলেকা দিয়ে জামিন পেলেন কণ্ঠশিল্পী নোবেল
প্রতারণার অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিল থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তারের তিনদিন পর মুচলেকা দিয়ে জামিন পেলেন কণ্ঠশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল।
সোমবার (২২ মে) ঢাকার মহানগর হাকিম শফি উদ্দিনের আদালত আপসের শর্তে গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলের জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক হুমায়ুন কবির এক দিনের রিমান্ড শেষে আসামি নোবেলকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: কলকাতায় জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন বাংলাদেশি শিল্পী নোবেল!
নোবেলকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।
নোবেলের পক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়।
নোবেলের আইনজীবী আদালতে বলেন, আসামি বাদীর সঙ্গে আপস করে সকল টাকা বুঝিয়ে দিয়েছেন। বাদী সকল টাকা বুঝে পেয়েছেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় অভিযোগপত্র দাখিল পর্যন্ত নোবেলের জামিনের আদেশ দেন।
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬ এর প্রতিনিধি মো. সাফায়েত ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর মতিঝিল থানায় ১৬ মে নোবেলের নামে মামলাটি করেন।
এ মামলায় গত ২০ মে নোবেলের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মামলার অভিযোগে বলা হয় যে ২৮ এপ্রিল শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬ এর প্রথম পুনর্মিলনী আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য নোবেলের সঙ্গে মোট এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা চুক্তি করা হয়। পরে নোবেলকে বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ সর্বমোট এক লাখ ৭২ হাজার টাকা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে না গিয়ে প্রতারণা করে এ অর্থ আত্মসাৎ করেন নোবেল।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্রনাথ ও জাতীয় সংগীত নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, গায়ক নোবেলকে আইনি নোটিশ
সংগীতশিল্পী নোবেল গ্রেপ্তার
৯৮ বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন
৯৮ বারের মতো পিছিয়েছে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ।
এদিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২২ জুন দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
সোমবার (২২ মে) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্ত সংস্থা র্যাব প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এ কারণে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. রাশেদুল আলম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ঠিক করেন।
আরও পড়ুন: ৯৭ বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন
এদিকে মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আট জন।
অপর আসামিরা হলেন-বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি নিজ ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যা: ৯৪ বার পেছাল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
সাগর-রুনি হত্যা: ৯৩ বার পেছাল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
বগুড়ায় আদালত চত্বর থেকে পালানো সেই আসামি গ্রেপ্তার
বগুড়ায় আদালত চত্বর থেকে পালানো সেই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে বগুড়া সদর উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের এক জঙ্গল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযুক্ত চঞ্চল ইলিয়াস ওরফে ইমরান (৩২) বগুড়া সদর উপজেলার নওদাপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর আলম ওরফে আফজালের ছেলে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় হাতকড়াসহ পালানো সেই আসামি ৫ দিন পর গ্রেপ্তার
এর আগে রবিবার (২১ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে গাবতলী থানা পুলিশ গাড়িতে পাঁচজন আসামি নিয়ে আদালতে পৌঁছায়। আসামিদের গাড়ি থেকে নামানোর পর ইমরান হাতকড়া রেখে কৌশলে পালিয়ে যান। পরে তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) স্নিগ্ধ আখতার আসামিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আদালত চত্বর থেকে পলাতক আসামিকে আজ সোমবার সকালে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হবে। তার বিরুদ্ধে গাবলতলী মডেল থানায় মোটরসাইকেল চুরির মামলা রয়েছে।
এর আগে, শনিবার জেলার গাবতলী উপজেলার চকবোচাই এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরির মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় আদালত চত্বর থেকে পালিয়ে গেলো আসামি!
আদালত চত্বর থেকে ২ জঙ্গি ছিনতাই: ১০ আসামির ৫ দিনের রিমান্ড