%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%B6%E0%A7%83%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%96%E0%A6%B2%E0%A6%BE
খোকন-কায়সারসহ ২৪ আইনজীবীর আগাম জামিন
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার অ্যাসোসিয়েশন) ইফতার ও দোয়া মাহফিলে হামলা, ভাঙচুর, হুমকি ও প্রাণনাশের চেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২৪ আইনজীবী আগাম জামিন পেয়েছেন।
সোমবার তারা সশরীরে হাজির হয়ে আগাম জামিনের আবেদন জানালে বিচারপতি ইকবাল কবির ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের বেঞ্চ তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
এছাড়া তাদের পক্ষে জামিন শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী।
আরও পড়ুন: আরেকটি মামলায় জামিন পেয়েছেন প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান
ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ছাড়া জামিন পাওয়া আইনজীবীরা হলেন-ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট গাজী মো. কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট শাহ আহমদ বাদল, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট মাহফুজ বিন ইউসুফ, ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান, ব্যারিস্টার মাহাদিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট ইউনুস আলী রবি, অ্যাডভোকেট কাজী মোস্তাফিজুর রহমান আহাদ, অ্যাডভোকেট মির্জা আল মাহমুদ, ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান, অ্যাডভোকেট নূরে আলম সিদ্দীকী সোহাগ, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম ছোটন, অ্যাডভোকেট মহসিন কবির রকি, অ্যাডভোকেট ফয়সাল সিদ্দীকি, অ্যাডভোকেট সফিউল আলম সপু, অ্যাডভোকেট মো. শহিদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মনজুরুল আলম সুজন, ব্যারিস্টার রেদওয়ান আহমদ রানজিব ও অ্যাডভোকেট মো. ইসা। এর আগে রবিবার ২৪ আইনজীবীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫০ থেকে ৬০ জন বিএনপিপন্থি আইনজীবীর নামে মামলা করা হয়।
শাহবাগ থানায় এজাহার দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির প্রশাসনিক কর্মকর্তা রবিউল হাসান।
মামলা বলা হয়, এই ২৪ জনসহ আরও ৫০/৬০ জন আইনজীবী ও কয়েকজন বহিরাগত হঠাৎ সাজাপ্রাপ্ত তারেক রহমান এবং জামায়াতের নাম নিয়ে স্লোগান দিয়ে মিছিলসহ প্রথম সমিতির ২ নম্বর হল রুম পরবর্তীত ১ নম্বর হল রুম প্রবেশ করে ইফতার অনুষ্ঠানের প্রধান বিচারপতির নাম সম্বলিত সব ব্যানার ছিড়ে ফেলে এবং আইনজীবী সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত আসনের চেয়ার টেবিল ভেঙে ও কাপড় ওপরে ফেলে সমস্ত সমিতি ভবন একটি অরাজক অবস্থার সৃষ্টি করে।
এসময় উপরোক্ত আসামিদের বেআইনী কর্মকাণ্ডে বাধা দিত গেলে তারা সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট রকিবুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট পানু খান ও অ্যাডভোকেট মো. শাহনওয়াজসহ অন্যান্য আইনজীবীদের ধাক্কা দিয়ে ফেলে আহত করে।
অ্যাডভোকেট রকিবুল ইসলাম ১২ নম্বর আসামি অ্যাডভোকেট নূর আলম সিদ্দীকী সোহাগ প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে কাঠের লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করতে গেলে ভিকটিম হাত দিয়ে ঠেকানোর সময় তার ডান হাত মারাত্মক রক্তাক্ত হয়।
তখন উপরোক্ত আসামিরা সাধারণ আইনজীবীদের ইফতার অনুষ্ঠান অংশগ্রহণ করতে নিষেধ করে এবং ইফতার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
পরবর্তীতে বিকাল ৫টা ১০ মিনিটের সুপ্রিম কার্টের আপীল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক সমিতির আমন্ত্রণে ইফতার অনুষ্ঠান যোগদানর জন্য সমিতির নিচ তলার সিঁড়ি দিয় ২য় তলায় ওঠার সময় আসামিরা তাকে গালাগাল করে এবং ৭ নম্বর আসামি অ্যাডভোকেট ইউনুস আলী রবি ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর আসামির নির্দশে তার দিকে পানি ভর্তি বোতল ছুঁড়ে মারে সমিতির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নসহ ফৌজদারী অপরাধ করে।
সমিতির সাধারণ আইনজীবীরা আশঙ্কা করছেন উপরোক্ত আসামিরা যেকোনো সময় সংগঠিত হয়ে আরও বড় কোনো অঘটন ঘটিয় সাধারণ আইনজীবীদের পেশাগত এ পবিত্র স্থানে ব্যাপক জান-মালের ক্ষয়ক্ষতিসহ যে কোনো ধরনের বড় ক্ষতি করতে পারে।
ঘটনার পর ইফতার শেষ করে সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়ায় এবং পর দিন শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সমিতির অফিস বন্ধ থাকায় সমিতির নির্বাচিত নেতা ও সিনিয়র সদস্যরা এ ঘটনা সম্পর্কে আলাচনা করে এ মামলা করতে বিলম্ব হয়।
আরও পড়ুন: রানা প্লাজার সোহেল রানার জামিন, মুক্তিতে বাধা নেই
বিএনপির ২৪ আইনজীবীর নামে মামলা
মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরার অভিযোগে ২৩ জেলের কারাদণ্ড
চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরার অভিযোগে ২৯ জেলেকে আটক করা হয়েছে। আটক জেলেদের মধ্যে ২৩ জনকে এক বছর করে কারাদণ্ড এবং ছয়জন শিশু হওয়ায় এক হাজার টাকা করে জরিমানা করে ছেড়ে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসময় তাদের কাছ থেকে এক লাখ ৯৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল এবং ৫০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরায় ১৭ জেলের বিরুদ্ধে মামলা
সোমবার বিকালে এসব তথ্য জানান অভিযানে অংশগ্রহনকারী হাইমচর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহবুব রশীদ।
তিনি বলেন, ৯ এপ্রিল দিনগত রাত ৮ থেকে রাত দেড়টা পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ ও কোস্টগার্ড সম্মিলিত অভিযান পরিচালনা করে ২৯ জেলেকে আটক করে। এ সময় কয়েকজন জেলে অভিযানে থাকা নৌকার মাঝির ওপর আক্রমণ চালায়। তবে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা হয়নি।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন হাইমচর উপজেরা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চাই থোয়াইহলা চৌধুরী।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরায় ২৩ জেলেকে কারাদণ্ড
চাঁদপুরে সেমাই কারখানাসহ ৪ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
তারেক-জোবায়দার দেশের বাইরে থেকে আইনি লড়াইয়ের সুযোগ নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, পলাতক থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের আইনি লড়াই করার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, আমাদের বিচার ব্যবস্থার ইতিহাসে এ পর্যন্ত কোর্টে হাজির না হয়ে আইনি লড়াই করার কোনো নজির নেই। করোনার সময়ে দুই ভাই (রণ হক শিকদার) দেশের বাইরে থেকে জামিন আবেদন করেছিলেন। হাইকোর্ট তাদের জামিন শোনেননি। উল্টো দেশের বাইরে থেকে জমিন আবেদন করায় আদালত তাদের জরিমানা করেছিলেন। তাই পলাতক থেকে তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানেরও আইনি লড়াই করার সুযোগ নেই।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, পলাতক হওয়ায় তাদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করে আইনি লড়াই করার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ও আইন অনুযায়ী কখনো কোনো পলাতক ব্যক্তি আদালতে আত্মসমর্পণ না করে কোনো ধরনের আইনগত প্রতিকার চাইতে পারেন না।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এই মামলাটি করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবাইদা রহমান ও তার মা, অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে অভিযুক্ত করা হয়।
২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। গত ২৯ মার্চ এ মামলায় পলাতক তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের পক্ষে মামলার শুনানিতে অংশ নিতে আবেদন করেন তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার। দুজনের পক্ষে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শুনানিতে অংশ নেওয়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন এই আইনজীবী।
তবে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, তাদের আইনের আশ্রয় নিতে কে নিষেধ করেছে? তিনি (তারেক রহমান) থাকবেন লন্ডনে রাজকীয় ভবনে, আর বলবেন তাকে আইনের আশ্রয় লাভের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত (অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক থাকলে) থাকার পরও তারা আইনজীবী নিয়োগের আবেদন আদালতের সময় নষ্ট ও আদালত অবমাননার সমান।
দুদকের এই আইনজীবী আরও বলেন, এর আগে আপিল বিভাগ তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের আবেদন খারিজ করে বিচারিক আদালতে আশ্রয় লাভের নির্দেশ দেন। তারা তা করেননি। নতুন একটা আবেদন নিয়ে এসেছেন। তাই তাদের আবেদন খারিজ করে অভিযোগ শুনানি শুরু করার প্রার্থনা করেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান শুনানি নিয়ে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের পক্ষে আইনজীবী থাকবে কি না এ বিষয়ে আদেশের জন্য ১৩ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন।
খুলনায় হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
খুলনার তেরখাদা আড়পাঙ্গাসিয়া গ্রামে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে খুলনার একটি আদালত দুই আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রবিবার বিকালে খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. আমিরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামি পলাতক ছিলেন। অপরদিকে এ মামলার অপর দুই আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দিয়েছেন আদালত।
নিহত পলাশ ওরফে সবুজ ওই গ্রামের জনৈক লুৎফর রহমানের ছেলে।
সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিরা হলেন- উপজেলার বারাসাত গ্রামের তকুব্বর ফকিরের ছেলে রোমান ফকির ও একই গ্রামের মহিউদ্দিন মোল্লার ছেলে মিলু।
খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মুরাদ শরীফ ও খসরু মোল্লা। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. আলমঙ্গীর হোসেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, হত্যা মামলার ৩ নং আসামি মিলু মোল্লার বাড়িতে পলাশের প্রায়ই যাতায়াত ছিল। এ কারণে মিলু মোল্লা পলাশ এবং তার স্ত্রী রিক্তা বেগমকে সন্দেহ করত। এ অবস্থায় মিলু মোল্লা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ২০০৯ সালের ৫ নভেম্বর রাত ৯ টায় বাড়ি থেকে পলাশকে ডেকে নেয়।
তারপর থেকে অনেক খোঁজ নেওয়ার পর পলাশের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে পলাশের পরিবার গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে আসামি মিলু মোল্লা তার স্ত্রীর অবৈধ প্রেমকে ঠেকানোর জন্য অন্যান্য আসামিদের সহায়তায় বারাসাত গ্রামের উত্তর পাশে বিলের ভেতর নিয়ে গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে।
ঘটনার পর থেকে আসামিরা আত্মগোপনে থাকে। পরবর্তীতে ২০১০ সালের ৮ অক্টোবর আসামি রোমান মোল্লা তার শশুর বাড়ি রাজাপুর এসে স্থানীয় কয়েকজনের সামনে পলাশ হত্যাকাণ্ডের গোমর ফাঁস করে। বিষয়টি জানতে পেরে ওইদিন নিহত পলাশের মা বেগম বিবি বাদী হয়ে চারজন আসামির নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরে এ হত্যা মামলার আসামি রোমান ফকির গ্রেপ্তার হয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডে নিজের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। ২০১১ সালের ১৮ এপ্রিল এ মামলার আসামি রোমান ফকিরের দেখানো স্থান থেকে পলাশের কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ।
২০১২ সালের ১৫ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেরখাদা উপজেলার পাতলা পুলিশ ক্যাম্পের এস আই বাবর আলী খান চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন ২২ জন আদালতে সাক্ষী দেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চুয়াডাঙ্গায় দুই কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ, ভ্যানচালক আটক
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর সীমান্ত থেকে রবিবার ২ দশমিক ৩৩ কেজি ওজনের ২০টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়েছে। এসময় এক সন্দেহভাজন এক স্বর্ণ চোরাকারবারিকে আটকের দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি)।
জব্দকৃত সোনার বারগুলোর বাজার মূল্য ১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা বলে বিজিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
আটক সাহাবুল মিয়া (৩৫) জীবননগর সদরপাড়া এলাকার মৃত মোকসেদ মণ্ডলের ছেলে।
৫৮-বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাসুদ পারভেজ রানা জানান, এক ভ্যানচালক জীবননগর সীমান্তে বিপুল পরিমাণ সোনার বার পাচার করবে এমন খবর পেয়ে জীবনপাড়া এলাকায় বিজিবির একটি টহল দল অবস্থান নেয়। পরে, তারা তার ভ্যানসহ ওই ব্যক্তিকে আটক করে এবং ভ্যানের সিটের পেছনে লুকানো ২০টি বার জব্দ করে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ ব্যাপারে বিজিবি বাদী হয়ে জীবননগর থানায় মামলা করেছে। জব্দকৃত স্বর্ণের বার চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে নারীকে বেত্রাঘাত ও পাথর মারার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৪
গ্রেপ্তারের ৩ ঘন্টার মধ্যে ছাড়া পেলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মুক্তাদির
এসসিবিএ ইফতার পার্টিতে হাতাহাতির ঘটনায় বিএনপিপন্থী ২৪ আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা
এসসিবিএ ইফতার পার্টিতে হাতাহাতির ঘটনায় বিএনপিপন্থী ২৪ আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা
ঢাকা, ১০ এপ্রিল(ইউএনবি)-গত ৬ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (এসসিবিএ) ইফতার মাহফিলে ধস্তাধস্তি ও ভাংচুরের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছ।
রবিবার শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন এসসিবিএ প্রশাসনিক কর্মকর্তা রবিউল হাসান।
মামলায় ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ বিএনপিপন্থী ২৪ আইনজীবীর নাম উল্লেখ করে ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাক শিল্পে জুলাই-ডিসেম্বরে ১৬% বেড়ে রপ্তানি ২৩ বিলিয়ন ডলার: বিজিএমইএ
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২৪ জনসহ প্রায় ৫০/৬০ জন আইনজীবী ও বহিরাগত কয়েকজন হঠাৎ করে তারেক রহমান ও জামায়াতের নামে স্লোগান দেন।
পরে তারা ২ নম্বর হলে প্রবেশ করে তারপর ইফতার অনুষ্ঠানের ১ নম্বর হলে প্রবেশ করে যেখানে বৃহস্পতিবার এসসিবিএ আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আসামিরা সব ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে, চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর এবং বেশ কয়েকজন আইনজীবীকে আহত করে।
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে হাইকমিশনের সহায়তা চায় বিজিএমইএ
বিএনপির ২৪ আইনজীবীর নামে মামলা
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার অ্যাসোসিয়েশন) ইফতার ও দোয়া মাহফিলে হামলা, ভাঙচুর হুমকি ও প্রাণনাশের চেষ্টার অভিযোগে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫০/৬০ জন বিএনপিপন্থী আইনজীবীর নামে মামলা করা হয়েছে।
রবিবার (৯ এপ্রিল) শাহবাগ থানায় এজাহার দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির প্রশাসনিক কর্মকর্তা রবিউল হাসান।
এছাড়া মামলার আসামিরা সবাই সমিতির বিএনপি সমর্থক আইনজীবী।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
জানা যায়, ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ছাড়া অন্যরা হলেন-ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট গাজি মো. কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট শাহ আহমদ বাদল, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট মাহফুজ বিন ইউসুফ, ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান, ব্যারিস্টার মাহাদিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট ইউনুস আলী রবি, অ্যাডভোকেট কাজী মোস্তাফিজুর রহমান আহাদ, অ্যাডভোকেট মির্জা আল মাহমুদ, ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান, অ্যাডভোকেট নূরে আলম সিদ্দীকী সোহাগ, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম ছোটন, অ্যাডভোকেট মহসিন কবির রকি, অ্যাডভোকেট ফয়সাল সিদ্দীকি, অ্যাডভোকেট সফিউল আলম সপু, অ্যাডভোকেট মো. শহিদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মনজুরুল আলম সুজন, ব্যারিস্টার রেদওয়ান আহমদ রানজিব, অ্যাডভোকেট মো. ইসাসহ আরও ৫০/৬০ জন আইনজীবী ও কয়েকজন বহিরাগত হঠাৎ সাজাপ্রাপ্ত তারেক রহমান এবং জামায়াতের নাম নিয়ে স্লোগান দিয়ে মিছিলসহ প্রথম সমিতির ২ নম্বর হলরুম, পরবর্তীতে ১ নম্বর হলরুমে প্রবেশ করে ইফতার অনুষ্ঠানের প্রধান বিচারপতির নাম সম্বলিত সব ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। আইনজীবী সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত আসনের চেয়ার টেবিল ভেঙে ও কাপড় উপড়ে ফেলে সমস্ত সমিতি ভবন একটি অরাজক অবস্থার সৃষ্টি করে।
এসময় উপরোক্ত আসামিদের বেআইনী কর্মকাণ্ডে বাধা দিত গেলে তারা সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট রকিবুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট পানু খান ও অ্যাডভোকেট মো. শাহনওয়াজসহ অন্যান্য আইনজীবীদের ধাক্কা দিয়ে ফেলে আহত করে।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
অ্যাডভোকেট রকিবুল ইসলাম ১২ নম্বর আসামি অ্যাডভোকেট নূর আলম সিদ্দীকী সোহাগ প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে কাঠের লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করতে গেলে ভিকটিম হাত দিয়ে ঠেকানোর সময় তার ডান হাত মারাত্মক রক্তাক্ত হয়।
তখন উপরোক্ত আসামিরা সাধারণ আইনজীবীদের ইফতার অনুষ্ঠান অংশগ্রহণ করতে নিষেধ করে এবং ইফতার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
পরবর্তীতে বিকাল ৫টা ১০ মিনিটের সুপ্রিম কার্টের আপীল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক সমিতির আমন্ত্রণে ইফতার অনুষ্ঠান যোগদানর জন্য সমিতির নিচ তলার সিঁড়ি দিয় ২য় তলায় ওঠার সময় আসামিরা তাকে গালাগাল করে এবং ৭ নম্বর আসামি অ্যাডভোকেট ইউনুস আলী রবি ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর আসামির নির্দশে তার দিকে পানি ভর্তি বোতল ছুঁড়ে মারে সমিতির ভাবমূর্তি ক্ষুন্নসহ ফৌজদারী অপরাধ করে।
সমিতির সাধারণ আইনজীবীরা আশঙ্কা করছেন উপরোক্ত আসামিরা যেকোনো সময় সংগঠিত হয়ে আরও বড় কোনো অঘটন ঘটিয়ে সাধারণ আইনজীবীদের পেশাগত এ পবিত্র স্থানে ব্যাপক জানমালের ক্ষয়ক্ষতিসহ যে কোনো ধরনের বড় ক্ষতি করতে পারে।
ঘটনার পর ইফতার শেষ করে সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়ায় এবং পর দিন শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সমিতির অফিস বন্ধ থাকায় সমিতির নির্বাচিত নেতা ও সিনিয়র সদস্যরা এ ঘটনা সম্পর্কে আলোচনা করে এ দায়ের করতে বিলম্ব হয়।
উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দুটি আলাদা হল রুমে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে সমিতির নির্বাচন ইস্যুতে বিবদমান দুটি পক্ষ। বিকেল ৪টার দিকে দুই পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ৯৭ বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন
মেঘনায় মাছ শিকারে দায়ে ১৩ জেলে আটক
লক্ষ্মীপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনা নদীতে মাছ শিকারে নামায় ১৩ জেলেকে আটক করা হয়েছে।
রবিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিরাজুস সালেহীন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আটক ১০ জেলে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এছাড়া অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তিন জেলেকে মুচলেকে নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে ইলিশ রক্ষা অভিযানে ৭২ জেলে আটক
এসময় তাদের কাছ থেকে দুই লাখ ২০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল, ৪০ কেজি জাটকা ও তিনটি নৌকা জব্দ করা হয়।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলা মৎস্য বিভাগ ও নৌ-পুলিশ মেঘনা নদীতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন।
রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তিনটি নৌকাসহ ১৩ জেলেকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪০ কেজি জাটকা ও প্রায় লাখ টাকা মূল্যের দুই লাখ ২০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে।
জাটকাগুলো মেঘনাপাড় এলাকার অসহায় ও দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১০ জেলে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জব্দকৃত জাল মজুচৌধুরীরহাট মাছ ঘাট এলাকায় প্রকাশ্যে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় মেঘনা নদীতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। মার্চ-এপ্রিল দুই মাস নিষেধাজ্ঞাকালীন নদীতে মাছ শিকার করলে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড এবং উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।
সরকারি নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরায় ৩৩ জেলে আটক
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনায় মাছ শিকার, ৪ জেলে আটক
মিতু হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
চট্টগ্রামের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী চাঞ্চল্যকর মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
রবিবার (৯ এপ্রিল) তৃতীয় চট্টগ্রাম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে প্রথম দিনে সাক্ষী দিয়েছেন নিহত মিতুর বাবা মামলার বাদী ও সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন।
চট্টগ্রাম মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ বলেন, প্রথম দিনে মামলার বাদী ও মিতুর বাবা মোশাররফ সাক্ষী দিচ্ছেন। এদিন প্রথমে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে একটি আবেদন করার কথা জানিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য সময় চান।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: বাবুলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
তবে রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করার দাবি জানান। শুনানি শেষে আদালত সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর আদেশ দেন।
এদিকে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ উপলক্ষে প্রধান আসামি মিতুর স্বামী ও সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে সকালে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৩ মার্চ আলোচিত মামলাটিতে বাবুল আক্তারসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন-মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুছা ও খায়রুল ইসলাম ওরফে কালু।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু।
ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়।
ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তৎকালীন পুলিশ সুপার ও মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
তবে মামলাটিতে স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে স্বামী বাবুল আক্তারেরই সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই।
২০২১ সালের ১২ মে আগের মামলাটিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। একই দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় দ্বিতীয় মামলাটি দায়ের করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন।
ওইদিনই মামলাটিতে বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পিবিআই। সেই থেকে কারাগারে রয়েছেন বাবুল।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: বাবুল আক্তারের জামিন নামঞ্জুর
মিতু হত্যা: ফেনী কারাগারে বাবুল আক্তার
বগুড়ায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই তৈরির দায়ে ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
বগুড়ার কাহালুতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে লাচ্ছা সেমাই তৈরিসহ নানা অভিযোগে দুই কারখানা মালিককে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রবিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা প্রশাসন ও জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পৃথক অভিযানে এ জরিমানা করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর বগুড়া জেলা কার্যালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, কাহালু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেরিনা আফরোজ শেখাহারের নাঈম-রিমন লাচ্ছা কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ২৪ জেলেকে কারাদণ্ড-জরিমানা
এসময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে লাচ্ছা সেমাই তৈরি, একই তেল বারবার ব্যবহার ও লাচ্ছা সংরক্ষণে খবরের কাগজ ব্যবহারের দায়ে এ প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো. রিমনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া, একই অভিযোগে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর বগুড়ার সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী কাজিপাড়ার ভাই ভাই লাচ্ছা সেমাই প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী মোজ্জাফর হোসনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ নিয়ে দুই কারখানাকে মোট ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর বগুড়ার সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী জানান, জনস্বার্থে অভিযান চলমান আছে। পুরো রমজান মাসেই অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জেলা পুলিশের সদস্যরা সহযোগিতা করেছেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে সেমাই কারখানাসহ ৪ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
বায়ু দূষণ: ঢাকায় ৮ যানবাহন, ৬ প্রতিষ্ঠান ও ৬ ইটভাটার জরিমানা