%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%B6%E0%A7%83%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%96%E0%A6%B2%E0%A6%BE
আরাভ খানের বিরুদ্ধে ৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ
রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের বিরুদ্ধে নিহত ইন্সপেক্টর মামুন ইমরান খান হত্যা মামলায় চারজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
রবিবার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফয়সল বিন আতিকের আদালতে নিহতের বোন রওশন আক্তার, দুলাভাই মোশারফ হোসেন খান, মামুন এমরানকে যে বাসায় খুন করা হয় ওই বাসার কেয়ারটেকার মিরাজুল ইসলাম ও সিকিউরিটিগার্ড মানিক সাক্ষ্য দেন।
এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরা করেন।
জেরা শেষে আগামী ২ মে সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন আদালত।
মামলাটিতে ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে পাঁচ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো।
আরও পড়ুন: আরাভ খানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ
এদিন কারাগারে আটক ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাদের উপস্থিতিতে বাদীকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
এ মামলার আসামিদের মধ্যে রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান ও তার স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়া পলাতক রয়েছেন।
অন্য আসামিরা হলেন-রহমত উল্লাহ, স্বপন সরকার, মিজান শেখ, আতিক হাসান, সারোয়ার হাসান ও দিদার পাঠান।
২০১৮ সালের ৭ জুলাই রাজধানীর বনানীতে খুন হন পুলিশ পরিদর্শক মামুন। ঘটনার তিন দিন পর তার ভাই জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন বনানী থানায়।
তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ এ মামলায় রহমত উল্লাহ, রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে সোহাগ ওরফে হৃদয় ওরফে হৃদিসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর আদালত এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, বনানীর ২ নম্বর সড়কের ৫ নম্বরের ওই বাসায় নিয়ে আসামি দিদার, স্বপন, রহমত উল্লাহ পুলিশ কর্মকর্তা মামুনের হাত-পা বেঁধে ফেলেন।
পরে ওই তিন আসামির সঙ্গে মিজান, আতিক ও সারোয়ার যুক্ত হয়ে মামুনকে নির্দয়ভাবে মারতে থাকেন। এতে মামুন অজ্ঞান হয়ে পড়েন। রাত ১০টার দিকে আসামি কেয়া (রবিউলের স্ত্রী) বাসা থেকে চলে যান। রাতের কোনো একসময় সেখান থেকে রবিউলও চলে যান।
আরও পড়ুন: আরাভ খানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি
গভীর রাতে আসামি আতিক আসামি স্বপনকে ডেকে বলেন, ‘দাদা, দেখেন তো পুলিশ কর্মকর্তার হাত-পা কেমন শক্ত মনে হচ্ছে।’ ভোরবেলায় তারা নিশ্চিত হন যে মামুন মারা গেছেন। মামুন মারা যাওয়ার পর রহমত উল্লাহ সবাইকে বলেন, লাশ গুম না করলে তারা সবাই বিপদে পড়ে যাবেন। কারণ, মামুন তার বন্ধু। তিনি মামুনকে ফোন করে ডেকে এনেছেন। রহমত উল্লাহর মুঠোফোনের শেষ কলটিও তার (মামুনের)। তখন স্বপন মুঠোফোনে রবিউলকে মামুনের মৃত্যুর বিষয়টি জানান। স্বপন বলেন যে ‘এখন আমরা কী করবো? আপনি সকালে এখানে আসেন।’
অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, দুটি বস্তা ও একটি সাদা কাপড় নিয়ে বাসার নিচে আসেন রবিউল। তার কাছ থেকে বস্তা নিয়ে বাসার ওপরে যান দিদার। এসময় রহমত উল্লাহ, আতিক ও মিজানকে সঙ্গে নিয়ে বাসার নিচে গিয়ে তার ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি লিফটের দরজার কাছে নিয়ে রাখেন।
সকাল সাতটার দিকে স্বপন, দিদার ও আতিক মিলে মামুনের লাশ লিফটে করে নিচে নামান। সবাই মিলে গাড়ির পেছনের অংশে লাশ তোলেন। পরে রহমত উল্লাহ ওই গাড়ি চালিয়ে বনানীর রাস্তায় যান। গাড়িতে ছিলেন দিদার, স্বপন ও আতিক। সেখানে রবিউল তার স্ত্রী কেয়াকে নিয়ে একটি মোটরসাইকেলসহ অপেক্ষায় ছিলেন। পরে সেখান থেকে রবিউলের মোটরসাইকেল অনুসরণ করে রহমত উল্লাহ গাড়ি চালাতে থাকেন।
খিলক্ষেতের একটি পাম্পে গিয়ে মোটরসাইকেলে তেল নিয়ে রবিউল ফিরে আসেন। আর গাড়ি নিয়ে রহমত উল্লাহ যান গাজীপুরের দিকে। এ সময় রবিউলের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে কথা বলেন দিদার ও স্বপন। গাজীপুরের শিমুলতলীতে দিদার, স্বপন ও আতিক একটি দোকান থেকে সাত লিটার পেট্রোল কেনেন। রবিউল আসামি স্বপনের মুঠোফোনে টাকা পাঠান।
পরে রাত সাড়ে আটটার দিকে উলুখোলা থেকে আবদুল্লাহপুর যাওয়ার পথে একটি বাঁশবাগানে পেট্রোল ঢেলে মামুনের লাশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর গাড়ি নিয়ে সবাই ঢাকায় ফিরে আসেন।
ঘটনার তিন দিন পর ১০ জুলাই গাজীপুরের একটি জঙ্গলে পুলিশ পরিদর্শক মামুনের লাশের হদিস মেলে।
আরও পড়ুন: আরাভ খানের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ
বিদেশে থেকে তারেক ও জোবায়দা আইনি লড়াই করতে পারবেন কিনা, আদেশ বৃহস্পতিবার
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান আইনজীবী দিয়ে আইনি লড়াই করতে পারবেন কি না সেই বিষয়ে জানা যাবে আগামী বৃহস্পতিবার।
রবিবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত শুনানি শেষে এ বিষয়ে আদেশের এ দিন ধার্য করেন।
গত ২৯ মার্চ পলাতক এ দুই আসামির পক্ষে মামলার শুনানিতে অংশ নিতে আবেদন করেন অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার। আদালত এ বিষয়ে শুনানির জন্য আজকের দিন রবিবার (৯ এপ্রিল) ধার্য করেন।
এদিন দুপুর ১২টার কিছু আগে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় তারেক-জোবায়দার সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিল আদালত
তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের পক্ষে মাসুদ আহমেদ তালুকদার ন্যায়বিচার নিশ্চিতে শুনানিতে অংশ নেওয়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন।
এদিকে দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল এর বিরোধীতা করেন।
তিনি বলেন, তাদের আইনের আশ্রয় নিতে কে নিষেধ করেছে। উনি (তারেক রহমান) থাকবেন লন্ডনে রাজকীয় ভবনে। আর বলবেন তাকে আইনের আশ্রয় লাভের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। বলবেন, তাদের সুযোগ দিন। কিন্তু তারা লন্ডনে থাকবেন। আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন তিনি। উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত (আসামি পলাতক থাকলে) থাকার পরও তারা আইনজীবী নিয়োগের আবেদন করেন। আমরা মনে করি, এটা আদালতের সময় নষ্ট ও আদালত অবমাননার সমান। এর আগে আপিল বিভাগ তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের আবেদন খারিজ করে বিচারিক আদালতে আশ্রয় লাভের নির্দেশ দেন। কিন্তু তারা তা করেননি। নতুন একটা আবেদন নিয়ে এসেছে। আবেদনটি খারিজ করে অভিযোগ শুনানি শুরু করার প্রার্থনা করেন মোশাররফ হোসেন কাজল।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এ বিষয়ে আদেশের দিন বৃহস্পতিবার ধার্য করেন।
এর আগে গত ১ নভেম্বর একই আদালত তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এরপর গত ১৯ জানুয়ারি তাদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক।
মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
২০০৮ সালে তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
আরও পড়ুন: তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা: চার্জ শুনানি ৯ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতবি
তারেক রহমান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
৯৭ বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন
৯৭ বারের মত পেছালো সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ। আগামী ২২ মে প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
রবিবার মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল।
কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা র্যাব প্রতিবেদন দাখিল করেনি।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যা: ৯৩ বার পেছাল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
এজন্য ঢাকার মহানগর হাকিম রশিদুল আলমের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ ধার্য করেন।
মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আটজন।
অপর আসামিরা হলেন-বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি নিজ ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন।
পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: দ্রুত সাগর-রুনি হত্যার রিপোর্ট দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে র্যাবকে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সাগর-রুনি হত্যা: ৯৪ বার পেছাল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
আরেকটি মামলায় জামিন পেয়েছেন প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় দায়ের করা আরেকটি মামলায় জামিন পেয়েছেন প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামস।
ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ শেখ সাদীর আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জামিনের বিরোধীতা করেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে কাশিমপুর থেকে কেরাণীগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তর
দুইপক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আসামির জামিন মঞ্জুর করেন।
আসামিপক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী ও প্রশান্ত কর্মকার।
আসামির আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ২৯ মার্চ সৈয়দ মো. গোলাম কিবরিয়া নামে এক যুবলীগ নেতা বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন।
এদিকে গত ২৯ মার্চ রাজধানীর রমনা মডেল থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অ্যাডভোকেট আবদুল মশিউর মালেক নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
এ মামলায় গ্রেপ্তারের পর ৩০ মার্চ শামসুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর ৩ এপ্রিল ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এ মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান পত্রিকাটির সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, সহযোগী একজন ক্যামেরাম্যান এবং অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
এ মামলায় মতিউর রহমান হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান জামিনে মুক্ত
জামিন পেলেন প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান
স্বাধীনতাবিরোধী বক্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নতুন আইন প্রণয়নের দাবি মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রীর
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক স্বাধীনতাবিরোধী বক্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নতুন আইন প্রণয়নের ওপর জোর দিয়েছেন।
রবিবার বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি (সুবর্ণজয়ন্তী) উপলক্ষে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উত্থাপিত প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদের প্রবেশ রোধে অভিযান পরিচালনা করা হবে: মোজাম্মেল হক
সংসদে তিনি বলেন, ‘যখনই তারা (স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি) সুযোগ পায়, তারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করার জন্য এসব মন্তব্য করে। এ কারণে আমি মনে করি হলোকাস্ট জেনারেল আইনের মতো এবিষয়েও একটি নতুন আইন পাস করা উচিত।’
মন্ত্রী বলেন, যারা স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষে কথা বলবে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি আইন প্রয়োজন। আইন কমিশন আইন মন্ত্রণালয়ে এমন একটি আইন প্রস্তাব করেছে, যা সংসদে পাস হতে পারে।
বিএনপি ও জামায়াতের দিকে ইঙ্গিত করে মন্ত্রী বলেন, তারা সংসদকে অকার্যকর করার জন্য গত দুটি জাতীয় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেছিল। তারা ২০১৪ সালের নির্বাচন বানচাল করার জন্য অগ্নিসংযোগে লিপ্ত হয়েছিল এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল, কিন্তু তারা সত্যিকার অর্থে এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা (বিএনপি-জামায়াত) রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু এই সংসদকে বিশ্বাস করে না। যেহেতু সংসদের প্রতি তাদের আস্থা নেই, তাই তারা যখনই সুযোগ পায় শুধু এই সংসদকেই নয়, বাংলাদেশকেও একটি নিরর্থক ও ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতীয়মান করতে ষড়যন্ত্র করে।’
মোজাম্মেল হক বলেন, এ ধরনের মিথ্যাচার ও ইতিহাস বিকৃতি রোধে জাতীয় সংসদে নতুন আইন প্রণয়ন করতে হবে। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জেলহত্যার বিচার করতে সক্ষম হয়েছেন, তাই তার (শেখ হাসিনা) পক্ষে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন করে জাতির সুরক্ষা ব্যবস্থা করা সম্ভব।
অতীতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা করা হয়েছিল উল্লেখ করে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘তারা এখনও বলে যে পাকিস্তান ভালো। পাকিস্তানের ভূত এখনও তাদের মন থেকে যায়নি।’
আরও পড়ুন: তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন শক্তিশালী করতে পদক্ষেপ নেবে সরকার: মোজাম্মেল হক
খালেদা জিয়া কখনো মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেন না:মোজাম্মেল হক
রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার জামিন আদেশ স্থগিত
সাভারের রানা প্লাজা ধস ও হতাহতের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ভবনটির মালিক সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আগামী ৮ মে পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত।
রবিবার রাষ্ট্রপক্ষের এক আবেদনের প্রেক্ষিতে অবকাশকালীন চেম্বার বেঞ্চের বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী এই স্থগিতাদেশ দেন।
আপিল বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারোয়ার হোসেন বাপ্পী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম। এছাড়া সোহেল রানার পক্ষে শুনানি করেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম বলেন, ৮ মে পর্যন্ত হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন চেম্বার বিচারপতি। ওই দিন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর ফের শুনানি হবে। এই স্থগিতাদেশের ফলে সোহেল রানার কারামুক্তি আটকে গেল।
এর আগে গত ৬ এপ্রিল রানা প্লাজা ধস ও হতাহতের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ভবনটির মালিক সোহেল রানাকে জামিন মঞ্জুর করে রায় দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: রানা প্লাজার সোহেল রানার জামিন, মুক্তিতে বাধা নেই
সোহেল রানার জামিন বিষয়ে রুল যথাযথ ঘোষণা করে বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) হাইকোর্টের বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি শাহেদ নুরুউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। ওই রায় স্থগিত চেয়ে রবিবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড সুফিয়া খাতুন একটি আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে চেম্বার বিচারপতি হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেন।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে ধসে পড়ে সাভারের রানা প্লাজা। ভবনের নিচে চাপা পড়েন সাড়ে পাঁচ হাজার পোশাক শ্রমিক। ওই ঘটনায় এক হাজার ১৩৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। আহত ও পঙ্গু হন প্রায় দুই হাজার শ্রমিক। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে দুই হাজার ৪৩৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশের ওই ঘটনা সেসময় আন্তর্জাতিক সব গণমাধ্যমে শিরোনাম হয়। দেশে কারখানার অবকাঠামোগত নিরাপত্তা ও কর্মপরিবেশের বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এলে সরকার ও মালিকরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়। এ ঘটনায় সাভার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়ালী আশরাফ ভবন নির্মাণে অবহেলা ও ত্রুটিজনিত হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০১৫ সালের ২৬ এপ্রিল সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার বিজয়কৃষ্ণ কর ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় সাক্ষী করা হয় ৫৯৪ জনকে।
তাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত মৃত্যু ঘটানোসহ দণ্ডবিধির ৩০২, ৩২৬, ৩২৫, ৩৩৭, ৩৩৮, ৪২৭, ৪৬৫, ৪৭১, ২১২, ১১৪, ১০৯, ৩৪ ধারায় বিভিন্ন অভিযোগ আনেন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী সুপার বিজয়কৃষ্ণ কর ২০১৫ সালের ১ জুন অভিযোগপত্র জমা দেন।
২০১৬ সালের ১৮ জুলাই ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এসএম কুদ্দুস জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
মামলাটি এখন ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। এ মামলায় পাঁচ শতাধিক সাক্ষীর মধ্যে ৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
২০২০ সালের ১২ নভেম্বর এ মামলায় নিম্ন আদালতে সোহেল রানার জামিন আবেদন খারিজ হয়। এরপর তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। ২০২১ সালের ১ মার্চ হাইকোর্ট তার জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন। সে রুল যথাযথ ঘোষণা করে ৬ এপ্রিল রায় দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: রানা প্লাজা ধসের ৯ বছর আজ
চাঁদপুরে মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরায় ২৩ জেলেকে কারাদণ্ড
চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরা অবস্থায় ২৮ জেলেকে আটক করা হয়েছে।
আটক জেলেদের মধ্যে ২৩ জনকে পৃথক মেয়াদে কারাদণ্ড এবং পাঁচজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় জরিমানা করে ছেড়ে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার (৮ এপ্রিল) রাতে এসব তথ্য জানান অভিযানে অংশগ্রহনকারী হাইমচর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহবুব রশীদ।
তিনি বলেন, জাটকা রক্ষা সপ্তাহের শেষ দিনে (৭ এপ্রিল) জাটকা রক্ষায় সমন্বিত বিশেষ অভিযানে স্থানীয় প্রশাসন, মৎস্য অধিদপ্তর ও কোস্টগার্ড সন্ধ্যা ৭টা হতে রাত দেড়টা পর্যন্ত উপজেলার মেঘনা নদীর কাটাখালি, আখনের হাট, মনিপুর, সাহেবগঞ্জ, বারতহবিল, চরভৈরবী এলাকায় মোবাইল কোর্ট-এর আওতায় অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধ সময়ে কারেন্ট জাল দিয়ে জাটকা আহরণ অবস্থায় ২৮ জেলেকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ২৪ জেলেকে কারাদণ্ড-জরিমানা
তিনি আরও বলেন যে এর মধ্যে ২১ জেলেকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, দুই জেলেকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং বয়স বিবেচনায় অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় পাঁচ জেলের জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও অভিযানে জব্দ এক লাখ ৫০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট এবং ২৫ কেজি জাটকা স্থানীয় গরীব ও দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
সমন্বিত বিশেষ অভিযানে নেতৃত্ব দেন হাজীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান মানিক।
অভিযানে অংশগ্রহণ করেন হাইমচর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহবুব রশীদ, শাহরাস্তি উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ফারুক আহম্মেদ, কোস্ট গার্ড হাইমচর নয়ানি আউটপোস্ট কন্টিনজেন্ট কমান্ডার ও কোস্ট গার্ড সদস্যরা।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৪ জেলেকে কারাদণ্ড
নেত্রকোণায় বিএনপির ১৩ নেতাকর্মী আটক
নেত্রকোণার পূর্বধলায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১৩ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) রাতে উপজেলার পূর্বধলা বাজারে বিএনপি’র বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ বাবুর কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় বিষাক্ত জুস খেয়ে ছেলের মৃত্যু, মা আটক
আটককৃতরা হলেন- উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব বাবুল আলম তালুকদার (৫২), পূর্বধলা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. সাইদুর রহমান তালুকদার (৬৬), নেত্রকোণা জেলা বিএনপির সদস্য আব্দুর রহিম (৭০), উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল আজিজ (৬০), উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আ. গফুর (৬৫), উপজেলা যুবদলের আহবায়ক এনামুল হক হলুদ (৫২), যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হাসনাত (৫৩), শাকিল হায়াত খান বাদশা (৪৪), উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোলেমান কবীর পাপ্পু (২৫), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মো. জহিরুল ইসলাম (৩৪), মো. রফিকুল ইসলাম (৩৫), সেলিম (২৮) ও এনায়েত হোসেন (২৩)।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, কেন্দ্রীয় বিএনপির পূর্ব ঘোষিত ৮ এপ্রিল অবস্থান কর্মসূচি উপলক্ষ্যে ৭ এপ্রিল পূর্বধলা বাজারস্থ বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ বাবুর ব্যক্তিগত অফিসে ওই নেতাকর্মীরা দেশবিরোধী ষড়ষন্ত্র বিশেষ করে সরকার পতনের উদ্দেশ্যে আত্মঘাতী কাজের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা ধ্বংস ও নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে গোপন বৈঠক করছিল।
আরও পড়ুন: শার্শায় ৮৫ লাখ টাকার স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
তিনি জানান, এসময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য ছয়টি ককটেল, বেশ কিছু লোহার পাইপ ও লাঠি সোটাসহ তাদেরকে আটক করা হয়।
এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে পূর্বধলা থানায় ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ (৩) তৎসহ ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৪ ধারায় মামলা দায়েরের পর শনিবার দুপুরে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
নেত্রকোণা জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের তালুকদার বলেন, পূর্বঘোষিত ১০দফা দাবি বাস্তবায়নে পূর্বধলায় প্রস্তুতির পূর্ব মূহুর্তে উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের ১৩ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ছোট ভাইকে হত্যা করে ড্রামে করে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে বড় ভাইসহ আটক ৩
গ্রেপ্তারের ৩ ঘন্টার মধ্যে ছাড়া পেলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মুক্তাদির
সিলেটে গ্রেপ্তারের তিন ঘন্টার মধ্যে ছাড়া পেলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির।
মুক্তাদিরের আইনজীবীরা থানায় মুক্তাদিরের জামিনের কাগজপত্র প্রদর্শন করলে শনিবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এরআগে শনিবার বিকাল ৩টার দিকে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরের সামনে থেকে মুক্তাদিরকে গ্রেপ্তার করে সিলেট কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা খন্দকার মুক্তাদির কারাগারে
মুক্তাদিরকে থানা থেকেই ছেড়ে দেওয়ার তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) সুদীপ দাস বলেন, ‘যে মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয় তাতে মুক্তাদির জামিনে ছিলেন। আজ গ্রেপ্তারের পর তার আইনজীবীরা থানায় রি-কল দেখালে সন্ধ্যার দিকে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়।’
সুদীপ বলেন, পুরনো একটি নাশকতার মামলায় মুক্তাদিরের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ছিলো। সে মামলায় বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো।
জানা যায়, গ্রেপ্তারের পর মুক্তাদিরকে কোতোয়ালি থানাতেই রাখা হয়। সেখানে দলীয় নেতাকর্মীরা ভিড় করেন। ইফতারের আগ মূহূর্তে ছাড়া পান মুক্তাদির।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকালে কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১০ দফা দাবিতে সিলেটেও অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে বিএনপি। এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্যই শনিবার সিলেটে আসেন মুক্তাদির। বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির গত সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে বিএনপির নেতৃত্বাধিন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার মুক্তাদির গ্রেপ্তার
নেতাকর্মীদের পুলিশি হয়রানির অভিযোগ বিএনপি প্রার্থী মুক্তাদিরের
সিলেটে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার মুক্তাদির গ্রেপ্তার
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরকে গ্রেপ্তার করেছে সিলেট কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
শনিবার (৮ এপ্রিল) বিকাল ৩টার দিকে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী বিমানবন্দরের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: ডাক্তার-নার্স পরিচয়ে বাড়িতে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৬: ডিএমপি
মুক্তাদিরকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) সুদীপ দাস।
তিনি বলেন, উনার বিরুদ্ধে পুরনো একটি মামলায় ওয়ারেন্ট ছিলো। সে মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকালে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১০ দফা দাবিতে সিলেটেও অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে বিএনপি। এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্যই শনিবার সিলেটে আসেন মুক্তাদির। এরপর ওসমানী বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির গত সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ছিলেন।
আরও পড়ুন: আদালত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া জঙ্গি সোহেলের স্ত্রী গ্রেপ্তার
পঞ্চগড়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিবের সাক্ষর-সিল জালিয়াতির অভিযোগে নাপিত গ্রেপ্তার