%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%B6%E0%A7%83%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%96%E0%A6%B2%E0%A6%BE
ঢাকা বিমানবন্দরে ইয়াবাসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে এপিবিএন
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১ হাজার ৭৯০টি ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এক যাত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
আটক মান্নান হোসেন (৩৯) কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার মৃত নুরুল আলমের ছেলে।
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইটে আজ (বৃহস্পতিবার) বিকালে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় অবতরণ করেন মান্নান।
তার সন্দেহজনক গতিবিধির কারণে আর্মড পুলিশ তাকে থামায়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এপিবিএন অফিসে আনা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ৬৮টি স্বর্ণের বার জব্দ, বিমানকর্মী আটক: বিমানবন্দর এপিবিএন
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ইয়াবা বহনের কথা স্বীকার করেন।
পরে ওই ব্যক্তির মলদ্বারের ভেতর থেকে ১ হাজার ৭৯০টি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয় বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
২০২৩ সালের ১১ জুলাই আর্মড পুলিশ বিমানবন্দরে ইয়াবাসহ একই ব্যক্তিকে (মান্নান) আটক করে বিমানবন্দর থানায় মামলা করে। কিন্তু তিনি জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং আজ (বৃহস্পতিবার) আবার গ্রেপ্তার হন।
তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে এক কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণের বার উদ্ধার: এপিবিএন
হারানো ২৭ মোবাইল সেট প্রকৃত মালিকের হাতে তুলে দিয়েছে এপিবিএন
সহকর্মীকে চড়-থাপ্পড় : সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের নিয়োগ বাতিল
সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মজিবুর রহমান মজিবকে চড়-থাপ্পড় মারার জেরে আরেক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তামান্না ফেরদৌসের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর উইং থেকে তাকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
সলিসিটর রুনা নাহিদ আকতারের সই করা এ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট তামান্না ফেরদৌসকে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে মন্ত্রণালয়ের দেওয়া নিয়োগের আদেশ বাতিল করে তাকে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।’
তামান্না ফেরদৌসের নিয়োগ বাতিল করায় ন্যায় বিচার পেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন ভুক্তভোগী মুজিবুর রহমান।
জানা যায়, গত ৩ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রস্তুতি সভা শেষে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদকের রুমের সামনে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মজিবুর রহমান মজিবকে চড়-থাপ্পড় মারেন আইনজীবী তামান্না ফেরদৌস।
এ ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে ওইদিনই আইনজীবী মজিবুর রহমান অ্যাটর্নি জেনারেল বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন।
ওই ঘটনার এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আইনজীবীদের ওয়ালে ওয়ালে ঘুরপাক খাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সমিতির নির্বাচন বিষয়ে প্রধান বিচারপতির করণীয় কিছু নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল
লিখিত আবেদনে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মজিবুর রহমান উল্লেখ করেন, দুপুর ২টার সময় বারের সম্পাদকের রুমের সামনে অবস্থানকালে আগের শত্রুতার জের ধরে রাজনৈতিক কথাবার্তা চলাকালীন হঠাৎ করে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তামান্না ফেরদৌস আমাকে গালিগালাজ করেন। আমি এর প্রতিবাদ করলে তিনি আমার দুইগালে চড়-থাপ্পড় মারেন। এমনকি বেশি বাড়াবাড়ি করলে তিনি আমাকে বহিরাগত লোকজন দিয়ে খুন করার হুমকি দেন। ওই ঘটনাস্থলে বিজ্ঞ আইনজীবীরা ও অন্যান্য লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখলে প্রকৃত বিষয়টি জানা যাবে। এ ঘটনায় আমার মান, সম্মান ও ইজ্জতহানি ঘটে। আমি এর বিচার চাই।
প্রত্যক্ষদর্শী এক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রস্তুতি সভা শেষে সামান্য খাবারের টোকেনকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। এমন ঘটনা আমাদের জন্য লজ্জাকর। দ্রুত তদন্ত করে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মনে করি।
আরও পড়ুন: সাকিবকে নিয়ে সমালোচনা: ধারাভাষ্য থেকে ওয়াকারের নাম প্রত্যাহারে হাইকোর্টের রুল
রাজশাহীতে বিএসএফের গুলিতে কিশোর নিহত
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ঘাস কাটতে গিয়ে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে সমিরুল ইসলাম ওরফে সামিউল (১৫) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার দিয়াড় মানিকচক সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সমিরুল ইসলাম ওরফে সামিউল উপজেলার চরআষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের বারীনগর গ্রামের হাসিবুল ইসলাম ওরফে হাসিবুরের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে সাড়ে ৯টার দিকে দিয়াড় মানিকচক সীমান্তের কাছে জমিতে ঘাস কাটতে যায় সামিউল। এ সময় ভারতীয় সীমান্তের চর আষাড়িয়াদহ ফাঁড়ির বিএসএফ জওয়ানরা সমিরুলকে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই কিশোর সমিরুল ইসলাম নিহত হয়।
৫৩ ব্যাটালিয়ন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাহিদ হোসেন বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে দুপুরে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: তেঁতুলিয়ায় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু
গোদাগাড়ীর ৯ নম্বর চরআষাড়িয়াদহ ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল হক ভোলা জানান, সমিরুল ওরফে সামিউল বৃহস্পতিবার সকালে ডিএমসি সীমান্তের ৫ নম্বর পিলার এলাকার জিরো লাইন থেকে ১৫০ গজ বাংলাদেশের ভেতরে ঘাস কাটছিল। এ সময় ভারতের চরআষাড়িয়াদহ বিএসএফের একটি টহল দল তাকে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই সমিরুল নিহত হয়। খবর পেয়ে বিজিবির সাহেবনগর ও দিয়াড় মানিকচক ফাঁড়ির দুটি টহল দল ঘটনাস্থলে যায়। তারা কিশোর সমিরুলের লাশ উদ্ধার করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, ওই এলাকার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া রয়েছে। কাঁটাতারের বেড়ার কাছে কাউকে না যেতে মাঝে মাঝে সতর্ক করে মাইকিং করা হয়। তবে সমিরুল সীমান্তের জিরো লাইন থেকে বাংলাদেশের ১৫০ গজ ভেতরে ঘাস কাটছিল। বিএসএফ সম্পূর্ণ উসকানিমূলকভাবে গুলি করেছে। সীমান্তের কাঁটাতারের কাছে কাউকে যেতে দেখলেই গুলি করে।
এ বিষয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুল ইসলাম জানান, কিশোর সমিরুল ওরফে সামিউলের লাশ বিজিবি সদস্যরা উদ্ধার করেছেন। আইন অনুযায়ী লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশির লাশ ২ দিন পর ফেরত
ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ১৪ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে পাঁচবিবির ভোলা মণ্ডল হত্যা মামলার ২০ বছর পর ১৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এ ছাড়া তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে জয়পুরহাটের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সিনিয়র দায়রা জজ মো. নূর ইসলাম এ রায় দেন।
এ রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত ১৪ জন আসামির মধ্যে একজন পলাতক ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত বাকিরা হলেন- আব্দুল মান্নান, সানোয়ার হোসেন শাহাজ হোসেন ওরফে ইদা, রমজান আলী, ফারুক হোসেন, দুলু মিয়া, শাহাজাহান আলী, সফিকুল ইসলাম, আব্দুল ওহাব , আনোয়ার হোসেন, আব্দুল খালেক, আনিসুর ওরফে আনিসুর রহমান, দেলোয়ার, রিয়াজ ওরফে রিয়াজ উদ্দিন মণ্ডল ওরফে রেয়াজ।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ছেলেকে হত্যার দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
এদের বাড়ি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা ও কুয়াতপুর এলাকায়।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা হাকিমপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার মণ্ডলের ছেলে ভোলা মণ্ডল টাকার বিনিময়ে পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করে দিতেন। গত ২০০৩ সালে ৫ জুলাই ভোলা তার চালক মির শহিদকে নিয়ে মাঠে জমি চাষ করতে যান। সেদিন রাতে আরও জমি চাষ করতে হবে বাসায় জানালে, তার অপর তিন ভাই খাবার নিয়ে মাঠে যান। এসময় পাওয়ার টিলার চালাতে দিয়ে ভোলা খাবার খাওয়ার পর চার ভাই পাশের ভিটার উপর বিছানা বিছিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।
সে রাতে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামিরা অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা করেন। আসামিদের মারধরে ও দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে ভোলা গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই দোলা মণ্ডল বাদি হয়ে পরের দিন পাঁচবিবি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৩ ভাইয়ের যাবজ্জীবন
রাজনৈতিক সহিংসতা-নাশকতার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩৩ : র্যাব
বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলের ডাকা দেশব্যাপী অবরোধচলাকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা, নাশকতা ও সহিংসতার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি রাসেল ভূঁইয়াকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার(৮ নভেম্বর) র্যাবের সদর দপ্তরের মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ইমরান খান জানান, তিন পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে আহত করা, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় ছাত্রদল নেতা আমান গ্রেপ্তার
গত ২৮ অক্টোবর হামলা ও নাশকতাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ও নাশকতার অভিযোগে এ পর্যন্ত মোট ২৫১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বর্তমানে রাজধানীতে দেড় শতাধিক টহল দল এবং সারাদেশে ৪৫০টি র্যাবের টহল দল নিয়োজিত রয়েছে।
র্যাবের দলগুলোও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ব্যাপক টহল দিচ্ছে।
অবরোধচলাকালে গণপরিবহনের নিরাপত্তা দিতে দূরপাল্লার বাসগুলোকে র্যাবের টিমের পাহারায় গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ১১২ মামলায় ১০ দিনে গ্রেপ্তার ১৬৩৬ জন: ডিএমপি
সুপ্রিমকোর্টে যৌন হয়রানি প্রতিরোধসংক্রান্ত কমিটি পুনর্গঠন
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে যৌন হয়রানিসংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ, প্রাপ্ত অভিযোগ বিষয়ে অনুসন্ধান ও প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদানের জন্য কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘পাবলিক প্লেসে নারীর নিরাপত্তায় জোর দিতে হবে’
পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটিতে সভাপতি হিসেবে রাখা হয়েছে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফারাহ মাহবুবকে।
এ ছাড়া সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফাতেমা নজীব, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফওজিয়া করিম ও আইনজীবী ফারজানা রহমানকে।
জানা যায়, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক আইনজীবী সালমা আলী ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট কর্মস্থল এবং শিক্ষাঙ্গনে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্ট বিভাগে জনস্বার্থে রিট করেন।
শুনানি শেষে ২০০৯ সালের ১৪ মে হাইকোর্ট রায় দেন।
এ রায়ে হাইকোর্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যমসহ সব প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে একটি কমিটি গঠনের আদেশ দেন। রায়ের পর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে তা বাস্তবায়নের নির্দেশও দিয়েছিল।
কিন্তু তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। তাই যৌন নির্যাতন বন্ধে মাধ্যমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ কমিটি গঠনে রাষ্ট্রের কঠোর নির্দেশ প্রয়োজন।
হাইকোর্টের ওই রায়ে বলা হয়, কমিটিতে কমপক্ষে পাঁচজন সদস্য থাকবে। এ কমিটির বেশিরভাগ সদস্য হতে হবে নারী এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বাইরে থেকে দুজন সদস্য নিতে হবে। সম্ভব হলে কমিটির প্রধান করতে হবে একজন নারীকে। এছাড়া সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতি শিক্ষাবর্ষের পাঠদান কার্যক্রমের শুরুতে এবং প্রতি মাসে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ওরিয়েনটেশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
রায়ে আরও বলা হয়, সংবিধানে বর্ণিত লিঙ্গ সমতা ও যৌন নিপীড়ন সম্পর্কিত দিক নির্দেশনাটি প্রকাশ করতে হবে বই আকারে। এ নির্দেশনা আইনে রূপান্তরিত না হওয়া পর্যন্ত সংবিধানের ১১১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তা আইন হিসেবে কাজ করবে এবং সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।
আরও পড়ুন: গ্রামীণ নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ই-কমার্স বাস্তবায়নে চুক্তি সই
এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণ: আবারও পেছাল সাক্ষ্যগ্রহণ
সাকিবকে নিয়ে সমালোচনা: ধারাভাষ্য থেকে ওয়াকারের নাম প্রত্যাহারে হাইকোর্টের রুল
বাংলাদেশ ক্রিকেট ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান সম্পর্কে কটূক্তি করায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ধারাভাষ্যকারের তালিকা থেকে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ওয়াকার ইউনিসের নাম প্রত্যাহারে আইসিসিতে অভিযোগ দায়ের করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একটি রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও বিসিবি প্রেসিডেন্টকে ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে তারেকের বক্তব্য মুছে ফেলতে বিটিআরসিকে হাইকোর্টের নির্দেশ
সাকিব আল হাসানকে নিয়ে ‘বিরূপ সমালোচনার’ জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ধারাভাষ্যকারের তালিকা থেকে ওয়াকার ইউনিসের নাম প্রত্যাহারে আইসিসিতে অভিযোগ জানাতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার একটি জাতীয় দৈনিকে ‘ইতিহাস’ হয়েও বিতর্কে সাকিব শিরোনামে একটি লেখা প্রকাশিত হয়। নিবন্ধটি যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ বি এম ওয়ালিউর রহমান খান মঙ্গলবার হাইকোর্টে রিটটি করেন।
মঙ্গলবার আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
পরে আইনজীবী ওয়ালিউর রহমান খান বলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও বোর্ড সভাপতিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ১৯ নভেম্বর রুল শুনানির জন্য তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: বিচারপতিকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য: বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমানকে হাইকোর্টে তলব
বিশ্বকাপের চলমান ১৩তম আসরের ৩৮তম ম্যাচে মঙ্গলবার শ্রীলংকার সাবেক অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে টাইমড আউট করেন সাকিব আল হাসান। যে কারণে ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিবকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে।
আইসিসির নিয়মে টাইমড আউট থাকলেও এতদিন এর প্রয়োগ হয়নি। মঙ্গলবার দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস দুই মিনিটের মধ্যে বল খেলতে না পারায় সাকিব আম্পায়ারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। আম্পায়ার ম্যাথিউসকে আউট ঘোষণা করেন।
ম্যাথিউস খানিকটা ধীরগতিতে ক্রিজে এসে স্ট্যান্স নিয়েছিলেন। সাকিব বল হাতে প্রস্তুত ছিলেন। ওই সময় ম্যাথিউস তার হেলমেটে সমস্যা অনুভব করেন। ড্রেসিংরুমে হেলমেট আনার ইঙ্গিত দেন।
এতে দুই মিনিটের বেশি সময় চলে যায়। সাকিব আম্পায়ারের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আম্পায়ার আউট দেন। ম্যাথিউস বারবার বোঝাচ্ছিলেন তিনি প্রস্তুত ছিলেন, হেলমেটের জন্যই এ বিলম্ব।
আরও পড়ুন: পিরোজপুর ১ ও ২ আসনে সীমানা পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত বৈধ: হাইকোর্ট
মন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দেওয়া কোটি টাকা আত্মসাতকারী নারী আটক
মন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দেওয়া কোটি টাকা আত্মসাতকারী নারী আটকলালমনিরহাট ২ আসনের সংসদ সদস্য ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের আত্মীয়ের পরিচয় দিয়ে প্রায় কোটি টাকা নিয়ে আত্মগোপনে থাকা নারী নাসিমা আকতার স্বপ্নাকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করে। আটক নারী উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের টাওয়ার পাড়া গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ে।
আরও পড়ুন: বিএনপির আরেক ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু আটক
এছাড়া সরকারি বিভিন্ন ভাতা করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গ্রামের দুই শতাধিক হতদরিদ্র নারীর কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নাসিমা আক্তার স্বপ্নার মা কোহিনূর বেগমের নামে সমাজসেবা থেকে রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত ‘দুঃস্থ্ মহিলা কল্যাণ সমিতি’ নামে একটি এনজিও রয়েছে। ওই এনজিওর ব্যানারে গ্রামের নারীদের নানা ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রলোভন দেখান তিনি। এনজিও থেকে গরু, সমাজসেবা থেকে এককালীন অনুদান, শিশু ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ সরকারি নানা সুযোগ-সুবিধার প্রলোভন দিয়ে নারীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া শুরু করেন।
এসময় তিনি নিজেকে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের পরিচয় দেন। তিনি বিভিন্ন দলে বিভক্ত করে প্রত্যেক নারীর কাছ থেকে ১৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নেন।
এভাবে এক পর্যায়ে গ্রামের দুই শতাধিক নারীর কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেন স্বপ্না। পরে কোনো সুযোগ-সুবিধা দিতে না পারলে এলাকার নারীরা টাকা ফেরত চান। ভুক্তভোগীরা কোনো সুরাহা না পেয়ে মানববন্ধন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
এ ব্যাপারে আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক জানান, নানা প্রলোভনে গ্রামের নারীদের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণের ব্যাপারে থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের কথিত আত্মীয় নাসিমা আক্তার সপ্নাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ৬৯৭ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ, ভারতীয় নাগরিক আটক
নেতাদের পরিবারের সদস্যদের আটকের অভিযোগ বিএনপির
কুড়িগ্রামে পুলিশ সেজে পুলিশের সঙ্গেই প্রতারণা, গ্রেপ্তার ১
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় পুলিশ ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে আতানুর রহমান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৮ নভেম্বর) বিকালে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার আতানুর রহমান নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
পুলিশ জানায়, গত ৬ নভেম্বর বিকালের দিকে নাগেশ্বরী থানার ডিউটি অফিসারের সরকারি মোবাইল ফোনে আতানুর রহমান নিজেকে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে থানার সার্বিক অবস্থা জানতে চান। থানায় কতটি অভিযোগ সকাল থেকে দায়ের হয়েছে সে বিষয়ে তথ্য চান।
একপর্যায়ে অভিযোগকারীদের নাম ও মোবাইল নম্বর জানতে চাইলে দ্বায়িত্বরত থানার এএসআই সরল বিশ্বাসে সব দিয়ে দেন।
একই দিন সন্ধ্যার দিকে একজন অভিযোগকারী নাগেশ্বরী থানার মুন্সির কাছে এসে বলে ওসি স্যার ফোন করেছিল খরচের টাকার জন্য। একবার ২ হাজার টাকা বিকাশ করলাম আবার টাকা চাচ্ছেন।
পুলিশ আরও জানায়, বিষয়টি মুন্সির সন্দেহ হওয়ায় মুন্সি নম্বর সংগ্রহ করে যে নম্বর থেকে কল করা হয়েছিল সেই নম্বরে কল দিতে থাকে। অপর প্রান্ত থেকে বারবার কল কেটে দেয় প্রতারক ব্যক্তি।
একপর্যায়ে কল ব্যাক করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কণ্ঠে মুন্সিকে বলেন, ‘এই মুন্সি বারবার কেটে দিচ্ছি তবু কল দিচ্ছ কেন, রেখে দাও।’ কণ্ঠ শুনে মুন্সি ও বিপাকে পড়ে যান।
কিছুক্ষণের মধ্যেই ওসি থানায় এলে মুন্সি ওসিকে ঘটনাটি জানান। এরপর পুরো ঘটনা শুনে ওসি বুঝতে পেরে ওই রাতে থানায় সব অভিযোগকারীর মোবাইল নম্বরে কল দিতে বলেন।
তিনজন অভিযোগকারী একই ঘটনার বর্ণনা দেন এবং একইভাবে কল ও একই বিকাশে টাকা দিয়েছেন জানান। পরে মোবাইল নম্বর ও বিকাশ নম্বরের সূত্র ধরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মো. রুহুল আমীন বলেন, ওই ফোন করে কয়েকজনের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা নিয়েছিল। পরে নাগেশ্বরী থানা পুলিশ প্রতারক চক্রটির মূলহোতাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না- এই বিষয়ে তদন্ত ও অভিযান চলমান।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ১১২ মামলায় ১০ দিনে গ্রেপ্তার ১৬৩৬ জন: ডিএমপি
পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় ছাত্রদল নেতা আমান গ্রেপ্তার
ঢাকায় ১১২ মামলায় ১০ দিনে গ্রেপ্তার ১৬৩৬ জন: ডিএমপি
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে গত ২৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ১০ দিনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন থানায় ১১২টি মামলা হয়েছে।
এছাড়া ৬ নভেম্বর (সোমবার) পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীসহ ১ হাজার ৬৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ও হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও সহিংসতার পর নথিভুক্ত মামলার পরিসংখ্যান যাচাই-বাছাই করে ডিএমপি সদর দপ্তর সূত্র জানায়, ওইদিন আটটি মামলা এবং পরদিন ২৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে 'চাঞ্চল্যকর' তথ্য পাওয়ার দাবি সিটিটিসি’র
এছাড়া ৩০ অক্টোবর ৮টি ও ৩১ অক্টোবর ১০টি এবং ১ নভেম্বর প্রতিদিন ১৪টি করে মামলা দায়ের করা হয়। অপরদিকে ৩, ৪ ও ৫ নভেম্বর যথাক্রমে ৭টি, ১টি ও ১৩টি এবং সর্বশেষ ৬ নভেম্বর দায়ের করা হয় আরও ১০টি মামলা।
ডিএমপি ২৮ অক্টোবর ৬৯৬ জন এবং ২৯ অক্টোবর ২৫৬ জনকে গ্রেপ্তার করে। এছাড়া ৩০ অক্টোবর ১৫৮ জন ও ৩১ অক্টোবর ১৪১ জন, ১ ও ২ নভেম্বর যথাক্রমে ৯৬ জন ও ৬০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এছাড়া ৩ নভেম্বর ৫৮ জন, ৪ নভেম্বর ৩৭ জন, ৫ নভেম্বর ৫২ জন ও ৬ নভেম্বর ৮২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় ছাত্রদল নেতা আমান গ্রেপ্তার