%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%B6%E0%A7%83%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%96%E0%A6%B2%E0%A6%BE
মহাসড়কে গাড়ি থামিয়ে চাঁদাবাজি, ২ দিনের রিমান্ডে পুলিশ সদস্য
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মহাসড়কে চাঁদাবাজি করার সময় পোশাকধারী দুই পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ মার্চ) রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার ধেরুয়া এলাকায় স্থানীয়রা ওই দুই পুলিশ সদস্যকে চাঁদাবাজি করার সময় ধরে ফেলেন।
পরে তাদের মহাসড়কের দেওহাটা পুলিশ ফাঁড়িতে সোপর্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: সমাজে চাঁদাবাজির সংস্কৃতি বন্ধ করুন: আনিসুল ইসলাম মাহমুদ
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার রাতেই মধুপুর উপজেলার পিকআপ চালক রানা বাদী হয়ে ওই দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ সদস্য দুইজন হলেন, জেলার বাসাইল উপজেলার মিরিকপুর গ্রামের কৈলা রাজবংশীর ছেলে রিপন রাজবংশী এবং সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার কোদালিয়ার ময়নাল হকের ছেলে মো. মোহসীন মিয়া।
তারা দুইজন মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানায় কর্মরত রয়েছেন।
এদিকে এ ঘটনায় সোমবার রাতেই ওই দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বহিস্কার করেছে মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান।
মামলার তদন্ত করছেন মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মোকাম্মেল হক।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, তারা দুইজন পুলিশের পোশাক পরিহিত ছিল। তারা পুলিশের পোশাক সংগ্রহ করে মহাসড়কে ছিনতাইয়ের কাজ করেছে। এই ঘটনায় একজন পিকআপ চালক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি পুরোপুরি বন্ধ হবে না: কাদের
কোনো ধরনের চাঁদাবাজি সহ্য করা হবে না: আইজিপি
জয়পুরহাটে স্কুলের গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাতের মামলায় প্রধান শিক্ষক কারাগারে
জয়পুরহাটে বিদ্যালয়ের (স্কুল) গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাতের মামলায় শহরের কাশিয়াবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে তিনি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে জয়পুরহাট আমলী-১ আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমান তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কারাগারে কয়েদির আত্মহত্যা, ৩ কারারক্ষী বরখাস্ত
জয়পুরহাটের আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৩ জুন জয়পুরহাট শহরের কাশিয়াবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় চত্তরের ৮টি বড় গাছ প্রকাশ্যে নিলামের মাধ্যমে ৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকায় কাঠ ব্যবসায়ী প্রদীপ চন্দ্র হাওলাদারের কাছে ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। পরে প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা ৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকার মধ্যে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা পূবালী ব্যাংকে জয়পুরহাট শাখায় জমা দেন। আর বাকি ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে তিনি আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় বাদী হয়ে একই বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য মোস্তাকিম হোসেন আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় সোমবার প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: চেক জালিয়াতির মামলায় সীতাকুণ্ডের ইউপি সদস্য বাবলু কারাগারে
শেরপুরে বিস্ফোরক মামলায় কারাগারে বিএনপির ২২ নেতা-কর্মী
জবি শিক্ষার্থী হত্যা: ৭ জনের যাবজ্জীবন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুর রহিম হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রবিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে ধর্ষণ মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- ফরহাদ আলী সরদার ওরফে ঝন্টু, মাহমুদ তারিক ওরফে তারিক, আ. গফুর, সোহাগ, তৌফিকুল ইসলাম, জুয়েল ওরফে বখতিয়ার ও হাসিবুল হাসান ওরফে হাসিবুল। এদিকে সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ৫ জন পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, আব্দুর রহিম ২০০০ সালের ৭ জানুয়ারি নিজ বাড়ি জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে উপজেলার দক্ষিণ কানুপুর গ্রামে যায়।
১১ জানুয়ারি বাড়ি থেকে বের হয়ে দিবাগত রাত পর্যন্ত আর বাড়ি ফিরে আসেন না তিনি। পরদিন সকালে ওই গ্রামের পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি পুকুরপাড় থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আসাদুল ইসলাম বাবুল বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত রবিবার এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ফেনসিডিল বহনের দায়ে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সিলেটে যুবক হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের সম্পত্তি স্থিতাবস্থায় রাখার নির্দেশ আপিল বিভাগের
রাজধানীর গুলশানে খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা বাড়ির দখল ও অবস্থানের ওপর আট সপ্তাহের জন্য স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে সালাম মুর্শেদীর করা আবেদনের শুনানি নিয়ে রবিবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
এর আগে বাড়িটি নিয়ে করা এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে গত ১৯ মার্চ হাইকোর্ট ওই সম্পত্তি ‘পরিত্যক্ত সম্পত্তি’ উল্লেখ করেন। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির মাধ্যমে তিন মাসের মধ্যে সরকারের কাছে বাড়িটি হস্তান্তর করতে সালাম মুর্শেদীকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
সম্পত্তির দখল ও অবস্থান বুঝে পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিবকে আদালতে প্রতিবেদন (অ্যাফিডেভিট ইন কমপ্লায়েন্স) দিতেও বলা হয়।
আরও পড়ুন: সালাম মুর্শেদীর সেই বাড়ির মূল নকশা ৭ দিনের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ
হাইকোর্টের ওই রায় স্থগিত চেয়ে সালাম মুর্শেদী আপিল বিভাগে আবেদন করেন। যা রবিবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। চেম্বার বিচারপতির আদালতে সালাম মুর্শেদীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম ও মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ রাজা। রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার অনীক আর হক।
পরে আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, গুলশানের ওই সম্পত্তির দখল ও অবস্থানের ওপর দুই পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন চেম্বার বিচারপতির আদালত। গুলশানের বাড়িটি আপাতত সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকছে।
এর আগে ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর গুলশানের এই বাড়িটি সালাম মুর্শেদীর দখলের রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
রিট আবেদনে বলা হয়, রাজধানীর গুলশান-২ এর ১০৪ নম্বর সড়কে সি ই এন (ডি)-২৭ এর ২৯ নম্বর বাড়িটি ১৯৮৬ সালের অতিরিক্ত গেজেটে ‘খ’ তালিকায় পরিত্যক্ত হিসেবে তালিকাভুক্ত। কিন্তু আব্দুস সালাম মুর্শেদী সেটি দখল করে বসবাস করছেন।
রিটে ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল, ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি ও ২০২২ সালের ৪ জুলাই রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যানকে দেয়া গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তিনটি চিঠি যুক্ত করা হয়েছে।
২০১৫ ও ২০১৬ সালে দেয়া চিঠিতে পরিত্যক্ত বাড়ির তালিকা থেকে বাড়িটি অবমুক্ত না হওয়ার পরও আব্দুস সালাম মুর্শেদী কীভাবে বাড়িটি দখল করে আছেন রাজউক চেয়ারম্যানের কাছে এ ব্যাখ্যা চেয়েছিল পূর্ত মন্ত্রণালয়। কিন্তু রাজউক চেয়ারম্যান সে চিঠি আমলে না নেয়ায় ফের ২০২২ সালের ৪ জুলাই চিঠি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সালাম মুর্শেদীর বাড়ি: দুটি ভিডিও সরাতে ব্যারিস্টার সুমনকে নির্দেশ
চিঠিতে বলা হয়, পরিত্যক্ত বাড়ির তালিকা থেকে ভবনটি অবমুক্ত না হওয়ার পরও কীভাবে রাজউক চেয়ারম্যানের দপ্তর থেকে সেটির নামজারি ও দলিল করার অনুমতি দেওয়া হলো সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু রাজউক চেয়ারম্যান সে ব্যাখ্যা দিতে অনীহা দেখিয়েছেন।
রিটের পর ২০২২ সালের ১ নভেম্বর আদালত রুল জারি করে আদেশ দেন। রুলে বাড়িটি বেআইনিভাবে দখলে রাখার অভিযোগে আবদুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। আর বাড়ি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র হলফনামা আকারে দাখিল করতে নির্দেশ দেন। পরে পাশাপাশি আদেশ ও কোর্টের কার্যক্রম ছাড়া এ মামলার বিষয়বস্তু নিয়ে কোনো প্রকার প্রচার-প্রচারণা না করতে উভয়পক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়।
চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি শুনানিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী আদালতকে জানান, আদালতের নির্দেশের পর বাড়িটি নিয়ে দুদক অনুসন্ধান করে। অনুসন্ধানে বাড়িটির বিষয়ে জাল–জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়।
আরও পড়ুন: এমপি সালাম মুর্শেদীর বাড়ি ৩ মাসের মধ্যে হস্তান্তরের নির্দেশ
মৌখিক ও দালিলিক সাক্ষীর ভিত্তিতে দুদক সর্বসম্মতিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে যাদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ পেয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ৫ ফেব্রুয়ারি মামলা করে। পরে গত ৩ মার্চ এ সংক্রান্ত রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়। ১৯ মার্চ বাড়িটির দখল সরকারের কাছে হস্তান্তর করতে হাইকোর্ট আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা বাড়ির নথি ও তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ
পাবনায় র্যাবের অভিযানে কিশোর গ্যাংয়ের ৮ সদস্য আটক
পাবনার ঈশ্বরদীতে অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের ৮ সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৬টি মোবাইল জব্দ করা হয়।
আটকদের মধ্যে আব্দুর রহিমের ছেলে রোহান হোসেন (২১) ছাড়া বাকি সবার বয়স ১৮ বছরের কম।
আজ সকালে র্যাব-১২, সিপিসি-২ পাবনার কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: ঢাকায় কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে অভিযানে মূলহোতাসহ ৩৫ জন গ্রেপ্তার
বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ঈশ্বরদীর বিভিন্ন এলাকায় জন সাধারণের শান্তি ও শৃঙ্খলা বিঘ্ন করাসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছিল কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। বিভিন্ন রাস্তাঘাটে ও শহরের বিভিন্ন গলিতে রাতে চুরি, ডাকাতি, দস্যুতা, ছিনতাই, মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত তারা।’
এতে আরও বলা হয়, স্থানীয়দের অভিযোগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঈশ্বরদী স্টেশন রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে র্যাব। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদেরকে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নিতে ঈশ্বরদী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় কিশোর গ্যাংয়ের ৭৫ সদস্য গ্রেপ্তার
ফেনীতে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য
সাইবার অপরাধ দমনে প্রযুক্তিনির্ভর পুলিশ বাহিনী গড়তে কাজ করছে সরকার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রযুক্তি বিকশিত হওয়ায় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রযুক্তিভিত্তিক পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলা সময়ের প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শনিবার (২৩ মার্চ) সকালে পুলিশ স্টাফ কলেজের সম্মেলন কক্ষে 'পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন সাইবার সিকিউরিটি কোর্স'-এর প্রথম ব্যাচের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশে অপরাধ দমনে দক্ষ পুলিশ বাহিনী গড়ে তুলতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় স্মার্ট পুলিশ বাহিনী গড়ে তুলতে পুলিশ স্টাফ কলেজের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন সাইবার সিকিউরিটি কোর্স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কোর্স সম্পন্ন করা পুলিশ কর্মকর্তারা সাইবার অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। ১০ মাসের এ কোর্সে বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা অংশ নিচ্ছেন।
পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর ও অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মল্লিক ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান ও আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
কামরুল আহসানসহ অন্যান্য অতিরিক্ত আইজিপিরা, পুলিশ স্টাফ কলেজের শিক্ষক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং শিক্ষানবিশ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ট্রান্সকম গ্রুপের তিন কর্মকর্তাকে দেশে ফিরে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ আদালতের
ট্রান্সকম গ্রুপের তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে বিদেশ থেকে নির্বিঘ্নে ফেরত আসা ও ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে শাযরেহ হকের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
তারা হলেন- ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারপারসন শাহনাজ রহমান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিমিন রহমান এবং হেড অব স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন জারিফ আইয়াত হোসেন।
এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ট্রান্সকম গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান ও শাহনাজ রহমানের ছোট মেয়ে শাযরেহ হক বাদী হয়ে গুলশান থানায় ৩টি মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মিথ্যা হিসাব দেখিয়ে সিমিন ও তার সহযোগীরা তার বাবা লতিফুর রহমানের প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি অন্যায়ভাবে অর্জনের চেষ্টা করেছিলেন।
শাযরেহ অভিযোগ করেন, মৃত্যুর আগে তার বাবা একাধিক ব্যাংকের এফডিআর বাবদ প্রায় ১০০ কোটি টাকা রেখে গেছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, তার মা শাহনাজ রহমান ও বোন সিমিন রহমান অসমভাবে এফডিআর বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: তিন মামলায় ট্রান্সকম গ্রুপের ৫ কর্মকর্তার জামিন
বাকিদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতে সহায়তা করার অভিযোগ রয়েছে।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তার বড় বোন সিমিন রহমান জালিয়াতির মাধ্যমে ট্রান্সকম লিমিটেডের ২৩ হাজার ৬০০ শেয়ার জালিয়াতির মাধ্যমে নিজের নামে নেন এবং তার ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে বঞ্চিত করেন।
ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে দুই পরিচালকসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
তারা হলেন- ট্রান্সকম গ্রুপের করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ল বিভাগের নির্বাহী পরিচালক ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া। কর্পোরেট ফাইন্যান্স বিভাগের দুই পরিচালক কামরুল হাসান ও আবদুল্লাহ আল মামুন; কোম্পানির সহকারী সচিব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক ও ব্যবস্থাপক (কোম্পানি সচিব) আবু ইউসুফ মো. সিদ্দিক।
পরে এসব মামলায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তাদের জামিন দেন আদালত।
তবে মামলা শেষে শাহনাজ, সিমিন ও জারিফ গ্রেপ্তার এড়িয়ে বিদেশে চলে যান।
শাহনাজ, সিমিন ও জারিফকে ৬০ দিনের মধ্যে বিদেশ থেকে ফিরে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
৬০ দিনের মধ্যে ইমিগ্রেশন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হয়রানি বা গ্রেপ্তার না করারও নির্দেশ দেওয়া হয়।
পরে হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন শাযরেহ হক।
রিটকারীর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার তানজিব উল আলম ও ব্যারিস্টার মুস্তাফিজুর রহমান খান। শাহনাজ, সিমিন উদ্দিন ও জারিফের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুহাম্মদ ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, মোমতাজ উদ্দিন ফকির, নুরুল ইসলাম সুজন, মাহবুব আলী, মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ রাজা ও শাহ মঞ্জুরুল হক।
আরও পড়ুন: ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান মারা গেছেন
সাতক্ষীরায় নকল সীমানা পিলার জব্দ, গ্রেপ্তার ৫
সীমানা পিলার বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগে সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশি।
এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি নকল সীমানা পিলার, নগদ ৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা ও একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: পোস্টার লাগানো নিরুৎসাহিত করতে মগবাজার ফ্লাইওভারের পিলারে গ্রাফিতি শিল্প
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের কুলতলা গ্রামের আব্দুল মজিদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্য হলেন, বরগুনার বেতাগী গ্রামের সেলিম হায়দারের ছেলে আল আমিন, মাদারীপুরের শ্রীনাখাদী গ্রামের আব্দুল লতিফ মাতুব্বরের ছেলে মনিরুজ্জামান মনির, একই জেলার লুন্দীপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের মিয়ার ছেলে অহিদুর রহমান খোকন, নয়াকান্দি গ্রামের মৃত বেল্লাল মাতুব্বরের ছেলে আব্দুর রহিম মাতুব্বর, সুনামগঞ্জের লালপুর ভাটিয়াপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিম সরকারের ছেলে মুজিবুর সরকার।
পুলিশ জানায়, সীমানা পিলার বেচাকেনার গোপন খবর পেয়ে আব্দুল মজিদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির মালিক আব্দুল মুজিদ পালিয়ে যান।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, পাঁচ প্রতারক চক্রসহ মোট সাতজনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত বাকি দুই আসামিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: নদীতে সেতুর কম পিলার চান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
চুয়াডাঙ্গায় বৈদ্যুতিক পিলারে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় চালক নিহত, আহত ২
মেট্রোরেলের ক্যান্টিন ১ হাজার টাকায় ভাড়া, ঘটনা তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) উত্তরা ডিপোতে অবস্থিত ৭ হাজার ৫৮০ বর্গফুটের স্টাফ ক্যান্টিন মাসিক এক হাজার টাকায় ভাড়া দেওয়ার ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার(২১ মার্চ) এক রিটের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদেশে এক মাসের মধ্যে সড়ক ও পরিবহনক সচিবকে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ১ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে বিজ্ঞাপন কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
গত ১৪ মার্চ ডিএমটিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (স্টোর ও প্রকিউরমেন্ট) মো. নজরুল ইসলামের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্যান্টিন পরিচালনার জন্য ভাড়া দেওয়ার এ তথ্য জানা যায়।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের সক্ষমতা বাড়ায় মিরপুর-মতিঝিল রুটে কমেছে বাস চলাচল
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভাড়া হিসেবে মাসিক এক হাজার টাকা হারে এক বছরের জন্য ভ্যাট ও আয়কর ব্যতীত সর্বমোট ১২ হাজার টাকা মূল্যে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের আওতায় পরিচালনাধীন এমআরটি লাইন-৬ এর উত্তরা ডিপোতে অবস্থিত ৭ হাজার ৫৮০ বর্গফুট স্টাফ ক্যান্টিন পরিচালনার উদ্দেশ্যে ১ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে দাখিলকৃত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খন্দকার এন্টারপ্রাইজের দরপত্রটি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃক গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়েছে।
এই নোটিশ জারি করার সাত দিনের মধ্যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে তিন বছরের জন্য চুক্তি সম্পাদন করতে সম্মত রয়েছেন মর্মে লিখিতভাবে জানানোর আহ্বান করা হয় ডিএমটিসিএলের বিজ্ঞপ্তিতে।
মাত্র ১ হাজার টাকা ভাড়া দেওয়ার এই বিজ্ঞপ্তি জারির বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ হাইকোর্টে রিট করেন।
আরও পড়ুন: রমজানের শেষ ১৫ দিন মেট্রোরেলের সময় বাড়বে এক ঘণ্টা
এআই নিয়ে নতুন একটি আইনের খসড়া করা হবে: আইনমন্ত্রী
আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) বা এআই নিয়ে নতুন একটি আইনের খসড়া করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
বৃহস্পতিবার(২১ মার্চ) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এআই আইন নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী।
বৈঠকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকও উপস্থিত ছিলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মনে করি আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই যেভাবে পৃথিবী বদলে দিচ্ছে, সেটার ব্যাপারে একটা আইন যে রকম সারা পৃথিবীতে চিন্তা করা হচ্ছে বাংলাদেশেও চিন্তা করা উচিত। সেই চিন্তা করার জন্যই আজ প্রাথমিকভাবে বসেছিলাম। আজ আইনের একটা মৌলিক কাঠামো (আউটলাইন) করলাম। এ বিষয়টা এত ব্যাপক একদিনের আলোচনায় শেষ হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি বলি আমাদের জ্ঞান যথেষ্ট হয়ে গেছে এ ব্যাপারে, আইন করার জন্য অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞানেরও প্রয়োজন। এই আইনের খসড়ার জন্য আমরা আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে একটি খসড়া তৈরি করবো। সেই খসড়ায় কী কী থাকবে, সেটা নিয়ে আজ আউটলাইনটা আলাপ করেছি। সেই আউটলাইন অনুযায়ী কাজ করব।’
আরও পড়ুন: মিথ্যা মামলা দিয়ে ড. ইউনূসকে হয়রানি করছে না সরকার: আইনমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ‘এই আইনের মধ্যে যে জিনিসগুলো থাকা উচিত, মনুষ্যত্বের দিক থেকে যে বিষয়গুলো রক্ষা করা উচিত। সেগুলোর বিষয়ে আলোচনা করেছি। সেই আলোচনা শুরু হলো এবং আলোচনা চলবে।’
আউটলাইনে কী কী থাকছে তা জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এই মুহূর্তে সেটা বলতে চাই না। কারণ এটাও পরিবর্তনশীল। বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করার জন্য এবং অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য এবং অন্য জায়গায় কী আইন হচ্ছে সেটা একটু পরীক্ষার জন্য এই সময়টুকু নিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি এই সময়ের মধ্যে আমরা আইনটা তৈরি করতে পারব।’
আনিসুল হক বলেন, ‘এটি আমাদের কাছেও জানার। এর কারণ হচ্ছে আমরা কতটুকু নিয়ন্ত্রণ করব। এই জিনিসটুকু আমি বলতে পারি- মানুষের অধিকার সংরক্ষণের জন্য, সর্বক্ষেত্রে সেটা সংরক্ষণের জন্য, মানুষের সুবিধার জন্য এআই যাতে ব্যবহার করা যায় সেই চেষ্টাই করব।’
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘অত্যন্ত সময়োপযোগী একটি সিদ্ধান্ত আইনমন্ত্রী গ্রহণ করেছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি আমাকে নির্দেশনা দেন যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আমরা কী ভাবছি ও আইন প্রণয়নের ব্যাপারে আমরা কতটা প্রস্তুত। উনার নির্দেশনা পাওয়ার পর আমরা তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করি এবং যারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হই যে, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট গভর্ন্যান্স, স্মার্ট অর্থনীতি করতে হলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বাইপাস করে কিছু করতে পারব না।’
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে বিরোধপূর্ণ পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এখন বড় একটা চ্যালেঞ্জ ও বড় একটা বিতর্ক হচ্ছে, আমরা কতটুকু উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করব, কতটুকু অপপ্রয়োগে নিয়ন্ত্রণ করব। এ বিষয় নিয়ে আজ আমরা আইনমন্ত্রীর কাছে এসেছিলাম। আইনমন্ত্রীও বললেন একটা আউটলাইন আমরা দাঁড় করিয়েছি।’
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন,‘আগামী দিনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পরিবর্তনটা কত দ্রুত হচ্ছে, এর ব্যবহারটা কতটুকু আমরা আমাদের অর্থনীতির সমৃদ্ধি আনার জন্য, কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য করতে পারি। বিদেশি বিনিয়োগ পাওয়ার জন্য রপ্তানি আয় বৃদ্ধির জন্য এটার কী কী ব্যবহার হতে পারে যেটা উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করবে, উদ্যোক্তাদের নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে দেবে।’
পলক আরও বলেন, ‘একই সঙ্গে বর্তমান বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যে ভয়ানক পরিণতির আশঙ্কা করা হচ্ছে যা বিভিন্ন গবেষক এবং উদ্ভাবক বলছেন, সেটাকে মাথায় রেখে আইনমন্ত্রী আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। একদিকে উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করা এবং এটার যে অপপ্রয়োগ সেটার প্রতিরোধ করা। আমাদের জনগণ, জাতীয় নিরাপত্তা এবং বিশ্ব নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অপপ্রয়োগ যাতে না হয় সেটাকে মাথায় রেখেই আমরা আইনটা প্রণয়ন করব। সেটার জন্য আমরা একটা সময় চেয়েছি। আইনমন্ত্রী আমাদের যথেষ্ট সময় দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: এআই বিষয়ক আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: আইনমন্ত্রী