%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%B6%E0%A7%83%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%96%E0%A6%B2%E0%A6%BE
সাগর-রুনি হত্যা মামলা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে: র্যাব
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার পেছনের মূল উদ্দেশ্য উদঘাটন এবং হত্যার সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘আমরা ২৫ জন সন্দেহভাজন ব্যক্তির নমুনা ডিএনএ পরীক্ষার জন্য এবং অন্যান্য প্রমাণের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছি। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে, ডিএনএ পরীক্ষায় ২৫ সন্দেহভাজন ব্যক্তির বাইরে আরও দুজনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে, যারা এখনও পলাতক।’
সোমবার সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বিলম্বের মূল কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন তিনি।
মঈন বলেন, প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করতে দেরির কারণে হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে দেরি হচ্ছে।
পরিচালক বলেন, নিরাপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়টি মাথায় রেখে র্যাব হত্যা মামলার তদন্ত করছে।
এর আগে সোমবার ঢাকার একটি আদালত হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১১ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। এর ফলে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা শততম বারের মতো পিছিয়ে গেল।
আরও পড়ুন: দ্রুত সাগর-রুনি হত্যার রিপোর্ট দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে র্যাবকে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) আজ প্রতিবেদন দাখিলের কথা থাকলেও প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় ঢাকা মহানগর হাকিম রশিদুল আলম তা দাখিলের নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।
২০২১ সালের ২ মার্চ র্যাব অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে হলফনামা আকারে সাগর-রুনি হত্যা মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ হত্যাকাণ্ডে অজ্ঞাতপরিচয় দুই ব্যক্তি জড়িত।
মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরোয়ার ও তার স্ত্রী এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনিকে ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি নগরীর পশ্চিম রাজাবাজার এলাকায় তাদের ভাড়া করা অ্যাপার্টমেন্টে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলী রোমান বাদী হয়ে শেরে বাংলানগর থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ৯৮ বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন
২০১২ সালের ১ অক্টোবর পুলিশ তানভীর রহমান হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে। পরে ২০১৪ সালে জামিন পান। হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত তানভীরসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
অন্য সাত আসামি হলেন- রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, আবু সৈয়দ, মিন্টু ওরফে বাগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান ওরফে অরুণ, নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির ও পলাশ রুদ্র পাল।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যা: ১০০ বারের মতো পেছালো তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল
সাইবার নিরাপত্তা আইনে মানহানির সর্বোচ্চ শাস্তি জরিমানা: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, ডিজিটাল মাধ্যমে মানহানিকর তথ্য প্রচার ও প্রকাশ করার ক্ষেত্রে আর কারাদণ্ডের বিধান থাকছে না। কারাদণ্ড বাতিল করে সেখানে শাস্তি জরিমানা রাখা হচ্ছে।
এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি ২৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (৭ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এ আইনের উল্লেখযোগ্য দিকগুলো হলো- সাইবার সিকিউরিটির জন্য যেসব ধারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ছিল সেসব ধারা এ আইনে অক্ষুণ্ন রাখা হয়েছে, কোনো পরিবর্তন করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বদলে হচ্ছে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন’
মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৯ ধারায় মানহানির বিচার করা হয়। এ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে দণ্ডবিধির ৪৯৯ ধারায় বর্ণিত মানহানিকর তথ্য প্রকাশ ও প্রচার করেন, এজন্য তিনি অনধিক তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত কারাদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।’
আইনমন্ত্রী এ ধারার সংশোধনের বিষয়ে বলেন, মানহানির যে ধারাটি ছিল সেখানে আগে শাস্তি ছিল কারাদণ্ড, এখন সেটা পরিবর্তন করে সাজা জরিমানা রাখা হয়েছে। এখন একমাত্র সাজা জরিমানা।
তিনি আরও বলেন, তবে জরিমানা আদায় করা না হলে জরিমানার পরিমাণের উপর ভিত্তি করে শাস্তি তিন থেকে ছয় মাসের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে মূল শাস্তি হবে জরিমানা। নতুন আইনে এ জরিমানা ২০ লাখ টাকা বাড়িয়ে ২৫ লাখ টাকা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি যাতে মাথা তুলতে না পারে: আইনমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আনা সংশোধনে সাংবাদিকরা খুশি হবেন: আইনমন্ত্রী
সাজা বহালের রায় প্রকাশ, আমান দম্পতিকে ১৫ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
দুর্নীতির মামলায় বিএনপি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আমানউল্লাহ আমানের ১৩ বছর এবং তার স্ত্রী সাবেরা আমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে ঘোষিত রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে। রায় ঘোষণাকারী দুই বিচারপতির স্বাক্ষরের পর তা সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে তা প্রকাশ করা হয়।
রায়ে বলা হয়েছে, রায়ের অনুলিপি সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালতে পৌঁছানোর ১৫ দিনের মধ্যে আমান দম্পতিকে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
সোমবার (৭ আগস্ট) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ ২৮১ পৃষ্ঠার এই রায়ে স্বাক্ষর করেন।
এর আগে, গত ৩০ মে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় আমানের ১৩ বছর ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে আদেশ দেন।
এদিন দুদকের অন্য একটি মামলায় বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর ৯ বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট।
ওইদিন আদালতে আমান ও তার স্ত্রীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং টুকুর পক্ষে ছিলেন আজমালুল হোসেন কিউসি ও সাইফুল্লা মামুন।
অন্যদিকে দুদকের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছর ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে এ দম্পতি রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন।
২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট আপিল আবেদন মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে মামলাটির পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ মে পুনঃশুনানি শেষ হয়। পরে গত ৩০ মে হাইকোর্ট এ রায় দেন।
সাগর-রুনি হত্যা: ১০০ বারের মতো পেছালো তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ আবারও পিছিয়েছে। এ নিয়ে ১০০ বার পেছালো প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ।
সোমবার (৭ আগস্ট) আলোচিত এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল।
আরও পড়ুন: ৯৮ বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন
কিন্তু মামলাটির তদন্ত সংস্থা র্যাব প্রতিবেদন দাখিল করেনি। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১১ সেপ্টেম্বর তারিখ ধার্য করেন।
শেরে বাংলা নগর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপপরিদর্শক আলমগীর হোসেন এ তথ্য জানান। এদিকে মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি ৮ জন।
অপর আসামিরা হলেন- বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: ৯৭ বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন
সাগর-রুনি হত্যা: ৯৪ বার পেছাল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
রিজভীর বিরুদ্ধে হিরো আলমের ৫০ কোটি টাকার মানহানি মামলা
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে ৫০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেছেন আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম।
সোমবার (৭ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে তিনি এ মামলা করেন।
আরও পড়ুন: হিরো আলমকে হত্যার হুমকি: সিলেট থেকে যুবক গ্রেপ্তার
হিরো আলমের আইনজীবী আব্দুল্লাহ মনসুর রিপন এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মামলাটি তদন্ত করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) তদন্তের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলায় হিরো আলম অভিযোগ করেছেন- তাকে নিয়ে বিএনপির নেতা রুহুল কবির রিজভী মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন।
এর আগে রবিবার (৬ আগস্ট) ডিবিতে অভিযোগের পর মামলা করতে ঢাকার আদালতে যান হিরো আলম। তিনি আদালতে প্রবেশ না করে একটি হাইয়েস গাড়ির ভেতরে বসেছিলেন। এ সময় গাড়িটি পাশের ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পার্কিংয়ে ছিল। এ সময় তিনি গাড়িতে বসে আইনজীবী মুনসুর আলী রিপনের সঙ্গে পরামর্শ করেন।
গত ১৮ জুলাই রুহুল কবির রিজভী রাজশাহী নগরীর ভুবন মোহন শহীদ মিনার পার্কে পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে হিরো আলমের সম্পর্কে মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: ‘মানহানিকর’ মন্তব্যের জন্য রিজভীর বিরুদ্ধে মামলা করবেন হিরো আলম
আপনাদের নেত্রী অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন, আমি সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত: হিরো আলম
মুন্সীগঞ্জে ট্রলারডুবি: বাল্কহেডের মালিক-চালকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
মুন্সীগঞ্জের পদ্মার শাখা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যাওয়ার ১৫ ঘন্টা পর দুর্ঘটনাকবলিত ট্রলার উদ্ধার হয়েছে। তিন শিশু এখনো নিখোঁজ রয়েছে। তাদের খোঁজে যৌথ অভিযান চলছে।
এদিকে রবিবার (৬ আগস্ট) বিকালে এই ঘটনায় বাল্কহেডের মালিক ও চালকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে লৌহজং থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী রুবেল শেখ।
তবে পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
নিখোঁজেরা হলেন- সিরাজদিখান উপজেলার খিদিরপুর গ্রামের রুবেল শেখের ছেলে মাহিম শেখ (৭), কয়রাখোলা গ্রামের আরিফ শেখের ছেলে তুরান আহমেদ (৮) ও কন্যা নাভা আক্তার (৫)।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব জানান,
থানায় মামলা হলেও জলপথে দুর্ঘটনার কারণে মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে নৌপুলিশ।
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার রসকাঠির কাছে পদ্মার শাখা নদীতে বালুর জাহাজের ধাক্কায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজের সন্ধানে চলছে যৌথ অভিযান।
বিআইডব্লিউটিএ প্রথমে এয়ার লিফটিং ব্যাগ ব্যবহারে করে ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধারে চেষ্টা চালায়। সাথে স্থানীয় চেইন কপ্পা পদ্ধতি যুক্ত করেও সফল হয়নি।
সবশেষে সম্পৃক্ত করা হয় ভাসমান ক্রেন। বেসরকারি ভাসমান ক্রেনই প্রায় ১২ ফুট পানির গভীর থেকে টেনে তোলে ট্রলারটব।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে ট্রলারডুবি: এখনও নিখোঁজ ৫
আর কোস্টগার্ড ও ফাযার সার্ভিসের ডুবুরিরা দুর্ঘটনার আশাপাশের নিখোঁজের সন্ধানে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রশাসন জানিয়েছে, ৪৬ জন যাত্রী নিয়ে শনিবার সন্ধ্যা রাতে ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে ৭ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে।
সিরাজদিখান উপজেলার খেতেরপুর থেকে পিকনিকের ট্রলারটি পদ্মা সেতু এলাকা ঘুরে ফিরছিল।
দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে জেলা প্রশাসন ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি
কাজ শুরু করেছে৷ তদন্ত কমিটির প্রধান শারমিন আরা জানান, সকল সদস্যদের নিয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন।
বালু বহনকারী ঘাতক বাল্কহেডটিও জব্দ করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ এর উপপরিচালক ওবায়দুল করিম খান জানান, দুর্ঘটনা কবলিত ট্রলারটি প্রায় ৭৫ ফুট দীর্ঘ। এর ওজন প্রায় ৭ মেট্রিক টন।
লৌহজং উপজেলার নির্বাহী অফিসার ডা. আব্দুল আউয়াল বলেন , ডুবে যাওয়া ট্রলারে থাকা ৪৬ জনের মধ্যে ৩৬ জনই জীবিত উদ্ধার হন। আর এ পর্যন্ত ৭ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে তিন শিশু।
আরও পড়ুন: মুন্সিগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ১
মুন্সিগঞ্জে লেপে মোড়ানো নারী-শিশুর লাশ উদ্ধার
‘মানহানিকর’ মন্তব্যের জন্য রিজভীর বিরুদ্ধে মামলা করবেন হিরো আলম
মানহানিকর মন্তব্যের ঘটনায় বিএনপির সিনিয়র নেতা রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়েছেন ‘হিরো আলম’ খ্যাত আশরাফুল আলম। রবিবার (৬ আগস্ট) ডিবি কার্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হিরো আলম এ তথ্য জানান।
হিরো আলম বলেন, ‘বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে আমি ডিবি অফিসে গিয়েছিলাম। কিন্তু ডিবি প্রধান আমাকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন। সেজন্য আমি আদালতে যাব।’
গত ১৮ জুলাই রাজশাহীর ভুবনমোহন শহীদ মিনারে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে বক্তব্য দিতে গিয়ে হিরো আলমকে ‘অশিক্ষিত’ বলে তিরস্কার করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
হিরো আলম বলেন, ‘তার (রিজভী) মতো একজন রাজনৈতিক নেতা বলতে পারেন না যে আমি 'অর্ধপাগল’ ও 'অশিক্ষিত'। আমি তিনবার নির্বাচনে অংশ নিয়েছি এবং আমি অর্ধপাগল হলে নির্বাচন কমিশন যাচাই-বাছাই করে আমাকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দিত না।’
তিনি বলেন, ‘তিনি বলেছেন আমি অশিক্ষিত, কিন্তু বিএনপি চেয়ারপার্সন অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন। বিএনপি নেতা এমন মন্তব্য করে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছেন।’
আরও পড়ুন: আপনাদের নেত্রী অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন, আমি সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত: হিরো আলম
তিনি আরও বলেন, ‘সবাই মনে করে আমি বিএনপির কর্মী, কিন্তু বিএনপি নিজেই আমার বিরুদ্ধে কথা বলছে। তারা আমার সম্পর্কে তুচ্ছভাবে কথা বলেছে। এমনকি জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরাও আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করে কথা বলেছেন।’
হিরো আলম বলেন, কারোরই অন্য কাউকে অর্ধপাগল ও অশিক্ষিত বলার অধিকার নেই।
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘ঢাকা-১৭ নির্বাচনের সময় হিরো আলম তার ফেসবুক আইডি হ্যাক করা, হামলাসহ বিভিন্ন কারণে অতীতে আমাদের কাছে এসেছিলেন। কিন্তু আজ তিনি ডিবি সাইবার ক্রাইম ইউনিটে (উত্তর) অভিযোগ জানাতে আমাদের কাছে এসেছেন।’
হারুন বলেন, ‘হিরো আলম যখন আমাদের কাছে আসেন, তখন আমরা দেখেছি যে তার বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্য করা হয়েছে। তাই আমরা তাকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। কারণ ডিবির মানহানির মামলা করার কোনো অধিকার নেই।’
আরও পড়ুন: হত্যার হুমকি পেয়ে হিরো আলমের জিডি
হিরো আলমকে মারধর: পিকআপ মালিক সমিতির সভাপতি গ্রেপ্তার
‘এস আলমের আলাদিনের চেরাগ’ নিয়ে ডেইলি স্টারের প্রতিবেদন: অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
অনুমতি ছাড়া বিদেশে বিনিয়োগ বা অর্থ স্থানান্তর নিয়ে এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধান করে দুই মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এছাড়া দেশের বাইরে অর্থ পাঠানোর মাধ্যমে মানি লন্ডারিং হয়েছে কি না, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে অর্থ বাইরে পাঠানো হয়েছিল কি না, তা জানিয়ে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে এই প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
‘এস আলমের আলাদিনের চেরাগ’ শিরোনামে গত ৪ আগস্ট ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারে প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন রবিবার (৬ আগস্ট) হাইকোর্টের নজরে আনেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এরপর বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ আদেশ দেন।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে মানি লন্ডারিং রোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা বা ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না, তা রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনের অভিযোগ অনুসন্ধানে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা–ও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: তারেক-জুবাইদার সাজার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন, সুপ্রিমকোর্টে আইনজীবীদের দু’পক্ষের সংঘর্ষ
আদালতে ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনটি তুলে ধরে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী সায়েদুল হক। দুদকের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ শুনানিতে অংশ নেন।
এর আগে গত ৪ আগস্ট দ্য ডেইলি স্টার ‘এস আলমের আলাদিনের প্রদীপ’- শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম সিঙ্গাপুরে কমপক্ষে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। যদিও বিদেশে বিনিয়োগ বা অর্থ স্থানান্তরে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার কোনো রেকর্ড নেই।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ পর্যন্ত ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে দেশের বাইরে বিনিয়োগের অনুমতি দিয়েছে। তবে চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসায়িক জায়ান্ট এস আলম গ্রুপ সেই তালিকায় নেই।
এতে আরও বলা হয়, তবে আলম সিঙ্গাপুরে গত এক দশকে কমপক্ষে দুটি হোটেল, দুটি বাড়ি, একটি বাণিজ্যিক স্পেস এবং অন্যান্য সম্পত্তি কিনেছেন। সেখানেও বিভিন্ন উপায়ে কাগজপত্র থেকে তার নাম মুছে ফেলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নথি অনুযায়ী, ‘ ২০২৩ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশ থেকে ৪০ দশমিক ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে বিনিয়োগের জন্য নেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তবে, এই পরিমাণ অর্থ ২০০৯ সালের পর সিঙ্গাপুরে এস আলমের কেবল দুটি হোটেল ও একটি বাণিজ্যিক স্পেস কেনা ৪১১ দশমিক ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের দশ ভাগের এক ভাগ মাত্র।
ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের নথিতে আরও দেখা যায় এখন পর্যন্ত কয়েকটি কোম্পানি বৈধভাবে সিঙ্গাপুরে মোট ১ লাখ ৭ হাজার মার্কিন ডলার পাঠিয়েছে এবং সেগুলোর একটিও আলমের মালিকানাধীন নয়।’
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন প্রশ্নে রুল ২ সপ্তাহে নিষ্পত্তির নির্দেশ
দুর্নীতি মামলায় তারেকের ৯ বছর, জোবাইদার ৩ বছরের কারাদণ্ড
বিচারাধীন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ প্রধান বিচারপতির
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, দীর্ঘসময় ধরে মামলা বিচারাধীন থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বিচারপ্রার্থীরা। এতে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।
শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে যশোরের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ও আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি দুই দশক এবং তারও বেশি আগের বিচারাধীন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।
সকাল সাড়ে ৮টায় প্রধান বিচারপতি যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পৌঁছান। এসময় লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এরপর তিনি যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিত বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আদালত প্রাঙ্গণে একটি জলপাইগাছের চারা রোপণ করেন।
আরও পড়ুন: আইনজীবী ও বিচারক একে অপরের পরিপূরক: প্রধান বিচারপতি
সাড়ে ১০টায় তিনি যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির ১নং ভবনে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন।
এসময় জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক আবু মোর্তজা ক্রেস্ট প্রদান করেন।
এছাড়া পিপি ইদ্রিস আলী তাকে খেজুর গাছ সম্বলিত একটি উপহার প্রদান করেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-স্পেশাল জজ মোহাম্মদ সামছুল হক, নারী ও শিশু নির্যাদন দমন-১ এর বিচারক গোলাম কবির, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-২ এর বিচারক মোহাম্মদ মাইনুল হক, মুখ্য বিচারিক হাকিম ফাহমিদা জাহাঙ্গীর, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জয়ন্তিরানী দাস, সোহানী পুষন, তাজুল ইসলাম, বেগম সুরাইয়া সাহাব, সুমি আহম্মেদ, শিমুল কুমার বিশ্বাস, জুয়েল অধিকারী, সুপ্রিম কোর্টের আপ্রিল বিভাগের রেজিস্টার ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, প্রধান বিচারপতির পিএস আরিফুল ইসলাম, মারুফ আহেম্মদ।
আরও পড়ুন: দেশের কোর্টগুলোতে প্রায় ৪০ লাখ মামলা বিচারাধীন: প্রধান বিচারপতি
বিচার বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হলে গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে: প্রধান বিচারপতি
শ্যালিকাকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ২ শিশুকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, আটক ১
বরগুনায় শ্যালিকাকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে দুই শিশুকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ইলিয়াস নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। শুক্রবার (৩ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা দুই শিশু হলো- হাফিজুর (১৩) ও তাইফা (৩)। হাফিজুল একই এলাকার গোলাম খবিরের ছেলে এবং তাইফা ভুক্তভোগীর মেয়ে।
আরও পড়ুন: রাবি অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলা: ২ আসামির ফাঁসি কার্যকর
এদিকে পুলিশ অভিযুক্ত ইলিয়াসকে গ্রেপ্তার করেছে। ইলিয়াস সদর উপজেলার খাজুরতলা আবাসনের বাসিন্দা।
অভিযুক্ত ভুক্তভোগীর আপন বড় বোনের স্বামী।
জানা যায়, গভীর রাতে শ্যালিকাকে ধর্ষণের মতলবে তার ঘরে যান ইলিয়াস। কিন্তু তাতে বাধা দিলে শ্যালিকাকে এবং তার মেয়ে তাইফা ও প্রতিবেশী হাফিজুরকে কুপিয়ে জখম করেন তিনি।
এতে ঘটনাস্থলেই হাফিজুর মারা যায়। আর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায় তাইফা। আহত ভুক্তভোগী নারীকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, হত্যার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্ত ইলিয়াসকে আমরা আটক করেছি।
তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগীকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে নিজ বন্দুকের গুলিতে পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
শিকাগোতে গুলি করে নারীকে হত্যা, শিশুসহ আহত ৩