%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%B6%E0%A7%83%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%96%E0%A6%B2%E0%A6%BE
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আনা সংশোধনে সাংবাদিকরা খুশি হবেন: আইনমন্ত্রী
সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যে সংশোধন আনছে, তাতে সাংবাদিকরা খুশি হবেন বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমন গিলমোরের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কী ধরনের সংশোধনী আনা হচ্ছে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এটার জন্য আপনারদের একটু অপেক্ষা করতে হবে। আমি মনে করি, আপনাদের পরামর্শ সরকারের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমি এটুকু বলতে পারি, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের যে সংশোধন হচ্ছে তাতে আপনারা সকলে খুশি হবেন।’
তিনি বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ। তার সফরে এই সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। নতুন আঙ্গিকে আমাদের এই অংশীদারত্ব কাজে লাগাব ও শক্ত করবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আলাপ হয়েছে। তাকে বলেছি- আমরা এই আইন সংশোধন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী সেপ্টেম্বরে এই সংশোধনী পার্লামেন্টে তোলা হবে এবং পাস করা হবে বলে আশা রাখি।’
আরও পড়ুন: লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা গভীর মনস্তাত্ত্বিক ক্ষত সৃষ্টি করে: আইনমন্ত্রী
বৈঠকে উপাত্ত সুরক্ষা আইন নিয়েও কথা হয়েছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, সেখানে বলেছি- এটি নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে একবার বৈঠক করার পরে আবার একটা খসড়া তৈরি করা হয়েছে। সেটি নিয়েও অংশীজনদের সঙ্গে বসা হবে বলে আমি আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর কাছ থেকে শুনেছি। ইমন গিলমোরকেও সে কথা বলেছি।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘শ্রম আইন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বলেছি, বাংলাদেশে শ্রমিকদের অধিকার জোরদার হয়েছে। এটি নিয়ে অনেক কাজ করেছি এবং করে যাচ্ছি। যে সব সমস্যা আছে, সেগুলো দূর হবে বলে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে আশা ব্যক্ত করেছি। সেখানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতা চেয়েছি।’
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, ‘তাদের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে বিশেষ কোনো আলাপ হয়নি। নির্বাচন নিয়ে তাকে কেবল বলেছি, প্রধান নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন কমিশন নিয়োগে যে আইনটি আমরা করেছি, এটি এই উপমহাদেশে প্রথম। গেল অর্ধশত বছরে এমন আর কোনো আইন হয়নি। আমরা আইন করেছি অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য।’
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অনেক বিদেশি প্রতিনিধি আসছেন, এ নিয়ে সরকার কোনো চাপ অনুভব করছে কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীটা এখন বিশ্বগ্রাম। এখানে বিভিন্ন দেশ পারস্পরিক সম্পর্ক ধরে রাখতে বিভিন্ন আলোচনায় যুক্ত হয়। আমি সে আলোকেই দেখছি। আমরা একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ।’
তিনি বলেন, আমাদের যেসব বন্ধুদেশ আছে, তারা আমাদের অবশ্যই অনেক কিছু জিজ্ঞেস করতে পারেন। আবার অনেক কথা তাদেরকে জিজ্ঞেস করতে পারি। কোথাও ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকলে এই আলোচনার মাধ্যমে তা দূর হয়। অনেক ক্ষেত্রে সেগুলো দূর হচ্ছে বলে মনে করি।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার: আইনমন্ত্রী
সংবিধান না মানলে দেশের নাগরিক বলা ঠিক না: আইনমন্ত্রী
ধর্ষণ মামলায় এএসপি সোহেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
ধর্ষণ মামলায় সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সোহেল উদ্দীন প্রিন্সের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ এর বিচারক আল মামুন এই আদেশ দেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল কবির বাবুল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন আমলে গ্রহণ করে এএসপি সোহেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
সোহেল উদ্দিন প্রিন্স বর্তমানে বরখাস্ত অবস্থায় আছেন। তিনি ৩৬ বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন।
গত বছরের ২৩ নভেম্বর সোহেল উদ্দিন প্রিন্সের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে ঢাকার আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী এক নারী। আদালত মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারীও একজন সরকারি কর্মকর্তা। পরিচয়ের সুবাদে সোহেল উদ্দীনের সঙ্গে তার বিয়ের কথা হয়।
আরও পড়ুন: এএসপি আনিস হত্যা: ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা
২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সোহেল উদ্দীন বাদীকে রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে আসতে বলে। সেখানে তার আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত থেকে কাজীর মাধ্যমে বিয়ে হবে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
বাদী ওইদিন সন্ধ্যা ৭টায় তার আত্নীয়-স্বজনসহ রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে উপস্থিত হয়ে সোহেল উদ্দীন ছাড়া আর কাউকে দেখতে না পেয়ে প্রশ্ন করলে আসামি জানান, কিছুক্ষণের মধ্যে সবাই এসে যাবে।
বাদী সরল বিশ্বাসে আসামির সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। কথাবার্তার এক পর্যায়ে সোহেল বাদীকে খুন করার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন।
আরও পড়ুন: রিমান্ডে নারীকে যৌন নির্যাতন: ওসি, এএসপিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
করোনা পরবর্তী শারীরিক জটিলতায় সিনিয়র এএসপির মৃত্যু
৩০ দিনের মধ্যে রেলের জায়গা দখলকারীদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ
দেশের বিভিন্ন জেলায় যারা রেলওয়ের জায়গা অবৈধভাবে দখল করেছে, তাদের তালিকা তৈরি করে তা ৩০ দিনের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুদ্দিন খালেদ।
মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠনের পক্ষে সোমবার এ আবেদন করা হয়।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, রুলে সারাদেশে রেলওয়ের সম্পত্তি অবৈধ দখলমুক্ত করতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন জেলায় থাকা সম্পত্তি অবৈধ দখলকারীদের উচ্ছেদ করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: আপনি ভুল করেননি, ক্রাইম করেছেন: জেলা জজকে হাইকোর্ট
দুই সপ্তাহের মধ্যে রেলওয়ে সচিব ও মহাপরিচালক, পরিচালক, সহকারী ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
তিনি জানান, বিভিন্ন জেলায় রেলওয়ের কী পরিমাণ জমি অবৈধ দখলে আছে, তা রেলওয়ের সচিব ও মহাপরিচালককে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে জানাতে বলেছেন আদালত, পাশাপাশি দখলকারীদের তালিকা তৈরি করে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
শুনানিতে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জে রেলওয়ের জায়গা অবৈধ দখলকারীদের উচ্ছেদের নির্দেশনা চেয়ে একটি রিট পিটিশন দায়ের করার পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, পাবনাসহ বিভিন্ন জেলায় শত শত একর জমি অবৈধভাবে দখল করা আছে মর্মে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
তিনি আদালতে বলেন, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কতিপয় অসাধু কর্মচারীর যোগসাজশে হাজার হাজার একর সম্পত্তি বেদখল হয়ে আছে, যা মূলত জনগণের সম্পত্তি এবং এগুলো উদ্ধারের জন্য নির্দেশনা প্রয়োজন। আদালত হস্তক্ষেপ না করলে এসব জনগণের সম্পত্তি উদ্ধার করা সম্ভব হবে না।
আরও পড়ুন: সেন্ট্রাল হাসপাতালের ডা. মিলিকে আত্মসমর্পণে হাইকোর্টের নির্দেশ
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট
রাবির অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলা: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আপিল আবেদন খারিজ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় আসামির ফাঁসির রায় স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।
এরফলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে এখন কোনো বাধা নেই।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোর্শেদ, অন্যদিকে দণ্ডপ্রাপ্তদের একজনঅধ্যাপক তাহেরের বাসভবনের তত্ত্বাবধায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এস এন গোস্বামী।
গত ৩ মে রিভিউ আবেদন খারিজ করে পূর্ণাঙ্গ লিখিত রায় প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
এরআগে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ এই মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং অন্য দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।
চলতি বছরের ২ মার্চ অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিসহ তিনজনের রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দু’জন হলেন- তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর আলমের আত্মীয় নাজমুল আলম ও আবদুস সালাম।
আরও পড়ুন: রাবি অধ্যাপক ড. তাহের খুন: ২ আসামির ফাঁসি স্থগিত চেয়ে রিট
২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হওয়ার দু’দিন পর অধ্যাপক তাহেরের লাশ তার বাড়ির পাশের একটি ড্রেন থেকে উদ্ধার করা হয়।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি তার ছেলে সানজিদের অভিযোগে রাজশাহীর মতিহার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এ মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় এবং রাবি ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহীসহ দুইজনকে খালাস দেয়।
পরে ২০১৩ সালের ১৩ মে হাইকোর্ট মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখলেও সালাম ও নাজমুলকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন। আদেশের পর মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর ও সালাম সুপ্রিম কোর্টে যান।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের লিভ টু আপিল খারিজ, দানকর দিতে হবে ১২ কোটি টাকা
নাটোরে যুবলীগ নেতার কবজি বিচ্ছিন্নের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৪
নাটোরে যুবলীগ নেতা মিঠুনের কবজি বিচ্ছিন্নের ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান, যুগ্ম সম্পাদক মোর্ত্তজা বাবলু, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ দলের ৩০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
ইতোমধ্যেই এ মামলায় রুমন, নাছির, ওবায়দুল ও মহসিন নামে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার রাতে নাটোর থানায় মামলাটি দায়ের করেন আহত যুবলীগ নেতা মিঠুনের ভাই স্বপ্ন।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে বিএনপির ৩৮০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ১৫
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে রবিবার রাতে নাটোর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুন আলীর ডান হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে দেয় প্রতিপক্ষ।
তিনি আরও জানান, হামলায় আহত হয় আরও ৫ জন।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে ৩৩.৪ কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
হত্যার হুমকি পেয়ে হিরো আলমের জিডি
হিরো আলম নামে পরিচিত আশরাফুল আলম সোমবার রাতে ফোন কলে হত্যার হুমকি পেয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে হিরো আলম বাদী হয়ে হাতিরঝিল থানায় জিডি করেন বলে জানান উক্ত থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কাদির।
জিডি সূত্রে জানা যায়, হিরো আলমকে হত্যার হুমকি দিয়ে একটি অজ্ঞাত নম্বর থেকে তিনটি ফোন কল আসে। সোমবার রাত ৯টা ৪৩ মিনিটে তিনি প্রথম কল পান।
আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ আসনে পুনঃনির্বাচনের দাবি হিরো আলমের
জিডিতে আরও উল্লেখ আছে, ফোনকারী তাকে (হিরো আলমকে) শিক্ষা দেবে এবং সাত দিনের মধ্যে তার লাশ বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেবে বলে হুমকি দেয়।
গত ১৭ জুলাই রাজধানীর বনানীতে ভোটকেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন ঢাকা-১৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম।
এ ঘটনায় হিরো আলমের একান্ত সহকারী বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে আসামি করে বনানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
হিরো আলমের ওপর উক্ত ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: হিরো আলমকে মারধর: পিকআপ মালিক সমিতির সভাপতি গ্রেপ্তার
পরীমণির মামলার বিচার ক্যামেরা ট্রায়ালে হবে
মারধর, হুমকি ও যৌন হয়রানির মামলায় সাক্ষ্য দিতে আদালতে আসেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। ঘটনার কিছু বিবরণ দিয়ে পরীমণি আর কথা বলতে পারছিলেন না। একপর্যায়ে তিনি ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকেন।
এজন্য আগামী ধার্য তারিখ থেকে মামলার বিচার ক্যামেরা ট্রায়ালে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
সোমবার (২৪ জুলাই) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক শাহিনা হক সিদ্দিকার আদালতে দুপুর ১টার দিকে সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন। এসময় আদালতে আইনজীবী, সাংবাদিক, পুলিশসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
সেদিন রাতে বোটক্লাবে কী ঘটেছিল তার বিস্তারিত তুলে ধরতে ইতস্তত বোধ করছিলেন পরীমণি।
তখন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহিদ উদ্দিন ঢালী আদালতকে বলেন, পরীমণি লজ্জায় অনেক কথা স্বাক্ষীর জবানবন্দীতে বলতে পারছেন না। এসব কথা বলাও যায় না।
তখন বিচারক বলেন, আপনারা তাহলে মামলার বিচার ক্যামেরা ট্রায়ালে করার আবেদন করেন। যথাযথ ব্যবস্থা নেব।
তখন বিচারক পরীমণির কাছে জানতে চান, আপনি কি সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ফিট আছেন?
পরীমণি বলেন, আজকে ফিট না। প্রস্তুত হয়ে আসিনি। আর সবার সামনে এসব কথা বলতে চাচ্ছি না।
এরপর আদালত আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর তার অবশিষ্ট সাক্ষ্যের তারিখ ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: শ্লীলতাহানির মামলায় ৩ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন পরীমণি
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহিদ উদ্দিন ঢালী জানান, আজকেই মামলার বিচার ক্যামেরা ট্রায়ালে পরিচালনার আবেদন করব। আশা করছি, আগামী ধার্য তারিখ থেকে মামলাটির বিচার ক্যামেরা ট্রায়ালে অনুষ্ঠিত হবে।
এ দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আদালতে আসেন পরীমণি।
গত বছর ২৯ নভেম্বর পরীমণি এ মামলায় সাক্ষ্য দেন। পরীমণি অসুস্থ থাকায় এর আগে কয়েকদফা সাক্ষ্যগ্রহণ পেছায়।
মামলার আসামি হলেন- নাসির উদ্দিন, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শহীদুল আলম। এদিন তারা আদালতে হাজিরা দেন।
গত বছর ১৮ মে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
২০২১ সালের ১৪ জুন নাসির উদ্দিন ও অমির নাম উল্লেখ করে এবং চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে ঢাকার সাভার থানায় মামলা করেন পরীমণি।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সাভার থানার পরিদর্শক কামাল হোসেন।
আরও পড়ুন: পরীমণির মাদক মামলা চলবে, আবেদন খারিজ
পরীমণির বিরুদ্ধে নাসির উদ্দিনের মামলায় সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ
সুজনের হাফিজ-বদিউলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা মামলার আবেদন
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সভাপতি এম হাফিজ উদ্দীন খান ও সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাগারে থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরার বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার করে অনতিবিলম্বে জামিনের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দেওয়ায় আবেদনটি করেন সুপ্রিমকোর্টের চার আইনজীবী।
আরও পড়ুন: নিম্ন আদালতে কালো কোট-গাউন পরার আবশ্যকতা নেই: সুপ্রিম কোর্ট
সোমবার (২৪ জুলাই) হাইকোর্টের আপিল বিভাগে এ মামলার আবেদনের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন হাইকোর্টের আইনজীবী মনিরুজ্জামান রানা।
অন্য আইনজীবীরা হলেন- মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ, মাহফুজুর রহমান রোমান ও শফিক রায়হান শাওন।
আইনজীবী মনিরুজ্জামান রানা বলেন, সুজনের দুজনের বিরুদ্ধে আমরা আদালত অবমাননার অভিযোগে মামলার আবেদন করেছি।
গত ১০ জুলাই আপিল বিভাগ খাদিজাকে জামিন না দিয়ে তার জামিন আবেদন চার মাসের জন্য মুলতবি করে রাখেন। পরে গত ১২ জুলাই খাদিজার মুক্তি দাবি করে বিবৃতি দেয় সুজন।
বিবৃতিতে সুজনের সভাপতি এম হাফিজউদ্দীন খান ও সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, কেবল সরকারবিরোধী প্রচারণা ও কটূক্তির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীকে মাসের পর মাস জামিন না দিয়ে কারাগারে আটকে রাখা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
এভাবে জামিন না দিয়ে খাদিজার মতো একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন রাষ্ট্র কোনোভাবেই ধ্বংস করে দিতে পারে না। সুজনের পক্ষ থেকে খাদিজাকে অবিলম্বে জামিন দেওয়াসহ তার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা। অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচারসহ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুইটি মামলা হয়।
একটি মামলা রাজধানীর কলাবাগান থানায়, অপরটি নিউমার্কেট থানায়। দুটি মামলার বাদীই পুলিশ। এ মামলায় প্রায় ১১ মাস ধরে কারাগারে আছেন তিনি।
আরও পড়ুন: মাগুরায় আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপি নেতা চাঁদের ওপর হামলা, পুলিশ আহত
সাংবাদিক নাদিম হত্যা: আদালতে ইউপি চেয়ারম্যান বাবু’র দায় স্বীকার
ফরিদপুরে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
পাটকলের এক শ্রমিককে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ফরিদপুরের একটি আদালত ৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
সোমবার ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হাফিজুর রহমান এ দণ্ডাদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মধুখালী উপজেলার চুন্নু শিকদার, নাজমুল হোসেন, ইসলাম মীর, আতিয়ার মোল্লা ও নাসির খান নয়ন।
তাদের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানাও করেন আদালত।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডিতে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
প্রসিকিউশনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ১৫ অক্টোবর মধুখালী উপজেলার রাজধরপুর প্রাইড জুট মিলের কর্মী কাজল রেখা কাজলী (৩২) ওভারটাইম ডিউটি শেষ করে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার বাড়ি ফিরছিলেন।এ সময় চুন্নু নামে একজন হিউম্যান হলার চালক তাকে জোর করে রাজধরপুরের একটি কলা বাগানে নিয়ে যান।
অন্য চার আসামি তাদের দেখেছে এবং তারাও ওই নারীকে ধর্ষণ করেছেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীর কল্যাণপুরে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ
পরে তারা ওই নারীকে স্কার্ফ দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। পরদিন পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় কাজলের মা কল্যাণী বিশ্বাস বাদী হয়ে মধুখালী থানায় একটি মামলা করেন। এরপর ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
আরও পড়ুন: নৃত্যশিল্পীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
সিলেটে ২২ বছর পর হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
সিলেটের গোইয়ানঘাটে তমজিদ আলী হত্যা মামলায় দীর্ঘ ২২ বছর পর ৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে সিলেটের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আব্দুর রব, আব্দুর রহমান, ফজল উদ্দিন ও রইস আলী।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
এ ছাড়া মামলার বাকি ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. ফখরুল ইসলাম।
তিনি জানান, ২০০১ সালে একটি খাল দখলকে কেন্দ্র করে তমজিদ আলীকে কুপিয়ে হত্যা করেছিল দণ্ডপ্রাপ্তরা। এ ঘটনায় স্ত্রী পিয়ারা বেগম ১৫ জনকে আসামি করে গোয়াইনঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বাবাকে হত্যার দায়ে ৩ ছেলের মৃত্যুদণ্ড